জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ। তার নিজের ও পরিবারের ওপর ওয়াশিংটন প্রশাসনের এ নিষেধাজ্ঞার খবরে আজিজ আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল।

সেটার সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞা সম্পৃক্ত ওতপ্রোতভাবে।

দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সোমবার (২০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর একটি বিবৃতি দেয়।

আজিজ আহমেদ জানান, এক বন্ধুর মাধ্যমে মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে বিষয়টি জেনেছেন তিনি। সাবেক এ সেনাপ্রধান বলেন, ‘সকালে আমার এক বন্ধু কপিটি পাঠিয়েছে। তার মাধ্যমেই বিষয়টি (নিষেধাজ্ঞা) জেনেছি। ’

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে আজিজ আহমেদ বলেন, ‘প্রথম অভিযোগ হলো- আমি আমার ভাইকে বাংলাদেশের যে আইন আছে, তার (ভাই) অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে সে যেন এড়িয়ে চলতে পারে; সেজন্য আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে তাকে সহযোগিতা করে করাপশন করেছি। এর উত্তর হলো- আমার সেই ভাই আমি জেনারেল হওয়ার অনেক আগেই বিদেশে। সে বৈধ পাসপোর্ট ব্যবহার করেই গিয়েছে। এখানে আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে দেশের প্রচলিত আইন ফাঁকি দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করেছি, এটা সঠিক নয়। ’

‘দ্বিতীয় অভিযোগ, আমি আমার ভাইকে মিলিটারি কন্ট্রাক্ট দিয়ে ঘুষ নিয়ে দুর্নীতি করেছি। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে আমি বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় আমার ভাইকে বা কোনো আত্মীয়কে কন্ট্রাক্ট দিয়েছি, এটা যদি প্রমাণ করতে পারে সেক্ষেত্রে আমি কনসিকোয়েন্স মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। ’

আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আমি এমন কোনো অপরাধ করিনি যে, শাস্তি পেতে হবে। তারা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলেছে তার কোনো প্রমাণ থাকলে আমাকে দিক। ’

বিবৃতিতে যা বলা হয়

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।

এতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটি করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়ান।

এ ছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি নিজের ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। তিনি নিজ স্বার্থে সরকারি নিয়োগে ঘুষ নেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

আজিজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৫ জুন থেকে ২০২১ সালের ২৪ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন।

জাতীয়

সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শফিউল আজিমকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

৩০ মে থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব করেছে সরকার।

২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর শফিউল আজিম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে যোগ দেন।

বিমানে যোগদানের আগে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও বিধি অনুবিভাগ) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

অন্যদিকে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সচিব পদে যোগদান করেন মো. জাহাংগীর আলম।

জাতীয়

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।   মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলে এই ভোটগ্রহণ।

এরপর শুরু হয় গণনা। গণনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফল ঘোষণা করা হতে থাকে

নির্বাচনে এ পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদের তালিকা তুলে ধরা হলো।

নারায়ণগঞ্জ: জেলার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম স্বপন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ ভোট পেয়ে  বিজয়ী হয়েছেন।

লালমনিরহাট: জেলার আদিতমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৩ হাজার ১৩৫ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক ইমরুল কায়েস।

এ উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম সরকার বাবু (উড়জাহাজ) এবং ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছামসুন নাহার মিলি (পদ্ম ফুল)।

চাচাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলেন রাকিবুজ্জামান আহমেদ।

তিনি লালমনিরহাট ২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের  সংসদ সদস্য সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন জাবির হোসেন চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন শিউলী রানী রায়।

ঝালকাঠি: জেলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে খান আরিফুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে লস্কর আসিফুর রহমান দিপু ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) উম্মে সালমা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে জেলার নলছিটি উপজেলায় সালাহউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

আর ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মনিরুজ্জামান মনির এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে আয়শা আক্তার রিনা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বান্দরবান: জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তোফাইল আহামদ।

আর ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে সানজিদা আক্তারকে বিজয়ী হয়েছেন।

নীলফামারী: বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদ আরফান সরকার (রানা) দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩২ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩৬ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়ে চশমা প্রতীকের নির্বাচিত হয়েছেন মহসিন মণ্ডল মিঠু। অন্যদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্ম ফুল প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে সানজিদা বেগম লাকী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাঙামাটি

রাঙামাটির কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে নাছির উদ্দিন,  উবাচ মারমা ও বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা।

তিন উপজেলা মিলে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে রাজস্থলী উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় পদ দুটিতে ভোট হয়নি।

বাগেরহাট

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা সেখ ওয়াহিদুজ্জামান বাবু নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেখ ইমরুল হাসান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তহুরা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন।

চিতলমারীতে চেয়ারম্যান পদে আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী আজমীর আলী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুলতানা মল্লিক নির্বাচিত হয়েছেন।

মোল্লাহাটে চেয়ারম্যান পদে শাহিনুল আলম ছানা পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. নজরুল ইসলাম মিল্টন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রীনা পারভীন নির্বাচিত হয়েছেন।

টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ঘাটাইলে আরিফ হোসেন ও কালিহাতীতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এএসএম সিদ্দিকী ওরফে আজাদ সিদ্দিকী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

আজাদ সিদ্দিকী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই।

গাইবান্ধা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়ায় মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

ছাইদুর রহমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং মনির হোসেন আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক।

ফরিদপুর

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় কাজী শাহ জামান বাবুল এবং সালথায় মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বিজয়ী হয়েছেন।

কক্সবাজার

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আবু তালেব।

পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই ঈদগাঁও উপজেলা গঠন করা হয়।

পিরোজপুর 

কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ মনু। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন মো. মৃদুল আহম্মেদ সুমন। ফাতেমা ইয়াসমিন পপি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন।

নেছারাবাদ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল হক। তিনি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন মো. শফিকুল ইসলাম সুমন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন তুলি মন্ডল।

চাঁদপুর

চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে মো. হুমায়ুন কবির, হেলাল উদ্দিন মিয়াজী ও মকবুল হোসেন পাটোয়ারী।

কুমিল্লা

বরুড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া কামাল।

সদর দক্ষিণ উপজেলায় আবদুল হাই বাবলু চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তৃতীয় হয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাই গোলাম সারোয়ার।

মাদারীপুর 

জেলার কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন বিজয়ী হয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন মো. ইকবাল হোসেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আরিফা আক্তার বীথি।

কুষ্টিয়া

মিরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম। কুমারখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্না খাঁন, দৌলতপুরে সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই বুলবুল আহম্মেদ চৌধুরী এবং ভেড়ামারা উপজেলায় কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফের ভাগ্নির স্বামী আবু হেনা মস্তফা কামাল মুকুল চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন।

নোয়াখালী

জেলার সেনবাগ উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপু চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন। সোনাইমুড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন। চাটখিল উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

জাতীয়

আজ  ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি।

নির্বাচনী এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটিও।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে তিনপদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ প্রার্থী।  রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

১৫৬ উপজেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ হবে ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫৮৯টি কক্ষে।

২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ১৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে। আগের রাতে কারচুপি ঠেকাতে সকালে ১২ হাজার ৩৩১ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। কেবল দুর্গম এলাকায় ৬৮৫ কেন্দ্রে ব্যালট গেছে সোমবার।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে। ১৬টি উপজেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭২০ জন সদস্য ভোটের দায়িত্বে মাঠে রয়েছেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি ৪৫৮ প্লাটুন, ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ৪৭ হাজার ৮২৯ জন, স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ ১৯ হাজার ৫৭ জন, র‍্যাবের দুই হাজার ৭৬৮ জন ও আনসার সদস্য রয়েছে এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

এদিকে নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের জন্য রয়েছেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। থাকছে মাঠ পর্যায় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং ও সমন্বয় সেল। যেই সেল যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। ইতোমধ্যে যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে ভোটের এলাকায়।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। অন্যগুলোয় আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন ভোটগ্রহণ হবে। কয়েকটি উপজেলার মেয়াদ পূর্তি না হওয়ায় ভোটের তফসিল এখনও দেয়নি ইসি।

জাতীয়

ঝিনাইদহের নিখোঁজ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেছে। তারা জানতে পেরেছে কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারের কোনো জায়গায়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এ তথ্য পেয়েছে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস কর্তৃপক্ষ, এমনটাই জানিয়েছেন উপ-দূতাবাসের এক কর্মকর্তা; যিনি তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।

কলকাতার উত্তর শহরতলি বরাহনগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আজিম, সেই গোপাল বিশ্বাস জানিয়েছেন- ১৩ মে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যে ভাড়া করা গাড়িতে উঠেছিলেন আজিম, সেটির চালকের সন্ধান পেয়েছে বলেই স্থানীয় পুলিশের তরফে তাকে জানানো হয়েছে।

বিশ্বাস বলেন, পুলিশের কাছে আমি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। তারা ওই গাড়িটি খুঁজে বের করে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই চালক নাকি পুলিশকে জানিয়েছেন, সংসদ সদস্যের সঙ্গে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। এদের দুজনকে তিনি কলকাতা সংলগ্ন নিউ টাউন এলাকায় ছেড়ে দেন ১৩ মে।

উপ-দূতাবাসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস সচিব রঞ্জন সেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংসদ সদস্যের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের শনিবার জানানো হয়। তারপরই আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা খোঁজখবর করছেন এমনটাই আমাদের জানানো হয়েছে।

আবার শেষবার যেহেতু নিখোঁজ সংসদ সদস্যকে কলকাতায় দেখা গিয়েছিল, তাই কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস- এমনটাও জানা গেছে।

ডাক্তার দেখাতে বের হন তিনি

কলকাতার সিঁথি অঞ্চলের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস বলছিলেন আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।

বিশ্বাস বলেন, এবারে তিনি এসে আমাকে বলেছিলেন যে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাবেন। কোন ডাক্তার ভালো হবে জানতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমার জানাশোনা কোনো স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। তাই আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম সল্ট লেকের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন। আমরা একসঙ্গে সকালের জলখাবার খেয়েছিলাম। তারপর এটাও তাকে বলেছিলাম যে আমার গাড়ি সেদিন নেই, উনি যেন গাড়ির বন্দোবস্ত করে নেন। এরপর আমি বাড়ির একতলায় অফিসে চলে আসি।

গোপাল বিশ্বাস বলেন, এরপর আমি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। দুপুরে বেরোনোর সময়ে আমাকে বলে যান যে তিনি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরবেন। তার খোঁজ না পাওয়ার পরে আমি যখন সিসিটিভি ফুটেজ দেখি, তখন জানতে পারি যে উনি আমার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে।

বরাহনগর থানায় যে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন গোপাল বিশ্বাস সেখানে তিনি লিখেছেন- তার বাড়ির অদূরে বিধান পার্ক এলাকা থেকে ভাড়ার গাড়িতে ওঠেন আনোয়ারুল আজিম। তাকে গাড়িতে উঠতে দেখেছেন, এমন একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। সন্ধ্যায় বন্ধুর বাড়িতে ফিরে আসার কথা থাকলেও সেখানে ফেরেননি আজিম। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠান তিনি- ‘বিশেষ কাজে দিল্লি চলে যাচ্ছি এবং পৌঁছে ফোন করব, তোমাদের ফোন করার দরকার নেই।’ এ ঘটনা ১৩ মে’র।

ডাক্তার দেখাতে বের হয়ে দিল্লিতে?

কলকাতার গোপাল বিশ্বাসের গহনা রফতানির ব্যবসা আছে। তিনি জানান, দুই আড়াই দশকের বন্ধুত্ব সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের সঙ্গে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিএনপির জামানায় ও ভারতে থাকত। আমাদের বাড়ি মাঝদিয়ায়। সেখানে সুভাষ আগরওয়ালের বাড়িতে থাকত আনার। আমার সঙ্গে সেখানেই পরিচয়, তারপর বন্ধুত্ব। সম্পর্কটা এখন পারিবারিক স্তরে চলে গেছে।

সে কারণেই চিকিৎসা করাতে এসে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আনোয়ারুল আজিম।

সেদিন দুপুরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আজিম যে ভাড়াচালিত গাড়িতে উঠেছিলেন সেটির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

এরপর গোপাল বিশ্বাসকে পুলিশ জানিয়েছে, আজিমের সঙ্গে আরেকজন বাংলাদেশি নাগরিককে নিউ টাউন অঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ওই চালক।

এরপর ১৫ মে সকালে গোপাল বিশ্বাস আজিমের কাছ থেকে আবারো একটি হোয়াটস্অ্যাপ মেসেজ পান যে- তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং তার সঙ্গে ‘ভিআইপিরা’ আছেন, তাই তাকে যেন ফোন না করা হয়। এর দুদিন পর ১৭ মে গোপাল বিশ্বাসকে আজিমের মেয়ে ফোন করে জানান যে, তার বাবার সঙ্গে কিছুতেই তারা যোগাযোগ করতে পারছেন না।

বিশ্বাস বলেন, সে খবর জানতে পেরে কলকাতায় ওর যত ঘনিষ্ঠ মানুষ আছেন বলে আমি জানি, সবাইকে বিষয়টা জানাই। তারাও খোঁজখবর করতে শুরু করেন; কিন্তু কোনোভাবেই আজিমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ১৮ মে বরাহনগর থানায় যান তিনি।

বিশ্বাস বলেন, সেখানে আমাকে সারাদিন বসিয়ে রাখা হয়। পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। সেসব খতিয়ে দেখে আমার নিখোঁজ ডায়েরি নেওয়া হয়। তারা ওই ভাড়ার গাড়িটির নম্বরও পেয়ে যায়। চালকের সঙ্গে কথা বলেছে। নিশ্চয়ই পুলিশ খোঁজখবর করছে, আমাকে তো আর সব তথ্য জানাচ্ছে না।

বাবার খোঁজে ভারতে এমপি-কন্যা

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস যে তথ্য পেয়েছে, তা অনুযায়ী ১৭ মে আজিমের মোবাইল নম্বরটি কিছুক্ষণের জন্য বিহারে অবস্থান করছিল।

অন্যদিকে ঢাকায় ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার দুটি বাংলাদেশি নম্বর আছে আর একটি ভারতের নম্বর। আমরা ভারতীয় পুলিশের সহযোগিতায় তার ভারতীয় নম্বরটি দেখলাম মুজাফফরাবাদ অর্থাৎ বিহারের দিকে।

ঘটনাচক্রে বিহারে মুজাফফরাবাদ নামের জায়গা নেই। পাকিস্তান শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানীর নাম মুজাফফরাবাদ, আর প্রায় কাছাকাছি যে নামের জায়গা বিহারে আছে, সেই জায়গার নাম মুজাফফরপুর।

ডিবির প্রধান জানিয়েছেন, আমরা বিষয়টার খোঁজখবর রাখছি। ভারতের যারা বাংলাদেশে আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছি, আবার ভারতীয় পুলিশের সঙ্গেও কথা বলছি। উনার পরিবারও যোগাযোগ রাখছে আমাদের সঙ্গে। তার মেয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন।

ডিবি কার্যালয়ে বাবার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা দিয়েছেন সংসদ সদস্যের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি সাংবাদিকদের জানান যে তিনি নিজেই ভারতে যাচ্ছেন বাবার খোঁজখবর করতে।

ডরিন বলেন, আমরা তো ভারতে মাঝে মাঝেই যাই। পার্লামেন্ট যেহেতু বন্ধ হয়ে গেছে, তাই দু-তিন দিনের জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। এ রকম রেগুলারই তিনি যান। উনার কানে একটা সমস্যা আছে, একটা কান পুরোই বন্ধ হয়ে গেছে। সেটি চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন।

জাতীয়

রেলে অধিক যাত্রী পরিবহণে আরও ২০০ যাত্রীবাহী কোচ কেনা হচ্ছে। এসব কোচ ভারত থেকে আনা হবে। এ বিষয়ে সোমবার রেলভবনে চুক্তি সই হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী বলেন, আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে আপনারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ।

রেলপথ সচিব বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। মহাপরিচালক বলেন, রেলের লক্ষ্য যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো।

ভারত থেকে আসা বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতিসম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে এবং পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

জাতীয়

আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) উন্নয়ন বাজেটের প্রধান অংশ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। এতে যুক্ত হচ্ছে বৈদেশিক ঋণের ২৫৭টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্প।

ঋণদাতাদের আকৃষ্ট করতে অনুমোদন ও বরাদ্দহীনভাবে এসব প্রকল্পের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৯ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ হিসাবে ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকার জোগান দেবে।

এগুলোর মধ্যে উচ্চ অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২১৭টি, মধ্যম ৩৬ এবং নিু অগ্রাধিকারে আছে ৪টি প্রকল্প। সম্প্রতি অনুমোদিত এডিপি পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) এডিপিতে এরকম প্রকল্প আছে ২৩২টি। আগামী অর্থবছর বেড়েছে ২৫টি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আজম শনিবার বলেন, এমন তালিকা থাকলে উভয় পক্ষেরই সুবিধা হয়। সরকারের অগ্রাধিকারের জায়গাগুলো পরিষ্কার থাকে। পরে উন্নয়ন সহযোগীরা নিজেদের অগ্রাধিকারের সঙ্গে মিলিয়ে অর্থায়ন করতে পারে। সরকারের চাহিদার সঙ্গে ঋণদাতাদের চাহিদার মধ্যে সমন্বয় করাটা সহজ হয়।

তবে এর মধ্যেও সময় সময় সরকারে অগ্রাধিকার পরিবর্তন হতে পারে। বাস্তবতার নিরিখে যে ধরনের প্রকল্প প্রয়োজন সেগুলো যুক্ত করা হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজনও করা হয়ে থাকে।

সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের এডিপিতে যুক্ত হতে যাওয়া বৈদেশিক সহায়তা নির্ভর নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতের ৪৮টি। এগুলো বাস্তবায়নে ঋণের প্রয়োজন হবে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতের ৪৩ প্রকল্পের জন্য ঋণ লাগবে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।

তৃতীয় স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৪২টি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন হবে ৪৩ হাজার ৭২৫ কোটি টাকার ঋণ। এছাড়া অন্যান্য খাতের মধ্যে সাধারণ সরকারি সেবা খাতের ১৩ প্রকল্পের জন্য ১৯ হাজার ২ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবার ১৮ হাজার ৩ কোটি, কৃষির ১৯ প্রকল্পে ৯ হাজার ৩৫০ কোটি এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতের ১৬ প্রকল্পের জন্য দরকার ৪৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ।

আরও আছে স্বাস্থ্য খাতের ৭ প্রকল্পে ৬৬ হাজার ৭৪২ কোটি, ধর্ম ও সংস্কৃতির ৪ প্রকল্পে ৩৩৭ কোটি, শিক্ষার ১৬ প্রকল্পে ১০ হাজার ২১৬ কোটি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির ৮ প্রকল্পে ৭ হাজার ৮২ কোটি এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের ২ প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন ১৫৬ কোটি টাকা।

ঋণের জন্য বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি, জাইকা, চীন, ভারত, রাশিয়াসহ প্রচলিত এবং অপ্রচলিত উন্নয়ন সহযোগীর খোঁজ করা হবে বলে জানা গেছে।

এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রকল্প হলো-পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের প্রত্যাশা হচ্ছে ৫৬ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা। ২০২৯ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে চায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন ৬১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা। ঋণ পেলে এটি আগামী অর্থবছরের শুরু থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাউথ করিডর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ফরিদপুর-বরিশাল এবং বরিশাল-কুয়াকাটা) এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯১৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের প্রত্যাশা ২৮ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের শুরু থেকে ২০৩০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে। ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি কেরানীগঞ্জ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৫৪ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা।

২০৩৪ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়া তুরাগ নদীর বন্যা প্রবাহ অঞ্চলের সংরক্ষণ এবং কমপ্যাক্ট টাউনশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্য ৪৫ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। ২০৩৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার।

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (মেট্রোরেল লাইন-৫) এর মোট ব্যয় হবে ৫৪ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে চায় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ।

আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো, হাওড় ফ্ল্যাড এন্ড লাইভলিহুড প্রজেক্ট, জলবায়ু সহনশীল টেকসই জীবিকা প্রসার প্রকল্প, ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক উন্নয়ন এবং ভাঙ্গা জয়শন (ফরিদপুর) হতে বরিশাল হয়ে পায়রাবন্দর ও কুয়াকাটা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলাইন নির্মাণ প্রকল্প।

জাতীয়

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।

নিখোঁজ সংসদ সদস্যের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন বিহারের মুজাফফরাবাদের দিকে শনাক্ত করা গেছে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।

তিনি বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ১২ মে দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। কলকাতায় তার পরিচিত গোপাল নামে একজনের বাসায় ওঠেন। পরদিন ১৩ মে সকালে নাস্তা করে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় গোপালের বাসায় যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আর যাননি তিনি।

তখন থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার এপিএস ও মেয়ে মোবাইলে যোগাযোগের করে ব্যর্থ হন। সংসদ সদস্যের মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে যে মেসেজগুলো এসেছে, ‘তিনি দিল্লীতে আছেন, ওমুক-তমুকের সঙ্গে দেখা হবে। ’ কিন্তু এই মেসেজগুলো আনারের পরিবার বিশ্বাস করছে না।

হারুন-অর-রশীদ বলেন, আমি বিষয়টি দুইদিন আগেই জানতে পারি। ভারতীয় একজন ভদ্রলোক সংসদ সদস্যেরও পরিচিত তিনি আমাকে টেলিফোন করে সংসদ সদস্যকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি জানান। বিষয়টি জানার পর, ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসটিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভারতীয় থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, সংসদ সদস্যের একটি বাংলাদেশি ও আরেকটি ভারতীয় নম্বর ছিল। ১৬ মে সকাল ৭টার দিকে সংসদ সদস্যের নম্বর থেকে দুটি ফোন আসে। একটি আসে সংসদ সদস্যের এপিএসের নম্বরে, আরেকটি ফোনকল আসে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নম্বরে। কিন্তু তখন দুজনের কেউই টেলিফোন ধরতে পারেনি।

ভারতীয় পুলিশের সহযোগিতায় জানতে পেরেছি, খুঁজে না পাওয়া সংসদ সদস্যের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন মুজাফফরাবাদ, অর্থাৎ বিহারের দিকে। সবকিছু মিলিয়ে আমরাও খোঁজ-খবর রাখছি।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে এসেছে আমাদের কাছে। এমপির নম্বরটি মাঝেমধ্যে খুলছে, আবার বন্ধ হচ্ছে। কারা কাজটি করছেন। তিনি কোনো ব্ল্যাক মেইলের শিকার হয়েছেন কি-না সবকিছুই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার তার কানের চিকিৎসা করাতে ভারতে যান।

জাতীয়

রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগি থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বগি ও ইঞ্জিনের সংযোগকারী হুক খুলে বিকল হয়ে পড়ে ট্রেন।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটলে ট্রেনটি উদ্ধারে কমলাপুর স্টেশন থেকে অন্য একটি ইঞ্জিনের সহায়তায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।

বাংলানিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহাদাৎ হোসেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ট্রেনটি তেজগাঁও থেকে কমলাপুর স্টেশনে ঢোকার সময় খিলগাঁও রেলগেটে ইঞ্জিন থেকে হুক খুলে গেছে। ওই ইঞ্জিনে আর কাজ করা যাবে না। এই ট্রেনটি উদ্ধারের জন্য কমলাপুর থেকে অন্য এক আরেকটি ইঞ্জিন ইতোমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছে।

তিনি বলেন, উদ্ধারে কাজ চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রেনটি উদ্ধার করে কমলাপুর স্টেশনে নিয়ে আসা হবে।

জাতীয়

ডলারের প্রবাহ বাড়াতে বিশেষ প্রচারে নামছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠাতে উৎসাহিত করা হবে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রবাসীদের জন্য অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজি টু সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৪ মে এটি অনুষ্ঠিত হবে।

এতে অংশগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এই প্রথমবারের মতো ব্যাংকগুলোর পক্ষে বিদেশে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রবাসীরা বিদেশে যেসব অর্থ আয় করেন সেগুলোর একটি অংশ তারা দেশে পাঠান। আরেকটি অংশ বিভিন্ন ব্যাংকে রেখে খরচ করেন বা সঞ্চয় করেন। বিদেশের ব্যাংকে প্রবাসীরা যেসব অর্থ রাখেন তা দেশীয় ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে জমা রাখলে দেশে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। অন্যদিকে বাড়তি মুনাফার পাশাপাশি যখন খুশি তখনই এসব ডলার তুলে প্রবাসীরা খরচ করতে পারবেন। প্রবাসীরা বিদেশে থেকেই দেশের যে কোনো অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে হিসাব খুলে টাকা জমা রাখতে পারবেন।আবার যখন খুশি তখন তুলেও নিতে পারবেন। দেশের সব ব্যাংকই এখন অনলাইনে লেনদেন করছে। বিদেশে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর শাখা যেমন আছে, তেমনি এক্সচেঞ্জ হাউজও রয়েছে। এছাড়া প্রতিনিধিত্বকারী শাখাও আছে। অফশোর ব্যাংকিং হিসাবের আওতায় প্রবাসীরা যাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে উদ্বুদ্ধ হন, সেজন্যই ব্যাংকগুলো এই বিশেষ প্রচারের আয়োজন করেছে।

জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানসহ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এমডিরা। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। বিশেষ অতিথি থাকবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।

একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক ব্যাংক’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ব্যাংকগুলোর এমডিরা। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এসব ব্যাংক এমডির বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে। তবে ডলার সংকটের মধ্যে একসঙ্গে এত বেশি ব্যাংকের এমডির বিদেশে যাওয়া নিয়ে ব্যাংক খাতে নানা প্রশ্ন উঠেছে।