বিনোদন

নির্ধারিত সময়ের আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে অবতরণ করে এটি। এ নিয়ে গর্বিত পুরো ভারতবাসী।

আনন্দে ভাসছেন বলিউড তারকারাও। শাহরুখ থেকে আনুশকা-করণরা প্রকাশ করেছেন তাদের উচ্ছ্বাস। অনিল কাপুর, করণ জোহর, ভিকি কৌশল, কারিনা কাপুর খান, আল্লু অর্জুন, সারা আলি খান, কার্তিক আরিয়ান, ভূমি পেডুনেকর, শিল্পা শেঠিসহ তারকারা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহরুখ খান সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইয়েস বস’-এর গানের দু-কলি শেয়ার করে লেখেন- আজ ইন্ডিয়া আর ইসরোর গোটা বিশ্বে জয়জয়কার। সব বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের অভিনন্দন। পুরো টিম আমাদের দেশকে গর্বিত করেছে।

আলিয়া ভাট চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডিংয়ের ছবি শেয়ার করে লেখেন- বাকিটা ইতিহাস…।

অক্ষয় কুমার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন- কোটি কোটি ভারতবাসী ইসরোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। আপনারা আমাদের গর্বিত করেছেন। ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। চাঁদের মাটিতে ভারত, ভারতের চাঁদ জয়।

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে পা রাখল ভারত। মাত্র ৫১৫ কোটি টাকা খরচে সফল হলো এই অভিযান, যা এক বিরল কীর্তি। কিভাবে এটা সম্ভব করলেন, এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ইসরো চিফ এস সোমনাথ।

বিনোদন

বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত অভিনয়ের থেকে নানা বিতর্কের কারণেই যেন সারা বছর আলোচনায় থাকেন। গত বছরই রাখি সাওয়ান্ত মুসলিম মতে বিয়ে করেন আদিল খান দুরানিকে। এরপর গত বছরের শেষের দিকে তার মায়ের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিভিন্ন অভিযোগ এনে আদিলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেই যাচ্ছেন রাখি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার চমকে যাওয়ার মতোই এক অভিযোগ তুলে রাখি জানালেন, তার নগ্ন ভিডিও ৪৭-৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে প্রাক্তন স্বামী আদিল।

দি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সাক্ষাৎকারে রাখি দাবি করেন, ‘আমার স্বামী আদিল খান দুররানি আমাদের হানিমুন চলাকালীন আমার নগ্ন ভিডিও শুট করেছিল। একটি টবে বসে, বাথরুমে গোসল করার সময়, তার সাথে বিছানায় এবং সমস্ত কিছু ভিডিও ধারণ করেছিল। সেটি আরবের এক লোকের কাছে বিক্রি করেছে। জানি না কে সে! তবে সেই ভিডিওর জন্য ৪৭-৫০ লাখ টাকা নিয়েছে আদিল। আমার নগ্ন ভিডিও, নিজের স্ত্রীর ভিডিও বিক্রি করেছে সে।’

আদিলের দিকে অভিযোগের তীর রেখে রাখি আরো বলেন, ‘এ রকম একাধিক ফুটেজ আছে আদিলের কাছে। যেখানে আমার পুরো শরীর নগ্ন দেখা যাচ্ছে। আমি তা-ও চুপ ছিলাম। আমি ওর বউ। আর ও আমাকেই ধর্ষণ করত। ভায়াগ্রা খেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলত অত্যাচার। ভয়াবহ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত সে।’

এদিকে জেল থেকে বেরিয়ে আদিলের অভিযোগ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রাখিকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন আদিল জেলের বাইরে এসে। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে রাখির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন আদিল। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমায় ফাঁসানো হয়েছে। রাখি তার মায়ের মাথায় হাত রেখে বলেছিল যে সে রীতেশকে বিয়ে করেনি। আমিও তাই বিশ্বাস করেছিলাম। এদিকে নভেম্বরে রাখি আমেরিকা গিয়েছিল, আমি দুবাইয়ে ছিলাম। ও ফিরে আসার পর আমি ভয়েস নোট দেখতে পাই, যেখানে রাখি রীতেশকে বলে, ও আমায় বিয়ে করে ভুল করেছে। এরপর রীতেশের থেকেও টাকা নিত শারীরিক সম্পর্কের জন্য।’

অভিযোগে আদিল আরো বলেন, তার আর রাখির কোনো বিয়েই হয়নি। রাখি মুসলিমও হয়নি। সবটাই ভাঁওতাবাজি রাখির। এমনকি রাখি নাকি নিজের জরায়ু পর্যন্ত বাদ দিয়েছেন। কোনো দিন মা হতে পারবে না সে! তবে রাখি এরপর আদিলের অভিযোগের জবাবে ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রমাণ দেন তার জরায়ু একদম ঠিক আছে। ডিম্বাণুও সংরক্ষণ করা আছে, যাতে ভবিষ্যতে মা হতে সমস্যা না হয়।

বিনোদন

সম্প্রতি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অবলম্বনে তৈরি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমাটি শিগগিরই বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে।

সিনেমা হলে মুক্তির আগে ‘মুজিব’ দেখানো হবে কানাডার টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। আগামী ৭-১৭ সেপ্টেম্বর টরন্টোতে বসবে ১১ দিনব্যাপী এই উৎসব। সেখানেই প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।

জানা গেছে, উৎসবে সিনেমার টিমের পক্ষ থেকে যোগ দিতে কানাডায় যাবেন অভিনেতা আরিফিন শুভ ও নুসরাত ইমরোজ তিশা।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শুভ আর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিশা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ গোলাম আজম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, উৎসব শুরুর দিন থেকে সেখানে অবস্থান করবেন অভিনয়শিল্পীদ্বয়।

এ বিষয়ে তিশা বলেন, ভিসা প্রসেসিং চলছে। আশা করছি, প্রিমিয়ারে আমরা উপস্থিত থাকতে পারব। তবে এখনই ফাইনাল কিছু বলা যাচ্ছে না।

ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল বলেন, টরন্টো উৎসবে প্রথমবারের মতো সিনেমাটির প্রিমিয়ার হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব আগ্রহী আন্তর্জাতিক কোনো চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেটির উদ্বোধনী প্রদর্শনীর ব্যাপারে। বিশেষ করে কানাডার মতো দেশ, যেখানে অনেক বাংলাদেশির বসবাস।

শ্যাম বেনেগাল আরো জানিয়েছেন, এই উৎসবে প্রদর্শনীর পর আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো সময় বাংলাদেশ ও ভারতে একসঙ্গে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশেও সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বাংলা ভাষায় ‘মুজিব’ নির্মিত হলেও অন্যান্য ভাষাভাষীর সুবিধার্থে হিন্দি ও ইংরেজি সাবটাইটেল রাখা হয়েছে।

বিনোদন

সব ঝামেলা মিটিয়ে এখন থেকে স্ত্রী পরীমনি ও ছেলে রাজ্যকে নিয়ে থাকার অঙ্গীকার করেছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। কিন্তু শুক্রবারই গুরুতর জখম হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এদিন মধ্যরাত থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শরিফুল রাজের রক্তাক্ত মাথার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে।

এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্বর-ঠান্ডা নিয়ে রাজধানীর ওই একই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মেলে পরীমনির। কিন্তু পরে জানা যায় তিনি জ্বর না আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এ ছাড়া একই সময় ওই একই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকাই সিনেমার আরেক অভিনেত্রী তমা মির্জা।

এর পরই বিনোদনপাড়ার গুঞ্জন— শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনে এক নির্মাতার অফিসে মারামারি হয় রাজ-পরীমনির।

পরীমনিকে চিকিৎসা দেওয়া রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ার সূত্রে জানা গেছে, জ্বর নয়, কাটা হাত নিয়ে হাসপাতালে আসেন পরীমনি।

হাসপাতালের একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কাটা হাত নিয়ে হাসপাতালে আসেন পরীমনি। সেলাই না লাগলেও ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করাতে হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরীমনি বসুন্ধরায় তার নিজ বাসায় চলে যান।

অন্যদিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন শরিফুল রাজ। সেখানে তার মাথায় চারটি সেলাই করতে হয়েছে। চিকিৎসা শেষে তিনিও তার বাসায় চলে গেছেন।

একই হাসপাতালে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তমা মির্জা। শোনা যাচ্ছে, জ্বর নয়, ওই দিন রাজ-পরীমনির মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হন তমা।

তবে এসব বিষয় নিয়ে রাজ, পরীমনি কিংবা তমা কেউই কিছু নিশ্চিতভাবে না বলা পর্যন্ত এই ধোঁয়াশা কাটবে না।

বিনোদন

জলছবি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সিনেমা জগতে প্রবেশ ঢাকাই সিনেমার স্বর্ণালি দিনের নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। গতকাল ১৮ আগস্ট ছিল নায়ক ফারুকের জন্মদিন।

তবে জন্মদিন নিয়ে বরাবরই উদাসীন ছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় তিনি কখনই নিজের জন্মদিন পালন করতেন না। এর কারণ হিসেবে তিনি জীবদ্দশায় বলেছিলেন— একটা সময় আমার জন্মদিন কেন্দ্র করে উৎসব হতো, হইচই হতো। অনেক আনন্দ করতাম। কিন্তু ১৯৭৫ সালে আমার নেতা নিহত হওয়ার পর সব আয়োজন বাদ দিয়েছি। আগস্ট মাস এলেই আমি মনমরা হয়ে যাই। আমার সব আনন্দে ভাটা পড়ে। নেতার জন্য মন কাঁদে। তাই আমি জন্মদিন পালন করতে চাই না, করিও না।

তবে স্ত্রী ও সন্তান ভালোবেসে কেক আনতেন। ওদের খুশি করার জন্য সামান্য সময় কেককাটার সময় থাকতাম। পরিবারের সদস্যরাও জানত আমি বেশি হইচই পছন্দ করি না। ভক্তরা কিংবা কাছের মানুষরা শুভেচ্ছা জানাতেন, তাদেরও স্মরণ করিয়ে দিতাম শোকের মাসে জন্মদিন বলে আমি দিনটি পালন করতে চাই না, ইচ্ছেও করে না।

নায়ক ফারুক প্রায় ১০০+ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার বেশিরভাগ সিনেমাই দর্শকদের হৃদয় জয় করতে পেরেছিল। নায়ক ফারুকের উল্লেখযোগ্য কিছু সুপারহিট সিনেমাগুলোর মধ্যে খান আতাউর রহমান পরিচালিত আবার তোরা মানুষ হ; আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত সারেং বৌ; প্রমোদ কর পরিচালিত সুজন সখী ও দিন যায় কথা থাকে; আমজাদ হোসেন পরিচালিত গোলাপী এখন ট্রেনে ও নয়নমনি; দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত পালকী; চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত পদ্মা মেঘনা যমুনা।

এ ছাড়া জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত জীবন সংসার; নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল, সাহেব ও লাঠিয়াল; আব্দুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ; তাহের চৌধুরী পরিচালিত মাটির মায়া; বেলাল আহমেদ পরিচালিত নাগরদোলা; শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত এতিমসহ আরও অনেক সিনেমা।

গত ১৫ মে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নায়ক ফারুক। মৃত্যুর পর এটিই ছিল তার প্রথম জন্মদিন।

বিনোদন

বেশ কয়েকদিন ধরেই শুটিং সেটের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খবরের শিরোনামে রয়েছেন ছোট পর্দার দুই অভিনয়শিল্পী রুকাইয়া জাহান চমক ও আরশ খান।  পাল্টাপাল্টি অভিযোগে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন তারা।

এ দ্বন্দ্বে আলোচনায় জ্যেষ্ঠ অভিনেতা মাসুম বাশারও।

গেল শুক্রবার (৪ আগস্ট) উত্তরার একটি শুটিং বাড়িতে আদিব হাসান পরিচালিত ‘শ্বশুর বাড়িতে প্রথম দিন’ নাটকের দ্বিতীয় দিনের শুটিংয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি এখন ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘের কাছে বিচারাধীন।

চমকের অভিযোগ এসব ঘটনার মূল ইন্ধন দাতা সহশিল্পী-বন্ধু আরশ খান। আরশের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন অভিনেতা। বিষয়টি নিয়ে সবাই কথা বললেও পুরো সপ্তাহজুড়ে চুপ ছিলেন অভিনেত্রী চমক।

তবে নিজের ক্যারিয়ার এবং আত্মসম্মানের কথা ভেবে এবার মুখ খুললেন তিনিও। অকপটে জানিয়েছেন সহশিল্পী-বন্ধুর কাছ থেকে বিভিন্ন হয়রানি সম্পর্কে। এর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকার কারণ জানিয়ে চমক বলেন, আসলে এতদিন অনেক বিষয় নিয়েই খোলাসা করে কথা বলতে পারছিলাম না। কারণ, ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘ থেকে কথা বলতে নিষেধ ছিল। যে কারণে চুপ ছিলাম। তাদের কাছে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দু-একদিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তাদের বসার কথা রয়েছে। এতদিন এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু এখনো যদি চুপ থাকি তাহলে সবার আমার প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই কথা বলতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে যেটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য বড় ধরনের হুমকি। যার কারণে আর চুপ থাকার সুযোগ নেই।

আরশের নামে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, আরশ আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল এবং তার সঙ্গে বেশ কিছু কাজও করেছি। কিন্তু এই বন্ধুত্বের আড়ালে আরশ আমার কাছে বেশি কিছু দাবি করে বসে। এর মধ্যে আমি ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু নায়িকার কাছ থেকে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা জানতে পারি। জানার পর বন্ধুত্বের বেশি যে সম্পর্ক সে গড়তে চেয়েছিল তাতে আমি রাজি হইনি। এরপর আমি তাকে জানাই, যদি সে এভাবে আমাকে হ্যারেজ করতে থাকে তাহলে আমি তার সঙ্গে আর কাজ করব না। এরপর আরশ আমাকে জানায়, সে আমার সঙ্গে প্রফেশনালি কাজ করবে, এ ধরনের কথা আর বলবে না।

চমক আরও বলেন, আরশের সঙ্গে এরপর বেশকিছু কাজের প্রস্তাব আসে আমার কাছে। তখন পরিচালকদের জানাই একসঙ্গে এত বেশি কাজ করতে চাই না। মাসে এক-দুটি কাজ করতে চাই। এতে আমার প্রতি তার ক্ষোভ তৈরি হয়। সেই ক্ষোভ থেকে এ ধরনের বিষয় চলে এসেছে।

আরশের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, সম্পর্কে না জড়ানোর ক্ষোভে তাকে শুটিং সেটে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে টাচ করা হতো। ফোন করে বিরক্ত করা হতো। এ ঘটনার সঙ্গে নাটকটির পরিচালকও জড়িত রয়েছেন বলে দাবি করেন চমক।

অভিনেত্রী জানান, আরশ ও আদিব পরস্পর খুব ভালো বন্ধু। আরশের ইন্ধনেই নির্মাতা তার কাছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে তার লোকজন এসে টাকা আদায় করবে বলেও হুমকি দেয়।

যোগ করে চমক বলেন, আরশ বলেছেন আগের দিন শুটিং শেষে তাকে কেন আমি নামিয়ে দিয়েছি। রাতের বেলা যদি একজন প্রডাকশন বয়কেও নামিয়ে দিতে হয় নামিয়ে দিতাম। এটা শুধু আরশ বলে নয়। তাছাড়া আমার বাসার পাশেই আরশের বাসা। সেদিন গাড়ি থেকে নামার সময়ও আরশ বলতেছিল- চমক তুমি আমার ‘অলিখিত প্রেমিকা’। তখন আমি বলেছিলাম তোমার আমার বন্ধুত্বের সম্পর্কের জন্যই কাজটি করতে রাজি হয়েছিলাম। এর বাইরে কিছু হলে কিন্তু কাজ করব না। আমাকে মানসিকভাবে বিব্রত করার জন্যই এগুলো সে করেছে। সেটে বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে কথা বলা টাচ করতে ছিল। যেগুলো আমি এড়িয়ে যাচ্ছিলাম কাজ শেষ করার জন্য। দ্বিতীয় দিন সকালে আরশ ফোন দিচ্ছিল। তখন আমি বললাম- তুমি নিজেই সেটে না এসে কেন কল দিলে? সেটে ডাকার দায়িত্ব তোমার না। এসব কথা নিয়ে সে ক্ষেপে যায়।

চমক আরও বলেন, শুটিং সেটে আমি পুলিশ ডেকেছি ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য। কাউকে হেনস্থা করার জন্য নয়। পুলিশ যখন সেট থেকে আমাকে নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেছে, তারা আমাকে বের হতে দেয়নি। জিম্মি করে রেখেছিল।

অভিনেত্রী বলেন, আরশের ব্যক্তিগত ইগো থেকে এটা শুরু হয়েছে। সেটা কেউ বুঝতে চাইল না। পেছনের গল্পটি কেউই জানে না। পরিচালককে আরশ ইন্ধন দেয় তখন পরিচালক আমাকে অপমানমূলক কথা বলতে শুরু করে। তখন আমি বললাম এ ধরণের কথা বললে কাজটি করতে পারব না। তখন সে বলে সেট থেকে যেতে হলে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে যেতে হবে। কার এত বড় সাহস সেট থেকে বেরিয়ে যাবে। আমি একটি ফোন দিলে উত্তরার সব পোলাপান চলে আসবে। তখন নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

চমক প্রশ্ন তুলেছেন নির্মাতার অসুস্থতা নিয়েও। তিনি বলেন, আমি জানতে চাই এই অল্প সময়ে আদিব হাসান কোন হাসপাতালে গিয়েছিল এবং ডাক্তার কি বলেছে। যদিও সে বিষয়টি পরিস্কার করে কিছু বলেনি। আর কিভাবেই এই অল্প সময়ে সুস্থ হয়ে সেটে আসে। এটি হওয়ার কারণে সেটের সবাই আমার ওপর ক্ষেপে যায়। সেটের সব মানুষকে উসকে দিয়ে আমার বিপরীতে নিয়ে গেছে আরশ। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই কাজটি করেছে। পুরো ঘটনা নিয়ে লিখিত জানিয়েছি এবং এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছি।

চমক জানিয়েছেন, মাসুম বাশার আঙ্কেল আর আমাকে ঘিরে যে বিষয়গুলো আসছে তা ভয়ংকর মিথ্যাচার। মাসুম বাশারের মেয়ে বলেছে আমি নাকি সেটে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছি তাহলে পুলিশ আসার পর তারা কেন তাদের বলেনি। তখন কেন চুপ ছিল? পুলিশ মানুষের বন্ধু। আমি তো কোনো সন্ত্রাস ডাকিনি। নিজের নিরাপত্তার জন্য তাদেরে এনেছি। এটা নিয়ে তারা বড় ইস্যু করছে। মাসুম আঙ্কেল বলেছেন পুলিশ ডেকে নাকি তাকে অপমান করা হয়েছে। এটা মিথ্যাচার। তারা আমাকে আটকাতে চেয়েছিল অথচ সংবাদমাধ্যমে বলেছে আটকানো হয়নি। এটাই তো বড় মিথ্যাচার। পুলিশ আমাকে নিয়ে বের হতে চেয়েছিল তারা বের হতে দেয়নি।

শুটিংয়ের প্রথম দিনের কথা উল্লেখ করে চমক বলেন, এর আগের দিন বাহিরের ১২ জনের মতো গুন্ডা টাইপের লোক সেটে এনে আড্ডা দেয় পরিচালক। এটি কি একটি সেটে শোভন?

পরেরদিন এ নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। তারপরও কি আমি চুপ থাকব? ছুটির দিন শিল্পী সংঘ আমার ডাকে দ্রুত সাড়া দিয়ে এসে রক্ষা করেছেন। এটা অনেক বড় কিছু। এই সময়টা আমি হুমকিতে ছিলাম। ভয়-ভীতি থেকে পুলিশ ডেকেছিলাম।

মাসুম বাশার আঙ্কেল পেছনের গল্প জানে না উল্লেখ করে চমক বলেন, যতটুকু তিনি দেখেছেন এবং পরিচালকের অসুস্থতার নাটকের কারণে তিনি আমার ওপর ক্ষেপে যান। আমার শুধু পরিচালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে অন্য কারো সঙ্গে নয়। বাজে কথা বলার জন্য আমি উত্তেজিত হয়েছিলাম এটা মানছি। কিন্তু মাসুম বাশার আঙ্গেলের সঙ্গে খারাপ আচারণ করিনি। তখন উভয়ের সঙ্গেই তার চেচামেচি হয়।

এই অভিনেত্রী বলেন, তিনি বয়স্ক একজন লোক তার সামনে যদি উচ্চ স্বরে কথা বলা হয় সেটিও একধরনের বেয়াদবি। এটার জন্য আমি সরি। কিন্তু তাকে মারতে গিয়েছি এটা বড় একটা মিথ্যাচার। মারতে গেলে সেদিনই বলত। শিল্পী সংঘে তখন তার কথা হয়েছিল তখন তো এমন কিছু বলেনি। ঘটনার তিন-চার দিন পর তার মেয়ে (অভিনেত্রী নাজিবা বাশার) ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। এতে পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করল। এই মিথ্যাচারের বিচার হওয়া উচিত। আমার সঙ্গে যে মিথ্যাচার হচ্ছে সে বিচার কে করবে? নাজিবা আমার বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং করেছে। সেটা নিয়ে এখনো চুপ আছি। কারণ শিল্পী সংঘের প্রতি আমার আস্থা আছে। তাদের বিচারের অপেক্ষায় আছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব ভয়ংকর মিথ্যাচার হচ্ছে তার বিচার চাই।

সবশেষে চমক বলেন, আরশের এ রকম নারী ঘটিত বিষয় আরও অনেক আছে। তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে। আমাকে যে হয়রানি করেছে তার কি হবে? আমি ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি। ডাক্তারি পেশা ছেড়ে ভালোবেসে অভিনয়ে এসেছি নিরাপদ ও মুক্ত ভাবে কাজ করতে। আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। দয়া করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন না করে পাশে থাকবেন প্লিজ।

বিনোদন

আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের তৈরি করা ছবিতে এবার সুপারহিরো হলেন চঞ্চল চৌধুরী। নিজেই পোস্ট করেছেন নিজের সেই ছবি।

এমন যদি হতো…’, কথাটি লিখেই নিজের এই ছবি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।

প্রথম ঝলকে অভিনেতাকে চেনাই দায়। তবে একটু ভাল করে দেখলে বোঝা যাবে এ চেহারা চঞ্চল চৌধুরীর। এ আই-এর জাদুকাঠির ছোঁয়ায় যার দু’টি ডানা হয়েছে।

অভিনেতার এই ছবি তৈরি করেছেন জনপ্রিয় গায়িকা আঁখি আলমগীর। উপহার হিসেবে পেয়েছেন নিজের এই নতুন রূপ। বিয়ষটি জানিয়েছেন চঞ্চল নিজেই।

চঞ্চল চৌধুরীর এই রূপ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। ‘দারুণ হতো! হতেই পারে!’, ‘অসম্ভব সুন্দর মানিয়েছে দাদা’- এমন মন্তব্যে ভরা তার কমেন্ট বক্সে। কারও কারও আবার অভিনেতার ন্যাচরাল লুকই পছন্দ। তাদের মতে, ‘আপনি যেমন তেমনি ভালো। ’

একজন আবার গ্লোবাল সিনেমা তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছেন। কেউ আবার লেখেন, ‘আপনি যে আয়নাবাজি আমাদের উপহার দিয়েছেন তা আর কম কিসে?’

চঞ্চল চৌধুরীর কাজের জন্য এখন মুখিয়ে থাকেন অনেক দর্শকরা। কারণ, তারা জানেন যে এই অভিনেতা তাদের নির্দিষ্ট কিছু চরিত্রের মধ্যে বন্দী না রেখে ক্রমাগত নিজেকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

শিগগিরই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিকে’ এ দেখা যাবে তাকে। বরেণ্য নির্মাতা মৃণাল সেনের লুকে চঞ্চল চৌধুরীকে দেখে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গেছে দুই বাংলায়। নির্মাতা-প্রযোজকের ইচ্ছে- সিনেমাটি একসঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার।

বিনোদন

‘আমি এখনও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেই পুরনো সময়ের পুরনো সব গল্প, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং সঙ্গীত পরিচালকদের কথা মনে রেখেছি। আজ আপনি যদি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস জানতে চান তবে শুধুমাত্র আমিই আপনাকে এটা বলতে পারি।

সেই সব গল্প বলতে শুরু করলে শেষ হতে ৩-৪ দিন লেগে যাবে। আমিই এই ইন্ডাস্ট্রির শেষ মুঘল। ’
কথাগুলো বলেছেন ভারতের কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে।

বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর বলিউডে একপ্রকার তিনিই একমাত্র স্বর্ণযুগের গায়িকা। সম্প্রতি, মুম্বাইয়ে বলিউড ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উত্তরাধিকার’ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। সেখানেই তিনি তার নিজের ‘সঙ্গীত’ ক্যারিয়ার এবং বলিউডে প্লেব্যাক শিল্পী হিসাবে নিজের যাত্রাপথ নিয়ে কথা বলছেন তিনি।

আশা ভোঁসলের কথায়, বর্তমানে যে গায়ক-গায়িকা শিল্পীদের দেখা যাচ্ছে, তাদের বেশিরভাগকেই জন্ম নিতে (শিল্পী হিসাবে) তিনি দেখেছেন। বিনোদন দুনিয়ার খবর তিনি রাখেন।

আশা ভোঁসলে জানান, শিগগিরই তার দুবাইতেও একটি লাইভ কনসার্ট রয়েছে। যে অনুষ্ঠানের নাম ‘আশা ৯০ লাইভ কনসার্ট’। সেখানে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা টানা কনসার্টে গাইবেন ৯০ ছুঁই ছুঁই আশা।

এদিকে অনুষ্ঠানে তার জীবনে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার কথা বলেন আশা ভোঁসলে। তিনি বলেন, আমি ১৯৪৫ সালে মুম্বাইয়ে আসার পর থেকে হিন্দি গান গাইতে শুরু করেছিলাম। আজ এই অনুষ্ঠানে যে সমস্ত শিল্পী এবং সঙ্গীতশিল্পীরা রয়েছেন, তাদের তো আমি চোখের সামনেই জন্মগ্রহণ করতে দেখেছি।

এদিন সবাইকে ‘ইয়ে বাদা রাহা’ গানটি গেয়ে শোনান আশা ভোঁসলে।

প্রসঙ্গত, আশা ভোঁসলে সম্পর্কে লতা মঙ্গেশকরের ছোট বোন। আশা-লতা দুজনেই একসময় বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে রাজত্ব করেছেন। আর সেটাও প্রায় কয়েক দশক। ৮ দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী তার কর্মজীবনে, তিনি শুধু হিন্দিতে নয়, অন্যান্য ২০টি ভারতীয় ভাষার পাশাপাশি কিছু বিদেশী ভাষাতেও গান রেকর্ড করেছেন।

আশা ভোঁসলে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৮টি মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারের পেয়েছে। এছাড়াও ২০০০ সালে তিনি ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’-এ ভূষিত হন।

বিনোদন

এক সময়ের ভারতীয় বাংলা সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর বর্তমান ব্যস্ততা ছোট পর্দায়। সঞ্চালিকা হিসাবেই তাকে ক্যামেরার সামনে বেশি দেখছেন দর্শক।

এখন তিনি টলিপাড়ার ‘দিদি’।

তবে শুটিংয়ের ব্যস্ততার মধ্যে পরিবারের জন্য তোলা থাকে পর্যাপ্ত সময়। ছেলের রৌনকের প্রতিটি জিনিসে নজর মা রচনার।

দর্শকের একাংশের ধারণা, তারকা-সন্তানেরা সহজে অনেক কিছু পেয়ে যায় বলে মূল্যবোধ তৈরি হয় না। কিংবা মা-বাবার খ্যাতির প্রভাব পড়ে তাদের জীবনেও। এছাড়া ব্যস্ততার কারণেও অনেক অভিনেতা সময় পান না ছেলেমেয়ের পড়াশোনার দিকে নজর দিতে।

যদিও সে কথা রচনার ক্ষেত্রে যে প্রযোজ্য নয়। সেই প্রমাণ আবারও মিলল ‘দিদি নম্বর ১’-এর নতুন পর্বে। নতুন পর্বে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন ছোট পর্দার আরেক জনপ্রিয় সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ‘রান্নাঘর’ নামক জনপ্রিয় রান্নার শো-এর সঞ্চালিকা ছিলেন তিনি।

এবার এই শো-এর মঞ্চে এসে ফাঁস করলেন রচনার জীবনের আর এক গোপন তথ্য। এমনিতেই শো-এর বিভিন্ন পর্বে নিজের ছেলের সম্পর্কে নানা কথা বলে থাকেন নায়িকা।

ছেলে বড় হচ্ছে তাই তাকে সামলাতে গিয়ে মাঝেমাঝে হিমশিমও খেতে হয় রচনাকে। আবার অনেক প্রতিযোগীকে সন্তান সামলানোর টিপসও দেন তিনি। রচনা নিজে তার ছেলেকে সামলাতে, সঠিক পথে রাখতে কী কী করেন সে কথা ফাঁস করলেন সুদীপা।

তিনি বলেন, আমার আর রচনাদির রূপসজ্জার ঘর পাশাপাশি ছিল। দিদির সেই ঘরে একটি বোরখা টাঙানো থাকত। এক দিন আগ্রহের বশে এক জনকে জিজ্ঞেস করি এখানে এই বোরখাটা ঝুলছে কেন? তখন জানতে পারি রৌনককে পড়ানোর জন্য, ওকে সময় দেওয়ার জন্য বিশেষ পন্থা বার করেছেন দিদি। রচনা সেই বোরখা পরে মেট্রো করে কালীঘাট আসতেন। মেট্রো স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত তার বাড়ির গাড়ি। সেই গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছাতেন তিনি। রৌনককে সঠিক সময়ে যাতে পড়াতে বসাতে পারেন, সেই জন্যই এই উপায় বার করেছিলেন রচনা।

এই ঘটনা ভাগ করে নিয়ে সুদীপা জানান, তিনি নিজেও এখন একজন মা। রচনার মতো তিনি ছেলে আদিদেবকে সঠিকভাবে মানুষ করতে চান।

বিনোদন

শাকিব খানের ‘নাকাব’ সিনেমার নায়িকা কলকাতার সায়ন্তিকার বিপরীতে অভিনয় করতে যাচ্ছেন জায়েদ খান! মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) হঠাৎ এমন খবর ছড়িয়েছে।

জানা যায়, সিনেমাটি পরিচালনা করবেন তাজু কামরুল।

কয়েকটি ওয়েব পোর্টালও খবরটি প্রকাশ করে। সেখানে এমন খবর আছে, সিনেমাটির বিষয়ে সায়ন্তিকার সঙ্গে কথাবার্তা চূড়ান্ত। এখন শুধু তার ঢাকায় আসার অনুমোদনের অপেক্ষামাত্র।

এ ব্যাপারে জায়েদ খানের ভাষ্য, এটি ভুয়া খবর। আলোচনায় আসার জন্য এসব। আমাকে কয়েকজন এই নিউজের লিংক পাঠিয়েছেন, দেখে আমি হাসলাম। আমি এই খবর দেখে তাজু কামরুলকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘আমি এসব কোথাও বলিনি। ’

‘আমি তাকে বলেছি, আপনি আমার ইজ্জত নষ্ট করবেন না যেন। এর আগে অন্য একটি সিনেমার জন্য শ্রাবন্তীকে নিয়ে একটা নিউজ হয়েছিল। তখন কিছু মানুষ শ্রাবন্তীকে বুঝিয়েছিল, আমি নাকি তার নাম ভাঙিয়ে নিউজ করেছি। সে সময় শ্রাবন্তীকে নিয়ে ইজ্জত গেছে, এবার সায়ন্তিকাকে নিয়ে ইজ্জত নষ্ট করবেন না। ’ যোগ করেন জায়েদ খান।

এ ধরনের খবরে অনেকটা অবাক জায়েদ খান। তিনি বলেন, কিছু মানুষ আছে, কোনো নিউজ না থাকলে, খবরে থাকতে, আলোচনায় থাকতে, খবর বানিয়ে ফেলেন। দেখেন না, অনন্য মামুন আমির খানের ভাইকে সিনেমাতে চুক্তি না করেই খবর ছড়িয়েছিল। এসব খুবই হাস্যকর ব্যাপার।

তবে অনেক আগে ওই পরিচালকের সঙ্গে একটি সিনেমা নিয়ে কথা হয়েছিল বলে জানান জায়েদ খান। তিনি বলেন, একটা সিনেমা নিয়ে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়েছিল তার সঙ্গে। কিন্তু কোনো চুক্তি বা চূড়ান্ত কোনো কিছুই হয়নি।