জাতীয়

মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে আতশবাজি ফোটানোসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

ঘড়ির কাঁটায় ১২টা ১ মিনিটে আসতেই আতশবাজির গুচ্ছ আলো আর শব্দে উদ্ভাসিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আতশবাজি ফুটিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু মানুষ এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আছে উপাচার্য ভবনসহ প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জমায়েত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাত্রা।

জাতীয়

সাবেক চিফ হুইপ পটুয়াখালী-২ আসনের এমপি আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি ভাঙচুর-অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সাক্ষীর তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ প্রভাবশালী নেতারা।

মঙ্গলবার পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাউফল সদর ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক।

একটিমাত্র উপজেলা বাউফল নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-২ আসনের এমপি আ স ম ফিরোজের জন্মস্থানও বাউফল। এখান থেকে ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া ফিরোজ আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত মেয়াদে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ফিরোজ বঙ্গবন্ধুর প্রতি চরম অবমাননার পাশাপাশি তার ছবি পা দিয়ে মাড়িয়ে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগও আনা হয়েছে ফিরোজের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ প্রমাণে যে ১০ জনকে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এছাড়া বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান আলতাফ হোসেন ভুলুকেও করা হয়েছে সাক্ষী।

আ স ম ফিরোজ অবশ্য হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন মামলার বিষয়টি। ছাত্রজীবন থেকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পেরে না ওঠা আজন্মকালের ষড়যন্ত্রকারীরাই এসব করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অজানা কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো অন্যায় করলে দল নিশ্চয়ই আমার বিরুদ্ধে বহু আগেই ব্যবস্থা নিত।’

এদিকে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জুতা পায়ে বাউফলের শহিদ বেদিতে উঠেন সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ। জুতা পায়ে শহিদ বেদিতে উঠা এমপি ফিরোজের একটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা।

দায়ের হওয়া মামলা প্রসঙ্গে অবশ্য কোনো সিদ্ধান্ত দেননি আদালতের বিচারক পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন। এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়ার জন্য ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন তিনি। বিচারকের দেওয়া এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর।

মামলার আবেদনে ১নং সাক্ষী হিসেবে নাম থাকা প্রসঙ্গে জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি জাহাঙ্গীর কবির নানক। খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি তার।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি ফিরোজ বলেন, আজন্মকাল ধরে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী আমি। দল এ পর্যন্ত ৯ বার আমাকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছে। পালন করেছি জাতীয় সংসদের হুইপ এবং চিফ হুইপের দায়িত্ব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য এবং পরীক্ষিত কর্মী না হলে তো তিনি আমায় এভাবে বারবার সম্মানিত করতেন না। তাছাড়া জাতির পিতার কন্যা জননেত্রীর অজানা কিছু নেই। তিনি সবই জানেন। তেমন কোনো অপরাধ করলে তিনি নিশ্চয়ই আমাকে এভাবে সুযোগ দিতেন না।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ছাত্রজীবনে আমি বরিশাল বিএম কলেজের ভিপি ছিলাম। সেই সময় থেকে যারা রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় আমার সাথে পেরে ওঠেননি তারাই এখনো আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। এ মামলার বিষয়টিও সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। দল আমাকে বিশ্বাস করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবই জানেন। তাই এসব ষড়যন্ত্র শেষ পর্যন্ত সফল হবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো- যে নির্বাচনী এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে ৭ বার এমপি বানিয়েছেন তাদের অসম্মানিত করা হচ্ছে এসব মামলা আর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। সব ষড়যন্ত্র ভেদ করে সত্যিটাই প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

জাতীয়

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আগামী সপ্তাহেই দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ বসছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার বঙ্গভবনের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আগামী সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এই সংলাপ শুরু হবে। প্রথমদিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এই সংলাপে বসবে।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি একটি স্বাধীন-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য-শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন। প্রথম দিন জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইন প্রণয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করে ইসি গঠন করে আসছেন।বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন।

জাতীয়

রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করেছে মেট্রোরেল।

আজ আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর আগে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল সীমাবদ্ধ ছিল।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ( ডিটিএমসিএল) ব্যবস্থাপক এ বি এম আরিফুর রহমান জানান, বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে ছেড়ে ১১টায় আগারগাঁও স্টেশন পৌঁছায়। এরপর ১২টা ১০ মিনিটে আগারগাঁ থেকে দিয়াবাড়ি ডিপোর উদ্দেশে ছেড়ে যায় মেট্রোরেলটি।

তিনি জানান, ‘প্রথম দফায় আমরা উত্তরা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর পর্যন্ত মেট্রোরেল চালিয়েছি। এবার আগারগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলক চলবে। তবে এই পরীক্ষামূলক চলাচলে কোনো যাত্রী পরিবহন করা হবে না।

রাজধানীর মানুষ আগামী বছর ডিসেম্বরে মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন বলে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পারফরম্যান্স টেস্ট তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শুরুতে উত্তরা থেকে তিনটি স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে মেট্রোরেল। গত মাসে দ্বিতীয় ধাপে তা সম্প্রসারণ করে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত ছয়টি স্টেশনে আসে। শেষ ধাপে রোববার আগারগাঁও পর্যন্ত পারফরম্যান্স টেস্ট শুরু হয়েছে।

এসব কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবে। মাঝখানের ৪টি কোচ হচ্ছে মোটরকার। এতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবে ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবে। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি রয়েছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ যাত্রী চড়তে পারবে।

জাতীয়

কানাডার পর দুবাইয়ে ঢুকতে চেয়েও ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৪ মিনিটে এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

বিমানবন্দরে নামার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে বিতর্কিত এ সংসদ সদস্যকে।

করোনার ডাবল ডোজ টিকার সনদ না থাকলেও কীভাবে বিমানবন্দর দিয়ে কানাডায় গেছেন এসব বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ট্রানজিটের যাত্রী হওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে সদ্য প্রতিমন্ত্রিত্ব হারানো ডা. মুরাদকে।

জানা গেছে, ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে না দেওয়ার জন্য করোনার ডাবল ডোজের টিকার সনদ না থাকাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ও কোভিড প্রোটোকল না মেনে মুরাদ কীভাবে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কানাডায় গেছেন?

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসানকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

জবাবে তৌহিদ-উল আহসান বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে যে যাত্রীই বাইরের দেশে যান সেসব বহির্গমন যাত্রীদের স্বাস্থ্য সনদ চেক করা, ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট চেক করার দায়িত্ব সিভিল এভিয়েশনের। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। আমরা ইমিগ্রেশন করি, যাত্রীদের সেবা দেই। ইমিগ্রেশন শাখা ইমিগ্রেশন করবে, স্বাস্থ্যের কাজ স্বাস্থ্য করবে। মুরাদ সংক্রান্ত তথ্য জানতে হলে আপনাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ও ইমিগ্রেশনের লোকজন কানাডায় যাওয়া-আসার বিষয় নিয়ে মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানিয়েছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টা ২১ মিনিটে কানাডার উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান মুরাদ হাসান। পরের দিন শুক্রবার কানাডার বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ঢুকতে দেয়নি। পরে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেওয়া হয়। দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে অবশেষে দেশে ফেরেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নারী বিদ্বেষী, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের জেরে ৭ ডিসেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মুরাদ হাসান।

জাতীয়

করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেশে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে শুরু করার আশাবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীর শিশু হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ শুরুর জন্য কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের অপেক্ষায় রয়েছি। একইসঙ্গে সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করার কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে শুরু করা সম্ভব হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশেও বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। তাদের তালিকা তৈরির কার্যক্রম চলছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। এয়ারপোর্টে আমরা আরও জোরদার স্কিনিং করেছি। বর্ডারগুলোতেও আমরা স্কিনিং জোরদার করেছি। আফ্রিকার থেকে যারা দেশে আসবেন, তাদেরকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য ব্যবস্থা করেছি।

জাতীয়

সদ্য বিদায়ী তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কানাডা ও দুবাই ঢুকতে না পেরে দেশে আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি দুবাই থেকে দেশে ফিরছেন।

সব কিছু ঠিক থাকলে দুবাই থেকে আগামীকাল রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবেন। একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রে জানা যায়, ডা. মুরাদ হাসান কানাডার বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ঢুকতে দেয়নি। শুক্রবার দুপুর দেড়টায় মুরাদ টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাকে জানানো হয়, তার সেদেশে প্রবেশে অনেক কানাডিয়ান নাগরিক আপত্তি তুলেছেন। তারপর তাকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাকে দুবাইগামী একটি প্লেনে তুলে দেওয়া হয়।

ডা. মুরাদ হাসান দুবাই ফিরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে ভিসা না থাকায় তিনি আরব আমিরাতে ঢুকতে পারেননি। পরে তিনি ঢাকায় আসার উদ্দেশে প্লেনের একটি  টিকিট কেটেছেন।

ডা. মুরাদ হাসান ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন৷

জানা যায়, নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ডা. মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করতে আইসিটি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। যার ফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে।

তিনি শুক্রবার সকালে মাদারীপুর মুক্তি দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলার সমাদ্দার এলাকায় শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে নিজ নিজ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের নাম-ঠিকানা খোদাই করে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। একইভাবে প্রত্যেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ওই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জেলার সব মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা লেখা থাকবে। এটা নিয়ে যেন কোনো বিভ্রান্তি না থাকে।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন নাম-পরিচয় দেওয়া হবে, তেমনটি একাত্তর সালের রাজাকার, আলবদর, আল শামসদেরও নামের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। যেন আগামী প্রজন্ম তাদের কুকৃর্তির কথা জানতে পারে। এতে তারাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, তারা কোন পথে চলবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান প্রমুখ।

জাতীয়

মৃত্যুপথযাত্রী বাবার সামনেই পায়ের জুতা খুলে দিয়ে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে নিজের গালে আঘাত করার নির্দেশ দিয়ে ফেঁসে গেলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ। এ ঘটনায় পদ হারাতে হচ্ছে তাকে।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ।

তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তি মুর্মূষু বাবার বেডের পাশে বসে পায়ের জুতা খুলে দিয়ে হোসাইন নামের এক কর্মীকে নিজের গালে আঘাত করার দৃশ্য ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। এ কারণে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমে পা ধরে মাফ চাচ্ছেন হোসাইন নামের ওই কর্মী। কথোপকথনের একপর্যায়ে পা থেকে জুতা খুলে দেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি। হোসাইনকে নিজের গালে সেই জুতা দিয়ে আঘাত করার নিদের্শ দেন তিনি। নির্দেশ পালনে কয়েকবার নিজের গালে আঘাত করেন হোসাইন।

মৃত্যুপথযাত্রী বাবার চোখের সামনেই ঘটনাটি ঘটে গেল। সেখানে মা ফাতেমা খাতুন বোবা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুই করার ছিল না তার। ছেলেকে জুতাপেটা করতে দেখে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা।

অমানবিক এ ঘটনটি ঘটেছে ৭ ডিসেম্বর রাত অনুমান ১২টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে যশোর হাসপাতালে মৃত্যু হয় হোসাইনের বাবার।

এলাকায় আওয়ামী লীগের নিবেদিত এক কর্মী হিসেবে এসএম সরকার ওরফে হোসাইন পরিচিত। তার বাড়ি উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। ঢাকায় ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। এক ছেলে এক মেয়ের জনক তিনি। বাবা গিয়াস উদ্দিন সরকার অসুস্থ। দুই ছেলে এক মেয়ের পিতা তিনি। বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন সবাই।

হোসাইনের ভগিনীপতি মোমিন জানান, মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ পা থেকে জুতা খুলে দিয়ে হোসাইনকে নিজের গালে আঘাত করার নিদের্শ দেন। নিরুপায় হয়ে কাজটি করেন হোসাইন। এর আগে পা ধরে মাফ চায়।

মোমিন আরও জানান, যখন ঘটনাটি ঘটে তখন হোসাইনের বাবা গিয়াস উদ্দিন সরকার মৃত্যুশয্যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।

৬ ডিসেম্বর বিকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে ৮ ডিসেম্বর মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যশোর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তার লাশ।

মোমিনের দেওয়া তথ্যমতে, ফেসবুকে লেখালেখির সূত্র ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বিপাশের সঙ্গে হোসাইনের বিরোধ চলে আসছিল। সাবেক এমপি নবী নেওয়াজের সর্মথক তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিতা গিয়াস সরকারের বেডের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন হোসাইন। পরে সেখানে আসেন মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশসহ কয়েকজন। হোসাইনকে সহজেই বাগে পেয়ে যান তারা। শাস্তি হিসেবে জুতাপেটা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হোসাইন নিজের গালে জুতা দিয়ে আঘাত করছেন। সেই দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েও দিলেন আরিফুজ্জামান বিপাশের লোকজন। শেষ পর্যন্ত পদ হারাতে হচ্ছে তাকে। বিপাশের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি তিনি।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭ জনে।

শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৬৯ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৯ জনে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ।সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো গেল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।