জাতীয়

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে সার্চ কমিটির সম্ভাব্য সদস্যদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে সরকার। ১৩তম নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশ করবে এই কমিটি।

ইসি গঠনে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষে সার্চ কমিটির সদস্যদের নাম প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। ২০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে এই সংলাপ। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ১২তম নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

আরও জানা গেছে, সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রীয় অন্যসব কাজে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে হয়। এ কারণে সার্চ কমিটি গঠনে সদস্যদের খোঁজার কাজটি কার্যত সরকারের মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে।

২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছিল। ওই সময় সার্চ কমিটি প্রধান হিসাবে নিয়োগ পান সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের একজন সিনিয়র বিচারপতি। সদস্য ছিলেন- হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ও সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান। তবে ২০১৭ সালে আগের কমিটির সংশ্লিষ্ট পদধারীদের বহাল রেখে আরও দুজন সদস্য বাড়ানো হয়। তাদের মধ্যে একজন নারীসহ দুজনই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার আগের কমিটির সংশ্লিষ্ট পদধারীদের বহাল রেখে সুশীল সমাজ, সাবেক আমলাদের মধ্য থেকে আরও একজন করে সদস্য নেওয়া হতে পারে। তবে যত সদস্যের কমিটিই হোক না কেনো- সেখানে অন্তত একজন নারী সদস্য রাখা হবে।

বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্যে রয়েছেন মো. ইমান আলী, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মো. নূরুজ্জামান এবং ওবায়দুল হাসান। এদের সিনিয়র দুজনের মধ্যে যেকোনো একজনকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তাই এবার আপিল বিভাগ থেকে সার্চ কমিটির প্রধান হিসাবে আগের সার্চ কমিটিতে থাকা অভিজ্ঞ একজনকে রাখা হতে পারে।

অন্য দিকে বর্তমানে সিএজির দায়িত্বে আছেন সাবেক সচিব মুসলিম চৌধুরী ও পিএসসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন সাবেক সচিব সোহরাব হোসাইন। সূত্র আরও জানায়, যারা পদাধিকার বলে নির্ধারিত সদস্য তাদের জানুয়ারি মাসে কারও বিদেশ সফর আছে কিনা, শারীরিক অবস্থা কী এসব বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে অনির্ধারিত সদস্যদের মধ্যে যাদের কথা ভাবা হচ্ছে তারা সার্চ কমিটিতে থাকতে ইচ্ছুক কিনা-সে বিষয়েও আগাম মতামত নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন কোনো আইনি প্রক্রিয়া নয়। সংবিধানে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হলেও গত অর্ধ শতাব্দীতে কোনো সরকারই আইন করেনি। সার্চ কমিটির বিষয়ে সংবিধানেও কিছু বলা নেই। তবে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মতে, সার্চ কমিটি কোনো আইনি প্রক্রিয়া না হলেও রাষ্ট্রপতির আদেশ আইনের কাছাকাছি বলেই ধরতে হবে।

জাতীয়

নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় বাধা থাকলেও বিভিন্ন কৌশলে মাঠে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। বিশেষ করে নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীই বসে নেই।

উঠান বৈঠক, ঘরোয়া বৈঠক কিংবা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে সরাসরি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে কেউ কেউ মোটরসাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন, মিছিল করছেন; আবার কেউ কেউ শহরময় মাইকিং করেও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লাগানো পোস্টার ব্যানার সরিয়ে নেওয়া তো দূরের কথা নতুন করে পোস্টারে পোস্টারে ভরে ফেলছেন পুরো এলাকা। নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসের কোনো নজরদারি নেই বলে প্রার্থীদের অনেকেই গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করছেন।

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এবারের নাসিক নির্বাচনে মোট ২৫৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের মধ্যে থেকে ২১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে ৮, নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৬ জন ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন।

এদিকে শুক্রবার দিনভর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। এ সময় তৈমুর আলম খন্দকারকে পেয়ে মুসল্লিরা ছাড়াও ওই সব এলাকার শত শত মানুষ ছুটে আসেন তাকে এক নজর দেখেতে।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে অ্যাডভোকেট তৈমুর জুমার নামাজ আদায় করেন নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের আমলাপাড়া বড় মসজিদে। নামাজ শেষে তিনি সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর আসরের নামাজ আদায় করেন নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের তল্লা বড় মসজিদে এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করেন ১৮নং ওয়ার্ডের নোল্লাপাড়া বড় মসজিদে।

এ সময় তৈমুর আলম গণমাধ্যমের কাছে বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর জেলা ও মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে স্মরণকালের বিশাল বিজয় র্যা লি হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেই র্যা লিতে যাইনি। অথচ ওই দিনই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকার পক্ষে করা সমাবেশে অংশ নিয়েছেন, শহরে মিছিল করেছেন।

তিনি বলেন, আজ (শুক্রবার) নৌকার প্রার্থী বন্দরের কদমরসুল দরগায় গিয়েছেন এবং সেখানে শত শত লোক নিয়ে মিছিল করছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচন কমিশন দ্বিমুখী আচরণ শুরু করে দিয়েছে। আমি মনে করি, সরকারের উচিত এই দ্বিমুখী আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। আমি আগেও বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এ নির্বাচনটি যদি কারচুপিহীন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তবে তার নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইস্যুটিকেও মসৃণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে কারণ সাধারণ মানুষ তাদের মতপ্রকাশে উদগ্রীব হয়ে আছেন।

অপরদিকে শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার কদমরসূল দরগাহ জিয়ারতে যান আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। যাবার সময় এবং জিয়ারত শেষে ফেরার পথে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। অনেকে আগে থেকেই সেখানে ফুল নিয়ে আইভীর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। তারা ফুল ছিটিয়ে আইভীকে বরণ করে নেন।

তবে এ মিছিল ও প্রচারণা নিয়ে সেখানে উপস্থিত গণমাধ্যমের কাছে কোনো কথা বলেননি আইভী। যদিও সেখানে উপস্থিত আইভীর নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, আইভী কাউকে জানিয়ে আসেননি এবং তিনি মিছিল করতে বলেননি। উপস্থিত নেতাকর্মীরা হয়তো নৌকার পক্ষে নিজে থেকেই স্লোগান দিয়েছেন। তবে সিনিয়র নেতারা স্লোগান দিতে বারবার নিষেধ করলেও নেতাকর্মীরা তা শোনেননি।

জানা গেছে, নাসিক নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধির ৫ ধারায় অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না।

সেখানে এই বিধির ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দীপু বলেন, ডা. আইভী এ অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন মানুষ। তিনি কোনো এলাকায় গেলে এমনিতেই শত শত মানুষ তার পেছনে হাঁটতে থাকেন। সাধারণ মানুষকে তো আর আটকে রাখা যায় না।

অপরদিকে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর গত ২ দিনের আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে নাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান জানান, আইন সবার জন্য সমান। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টা আমার জানা নেই, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ১৬ ডিসেম্বর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল করেছেন নগরীর বিভিন্ন সড়কে। এ ব্যাপারেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশন।

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে দাঁড়িয়ে সমৃদ্ধির সোপান বেয়ে আজকের বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয়

মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।

এরপর প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে যান। বঙ্গবন্ধু ভবনে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন তিনি।

পরে সকাল ৮টার পর দলের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বোস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এর আগে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করবে সম্মিলিত বাহিনী।

প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।

বিকেল সাড়ে ৪টায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ায় সর্বশক্তি নিয়োগের শপথ নেবে বাংলাদেশের নাগরিকরা।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এ শপথ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সারা দেশ থেকে শপথ নেবেন দেশের নাগরিকরা।

এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলেও জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান।

জাতীয়

দেশের ২২তম ও বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে এ মাসের ৩১ ডিসেম্বর। ওই দিন তিনি অবসরে যাবেন। তার আগেই নিয়োগ দেওয়া হবে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি।

কে হচ্ছেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি— এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিষয়টি এখন আইনজীবীদের মুখে মুখে। রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের একটির শীর্ষ পদে কে বসতে যাচ্ছেন— সেটি জানা যাবে আর কয়েকদিনের মধ্যেই।

সাধারণত আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারককেই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি করা হয়। তবে জ্যেষ্ঠতার এ নিয়ম অনেকবার মানা হয়নি। সংবিধানে এ বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। রাষ্ট্রপতি যাকে চাইবেন, তাকেই তিনি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন।

সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এ কারণে পুরো বিষয়টিই রাষ্ট্রপতির ওপর নির্ভর করছে।

তবে বর্তমানে আপিল বিভাগে বিদ্যমান পাঁচ বিচারকের মধ্যে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে গেলে বাকি থাকবেন আর চার বিচারক। তারা হলেন- বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

আইন বিশারদরা জানান, জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা বিচারপতি ইমান আলীর। তবে জ্যেষ্ঠতা অনুসরণ করা না হলে আপিল বিভাগের বাকি বিচারক বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি।

আইনজীবীরা বলছেন, আপিল বিভাগের চার বিচারপতির তিনজনেরই অবসরের মেয়াদ ২০২৩ সালের মধ্যে।

সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারপতি পদে থাকা যায়। সে হিসেবে বিচারপতি ইমান আলী অবসরে যাবেন ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি। তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলে তার মেয়াদকাল হবে এক বছর।

আর বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নিয়োগ পেলে তার প্রধান বিচারপতির মেয়াদকাল হবে দেড় বছরের বেশি। কারণ তার মেয়াদকাল ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ ছাড়া বিচারপতি নুরুজ্জামান ননী অবসরে যাবেন ২০২৩ সালের ১ জুলাই এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অবসরে যাবেন ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি।

জাতীয়

আজ ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নতমস্তকে আত্মসমপর্ণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

আজ বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। যেসব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমেই এই দিবসের মহিমা প্রকাশ পাবে আজ।
এবার বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী, অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীও এই বছর। সব মিলিয়ে এবারের বিজয়ের উদযাপনে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। তবে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার মহান বিজয় দিবস পালনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যে লড়াইয়ে লাখো প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা; জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করবে সেই শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্মরণ করবে সেইসব বীর সেনাদেরকে, যারা শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি দেশ উপহার দিয়েছেন।

যেসব নর-নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মান জানানো হবে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সড়কদ্বীপ ও মোড় আলোকসজ্জিত করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে জাতীয় পতাকা শোভা পাবে আঙিনায়।

বুধবার থেকেই ঢাকার অলিগলিতে মাইকে বাজতে শোনা যায় বঙ্গবন্ধুর রেকর্ড করা ভাষণ ও মুক্তির গান। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সূচনা হবে দিবসটির।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারি–বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিওতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা বাণী দিয়েছেন। সেই বাণীতে তারা বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাইকে।

জাতীয়

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছরের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করে সাড়ে ২১ বছর। দেশের বাজেটের আকার, রাজস্ব আয়, রেমিট্যান্স, দারিদ্র্য নিরসন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো তৈরি ও উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নে সাফল্য এসেছে। সব কৃতিত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

বুধবার বিকালে রাজধানীর বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৬৯নং ওয়ার্ড ও সব ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশারের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী।

এতে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এফএম শরিফুল ইসলাম শরিফ, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খাঁন মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন প্রমুখ।

মির্জা আজম বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়। জাতির পিতাকে হত্যার পরবর্তী দীর্ঘ একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে পাঁচ বছর। মাঝে পাঁচ বছর বাদ দিয়ে ২০০৯ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর একটানা নিরলসভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, আমরা আজ জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করছি। খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে বিশাল এলাকার ওপর আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে ‘রোল মডেল’। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মর্যাদাশীল ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে।

মির্জা আজম বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে স্বাধীনতা দিবস আছে কিন্তু বিজয় দিবস নেই। কিন্তু আমাদের বিজয় দিবস রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে আমরা বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। আর ৩০ লাখ শহিদের রক্ত ও দুই লক্ষ ৭০ হাজার মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা এ বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি; যাদের ঋণ কোনোদিন শোধ করা যাবে না। তাই দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে অর্জিত আমাদের এ মহান স্বাধীনতার পর কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের দলে বা আওয়ামী লীগের ইউনিট কমিটিতে স্থান দেওয়া যাবে না।

জাতীয়

সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমি সব সময়ই সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। আমি এর আগে যখন ২০১১ সালের সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছিলাম, তখনো বলেছি এখনো বলি, আমার জোরালো দাবি ছিল সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের।

বুধবার বিকালে শহরের দেওভোগের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পূর্বেও মার্কা ছিল না, কিন্তু দল সমর্থীত প্রার্থী থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে তার (বিএনপি প্রার্থীর) কী কৌশল তা আমার জানার কথা না। তবে প্রতীক মুখ্য বিষয় নয়, ব্যক্তি ইমেজের একটা ব্যাপার আছে। দেখা যাক কী হয়।

আইভী বলেন, আমি সরকার দলের হয়ে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচন করছি। পৃথিবীর সব জায়গায় ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে। ভুল-ত্রুটি যা আছে তা আস্তে আস্তে ঠিক হবে। এবার ইভিএম নির্বাচনকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।

নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী। বুধবার মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনে সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা।

মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ, খেলাফত মজলিসের সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলার সভাপতি এবিএম সিরাজুল মামুন, খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জয় বাংলা নাগরিক কমিটির মনোনীত প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু।

সব কিছু ঠিক থাকলে মেয়র পদে লড়াইটা জমবে বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তৈমুর আলম খন্দকারের সঙ্গেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন আইভী। আর তৈমুর স্বতন্ত্র প্রার্থী, তার ভাষ্য- আমার মার্কা জনগণ।

এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪, মহিলা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ভোটার। ভোট গ্রহণের জন্য মোট কেন্দ্র রয়েছে ১৮৭টি এবং এর মধ্যে ভোট কক্ষ ১ হাজার ৩০১টি। এছাড়া অস্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৯৫টি। এবার নতুন ভোটারের অধিকাংশই তরুণ।

তফসিল অনুযায়ী, ২০ ডিসেম্বর নাসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৬ জানুয়ারি।

জাতীয়

মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে আতশবাজি ফোটানোসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ঘড়ির কাঁটায় ১২টা ১ মিনিটে আসতেই আতশবাজির গুচ্ছ আলো আর শব্দে উদ্ভাসিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আতশবাজি ফুটিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আছে উপাচার্য ভবনসহ প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জমায়েত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাত্রা।

জাতীয়

সাবেক চিফ হুইপ পটুয়াখালী-২ আসনের এমপি আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি ভাঙচুর-অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সাক্ষীর তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ প্রভাবশালী নেতারা।

মঙ্গলবার পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাউফল সদর ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক।

একটিমাত্র উপজেলা বাউফল নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-২ আসনের এমপি আ স ম ফিরোজের জন্মস্থানও বাউফল। এখান থেকে ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ফিরোজ আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত মেয়াদে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ফিরোজ বঙ্গবন্ধুর প্রতি চরম অবমাননার পাশাপাশি তার ছবি পা দিয়ে মাড়িয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগও আনা হয়েছে ফিরোজের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ প্রমাণে যে ১০ জনকে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এছাড়া বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান আলতাফ হোসেন ভুলুকেও করা হয়েছে সাক্ষী।

আ স ম ফিরোজ অবশ্য হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন মামলার বিষয়টি। ছাত্রজীবন থেকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পেরে না ওঠা আজন্মকালের ষড়যন্ত্রকারীরাই এসব করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অজানা কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো অন্যায় করলে দল নিশ্চয়ই আমার বিরুদ্ধে বহু আগেই ব্যবস্থা নিত।’

এদিকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জুতা পায়ে বাউফলের শহিদ বেদিতে উঠেন সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ। জুতা পায়ে শহিদ বেদিতে উঠা এমপি ফিরোজের একটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা।

দায়ের হওয়া মামলা প্রসঙ্গে অবশ্য কোনো সিদ্ধান্ত দেননি আদালতের বিচারক পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন। এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়ার জন্য ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন তিনি। বিচারকের দেওয়া এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর।

মামলার আবেদনে ১নং সাক্ষী হিসেবে নাম থাকা প্রসঙ্গে জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি জাহাঙ্গীর কবির নানক। খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি তার।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি ফিরোজ বলেন, আজন্মকাল ধরে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী আমি। দল এ পর্যন্ত ৯ বার আমাকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছে। পালন করেছি জাতীয় সংসদের হুইপ এবং চিফ হুইপের দায়িত্ব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য এবং পরীক্ষিত কর্মী না হলে তো তিনি আমায় এভাবে বারবার সম্মানিত করতেন না। তাছাড়া জাতির পিতার কন্যা জননেত্রীর অজানা কিছু নেই। তিনি সবই জানেন। তেমন কোনো অপরাধ করলে তিনি নিশ্চয়ই আমাকে এভাবে সুযোগ দিতেন না।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ছাত্রজীবনে আমি বরিশাল বিএম কলেজের ভিপি ছিলাম। সেই সময় থেকে যারা রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় আমার সাথে পেরে ওঠেননি তারাই এখনো আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। এ মামলার বিষয়টিও সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। দল আমাকে বিশ্বাস করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবই জানেন। তাই এসব ষড়যন্ত্র শেষ পর্যন্ত সফল হবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো- যে নির্বাচনী এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে ৭ বার এমপি বানিয়েছেন তাদের অসম্মানিত করা হচ্ছে এসব মামলা আর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। সব ষড়যন্ত্র ভেদ করে সত্যিটাই প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।