জাতীয়

দেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল থেকে পবিত্র জিলহজ্জ শুরু এবং আগামী ২১ জুলাই (১০ জিলহজ্জ) সারাদেশে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদ দেখা গেছে। তবে

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে চাঁদ দেখা গেছে। এছাড়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটিও এ ঘোষণা দিয়েছেন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সভাপতি হিসেবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, পবিত্র জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আজ ২৯ জিলকদ ১৪৪২ হিজরি, ২৭ আষাঢ় ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ১১ জুলাই ২০২১ খ্রি. রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।

এমতাবস্থায়, আগামীকাল ২৮ আষাঢ় ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ১২ জুলাই ২০২১ খ্রি. সোমবার থেকে পবিত্র জিলহজ্জ মাস মাস গণনা শুরু হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১০ জিলহজ্জ ১৪৪২ হিজরী, ৬ শ্রাবণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ২১ জুলাই ২০২১ বুধবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমানসহ অন্য বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১১ হাজার ৮৭৪ জনের করোনা শনাক্ত। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে। আজ রবিবার (১১ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪১৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৩৬২ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন আট লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।

জাতীয়

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তবে শহরের তুলনায় সংক্রমণ এখন গ্রামাঞ্চলেই বেশি ছড়িয়ে পড়ছে।

আর গ্রামের মানুষ করোনা ভাইরাসকে স্বাভাবিক ভাবছে জ্বর-সর্দি।

রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আয়োজনে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, রোগীর পরিস্থিতি জটিল হলেই হাসপাতালে আসছেন, কিন্তু ততক্ষণে আর চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকছে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামের লোকজনের এক পর্যায়ে যখন শ্বাসকষ্ট একদম বেড়ে যায়, তখন তারা হাসপাতালে ছুটে আসে। কিন্তু তখন তাদের ফুসফুসের প্রায় ৭০ শতাংশের মতো আক্রান্ত হয়ে গেছে। তাদের অক্সিজেন নেমে গেছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশে, কিন্তু তখন আর চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তখন আর তাদের ফিরিয়ে আনতে পারে না।

‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে পারিবারিক কলহ ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে। এ সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি একটু কমেছে। মানুষ ক্লিনিক ও হাসপাতালে আসতে ভয় পায়। অভিভাবকরা কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছে। হোম ডেলিভারি বা ঘরে প্রসবটাই বেড়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার যাতে বেড়ে না যায় আমাদের সেই চেষ্টা ছিল। ’

তিনি বলেন, করোনার সময় ঘরে ডেলিভারি বেড়েছে এটা একটা বিষয়, আর দরিদ্র পরিবারে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। পারিবারিক কলহও এই কারোনার সময়ে বেড়েছে। পৃথিবীর সর্বত্রই এটি দেখা গেছে। নারী নির্যাতন বলেন, আর শিশুদের প্রতি অবহেলা, করোনার সময় বিশ্বজুড়েই এটা বেড়েছে।

দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল, এখন সেটা এক দশমিক ৩ শতাংশ। অনেক কমেছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকরণ ব্যবহারের হার আগে ছিল ৮ শতাংশ। এটা এখন প্রায় ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা আমরা আরও বেশি আশা করি। এই করোনার মধ্যেও আমাদের কর্মীরা বিতরণের কাজটি অব্যাহত রেখেছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সেরা প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডও ঘোষণা করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার কল্যাণ অধিদফতরের ডিজি শাহান আরা বানুসহ অন্য কর্মকর্তারা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।

জাতীয়

দেশের সব সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজ ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপের মতো মাধ্যমসহ ভার্চ্যুয়ালি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রোববার (১১ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজ ভার্চ্যুয়ালি করার নির্দেশনা দিয়ে সব সিনিয়র সচিব/সচিবদের চিঠি দিয়েছে

এতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বিস্তার রোধে আরোপিত বিধি-নিষেধ সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দেশের বর্তমান এ পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম হিসেবে সব জরুরি অফিস ও বেসা কার্যক্রম চালু রয়েছে। এক্ষণে সব সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজ ভার্চ্যুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

করোনা মহামারির কারণে গত ১ জুলাই থেকে সরকারি বিধি-নিষেধে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহনসহ শপিংমল। মানুষের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়

রুপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজে ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার চার  ছেলেসহ ৮ শীর্ষ কর্মকর্তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

কোর্ট ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার বিকেল  সোয়া পাঁচটায় তাদের নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে হাজির করে রুপগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানী শেষে আদালত আসামি পক্ষের জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করে আসামিদের চারদিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলার আসামিরা হচ্ছে – সজীব গ্রুপের  চেয়ারম্যান ও এমডি আবুল হাসেম, আবুল হাসেমের চার ছেলে  ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাসিব বিন হাসেম (সজিব), ডিরেক্টর তারেক ইব্রাহীম (সতেজ), ডিরেক্টর তাওসিফ ইব্রাহীম (শীতল), ডিরেক্টর তানজিম ইব্রাহীম, কোম্পানীর সি ও শাহান শাহ আজাদ, ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও এডমিন প্রধান সালাউদ্দিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় রুপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকান্ডে ৫২ জন নিহত ও আহত হয় অর্ধশতাধিক।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৫ জন মারা গেছেন। গতকাল  রেকর্ডসংখ্যক ২১২ জন মারা গিয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১৭ জন কম মারা গেছেন। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২১ ও নারী ৬৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৮৯ জনে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৭২ জন।

করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত ৭ জুলাই থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৩৭৫ জন, ৭০ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং নারী ৪ হাজার ৮১৪ জন, ২৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়,  শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ১ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫১ জন এবং ষাটোর্ধ ৯২ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৫১ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ১১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪৪ জন সরকারি, ২৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে, ১২ জন বাসায় মারা গেছেন আর ১ জনকে মৃতাবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, শনাক্ত বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, সুস্থতা বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং মৃত্যু বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ২৭ হাজার ৮৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ হাজার ৭৭২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৩৬ হাজার ৫৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ হাজার ৩২৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ১১ হাজার ৭১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৬ জন। ঢাকায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

গতকাল ১০ হাজার ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৬৩ জন, যা ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৩১ জন, গতকাল মারা যায় ২২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৫ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৬ হাজার ৩৮ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২৮৩ জন কম সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ০১ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৮ শতাংশ কম।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৬ হাজার ২৩১ জনের।

আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৩৯ হাজার ২০৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১২ হাজার ৯৭৮টি নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৮৮৪ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৫৮৬ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৮ হাজার ৭০২টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

দেশের বহুতল ভবন, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ফলে ছোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোও সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এতে বড় বিপর্যয় ঘটছে। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকারী সংস্থা ফায়ার সার্ভিসের জরিপ বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এমন তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, ৯০ দশমিক ৩৫ শতাংশ স্থাপনা অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

উল্লিখিত পরিসংখ্যান দেশের ভঙ্গুর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি উদাহরণ বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকির অভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কলকারখানায় নিয়মিত মেজার টেস্ট ও ফায়ার ড্রিল না হওয়া এবং স্প্রিংকলার সিস্টেম না থাকার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা, যাচ্ছে প্রাণ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বলছে, অগ্নিনিরাপত্তা ও অগ্নিঝুঁকি মোকাবিলার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় নিয়মিত জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও সন্তোষজনক-এই তিন ক্যাটাগরিতে তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করেন। এক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ক ব্যবস্থাদির ২২ ধরনের তথ্য নেওয়া হয়। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৫ হাজার ২৫০টি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাকে এ জরিপ কার্যক্রমের আওতায় এনেছেন তারা। যেখানে মাত্র ৫০২টি স্থাপনকে ‘সন্তোষজনক’ বলা হয়েছে। যা মোটের ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৩ হাজার ৫১৮ স্থাপনাকে। জরিপে আসা মোট ভবনের মধ্যে যা ৬৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই জরিপে অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে ১ হাজার ১৮৭টি। শতকরা হিসাবে যা ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ফায়ার সেফটি ও আশপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে আমরা স্থাপনাগুলো তিন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করি। এক্ষেত্রে আমাদের একটি চেকলিস্ট রয়েছে সেগুলো দেখে এটি নিশ্চিত করা হয়। যারা অতি ঝুঁকিপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমরা গুলশান শপিং কমপ্লেক্সকে ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করে সিটি করপোরেশন ও পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়ে দিয়েছি। যেহেতু সিটি করপোরেশনের মধ্যে এটি তাই তাদের সুপারিশ করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ৬টি ক্যাটাগরির মোট ৫ হাজার ২০৭টি স্থাপনার জরিপ করে। এর মধ্যে রয়েছে-শপিংমল-মার্কেট, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, হাসপাতাল-ক্লিনিক, আবাসিক হোটেল ও মিডিয়া সেন্টার। এই জরিপে দেখা যায়, ১ হাজার ৫৯৫টি শপিংমল ও মার্কেটের মধ্যে মাত্র ২৪টির অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক। আর ঝুঁকিপূর্ণ ৮৯৭টি ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৬৭৪। ১ হাজার ৫২৭টি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি সন্তোষজনক, ১ হাজার ৭২টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩৩৬টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ৮০৫টি ব্যাংকের মধ্যে ২০১টি সন্তোষজনক, ৫৯৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১১টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ৬৯৯টি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মধ্যে ৬৩টি সন্তোষজনক, ৫০২টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৩৪টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ৫৩৩টি আবাসিক হোটেলের মধ্যে ৭১টি সন্তোষজনক, ৪৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৯টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ। ৪৮টি মিডিয়া সেন্টারের মধ্যে ২৪টি সন্তোষজনক ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ।

জানতে চাইলে ঢাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের উল্লিখিত জরিপে দেশের ভঙ্গুর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার এক ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এটি আশঙ্কাজনক। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৩ মাসে বহুতল ভবনে ‘ফায়ার ড্রিল’ (অগ্নিনির্বাপণ ও সচেতনতা মহড়া) হওয়ার কথা। কিন্তু তা নিয়মিত হচ্ছে না। ইন্ডাস্ট্রিতে স্প্রিংকলার সিস্টেম থাকার কথা, তাও অধিকাংশের নেই। এই ব্যবস্থায় পানির পাইপগুলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রার পর ফেটে গিয়ে পানি বের হতে থাকে এবং ফায়ার অ্যালার্ম বাজে। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। উন্নত বিশ্বে অধিকাংশ অগ্নিদুর্ঘটনা এই ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া অন্তত ৫ বছর পর পর মেজার টেস্ট করার কথা। যার মাধ্যমে ওই ভবনের বৈদ্যুতিক তারগুলোর অগ্নিপ্রতিরোধক সক্ষমতা দেখা হয়। এছাড়া অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট রাখার কথা। যা থেকে জরুরি পানি সরবরাহ করা যায়। যখন ফায়ার সার্ভিস থেকে লাইসেন্স দেওয়া হয় তখনও এই বিষয়গুলো নিশ্চিতের কথা বলা থাকে। কিন্তু পরে দেখা যায়, এগুলো সঠিকভাবে তদারকি হচ্ছে না। ফলে ভবনের অগ্নিঝুঁকি বাড়ছে।

জরিপ নিয়ে কথা হয় ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ অ্যান্ড ফায়ার প্রিভেনশনের সহকারী পরিচালক মনির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, অগ্নিঝুঁকি নিরূপণের ক্ষেত্রে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আমরা বিবেচনাই নেই। অতি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে যেখানে কেমিক্যাল বেশি থাকে, মানুষ বেশি থাকে, দাহ্য বস্তু বেশি থাকে, মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে যেতে পারে এবং পর্যান্ত অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা নেই-এমন অবস্থা যদি থাকে সেটাকে চিহ্নিত করি। নারায়ণগঞ্জের যে হাসেম ফুড ফ্যাক্টরি সেটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আর সন্তোষজনক বলা হয়, যদি সেখানে স্প্রিংকলার সিস্টেম থাকে, ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ২৩ মিটার পর পর সিঁড়ি, ফায়ার হাইড্রেন্ট থাকে, ওয়েল ট্রেইনড জনবলসহ পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকে তাহলে সেটাকেই আমরা সন্তোষজনক অবস্থা বলি। বাংলাদেশে যমুনা ফিউচার পার্ক এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্প্রিংকলার থাকলে সেখানে শুধু দরকার ছিল পানি। এটি এমন একটি ব্যবস্থাপনা যেখানে প্রতি ১০ মিটার পর পর একটি ছোট চিকন একটি নজল থাকবে। আগুন লাগলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি নিভে যাবে। ফায়ার সার্ভিসও লাগবে না, মালিকও লাগবে না। জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কাতারসহ উন্নত বিশ্বে সাধারণ হোটেলেও তারা স্প্রিংকলার সিস্টেম স্থাপন করে রাখে। কারণ যাতে মানুষও মারা না যায়, সম্পদও রক্ষা হয়। ডিটেক্টর সিস্টেম স্থাপন। যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম বা সাইরেন বাজবে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের আইনে ছয়তলার উপরে হলে কোনো ভবনে আমরা বহুতল ভবন বলি। এখন সেটা আবাসিক হোক বা ইন্ডাস্ট্রি হোক। এসব ভবনে ফায়ার সেফটি প্ল্যান লাগবে, ইক্যুইপমেন্টগুলো স্থাপন করতে হবে।

২২ ধরনের তথ্য : বহুতল বাণ্যিজ্যিক ভবন পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ক ২২ ধরনের তথ্য নেয়। সেগুলো হলো-ভবন সংশ্লিষ্ট রাস্তা, ভূগর্ভস্থ জলাধারের আয়তন ও ধারণক্ষমতা (স্প্রিংকলার ও রাইজার উভয়ই থাকলে শুধু স্প্রিংকলারের পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে), ভূগর্ভস্থ জলাধার ব্যতীত নিকটস্থ পানির উৎসের (পুকুর/নদী-নালা/খাল), ফায়ার ব্রিগেড কানেকশন ও ইন্টারনাল হাইড্রেন্ট সংক্রান্ত তথ্য, পাম্প, রাইজার ও স্প্রিংকলার সংক্রান্ত তথ্য, সিঁড়ি সংক্রান্ত তথ্য, লিফট সংক্রান্ত তথ্য, ডিটেকশন ব্যবস্থার বিবরণ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন সংক্রান্ত তথ্য, জেনারেটর সংক্রান্ত তথ্য, বয়লার ও জেনারেটর সংক্রান্ত তথ্য, ভবনের ছাদে লাইটনিং প্রটেকশন সিস্টেম স্থাপন বিষয়ক তথ্য, রেজিস্টারসমূহ সংরক্ষণ বিষয়ক তথ্য। আরও রয়েছে অভ্যন্তরীণ সাজসরঞ্জামাদি, ফ্লোর সংযোজন সংক্রান্ত, ভবনের উচ্চতা ২৬ মিটার বা ৮ম তলার উর্ধ্বে হলে জরুরি নির্গমন সিঁড়ি এলাকায় তাপ, ধোঁয়া ও আগুনমুক্ত রিফিউজ এরিয়া তথ্য, ভবনের ছাদ নিয়ে বিস্তারিত, বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন বিষয়ক তথ্য, অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে প্রশিক্ষিত জনবল ও ভবন ব্যবহারকারীদের সমন্বয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সম্পর্কীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

জাতীয়

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন করে আরও ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ৮ হাজার নার্স নিয়োগের প্রস্তাবনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে ১২ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে ৪ হাজার চিকিত্সক কোন বিসিএস থেকে নেওয়া হবে—সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চলমান ৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে চিকিৎসক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।

পিএসসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্ত্রণালয় থেকে এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাবনা আসেনি। চিকিৎসক নিয়োগের চাহিদাপত্র পেলে কমিশন সভা করে সিদ্ধান্ত নেবে পিএসসি। তবে নতুন করে চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বিসিএস গ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই। চলমান বিশেষ ৪২তম বিসিএস অথবা ৩৯তম বিসিএস থেকে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া সহজ হবে।

গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের ডাক্তার-নার্সরা গত দেড় বছর ধরে দিনরাত কাজ করছেন। অনেকেই মৃত্যুবরণ করছেন। তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় করোনাকালে আরও নতুন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করা হবে।

সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী আরও ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য পিএসসিকে চাহিদাপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও পাঠানো হবে। ঐ সভায় চিকিৎসকদের মতো ৮ হাজার নার্স নিয়োগের জন্যও পিএসসি ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালগুলোতে পদ থাকা সত্ত্বেও প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পদে কোনো চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়নি। এর আগে ২০১৯ সালে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে প্রথম ধাপে সাড়ে ৪ হাজার এবং ২০২০ সালে মে মাসে আরও অতিরিক্ত দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।

এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবং চলমান কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া ৩৯তম বিসিএসে অপেক্ষমাণদের নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণি পদে নিয়োগের সুপারিশ সম্পন্ন করেছে পিএসসি।

এদিকে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ৪২তম বিশেষ বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশিত হলে সাড়ে ৩১ হাজার আবেদন পত্র জমা পড়ে। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রিলিতে ৬ হাজার ২২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। গত ৬ জুন মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গত ২৪ জুন পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরীক্ষার্থীরা বলছেন, বর্তমানে ৪২তম বিসিএস চলমান এবং অর্ধেকের বেশি পরীক্ষার্থীর ভাইভা হয়ে গেছে, এই অবস্থায় ৪২তম বিসিএস থেকেই দ্রুততম সময়ে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হোক।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এনিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ হাজার ৫৯৩ জনে। গত ১১ দিন ধরে করোনায় শতাধিক মৃত্যু দেখছে বাংলাদেশ।

বুধবার (৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ হাজার ১৬২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ১৪৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৩৯টি নমুনা। যেখানে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯৮৭ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার ৪০২ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ২০১ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ ১১৫ জন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৪ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছে।

করোনায় প্রথমবার দুই শতাধিক মৃত্যু, শনাক্ত ১১ হাজার ছাড়িয়ে

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন ও মহিলা ৮২ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ১২ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১ জনের মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৬ জন, ঢাকায় ৫৮ জন, রাজশাহীতে ১৮ জন, রংপুরে ১৪ জন, চট্টগ্রামে ২১ জন, ময়মনসিংহে ৮ জন, সিলেটে ৯ জন, বরিশালে ৭ জন মারা গেছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

জাতীয়

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে আট ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট সূচকে এ তথ্য জানা যায়। গ্লোবাল সিটিজেনশিপ এবং রেসিডেন্সি পরামর্শক লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করে। ভিসা ছাড়া কোন পাসপোর্ট দিয়ে কতটি দেশে ভ্রমণ করা যায় তার ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে সংগৃহীত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ভ্রমণ তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করা হয়। ২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৮। চলতি বছর সেই অবস্থান থেকে আরো আট ধাপ নেমে বাংলাদেশ ১০৬ নম্বরে চলে এসেছে। বর্তমান সূচক অনুযায়ী আগাম ভিসা ছাড়া ৪১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা। তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গী হিসেবে রয়েছে লেবানন ও সুদান।

দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ নেপাল ১০৯, পাকিস্তান ১১৩ ও আফগানিস্তান ১১৬তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এশিয়ার তিন দেশ। প্রথম অবস্থানে রয়েছে জাপান, দ্বিতীয়তে সিঙ্গাপুর এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়া অথবা অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা যায়। দেশগুলো হলো—এশিয়া মহাদেশের ছয়টি দেশ ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও তিমুর। আফ্রিকা মহাদেশের ১৬টি দেশ—কেপ ভার্দ দ্বীপপুঞ্জ, কমোরোস দ্বীপপুঞ্জ, গাম্বিয়া, গিনি বিসাউ, কেনিয়া, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সিসিলি, সিয়েরা লিয়ন, সোমালিয়া, টোগো ও উগান্ডা।

ওশেনিয়ার সাতটি দেশ—কুক আইল্যান্ডস, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নিউই, সামাউ, টুভালু ও ভানুয়াতু। ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১১টি দেশ— বাহামা, বার্বাডোজ, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডস, ডোমেনিকা, গ্রানাডা, হাইতি, জ্যামাইকা, মন্ডসেরাত, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডিন্স ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো। আমেরিকার মাত্র একটি দেশ বলিভিয়া।