জাতীয়

সিলেটের জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স।

নতুন এ গ্যাসক্ষেত্রটি উপজেলার আনন্দপুরগ্রামে অবস্থিত।

বাপেক্সের প্রকল্প পরিচালক কবির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে প্রাথমিকভাবে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সকাল সোয়া ১০টায় ড্রিল স্টিম টেস্ট (ডিএসটি) করা হয়েছে। এরপর সৌভাগ্য শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কূপের গভীর অভ্যন্তরে চাপ আছে ৬ হাজার পিএসআই। আর ফ্লটিং চাপ প্রায় ১৩ হাজারের অধিক। এ কূপের চারটি স্তর রয়েছে। প্রথম স্তরের পরীক্ষা চলমান। দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাপ পাওয়া গেছে বলে কবির আহমেদ জানান।

বাপেক্সের এ প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, আগামী দুদিন আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবে। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে কী পরিমাণ গ্যাস আছে, কী পরিমাণ উত্তোলন করা যাবে।

জাতীয়

দেশে সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদ শূন্য রয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্যসংক্রান্ত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস, ২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

তবে এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি পদ শূন্য। এতে প্রায় দুই লাখ পদ শূন্য রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে মোট অনুমোদিত পদ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে কর্মরত ১৫ লাখ ৪ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে নারী ৪ লাখ ১৪ হাজার ৪১২ জন।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, শূন্য পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির পদ ৪৬ হাজার ৬০৩টি, দ্বিতীয় শ্রেণির পদ ৩৯ হাজার ২৮টি, তৃতীয় শ্রেণির পদ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯০২টি এবং চতুর্থ শ্রেণির পদ ৯৯ হাজার ৪২২টি।

২০২০ সালের জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিসংখ্যান নিয়ে ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস, ২০২০’ বইটি রচিত হয়েছে। প্রতিবেদনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যও রয়েছে।

এদিকে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার অধীনে ৫৯২টি প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পের মোট জনবল ৪৭ হাজার ৩২৩ জন।

এছাড়া পাঁচ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ১০টি চলমান প্রকল্পে মোট জনবল ৯০০ জন কর্মরত রয়েছেন।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ৪৬৩তম দিনে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৪ জন। একই সময়ে নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০ এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৪ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩৯ ও নারী ১৫ জন।

গতকালের চেয়ে আজ ৭ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৪৭ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা মহামারিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩ হাজার ১৭২ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত ১১ জুন থেকে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বিদ্যমান।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৪ জন এবং ষাটোর্ধ বয়সী ২৭ জন রয়েছেন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন করে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, খুলনা বিভােেগ ৭ জন, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে এবং রংপুর বিভাগে ৫ জন রয়েছেন।

আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৮ হাজার ৭৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৮ হাজার ৭৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৩৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯৭২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ বিদ্যমান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৪ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ২৪২ জন। গতকালে চেয়ে আজ ৩২৩ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩০ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৩ শতাংশ কম।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২১ হাজার ৯১৪ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৮ হাজার ৪৭৩ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৩ হাজার ৪৪১টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৬০২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৭৪৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৮৫৩টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

করোনায় নাকাল বিশ্ববাসী।কোভিড-১৯ ভাইসারের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।করোনায় আক্রান্ত হলে ফুসফুস, শ্বসনতন্ত্র, হৃদযন্ত্র এমনকি মস্তিষ্ককেও প্রভাব পড়ে। আক্রান্তদের স্বাদ,গন্ধ চলে যায়। দেখা দেয় ক্ষুধা মন্দা।

করোনায় আক্রান্ত হলে অনেকেই মনোবল হারিয়ে ফেলেন। তবে করোনায় আক্রান্ত হলে সবচেয়ে জরুরি হলো নিজের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব রাখা।এছাড়া আক্রান্তের পর শরীরকে সারিয়ে তুলতে খেতে হবে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার। জেনে নিন করোনা আক্রান্ত হলে যা খাবেন।

প্রোটিন শরীরের পেশি, কোষকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ইমিউনিটি বাড়ায়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাই বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।করোনা আক্রান্ত হলে শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১ গ্রাম করে প্রোটিন প্রতিদিন খাওয়া উচিত। এ সময় প্রয়োজনীয় প্রোটিন পেতে ডায়েটে রাখুন চিকেন স্যুপ,চিজ, পনির, ছানা, দই,মিষ্টির মতো দুধের তৈরি খাবার, স্যালাড, সয়াবিন, মুসুর ডাল, মাছ ও মাংস।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে ক্যালোরির দিকে নজর রাখা জরুরি। অনেকেই ফিট থাকতে গিয়ে প্রতিদিনের ক্যালোরি পেয়ে গ্রহণ করেন, তবে করোনায় আক্রান্তদের বেশি করে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। এই সময় হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের জন্য বেশি করে ক্যালোরি গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময় পাতে রাখুন ভুট্টা, ভাত, আলু, রুটি এবং পাস্তা জাতীয় খাবার, বাদাম, ফল ও ড্রাই ফ্রুটস।

করোনায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে।ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে চিকিৎসকরা এ সময় মাল্টি ভিটামিনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। ওষুধ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য থেকে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি মেটানো উচিত। এই সময় ভিটামিন সি-র জন্য কমলা লেবু, আম, আনারস ও আঙুরসহ তাজা ফল খেতে হবে।

করোনা আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। খেতে হবে তরল খাবার। পানির পাশাপাশি ফলের রস, গরম চা পানেরও পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

জাতীয়

রাজশাহীর পাশাপাশি ঢাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দেশে গত এক দিনে আরও ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ২ হাজার ৪৩৬ জনের মধ্যে।

এক দিনে মৃত্যুর ওই সংখ্যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষে গত ৯ মে দেশে এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল; সেদিন করোনাভাইরাসে ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ২৬ হাজার ৯২২ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ১১৮ জন।

সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ২৪২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৬ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে সময় টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৭ কোটি ৫৬ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৭ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি মানুষের।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর সংক্রমণের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঢাকার পরিস্থিতিই সবচেয়ে খারাপ ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটায় রাজশাহী ও খুলনার ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। শনিবার ঢাকাতেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, গত এক দিনে ঢাকা বিভাগে যেখানে ৬৬৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেখানে রাজশাহী বিভাগে পাওয়া গেছে ৬৬৮ জন নতুন রোগী। খুলনায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৬০৬ জনের মধ্যে।

একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫২৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এই সময়ে রাজশাহী জেলায় ৩৬৮ জন, যশোর জেলায় ১৪৫ জন এবং খুলনা জেলায় ১১৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১২টি ল্যাবে ১৮ হাজার ৪৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ১১২টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪১১টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬ লাখ ৭১ হাজার ৭০১টি।

ঢাকা বিভাগে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৮ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৩৭ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, ১৫ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন, ৯ জন ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা।

এছাড়া ৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৮ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

তাদের ৩২ জন পুরুষ আর নারী ১৫ জন। ৪২ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২ জন।

তাদের মধ্যে ২৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

জাতীয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়েম খান ওরফে সামিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক আফসার আহম্মদ।

তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতে চারজনকে অব্যাহতির আবেদন করে তদন্ত সংস্থা। তারা হলেন- লেখক মুশতাক আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করেন। পরদিন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ১৩ জানুয়ারি এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদ। প্রমাণ না পাওয়ায় এজাহারভুক্ত আট আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ। তারা হলেন- মিনহাজ মান্নান, তাসনিম খলিল, সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়েম খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।

২০২০ সালের ৫ মে র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে একটি ফেসবুক পেজে আসামিরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন জুলকারনাইন এবং কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, মুশতাক আহমেদ।

এজাহারে আরও বলা হয়, তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা ভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

জাতীয়

লেখায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহসিনা আক্তার খানমের (লীনা তাপসী খান) বিরুদ্ধে।

নজরুল সঙ্গীতশিল্পী লীনা তাপসীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন আরেক নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ইফফাত আরা নার্গিস, যিনি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি-নায়েমের সাবেক মহাপরিচালক।

লীনা তাপসী খানের পিএইচডি-অভিসন্দর্ভের উপর ভিত্তি করে রচিত ‘নজরুল সঙ্গীতে রাগের ব্যবহার’ নামক গ্রন্থের ৩৮টি স্থানে অন্যের লেখা নকল করা হয়েছে বলে দাবি করছেন ইফফাত আরা।

তবে লীনা তাপসী দাবি করছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’।

ইফফাত আরা নার্গিসইফফাত আরা নার্গিসরোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে লীনা তাপসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন ইফফাত আরা।
তিনি বলেন, ২৭৭ পৃষ্ঠার ‘নজরুল সঙ্গীতে রাগের ব্যবহার’ গ্রন্থের ১৬৯ পৃষ্ঠাই লীনা তাপসী খানের রচনা নয়। অন্যের গ্রন্থ থেকে হুবহু নকল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ পৃষ্ঠা নজরুল ইনস্টিটিউট ও নজরুল একাডেমি প্রকাশিত স্বরলিপির বই থেকে স্ক্যান করে মূলপাঠ হিসেবে ঢোকানো হয়েছে। যা সাধারণত বইয়ের পরিশিষ্টে উল্লেখের কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

বাকি সব লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘গীতিবিতান’ ও ‘নজরুল-গীতিকা, ইদ্রিস আলীর লেখা ‘নজরুল সঙ্গীতের সুর’, স্বরলিপিকার জগৎ ঘটক ও কাজী অনিরুদ্ধের ‘নবরাগ’, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘নজরুল সৃষ্ট রাগ ও বন্দিশ’ এবং কাকলী সেনের ‘ফৈয়াজী আলোকে নজরুলগীতি’ প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে তথ্য নির্দেশ ছাড়া হুবহু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইফফাত আরা।

তিনি বলেন, ২০১০ সালের মে মাসে লীনা তাপসী এটি পিএইচডি থিসিস হিসেবে উপস্থাপন করেন। ২০১১ সালে নজরুল ইনস্টিটিউট এটি বই আকারে প্রকাশ করে। ওই অভিসন্দর্ভের উপর ভিত্তি করে ২০১৬ সালে লীনা তাপসী খান বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হন।

লীনা তাপসী খানলীনা তাপসী খানইফফাত আরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সদস্যদের জানানো পরও তারা কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লীনা তাপসীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তার পিএইচডি ডিগ্রি এবং ডিগ্রির জন্য প্রাপ্ত সব সুবিধা বাতিলের দাবি জানান তিনি।

একইসঙ্গে এই গ্রন্থের জন্য লীনা তাপসী খানকে দেওয়া ‘নজরুল পদক’ প্রত্যাহারের দাবিও জানান ইফফাত আরা।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “বিষয়টা সম্পর্কে আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে আমরা বিষয়টা দেখব।”

অভিযোগের বিষয়ে লীনা তাপসী খান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তা মিথ্যা, ভুল ও বানোয়াট। তিনি আত্মপ্রচারণার জন্য একটা প্রতারণামূলক কাজ করছেন। আমি লিখিতভাবে এটার প্রতিবাদ জানাব।”

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ হাজার ৭১ জনে। একই সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৮৬ জনে।

শনিবার (১২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১০৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ জন। এই সময়ে ১১ হাজার ৬৬১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৫৯০টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ খুলনা বিভাগে ১১ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০, চট্টগ্রামে ৬ জন, রাজশাহীতে ৭, বরিশালে ২ ও সিলেটে ১ জন ও রংপুরে ২ জন মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এদের মধ্যে বাসায় ৩ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২০ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

জাতীয়

পাবনায় গণপূর্ত বিভাগে অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের একদল ঠিকাদার নেতার মহড়ায় আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ওই কার্যালয়ের কর্মীরা।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১২ হাজার ৯৮৯ জনে। একই সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৭৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ জনে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬৩০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৮৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৪৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৫৩৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৮ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১২, রাজশাহীতে ৮, খুলনায় ৬, সিলেটে ২ ও রংপুর ৪ জন মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এদের মধ্যে তিনজন বাসায় ও বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২২ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন ও ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।