বিনোদন

গত দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনের নীরিহ মানুষকে নির্বিচার নৃশংসভাবে হত্যা করছে ইসরাইল। এখন পর্যন্ত ইসরাইলের ৬৪ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের ওপর নির্বিচারে হত্যা ইসরাইলিদের বর্বরতা থামাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিশ্ব শিল্পী সমাজ।

হলিউডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১২০০ শিল্পী ঘোষণা দিয়েছেন—ইসরাইলের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক বা চলচ্চিত্র-সম্পর্কিত কাজে আর অংশ নেবেন না তারা।

যৌথ বিবৃতিতে শিল্পীরা জানান, ইসরাইলি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিনেমায় অভিনয় করবেন না তারা। শুধু তাই নয়, দেশটিতে আয়োজিত কোনো চলচ্চিত্র উৎসবেও অংশগ্রহণ করবেন না। এর ফলে জেরুজালেম ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, হাইফা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ডোকাভিভ, তেলআবিব ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং টিএলভি ফেস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে থাকবে না তাদের সিনেমা বা উপস্থিতি।

‘ফিল্ম ওয়ার্কার্স ফর প্যালেস্টাইন’-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে—‘এমন এক সংকটময় মুহূর্তে, যখন বিশ্বের বহু সরকার গণহত্যাকে সমর্থন দিয়ে চলেছে, তখন এই ভয়াবহতাকে রুখে দিতে আমাদের সবকিছু করতে হবে। ইসরাইলি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান, পরিবেশক বা বিক্রয় এজেন্ট—কেউই কখনো ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে দাঁড়ায়নি।’

অভিনেত্রী হান্না আইনবাইন্ডার বলেন, ‘দুই বছর ধরে গাজায় যা ঘটছে, তা বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। একজন ইহুদি আমেরিকান নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি, গণহত্যা বন্ধ করতে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত।

এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন নেতারা ব্যর্থ হচ্ছেন, তখন শিল্পীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ইসরাইলের সঙ্গে কাজ বন্ধ করতে হবে।’

হান্না আইনবাইন্ডারসহ এ তালিকায় আরো রয়েছেন এমা স্টোন, অলিভিয়া কোলম্যান, আয়ো এডিবেরি, লিলি গ্ল্যাডস্টোন, মার্ক রাফেলো, হান্না আইনবাইন্ডার, পিটার সারসগার্ড, আইমি লু উড, পাপা এসিডু, গ্যয়েল গার্সিয়া বার্নাল, রিজ আহমেদ, মেলিসা বারেরা, সিনথিয়া নিক্সন, টিল্ডা সুইনটন, জেভিয়ার বারডেম, জো অ্যালউইন, জশ ও’কনর প্রমুখ। এ ছাড়া নির্মাতাদের তালিকায় রয়েছেন ইয়র্গোস ল্যান্থিমোস, আভা ডুভার্নে, অ্যাডাম ম্যাককে, বুটস রিলে, এমা সেলিগম্যান, জোশুয়া ওপেনহাইমার, মাইক লেই প্রমুখ।

বিনোদন

‘আজ যদি আমি বাংলাদেশে থাকতাম, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাকে হাত পেতে লোকের কাছে ভিক্ষা করে খেতে হতো। বলতাম, ভাই আমার বাড়িতে খাবার নেই, বউ-বাচ্চাকে খাবার দিতে পারছি না, আমাকে টাকা দাও।

কথাগুলো বলেছেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী তিনি।

রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) ঢালিউডের প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। প্রয়াত শিল্পীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সেখানে হাজির হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের অনেক নতুন পুরাতন শিল্পী। এর ফাঁকে গণামাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আহমেদ শরীফ।

এই অভিনেতার কথায়, ‘চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছেন যে নিশ্চিত করে বলবে, তার দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই। যদি মিথ্যা না বলি, তাহলে বলতেই হবে নেই। দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাই বলছেন শরীফ ভাই ঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন। ’

অনেক শিল্পী বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আজ আমি দেখছি, অনেক শিল্পী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। শুধু ফিল্মের নয়, টিভিরও অনেক শিল্পী চলে যাচ্ছেন। কারণ, দেশে আনন্দ-বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকারও সুযোগ নেই। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, সবার মঙ্গল করুক। ’

বলা দরকার, আহমেদ শরীফ এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী। মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন দেশে। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

আহমেদ শরীফ প্রায় আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আঞ্জুমান’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘দেনমোহর’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘ক্ষতিপূরণ’, ‘গোলমাল’, ‘তিন কন্যা’ ইত্যাদি।

বিনোদন

হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক, জার্মানি ও ফ্রান্সে ১০টির বেশি আসরে আদিভাষায় রাগাশ্রয়ী সুরে চর্যাপদের বিভিন্ন কবির রচিত কয়েকটি পদ গান আকারে পরিবেশন করেন সৃজনী তানিয়া।

বিনোদন

জাহ্নবী কাপুর ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা অভিনীত নতুন সিনেমা ‘পরম সুন্দরী’। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) মুক্তি পেয়েছে এটি।

প্রায় ৪৫ কোটি টাকার বাজেটে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন তুষার জালোটা। মুক্তির পর সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে ‘পরম সুন্দরী’।
সিনেমাটিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সিদ্ধার্থ মলহোত্রা। এতে তিনি উত্তর ভারতীয় যুবক ‘পরম’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সিনেমার জন্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন এই অভিনেতা।

এদিকে দক্ষিণ ভারতীয় মেয়ে ‘সুন্দরী’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহ্নবী কাপুর। সিদ্ধার্থের সঙ্গে তার রসায়ন দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে। এই সিনেমার জন্য অভিনেত্রী ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর।

সিদ্ধার্থ ও জাহ্নবী ছাড়াও সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় কাপুর। খবর অনুযায়ী, তিনি ৫০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন।

‘পরম সুন্দরী’ সিনেমায় সাপোর্টিং চরিত্রে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মনজোত সিং। তিনি নাকি পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক। সিনেমাটির আরেক চরিত্রে অভিনয় করা রেঞ্জি পনিক্কর পেয়েছেন ২৫-৩০ লাখ টাকা।

বিনোদন

এবার ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নেইমারের বাড়িতে বেজে উঠলো বাংলা গান! গানটি জনপ্রিয় ব্যান্ড অ্যাশেজের।

দলটির ভোকাল জুনায়েদ ইভানের জন্মদিন আজ।

দিনভর সবার শুভেচ্ছা পেলেও এবারের জন্মদিনে এক অবাক করা উপহার নেইমারের বাড়িতে তার গান বেজে ওঠা।
এদিন নেইমারের বাংলো বাড়িতে বড় পর্দায় বেজে উঠেছে ইভানের গান! নেইমারের বাড়ি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ইভানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রবিন মিয়া। যিনি নেইমারের পরিবারের ঘনিষ্ঠ ও তার বাবার ম্যানেজার।

বাড়ির সুইমিংপুল থেকে নেওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তখন অ্যাশেজ ব্যান্ডের ‘তামাক পাতা’ গান বাজছিল। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে ইভানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান রবিন।

ভিডিওটি শেয়ার করে ইভান লেখেন, নেইমারের বাসার বড় পর্দায় অ্যাশেজ-এর গান দেখে বেশ ভালো লাগছে। ভিডিওর মন্তব্যে জুনায়েদ ইভান লেখেন, ভালোবাসি ভাই! আপনি সুন্দর।

এদিকে জন্মদিনের আগের দিন বৃহস্পতিবার এক পোস্টে ইভান জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও জন্মদিনে একজন দরিদ্র অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য কাজ করবেন তিনি।

বিনোদন

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ অভিনয়ের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। প্রায় ৭০ কোটি রুপি বাজেটের এই বিগ প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগের আশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাদ পড়ে যান তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বাঁধন জানান, শুধু বাদই পড়েননি, অডিশনের সময় অপমানের শিকারও হয়েছিলেন।

বাঁধন বলেন, ‘আমি তো অডিশন দিয়েছিলাম। দুবার দিয়েছিলাম। রিজেক্ট হয়ে অনেক কান্না করেছি। শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে তো ছিল। উনার মতো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা তো বিরাট কিছুই।’

পরের ঘটনা বর্ণনা করে বাঁধন বলেন, ‘আমাকে রিজেক্ট করার পর হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম। যখন ট্রেইলার বের হলো তখন আমার এক কাজিন আছে, খুব ক্লোজ, ওর নাম সামিয়া। ও আমাকে বলছিল, ‘বাঁধন আপু আল্লাহ তোমার সঙ্গে সবকিছু ভালো করে। তুমি তা জানো।’ আমি তখন বলেছিলাম, ‘আমি জানি’। তখন আমার বোনটা বলে, ‘আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছে তোমাকে এই রকম একটা সিনেমায় অভিনয় করো নাই।’ সেটা শুনে আমি অনেক কান্না করেছিলাম।’

অডিশনে বাঁধনকে অপমান করা হয়েছিল। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘কষ্টটা ছিল ওরা শুধু আমাকে রিজেক্টই করেনি, বাজেভাবে অপমান করেছিল। পরে যখন ট্রেইলার এলো, সিনেমা এলো সবার কথা শুনে মনে হলো কাজটা না করে ভালো হয়েছে। খুশি হয়েছিলাম যে, তারা আমাকে রিজেক্ট করেছিল।’

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেন আরিফিন শুভ। তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন—নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ শতাধিক শিল্পী।

বিনোদন

মিস ওয়ার্ল্ড খেতাবজয়ী ঐশ্বরিয়া রাই রূপে ও অভিনয়গুণে সবার হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। পর্দায় ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি জাদুর মতো। ছিল ভক্তদের চোখ না সরানোর মতো মুহূর্ত।

যদিও অভিনেত্রীকে আগের মতো সিনেমায় দেখা যায় না। তবুও তার সাফল্যের গল্প থেমে থাকেনি। অভিনয়ের শুরু থেকে নিজের উপার্জনকে টেকসই বিনিয়োগে রূপান্তরিত করেছেন ঐশ্বরিয়া। বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছেন এক অবিশ্বাস্য মাইলফলকের দোরগোড়ায়।

ঐশ্বরিয়ার মোট সম্পত্তি এখন ১০০০ কোটি রুপির ঘরে; যা বাংলাদেশি মূল্যে প্রায় ১৩৮৮.৬ কোটি টাকা। পর্দার রানী ঐশ্বরিয়া যেন আসীন হচ্ছেন অর্থের সিংহাসনে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য থেকে জানা যায়, ভারতের অন্যতম ধনী অভিনেত্রী হতে চলেছেন ঐশ্বরিয়া। বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাদের মধ্যে একজন তিনি। ঐশ্বরিয়া নাকি সিনেমা প্রতি প্রায় ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন।

এছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি, উচ্চ মানের ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে প্রমোট করার জন্য ৬ থেকে ৭ কোটি রুপি আয় করেন ঐশ্বরিয়া। এ শক্তিশালী ব্র্যান্ড প্রেজেন্স অভিনেত্রীকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করেছে। যার মাধ্যমে তার মোট সম্পত্তি ৯০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অভিনয় এবং ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট ছাড়াও, ব্যবসার দুনিয়ায় পদার্পণ করেছেন বলিউডের এ বিউটি কুইন। নিজস্ব বুদ্ধিমান বিনিয়োগের কারণে, বলিউডের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী নারী হিসেবে পরিচিত ঐশ্বরিয়া।

এছাড়া রিয়েল এস্টেট ব্যবসার কথাও শোনা যায়। ঐশ্বরিয়া একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিক। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় একটি বিরাট বাংলোতে বসবাস করছেন ঐশ্বরিয়া। যার মূল্য ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া দুবাইয়ের একটা ভিলার মালিক অভিনেত্রী।

এদিকে বলিউডে পা রাখার সময়েই মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয় করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। এখন সিনেমায় অভিনয়ের কাজ তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে শুরুর দিকে যে টাকা উপার্জন করেছিলেন। সেটাকে বিনিয়োগ করে বহুগুণ করে তোলার অঙ্কে এই অভিনেত্রী যে পাকা, সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হয় না। এ কারণে ঐশ্বরিয়ার মোট সম্পত্তি খুব শিগগির পৌঁছে যাবে ১০০০ কোটি টাকার ঘরে।

বিনোদন

লড়াই করতে করতে খসে পড়ছে পোশাকের আস্তরণ। লড়াইয়ের মাঝেই ঠোঁট রাঙিয়ে দিচ্ছে পুরুষ যোদ্ধা। আবার কখনো কাজল পরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু সবটাই জোর করে।— এমনই একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। তার বিপরীতে ছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস।

‘বাহুবলী’ সিনেমাতে বাহুবলী ও অবন্তিকার যুদ্ধের দৃশ্য এমনভাবেই নির্মাণ করা হয়েছিল। এ দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল তুঙ্গে। দৃশ্যকে ধর্ষণের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে কথা বললেন তামান্না ভাটিয়া।

সম্মতি ছাড়া মিলনকে সাধারণত যৌন হেনস্তা কিংবা ধর্ষণই বলা হয়। এ দৃশ্যেও দেখা যায়, যুদ্ধ করার কোনো ইচ্ছাই নেই। বরং সহযোদ্ধার পোশাক খুলতেই উদ্যত বাহুবলী।—এমন দৃশ্যের সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল কয়েক বছর আগে। প্রতিবেদনটির নাম ছিল ‘অবন্তিকার ধর্ষণ’। কিন্তু এ দৃশ্যকে ধর্ষণ বলে মানতে নারাজ তামান্না ভাটিয়া। তিনি বলেন, এক পুরুষের সাহায্যে অবন্তিকা নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন।

তামান্না বলেন, কেউ যদি মনে করে যৌনতা ও শরীর এগুলো খারাপ বিষয়, তাহলে বলতে হয়— এটা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। পরিচালক খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। যা আপনাদের চোখে ধরা পড়ল অন্যকিছুতেই। তিনি বলেন, এটি মানুষের ভাবনাচিন্তা। তার দায় তো আমি নেব না। একজন সৃজনশীল মানুষ হিসাবে আমি এ দৃশ্যকে ধর্ষণ বলে মানি না।

এক পুরুষের মধ্যে সে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন। সিনেমার পরিচালক ছিলেন এসএস রাজামৌলি। তামান্না বলেন, রাজামৌলি স্যার আমাকে দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছিলেন। অবন্তিকা সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন— অবন্তিকা ভীষণভাবে নারীসুলভ। কিন্তু সে আহত। সে সুন্দরী। সে প্রেম চায়। কিন্তু জীবনে প্রবল কষ্ট পেয়েছে, তাই সব কিছু সে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। নিজের গণ্ডির মধ্যে কাউকে সে আসতে দিতে দ্বিধাবোধ করে। পরে কেউ তাকে ব্যবহার করে। কিন্তু এ পুরুষটি অবন্তিকাকে ফের বোঝাতে সক্ষম হয়, সে কতটা সুন্দর।— এমন দৃশ্য নিয়ে ওঠা বিতর্কে তাই কান দিতে নারাজ তামান্না।

উল্লেখ্য, অভিনেত্রীকে আগামী দিনে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে একটি ছবিতে দেখা যাবে।

বিনোদন

জুলাই আন্দোলনের সময় দেশের বিনোদন জগতের তারকাদের তৈরি হওয়া বিভাজনের রেশ এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই নতুন করে আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও সোহানা সাবা।

দুজনের মধ্যে এক ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা।
জুলাই আন্দোলনের সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে সরব ছিলেন বাঁধন। অন্যদিকে সোহানা সাবা ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে আলোচিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে।

দুজনের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত গেল বৃহস্পতিবার। বাঁধনের একটি ফেসবুক পোস্টে করা এক নারীর মন্তব্যের স্ক্রিনশট নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করেন সোহানা সাবা। তিনি লেখেন, এই কমেন্টটা আপু ডিলিট করে দিয়েছেন… হয়তো দিদিটিকে ব্লকও করেছেন… ভাগ্যক্রমে আমার টাইমলাইনে ভেসে উঠেছিল, তাই সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলাম।

স্ক্রিনশটে বাঁধনকে উদ্দেশ করে লেখা সেই মন্তব্যে বলা হয়, সারা জীবন ড্রামাবাজি করে সতী সাজতে চেয়েছেন… আপনি আপাদমস্তক একজন ভণ্ড। আপনার পুরো জগৎটা ঘোরে আপনাকে ঘিরেই। কী জীবন আপনার! করুণা লাগে আপনাকে দেখে। কেউ যদি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হতেন, তাহলে কলকাতায় গিয়ে ব্যক্তিজীবনের কেচ্ছা গাইতেন না।

এরপর মন্তব্য ঘরে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সোহানা সাবা লেখেন- প্রথমে ভেবেছিলাম স্ক্রিনশট নিয়ে কিছু পোস্ট করব না। কিন্তু পরে মনে হল এটা তো পাবলিক পোস্ট, যে কেউ নিতে পারে, শেয়ারও করতে পারে। তাই আমিও করলাম।

সাবার পোস্টের কিছুক্ষণ পরই দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া জানান বাঁধন। নাম উল্লেখ না করলেও তিনি ইঙ্গিত দেন, তারই কিছু সহকর্মী ব্যক্তিগত আক্রমণ চালাচ্ছেন।

বাঁধন লেখেন, আমার কিছু সহকর্মী- যাদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি, মঞ্চে দাঁড়িয়েছি, যাদের বিশ্বাস করতাম, তারা ইন্টারনেটে আমার ওপর নির্মম ও অপমানজনক আক্রমণ চালাচ্ছেন। তাদের কথাগুলো ছিল অমানবিক, উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ছোট করা। তারা শুধু আমাকে নয়, আমি যা কিছুতে বিশ্বাস করি, সেগুলোকেও অসম্মান করছে। এই তালিকায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরাও আছেন।

বাঁধনের এই প্রতিক্রিয়ার ভাষা দেখে অনেকে ধারণা করছেন, তা সরাসরি সোহানা সাবাকে উদ্দেশ করেই লেখা। ফলে দুই তারকার এই ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব এখন বিনোদন অঙ্গনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বিনোদন

চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লকেট গলায় ঝুলিয়ে নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী রুচি গুজ্জার। এবার একেবারে ভিন্ন কারণে আলোচনায় রয়েছেন তিনি।

মুম্বাইয়ের এক সিনেমা হলে প্রকাশ্যে প্রযোজক করণ সিং চৌহান ও অভিনেতা মান সিংয়ের ওপর চড়াও হয়ে জুতাপেটা করেছেন রুচি! সেই ঘটনায় অভিনেত্রীর নামে মানহানির মামলাও হয়েছে।

বলিউড মাধ্যম সূত্রের বরাদে খবর, পরিচালক তথা সিনেমার অন্যতম প্রযোজক মান সিং ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন রুচি গুজ্জারের বিরুদ্ধে।

তার অভিযোগ, সিনেমার নাম খারাপ করতেই প্রিমিয়ারের দিন ইচ্ছে করে ঝামেলা করেছেন রুচি। এ ঘটনায় যাতে ‘সো লং ভ্যালি’র সাফল্য ধামা চাপা পড়ে যায়, সেটাই তার অভিপ্রায় ছিল, বলে অভিযোগ পরিচালক-প্রযোজকের। সেই প্রেক্ষিতেই এবার রুতি গুজ্জারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন মান সিং।

এ প্রসঙ্গে প্রযোজকদের পক্ষে এক বিবৃতি দিয়ে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, রুচি গুজ্জার ‘সো লং ভ্যালি’র সহ প্রযোজক করণ চৌহানকে ২০-৩০ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে ওই টাকা ফেরত না পাওয়ায় খেপে যান মডেল-অভিনেত্রী। এরপরই নাকি রুচি বাকি শিল্পীদের ওই সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। তবে তার পরও যখন সিনেমাটি তৈরি হয়, তখন আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মুক্তি আটকাতে চেয়েছিলেন তিনি। তাতেও লাভ হয়নি! অভিনেত্রীর আবেদন খারিজ করে দেয় কোর্ট।

আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিনেমা প্রযোজনা নিয়ে তো রুচি গুজ্জারের সঙ্গে কোনও চুক্তি হয়নি। ব্যক্তিগত স্বার্থেই তিনি ওই টাকা প্রযোজককে দিয়েছিলেন। তাই সিনেমা মুক্তির ক্ষেত্রে তিনি কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। এরপরই প্রিমিয়ারের দিন রুচির এমন আচারণ দেখা যায়। যে ভিডিও এখন সামাজিকমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে।

কেন রুচির ক্ষোভ করণসহ ওই সিনেমার প্রযোজকদের বিরুদ্ধে? অভিনেত্রীর অভিযোগ, তিনি প্রযোজকদের প্রায় ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তারা কথা দিয়েছিলেন রুচিকে নিয়ে সোনি টিভিতে একটি শো বানাবেন। কিন্তু সেই টাকা তারা সিনেমাটির নির্মাণে লাগিয়ে দিয়েছেন। এই কারণেই প্রিমিয়ারে হাজির হয়েও তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন বলে দাবি।

জানা গেছে, রুচির সঙ্গে রীতিমতো একটি দল সিনেমা হলে হাজির হয়। অনেকের হাতেই ছিল প্ল্যাকার্ড। তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন প্রযোজকদের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে তর্কাতর্কির মাঝেই হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে প্রযোজক করণকে জুতা দিয়ে মারতে থাকেন রুচি।