জাতীয়

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।

২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভোলা জেলার চর কুকরি- মুকরিতে যখন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন তখন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ‘নবীনবরণ এবং কৃতি সংবর্ধনা ২০২২’ উপলক্ষে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস।

সমিতির সভাপতি সাব্বির সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তৃতা করেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস প্রমুখ।

পলক আরো বলেন, ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী তরুণদের পাশাপাশি একজন তরুণীকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। বর্তমানে ৮ হাজার ৩৬৩ টি ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের উপরে তরুণ-তরুণী উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে। ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা মানুষের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতিমাসে ১ কোটি মানুষ এসব সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করছে। সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই দেশ-বিদেশে ব্যবসা করছে। এটাই হল শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে আগামী দিনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

পরে তিনি নাটোর জেলার ৭ উপজেলার ৭ জন কৃতিশিক্ষার্থীর মাঝে ল্যাপটপ প্রদান করেন।

জাতীয়

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে কর্মী ছাটাই ও গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশ।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ মাধ্যম নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র, সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, সাংবাদিকরা ভালো নেই৷ সাড়ে ৪ বছর পরও ওয়েজ বোর্ডের কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না। আগামীতে পত্রিকা, টেলিভিশনে যদি ৯ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন। আজকের সমাবেশ থেকে এসব ঘটনার নিন্দা জানাই।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়নের (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, সাংবাদিকদের জীবন এখন বিপন্ন প্রায়। তাদের রুটি-রুজি সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। মালিকপক্ষ তাদের অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে পাওনা পরিশোধ করছেন, কিন্তু গণমাধ্যম ঠিক মত চালাচ্ছেন না।

ডিইউজে(একাংশ) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, তাতে সাংবাদিকদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সামান্য বেতন দিয়ে দৈনন্দিন চলাফেরাসহ পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আরও দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপরে বিভিন্ন স্থানে যে হামলা-মামলা হচ্ছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। যদিও আইনমন্ত্রী বলেছিলেন কোনো সাংবাদিক এর স্বীকার হবেন না, কিন্তু সে কথা রাখা হয়নি।

তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমরা তাকে অভিভাবক মানি। আমাদের সবকিছু দেখার দায়িত্ব তার। তিনি একজন বিচক্ষণ সংগঠক। সুতরাং তথ্যমন্ত্রীর উচিত সাংবাদিকদের এই দাবি মেনে নেওয়া।

এছাড়াও নবম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী সাংবাদিকদের বেতন চালু করার জোর দাবি জানান এই ডিইউজে নেতা।

বিক্ষোভ সমাবেশে ডিইউজে নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

‘এক মাসের বেশি সময় ধরে গোলাগুলি চললেও এতদিন ভয় লাগতো না। কয়েকদিন আগে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা যাওয়ার পর এখন আতঙ্কে আর ঘুমাতে পারি না।

ঘুমেও এখন গুলির শব্দ শুনতে পাই!’

এভাবেই আতঙ্কের কথা জানালেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু পশ্চিমকূল গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিক উদ্দিন (২৩)। শুধু রফিক নন, পার্শ্ববতী দেশ মিয়ানমারে গোলাগুলির শব্দে গত মাসখানেক সময় ধরে সীমান্ত এলাকার বেশির ভাগ মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে।

সীমান্তের বাসিন্দা রফিক জানান, গ্রামের মসজিদে ইমামতি করেন তিনি। ঘুম তো দূরের কথা শুক্রবারে জুমার নামাজ আদায় করাও এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, রাতের বেলায় ঘুম তো আসেই না। চোখে একটু একটু ঘুম এলেই গুলির শব্দে আবার ভেঙে যায়। গুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দে বার বার চমকে ওঠে আমাদের ছেলেমেয়েরা।

বান্দরবানের ঘুমধুম পশ্চিমকূল গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ নুর আহম্মদ বলেন, ১৯৭১ সালেও হয়তো আমার বাপ-দাদারা এরকম গোলাগুলির শব্দ শোনেনি। আমি আমার জীবদ্দশায় এ ধরনের পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি। গোলাগুলির শব্দে আশপাশ কেঁপে ওঠে।

তিনি বলেন, আমি অসুস্থ মানুষ। ঘুমাতে পারছি না অনেকদিন। এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছি। কখন যে এই দুর্দশা থেকে রেহাই পাবো, ভালো করে ঘুমাতে পারবো জানি না!

নুর আহম্মদের মতো এলাকাবাসীর প্রশ্ন কখন শান্ত হবে মিয়ানমার। আবার কখন শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন তারা।

রফিক উদ্দিন জানালেন, এখন পুরো এলাকাজুড়েই আতঙ্ক। গত কয়েক দিনে উত্তর পাড়া, কোনার পাড়াসহ আশপাশের এলাকায় অনেকগুলো গোলা এসে পড়েছে। মর্টার শেল এসে পড়াতে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা গেছেন। বাংলাদেশি এক চাকমা যুবকের পা উড়ে গেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এমন পরিস্থিতিতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোথায় যাবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না রফিক।

৩০০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ

ঘুমধুম সীমান্তের এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ঝুঁকিতে থাকা ৩০০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের কথা ভাবছে প্রশাসন।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে মিয়ানমারে গোলাগুলি চলছে। এতে সীমান্ত এলাকার মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। বিষয়টি বিবেচনা করে সীমান্ত এলাকার অন্তত ৩০০ পরিবার নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ওই ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে এনে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখার পরিকল্পনা চলছে। সোমবার এসব বিদ্যালয় ও এলাকাগুলো জেলা প্রশাসক পরিদর্শন করে এখানকার সুযোগ-সুবিধা পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে জানান ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজী জানান, ঘুমধুম এলাকার মানুষকে কীভাবে নিরাপদে রাখা, তাদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি। পরিস্থিতির বিবেচনা করে যেকোনো সময় আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবো।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা ঘুমধুম এলাকাটি আমি পরিদর্শন করেছি। লোকজনকে সরিয়ে এনে কোথায় রাখা যাবে সেটা দেখছি।

এর আগে একদিনের নোটিশে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৩৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জাতীয়

রাজধানীর মিরপুরে সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনের ডিসি জসীম উদ্দিন।

ডিসি বলেন, মিরপুর-৬ রোডে বিএনপির সমাবেশের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শোকসভায় যাচ্ছিলেন। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকদের সরিয়ে দেয়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসি জসীম উদ্দিন বলেন, এখানে বিএনপির একটি মিটিং ছিল। তারপর পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শোকসভায় যাওয়ার সময় বিএনপির লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর হামলা করার পর আমরা তাদের সরিয়ে দেই।তারপর বিএনপির নেতাদের উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা করে।

কাদের উস্কানিতে, কারা হামলা করেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হামলার জন্য কারা উস্কানি দিয়েছে, কারা হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে- তা তদন্তের পর জানা যাবে। আমরা তাদের (বিএনপি) শন্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছি। অথচ তারা আমাদের ওপর হামলা করল।

এদিকে বিএনপির নেতাদের দাবি, আওয়ামী লীগ তাদের ওপর হামলা করেছে। তখন পুলিশ সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

বিএনপি নেতাদের এই দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি জসীম উদ্দিন বলেন, তারা তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছে। তারা কী বক্তব্য দিয়েছে জানি না। আপনারা দেখেছেন তারা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে।

জাতীয়

সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার দুটি কেন্দ্রে ও লোহাগড়ার একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার শুরুতে বাংলা প্রথম পত্রের স্থলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্নপত্র বিতরণের খবর পাওয়া গেছে।

প্যাকেটের ওপরে বাংলা প্রথমপত্র লেখা থাকায় এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

তাৎক্ষণিকভাবে ভুল প্রশ্নপত্র উঠিয়ে নিয়ে প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণ করে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। জেলায় মোট ২১টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টম্বর) পরীক্ষা শুরু হলে কালিয়া উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নের পরিবর্তে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন বিতরণ করা হলে পরীক্ষার্থীদের কাছে ভুলটি ধরা পড়ে। এছাড়া লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই ঘটনা ঘটে।

কালিয়া প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব দীপ্তিরানী বৈরাগী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের ওপরে বাংলা প্রথমপত্রের কোড লেখা থাকায় এমনটি হয়েছে। পরে টের পেয়ে দ্রুত সেগুলো গুছিয়ে নেওয়া হয় এবং বাংলা প্রথম পত্রের অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। কেন্দ্রটিতে প্রথম দিনে ৩৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে।

এছাড়া বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু হিরা জানান, ১৫টি প্রশ্ন বিতরণের পর বিষয়টি নজরে আসে। এরপর দ্রুত কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা প্রশ্নগুলো ফিরিয়ে নেন এবং সঠিক প্রশ্নপত্র বিতরণ করেন।

দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র কুন্ডু বলেন, আমাদের এখানে সরবরাহকৃত একটি প্যাকেটে প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন ছিল। এ প্যাকেটে ১০০ প্রশ্ন ছিল। পরীক্ষার্থীদের হাতে দেওয়ার আগেই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে এটা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, প্যাকেট করার সময় ভুলের কারণেই এমনটা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্রগুলো সঙ্গে সঙ্গেই ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হবে। তবে পরীক্ষা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে।

জাতীয়

রায়ে আদালত বলেছে, সরকারি চাকরি আইনের ওই ধারা ‘সংবিধান পরিপন্থি এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি’।

ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান ‘বেআইনি’ ঘোষণা করে বাতিল করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

তিন বছর আগে কার্যকর হওয়া সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়।

রায়ে আদালত বলেছে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ওই ধারা ‘সংবিধান পরিপন্থি এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি’।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রায়ের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “আদালত বলেছে, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে আছে, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে। তারপরও ৪১(১) ধারা করে সেখানে সরকারি কর্মচারীদের আলাদাভাবে একটি সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তা কেনোভাবেই সংবিধান সম্মত নয়, এ আইন একটি মেলাফাইড উদ্দেশে করা হয়েছে।”

সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষা দিতে এ আইনের ৪১(১) ধারা সংযোজন করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “এ রায়ের ফলে তাদের গ্রেপ্তারে আর পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই।”

মনজিল মোরসেদ বলেন, “আমরা আদালতকে দেখিয়েছি, এই আইন করার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য রয়েছে, সেখানে সরকারি কর্মচারীদেরকে সাধারণ নাগরিক থেকে একটু আলাদা করে তাদেরকে একটি বিশেষ শ্রেণি হিসেবে দেখিয়ে তাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। অপরাধ করলেও যেন তারা অপরাধী হিসেবে শাস্তি না পায়। বিশেষ করে এই আইনের মাধ্যমে দুদকের যে স্বাধীনতা, সেটা খর্ব করা হয়েছিল।”

২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর গেজেট জারি হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারের এক গেজেটে ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হয়।

আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়, “কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।”

নানা মহলের সমালোচনার মধ্যে আইনের এ ধারা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে হাই কোর্টে আবেদন করে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছরের ২১ অক্টোবর রুল জারি করে হাই কোর্ট। সরকারি চাকরি আইন- ২০১৮-এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল করা হবে না এবং এ ধারা সংবিধানের ২৬(১) ও ২৬(২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।

বুধবার সেই রুলের ওপর শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারায় এমন বিধান রাখা হয়েছিল। পরে তা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করলে আদালত ওই ধারাটি বাতিল করেছিলেন। যদিও সরকার এখনও তা আইন থেকে বাদ দেয়নি। তখন আদালত একে ‘দুঃখজনক’ বলেও মন্তব্য করেন।”

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় আপিল বিভাগের একটি রায় তুলে ধরে বলেন, “আইনটি সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষার জন্য করা হয়েছে। আইনটিতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করেনি। সব সরকারি কর্মচারীর বেলায় এ বিধান প্রযোজ্য।”

তখন এক বিচারক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আইন করার ক্ষেত্রে সরকার কীভাবে বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে দায়মুক্তি দেয়! এতে তো দুর্নীতিতে আরও উৎসাহ জোগাবে।”

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর এ সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতি সংক্রান্ত ধারা ৪১(১) ও ৩ চ্যালেঞ্জ করে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যান আরেকটি রিট আবেদন করেছিলেন। তার প্রাথমিক শুনানির পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর রুল দেয় হাই কোর্ট। এটি হাই কোর্টের আরেক বেঞ্চে বিচারাধীন।

জাতীয়

দিল্লিতে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হয়েছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের লক্ষ্যে হতে চলা সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের পানি সম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হয়।

আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তী পানিবণ্টনের ওপর সমঝোতা স্মারকের বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করেছে উভয় দেশ।”

পাশাপাশি ২০১৯ সালের সমঝোতা স্মারকের আলোকে ফেনী নদীর যে অংশ থেকে ত্রিপুরার সাব্রুমের জন্য পানি নেওয়া হবে, তার স্থান নির্ধারণ ও নকশা বৈঠকে চূড়ান্ত করার কথা জানানো হয় বিবৃতিতে।

দীর্ঘ ১২ বছর পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জেআরসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বৈঠকে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীমও ছিলেন বৈঠকে।

জেআরসি: কুশিয়ারার জন্য এমওইউ চূড়ান্ত, তিস্তায় ফের আশ্বাস

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নদীর যৌথ প্রবাহ থেকে উভয় দেশ যাতে পানি নিতে পারে, সেজন্য দ্রুত সময়ে এমওইউ স্বাক্ষরে ভারতকে সহযোগিতার অনুরোধ করে বাংলাদেশ। ভারত নিশ্চিত করেছে, এটা তাদের সক্রিয় বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকা এ চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার অনুরোধ বাংলাদেশ আবারও জানিয়েছে বৈঠকে।

অন্যদিকে ভারত এ চুক্তি শেষ করতে ‘সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের প্রাপ্য পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের উপায় বের করতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ।

জেআরসি: কুশিয়ারার জন্য এমওইউ চূড়ান্ত, তিস্তায় ফের আশ্বাস
ভারতীয় হাই কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, যৌথ নদীগুলোর পানিবণ্টনের আলোচনার পাশাপাশি বন্যা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়, নদী দূষণ রোধ ও নদীতীর রক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনের সমঝোতা স্মারকটি সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এর আগে যৌথ নদী কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।

জাতীয়

আগুন নেভার পর লাশগুলো পাওয়া গেছে রেস্তোরাঁর মাচায়, সেখানে কর্মীরা ঘুমাতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রেস্তোরাঁর ওপর যে মাচায় ঘুমাতেন কর্মীরা সেটাই দেখাচ্ছিলেন উদ্বিগ্ন স্বজনরা। ঠিক তখনই একজনের পোড়া হাত বের হয়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক তরুণ।

ভাই ওসমান ওই রেস্তোরাঁয় রাতের পালার কর্মী, ডুকরে কেঁদে জানালেন মো. ইকবাল নামে ওই তরুণ। এরপরই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মই দিয়ে মাচায় উঠে ছয়জনের পোড়া দেহের সন্ধান পান।

এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকেও কথা হয় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক বজলুর রশিদের সঙ্গে। তখনও ঘটনাস্থলে হতাহতের কোনো তথ্য নেই তাদের কাছে।

তিনি জানিয়েছিলেন, ভেতরে প্রচন্ড ধোঁয়া। সেখানে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

একটু পরই রেস্তোরাঁ কর্মীদের কয়েকজন আত্মীয় এসে জানান, তাদের স্বজনদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে চকবাজারের কামালবাগে দেবী দাস ঘাট এলাকার চারতলা একটি ভবনে আগুন লাগার পর ফায়ার সর্ভিসের ১০টি ইউনিট সোয়া দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুন নেভার পর লাশগুলো পাওয়া গেছে ভবনের নিচতলায় ‘বরিশাল রেস্টুরেন্টের’ ছাদের নিচে কাঠ দিয়ে বানানো মাচায়। সেখানে কর্মীরা ঘুমাতেন বলে জানান চকবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম।

রাতের পালায় কাজ করা আটজন কর্মী দিনের বেলায় সেখানে ঘুমাতেন। সেখানেই মিলেছে ছয়জনের লাশ।

ফায়ার সার্ভিসের অয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মাচা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

তবে লাশগুলো শনাক্ত করা যায়নি। রেস্তোরাঁর নিখোঁজ কর্মী বিল্লালের ভাই আইয়ুব আলী বলেন, “আগুন লাগার পর থেকেই বিল্লালকে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছিল না।”

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও যখন বলা হচ্ছিল যে, হতাহত নেই তখন তারা আশায় বুক বাঁধছিলেন।

তিনি বলেন, “এমনও হতে পারে যে, তার ফোনটা পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে, তাই সব আত্মীয়-স্বজনকে আসতে বলেছি, যাতে খোঁজাখুঁজি করে বিল্লালকে পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হল না।”

অগ্নিকাণ্ডে বিল্লাল এবং ওসমান ছাড়াও শরীফ এবং স্বপন নামে রেস্তোরাঁর আরও দুই কর্মীর সন্ধানে ঘটনাস্থলে এসেছেন তাদের স্বজনরা।

তবে উদ্ধার করা লাশগুলো স্বজনদের দেখতে দেওয়া হয়নি। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে আসা স্বজনদের ঘটনাস্থল থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

দেবী দাস ঘাটের সরু গলির মধ্যেই সারি সারি প্লাস্টিকের কারখানা ও প্লাস্টিক পণ্যের গুদাম। সোমবার দুপুরে যে ভবনটিতে আগুন লাগে তার নিচতলাতেই ওই রেস্তোরাঁ।

পাশেই প্লাস্টিক কারখানার কাঁচামালের দোকান আর উপরের তলায় প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানা। স্থানীয়রা জানান, কারখানাগুলোতে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ হয়। তাই রেস্তোরাঁটিও রাত-দিন খোলা থাকে।

জাতীয়

রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডারের চাপায় একটি প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রীর নিহতের ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার, সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান ও ডিএমপির এডিসি মনজুর মোর্শেদ।

এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরার আড়ং শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- গাড়ির মালিক রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪২), ঝর্না (২৮), দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনিকে (২১)।

হতাহতদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, বর হৃদয়ের বাবা নিহত রুবেল হোসেন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। নিহত ফাহিমা কনে রিয়া মনির মা। এছাড়াও নিহত ঝরনা হৃদয়ের খালা। শিশু দুটির মা ঝরনা।

ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, ‘আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত।’

তিনি বলেন, ‌‘ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার উপরে তোলার সময় নিচে পড়ে যায়। গার্ডারটি একটি প্রাইভেটকারের ওপরে পড়ে।’

জানা গেছে, নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনির বিয়ে হয় গত শনিবার। ঢাকায় সেই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তারা আশুলিয়া ফিরছিলেন।

জাতীয়

নাটোরের সেই কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গুরুদাসপুরে নিজ গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট গঠিত মেডিক্যাল টিম থেকে জানানো হয়েছে শ্বাসরোধের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজায় আশপাশের হাজারো মানুষ অংশ নেয়। এর আগে সন্ধ্যার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে পুলিশের সহায়তায় মরদেহ হস্তান্তর করেন তিন সদস্য বিশিষ্ট গঠিত মেডিকেল টিমের সদস্যরা।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে তার মরদেহটি দাফন করা হয়েছে।

এদিকে গঠিত মেডিক্যাল টিমের প্রধান নাটোর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সামিউল ইসলাম শান্ত রাতে বলেন, শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ভিসেরা রিপোর্ট এলে আসল কারণ জানা যাবে।

ইাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, শিক্ষিকা মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচাতো ভাই ইউনুস আলী একটি ইউডি মামলা করেছেন। ঘটনাটি স্পর্শ কাতর তাই গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিক্ষিকার স্বামী মামুন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।