জাতীয়

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচন করা নিয়ে ডাকা বিশেষ সাধারণ সভায় সরকার ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হৈচৈ ও তুমুল হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে বারের সভাপতির শূন্য পদে অ্যাটর্নি জেনারেল এ.এম আমিন উদ্দিনকে মনোনীত করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকা আওয়ামীপন্থী সাত নেতা এ মনোনয়ন দেন। পরে তা কন্টভোটে পাস হয়। তবে বারের সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপিপন্থী ছয় নেতা তাতে সমর্থন না দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত বারের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন সরকার সমর্থিত প্যানেল থেকে সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু। একই প্যানেল থেকে সহ-সভাপতিসহ আরও সাতজন নির্বাচিত হন। কিন্তু করোনায় মতিন খসরু মারা গেলে বারের সভাপতি পদটি শূন্য হয়।

এই শূন্য পদে সভাপতি নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ মে) বিশেষ সভা ডাকা হয়। সভার শুরুতে বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ঘোষণা দেন যে, বারের সংবিধান অনুযায়ী তিনি সভা পরিচালনা করবেন। তখন সরকারপন্থী আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন। এ পর্যায়ে বারের আওয়ামীপন্থী প্যানেল থেকে নির্বাচিত সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্লাহ দাঁড়িয়ে সভায় সভাপতিত্ব করার ঘোষণা দেন।

তখন ব্যারিস্টার কাজল বলেন, শফিক উল্লাহকে সভাপতিত্ব করার কোনো কার্যবিবরণী পাস হয়নি। সহ-সভাপতি পদে উনার চেয়ে সিনিয়র আরেকজন রয়েছেন।

শফিক উল্লাহ বলেন, আমি আজকের সভার সভাপতি। এই সভা থেকে ঘোষণা করছি, আজ থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাটর্নি জেনারের এ.এম আমিন উদ্দিন।

তখন হলরুমে অবস্থান করা আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা তার প্রস্তাবে সমর্থন দেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হৈচৈ ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মিলনায়তনের বিদ্যুত ও মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মঞ্চের ওপর ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে।

তখন বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সাধারণ সভা করার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি না থাকায় সভা মুলতবি করা হলো। এরপর তারা সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।

পরে সহ-সভাপতি শফিক উল্লাহর নেতৃত্বে বারের কার্যনির্বাহী কমিটির সাত সদস্য রেজুলেশন পাস করে এম আমিন উদ্দিনকে সভাপতি ঘোষণা করেন। সেই রেজুলেশনে সাক্ষর ছিলো না বারের সম্পাদক কাজলসহ কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকা বিএনপিপন্থী ছয় নেতার।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আমি শুনতে পেলাম বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমাকে যদি আবারও সভাপতি নির্বাচিত করা হয় আমি বিগত দুই বছরের মতো বারের উন্নয়নকাজ করে যাব।

প্রসঙ্গত বারের এবারের নির্বাচনে সভাপতিসহ আটটি পদে জয়ী হয় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। আর সম্পাদকসহ ছয়টি পদ পান বিএনপিপন্থী প্যানেল। এর আগের দুটি নির্বাচনে বারের সভাপতি পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন এএম আমিন উদ্দিন। তখন বারের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন তিনি।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৭০৫ জনের।

এ সময় নতুন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ জনে। মঙ্গলবার (৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৭০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯৫ হাজার ০৩২ জন। ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৯১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ এবং ২৫ জন নারী। মারা যাওয়াদের মধ্যে হাসপাতালে ৫৯ জন ও বাসায় ২ জন মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪৪ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৩ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

জাতীয়

” আমি জনগনের টাকা নেই না-সরকার দেয় আমার যোগ্যতায় “  মোহাম্মদপুর ফারটালিটি সেন্টারের পরিচালক ডাঃ মনিরুজ্জামান সিদ্দিকি কথাগুলো বল্লেন সোনার বাংলা টিভি-র চেয়ারম্যন ও জিজিএন২৪.কম – সম্পাদক মোহাম্মদ লুুৎফুর রহমানকে । তিনি বার বার একটি কথাই বুঝানোর চেষ্টা করলেন আমি মোহাম্মদপুর ফারটালিটি সেন্টারের পরিচালক ডাঃ মনিরুজ্জামান সিদ্দিিকি ” মুই কি হুুনুরে ” ।

দোতলার বারান্দাতে দাঁড়িয়ে আছেন পরিচালক বাহাদুর সামনে গিয়ে ছালাম দিলাম – আমার দিকে তাকিয়েই বল্লেন আপনার মাক্স সোজা করেন আমিও সাথে সাথে পরিচালক বাাহাদুর যেভাবে বল্লেন সেভাবেই মাক্সটা ঠিক করলাম , কাচু-মাচু হয়ে পরিচালক বাহাদুর ডাঃ মনিরুজ্জামান সিদ্দিকি মহোদয়কে বল্লাম জরুরী এ্যাসাইনমেন্টে কাল ঢাকার বাইরে যাব ১১ দিনের জন্য – তাই আগামী পরশু-র (কালকের পরের দিন) পরিবর্তে দয়া করে আজকে করোনার সেকেন্ড ডোজ টিকা দেওয়া যায় কি-না । তিনি (পরিচালক বাহাদুর) রাগতসূরে বলেন আপনারা দু-টাকার সাংবাদিকদের এইটাই দোষ- সব জায়গায় আনডিও এডবানটেজ খোঁঁজেন । বিমর্ষবদনে তাকে জিজ্ঞাস করলাম যেমন , পরিচালক বাহাদুর বল্লেন সাংবাদিকরা যা করেন সবই বাড়াবাড়ি- এখন আপনি যা্ন, পরশু এসে টিকা নিয়ে যাবেন ।

সাংবাদিকরা কি বাড়াবাড়ি করে তা আপনাকে বলতে হবে – আপনার কথা যৌক্তিক মনে হলে তা আমরা করবোনা, অতএব আপনি বলেন আমরা কি বাড়াবাড়ি করি ?

আপনাকে চলে যেতে বলেছি দাড়িয়ে আছেেন এটার নামই বাড়াবাড়ি ।

পেশাগত কারনে এরকম বাড়াবাড়ি আমাদের প্রাইয়শই করতে হয়, কছুদিন আগে মানিক মিয়া এভিনিউতে ডাক্তার মহিলার পাশে দাড়িয়ে ছিলাম বলেেই ভ্রাম্যমান বিচারক-কে তরিৎ বদলি করা হয়েছিল ।

আর আপনারা যারা সরকারের বা জনগনের ডাক্তার তাদের উচিৎ জনগনের ভালমন্দ দেেখবাল করা ।তিনি বলে উঠলেন ” আমি জনগনের টাকা নেইনা- আমার যৌগ্যতা আছে বলেই সরকার আমাকে বেতন দেয় “

ডাঃ মনিরুজ্জামান সিদ্দিকি বলে উঠেন আপনি যাবেন নাকি ধাক্কা মেরে বের করব ? আমি বুঝতে পারলাম ডাক্তার সাহেব খুবই রাগি মানুষ, আমার গলায় পিআইডি কার্ড ঝুলানো অবস্হায় সে ধাক্কা মারতে আসেে, আমিত অবাকই হলাম আর আসার সময় ভাবতে থাকলাম আমার মেয়েটাওত ডাক্তার কিছু দিন আগে মাত্র ইন্টানি শেষ করেছে, সেওকি মানুষের সাথে এরকম ব্যবহার করবে ? আমার বিশ্বাস আমার মেয়ে তা করবেনা ইনশাল্লাহ্ ।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জনে।

আর ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। এদের মধ্যে ৪২ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারী।

সোমবার (৩ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৬২ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৪টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৬২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৪৫২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৪৩১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ লাখ ১৮ হাজার ৪১০টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, সিলেট বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন। এছাড়া রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ২ জন করে ৬ জন রয়েছেন।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ জন ও বাড়িতে ৫ জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন ও শূন্য থেকে ১০ বছরের নিচে ১ জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৭৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৬৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৩ হাজার ৯০৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৫৭৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৩৩১ জন।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী জুনে এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নেওয়ার কথা রয়েছে। আবার সরকারের এমন চিন্তাও আছে যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে না। করোনা কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে তাও কেউ বলতে পারছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণে গত বছর এসএসসি ও এইচএসসি’র পরীক্ষার্থীদের অটোপাস করিয়ে দিলেও এবার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু গত বছরের তুলনায় বেশি হলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে তা নিয়ে চলছে দীর্ঘ আলোচনা।

করোনাভাইরাস মহামারির দেশ থেকে সহজেই বিদায় নিচ্ছে না। তাই এ কথা মাথায় রেখে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর কিভাবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব তা নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য তিন থেকে চার মাসে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে শিক্ষার্থীরা তিন-চার মাস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাবে।

কমিটির আহ্বায়ক আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, করোনা মহামারি সহজে নিরসন হবে না, তবে স্বাভাবিক অবস্থায় এলে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। অনলাইনে সর্বোচ্চ এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হলেও রচনামূলক সম্ভব নয়। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিকল্প উপায়ে পড়ালেখা চালুর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরামর্শ পাঠাব।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; এক দিনে সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৩৫৯ জনের মধ্যে।

দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যেই এপ্রিলের শুরুতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৩ জন হয়েছে। আর দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৯ জন।

সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২ হাজার ৬৫৭ জন গত এক দিনে সেরে উঠেছেন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৮ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে; এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ২২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মানুষের।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪২০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৯টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪৪ জন পুরুষ আর নারী ২৫ জন। তাদের ৪৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাসায় মারা যান।

তাদের মধ্যে ৪৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৩৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ৭ জন বরিশাল বিভাগের, ১ সিলেট বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৫৭৯ জনের মধ্যে আট হাজার ৪৩৪ জনই পুরুষ এবং তিন হাজার ১৪৫ জন নারী।

জাতীয়

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় করোনাকালে চাকুরি পেলেন ৪৩ ভিক্ষুক। তারা উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে নির্মিত প্যাকেজিং ফ্যাক্টারীতে কাজ করবেন।

আজ শনিবার (১ মে) জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ৪৩ জন ভিক্ষুকের হাতে তাদের নিয়োগপত্র তুলে দেন। এর আগে তিনি ফিতা কেটে অবলম্বন নামে এ ফ্যাক্টারীটির উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ভিক্ষা নয়, কর্মময় হবে ৪৩ জন ভিক্ষুকের জীবন। এরা এখন কাজ করে সংসার চালাতে পারবে। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ হবে। এ ক্ষুদ্র উদ্যোগটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস।

জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাস থেকে কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও সরকারি অর্থায়নে এ প্যাকেজিং ফ্যাক্টারীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে এ ফ্যাক্টারীর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এই ৪৩ জন ভিক্ষুক এখন থেকে এই ফ্যাক্টারীতে কাজ করবেন। ভিক্ষুকের হাত এখন থেকে হয়ে উঠবে কর্মজীবীর হাত। এটিই মনে করছেন এলাকাবাসী।

চৌরখুলী গ্রামের ভিক্ষুক সোনামতি বেগম, রেখা বেগম, ডালিম বেগম বলেন, আমরা আর ভিক্ষা করতে চাই না। আমরা কাজ করে খেতে চাই। ভিক্ষায় কোন সম্মান নেই। এতদিন কোন কাজ পাইনি। তাই ভিক্ষা করছি। এখন উপজেলা প্রশাসন ফ্যাক্টারী নির্মাণ করে আমাদের চাকরি দিয়েছে । আমরা এখন এখানে চাকরি করে সম্মানের সাথে বাঁচতে পারবো।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম মাহফুজুর রহমান বলেন, কোটালীপাড়ায় প্যাকেজিং ফ্যাক্টারীতে উৎপাদিত কাগজের প্যাকেটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে সরকারি অর্থায়নে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ফ্যাক্টারীর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে যারা কাজ করবেন তাদেরকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এই ফ্যাক্টারীতে যে ৪৩ জন ভিক্ষুক কাজ করবেন তাদের প্রতিমাসে ৩হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হবে। এছাড়াও এই ফ্যাক্টারীতে উৎপাদিত কাগজের তৈরী প্যাকেট বিক্রির লভ্যাংশের একটি অংশ তারা পাবেন। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ সফল হলে পরিবর্তন হবে কোটালীপাড়ার। এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েই আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল বলেন, কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামের ৪৩ নারী-পুরুষ জন্ম-জন্মান্তরে ভিক্ষাবৃত্তি পেশার সাথে জড়িত রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এ পেশা থেকে উত্তরণের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। কিন্তু কখনোই তাদেরকে এ পেশা থেকে নিবৃত করা যায়নি। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি অর্থায়নে ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে চৌরখুলী গ্রামে এ প্যাকেজিং ফ্যাক্টরী নির্মাণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে এলাকাবাসী স্বাগত জানিয়েছে। এলাকার ভিক্ষুকরা এখন ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে এ প্যাকেজিং ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করবেন।

 

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫১০ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জনে।
শুক্রবার (০১ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৪টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৬২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৮২১টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১১৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮২১টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ জন। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ৫ জন করে ১০ জন। রংপুর বিভাগে ২ জন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২০ জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪১৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৭২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৩ হাজার ২৮৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৬৮৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৫৯৪ জন।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

আজ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস। দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ, আট ঘণ্টা বিশ্রাম ও আট ঘণ্টা বিনোদন এবং শ্রমের ন্যায্য মজুরির দাবিতে ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে ধর্মঘটের ডাক দেন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা সাত শ্রমিক নেতাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ১৮৯০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্যারিস কংগ্রেসে বিশ্বব্যাপী মে মাসের ১ তারিখ ‘মে দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

সেই থেকে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মে মাসের এক তারিখে শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানাতে মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গতবারের মতো এবারও মে দিবসের সব ধরনের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সীমিত আকারে কিছু কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষ, মুজিববর্ষে গড়ব দেশ’। দিবসটি উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে সরকারের পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকের উত্পাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে শ্রমিকের উন্নয়নে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি মুজিববর্ষে মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

মহান মে দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টক শো সম্প্রচার করবে।

জাতীয়

করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে রবিবার (২ মে) থেকে সরাসরি নগদ অর্থ প্রেরণ শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জীবন রক্ষার্থে দেশের সকল জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। এর ফলে নিম্নআয়ের শ্রমজীবি এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে কর্মহীনতা ও আয়ের সুযোগ হ্রাসের কবল থেকে দেশের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

গতবছর ২০২০ সালে করোনা মহামারীর কারণে যে সকল নিম্নআয়ের পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং কর্মহীন হয়ে পড়েছিল তাদেরকে সহায়তার জন্য ‘নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ নিম্নআয়ের পরিবারকে পরিবারপ্রতি ২,৫০০ টাকা করে ৮৮০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা সরাসরি উপকারভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে বা ব্যাংক একাউন্টে প্রদান করা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় চলমান করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ নিম্নআয়ের পরিবারকে পরিবার প্রতি ২,৫০০ টাকা করে মোট ৮৮০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

২ মে রবিবার প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এ ৩৫ লাখ পরিবারকে ইএফটির’র মাধ্যমে তাদের নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে বা ব্যাংক একাউন্টে অর্থ সহায়তা সরাসরি প্রেরণ করা হবে।

অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অতিদরিদ্র, কর্মহীন নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠী যাতে এ কার্যক্রমের আওতায় আসে সে লক্ষ্যে বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্যোগপ্রবণ, অতিদরিদ্র এলাকা এবং জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক ইত্যাদি পেশার নিম্নআয়ের লোকজন যাতে এ আর্থিক সহায়তা পায় তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত দরিদ্র ব্যক্তি চিহ্নিত করা হয়েছে যাতে কেবলমাত্র প্রকৃত অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী এ অর্থ পায়।