জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ১৮১ জনের।

এর আগের দিন রবিবার (১৬ মে) দেশে করোনায় ২৫ জন মারা যান, আর নতুন করে শনাক্ত হয় ৩৬৩ জন। সেই তুলনায় আজ করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে।

একই সময় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ৬৯৮ জন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৭ জনে। সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১০৫৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৩ হাজার ৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৫০৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৪৭টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এদের মধ্যে ৩০ হাসপাতালে ও দুইজন বাসায় মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৭ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

জাতীয়

‘রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ’ -এই সুরের লহরী এখন ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশ-বাতাস মন্দ্রিত করে। মনপ্রাণ উছলে উঠছে ঈদের আনন্দ-রোশনাইয়ে। পবিত্র মাহে রমজানের সিয়াম-সাধনা শেষে খুশির সওগাত নিয়ে এলো ঈদুল ফিতর। ত্রিশ রোজা পূর্ণ হলো। সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে শাওয়ালের নতুন বাঁকা চাঁদ অবলোকন করে ঘরে ঘরে মানুষ আনন্দ উদ্বেলিত।

আজ শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর।সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উত্সাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের নামাযে যাওয়ার আগে কিছু খাওয়া এবং ঈদুল আযহার নামাযের পরে খাওয়া মুস্তাহাব। ঈদুল ফিতরের নামাযে যাওয়ার আগে কিছু খেজুর খেয়ে যাওয়া অন্যতম একটি শিষ্টাচার। যেহেতু সহিহ বুখারীতে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কয়েকটি খেজুর খেয়ে ঈদগাহে যেতেন…। তিনি বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। [সহিহ বুখারী (৯৫৩)] নামাযে যাওয়ার আগে খাওয়া মুস্তাহাব এই কারণে যাতে করে সেই দিনে রোযা রাখা নিষিদ্ধ হওয়ার উপর তাগিদ দেওয়া যায় এবং পানাহার করা ও রোযা সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়া যায়।

ঈদ উল ফিতর আরবি শব্দ। ঈদ’ অর্থ আনন্দ, উত্সব, খুশি। আর ফিতর অর্থ ভাঙা, চিড়, ভাঙন। ঈদুল ফিতর অর্থ হলো রোজা ভাঙার পর্ব বা উত্সব। ঈদের শাব্দিক অর্থ হলো ‘বারবার ফিরে আসা’।এ দিনটি বারবার ফিরে আসে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঈদ। আল্লাহ তা‘আলা এদিনে তার বান্দাকে নি‘আমাত ও অনুগ্রহ দ্বারা বারবার ধন্য করে থাকেন, বারবার ইহসান করেন।

এই দিনে ধনি-গরিব, বাদশাহ-ফকির নির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে ঈদের নামাজ আদায় করেন,একে অপরকে আলিঙ্গন করেন। পরস্পর বলবেন, ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম। অর্থ, ‘আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার নেকা আমল তথা ভাল কাজগুলো কবুল করুন।’ কিংবা ঈদ মোবারক কিংবা এ ধরণের অন্য যে কোন বৈধ ভাষায় মঙ্গল কামনা করা। ঈদের শিস্টাচার হলো, ঈদ উপলক্ষে সুন্দর পোশাকাদি পরিধান করা,নামাযের জন্য এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরত আসা,ঈদের দিনে তাকবীর দেওয়া।

ঈদ মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উত্সব। ঈদুল ফিতরের দিনটি প্রতিটি মুসলমান নারী ও পুরুষের জীবনে তাৎপর্যে ও মহিমায় অনন্য। এক মাস সংযম সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির যে প্রচেষ্টা বিশ্বাসীগণ চালান, ঈদুল ফিতর তারই পূর্ণতার সুসংবাদ। ঈদুল ফিতর-এর তাৎপর্য হলো সিয়ামের দাবি পূর্ণ করে নতুন অবস্থায় উত্তীর্ণ হবার খুশি।

আইয়্যামে জাহেলিয়া বা ইসলাম পূর্ববর্তী যুগেও আরবে ‘নাইরোজ’ ও ‘মেহেরজান’ নামে দুইটি বাত্সরিক উত্সব ছিল খুব জনপ্রিয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহে ওয়া সাল্লাম মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করে দেখতে পান যে, এই দুইটি জাতীয় উত্সবে মদিনার আবাল বৃদ্ধ বণিতা নানা প্রকার স্থূল খেলা ও উত্সবে মেতে উঠেছে। মহানবী তাদের লক্ষ্যহীন আনন্দ-উত্সবের পদ্ধতির পরিবর্তে মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধির পবিত্র স্পর্শমণ্ডিত এবং বহুবিধ কল্যাণধর্মী ঈদুল ফিতরের কথা ঘোষণা করলেন। তিনি বললেন, প্রত্যেক জাতির বাত্সরিক আনন্দ-ফুর্তির দিন আছে। ঈদের দিন হচ্ছে আমাদের জন্য সেই আনন্দ-উত্সবের দিন। এভাবেই হিজরি দ্বিতীয় বর্ষে মুসলিম সমাজে প্রবর্তিত হলো ঈদ।

ঈদ বাংলাদেশে সার্বজনীন উৎসব। ধর্মের গণ্ডি পার হয়ে ঈদ সাবলীল সামাজিক উত্সবে পরিণত হয়েছে। মূলত ইনসান-ই-কামিল হওয়া বা পরিপূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জনের মধ্যেই ঈদের সার্থকতা নিহিত। এজন্য পাড়া-প্রতিবেশী ধর্ম ও সামাজিক কাঠামোর যে শ্রেণিরই লোক হোক তাকে ঈদের আনন্দে শরিক করা কর্তব্য। একই কারণে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে যে কোনো মানুষের সঙ্গে পূর্বের শত্রুতা, বিবাদ-বিসংবাদ, মনোমালিন্য প্রভৃতি মিটিয়ে ফেলা উচিত।

ঈদের খুশি উত্সবকে যেন একেবারে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে আসে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়: ’আজি আরাফাত ময়দান পাতা গাঁয়ে-গাঁয়ে,/ কোলাকুলি করে বাদশাহ-ফকিরে, ভায়ে-ভায়ে’…. ’আজি ইসলামী ডঙ্কা গরজে ভরিজাহান/ নাই ছোট-বড় সকল মানুষ এক সমান!.. “ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই,/ সুখ-দুখ সমভাগ করে নেব সকলে ভাই,/ নাই অধিকার সঞ্চয়ের..।’ একমাস রোজার শেষে ঈদের আনন্দ প্রতিটি মানুষের মনে খুশির দ্যোতনা ছড়ালেও দরিদ্ররা কি সেই আনন্দে ভাসতে পারছে? কবির কণ্ঠে তাই ধ্বনিত হয়েছে: “জীবনে যাদের হররোজ রোজা ক্ষুধায় আসে না নিদ/ মুমূর্ষু সেই কৃষকের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ?/

মুলত যারা এক মাস সিয়াম পালন করে কষ্টকে অনুভব করেছেন, নামাজ, তারাবিহ, ইবাদত-বন্দেগি ও ইসলামের অনুশাসন পালন করেছেন, তাদের জন্য এ ঈদ আনন্দ বেশি উপভোগের, উচ্ছ্বাসের ও শান্তির। তাদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের এক মহাপুরস্কার হচ্ছে ঈদ।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

ঘরবন্দি ঈদের জামাত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে এবার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কারণে ঈদুল ফিতরের জামাত ঈদগাহ অথবা খোলা জায়গায় না করার আহবান জানিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়।সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেক মসজিদেই একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অতিসম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সার্কুলার জারি করেছে। এ জন্য এবার রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ও দু’সিটি করপোরেশনের অধীনে কোনো খোলা জায়গা বা মাঠে ঈদ জামাত হচ্ছে না। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সকাল ৭টা থেকে এক ঘণ্টা পর পর ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয়

গত ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত এবারের ঈদযাত্রার তিন দিনে সরকারের এক কোটি ৭৫ লাখ ৩৪২ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।

ঈদের আগে তিনদিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পার হয়েছেন ঘরমুখো মানুষ।

করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য ঈদে বাড়ি ফেরা নিরুৎসাহিত করতে প্রথম দিকে দিনে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। তখন শুধুমাত্র জরুরি সেবার গাড়িগুলো পদ্মা পার করার জন্য দুই-একটি ছোট ফেরি চালু ছিল বলে দাবি বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের। এ অবস্থায় ওই ফেরিগুলোতেই হুড়োহুড়ি করে ভিড় করেন ঘরমুখো যাত্রীরা। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে এক ট্রিপে ফেরিগুলোতে দুই-একটির বেশি জরুরি সেবার গাড়ির ঠাঁই হতো না। পরে অবস্থা বুঝে দিনেও ১৬টি ফেরি চালু রাখা হয়। ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও যাত্রীদের জন্য দিনের বেলায় ফেরি চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রতি বছরের মতো এ ঈদেও পাটুরিয়া ফেরি ঘাট হয়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বা কোনো গাড়ি ছাড়াই পদ্মা পার হয়েছেন। এছাড়া সাধারণ পণ্যবোঝাই ট্রাকও পার হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট সূত্র মতে, ১০ মে পাটুরিয়া ঘাট হয়ে যানবাহন পার হয়েছে ৩৮৮৫টি। আর এতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২৬ লাখ ৭৪ হাজর ৯৮৪ টাকা, ১১ মে যানবাহন পার হয়েছে ৪২৪২টি। আর সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ টাকা এবং ১২ মে যানবাহন পার হয়েছে ৯২৬৩টি। এতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৪৯ লাখ ২৪ হাজার ২৫৪ টাকা। তবে ১৩ মে’র কোনো হিসাব এখনো দিতে পারেনি বিআইডব্লিউটিসি কতৃর্পক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার যে কত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পার হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নাই। যেসব গাড়ি টিকিট কেটে ফেরির পন্টুনে গেছে, ওই সব গাড়ির হিসাব আমাদের কাছে আছে। কিছু গাড়ির চালক হয়তো জানেন না যে টিকিট কোত্থেকে কাটতে হয়, অথবা টিকিট না কেটে নদী পথ পারাপারের অসাধু ধান্দার চালকও আছেন অনেক। গাড়ি ও যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে অনেক সময় টিকিট চেক করার সম্ভব হয় না।

বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া ঘাটের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম নাছির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, এক কোটি ৭৫ লাখ ৩৪২ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, ১৩ মে’র হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আগামীকাল এ তথ্য আমাদের হাতে আসবে।

জাতীয়

রাত পোহালেই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। করোনা মহামারিতেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়েন লাখ লাখ মানুষ। আর তাই রাজধানী ঢাকা হয়ে উঠেছে একদম ফাঁকা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাজধানীর সায়েদাবাদ ও গাবতলী এলাকায় গত কয়েকদিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ অনেক কম। এদিন রাজধানীর রামপুরা, ধানমণ্ডি, মিরপুর, শ্যামলী এবং কল্যাণপুর এলাকার রাস্তাগুলো ফাঁকা দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীবাসী প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপ এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে করেও ঢাকা ছেড়েছে। কিন্তু আজ যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি।

জাতীয়

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার রমজান মাস ৩০ তিন পূর্ণ হবে। আর শুক্রবার দেশব্যাপী মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

বুধবার বাদ মাগরিব (১২ মে) বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এম.পি.।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বৃহস্পতিবার রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর।

সভায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য ধর্ম সচিব মো. নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুশফিকুর রহমানসহ দেশের বরেণ্য আলেমরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় তার (বাবুল) করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে মিতু হত্যায় বাবুলের সংশ্লিষ্টতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

বুধবার বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে এটি জমা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই। এটি আদালতে গ্রহণের শুনানির জন্য রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, স্ত্রী হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। কারণ, বাবুল মামলার বাদী।

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করাতে আসামিদেরকে তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার। আদালতে দেওয়া দুই সাক্ষীর জবানবন্দি ও পিবিআইয়ের তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া পিবিআইয়ের দেওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও নতুন করা মামলায় লেনদেনের উল্লেখ আছে।

এ বিষয়ে বাবুল আকতারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, স্ত্রী হত্যার তিন দিন পর বাবুল আক্তার তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে বলেন তার লাভের অংশ থেকে তাকে যেন টাকা তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। সাইফুল বিকাশের মাধ্যমে ওই টাকা গাজী আল মামুনকে পাঠান। গাজী আল মামুন ওই টাকা মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, মিতু হত্যা মামলার ভিডিও ফুটেজে বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলা, কামরুল শিকদার ওরফে মূসা ছিলেন। কিন্তু ঘটনার পরপর তিনি দাবি করেছিলেন, হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিরা জড়িত। তার সোর্সকে তিনি চিনলেও বিষয়টি চেপে যান বাবুল। ভুলেও তিনি সাইফুল হকের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মুসা ও ওয়াসিমসহ আসামিদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেননি।

এ দিকে গত মঙ্গলবার বাবুলের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল ও মামুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দীনের আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। সেখানে দুজনই বাবুলের নির্দেশে স্ত্রী হত্যায় জড়িতদের টাকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এ ঘটনায় মিতুর স্বামী চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও ৭ জনকে। মামলার বাদী হয়েছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

বুধবার দুপুর পৌনে একটায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় বাদী ছিলেন স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। পাঁচ বছর পর বাদীই হলেন হত্যার মূল আসামি।

তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ তার বিরুদ্ধে মামলা করলেন মিতুর বাবা।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পাঁচ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের ‘সম্পৃক্ততার প্রমাণ’ পাওয়ার কথা বুধবার জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।

এ তদন্ত সংস্থার প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বুধবার ঢাকার ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিত্যু হত্যার সঙ্গে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

============================================================================================================================

সেই গায়ত্রীর সঙ্গে বাবুলের ঘনিষ্ঠতা যেভাবেগায়ত্রী অমর সিং ও সাবেক এসপি বাবুল আক্তার

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।মামলায় পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গায়ত্রী নামে এক এনজিওকর্মীর সঙ্গে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।

এরপরই আলোচনায় আসেন ওই এনজিওকর্মী গায়ত্রী অমর সিং।পুলিশের তদন্ত এবং মিতুর বাবার কাছ থেকে জানা গেছে সেই এনজিওকর্মীর পরিচয়।

ভারতীয় গায়ত্রী অমর সিং বর্তমানে সুইজারল্যান্ড অথবা পূর্ব আফ্রিকার কোনো দেশে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের প্রটেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। মামলার বিষয়ে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গায়ত্রী অমর সিং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের ফিল্ড অফিসার হিসেবে কক্সবাজারে কর্মরত ছিলেন। তখনই তার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পর্ক হয়। ব্যক্তিগত জীবনে গায়ত্রী বিবাহিত এবং তার একটি ছেলে রয়েছে।

বাবুলের বিরুদ্ধে শ্বশুরের দায়ের করা হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবুল আক্তার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কক্সবাজার জেলায় চাকরি করার সময় তার সঙ্গে গায়েত্রীর দেখা হয়। সেখানে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা কক্সবাজারের মারমেইড বিচ রিসোর্টে একান্ত সময় কাটিয়েছেন বলেও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

সম্পর্কের বিষয়টি জানা যায় ২০১৪ সালে। সেসময় বাবুল সুদানে জাতিসংঘের মিশনে যান। তখন তার বাসায় দুটি বই উপহার পাঠান গায়ত্রী। এছাড়াও বাংলাদেশে রেখে যাওয়া বাবুলের মোবাইলে ২৯টি মেসেজও পাঠান তিনি।

সর্বশেষ মিতু হত্যার কয়েকমাস আগে বাবুল একটি ট্রেনিংয়ে থাকা অবস্থায় গায়েত্রী তার বাসায় দুইটি বই উপহার পাঠান। বই দুটির নাম-তালিবান ও বেস্ট কেপ্ট সিক্রেট।

তালিবান বইটির ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় গায়েত্রী নিজ হাতে একটি বার্তা লিখে দেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমাদের ভালো স্মৃতিগুলো অটুট রাখতে তোমার জন্য এই উপহার। আশা করি এই উপহার আমাদের বন্ধনকে চিরস্থায়ী করবে। ভালোবাসি তোমাকে, গায়ত্রী।’

একই বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় গায়ত্রী তাদের প্রথম দেখা, প্রথম একসঙ্গে কাজ করা, প্রথম কাছে আসা, মারমেইড হোটেলে ঘোরাফেরা, রামু মন্দিরে প্রার্থনা, রামুর রাবার বাগানে ঘোরাফেরা এবং চকরিয়ায় রাতে সমুদ্রের পাশ দিয়ে হাঁটা ইত্যাদি স্মৃতির কথা উল্লেখ ছিল।

এছাড়াও বেস্ট কেপ্ট সিক্রেট নামের বইয়ের ২য় পাতায় গায়েত্রীর নিজ হাতে ‘তোমার ভালোবাসার গায়ত্রী (ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা)’।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম ওরফে মিতুকে।

ওই ঘটনায় বাদী হয়ে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তাতে তিনি বলেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় মাহমুদা হত্যার তদন্ত নতুন মোড় নেয়। অব্যাহতভাবে মাহমুদার মা–বাবা এই হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে আসছেন।

পিবিআই আজ জানায় মিত্যু হত্যায় বাবুল জড়িত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরই আগের মামলার চার্জশিট ও নতুন করে মামলা দায়ের হলো।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গতকাল রবিবার (৯ মে) ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৯৭২ জনের।

একই সময় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫১৪ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৭৫ হাজার ০২৭ জনে। সোমবার (১০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১১৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১২ হাজার ২৭৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৮৪৮টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। মারা যাওয়াদের মধ্যে হাসপাতালে ৩৬ জন ও বাসায় ২ জন মারা গেছেন। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৫ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, এছাড়া ২১ থেকে ৩০ বছরের নিচে ১ জন মারা গেছেন।

জাতীয়

টঙ্গীর মেইলগেট এলাকায় অবস্থিত হামিম গ্রুপের একটি গার্মেন্টসে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সোমবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় তিন দিনের পরিবর্তে ১০ দিনের ঈদের ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ করলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ১৫ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এএসপিসহ পাঁচজন ও অন্তত ৩৫ শ্রমিক আহত হন।

জানা যায়, প্রতিদিনের মতো শ্রমিকরা আজ সকালে তাদের কর্মস্থলে এসে যোগদান করেন। পরে মালিক পক্ষ থেকে তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করতেই শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে গার্মেন্টস থেকে বাহির হয়ে ১০ দিনের ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে বেলা ১২টায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক রাউন্ড সর্ট গানের গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। এতে ১৫ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ ও ৩৫ জন আহত হয়। এ সময় শ্রমিকদের ইট-পাটকেলের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্যের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এরপর শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। সেখানেও শ্রমিকদের সরাতে পুলিশ একাধিক টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এখনো থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ চলছে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৬ জন। একই সময়ে নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩২৯ জন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ ও নারী ১৮ জন।

গতকালের চেয়ে আজ ১১ জন বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৪৫ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে করোনা মহামারিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ১১ হাজার ৯৩৪ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত ৭ মে থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ১৫ জন এবং ষাটোর্ধ ৩০ জন রয়েছেন।

এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে ২ জন করে এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৬, বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ ও বাসায় ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৬ হাজার ৯১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৮৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৪ হাজার ৭০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২৮৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১০১ বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ৫৫ শতাংশ কম।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ৪১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬২টি হয়েছে সরকারি এবং ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩২টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩২৯ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৯২ জন। গতকালে চেয়ে আজ ৮৩৭ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১০ হাজার ১৬২ জন।

আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮১ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৯১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৭৫ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৩২৪ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২ হাজার ৪৫১টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ৩৭৬টি ও বেসরকারি ৭৮টিসহ ৪৪টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১৫ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ৭০৩ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২ হাজার ৫৯১টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের চূড়ান্ত তালিকা (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে আট বিভাগের ছয় হাজার ৯৮৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

এ তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) পাওয়া যাবে।
রোববার (৯ মে) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রকাশিত তালিকায় ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৯৪২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের এক হাজার ৩৪৭ জন, বরিশাল বিভাগের ৫৭৩ জন, খুলনা বিভাগের ৭৭০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৬৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ৬৮৪ জন, রংপুর বিভাগের ৫৭২ জন ও সিলেট বিভাগের ৫৩৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদনবিহীন বেসামরিক গেজেট এ তালিকায় প্রকাশ করা হয়নি। জামুকার অনুমোদনবিহীন গেজেট নিয়মিতকরণের পর পরবর্তীসময়ে প্রকাশ করা হবে।

এর আগে গত ২৫ মার্চ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার প্রথম পর্ব প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।