জাতীয়

করোনা ভাইরাসের আরো ৩০ লাখ টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র মডার্নার এই টিকা বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে।

সোমবার (১৯ জুলাই) রাত ৯টা ২০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাতার এয়ারলাইন্সের কিউআর-৮৬৩৪) ফ্লাইটে এসব টিকা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ১৮টি ফ্রিজার ভ্যানে করে এই ৩০ লাখ ডোজ টিকা নিয়ে যাওয়া হবে। এর মধ্যে ১৫টি ফ্রিজার ভ্যান যাবে ধামরাই সংরক্ষণাগারে এবং বাকি তিনটি যাবে তেজগাঁওয়ের ইপিআই সংরক্ষণাগারে।

টিকা রিসিভ করার পর রাত ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,আগামী মাসে আরও ১ কোটি ২৯ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসবে। এর মধ্যে আগামী মাসে জনসন অ্যান্ড জনসন থেকে ৬০ লাখ টিকা আনা হবে। ইতোমধ্যে আমরা ৩০ বছর বয়সীদের করোনা ভ্যাকসিন নিবন্ধন শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে বয়সের সীমা আরও কমানো হবে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন দিতে পারি। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আরও ৪০টি আইসিও বেড নির্মাণ করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এর আগে, শনিবার (১৭ জুলাই) টুইটারের মাধ্যমে আরও ৩০ লাখ মডার্নার টিকা উপহারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

তিনি জানান, করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের দেশগুলোকে টিকা সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ২৫ লাখ মডার্নার টিকা উপহার দিয়েছে।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৮৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ১১ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়। সেদিন ২৩০ জন মারা যান। আর গত ৭ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২০০ ছাড়ায়। সেদিন ২০১ জনের মৃত্যুর তথ্য দেয় সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তার পর থেকেই প্রতিদিন রেকর্ড মৃত্যু হতে থাকে। শনাক্তেও রেকর্ড হতে থাকে।

গত ১৫ জুলাই দেশে মৃত্যু হয়েছিল ২২৬ জনের। আগের দিন (১৪ জুলাই) ২১০ জন, ১৩ জুলাই ২০৩ এবং ১২ জুলাই ২২০ জনের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশে গত ১০ দিনে নতুন ১ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে  শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ লাখ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় ৩৯ হাজার ৮৪৫ নমুনা পরীক্ষা করে ১১ হাজার ৫৭৮ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তকরণে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা শনাক্তে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেল সারাদেশের ৭৭টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

রবিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের আলোকে নিম্নবর্ণিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৭৭টি নির্ধারিত শতাবলী প্রতিপালন সাপেক্ষে কোভিড-১৯ রোগ নির্ণয়ের এ অনুমোদন দেওয়া হলো।

টেস্ট করার ক্ষেত্রে শর্তসমূহ:

১. কোভিড-১৯ এর উপসর্গ/ লক্ষণযুক্ত (সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যাথা, নাকে ঘ্রান না পাওয়ায়, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি) ব্যক্তি এবং বিগত ১০ দিনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

২. এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের (DHIS-2) সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে। লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির এন্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে রিপোর্ট না দিয়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব হতে টেস্ট করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে এবং ওই রিপোর্ট DHIS -2 এন্ট্রি দিতে হবে।

৩. অনুমোদিত কীটের নামসমূহ: Standard Q COVID-19 Ag Test kits- SD BIOSENSOR (South Korea) ও PANBIO (USA).

৪. পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য: ৭০০/- (সাতশত টাকা)। বিশেষক্ষেত্রে বাসা হতে নমুনা সংগ্রহে অতিরিক্ত চার্জ ৫০০/- (পাচঁশত টাকা) রাখা যেতে পারে। একের অধিক সদস্যের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও চার্জের পরিমাণ ৫০০/- টাকার অধিক হবে না।

৫. রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা হতে আইডি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফোকাল পার্সন (ডা. অনুপম, এমআইএস, মোবাইল নম্বর- ০১৩২১১৭৩৮৬০। ই-মেইল- [email protected]) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। এসব প্রতিষ্ঠানের একজন ফোকাল পার্সন থাকবে যিনি মেডিকেল অফিসার সমমর্যাদার হবেন।

৬. সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান (পরিচালক/সিভিল সার্জন/ইউএইচএফপিও) সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-

০১। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্লট নং-৭/২, সেকশন-২, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

০২। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ২৬/৪, দারুস সালাম রোড, মিরপুর-১, ঢাকা-১২১৬।

০৩। গ্রিন লাইফ হাসপাতাল লিমিটেড, ৩২, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।

০৪। থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড, কনফিডেন্স সেন্টার,(১২ তম ফ্লোর), কে-৯, প্রগতি সরণি, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা- ১২১২।

০৫। থাইরয়েড কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাড়ি নং- ১০৬, রোড নং-০৭, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।

০৬। ডেলটা হাসপাতাল লিমিটেড, ২৬/২, প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম রোড, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

০৭। সানি ডায়াগনস্টিক মুগদা, ৪৫/১-এফ, নর্থ মুগদা, ঝিলপাড়, ঢাকা-১২১৪।

No description available.

০৮। ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড, প্লট-১৫, রোড-৭১, গুলশান, ঢাকা-১২১২।

০৯। ফারাবী জেনারেল হাসপাতাল লি., হাউজ নং-৮/৩, রোড-১৪(নিউ), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯।

১০। সি আর এল ডায়াগনস্টিক সেন্টার (ইউনিট-২), ১৫১/৭, ৩য় ফ্লোর, ৩/এ, গ্রীনরোড, ঢাকা – ১২০৫।

১১। নাভোস, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সার্ভিস লি., ১/১/বি, পরিবাগ, ঢাকা-১০০০।

১২। ওয়েসিস হসপিটাল, সাবোহানিঘাট সিলেট ।

১৩। এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, সাভার, ঢাকা।

১৪। হাইটেক মাল্টিকেয়ার হসপিটাল লি., ১৬৪, ইস্ট কাফরুল, ঢাকা-১২০৬।

১৫। শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি (প্রা.) লি., নিউ বিল্ডিং অফ শেভরন-হালিশহর শাখা, শান্তিবাগ, চট্টগ্রাম ।

১৬। আল-মানার হাসপাতাল লি., প্লট নং-৩, ব্লক নং- ই, সাতমসজিদ রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ ।

১৭। ভিক্টোরিয়া হেল্থ কেয়ার লি., কসমোপলিটন সেন্টার (২য় তলা) ২২/২ বার রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা- ১২০৭।

১৮। ডি এম এফ আর মল্যিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক বিডি লিমিটেড, নাভানা নিউবেরি প্লেস, ৪/১/এ, সোবাহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২০৭।

১৯। প্রাভা হেল্থ অ্যান্ড বাংলাদেশ লি., প্লট-৯, রোড-১৭, ব্লক-সি,বনানী, ঢাকা-১২১৩।

২০। বায়েমেড ডায়াগনস্টিকস, নাভানা নিউবেরি প্লেস, ৮ম তলা, ৪/১/এ সোবাহানবাগ, মিরপুর রোড, ঢাকা- ১২০৭।

২১। জাহান আরা ক্লিনিক লিমিটেড, হাউজ-২ অ্যান্ড ৪, রোড-১, সেক্টর-১, উত্তরা মেডিকেল টাউন, ঢাকা-১২৩০।

২২। আল-জামি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ৮৭, পুরানা পল্টন লেন, পল্টন টাওযার, থার্ড ফ্লোর, ঢাকা- ১০০০।

২৩। আজগর আলী হসপিটাল, ১১১/১/এ, ডিসটিলিয়ারী রোড, গেন্ডারিয়া , ঢাকা-১২০৪।

২৪। প্রাইম ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, হোসেফ টাওয়ার, ৪র্থ ফ্লোর, মালিবাগমোড়, ঢাকা।

২৫। ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, কমার্সিয়াল প্লট নং- (২৭,২৮), মেইন রোড-১, সেকশন-৬, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

২৬। ডা. ফরিদা হক মেমােরিয়াল ইব্রাহিম জেনারেল হসপিটাল, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।

২৭। শহীদ খালেক ইব্রাহিম জেলারেল হসপিটাল ৪/১, র‌্যানকিন স্ট্রিট, ওয়ারী, ঢাকা-১২০৩।

২৮। মহিলা ও শিশু হাসপাতাল, প্লট নং- ৩০, সেক্টর-৮, হাসপাতাল রোড, উত্তরা, ঢাকা।

২৯। ফেমাস স্পেশালাইজড হসপিটাল, হাউজ-০৫, ব্লক-এইচ, মেইন রোড, মেরাদিয়া বাজার, বনশ্রী, ঢাকা।

৩০। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার, হাউজ-৪৮, রোড-৯/এ, সাতমসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা- ১২০৯।

৩১। ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ১/১-সি, কল্যাণপুর, মিরপুর রোড, ঢাকা-১২১৬।

৩২। ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার,হাউজ-৬৮, জেল রোড, ঘোপ, যশোর।

৩৩। ইবনে সিনা ডি, ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, হাউজ-৫২, গরিব-ই- নেওয়াজ এভিনিউ , সেক্টর-১৩, উত্তরা, ঢাকা- ১২৩০।

৩৪। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, হাউজ-বি, জলেশ্বর, আরিচারোড, সাভার, ঢাকা- ১৩৪০।

৩৫। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, মালিবাগ, হাউজ ৪৭৯, ডি আই টি রোড, মালিবাগ, ঢাকা- ১২১৭।

৩৬। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, মিরপুর, হাউজ ১১, এভিউনিউ-৩, রূপনগর, মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬।

৩৭। ইবনে সিনা হাসপাতাল, হাউজনং-৬৪, রোড নং-১৫/এ, ধানমন্ডি আর/এ, ঢাকা-১২০৯।

৩৮। ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেড সোবহানিঘাট পয়েন্ট, সিলেট ।

৩৯। ইবনে সিনা ডি. ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, দয়াগঞ্জ, ২৮,দয়াগঞ্জ (হাট লেন), গেন্ডারিয়া, ১২০৪।

৪০। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লালবাগ লিঃ, ২৭/৪, ঢাকেশ্বরী রোড, লালবাগ, ঢাকা-১২১১।

৪১। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, চট্রগ্রাম,১২/১, রোড-২,কাতালগঞ্জ আর/এ, পাচঁলাইশ, চট্টগ্রাম।

৪২। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, বগুড়া, হাউজ-১১০৩/১১১৬, শেরপুর রোড, বগুড়া।

৪৩। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, কেরানীগঞ্জ, হাউজ- মা প্লাজা, কদমতলী মোড়, জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০।

৪৪। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, কুমিল্লা, ২৯, কোটবাড়ী রোড, টমসম ব্রীজ, কুমিল্লা- ৫০০।

৪৫। ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, চ-৭২/১, প্রগতি স্মরণী, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।

৪৬। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ২১, শ্যামলী, মিরপুর রোড, ঢাকা- ১২০৭ ।

৪৭। হেলথ কেয়ার ডায়াগণস্টিক সেন্টার লিঃ, ২৩/২, খিলজী রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭।

৪৮। গুলশান ক্লিনিক লিঃ ১৩-গ, প্রগতি স্মরণী, শাহাজাদপুর, গুলশান, ঢাকা-১২১২।

৪৯। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ৯৫৩, ও, আর নিজাম রোড, পাচঁলাইশ, চট্রগ্রাম-৪০০০।

৫০। অথেনটিক ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন লি., ৭১/৪, হোসেনী দালান রোড, চাঁনখারপুল, ঢাকা ১২১৯।

৫১। ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল লি., ৭৪জি/৭৫, পিকক স্কয়ার, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, মহাখালী, ঢাকা-১২১৫।

৫২। মুন্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, মুন্ন সিটি, গোয়ালন্দ, মানিকগঞ্জ।

৫৩। ইসলামি ব্যাংক স্পেশালাইজড অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল নয়াপল্টন, ৭১-৭২, ভিআইপি রোড, নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০।

৫৪। ইসলামি ব্যাংক হসপিটাল মিরপুর, প্লট নং- ৩১, মেইন রোড- ০৩, ব্লক-ডি, সেকশন-১১, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬।

৫৫। ডায়নামিক ল্যাব ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেক-আপ, ৫৮ ইস্ট হাজীপাড়া, ৩ তলা, ডিআইটি রোড, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯।

৫৬। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা, প্লট-৮১, ব্লক-ই, বসুন্ধরা আর/এ, ঢাকা-১২২৯।

৫৭। খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জ।

৫৮। হেলথ ল্যাবস লি., ১০৪১/২ এ পূর্ব শেওরাপাড়া, বেগম রোকেয়া স্মরণী, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

৫৯। ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড এও অর্থপেডিক হসপিটাল (প্রা.) লি., ২২/৮/এ, মিরপুর রোড, শ্যামলী, ঢাকা- ১২০৭।

৬০। টি এম এস এস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল, রংপুর হাইওয়ে, ঠ্যাংগামারা, বগুড়া।

৬১। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি., (ধানমন্ডি শাখা),হাউজ-৭১/এ, রোড ৫/এ, ধানমন্ডি আর/এ, ঢাকা।

৬২। কে সি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., ২৬২০, নোয়াপাড়া, দক্ষিনখান, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।

৬৩। লুবানা জেনারেল হাসপাতাল (প্রা.) লি., ৯, গরীব-ই-নেওয়াজ এভিনিউ, সেক্টর -১৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।

৬৪। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি., (ইংলিশ রোড শাখা), ৩১ জনসন রোড, ইংলিশ মৌচাকা।

৬৫। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি., (মালিবাগ শাখা), ৬/৯, আউটার সার্কুলার রোড, মালিবাগ মোড়, ঢাকা।

৬৬। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লি., (মিরপুর শাখা), প্লট নং- ২৯-৩০, ব্লক-খ, রোড-১, সেকশন-৬, মিরপুর, ঢাকা।

৬৭। এ এম জেড হাসপাতাল লিমিটেড, চ-৮০/৩, স্বাধীনতা স্মরনী- (প্রগতি স্মরণী), নর্থ বাড্ডা, ঢাকা-১২১২।

৬৮। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজ, তেতুইবাড়ী, কাশিমপুর, গাজীপুর।

৬৯। সাজেদা হাসপাতাল, চাঁটগাও, জিনজিরা, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

৭০। ম্যাক্সলাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস, ২১৮,৪৭/এ, মিটফোর্ড রোড, ঢাকা-১১০০।

৭১. প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট, বা শাখা, গ-১৩৬, নর্থ বাভ, প্রগতি স্মরণ, ঢাকা-১২১২।

৭২। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঘাটরা, ব্ৰানবাড়ীয়া।

৭৩। সি এস সি আর (প্রাইভেট) লিমিটেড, ১৬৭৫/এ, ও,আর, নিজাম রোড, চট্টগ্রাম।

৭৪। সততা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার-২, চৌধুরী কমপ্লেক্স, হসপিটাল রোড, নীচাবাজার, নাটোর।

৭৫। সততা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার-১, ঢাকা রোড, রইছ প্লাজা, কানাউখালী, নাটোর।

৭৬। এ এফ সি হেল্থ- ফরটিস হার্ট ইনস্টিটিউট (খুলনা ইউনিট), ইন অ্যাসোসিয়েশন ওয়িথ এস্কর্ট হার্ট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার লিমিটেড, এ-১৭, মজিদ সরণি, সোনাডাঙ্গা, খুলনা-৯১০০।

৭৭। হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ১, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, ঢাকা-১০০০।

এছাড়াও মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতেও অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে পারবেন।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ২০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১৭ জন বেশি মারা গেছেন। গতকাল ১৮৭ জন মারা গিয়েছিল। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২৫ ও নারী ৭৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯ জনে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত ৮ হাজার ৪৮৯ জন।

করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ১১ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ২৯১ জন, ৬৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী ৫ হাজার ৩৭৮ জন, ৩০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ, শনাক্ত বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং সুস্থতা বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৩৫ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৫ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ১ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৮২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন করে, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬১ জন সরকারি, ৪১ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাসায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ২৯ হাজার ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৪৮৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৪১ হাজার ৯৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ হাজার ১৪৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ১১ হাজার ৭৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭১ জন। ঢাকায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। গতকাল ১১ হাজার ৮০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৭ জন, যা ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৩২ জন, গতকাল মারা যায় ২২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮২০ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৮ হাজার ৫৩৬ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২৮৪ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৫ জনের।

আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৪৫ হাজার ৪৫ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১৫ হাজার ৩০টি নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ হাজার ২১৪ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৪১ হাজার ৯৪৭ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১২ হাজার ৭৩৩টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

চীনের সিনোফার্মের ২০ লাখ টিকার মধ্যে ১০ লাখ টিকা শনিবার (১৭ জুলাই) রাত ১১টায় একটি ফ্লাইটে দেশে এসেছে। এছাড়া রবিবার (১৮ জুলাই) রাত ৩টায় আরেকটি ফ্লাইটে আরো ১০ লাখ ডোজ টিকা পৌঁছাবে। প্রথম ফ্লাইটে আসা টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ ছাড়া আগামীকাল সোমবার ৩০ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা এবং কাছাকাছি সময়ে অক্সফোর্ডের ২৯ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার গতকাল সকালে এক টুইট বার্তায় জানান, যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো ৩০ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা উপহার দিচ্ছে।

বাংলাদেশে চীনের উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান গত শুক্রবার এক ফেসবুক বার্তায় জানান, চীন বাংলাদেশকে আরো ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গত বৃহস্পতিবার জানান, আগামী মাসের মধ্যে দেশে দুই কোটি ডোজ কভিড টিকা আসছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আসবে অক্সফোর্ডের ২৯ লাখ ডোজ টিকা। তিনি আরো জানান, জুলাই মাসের শেষ দিকে ৩০ লাখ ডোজ, আগস্ট মাসের শুরুতে কোভ্যাক্স থেকে ১০ লাখ ডোজ এবং আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে সাত কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, টিকার সংকট আপাতত কেটে গেছে। এখন সব মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে টিকা পায়, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। অক্সফোর্ডের টিকা দেশে এসে পৌঁছার পরপরই যাঁরা এই টিকার প্রথম ডোজ পেয়েও দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি, তাঁদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান জানান, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশে ফাইজার, সিনোফার্ম ও মডার্না মিলে মোট এক লাখ ৮২ হাজার ১৬ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মডার্নার টিকা ৪৭ হাজার ৮৮৮ ডোজ, সিনোফার্মের এক লাখ ৩১ হাজার ৭৯৭ ডোজ ও ফাইজারের দুই হাজার ৩৩১ ডোজ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন এক কোটি ৬০ লাখ এক হাজার ৩৩৪ জন। গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট চার ব্র্যান্ডের টিকা মিলে মোট ৬৬ লাখ ৩১ হাজার ১৩৪ জন প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৭ জন।

এদিকে গতকাল রাতে গাজীপুরের সিভিল সার্জন গণমাধ্যমকে জানান, গাজীপুরে নিবন্ধন ছাড়াই শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নেওয়া যাবে। নিবন্ধনের জটিলতা কাটিয়ে মানুষকে সহজে টিকা দেওয়ার জন্য এ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

জাতীয়

আর মাত্র দুই দিন পর ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর-বসিলা কোরবানির পশুর হাট। গতকাল পর্যন্ত এই হাটে কোরবানির পশু এসেছে সাত হাজারের বেশি। এর মধ্যে গরু প্রায় ছয় হাজার আর ছাগল এক হাজার। এর বাইরে ওই হাটে উট, মহিষ ও ভেড়াও দেখা গেছে। প্রথম দিনে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাসমাগম ছিল দেখার মতো। তবে গতকাল কোথাও জাল নোট, ছিনতাই কিংবা চুরির মতো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হাটে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।

গতকাল ছিল কোরবানির পশুর হাটের প্রথম দিন। শুরুর দিনেই বিপুল ক্রেতাসমাগমে জমে উঠেছে মোহাম্মদপুর-বসিলা পশুর হাট। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই হাট ঘুরে দেখা গেছে, বেলা যত গড়াচ্ছিল, তাল মিলিয়ে হাটে বাড়তে থাকে ক্রেতার ভিড়। শিশু ও বয়স্কদের হাটে নিয়ে আসা নিষেধ থাকলেও বেশির ভাগ ক্রেতা এসেছে সপরিবারে। আর কিছুক্ষণ পরপরই হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে আসা গরু ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছিল। গরু ব্যবসায়ীদের হাটে প্রবেশ করার কথা জীবাণুনাশক টানেল দিয়ে। অথচ হাটের প্রবেশপথে দেখা যায়নি টানেল। তবে মাইকে বিরতিহীন ঘোষণা করা হচ্ছিল স্বাস্থ্য সচেতনতার বিভিন্ন দিক। এসবে কাউকে কর্ণপাত করতে দেখা যায়নি।

মোহাম্মদপুর-বসিলা পশুর হাটের ইজারাদার আমজাদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি দুটি জীবাণুনাশক টানেল এনে রেখেছি। এখন তো সবাই হাটে গরু নিয়ে ঢুকতেছে, তাই সেগুলো বসাইনি। একটু পরেই প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল বসানো হবে।’

গতকাল এই হাটে দেশি জাতের ছোট আকারের গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে বিদেশি জাতের এবং দেশি-বিদেশি সংকর জাতের গরুর দাম আকারভেদে এক লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চাইতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে দেশি ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। আর গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দামও বেশি।

এ বছর হাটে ছাগলের চাহিদাও তুলনামূলকভাবে বেশি। গতকাল প্রতিটি ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাবনা থেকে ৫০০ ছাগল নিয়ে বসিলা হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী মনির। এরই মধ্যে তাঁর ১০০ ছাগল বিক্রি হয়ে গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তিনটি বুথ রয়েছে এই হাটে। বিচ্ছিন্নভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতেও দেখা গেছে। তবে হাটে গতকাল কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন র‌্যাব ২-এর কর্মকর্তা তপন চন্দ্র রায়।

উত্তরা-১৭ নম্বর সেক্টরে কোরবানির পশুর হাট : হাটে কোরবানির পর্যাপ্ত পশু থাকলেও প্রথম দিনে তেমন জমেনি উত্তরা-১৭ নম্বর সেক্টরের পশুর হাট। প্রথম দিনে উল্লেখযোগ্য বিক্রিও হয়নি বলে জানান বিক্রেতারা। ক্রেতাও ছিল কম। গতকাল এই হাটে যেসব কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে সেগুলোর বেশির ভাগ ছিল আকারে ছোট ও মাঝারি। দিনভর ওই হাট ঘুরে অন্তত ২৫টি গরু বিক্রি হতে দেখা গেছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। দু-একটি বিক্রি হয়েছে এক লাখ টাকার বেশি দামে।

কোরবানির পশু বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যাশিত বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। যেগুলো বিক্রি হচ্ছে তার বেশির ভাগই ছোট আকারের। ব্যবসায়ীরা এবার পশুর দাম নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় থাকলেও আশা করছেন আজ রবিবার থেকে সব ধরনের গরু বিক্রি বেড়ে যাবে।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতার বেশির ভাগের মুখে মাস্ক নেই। হাট কর্তৃপক্ষের ভলান্টিয়ার মাস্ক দিলেও প্রায় সবাই মুখে না লাগিয়ে থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছে।

জানতে চাইলে আজমল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কত আর মাস্ক পরন যায়! এই গরম এই বৃষ্টি! মাস্ক ময়লা হইয়া গেছে, তাই ফালাই দিছি। ভলান্টিয়ার আইলে দিবো, তখন আবার পরুম।’

জামালপুরের মেলান্দহ থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী হযরত আলী। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘দুই দিন হলো হাটে এসেছি। এই সময়ে তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে। এগুলো মাঝারি সাইজের। আশা করছি, বড়গুলা রবিবার বা সোমবার থেকে বিক্রি করতে পারব। এখন যাঁরা আসছেন তাঁদের বেশির ভাগ দরদাম দেখতে আসছেন।’ কোরবানির পশু কিনতে হাটে এসেছেন খিলক্ষেতের জুবায়ের আলী। কী ধরনের গরু কিনবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এক লাখ টাকার কাছাকাছি দামে একটা গরু কিনব। ঠিকঠাকমতো পেলে আজই (গতকাল) কিনব, না হলে পরে আবার আসতে হবে।’

তুরাগ এলাকা থেকে আসা ক্রেতা মহসিন মিয়া বলেন, ‘৬৫ হাজার টাকা দিয়া একটা ছোট ষাঁড় কিনছি। প্রথম দিনেই কিনলাম। পরে ভিড় বাড়বে। ঝামেলা কমাতে আগেভাগেই কিনে রাখলাম।’ হাটের ইজারাদার নূর হোসেন বলেন, প্রথম দিন ক্রেতারা তেমন আসেনি। ফলে বিক্রি কম। তবে কাল থেকে হাট জমে যাবে।

এ বছর ঢাকার দুই সিটিতে মোট ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে।

জাতীয়

টানা পঞ্চম দিনের মত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে, তবে পাঁচ দিন পর মৃত্যু নেমে এসেছে দুইশর নিচে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় ৪২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৮৭ জনের।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জনে। তাদের মধ্যে ১৭ হাজার ৪৬৫ জনের প্রাণ গেছে করোনাভাইরাসে।

ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে গত ১২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মত এক দিনে ১৩ হাজারের বেশি নতুন রোগী ধরা পড়ে। সেদিন থেকে টানা পাঁচদিন হল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি থাকছে।

আর ১১ জুলাই এক দিনে রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন থেকে টানা পাঁচদিন দৈনিক মৃত্যু ছিল দুইশর বেশি। শুক্রবার তা কমার খবর এল।

আগের দিন বৃহ্স্পতিবার ১২ হাজার ২৩৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল; মৃত্যু হয়েছিল ২২৬ জনের। সেই হিসাবে শুক্রবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু দুটোই কমেছে।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে আরও ৮ হাজার ৫৩৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন।

গত এক দিনে কেবল ঢাকা বিভাগেই ৪৯৪৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৪০ শতাংশের বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগে রোগী শনাক্ত ২৩৩০ জন।

যে ১৮৭ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৬৮ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। খুলনা বিভাগে ৩৯ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত ৯ জুলাই দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ পেরিয়ে যায়, আর ১৪ জুলাই মোট মৃত্যু ছাড়ায় ১৭ হাজার।

বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৮ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে। আর ৪০ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ মহামারীতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬২৭টি ল্যাবে ৪১ হাজার ৯৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৭টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা আগের দিন ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ ছিল।

দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৩৬শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় ৩ হাজার ৩৩৭ জন, ফরিদপুরে ১৪৭ জন, গাজীপুরে ২৪৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ১০৯ জন, নারায়ণগঞ্জে ২৪৭ জন, নরসিংদীতে ১৪১ জন, রাজবাড়ীতে ১৫৮ জন, শরীয়তপুরে ১০৯ জন এবং টাঙ্গাইল জেলায় ১৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৮০২ জন, কক্সবাজারে ২১৮, ফেনীতে ১৫৬ জন, নোয়াখালীতে ১৬৩ জন, চাঁদপুরে ১১৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৪৪ জন এবং কুমিল্লায় ৫২২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ২৭০ জন, পাবনায় ২৩০ জন, সিরাজগঞ্জে ১৪৫ জন এবং বগুড়ায় ১৮০ জন নতুন রোগী মিলেছে।

খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ১১০ জন, যশোরে ২৩৪ জন, ঝিনাইদহে ২৩৬ জন, খুলনায় ৩৪৮ জন এবং কুষ্টিয়ায় ২০৩ জনের মধ্যে ধরা পড়েছে সংক্রমণ।

এছাড়া অন্য বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বরিশালে ১৮৬ জন, ঝালকাঠিতে ১০৪ জন, ময়মনসিংহে ২৩২ জন, নেত্রকোনায় ১১০ জন, সিলেটে ২৮৩ জন, হবিগঞ্জে ১২০ জন এবং মৌলভীবাজারে ১১৩ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে গত এক দিনে।

গত এক দিনে ঢাকা বিভাগে যে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪২ জন ঢাকা জেলার। আর খুলনা বিভাগে মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে ১২ জন খুলনা এবং ১১ জন কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা যাওয়া ৪২ জনের মধ্যে ১৭ জন কুমিল্লা জেলার।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।

মৃত ২২৬ জনের মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ১০০ বছরের বেশি। আর ১১৯ জনেরই বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৪৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

তাদের ১৪০ জন ছিলেন পুরুষ, ৮৬ জন ছিলেন নারী। ১৬৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২০ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জাতীয়

গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস আজ। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে সেনাসমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ধানমন্ডিস্থ সুধা সদনের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে শেখ হাসিনার নামে একাধিক মামলা দেওয়া হয়। গ্রেফতারের পর তাকে পুলিশের একটি জিপে করে ঢাকার সিএমএম আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতির মুখেও দলের নিবেদিত কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আদালত প্রাঙ্গণে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখতে সমবেত হন হাজারো কর্মী-সমর্থক।

আওয়ামী লীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেদিন ভোরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বন্দি অবস্থায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে।

তৎকালীন অবৈধ ও অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জামিন আবেদন আইনবহির্ভূতভাবে নামঞ্জুর করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় তত্কালীন অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তত্কালীন অবৈধ সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। গ্রেফতার পূর্ব মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনার সেই কারাবরণ

শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জেগে উঠলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্র মারাত্মক প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হারানো স্বপ্ন ও সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে। সব বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্ব দরবারেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল জনগণের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি এক বিবৃতিতে যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পরম করুণাময়ের কাছে দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

জাতীয়

এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য কমলেও টানা পঞ্চম দিনের মত দুইশর বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রায় ৪৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ২৩৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ২২৬ জনের।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৪ জনে। তাদের মধ্যে ১৭ হাজার ২৭৮ জনের প্রাণ গেছে করোনাভাইরাসে।

ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে গত ১২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মত এক দিনে ১৩ হাজারের বেশি নতুন রোগী ধরা পড়ে। সেদিন থেকে টানা চারদিন ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি থাকছে।

আর ১১ জুলাই এক দিনে রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন থেকে টানা পাঁচদিন ধরে দৈনিক মৃত্যু থাকছে দুইশর উপরে।

আগের দিন বুধবার ১২ হাজার ৩৮৩ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল; মৃত্যু হয়েছিল ২১০ জনের। সেই হিসাবে বৃহস্পতিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও বেড়ে গেছে মৃত্যু।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত ৯ জুলাই দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ পেরিয়ে যায়, আর ১৪ জুলাই মোট মৃত্যু ছাড়ায় ১৭ হাজার।

গত এক দিনে কেবল ঢাকা বিভাগেই ৫২৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৪২ শতাংশের বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগে রোগী শনাক্ত ২০৪৭ জন।

আর যে ২২৬ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৭৪ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। খুলনা বিভাগে ৫২ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সরকারি হিসাবে গত এক দিনে আরও ৮ হাজার ৩৯৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৫ হাজার ৮০৭ জন।

বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ছাড়িয়েছে। আর ৪০ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ মহামারীতে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬২৭টি ল্যাবে ৪৪ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২০টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, আগেরদিন যা ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ ছিল।

দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলায় ৩ হাজার ৭৩২ জন, ফরিদপুরে ১৬৬ জন, গাজীপুরে ২৫২ জন, নারায়ণগঞ্জে ২৯০ জন, টাঙ্গাইল জেলায় ২৭৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৭৬৮ জন, ফেনীতে ১৫৭ জন, নোয়াখালীতে ১৯৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮২ জন এবং কুমিল্লায় ৫৪৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

রাজশাহী বিভাগের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ২৮০ জন, নাটোরে ১৭৬ জন, পাবনায় ৩৩৫ জন, সিরাজগঞ্জে ১৭৯ জন এবং বগুড়ায় ১৭৬ জন নতুন রোগী মিলেছে।

খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ১৩১ জন, যশোরে ২৯৮ জন, খুলনায় ৪৫৯ জন এবং কুষ্টিয়ায় ২৭৩ জন জনের মধ্যে ধরা পড়েছে সংক্রমণ।

এছাড়া অন্য বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে বরিশালে ১৯২ জন, ময়মনসিংহে ২৬৩ জন, নেত্রকোনায় ১০১ জন এবং সিলেটে ২৮৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে গত এক দিনে।

গত এক দিনে ঢাকা বিভাগে যে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪২ জন ঢাকা জেলার। আর খুলনা বিভাগে মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে ১২ জন খুলনা এবং ১১ জন কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা যাওয়া ৪২ জনের মধ্যে ১৭ জন কুমিল্লা জেলার।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।

মৃত ২২৬ জনের মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ১০০ বছরের বেশি। আর ১১৯ জনেরই বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৪৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

তাদের ১৪০ জন ছিলেন পুরুষ, ৮৬ জন ছিলেন নারী। ১৬৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২০ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জাতীয়

নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ে বোমা হামলার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য আসাদুজ্জামান পনিরের (৩৭) ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার কানাইকরস্থানের ফজলুল হক চৌধুরীর ছেলে।

কাশিমপুর কারাগারের জেলার দেব দুলাল কর্মকার বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসাদুজ্জামানের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ পাহারায় স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে রওনা হয়েছেন।

জেএমবি সদস্য পনিরের ফাঁসি কার্যকর

আসাদুজ্জামান পনিরের ফাঁসি কার্যকর হয় জল্লাদ শাহজাহানের হাতে। মৃত্যু নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডাক্তার আশিফ রহমান ইভান। এ সময় ঢাকা বিভাগীয় কারা উপ-মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাসরীন সুলতানা, সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুজ্জামান এবং পুলিশ কমিশনারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় জেএমবির সক্রিয় সদস্য হিসেবে বোমা বিস্ফোরণে সহযোগিতা করে আসাদুজ্জামান পনির। ওই বোমা হামলায় ৮ জন নিহত এবং অনেক লোক আহত হন। এ ঘটনায় জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনির ওরফে আসাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে নেত্রকোনা থানায় মামলা নং- ০৮(১২)২০০৫ ধারা-১২০ বি/৩০২/৩৪/১০৯, আদালত ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আদালতের আদেশে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেএমবি সদস্য আসাদুজ্জামান পনিরকে বৃহস্পতিবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হলো।

কারাগার সূত্রে আরও জানা গেছে, নেত্রকোনা থানায় করা একটি মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা ছিল। নেত্রকোনা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় তার ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এছাড়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় তাকে আরও মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।