জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৫১৩ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৪৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৬৪ জন। মৃত ১১৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৬ জন ও ৫৮ জন নারী।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৯০৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৩ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৩৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৫টি, জিন এক্সপার্ট ৫৪টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৪৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ২২৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৭০৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৭ লাখ ২১ হাজার ১৪টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৪২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ছয় জন, খুলনা বিভাগে ১৩ জন, বরিশাল বিভাগে পাঁচ জন, সিলেট বিভাগে নয় জন, রংপুর বিভাগে ছয় জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৮৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৪ জন এবং বাড়িতে তিন জন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চার জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৩৪৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৪০৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ১৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৯১ হাজার ৪০৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬৫ হাজার ৭৫৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

জাতীয় সংগীতের অবমাননা করে টিকটক ভিডিও তৈরি করায় বগুড়ায় পাঁচজনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন, মো. মিশকাত হোসেন, মো. নূর-ই-ইসলাম আলিফ, মেহেদী হাসান অন্তর, আলিফ আহমেদ সুজন, মো. আরিফ আলী। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটকরা বগুড়া শহরের মালতীনগর স্টাফ কোয়ার্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিডিওটি ধারণ করে।

পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, কয়েকজন যুবক বগুড়া জেলার সরকারি কোনো একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে বিকৃত ও ব্যঙ্গ করে একটি ভিডিও পরিবেশন করছে। এই পোস্টটি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের দৃষ্টিতে আসে। তারা ভিডিওটি বগুড়া সদর থানার ওসি মো. সেলিম রেজাকে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট যুবকদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও এসআই জাকির আল আহসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করে। সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে আটক করেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের হেড কোয়ার্টারের নির্দেশ অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তারা বগুড়া সদর থানা হেফাজতে রয়েছে। হেড কোয়াটারের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত করোনার কারণে বারবার ফিছিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। আর তাই ‌‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রোগ্রাম (কর্মসূচি) ঠিক করছে’ বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আজকেও কথা হয়েছে। তারা প্রোগ্রাম ঠিক করছে- কীভাবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়। তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বসবে। পাবলিকলি বলে দেবে কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে।

এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২ বিষয় বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে হবে। ২টি বিষয় হলো- করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি সুবিধাজনক অবস্থায় আসা এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা।

এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণের হার যে পর্যায়ে এলে বিজ্ঞানসম্মতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে সে সময় এলেই খুলে দেওয়া হবে।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৩৯৯ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭১৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৫ জন। মৃত ১১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন ও ৬৪ জন নারী।

সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আট হাজার ৯৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৩৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৪৬টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৭ হাজার ৩১৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৭৮৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৬টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ শতাংশ ৫৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, বরিশাল বিভাগে এক জন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে নয় জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চার জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৯৭ জন,বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ জন এবং বাড়িতে তিন জন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৪১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিন জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৬২০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৮০৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৫৫ হাজার ৮১৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৮৮ হাজার জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬৭ হাজার ৮১৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রাজধানীতে জরিপ চালিয়ে এইডিস মশার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে গোড়ান ও বাসাবো এলাকায়। কোনো এলাকায় এইডিস মশার ঘনত্ব পরিমাপের একক ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি হলেই তাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো ও গোড়ান এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৭৩ দশমিক ৩। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এইডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গত ২৯ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিন ধরে জরিপ চলে। রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এইডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপব্যবস্থাপক ডা. আফসানা আলমগীর খান।

চলতি আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৮৩ জন। যা আগের সাত মাসের মোট রোগীর দ্বিগুণেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯১ জন। তার মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫৯ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। ঢাকা শিশু হাসপাতালে শুক্রবার ৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিল। চলতি বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে জুলাই মাসে ১২ জন আর চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডের ১৯টি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ এর বেশি পাওয়া গেছে। দুই সিটি করপোরেশনের ৫৬টি এলাকায় ব্রুটো ইনডেক্স ছিল ২০ বা তার বেশি। জরিপের তথ্যে দেখা গেছে, ব্রুটো ইনডেক্স ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ৬৬ দশমিক ৭, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আরকে মিশন রোড ও টিকাটুলিতে ৫০, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বনশ্রীতে ৪০ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিন্টো রোড ও বেইলি রোডে ৪০। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ৫৬ দশমিক ৭ পাওয়া গেছে। এই ওয়ার্ডে রয়েছে মগবাজার, নিউ ইস্কাটন এলাকা। এছাড়া বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও নিকুঞ্জ নিয়ে গড়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রুটো ইনডেক্স ৪৮ দশমিক ৪, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর ও দারুস সালাম এলাকায় ৪৬ দশমিক ৭, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় ৪৩ দশমিক ৩ এবং মহাখালী ও নিকেতন এলাকা নিয়ে ডিএনসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০। উত্তর সিটি করপোরেশনের আফতাবনগর ও মেরুল বাড্ডা এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বংশালের ব্রুটো ইনডেক্স শূন্য পাওয়া গেছে জরিপে, অর্থাৎ এসব এলাকায় মশার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে জরিপ চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের ৪১টি এবং দক্ষিণের ৫৯টি। জরিপের সময় এসব এলাকার ৩ হাজারটি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। ২ হাজার ৪১২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশা পাওয়া যায়নি। ৫৮৮টি স্থানে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মোট পরিদর্শন করা বাড়ির ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশে এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। জরিপে যতগুলো বাড়ি পরিদর্শন করে মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে শতকরা ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বাড়ির মধ্যে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর মশার উপস্থিতি বেশি। এ বছর ডিএসসিসির ৩০টি এবং ডিএনসিসির ২৬টি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের জরিপে ডিএসসিসির ১৭টি এবং ডিএনসিসির ৯টি এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি পাওয়া গিয়েছিল। অধিদফতরের চলতি বছরের হিসাব থেকে জানা যায়, জানুয়ারিতে শনাক্ত হয়েছেন ৩২ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৯ জন, মার্চে ১৩ জন, এপ্রিলে তিনজন, মে মাসে ৪৩ জন, জুনে ২৭২ জন আর জুলাইয়ে শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ২৮৬ জন। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে মোট শনাক্ত হয়েছিলেন দুই হাজার ৬৫৮ জন। আর ১ থেকে ২২ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৮৩ জন।

জাতীয়

দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও করোনার কারণে সম্ভব হয়নি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন এবং শিক্ষামন্ত্রীও দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আশা প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে দুটি বিষয় বিবেচনার কথা বলছেন শেখ হাসিনা। তা হলো- করোনা পরিস্থিতি সুবিধাজনক অবস্থায় আসা এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। এই দুটি বিষয় বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগ পর্যন্ত অনলাইন ও অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার যে পর্যায়ে এলে বিজ্ঞানসম্মতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে সে সময় এলেই খুলে দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কীভাবে এবং কত দ্রুত শিক্ষপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এ সংকটের প্রথম থেকেই আমাদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ২৩ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৯৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০৩ জন। মৃত ১৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৭ জন ও ৬৮ জন নারী।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫৭৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭২৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে।  এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৩৮টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ৯২৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৮৯২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৬টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ শতাংশ ৭৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৪৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৫৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচ জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন, বরিশাল বিভাগে চার জন, সিলেট বিভাগে সাত জন, রংপুর বিভাগে সাত জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সাত জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১০৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাড়িতে ছয় জন মারা যান।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ছয় জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৬৬৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৯২৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৫১ হাজার ৮৪৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৫৫৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭১ হাজার ২৯০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

আজ শুক্রবার (২০ আগস্ট) ১০ মহররম পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ও সংক্ষিপ্ত কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সব ধরনের তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল বন্ধ থাকবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বে আরোপিত বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে। একইসঙ্গে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সব ধরনের তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে আবশ্যক সব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিপালিত হবে।

জাতীয়

এখন থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও করোনার টিকা নিতে পারবেন। করোনার টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে সুরক্ষা অ্যাপে দেখা যাচ্ছে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা নিবন্ধনের অপশন চালু করা হয়েছে।

এর আগে টিকা নেয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার।

জাতীয়

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১১ আগস্ট থেকে ৩৬ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও ২৪ জোড়া কমিউটার, লোকাল ও ডেমু ট্রেন চলাচল করবে।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর গত ১১ আগস্ট থেকে ৩৬ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। সেই সঙ্গে যুক্ত হবে ২৪ জোড়া কমিউটার, লোকাল ও ডেমু ট্রেন।

১১ আগস্ট থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ও ১৯ জোড়া মেইল-কমিউটার ট্রেন দিয়ে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সেসময় রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার থেকে কিনতে হবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ জুলাই দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হলে অন্যসব যাত্রীবাহী গণপরিবহনের মতো ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। কোরবানি ঈদ ঘিরে ১৫ থেকে ২২ জুলাই ‘লকডাউন’ শিথিল করা হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও ট্রেন চালু করে।

এরপর ২৩ জুলাই থেকে আবার ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হলে ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিধিনিষেধের সময়সীমা ১০ আগস্ট শেষ হয়। ১১ আগস্ট থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাকিগুলো লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।