বিনোদন

সৌদি প্রবাসীদের গানে গানে মাতালেন নগরবাউল জেমস।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্কে বাংলাদেশ উৎসবে একের পর এক গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন প্রবাসীদের।

এর আগে আল-সুওয়াইদি পার্ক বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

জেমস তার জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনান। এসব গানের মধ্যে ছিল ‘মা’, ‘আসবার কালে আসলাম একা’, ‘দুষ্ট ছেলের দল’, ‘বিজলী চলে যেওনা’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘সুন্দরীতমা আমার’, ‘মীরা বাঈ’, ‘পাগলা হাওয়ার তোড়ে’, ‘না জানি কোহি’ প্রভৃতি।

স্থানীয় সময় রাত ৮ টার দিকে মঞ্চে উঠেন জেমস। এসময় তার মাথায় ছিলো লাল গামছা বাঁধা। পরনে কালো টি-শার্ট আর নীল জিন্স। গান শেষে জেমস বলেন,’‘তোমরা আমার জান। বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে। ’

জেমসের গানের তালে তালে মেতে উঠেন লাখো প্রবাসীরা।

আয়োজকরা জানিয়েছেন আল-সুওয়াইদি পার্কে ১০ লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি যোগ দেন।

জানা গেছে, দেশের বাইরে বিশ্বের নানা জায়গায় কনসার্ট করেছেন জেমস। তবে সৌদি আরবে কখনো তিনি কনসার্টে অংশ নেননি। এই প্রথম বারের মতো সৌদি আরবে কনসার্ট করলেন জেমস।

সৌদি আরবের রিয়াদে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ উৎসব’। সৌদি আরবের ভিশন- ২০৩০ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশটির মিডিয়া মন্ত্রণালয় ‘জীবনের গুণমান’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘গ্লোবাল হারমনি’ ইনিশিয়েটিভ চালু করেছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সৌদির মিডিয়া মন্ত্রণালয় ও সাধারণ বিনোদন কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে এই ইভেন্টের আয়োজন করেছে। শুক্রবার ছিল উৎসবের তৃতীয় দিন। আগামীকাল শনিবার এই উৎসব শেষ হবে।

বিনোদন

যে হাটের ইজারা মূল্য ছিল অর্ধকোটি টাকার মতো, সে হাট গত দুই বছরেও ইজারাই হয়নি। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে আয়ের ক্ষুদ্র অংশ রাজস্ব হিসাবে সরকারি কোষাগারে জমা হলেও বড় অংশই চলে যাচ্ছে সিন্ডিকেটের পেটে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূমি কর্মকর্তার (নায়েব) খাস কালেকশন করার কথা থাকলেও হাটে ‘খাস’ কালেকশন করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা খাস কালেকশন করছেন।

তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ খাস কালেকশনের সময় ভূমি অফিসের কেউ থাকেন না। আর কত টাকা জমা হয় তাও কেউ জানতে পারেন না। এছাড়া রসিদ ছাড়াই দ্বিগুণ টাকা কালেকশন করা হচ্ছে। আর খাস কালেকশন করা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্রও নেই।

জানা গেছে, উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বাসেদ হাওলাদার ও সদস্য সচিব মালেক মো. ইসমাইলের নেতৃত্বে বিএনপি কর্মী কালাম বলি, মো. কাশেম, যুবদল আহ্বায়ক মো. মোর্শেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. মিস্টার, মো. মামুন ও কৃষকদল নেতা মো. জয়নালসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মী পান বাজার, পণ্য পরিবহণ, কাঁচাবাজার ও গরুর হাট থেকে খাস কালেকশন করছেন। বিশাল এ বাজার থেকে আয়ের কিছু অংশ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে দিয়ে বাকি অংশ ওইসব নেতাকর্মীর মাঝে ভাগবাঁটোয়ারা হয়ে যায়। এ চিত্র রায়পুরের উত্তর চরআবাবিল ইউপির ঐতীহ্যবাহী হায়দরগঞ্জ বাজারের।

রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, হায়দরগঞ্জ বাজারসহ অন্য ২৩টি বাজারের সর্বশেষ বাংলা ১৪২৯ সনে (২০২২ ইং) ইজারা হয়। ৩৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮ টাকা ইজারা মূল্যের হায়দরগঞ্জ বাজারটি ছিল উপজেলার সর্বোচ্চ ইজারার। কিন্তু ২০২২ ও ২৩ সালের মতো চলতি বছরও বৃহৎ এ বাজারটির ইজারা হয়নি। ১৩ এপ্রিল (১৪৩০ সনের ৩০ চৈত্র) বাজারগুলোর দরপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ ছিল। ইজারাবিহীন বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামমাত্র খাস কালেকশন করা হচ্ছিল। যে বাজারের ইজারা মূল্য ছিল অর্ধকোটি টাকা, সে বাজার ইজারা না হওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করেছেন প্রতিবেদক। কোনো হাট ইজারা না হলে সরকারিভাবে ‘খাস’ কালেকশন করার জন্য খাস আদায় কমিটি করা হয়। সে কমিটির মাধ্যমেই খাস কালেকশন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয়দের দিয়ে খাস কালেকশন করে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র বলছে, খাস আদায় হওয়া অর্ধকোটি টাকার বাজারটিতে সরকারের রাজস্ব বছরে গড়ে ১৫ লাখ টাকাও হয় না। প্রতি রবি ও বুধবার বাংলাবাজার গো-হাট, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে পানহাটা ও পরিষদের সামনে পশুপাখির হাট বসে। মেঘনা নদী সংলগ্ন রায়পুরের উত্তর চরআবাবিল ইউপি ও চাঁদপুরের চরভৈরবি ও হাইমচর ইউপির সীমান্তবর্তী হায়দরগঞ্জের এ বাজারটিতে গরু, ছাগল ও পানসহ নানা পণ্য বিক্রি হয়। প্রতি রোববার হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ভোরবেলায় প্রায় ৫০০ ছোট-বড় ব্যবসায়ীর পান হাট বসে।

উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মালেক মো. ইসমাইল বলেন, ৫ আগস্টের পর ইউএনওর সঙ্গে আলোচনা করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার আমাদের বাজার নিয়ে দিয়েছেন। কালেকশনকৃত টাকা তহশিলদারের মাধ্যমে ইউএনওর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা বিএনপি সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ইউএনওর অধীনে গত তিন বছর বাজারের খাস কালেকশন করত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এবার আমরা একইভাবে খাস কালেকশন করে ইউএনওকে সহয়োগিতা দিচ্ছি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ইউএনও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে বাজারের খাস কালেকশন করেন। রসিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করা ও যারা কালেকশন করছেন তাদের পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য বললেও তারা তা মানছেন না। তারা ইউএনওর কাছে টাকা নিয়ে যান। ইউএনও-ই সবকিছু বলতে পারবেন।

ইউএনও ইমরান খান বলেন, ‘হায়দরগঞ্জ বাজারটিতে গত তিন বছর ধরে খাস কালেকশন হয়। সিন্ডিকেটের বিষয়টি আমার জানা নেই। এসব বিষয়ে কেউ অভিযোগও করেননি। তবে বাজারটি যেন ইজারা হয় এবার সব পক্ষকে নিয়ে বসে সে ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম। খাস কালেকশনে যা রাজস্ব আদায় হয়, তার পুরোটাই সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে।’

বিনোদন

২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি৷ এ আর রহমানের ঘর আর করবেন না তার স্ত্রী সায়রা বানু৷ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি৷

জানানো হয়েছে, বিয়ের এতগুলো বছর পর রহমানের স্ত্রী সায়রা বানু এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- তিনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন৷ অনেক মানসিক চাপের পরই এ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছেন তারা৷ নিজেদের মধ্যে অগাধ প্রেম থাকা সত্ত্বেও প্রচুর দূরত্ব তৈরি হয়েছে যা আর মেটার নয়৷ এমনই জানানো হয়েছে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে৷

অনেক দুঃখে এবং বেদনায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সায়রাকে৷ এই কঠিন সময় তিনি অন্তরালে থাকতে চান৷ সকলের যেন তার ব্যক্তিগত জীবনে গোপনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করেন, এমনই অনুরোধ করেছেন তিনি৷

১৯৯৫ সালে বিয়ে হয় এ আর রহমান ও সায়রার৷ দেখাশোনার বিয়ে ছিল তাদের৷ রহমানের মা নিজে পুত্রবধূকে দেখে পছন্দ করেছিলেন৷ কারণ রহমান কাজে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে তার সময় ছিল না বিয়ের জন্য মেয়ে দেখার৷ ফলে মাকে এই দায়িত্ব নিতে হয়েছিল৷ একটি সাক্ষাৎকারে এমন জানিয়েছিলেন এ আর রহমান৷

তিনি আরও জানান, কাজে তিনি এতটাই ব্যস্ত যে মেয়ে খুঁজে বিয়ে করার মতো সময় ব্যয় করতে পারবেন না৷ আর তার স্ত্রীকে হতে হবে বুঝদার, এই দাবিও ছিল রহমানের৷ কারণ সঙ্গীতই তার জীবনের প্রথম প্রেম এবং সেই সঙ্গীত সাধনায় কোনো বাধা তিনি আনে পারবেন না৷ ফলে এমন মেয়েকে তিনি বিয়ে করবেন যে তাকে তার কাজের মধ্যে বিরক্ত করবে না, এই ছিল রহমানের শর্ত৷ এ আর রহমান ও সায়রার তিনটি সন্তান রয়েছে, খতিজা, রহিমা এবং আমীন রহমান৷

এদিকে মা-বাবার বিচ্ছেদের খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গায়কের ছেলে এ আর আমীন। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিও টিভি এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী সবার প্রতি একটি আহ্বান জানিয়েছেন তারকপুত্র।

মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে এক স্টোরিতে অস্কারজয়ী গায়কের ছেলে লিখেছেন, ‘আমাদের এই সময় পরিবারের যাবতীয় গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আপনাদের সবার প্রতি অনুরোধ করছি। বিষয়টি বুঝতে পারার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ মঙ্গলবার তাদের এই বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, বিয়ের দীর্ঘদিন পর সায়রা বানু তার স্বামী এ আর রহমানের কাছ থেকে আলাদা হওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নানা মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা।

কত টাকার মালিক এআর রাহমান, ডিভোর্সের পর কত পাবেন সায়রা?

স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করার পর থেকে নেটদুনিয়ায় আলোচনা শুরু হয়েছে এআর রাহমানের সম্পত্তির পরিমাণ এবং এর মূল্য নিয়ে। সবার মনে এখন একটাই জানতে চাওয়া অস্কারজয়ী এই গায়ক কত কোটির সম্পত্তির মালিক? আর ডির্ভোসের পর সায়রাই বা কত টাকা পাবেন?

ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী গায়ক হলেন এ আর রাহমান। কেবল তাই নয়, তিনি অন্যতম গায়ক এই দেশের যিনি সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।

এআর রাহমানের সম্পদ নিয়ে ভারতে ইংরেজি দৈনিক ‘ডিএনএ’ গতকাল একটি প্রতিবেদন করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এআর রাহমানের মূল সম্পত্তি প্রায় ১৭২৮-২০০০ কোটি রুপির মধ্যে। ভারতের সবথেকে ধনী গায়ক তিনি।

রাহমান প্রতি গান গাইতে তিনি ৩ কোটি টাকা করে নেন। প্রতিটি ছবির গান কম্পোজ করতে নেন ১০ কোটি টাকা করে! এছাড়া বিজ্ঞাপন, কনসার্ট, ইত্যাদি তো আছেই।

কী কী পুরস্কার পেয়েছেন রাহমান ?

অস্কারজয়ী রাহমান আরও একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, আর সেই তালিকায় আছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। তিনি পদ্ম ভূষণ সম্মান পেয়েছেন ভারত সরকারের থেকে।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর সায়রা বানোর উকিলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয় তারা আলাদা হতে চলেছেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। তাদের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক চাপের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি তাদের গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, এই দম্পতি খেয়াল করেছেন তাদের মধ্যে অনেক ব্যবধান, দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা এই মুহুর্তে কোনো পক্ষই পূরণ করতে সক্ষম নয় বলে মনে করছেন তারা।

বিনোদন

পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে স্টেজ আর সেই স্টেজে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়!

১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শো এর পাশাপাশি ছিলো নাচ-গানের আয়োজনও।

সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এর পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়।

তবে স্টেজে পবিত্র কাবার আদলে কিছু ছিলো না দাবি করে সৌদি ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ফ্যাশন শো চলাকালীন যেটি দেখা গিয়েছিল সেটি ‘একটি গ্লাস কিউব’।

সৌদি আরবের অ্যান্টি-রিউমার অথরিটি শোতে কাবার ছবি ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।কর্তৃপক্ষ জানায়, এটা শুধু একটা গ্লাস কিউব আকৃতির স্ট্রাকচার, যার সঙ্গে কাবা শরিফের কোনো সম্পর্ক নেই।

সৌদি গণমাধ্যম অভিযোগ করছে, এ সমালোচনার পেছনে মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে।যারা সৌদি আরব ও দেশটির সংস্কার পরিকল্পনাকে টার্গেট করার চেষ্টা করছে।

সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ শুধু তেলের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে না।বস্তুত, দেশটিতে সামাজিক সংস্কার, বিশেষ করে নারী অধিকারের জন্যও কাজ চলছে।

গত কয়েকদিন ধরে এক্স (সাবেক টুইটার) সহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে রিয়াদের বিনোদন কার্যক্রমকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

বেশ কয়েকজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব এই ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন এবং কিছু পর্যবেক্ষকও এই প্রদর্শনীটিকে ‘শয়তানি’ বলে অভিহিত করেছেন।

নেটিজেনরা রিয়াদের ফ্যাশন শো এবং এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে অনৈতিক বলে বর্ণনা করেছে। এমন কাণ্ডের জন্য সৌদি রাজপরিবার এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানেরও সমালোচনা করছেন।

সিরিয়াভিত্তিক ধর্মীয় নেতা আবদুল রহমান আল-আদ্রিসি দাবি করেন, মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে ফ্যাশন শোতে নারীরা এই ‘কাবার মতো আকৃতি’ ঘিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তিনি দাবি করেন, এটা দাজ্জালকে ডেকে আনার জন্য ‘শয়তানি’ কাজ।

পাকিস্তানেও অনেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। মোল্লা হাক্কানি নামের একজন বলেছেন, রিয়াদে ফ্যাশন উইকের অনুষ্ঠানে কাবাকে অপমান করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কাবার মতো জায়গাটি ডিজাইন করেছিল এবং অর্ধনগ্ন নারীদের সেখানে নাচিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে এই ফ্যাশন শো চলাকালীন মূর্তি দেখা যায়।

সৌদি চ্যানেল আল আরাবিয়া টিভি ১৭ নভেম্বর সম্প্রচারের সময় বলেছিল যে সামাজিক মিডিয়ায় ‘অজানা এবং সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো’ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে।

আল-আরাবিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়াদ সিজনের সমালোচনা করে এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল ‘সৌদি সফট পাওয়ার এবং ভিশন ২০৩০ কর্মসূচিকে বিকৃত করা।’

উল্লেখ্য, অক্টোবরে শুরু হওয়া বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু থেকেই অনলাইনে সমালোচনা চলছিল।অনেকে একে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত করে বলেছেন, এত মানুষের মৃত্যুর পরও রিয়াদ এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অব্যাহত রেখেছে।

তবে আল-আরাবিয়ার সম্প্রচারে সৌদিপন্থি কলামিস্ট আবদুল্লাহ আল-জাদায়াহ বলেছেন, ‘এই সমালোচনার পেছনে রয়েছে সৌদি আরবের নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুড এবং বিশ্বজুড়ে এর সদস্যরা।’

অনুষ্ঠানে নাচ নিয়ে সমালোচনার কারণ জানতে চাইলে জাদায়াহ বলেন, সব অনুষ্ঠানই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মুখে হাসি ফোটানো।

তিনি বলেন, ইতিহাসে মুসলমানরা যুদ্ধ, শান্তি ও হত্যাকাণ্ড দেখেছে। তার মানে এই নয় যে, জীবন একেবারেই থেমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অভিযান গতকাল শুরু হয়নি, ৭ অক্টোবরও শুরু হয়নি। প্রায় ৮০ বছর ধরে ফিলিস্তিন দখল হয়ে আছে।

জাদায়াহ বলেন, সৌদি আরব একটি ‘বড় পরিবর্তনের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিগত আমলে যারা লাভবান হয়েছেন এবং পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন তারাই মূলত এসব সমালোচনা করছে।

পবিত্র কাবার আদলে তৈরি স্টেজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আল-কায়েদা হচ্ছে প্রথম দল যারা সৌদি আরবকে দুটি (পবিত্র) মসজিদের দেশ হিসেবে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল।পৃথিবীতে এমন কোন বিবেকবান ব্যক্তি আছে যে বলে যে, কোন ঘনক্ষেত্র বা বর্গাকার জিনিস কাবার অবমাননা?

তিনি দাবি করেন, এরা (সমালোচকরা) মাত্র দুটি পবিত্র মসজিদের বিষয়টি তুলে ধরে সৌদি আরবকে বিব্রত করার চেষ্টা করে।

সূত্র: বিবিসি উর্দু

বিনোদন

দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন ছিল দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে সব গুঞ্জনকে ভুল প্রমাণ করে অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন আফ্রিদি। ধারণা করা হয় গত জুলাইয়ের আন্দোলনে নানা বিতর্ক সৃষ্টির পর ঘরোয়া আয়োজনেই চুপিসারে বিয়ে সেরেছেন তিনি।

আফ্রিদির বিয়ের খবর চর্চিত হচ্ছে সবজায়গাতেই। বিভিন্ন সূত্রে তার বিয়ের খবর প্রচারিত হলেও এতোদিন এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। অবশেষে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শ্যালিকা, বউ ও বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

তৌহিদ আফ্রিদি জানালেন, তার কাবিন হয়েছে। পারিবারিক আয়োজনে কাবিন হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরাই তাদের কাবিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আফ্রিদি বলেন, ‘আমি গাড়িতে বসে শুনি গোপনে বিয়ে করলেন তৌহিদ আফ্রিদি! আরে, বিয়ে তো গোপনে করিনি, আমি বিয়ের ছবি আপলোড দেওয়ার আগে আপলোড হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম বাসায় যাব, এরপর সবাইকে বিয়ের খবর জানাব। কিন্তু সে সময় আর কই পেলাম। অনেকেই ছবি পোস্ট করেছে। আসলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—এটা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ তাআলাই লিখে রাখেন। কার, কখন, কোথায়, কীভাবে বিয়ে হবে, এখানে কারও হাত নেই। আমি আমার মাকে নিয়ে কনে দেখতে গিয়েছিলাম, পরিবারকে নিয়ে দেখতে গেছি, ওখানেই কাবিন হয়ে গেছে।’

তৌহিদের স্ত্রীর নাম রামিসা আল রিসা, তার যমজ বোন রাইসা আল রোজা। শুরুতে খবর ছড়ায়, রাইসাকে বিয়ে করেছেন আফ্রিদি। এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে, মানুষ আসলে কনফিউজড হয়ে গেছে, তারা তো যমজ বোন। যমজ বোন হওয়ার কারণে আমার শালিকে (শ্যালিকা) অনেকে আমার ওয়াইফ বলা শুরু করেছে। এসব এক দিক থেকে হাস্যকর লাগে।’

শিগগিরই সবাইকে নিয়ে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘বিয়ে তো একটা দায়িত্ব। সবার কাছে দোয়া চাইব, আমার জীবনটাকে যেন গুছিয়ে রাখতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সব সময় আপনাদের মাঝে এভাবে ভালোবাসা নিয়ে থাকতে পারি। আমি এখন আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভি নিয়ে ব্যস্ত। উপস্থাপনা করছি। ইউটিউব কনটেন্ট বানানোর কাজ করব।’

বিনোদন

মিস ইউনিভার্সের ৭২তম আসরে সেরার মুকুট জিতলেন ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কজেয়ার থেইলভিগ। ২১ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়া একজন প্রতিযোগিতামূলক নৃত্যশিল্পী, উদ্যোক্তা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী আইনজীবী।

মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত বার্ষিক এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১২০ জনেরও বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। ভিক্টোরিয়া মিস ইউনিভার্স মুকুট জিতে ইতিহাস গড়লেন। কারণ তিনি এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ডেনিশ বিজয়ী।

ভিক্টোরিয়াকে মুকুট পরিয়ে দিয়েছেন মিস নিকারাগুয়া, শেনিস প্যালাসিওস। এবারের আসরে প্রথম রানার আপ হয়েছেন নাইজেরিয়ার চিদিনমা আদেতশিনা। যেখানে দ্বিতীয় রানারআপ হলেন মেক্সিকোর মারিয়া ফার্নান্দা বেলট্রান।

সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের প্রিলিমিনারি ইভেন্টে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই পর্বে এক বর্ণাঢ্য জাতীয় পোশাক প্রদর্শনী অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণকারীরা সাঁতারের পোশাকে প্রদর্শনী করেন। ১২ জন চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়ে তাদের সন্ধ্যার পোশাকে মঞ্চে পা রাখেন।

চূড়ান্ত পাঁচ প্রতিযোগীকে নেতৃত্ব ও স্থিতিস্থাপকতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। ‘কেউ যদি আপনাকে বিচার না করে, তবে কীভাবে বাঁচবেন?’ এই প্রশ্নে ভিক্টোরিয়া উত্তর দেন, ‘আমি প্রতিদিনের মতোই বাঁচব। ’

দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যেখান থেকেই আসুন না কেন, লড়াই চালিয়ে যান। আমি এখানে দাঁড়িয়েছি কারণ আমি পরিবর্তন চাই, ইতিহাস গড়তে চাই এবং আজ রাতে আমি সেটাই করছি। ’

মিস ইউনিভার্সের ৭২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২৮ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গর্ভবতী নারী, মা এবং বিবাহিত নারীদের অংশগ্রহণেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। মাল্টার বিয়াট্রিস এনজোয়া, ৪০ বছর বয়সী প্রতিযোগী, চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে এই প্রতিযোগিতার নতুন রেকর্ড গড়েছেন।

ভিক্টোরিয়া কজেয়ার থেইলভিগের এই বিজয় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার জন্য এক যুগান্তকারী মুহূর্ত, যা বৈচিত্র্য, ক্ষমতায়ন এবং আধুনিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বিনোদন

এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিলা ‘লাল গোলাপ’। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হতো।

অনুষ্ঠানটিতে আমন্ত্রিত অতিথিকে একটি লাল গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সেই অনুষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, বিটিভিতে ফের ফিরছে দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘লাল গোলাপ’। দীর্ঘ আট বছর পর ফের লাল গোলাপ হাতে দেখা যাবে শফিক রেহমানকে।

ইতোমধ্যে নাকি দুই পর্বের শুটিংও সেরে ফেলেছেন তিনি।

এসব তথ্য দিয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান নিজেই।

সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমকে প্রবীণ এ সাংবাদিক জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠানটি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যাবে। এরই মধ্যে অনুষ্ঠানটির দুটি পর্ব রেকর্ড করা হয়েছে।

শফিক রেহমান সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন লাল গোলাপ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে। সমসাময়িক দেশি-বিদেশি ঘটনা নিয়ে এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব সাজানো হতো। কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রতিবেদনও থাকতো। পাশাপাশি দেখানো হতো বিভিন্ন সিনেমার অংশবিশেষ।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ২০২৩ সালের আগস্টে শফিক রেহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১৬ সালে তাকে পাঁচ মাস কারাগারেও থাকতে হয়েছিল। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যান তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের ছয় বছরের প্রবাসজীবন থেকে ১৮ আগস্ট দেশে ফেরেন শফিক রেহমান।

বিনোদন

বেশ কিছু দিন হলো অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা ও অভিনেতা অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেমসম্পর্ক ভেঙেছে। এখন তারা দুজন দুদিকে। মালাইকা অরোরার সঙ্গে প্রায় ছয় বছর সম্পর্কে থাকার পর হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে তাদের। যদিও দুজনের কেউ-ই মুখ খোলেননি। এখন তারা নাকি একে অপরের বন্ধু হয়ে আছেন; কিন্তু সম্পর্কে নেই। কী কারণে সম্পর্কছেদ, সেটি অবশ্য স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে অর্জুন কাপুর এবার কোনো সুন্দরীর প্রেমে নয়, পড়েছেন কোন এক অভিনেতার প্রেমে, জানালেন সে কথা।

এদিকে প্রেমভাঙার পর থেকেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছেন অভিনেতা অর্জুন কাপুর। তবে এবার অর্জুন জানালেন কোনো নারী নয়, বলিপাড়ার এক নায়ককে দেখে প্রায় তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন তিনি। কে সেই হিরো?

সম্প্রতি অর্জুনের ‘সিংহাম অ্যাগেইন’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবির প্রচারে এসে নিজের স্বপ্নের পুরুষের কথা প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। জানান, ২০০৬ সালে হৃতিক রোশনকে বড়পর্দায় দেখে তিনি যেন প্রেমে পড়ে যান! রীতিমতো লালায়িত হয়ে পড়েন!

২০০২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় হৃতিক অভিনীত প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। প্রথম ছবিই হৃতিককে সুপারস্টারের তকমা দিয়েছিল। তারপর বাবা রাকেশ রোশনের পরিচালনায় যে কটি ছবি করেছেন হৃতিক, তার সবকটি সুপার হিট। তবে অন্য পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলেই ব্যর্থতা গ্রাস করেছে তাকে। যদিও হৃতিকের রূপের ছটায় মজেছিলেন তরুণী থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত। ‘গ্রিক দেবতা’র আখ্যা দেওয়া হয় তাকে। ভিন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলেই ব্যর্থতার ফাঁড়া কাটে ‘ধুম ৩’-এ অভিনয় করে। সেই ছবিতে হৃতিকের চেহারা, চুলের ছাঁট সবেতেই অর্জুন এমন মুগ্ধ হন যে, প্রায় প্রেমে পড়ে যান।

অর্জুন বলেন—আসলে ‘ধুম ৩’ দেখার পর আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল। যখন হৃতিককে দেখি মনে হয় দু-চোখ ভরে দেখতেই থাকি। কতবার যে দেখেছি ছবিটি, আমার জীবনের ক্রাশ। এককথায় হৃতিকের রূপের ছটায় অর্জুন যেন আপ্লুত।

বিনোদন

অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হয়েছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। রোববার (১০ নভেম্বর) শপথ নিয়েছেন তিনি।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার প্রথম অফিস করেন ফারুকী। এর মধ্যে এই নির্মাতাকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। যা নজর এড়ায়নি ফারুকীর। অভিযোগগুলোর প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন ফারুকী। সেই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুুলে ধরা হলো-

প্রিয় ভাই-বোনেরা, ঘুণাক্ষরেও যা আগে ভাবি নাই, এখন আমাকে সেটাই করতে হচ্ছে। যাই হোক শুরু করি। আমি মাত্রই দুই দিন হলো কাজ করছি। এর মধ্যে আমার ধারণা আমার মন্ত্রণালয়ে সহকর্মীদের মাঝে এই ধারণা দিতে পেরেছি যে আমরা কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটাতে চাই যেটা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে আমাদের সংস্কৃতি কর্মীদের কাজে আসবে।

যাই হোক, যদিও আমি কোনও পদ চাই নাই, তবুও দায়িত্বটা নেওয়ার পর আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এর মধ্যে আমাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে এক অবিশ্বাস্য অভিযোগের- আমি নাকি ফ্যাসিস্টের দোসর! যেই ফ্যাসিস্টকে তাড়ানোর জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালাম ১৬ জুলাই থেকে, অল আউট অ্যাটাকে গেলাম এটা জেনে যে ফ্যাসিস্ট হাসিনা টিকে গেলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে মৃত্যু অথবা জেল, আমি তারই সহযোগী?

আমি আমার চেয়ারের জন্য কোনো সাফাই দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। কিন্তু শিল্পী হিসাবে অপমানিত বোধ করেছি বলেই কয়টা কথা বলছি।

শাহবাগ আন্দোলন যখন শুরু হয় আর সবার মত আমিও ভেবেছিলাম এটা নির্দলীয়। যে কারণে আমার সব পোস্টে এটাকে ঠেলে “রাষ্ট্র মেরামতে” এজেন্ডার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পরেই যখন বুঝে যাই, তখনই লিখি “কিন্তু এবং যদির খোঁজে”। যে কিন্তু এবং যদি শাহবাগ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে আজকের যে ফ্যাসিবাদের সূচনা করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে লিখি, “এই চেতনা লইয়া আমরা কি করিবো”। ২০১৪ সালে। এই দুইটা লেখার যে কোনো একটা লেখা ছাপা হওয়ার পর বিএনপির শিমুল বিশ্বাস সাহেব ফোন দিয়েছিলেন কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য! আমি কোনো দল করি না। কিন্তু আমি আওয়ামী লীগ হলে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা আমার লেখায় কি খুঁজে পেলেন যে আমার সঙ্গে পরিচয় না থাকা স্বত্বেও আমার নম্বর জোগাড় করে ফোন দিলেন?

আমি ঘটনাচক্রে একজন পরিচিত মুখ, ভাই ও বোনেরা। একজন লেখক যতোটা স্বাধীন ভাবে লিখতে পারেন, ফ্যাসিবাদের কালে আমার সেই স্বাধীনতা পাওয়ার সুযোগ ছিল না। তার মধ্যেও যতোটুকু করেছি তার ফলও আমাকে ভোগ করতে হয়েছে। ২০১৫ সালে সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন সেলের হেনস্তার শিকার হওয়ার মধ্যে যে দীর্ঘ অত্যাচারের শুরু। সেই বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আমার সিমপ্যাথি পাওয়ার ইচ্ছা এবং প্রয়োজন নাই।

অনেকে বলছে, আমি ভারতীয় হেজেমনির অংশ। যে লোককে বাংলাদেশের কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট ঘৃণা করে আমি কলকাতা কেন্দ্রিক ভাষার হেজেমনি ভেঙ্গে দিয়েছি বলে, সেই কিনা এই হেজেমনির অংশ! আমি পৃথিবীর কোনো দেশেরই ঢালাও নিন্দা করি না। কারণ দেশে নানা চিন্তার মানুষ থাকে। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলতে চাই, কাজ করতে চাই। কিন্তু আমার দেশের ক্ষতি হলে, আমি তার বিরুদ্ধে বলতে কুন্ঠা করি না। ফেলানীর মৃত্যুর পর কি পোস্ট দিয়েছিলাম ২০১৩ সালে সেটা দেখতে পারেন নিচে।

আমার অবস্থানের উপহার হিসাবে ভারতীয় হাই কমিশনে একসময় কর্মরত রঞ্জন মন্ডল নামের এক কর্মকর্তা তার ফেসবুকে পাবলিক পোস্ট দিয়ে বহুবার কি অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেছিল সেটা খোঁজ করে দেখুন। আর সেই আমি পার্ট অব হেজেমনি? আমরা এক অনন্ত ভয়ের ঘরে বাস করে এসেছি। আমরা কথা বলতে ভয় পেতাম। এমন কি কথা বলার সময় ঘরে ফোন থাকলে সরিয়ে ফেলতাম। পাছে আড়ি পাতে। আমার মনে আছে ২০১২ সালে শুধুমাত্র কথা বলার জন্য আমি আর ‘আরিফ আর হোসাইন’ লুকিয়ে আমেরিকান ক্লাবে গিয়ে বসে আলাপ করতাম কিভাবে এই জালিম সরকারকে হটানো যায়। বিএনপি এবং জামাত কিছু করতে পারবে? আর্মির মনোভাব কি? জোনায়েদ সাকির সঙ্গে বাটন ফোনে কথা বলে গোপনে দেখা করতাম আর পরামর্শ করতাম কি করা যায়। সেই আমি আওয়ামী ফ্যাসিজমের পার্ট?

আমি তো কোনো বিপ্লবী নই। ছিলাম না কোনো কালে। আমি ফিল্মমেকার। ঘটনাচক্রে এবং আল্লাহর রহমতে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি আমার সেই পরিচয়েই গর্বিত। আমি মারা গেলে আমাকে ফিল্মমেকার হিসাবেই মনে রাখা হবে, মন্ত্রী হিসাবে না। ফলে মন্ত্রীত্ব আমার কাছে কোনো অর্জন না, পাবলিক সারভেন্টের দায়িত্ব মাত্র। আমি এটা ফাইনালি অ্যাকসেপ্ট করেছি নিজের ফিল্মের বাইরেও আমার দেশকে কিছু দেওয়ার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে- এটা বিশ্বাস করেছি বলে। আমার মনে হয়েছে, জীবনের এই পর্যায়ে এসে নিজের লাভ-ক্ষতি না ভেবে এই ক্ষমতা দেশের কাজে লাগাই।

সবশেষ এই নির্মাতা লেখেন, লাস্টলি, আই অ্যাম লাভিং মাই জব। বাট আই অ্যাম হেইটিং দ্য ফ্যাক্ট দ্যাট আই হ্যাড টু রাইট দিস!

বিনোদন

বক্স অফিসে সেভাবে সাফল্য দেখাতে পারেনি আলিয়া ভাটের সিনেমা ‘জিগরা’। করণ জোহরের সঙ্গে যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছিলেন আলিয়া।

কিন্তু সিনেমা তৈরি করতে যা খরচ হয়েছে, বাজেটের সেই অর্থটুকুও ফেরত পাননি। এতেই নাকি বেশ হতাশ অভিনেত্রী।
শোনা যাচ্ছে, এবার দাক্ষিণে মন দিতে চলেছেন আলিয়া। সেখানকার এক ‘ব্লকবাস্টার’ নির্মাতার সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন বলিউডের ‘গাঙ্গুবাই’।

কে এই পরিচালক? নাগ অশ্বিণ। তার পরিচালনাতেই ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়রা। ৬০০ কোটি বাজেটের ‘কল্কি’ চলতি বছরের ২৭ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে সারাবিশ্বে। সিনেমার দ্বিতীয় ভাগের অপেক্ষায় রয়েছেন অনুরাগীরা।

শোনা গিয়েছে, মহিলা কেন্দ্রিক সিনেমা তৈরি করতে চলেছেন নাগ অশ্বিণ। যেখানে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে আলিয়াকে। গল্প কেমন? সে বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি।

তবে সূত্রের বরাদে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে শুটিং শুরু হবে। হায়দরাবাদের প্রযোজনা সংস্থা বৈজন্তী ফিল্ম নাকি সিনেমাটি প্রযোজনা করছে। উল্লেখ্য, এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অশ্বিণের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা দত্ত।

প্রসঙ্গত, ‘জিগরা’র ভরাডুবির পর আলিয়া ও করণকে বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছিল। সিনেমার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ‘ফেক কালেকশন’ দেখানোর অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক দিব্যা খোসলা।

এই ঘটনায় তিক্ততা এই পর্যায়ে গিয়েছে যে রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিম্যাল পার্ক’ সিনেমা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। স্ত্রীর অপমানের জেরেই নাকি ‘অ্যানিম্যাল’র সিক্যুয়েল ‘অ্যানিম্যাল পার্ক’ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা। কারণ অভিনেত্রী-প্রযোজক দিব্যা সিনেমার অন্যতম প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজের মালিক ভূষণ কুমারের স্ত্রী।