জাতীয়

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে বদলির মাধ্যমে নতুন পদে পদায়ন করা হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই পদায়ন করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) পদে; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামানকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) পদে এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

জাতীয়

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করেছেন। এসময় তাদেরকে সাহস যুগিয়েছেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান সোহেল তাজ। পরে সন্ধ্যায় বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সোহেল তাজ।

তিনি বলেন, বিবেকের তাড়নায়, সাধারণ নাগরিক হিসাবে সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে ডিবিতে এসেছি। দেশের ওপর সবার হক আছে, এজন্য এসেছি। ছাত্র-ছাত্রীদের বুকে যেন আর একটা গুলিও না করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ, প্রতিটা প্রাণহানির বিচার করতে হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই দেশ তোমাদের, আশা ছাড়া যাবে না। সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।

তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সম্পদ ধ্বংস হয়েছে তা জনগণের টাকায় আবার করা যাবে। কিন্তু প্রাণের তুলনায় এই সম্পদ কিছুই নয়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রেডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে শনিবার সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

জাতীয়

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে বিবৃতি দিতে জোর-জবরদস্তি করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি গুজব।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডিবি হেফাজতে আনা হয়েছে। তারা ভালো আছেন। রোববার রাতে তাদের পরিবারের সদস্যরাও এসে তাদের দেখে গেছেন। শিগগিরই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।’

আজ সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন বন্ধে জোর করে ছয় সমন্বয়কদের দিয়ে বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগটি গুজব। যারা এই গুজবটি ছড়িয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ- গুজব ছড়াবেন না। ডিবি একটি আস্থার জায়গা। সেখানে কাউকে আটকে রাখা হয় না। জোর করে বিবৃতি নেওয়া হয় না। তারা বরং অনুভব করেছেন যে, সরকার তো সব দাবি মেনেই নিয়েছে। যে কারণে তারা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরাও তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, ছাত্র ছিলাম। এই ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এখানে এনেছি। তারা আমাদের সঙ্গে আছে। এই সমন্বয়কারীদের ঘিরে অনেক গুজব চলছে। আমরা তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিবার ও সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা তাদের নিয়ে আসছি। তাদের পরিবার কিন্তু বলেছে যে, ওরা ভাল আছে। ওদের পরিবার কাল রাতে এসেছিল। আজকেও ডিবিতে এসেছে। তারা নিজেরাও দেখেছেন ওরা কেমন আছে।’

হারুন বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আমরা মনে করি, যদি কোনও ব্যক্তি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন, আমাদের কাছে আসেন, তাহলে আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাদের দেখভাল করা। সেটাই আমরা করছি।’

তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতেও পরিবারের লোকজন ডিবিতে এসেছে, দেখা করেছে। আজও দেখা করেছে, কথা বলেছে, সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ওরা যে ভালো আছে সেজন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন।’

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এই কোটাবিরোধী আন্দোলনটা করেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের ভেতরে ঢুকে একটি গোষ্ঠী ও জামায়াত-বিএনপি চক্র ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড করেছে। পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা, মানুষ হত্যা করেছে।

রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোতে আগুন লাগিয়েছে। আমরা মনে করি, যদি আবারও চক্রান্তকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে, তাহলে এই সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে। সেজন্য তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখা দরকার।’

জাতীয়

কারফিউ শিথিল হওয়ায় কয়েক দিন ধরেই বেড়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল। জনমনে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। শুক্রবার ছুটির দিন থাকলেও সব জায়গাতেই ছিল মানুষের কর্মব্যস্ততা।

রাজধানী ঢাকায় যারা এতদিন ঘর থেকে বের হননি তারাও এদিন বেরিয়ে এসেছিলেন। ছুটির দিন হলেও মূূলত কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়েই কেটেছে বেশির ভাগ মানুষের। এদিন সব শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের জরুরি কাজ সেরে নেওয়ার পাশাপাশি পেশাগত নানা কজেও যুক্ত ছিলেন।

শুক্রবার খোলা ছিল অনেক কারখানা। পোশাক শ্রমিকদের অনেকেই যার যার কর্মস্থলে গেছেন। কাজ সেরেছেন। শ্রমজীবী মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে এসেছিলেন রোজগারের আশায়। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ ঘরে বসে থাকতে রাজি নন। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন রাস্তায় রিকশা, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনও চলেছে অনেক বেশি।

রাজধানীর বাংলামটরে রিকশাচালক হাতেম আলি বলেন, চাকা না ঘুরলে আমাদের পেট চলবে না। তাই সব বন্ধ থাকলে আমাদের বিপদ। আমরা আর এসব গ্যানজাম চাই না। কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা খেয়ে বাঁচতে চাই। আজকে সকাল থেকেই রিকশা চালিয়েছি। আয়ও গত কয়েক দিনের চেয়ে ভালো। আগামী সপ্তাহে অবস্থা যেন আরও ভালো হয়।

সপ্তাহে শুক্রবারের সন্ধ্যাতেই বাকি ছয় দিনের বাজার সারেন সিঙ্গেল মাদার নূর-জাহান তন্বী। পেশায় ব্যাংকার তন্বী থাকেন সেগুনবাগিচায়। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে যে সহিংসতা ঘটেছে- তা ন্যক্কারজনক। প্রাণভয়ে বাসা থেকেই বের হইনি। শুক্রবার কারফিউ অনেকটাই শিথিল ছিল। তাই অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন, আমিও তাই। দুই মেয়েকে নিয়ে বাজার সেরেছি। তিনি বলেন, আমরা এমন ঘটনা আর চাই না। স্বস্তি ফিরে আসুক সবখানে। সবকিছু স্বাভাবিক হোক। আগের অবস্থায় ফিরে আসুক।

এদিন রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে সেনাবাহিনী, পুুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। টহল থাকলেও নগরজুড়েই ফিরে এসেছে স্বস্তি। গত কয়েক দিন ধরে যারা বের হয়েছেন- তাদের কেটে যাচ্ছে শঙ্কাও। সাধারণ মানুষ বলছেন, সাম্প্রতিক সৃষ্ট পরিস্থিতি ছিল চরম ভয়ংকর ও আতঙ্কের। কারফিউ জারির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। শুক্রবার নগরের সড়ক, বাজারসহ বিভিন্ন শপিংমলে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারেন।

এদিন সড়কে দেখা মিলেছে রিকশা-সিএনজি, বাসসহ ব্যক্তিগত গাড়িও। ঢাকার ফার্মগেট, মিরপুর, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, বনানী, তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল করতে দেখা গেছে। মহাখালী থেকে গুলশান-১ নম্বর হয়ে বাড্ডার সড়কসহ নগরের বিভিন্ন সড়কে বৃহস্পতিবার যানজট ছিল। শুক্রবার কোনো কোনো সড়কে যানজট ছিল। বৃহস্পতিবারের তুলনায় এদিন মানুষের চলাচল অনেক বেশি দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ থেকেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কাউফিউ শিথিল করা হয়। সাধারণ মানুষও ঘর থেকে বের হতে থাকে। খোলা হয় অফিস-আদালত। খোলে ব্যাংক, কারখানাও। পাশাপাশি সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা দ্রুত সময়ের মধ্যেই পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।

জাতীয়

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

এর আগে আজ বিকালে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকের কিছু ব্যক্তি তাদের তুলে নিয়ে যায় বলে নাহিদের বাবা বদরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

নাহিদের বাবা বলেন, বিকাল ৪টার পর সাদা পোশাকে কয়েকজন এসে নাহিদ, আসিফ ও বাকেরকে তুলে নিয়ে যায়। তবে তারা কোথায় নিয়ে গেছে সেটি জানতে পারেননি। গত কয়েকদিন ধরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া হাসপাতালের সামনে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। এর আগে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছিলেন এই দুই সমন্বয়ক।

এদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত পৌনে ৪টার দিকে একটি খুদে বার্তায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল ও তাদের চিকিৎসাধীন ওয়ার্ডের সামনে ডিবি পুলিশের অবস্থান নেওয়ার কথা জানান।

আসিফ মাহমুদের দেওয়া ওই বর্তায় বলা হয়, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আমাকে (আসিফ), নাহিদ ভাই আর বাকেরকে গৃহবন্দি করেছে ডিবি পলিশ। ওয়ার্ডের সামনে ও হাসপাতালে ডিবি পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

এছাড়া হাসপাতালের সামনে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। আমাদের সব ধরনের কমিউনিকেশন বন্ধ করে রাকা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে এসেও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

এদিকে, তাদের তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া ডিবির আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে কল করা হলেও তারা তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।

জাতীয়

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, নরসিংদী জেলখানসহ সারাদেশে যারা নজিরবিহীন তান্ডব ও নৈরাজ্য চালিয়েছে তাদেরকে খুুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

আজ দুপুরে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরো বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে তাদেরকে খুুঁজে বের করতে সরকারের পক্ষ থেকে করণীয় সব কিছু করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নরসিংদী জেলখানায় যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে সেজন্য সরকার সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ বাহিনীসহ সরকারের প্রতিটি সেক্টরকে কাজে লাগিয়ে আজ নরসিংদীসহ দেশের পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্ণেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুুখ।

জাতীয়

চলমান কারফিউ আরও শিথিল হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে রাত ১২টার দিকে কারফিউ শিথিলের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে এই কারফিউ বলবৎ থাকবে। তবে এসব এলাকায় শুক্র ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। অন্যান্য জেলায় কারফিউর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকেরা।

গত সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অন্তত ২০৪ জন নিহত হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। একই দিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। এখনো বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এরপর ধাপে ধাপে কারফিউ শিথিল করছে সরকার।

জাতীয়

আমরা অনেক সময় বাইরের কেনা মিনারেল ওয়াটার পান করি। আর ঘরে সাধারণত ফিলটার করা বা  ফুটানো পানিতেই আস্থা রাখি।

আমরা কি জানি ফিলটার করা পানি থেকে শুধু ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করা যায়। কিন্তু মিনারেল ওয়াটার নানারকম খনিজ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ।

কাজেই বুঝতেই পারছেন যে, মিনারেল ওয়াটার যদি নিয়মিত পান করা যায় তা হলে শরীরের নানা উপকারে তা লাগে। তবে একথাও ঠিক যে প্রতিদিন মিনারেল ওয়াটারের জার বা বোতল কেনা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে খুব অল্প খরচে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন মিনারেল ওয়াটার।

কীভাবে, জেনে নিন

উপকরণ 

ফিলটার করা পানি, বেকিং সোডা, এপসম সল্ট, পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেট।

যেভাবে করবেন 

একটি পরিষ্কার পাত্রে ফিলটার করা পানি -২ লিটার, বেকিং সোডা -চা-চামচের ১৪, ইপসম সল্ট  চা-চামচের ১৪ এবং পটাসিয়াম বাইকার্বোনেট – চা-চামচের ১৪।

এবার সব উপকরণ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ছেঁকে বোতলে ভরে রাখুন আপনার বিশুদ্ধ-নিরাপদ পানি।

নিয়মিত মিনারেল ওয়াটার পানে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তসঞ্চালন এবং হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

জাতীয়

হাড় হলো শরীরের ভিত। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে হলে হাড় সুস্থ রাখতে হবে।

এছাড়া হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে ব্যথা থেকে শুরু করে হাড় ক্ষয়ের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের জীবনযাপনের মধ্যেই এমন কিছু ভুল রয়েছে যা সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই আমাদের প্রতিটি মানুষকে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিচের বিষয়গুলোর দিকে কড়া নজর দিতে হবে।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি

মাছ থেকে শুরু করে দুধ, মাংসের মতো খাবারে থাকে ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে আপনি খেতেই পারেন ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন একমাত্র সূর্যের আলো থেকেই পাওয়া যায়। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত সকালে কিছুক্ষণের জন্য  সূর্যের আলোয় দাঁড়ান।

নিয়মিত ব্যায়াম

দেহের হাড় মজবুত রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। ব্যায়ামের মাধ্যমেই হাড় শক্ত হয়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করতে চাইলে ব্যায়াম করতে হবে। তবে যেমন ইচ্ছা তেমন ব্যায়াম করে লাভ নেই। বরং ওয়েট ট্রেনিং করতে পারলে সব থেকে বেশি লাভ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতেই হবে। নইলে শরীরে দেখা দিতে পারে সমস্যা।

কফি পান করতে হবে সীমিত

কফি খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। তবে এরপরও দেখা দিতে পারে সমস্যা। কারণ বেশি কফি পান করলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম দ্রুত বেরিয়ে যেতে শুরু করে। আর এটি প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়। তাই প্রতিটি মানুষকে কফি পান সীমিত করতে হবে।

খাওয়া যাবে না কাঁচা লবণ 

লবণ বেশি খেলে শরীরের হাড় ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এক্ষেত্রে অস্টিওপোরোসিসের আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। কাঁচা লবণ কোনোভাবে খাওয়া যাবে না।

ধূমপান ছাড়ুন

ধূমপান শরীরে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে গবেষণা বলছে ধূমপান শরীরের হাড়ের ক্ষয়েরও কারণ হতে পারে। তাই এবার ধূমপান ছাড়ুন।

জাতীয়

দেশে গমের উৎপাদন বাড়াতে আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট) এবং মেক্সিকোর বর্ধিত সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

তিনি বলেন, ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য হলেও বছরে গমের চাহিদা বাড়ছে শতকরা ৭ থেকে ১১ ভাগ।

বুধবার মেক্সিকোর টেক্সকোকোতে সিমিটের সদর দপ্তরে ‘পরবর্তী সংলাপ-শক্তির বীজ’ বিষয়ক সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশন এবং সিমিট যৌথভাবে দুদিন ব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাৎসরিক প্রায় ৭৫ লাখ টন চাহিদার এক পঞ্চমাংশ আমরা দেশে উৎপাদন করতে পারি। গম শীতকালীন ফসল হওয়ায় বোরো ধানসহ অন্যান্য শীতকালীন ফসলের সাথে প্রতিযোগিতায় গমের উৎপাদন পিছিয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় গমের উৎপাদন বাড়িয়ে ব্যাপক ঘাটতি পূরণ করতে হলে স্বল্পজীবনকালীন বা ১০০ দিনের মধ্যে হয় এ রকম অতি আগাম এবং তাপ ও লবণসহিষ্ণু গমের উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এক্ষেত্রে সিমিট এবং মেক্সিকোর বর্ধিত সহযোগিতা প্রয়োজন।
চাল ও ভুট্টা উৎপাদনে বাংলাদেশের বিশ্বস্বীকৃত সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরে দেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণের বেশি। এর ফলে এ সময়ের মধ্যে জনসংখ্যা ৭ কোটি থেকে বেড়ে বর্তমানে ১৭ কোটি হলেও দেশে চালের কোন ঘাটতি নেই।

তিনি বলেন, ভুট্টা উৎপাদনেও আমরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। গত ১৫ বছরে ভুট্টার উৎপাদন ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে বছরে প্রায় ৬৮ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদিত হচ্ছে। আর এর বিপরীতে প্রতি বছর পোল্ট্রি, মাছ, প্রাণিখাদ্যসহ নানান কারণে দেশে ভুট্টার চাহিদাও বাড়ছে। সেজন্য ভুট্টার উৎপাদনও আমাদেরকে বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে সিমিটের মহাপরিচালক ব্রাম গোভায়ার্টস, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের চিফ অপারেটিং অফিসার মাশাল হোসেন, মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিসিয়া বার্সেনা ইবারা, মেক্সিকোর কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ভিক্টর ম্যানুয়েল ভিলালোবোস আরামবুলা, ইন্টার-আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর কো-অপারেশন অন এগ্রিকালচারের মহাপরিচালক ম্যানুয়েল ওটেরো, হন্ডুরাসের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী লরা এলেনা এস. টরেস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাজিয়া শিরিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাইডলাইন ইভেন্টে কৃষিমন্ত্রী মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিসিয়া বার্সেনা ইবারা এবং মেক্সিকোর কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী ভিক্টর ম্যানুয়েল ভিলালোবোস আরামবুলার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকে দুদেশের কৃষিখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। কৃষিমন্ত্রী সিমিটের গবেষণা ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।