বিনোদন

ঢালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়েছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো নুসরাত ফারিয়াকে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।

রোববার থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। শাহজালালের ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফারিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর এবার পর্দার শেখ হাসিনাও দেশ ছাড়ছিলেন। তবে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিলেও নুসরাত ফারিয়ার গন্তব্য ছিল থাইল্যান্ড।

২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর দেশের সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি পায় শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা।

দুপুরে আটকের পর বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাজধানীর ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ফারিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে বিমানবন্দর থেকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাসরিন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়কার মামলা রয়েছে ভাটারা থানায়। তাকে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করেছে।

ফারিয়ার গ্রেফতারের খবর প্রকাশ পাওয়ার পরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নেটিজেনদের মন্তব্য, মামলা পরই দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করা নুসরাত ফারিয়া।

২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর দেশের সিনেমা হলগুলোতে মুক্তি পায় শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর সিনেমা ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সিনেমায় শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। এরপর দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও।

বিনোদন

ছবি দেখে কে বলবে, ঢালিউডের এই অভিনেত্রী বয়স ৭০-এর ঘরে! মনে হচ্ছে নিজের রূপ-লাবণ্যে দিনকে দিন মোহনীয় হয়ে উঠছেন তিনি। বয়সকে আড়াল করে রীতিমতো মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।

বলা হচ্ছে আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা রোজিনার কথা। সামাজিকমাধ্যমে যিনি বেশ সরব। নিত্য নতুন ছবি শেয়ার করে যিনি ভক্তদের প্রশংসায় ভাসেন।

বুধবার (১৪ মে) নিজের ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন রোজিনা। যেখানে সাগর পাড়ে তিনি মেরুন রঙের গাউনে হাজির হয়েছেন। সঙ্গে পরেছেন সাদা পুতির চোকার ও ম্যাচিং পুতির কানের দুল। ঠোঁটে হালকা লিপিস্টিক আর চোখে মাসকারা দিয়ে সেজেছেন। চুলগুলো মাথার মাঝে ফুলিয়ে পেছনের দিকে টেনে বাধা।

ছবির সঙ্গে কোনো ক্যাপশন জুড়ে না দেননি রোজিনা। তবে এতেই তার অনুরাগীরা তার রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কেউ আবার কমেন্ট বক্সে জানিয়েছেন শুভ কামনাও।

১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রের সহনায়িকা হিসেবে সিনেমায় নাম লেখান রোজিনা। তবে এফ কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর আর রোজিনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। শাবানা, ববিতা, সুচরিতার পাশাপাশি তিনিও হয়ে ওঠেন একজন সুপারহিট তারকা।

রোজিনা অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘সাহেব’, ‘তাসের ঘর’, ‘হাসু আমার হাসু’, ‘হিসাব চাই’, ‘বন্ধু আমার’, ‘কসাই’, ‘জীবনধারা’, ‘সুলতানা ডাকু’, ‘মানসী’, ‘দোলনা’, ‘দিনকাল’, ‘রসের বাইদানী’, ‘জীবনধারা’, ‘রূপবান’, ‘আলোমতি প্রেমকুমার’, ‘হামসে হায় জামানা’সহ প্রায় তিনশত সিনেমা।

চিত্রনায়িকা হিসেবে রোজিনা দেশ-বিদেশে সমাদৃত হন। ১৯৮০ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘কসাই’ সিনেমায় পতিতা আঙুরীর চরিত্রে অভিনয় করে পান বছরের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে মতিন রহমান পরিচালিত ‘জীবন ধারা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য দ্বিতীয়বারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন রোজিনা।

এ ছাড়া ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানে ‘হাম দো হায়’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পাকিস্তানের ‘নিগার এ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে ভারতীয় উপ-মহাদেশে চমক সৃষ্টি করেন এবং বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসেন। রোজিনা তৎকালীন ভারতের জনপ্রিয় নায়ক মিঠুন, পাকিস্তানের জনপ্রিয় নায়ক নাদিমসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাতবহু অভিনেতার বিপরীতে নায়িকা হিসাবে অভিনয় করেছেন।

অভিনয়ের জন্য চিত্রনায়িকা রোজিনা ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ হতে ছোট বড় প্রায় ১৫ টি অন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করে নজির সৃষ্টি করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তার অভিনীত সিনেমার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫৫টি। ১৯৯০ সালের পর তিনি কলকাতায় পাড়ি জমান এবং সেখানে প্রায় ২০টি সফল সিনেমায় নায়িকা হিসাবে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে ‘রাক্ষুসী’ সিনেমার পর আর সিনেমায় কাজ করেননি।

তবে বিরতি ভেঙে ২০২৩ সালে নিজের পরিচালিত সিনেমা ‘ফিরে দেখা’তে হাজির হন রোজিনা। সরকারি অনুদানের সিনেমাটিতে জুটি বাঁধেন এই সময়ের নায়ক নিরব ও নায়িকা স্পর্শিয়া। এছাড়াও ইলিয়াস কাঞ্চনকেও সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যায়।

বিনোদন

‘চল প্রেমে পুড়ে যাই, ভালোবেসে উড়ে যাই, হৃদয় গহনে এই মন গহীনে দু’জনে মিলে হবো ছাঁই’- এমন কথায় নতুন গান নিয়ে এলেন সংগীতশিল্পী নাদিয়া ডোরা। অটমনাল মুনের কথা-সুর ও সংগীত পরিচালনায় রোমান্টিক গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি মডেল হিসেবেও ধরা দিয়েছেন ডোরা।

নতুন গান প্রকাশের উচ্ছ্বাসে ভাসছেন ডোরা। শ্রোতাদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসাও তাকে ভাসিয়ে নিচ্ছে নতুন এ সৃষ্টির অনুপ্রেরণায়।

গানটি প্রসঙ্গে অটমনাল মুন বলেন, গানটা করে যখন ডোরাকে পাঠালাম, ও দারুণ পছন্দ করলো। এ গানটা যে জনরার তাকে চিলস স্টেপ বলে। গানটিতে অন্যান্য মিউজিকের পাশাপাশি ইলেক্ট্রিক গিটার, অ্যাকুইস্টিক গিটার, ইলেক্ট্রনিক ইন্সট্রুমেন্ট মিক্স করে আমার সিগনেচারটা রেখেছি। গানটিতে সুদিং যে সাউন্ডটা তৈরি করেছি এটা শ্রোতাদের জন্য একটা সুন্দর ট্রিপের মতো অভিজ্ঞতা দিবে। আশা করছি গানটি শ্রোতাদের কাছে ধীরে ধীরে পৌঁছে যাবে।

মূলত ফোক গানে সবাই নাদিয়া ডোরাকে চিনলেও ডোরা এবার একটু অন্যরকম করেই ধরা দিলেন। তিন বছর রোমান্টিক গান নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হলেন তিনি।

ডোরা বলেন, আমার পক্ষ থেকে এটা ভক্তদের জন্য উপহার। আমি যে সবসময় ফোক গাই তা নয়, আমি যে রবীন্দ্রসংগীত গাই বা আধুনিক গানও গাই এ ম্যাসেজটাই ভক্তদের দিতে চেয়েছি এ গানের মধ্য দিয়ে। রূপ বদলে নতুন রূপ নিয়ে হাজির হলাম। ভালোবাসার এ গানে আমার ভয়েজের একটা ডিফরেন্ট আঙ্গিক ধরা পড়বে শ্রোতাদের কানে। মডেল হিসেবে অভিনয়ও করেছি। আশা করছি শ্রোতাদের ভালো লাগবে গানটা।

গানের শুটিং হয়েছে প্রকৃতি সমৃদ্ধ নেপালে। গানটি প্রকাশ করেছেন জি সিরিজ। নিয়মিত স্টেজ শো, নিজের ব্যান্ড প্যান্ডডোরা ও নতুন নতুন সলো গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডোরা।

বিনোদন

৭৮তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে নির্মাতা আদনান আল রাজীবের সিনেমা ‘আলী’। ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই বাংলাদেশি সিনেমা লড়বে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চলতি বছরের উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে মনোনীত সিনেমার তালিকা প্রকাশ করে কান উৎসব কর্তৃপক্ষ। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘আলী’র মনোনয়নের কথা জানান নির্মাতা নিজেও।

আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটির প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের তানভীর হোসেন ও ফিলিপাইনের ক্রিস্টিন ডি লিওন। সিনেমাটির লাইন প্রোডাকশন কোম্পানি ‘রানআউট ফিল্মস’।

এই খবরে আবেগাপ্লুত হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং রাজীবের মেন্টর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সামাজিক মাধ্যমে করা এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কিছু খবর আপনাকে আবেগপ্রবণ করে তোলে। এটাও তেমন একটি খবর! আঠারো বছর আগে যখন আদনান প্রথম মহাখালীতে আমার বাসায় এসেছিল, আমি দেখেছিলাম এক ছেলেকে—যে নিজেকে প্রমাণ করতে চায়, একটা ছাপ ফেলতে চায়!’

‘গতকাল যখন সে আমাকে ফোন করে জানাল যে তার শর্ট ফিল্ম আলী কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছে, আমি আনন্দে উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিলাম! যেকোনো বাংলাদেশি নির্মাতার এমন অর্জন আমাকে সমানভাবে খুশি করত, কারণ এটি প্রথম কোনো বাংলাদেশি শর্ট ফিল্ম যা কানের প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিয়েছে! এটি এক ঐতিহাসিক সাফল্য!’-যোগ করেন ফারুকী।

‘আলী’ সিনেমার গল্প সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়ে রাজীব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্যক্তিজীবনের ভেতর দিয়ে আমরা একটা অনিবার্য সত্যকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। সহজ-সরল-সুন্দর ঢঙেই কাজটি করার চেষ্টা ছিল আমাদের।’

প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ মে পর্দা উঠবে কান চলচ্চিত্র উৎসবের। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। এবারের মুয়ল প্রতিযোগিতা বিভাগে জুড়ি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশে।

বিনোদন

দেশের কিংবা বিদেশের শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাই নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। দেশের অনেক তারকা রাজনীতিতে যোগ দিয়ে হয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত।

তবে রাজনীতিতে শিল্পীদের জড়ানোর বিপক্ষে নগর বাউল’খ্যাত ব্যান্ড তারকা জেমস। আর তাই সবসময় নিজেকে রাজনীতির বাইরে রেখেছেন এই রকস্টার।

সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেমসের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, দেশ-বিদেশের অনেক শিল্পী রাজনীতিতে জড়িয়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু আপনাকে সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে দেখা গেছে, বিষয়গুলো নিয়ে কখনো কথাও বলতে চাননি। রাজনীতি নিয়ে আপনার জীবনদর্শন কী?

উত্তরে জেমস বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী, শিল্পীরা রাজনীতিসচেতন হতে পারেন, কিন্তু তাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি না। আর যদি রাজনীতিই করতে হয়, সব ছেড়ে ফুলটাইম রাজনীতি করা উচিত। ’

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন কি-না জানতে চাইলে জনপ্রিয় এই ব্যান্ড তারকা বলেন, ‘ও আসেই। জীবনে অনেক এসেছে। ’

সবশেষ নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জেমস জানান, দেশে ব্যস্ততা আছে। বেশ কিছু আয়োজন আছে। আর আগামী মাসে সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে দাম্মাম আর জেদ্দায় যাচ্ছি, ২ ও ৯ মে সেখানে গান শোনাব। এরপর লম্বা সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি, ২০২৫ ট্যুর নিয়ে।

বিনোদন

মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।

বিনোদন

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি কাজের চেয়ে বরং ব্যক্তিজীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন। এবার গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেই গৃহকর্মী পরীমনির বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছেন।

জানা গেছে, পরীমনির এক বছরের দত্তক মেয়ে সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধর করেন তিনি। এ ঘটনায় পিংকি আক্তার নামের সেই গৃহকর্মী ঢাকার ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) এই জিডিটি করেন পিংকি আক্তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভাটারা থানা পুলিশ।

ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসার এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ওই গৃহকর্মী থানায় একটি জিডি করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

প্রসঙ্গত, এর আগেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য পরীমনির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় নাসিরউদ্দিন উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবনে অভ্যস্ত। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির ভয় দেখান।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিনকে) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদী নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন।

এছাড়া, ২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকালে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির সে বছরের ৫ আগস্ট চারদিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বিনোদন

‘ডাব্বা কার্টেল’ সিনেমাতে অঞ্জলি আনন্দের অভিনয় দর্শকের নজর কেড়েছিল। ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’তে রণবীর সিংয়ের বোনের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছিল অঞ্জলিকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজের জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। শৈশবে লাগাতার হেনস্তার শিকার হয়েছেন এবং সেই স্মৃতি আজও এই অভিনেত্রীকে তাড়া করে বেড়ায়।

সাক্ষাৎকারে অঞ্জলি জানিয়েছেন, মাত্র আট বছর বয়সে তিনি তার বাবাকে হারিয়েছেন। এরপরই তার নৃত্যগুরু তাদের পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। এমনকী তার শৈশবও সেই গুরুর হাতে বন্দি হয়ে যায়। সেই গুরুর কাছেই লাগাতার যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী।

অঞ্জলি বলেন, আমি বুঝতে পারছিলাম না তখন কী করা উচিত। সেই সময় আমার বয়স মাত্র আট বছর। বাবার মৃত্যুর পর আমার নৃত্যগুরু বলতে শুরু করেন তিনিই নাকি আমার বাবা। শিশু বয়সে সেই কথা আমি বিশ্বাসও করেছিলাম। তাছাড়া আমার কোনও উপায় ছিল না।

এরপর তিনি যোগ করে বলেন, সেই গুরু এরপর থেকে ধীরে ধীরে আমায় স্পর্শ করতে শুরু করেন। একদিন হঠাৎ আমার ঠোঁটে চুমু খেয়ে বলেন, বাবারা এমনই করেন। এরপর আমার জীবন অনেকটাই তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। নিজের সেই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে আজও শিউরে উঠি।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই নৃত্যগুরুর হাত থেকে মুক্তি পেতে তাকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে তার প্রথম প্রেমিক এসে নাকি তাকে এই নৃত্যগুরুর কবল থেকে উদ্ধার পেতে সাহায্য করে।

বিনোদন

মার্চ মাসেই মুক্তিযুদ্ধে নেমেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ। এসেছিল বিজয়। সেই যুদ্ধ ও জয়ের গল্পে অনেক সিনেমাই তৈরি হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশের যুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জন নিয়েও তৈরি হয়েছে সিনেমা। তার মধ্যে কিছু চলচ্চিত্র নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত সেসব সিনেমা নিয়েই এই ফিচার-

‘দ্য হরনেটস নেস্ট’

বিদেশি সিনেমার মধ্যে ‘দ্য হরনেটস নেস্ট’ সিনেমাটি ২০১৩ সালে মুক্তি পায়। বেশ চমৎকার গল্পের সিনেমা এটি। আফগান যুদ্ধের প্রেক্ষাপাটে নির্মিত ছবি এটি। এতে সরাসরি যুদ্ধের আবহাওয়াটা অনেক বেশি উপস্থিত। দুজন সাংবাদিককে নিয়ে গল্পটা। যুদ্ধে তাদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে গল্প। বিশ্বজুড়ে সিনেমাটি বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে। ছবিটি যৌথভাকে নির্মাণ করেছেন ডেভিড সালজবার্গ এবং ক্রিশ্চিয়ান তুরেউড।

রোম, ওপেন সিটি

১৯৪৫ সালের সিনেমা এটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মানবিক বিপর্যয়ের করুণ চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রবার্ট রোসেলিনির মাস্টারপিস ‘রোম ওপেন সিটি’ ছবিতে। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর রোম দখল, ইতালিয়ানদের সাহসী প্রতিরোধ নিখুঁতভাবে দেখিয়েছেন পরিচালক। ছবিটিতে যুদ্ধকালীন নির্মমতাও সফলতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন রোসেলিনি।

দ্য ক্রেনস আর ফ্লাইং

রাশিয়ান নির্মাতা মিখাইল কালাতোজোভের একটা মাস্টারপিস এই ছবি। জীবন এবং জীবনের যে উদযাপন তা এখানে আছে। বেঁচে থাকার আকুতি, বিয়োগের ব্যথা- সব মিলিয়েই অসাধারণ চলচ্চিত্র। একবার দেখলে বারবার দেখার ইচ্ছে হয়। ছবিটি ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায়। বিশ্ব চলচ্চিত্রে অনন্য এক সংযোজন ‘দ্য ক্রেনস আর ফ্লাইং’।

দ্য ব্যটেল অব আলজিয়ার্স

ফ্রান্স সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য আলজেরিয়ার সাধারণ মানুষদের লড়াইয়ে নামার কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই ছবিটি। ১৯৬৬ সালে এটি মুক্তি পায়। গেরিলা লড়াইয়ের এক অনবদ্য উপস্থাপনা বলা চলে ছবিটিকে। ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের আগে পেন্টাগনে এই ছবিটি দেখেছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও।

প্লাটুন

১৯৮৬ মুক্তি পাওয়া ‘প্লাটুন’ ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে উপভোগ্য একটি ছবি। যুদ্ধের ভয়াবহতার পাশাপাশি পরিচালক অলিভার স্টোন নৈতিকতা ও মানবিকতাকেও দারুণভাবে তুলে ধরেছেন ছবিটিতে।

‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’

ইতালিয়ান ছবি ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। ১৯৯৭ সালে এটি মুক্তি পায়। রবার্তো বেনিনির ছবি হিসেবেও এটি সমাদৃত। ভীষণ মানবিক গল্পের ছবি, প্রেম ও যুদ্ধের গল্প। যুদ্ধকে একটু অন্যভাবে উপস্থাপনের জন্য ছবিটার আবেদন কখনো ফুরাবে না। ছবিটা ট্রাজেডিতে ভরপুর। কষ্ট আর দুঃখ পেয়েও যে মানুষ বিনোদিত হয়, এই ছবি তার প্রমাণ।

শিন্ডলারস লিস্ট

স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সত্য কাহিনী অবলম্বনে শিন্ডলারস লিস্ট ছবিটি নির্মিত হয়েছে। অস্কার শিন্ডলার জার্মানির এক ব্যবসায়ী, যিনি হিটলার বাহিনীর গণহত্যা থেকে কমপক্ষে এক হাজার পোলিশ ইহুদিকে রক্ষা করেছেন তার ফ্যাক্টরিতে কাজ দিয়ে। যুদ্ধ বা মুক্তিকামী মানুষের গল্পের সিনেমার আলোচনা হলে সর্বকালের অন্যতম সেরা ছবি ধরা হয় ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাটিকে।

ব্রেভ হার্ট

১৩ শতকের স্কটিশ যোদ্ধা উইলিয়াম ওয়ালেস ইংল্যান্ডের রাজার কাছ থেকে স্কটদের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। ছবিটিতে সেই কাহিনী উঠে এসেছে। সেরা ছবি, সেরা পরিচালকসহ (মেল গিবসন) অস্কারে ছবিটি পাঁচটি পুরস্কার পায় ১৯৯৫ সালের সিনেমাটি।

দ্য কিলিং ফিল্ডস

নিউইয়র্ক টাইমসের আমেরিকান সাংবাদিক সিডনি স্ক্যানবার্গ ও কম্বোডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক ডিথ প্রানের অভিজ্ঞতার আলোকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের নৃশংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ১৯৮৪ সালের এই ছবিতে। কম্বোডিয়ায় ভিয়েতনামের খামাররুজ বাহিনীর আক্রমণে প্রায় ১০ লাখ কম্বোডিয়ান নিহত হন। দ্য কিলিং ফিল্ডস ছবিতে সেই বর্বরোচিত দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক রোল্যান্ড জোয়েফ।

টার্টলস ক্যান ফ্লাই

ইরাকি ছবি ‘টার্টলস ক্যান ফ্লাই’ ২০০৪ সালে মুক্তি পায়। এখানেও সম্মুখযুদ্ধ নয়, যুদ্ধের ইমপ্যাক্ট দেখানো হয়েছে। অপূর্ব মেকিং। যুদ্ধময় ইরাকের পটভূমিকে ঘিরে। ইরাকের মানুষ তখন যুদ্ধের খবরের জন্য পাগল। এমন ছোট্ট এক গ্রামে খবরের একমাত্র ভরসা ১৪ বছরের এক কিশোর। তার নাম ‘স্যাটেলাইট’। গ্রামের শিশু-কিশোরদের নিয়ে খোলা মাঠে পুঁতে রাখা মাইন অপসারণের কাজও করে সে। এই মাইন বিক্রি করে পয়সাও উপার্জন করে কিশোরটি। ছবিটি যে কারো মনে দাগ কাটবে। সবগুলো চরিত্র গল্পের সঙ্গে অদ্ভুতভাবে জড়িয়ে আছে। যুদ্ধ কতটা অমানবিক তা দৃশ্যে দৃশ্যে অনুভব করাবে।

এছাড়াও যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নির্মিত বিখ্যাত ছবিগুলো হলো- দাস বুট (১৯৮১), দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই (১৯৫৭), অ্যাপোকেলিপস নাউ (১৯৭৯), সেভিং প্রাইভেট রায়ান (১৯৯৮), দ্য পিয়ানিস্ট (২০০২), গ্রেভ অব দ্য ফায়ার ফ্লাইস (১৯৯৮), ফিউরি (২০১৪), ডাউনফল (২০০৪), দ্য ইমিটেশন গেম (২০১৪), অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট (১৯৩০), ডানকার্ক (২০১৭), ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস (২০০৯), দ্য গ্রেট এসকেপ (১৯৬৩), ডার্কেস্ট আওয়ার (২০১৭), দ্য থিন রেড লাইন (১৯৯৮) ইত্যাদি।

বিনোদন

পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট দেশের ২৪০টি গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেছে বলে ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল যে দাবি করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার দিবাগত রাতে প্রেস সচিব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব লিখেছেন, অনন্ত জলিলের সরকার থেকে কিছু সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করার আগে সঠিক তথ্য জানা উচিত। পোশাক কারখানার ২৪০টি গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেছে বলে তার যে দাবি তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ছাড়া বাংলাদেশি কারখানা প্রতিদিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেটিও অসত্য। হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে বলে তার দাবি, সেটিও ভুল তথ্য।

তিনি লেখেন, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, গত সাত মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও শিল্প পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সপ্তাহে গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভারের প্রায় ৯৯ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল।’

সরকারের দাবি মিথ্যা হলে অনন্ত জলিলকে তার তথ্য ও পরিসংখ্যান উপস্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানান প্রেস সচিব।