জাতীয়

প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার রাতে (০৭ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বিতর্কিত ও অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মঙ্গলবার সকালেই প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পদত্যাগপত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পাঠান মুরাদ হাসান।

পরে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একজন কর্মকর্তা পৌঁছে দেন। সেই পদত্যাগপত্রের সারসংক্ষেপ তৈরি করে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিমন্ত্রী পদে মুরাদ হাসানের অব্যাহতির বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।

এর আগে মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কি-না প্রশ্নে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি দলের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় আলোচনা করা হবে।

সংসদ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কি-না প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা পরের ব্যাপার। এটা স্পিকারের বিষয়। আপাতত তাকে পদত্যাগ করতে হলো, সরে যেতে হলো। এমপির বিষয়ে সে রকম গুরুতর অভিযোগ এলে স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন।

জাতীয়

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাদের একহাত নিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।

২০ দলীয় জোটের নেতাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসি পায় মন্তব্য করে ভিপি নুর বলেন, ‘আপনারা সবাই বলেন আন্দোলন দরকার, রাস্তায় নামা দরকার। এ ধরনের কথাবার্তা শুনলে হাসি পায়। অনেকদিন ধরেই এই আলোচনা শুনছি। শুধু প্ল্যান আর প্ল্যান, কোনো একশন তো দেখি না।’

মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

২০ দলীয় নেতাদের উদ্দেশে ভিপি নুর বলেন, ‘মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, তাদের বোধ শক্তিকে জাগ্রত করতে হবে। তারা একটা আতঙ্কের মধ্যে আছে। মিছিল করতে হবে রাস্তায়-মহল্লায়-পাড়ায়। মিছিল দেখে মানুষ মিছিলে যুক্ত হবে। দিনক্ষণ ঠিক করে এই সরকারের পতন আপনারা ঘটাতে পারবেন না।’

সিনিয়র রাজনীতিবিদরা শুধু নিজেদের সুবিধার বিষয় নিয়ে ভাবেন- এমন মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি আরও বলেন, ‘এত জনসম্পৃক্ত ইস্যু রয়েছে। জনগণের দুঃখ-দুর্দশা আছে। কোনো রাজনৈতিক দল জনগণের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে রাস্তায় নামছেন না। আপনারা শুধু আপনাদের সুবিধাজনক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। এই প্রেস ক্লাবে ইনডোর বক্তব্য দিয়ে হবে না।’

এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান নুরুল হক নুর।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১০ জনে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরও ২৯১ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ১১ জনে।

এই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৯০৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৮৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২০ হাজার ১৪টি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করেছে বাংলাদেশ।

জাতীয়

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কোনো নেতাকর্মী সম্পর্ক রাখলে ব্যবস্থা তদন্ত সাপেক্ষে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে মহানগর কমিটির বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর এ প্রথম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওসমান আলীকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

সভায় গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডলসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন। .

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কারো কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই, তার সঙ্গে কেউ কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবে না। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, বর্ধিত সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে দলীয় কোনো কোনো নেতাকর্মীর যোগাযোগ রাখছে এবং বিগত সময়ে দলের সঙ্গে কোন নেতার কী ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ কমিটি দুই ভাগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। একটি হলো জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করার পর বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের কার কী ভূমিকা ছিল- সেটি নির্ধারণ করবে। অপরটি জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কারের পর তার সঙ্গে সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীর যোগাযোগ আছে কিনা বা কার কী ভূমিকা ছিল সেটি অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর পরবর্তী সভায় তা নিয়ে আলোচনা করে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে একটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় দৈনিক ‘টাইমস অফ বাংলাদেশ’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশীয়ভাবে টিকা উৎপাদনের জন্য আমরা একটি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। দুই-চার দিনের মধ্যে একটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।’

তবে কোন দেশের সঙ্গে বা কোন কোম্পানির সঙ্গে এই চুক্তি সই হবে তা মন্ত্রী উল্লেখ করেননি।

এ সময় আরও তিনি বলেন, ‘দেশের টিকা উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলমান রয়েছে।’

এর আগে গত ১৫ আগস্ট চীনা একটি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন (বিসিপিএস) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

ওই চুক্তিতে ছয় মাসের মধ্যে টিকা উৎপাদনের কথা উল্লেখ করা হলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি।

জাতীয়

সরকারি চাকরিতে ১ হাজার ৭১০ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

মঙ্গলবার ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চাকরিপ্রত্যাশীদের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ইসরাত শারমীন বলেন, “২৫টি ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এই প্রথম নিয়মিত কোনো বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পিএসসি।

এর আগে মহামারীর শুরুতে স্বাস্থ্য ক্যাডারে দুই হাজার সহকারী সার্জন (চিকিৎসক) নিয়োগ দিতে গত বছর নভেম্বরে ৪২তম বিশেষ বিসিএস নেওয়া হয়েছিল।

পরে ২৭ জুলাই জরুরি প্রয়োজনে আরও দুই হাজার সহকারী সার্জনকে ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমে নবম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ার প্রজ্ঞাপন দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

অনলাইনে ৪৪তম বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে।

এই বিসিএসের মাধ্যমে সাধারণ ক্যাডারে ৪৪৯ জন, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ জন, সাধারণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষায় ৪০১ জন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষায় ২০ জন ও কারিগরি শিক্ষায় ৩৫৫ জন সরকারি চাকরি নিয়োগ পাবে।

সম্ভাব্য সময়সূচি হিসেবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৭ মে হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

২০০ নম্বরের এই এমসিকিউ পরীক্ষা আগের মতোই আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয়

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিয়ের মতো উৎসবের আয়োজন করেছেন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা। নির্বাচনের ফলাফলের পরদিন নেচে-গেয়ে গায়েহলুদ দিয়ে গোসল করিয়ে তাকে টাকা দিয়ে বরণ করা হয়।

আলোচিত এই চেয়ারম্যানের নাম আসাদুজ্জামান। তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলার নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

জানা যায়, আসাদুজ্জামান পেশায় একজন শিক্ষক ও নালিতাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারো নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। তার সঙ্গে চশমা প্রতীক নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে রেজাউল করীম নামে দুজন শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অবশেষে তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুল হককে ৮৯৮ ভোটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আসাদুজ্জামানের প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৭৪৮ ভোট। ফজলুল হকের প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৮৫০ ভোট। অপর প্রার্থী রেজাউল করিমের প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৫৭। তার এ বিজয়ে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা বিয়ের মতো উৎসবের আয়োজন করেন। প্রথমে গায়েহলুদ দিয়ে তাকে গোসল করান ও পরে তাকে টাকা দিয়ে বরণ করে নতুন জামাইয়ের মতো ঘরে তুলে নেন।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, পরিবারের সদস্য ও নাতি-নাতনিদের অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারিনি। তাই গায়েহলুদ মেখে, মেহেদি লাগিয়ে গোসল করেছি। এটা আসলে আমার প্রতি তাদের এক অন্যরকম ভালোবাসার বহির্প্রকাশ বলে মনে করি।

জাতীয়

বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের দাবিতে আন্দোলনরত আট বাম সংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল বের করে তারা।

মিছিলটি জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় তারা সেখানে সমাবেশ করছে।

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার বলেন, পূর্বের নির্ধারিত কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। তারা নারীদের গায়ে হাত তুলেছে। ধিক্কার জানাই, আপনারা ভয় পেয়েছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে ভয় পেয়েছেন। আপনারা কি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পেরেছেন? শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন?

আন্দোলনকারী আট ছাত্র সংগঠনগুলো হলো- ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র মুক্তি কাউন্সিল, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

জাতীয়

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

হেফাজতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে আল্লামা নুরুল ইসলামকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তখন বলেছিলেন তার মাইল্ড হার্টঅ্যাটাক হয়েছে। এজন্য তাকে প্রথমে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, হেফাজতের শনিবারের জাতীয় প্রেসক্লাবে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন বাস্তবায়নে গত কয়েকদিন ধরেই তিনি কর্মব্যস্ত ছিলেন। রাতেও ঠিকমত ঘুমাননি। এজন্য প্রোগ্রাম শেষে মাদরাসায় ফেরার পথে গাড়ির মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী,  ৩ ছেলে ও চার মেয়ে রেখে গেছেন।

জাতীয়

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরের মেয়র পদের ভবিষ্যত নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ দাখিল হয়েছে। সেগুলো সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আমলে নেওয়া হয়েছে। আইনের ধারা অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”

অভিযোগগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে না চাইলেও মন্ত্রী জানান, জমি দখল, জনগণের স্বার্থ পরিপন্থি কাজ, ক্ষমতার অপব্যাবহার, সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মত অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যে।

একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি বিষয়গুলো তদন্ত করছে বলে জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

তদন্ত শেষ করতে কতদিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এটা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তদন্ত করতে কতদিন সময় লাগবে এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীরকে গত ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

জাহাঙ্গীর ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার সেখানে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরশেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় এখন তিনি মেয়র পদে থাকতে পারেন কি না, সেই আলোচনা চলছিল গত কয়েক দিন ধরে।

নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে মেয়রদের কেউ আদালতে দণ্ডিত হলে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনে তাকে অপসারণের বিধান রয়েছে। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কৃত হলে কী হবে, সে বিষয়ে আইনে স্পষ্ট কিছু বলা নেই।

তাছাড়া দলীয় প্রতীকে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরুর পর গত পাঁচ বছরে কোনো মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনা এটাই প্রথম। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও কিছু বলতে পারছিলেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কোনো মন্তব্য না করে বল ঠেলে দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দিকে। আর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম শনিবার বলেছিলেন, তার মন্ত্রণালয় আইন পর্যালোচনা করে দেখবে। তারপর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এর মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে রাজবাড়ী ও মাদারীপুরে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

তাছাড়া জমি সংক্রান্ত এক মামলায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্তের ব্যাখ্যায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, “সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কোনো ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালনে গর্হিত কাজ করেন, অকল্যাণকর কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যান, সেসব ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে পারে।

“মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, যে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে সেটা আমরা ব্যবহার করেছি।”

মেয়রের অবর্তমানে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনজন কাউন্সিলরকে নিয়ে প্যানেলও গছন করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে যিনি জ্যেষ্ঠ, তিনি প্যানেল মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ক্রমানুসারে এই প্যানেলের তিন কাউন্সিলর হলেন: আসাদুর রহমান কিরণ, মো. আব্দুল আলীম মোল্লা ও আয়েশা আক্তার।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র কবে দায়িত্ব নেবেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “কিছুক্ষণের মধ্যেই সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে এবং তিন দিনের মধ্যে নতুন মেয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

জাহাঙ্গীরনামা

জাহাঙ্গীরের রাজনীতিতে হাতেখড়ি ছাত্রলীগের মাধ্যমে। গাজীপুরের কানাইয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চৌকাঠ পেরোনোর পর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে মানবিক শাখায় এসএসসি পাস করেন তিনি। এরপর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। এর মধ্যে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন, দায়িত্ব পান কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

এলএলবি পাস করলেও ব্যবসায়ী হিসেবেই নিজেকে তৈরি করেন জাহাঙ্গীর, সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। গাজীপুর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন।

এরপর মেয়র হওয়ার সাধ জাগে তার। ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের আগে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে মেয়র পদের প্রার্থী হয়ে যান।

কিন্তু ওই নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের বদলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছিল টঙ্গী পৌরসভার মেয়র আজমত উল্লাহ খানকে। আর জাহাঙ্গীরকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে হয়। অবশ্য তারপর নবগঠিত গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান তিনি।

শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচনে আজমত উল্লাহ হেরে যান বিএনপি নেতা এম এ মান্নানের কাছে। পাঁচ বছর পর প্রবীণ আজমত উল্লাহকে বাদ দিয়ে নবীন জাহাঙ্গীরের হাতেই নৌকার বৈঠা তুলে দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারকে হারিয়ে ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের  মেয়রের চেয়ারে বসেন ৩৫ বছর বয়সী জাহাঙ্গীর।

মেয়রের দায়িত্বে গত তিন বছরে আরও অন্তত দুটি ঘটনায় আলোচনার জন্ম দেন জাহাঙ্গীর। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালে তিনি চীন থেকে ৫০ হাজার র্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে আসেন, যদিও দেশে তখনও র্যাপিড টেস্টের অনুমোদন ছিল না। আর নিয়ম অনুযায়ী  ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কোনো অনুমতিও তিনি নেননি।

সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। এর জবাবে তিনি বলেছিলেন, “মানুষ মরে গেলে আইন দিয়ে কী করব! … কিন্তু আমার এখানে ৪০ লাখ মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। যে কোনোভাবে হোক আগে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা আমার দায়িত্ব। মানবিক কারণে আমি আনছি, বাঁইচা থাকলে তখন আইন আদালত।”

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গতবছর এপ্রিলে দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার। সরকারের ওই নিষেধাজ্ঞা ওঠার আগেই এপ্রিলের শেষে মসজিদ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

তার ওই ঘোষণায় সে সময় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় প্রশাসন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। একজন জনপ্রতিনিধির এ ধরনের ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ পদক্ষেপের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন অনেকেই।

শেষ পর্যন্ত ওই ঘোষণা থেকে সরে এসে মেয়র জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সবাই যেন তা মেনে চলে।

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মেয়র জাহাঙ্গীরের একটি মন্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়। ওই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় তাকে।

দল থেকে তাকে জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয় সে সময়। এই প্রেক্ষাপটে দলীয় ‘স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে গত ৩ অক্টেবর জাহাঙ্গীরকে নোটিস দেয় আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাহাঙ্গীর সে সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “একটি মহল আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একটি এডিটেড ভিডিও বের করেছে, যা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, এমনকি কিছু গণমাধ্যমও প্রকাশ করেছে।”

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাক্ষরিত ওই নোটিসে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল জাহাঙ্গীরকে। নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

তবে গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “আত্মপক্ষ সমর্থনে জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্য দিয়েছিল। সেটা আমি আজকের মিটিংয়ে পড়ে শুনিয়েছি। এরপর গোটা হাউস কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে মতামত দিয়েছে। এবং এ ব্যাপারে আমাদের সভাপতি সবার মতামত নিয়েছেন। সবাই এক বাক্যে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।”

জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, “তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যেহেতু তার বক্তব্য বঙ্গবন্ধু ও আমাদের ইতিহাসকে কটাক্ষ করে। কাজেই এটা প্রশাসনিকভাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আজকের দলীয় সিদ্ধান্ত অফিসিয়ালি জানানো হবে।”

পরদিন গাজীপুর শহরে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় কেঁদে ফেলেন জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা আমার সম্পর্কে ভুলভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছেন। আমি যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি আমার ওই অডিও/ভিডিওর বিষয়ে কথা বলতে পারতাম, তবে প্রধানমন্ত্রী সবকিছু বুঝতে পারতেন। তখন তিনি হয়ত আমার ব্যাপারে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেন না।”