জাতীয়

সরকার বিনামূল্যে সবার জন্যই করোনার টিকা সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (৩ মার্চ) টিকাদান কর্মসূচির ১ মাস পূর্ণ হওয়ায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নিজেদের অর্ডারের পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ ৪ কোটি ডোজ টিকা পাবে। এর মধ্যে ৩৩ লাখের বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে আর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে প্রায় ৪৫ লাখ।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক বলেন, জুন-জুলাই পর্যন্ত দেশে প্রথম দফার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপর ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত নেবো কিভাবে টিকা দেওয়া হবে। জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত আশা করি আমাদের যে অর্ডার আছে এবং কোভ্যাক্স থেকে পাব, সেটি মিলে ৪ কোটি ডোজ টিকা হাতে থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, দেশে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম এক মাস হয়ে গেছে। যা আমরা সফলভাবে সম্পূর্ণ করেছি। এ সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই। তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে আমরা কাজ করেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানাই। ভ্যাকসিনের এ প্রোগামে দেশবাসী সন্তুষ্ট। অনেক সুনাম পেয়েছি আর আমরা এ সুনামটি ধরে রাখতে চাই। ৩৩ লাখের বেশি যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া আছে তাদের প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। কোনো জায়গাতে কোনো অঘটন ঘটেনি।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। এর পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

জাতীয়

 

দেশে গত একদিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৪২৮ জনে। বুধবার ( ৩ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। একই সময় ১৬ হাজার ৪১৪টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৬১৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় ৯৩৬ জনসহ মোট চার লাখ ৯৯ হাজার ৬২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে পাঁচ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও এক জন নারী। তাদের সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ছয় হাজার ৩৭২ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং দুই হাজার ৫৬ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

জাতীয়

১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা রেখে সফল সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারা কেমন হবে, সেই বর্ণনার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হবেন বলে নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি…’ সংগীতটিকে ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করা হয়।

স্বাধীনতার দলিলপত্রে উল্লেখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এর উল্লেখ আছে। ছাত্রলীগ আয়োজিত পল্টনের জনসভার প্রস্তাবলী উল্লেখ করতে গিয়ে এতে বলা হয়, ‘এই সভা পাকিস্তানী উপনিবেশবাদ শক্তির লেলিয়ে দেওয়া সশস্ত্র সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালীদের ওপর গুলিবর্ষণের ফলে নিহত বাঙালী ভাইদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করিতেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করিতেছে এবং পাকিস্তানী উপনিবেশবাদ শক্তির সেনাবাহিনীর এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়িয়া তোলার জন্য আহ্বান জানাইতেছে। এই সভা স্বাধীন বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থ রাখিয়া তাহার সফল সংগ্রাম চালাইয়া যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’

স্বাধীনতার দলিলপত্র( স্বাধীনতার দলিলপত্র )মার্চের ১ তারিখ থেকে একের পর এক প্রতিরোধ কর্মসূচির মধ্যে এই ইশতেহার অন্যতম ছিল। যেখানে বলা হয়, ‘৫৪ হাজার ৫০৬ বর্গমাইল ভৌগোলিক এলাকার ৭ কোটি মানুষের জন্য আবাসিক ভূমি হিসেবে স্বাধীন ও সার্বভৌম এ রাষ্ট্রের নাম “বাঙলাদেশ”। স্বাধীন ও সার্বভৌম “বাঙলাদেশ” গঠনের মাধ্যমে নিম্নলিখিত তিনটি লক্ষ্য অর্জন করতে হবে:’

‘(১) “স্বাধীন ও সার্বভৌম বাঙলাদেশ” গঠন করে পৃথিবীর বুকে একটি বলিষ্ঠ বাঙালী জাতির কৃষ্টি, বাঙালীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পূর্ণ বিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।

‘(২) “স্বাধীন ও সার্বভৌম বাঙলাদেশ” গঠন করে অঞ্চলে অঞ্চলে ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে বৈষম্য নিরসনকল্পে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি চালু করে শ্রমিক রাজ কায়েম করতে হবে এবং “স্বাধীন ও সার্বভৌম বাঙলাদেশ” গঠন করে ব্যক্তি, বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ নির্ভেজাল গণতন্ত্র কায়েম করতে হবে।’স্বাধীনতার দলিলপত্র

( স্বাধীনতার দলিলপত্র )রেসকিলিজের শেষ অংশে ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ’—দীর্ঘজীবী হোক কামনা করে এবং স্বাধীন বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উল্লেখ করে গ্রামে গ্রামে দুর্গ ও মুক্তিবাহিনী গঠনের কথা বলা হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলার সর্বাধিনায়ক হিসেবে পুনরায় বঙ্গবন্ধুর নাম উল্লেখ করে স্বাধীনতা আন্দোলনের নিম্নরূপ ধারা উল্লেখ করে। যেখানে শুরুতেই বলা হয়, ‘বর্তমান সরকারকে বিদেশি উপনিবেশবাদী শোষক সরকার গণ্য করে বিদেশি সরকারের ঘোষিত সকল আইনকে বেআইনি বিবেচনা করতে হবে। বর্তমান বিদেশি উপনিবেশবাদী শোষক সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স-খাজনা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণরত যেকোনও শক্তিকে প্রতিরোধ, প্রতিহত, পাল্টা আক্রমণ ও খতম করার জন্যে সকলপ্রকার সশস্ত্র প্রস্তুতি নিতে হবে। তথাকথিত পাকিস্তানের স্বার্থের তল্পিবাহী পশ্চিমা অবাঙালী মিলিটারিকে বিদেশি ও হামলাকারী শত্রু সৈন্য হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং এ হামলাকারী শত্রুসৈন্যকে খতম করতে হবে।’

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন এবং শনাক্ত হয়েছেন ৫১৫ জন। মঙ্গলবার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ৮ হাজার ৪২৩ জন এবং মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৩টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩২৫টি। এ পর্যন্ত ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৯৪ জন, এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০টি নমুনায় ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত মোট ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছেন ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং মারা গেছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৩৬৮ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫৫ জন নারী করোনায় মৃত্যুবরণ করেন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত ৭ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩ জন এবং চট্টগ্রামের ৪ জন। এই ৭ জনই হাসপাতালে মারা গেছেন।

জাতীয়

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় দুদকের চিঠি পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে আদালতে তথ্য দিয়েছে এসবির ইমিগ্রেশন শাখা।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পি কে হালদার বেনাপোল দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে কানাডায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন পি কে হালদার।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছিলেন পি কে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে। তখন আদালত জানতে চান পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও তিনি কিভাবে পালিয়ে যান। একইসঙ্গে পি কে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন তার তালিকাও দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।

এদিকে পিকে হালদার এবং তার সহযোগী ও ৩৯ প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে দুদক। এসব টাকা পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত ছিল। বিএফআইইউর সহযোগিতায় দুদক এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ফ্রিজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আরও অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে দুদক।

জাতীয়

মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫৮৫ জন।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আটজনকে নিয়ে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৮ হাজার ৪১৬ জন। এই সময়ে নতুন ৫৮৫ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮০১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতীয়

রাজধানীর শাহবাগে গতকাল শুক্রবার শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া হামলার বিচার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শাহবাগের মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৪০০ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪০৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৮৩১ জনে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬০৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৯৬ হাজার ১০৭ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৭টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৮টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ১৮৯টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৪৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ লাখ ৩০ হাজার ৬১৬টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার তিন দশমিক তিন শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত পাঁচ জনের মধ্যে চার জন পুরুষ, এক জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে চার জন ও চট্টগ্রাম বিভাগে এক জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন পাঁচ জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৪৬৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯০ হাজার ৭১১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন নয় হাজার ৭৫৪ জন।

জাতীয়

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় সক্রিয় রয়েছে। আল-জাজিরার রিপোর্ট সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তবে সবগুলোই চক্রান্তকারীদের ব্যর্থ প্রয়াস।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে নবনির্মিত এসপি অফিস ভবন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কারা অভ্যন্তরে লেখক মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই বিচার হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেকমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও ড. আবু রেজা নদভী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ও জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক প্রমুখ।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মুত্যুবরণ করেছেন ১১ জন, এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৪৩ জন।

এদের মধ্যে পুরুষ ৬ এবং নারী ৫ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৬ জন বেশি মুত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৫ জন মুত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মুত্যুবরণ করেছেন ৮ হাজার ৩৯৫ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মুত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।

আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৬০ জন বেশি শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৫ হাজার ৫৬০ জনের নমুুনা পরীক্ষায় ৪১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৫ শতাংশ কম।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৪০ লাখ ১৮ হাজার ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪২৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ৩১ লাখ ৮৯টি হয়েছে সরকারি এবং ৯ লাখ ১৮ হাজার ১৭৯টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৪৩ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২১৪ জন কম সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৯৫৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৮ জন।

আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৬ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৫ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৮৮৩ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৫৩৮টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ১৪৬টি ও বেসরকারি ৬৮টিসহ ২১৪টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৩২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৫ হাজার ৫৬০ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৫২৮টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।