বিনোদন

ঈদের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা। তেমনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ঈদের শুভেচ্ছা অভিনেত্রী জয়া আহসান।

তবে তার শুভেচ্ছায় ছিল— বিশ্বব্যাপী কোভিড ও সম্প্রতি দেশের মার্কেটগুলো অগ্নিকাণ্ডসহ মানুষের দুর্বিসহ সময় কাটিয়ে উঠার প্রেরণা।

ঈদের দিন শনিবার বিকালে ফেসবুকে নিজের হাস্যোজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেন তিনি।

সেখানে ক্যাপশনে লেখেন, ‘গেল কয়েকটা বছর বড় দুঃখের সময় পার করে করে ঈদ আসছে। আমরা পার করে এসেছি কোভিড, বিরাণ সময়। এরপর সারা পৃথিবীতে কী ভীষণ আর্থিক চাপ এল। আর তার মধ্যেই একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হলো কত শত পরিবার। এসব গভীর দুঃখের মধ্যেই এসেছে ঈদের চাঁদ। এসে যেন বলছে, আমি তোমাদের সবার। তোমরাও প্রত্যেকে সবার হয়ে ওঠো।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এবার আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছে আমার ছোট ভাই অদিত। বহুদিন পর ঈদের সময়টাতে আমরা এক হয়ে থাকব। সবার সঙ্গে সবাই জড়াজড়ি করে থাকার মধ্যে যে অপার শান্তি, এবারের ঈদের সেটাই পরম প্রাপ্তি।

‘ঈদ আপনাদের জীবন যার যার মতো করে ভরিয়ে তুলুক। ঈদ মোবারক!’

বিনোদন

শাহরুখের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বন্ধুত্ব যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে, সেই কথা নাকি অভিনেত্রী তার কাছের বান্ধবীদের জানিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই নাকি নীলম সব জানতে পারেন।

শাহরুখ খান নিজের কাজ এবং পরিবার নিয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন। বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি। তবুও বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাসের সঙ্গে অভিনেতার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বলিপাড়ায় যে চর্চা শুরু হয়েছিল, তা সহজে থামেনি।

২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডন’ ছবিতে শাহরুখের সঙ্গে প্রথম অভিনয় করতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কাকে। ছবির প্রচারে হোক বা বলিপাড়ার অন্যান্য অনুষ্ঠানে- দুই তারকাকে অধিকাংশ সময় একসঙ্গে দেখা যেত। তাদের গভীর বন্ধুত্বের ছিটেফোঁটা ধরা পড়ত পাপারাজ্জিদের ক্যামেরার লেন্সেও। কিন্তু তাদের পরকীয়া সম্পর্কের কথা রটিয়েছিলেন বলিপাড়ারই এক অভিনেত্রী।

শাহরুখ এবং গৌরীর বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান হলে সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতেন বলি অভিনেত্রী নীলম কোঠারি। গৌরীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন নীলম। প্রিয়াঙ্কার দাবি, নীলমই তার সঙ্গে শাহরুখের পরকীয়া সম্পর্কের ভুয়া খবর ছড়িয়েছিলেন।

বলিপাড়া সূত্রে খবর, শাহরুখের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বন্ধুত্ব যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে, সেই কথা নাকি অভিনেত্রী তার কাছের বান্ধবীদের জানিয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো যোগসূত্র ছিল নীলমের। এ কান ও কান ঘুরে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে শাহরুখের বিশেষ বন্ধুত্বের কথা নীলমের কানে আসে।

কানাঘুষো শোনা যায়, টরেন্টোয় গিয়ে মধ্যরাতে শাহরুখ এবং প্রিয়াঙ্কা গোপনে বিয়ে করেছিলেন। নীলমই শাহরুখ এবং প্রিয়াঙ্কার পরকীয়ার কথা গৌরীকে জানিয়েছিলেন। তারপরই শাহরুখ এবং গৌরীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।

২০১২ সালে করণ জোহরের বাড়ির এক অনুষ্ঠানে বলিপাড়ার সমস্ত নক্ষত্র হাজির ছিলেন। অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রিত ছিলেন শাহরুখ, গৌরী, প্রিয়াঙ্কাও। সেই অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কার আগে সস্ত্রীক শাহরুখ পৌঁছেছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রিয়াঙ্কা পৌঁছতেই শাহরুখ অভিনেত্রীকে আপ্যায়ন করতে চলে যান। প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে তার গালে সৌজন্যের খাতিরে চুমু এঁকে দেন শাহরুখ। পুরো ঘটনাটি গৌরীর নজরে পড়ে।

অনুষ্ঠানে শাহরুখের আচরণ দেখে গৌরী ক্ষুব্ধ হয়ে যান। বলিপাড়া সূত্রে খবর, তারপরই শাহরুখের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন গৌরী। গৌরী বলিউডের প্রযোজক এবং পরিচালকদের বলেছিলেন যে প্রিয়াঙ্কাকে যেন কোনো কাজ দেওয়া না হয়।

কানাঘুষো শোনা যায় যে শাহরুখকেও প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কাজ করতে মানা করেছিলেন গৌরী। তারপর আর দুই তারকাকে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।

২০১২ সালেই নীলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন প্রিয়াঙ্কা। দাবি করেন, শাহরুখের সঙ্গে তার পরকীয়ার ভুয়া খবর রটিয়েছেন তিনি। নীলম যদিও প্রিয়াঙ্কার দাবি অস্বীকার করেন।

নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে নীলম লেখেন- মিথ্যা কথা রটানোর যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা জানার পর আমার কী করা উচিত বুঝতে পারছি না।

নীলম টুইটারে লিখে জানান যে, বহু বছর ধরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন; কিন্তু তার ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার কোন বিতর্কে নাম জড়িয়েছে।

কানাঘুষো শোনা যায় যে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে নীলমের এ বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এমনকি একে অপরকে গালমন্দও করেন দুই অভিনেত্রী। এ বিষয়ে নীলমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অস্বীকার করেন।

নীলম জানান যে, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কোনো ঝামেলা হয়নি তাদের মধ্যে। শাহরুখ এবং প্রিয়াঙ্কা সম্পর্কে কোনো কথাই ছড়াননি তিনি।

নীলম বলেন, গৌরী আমার খুব ভালো বান্ধবী। আমি কেন অকারণে আমার বান্ধবীর স্বামী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করতে যাব?

ধীরে ধীরে হিন্দি ফিল্ম জগতে প্রিয়াঙ্কার কাজ পাওয়া কমে আসে। বলিউডের দিকে ঝুঁকতে থাকেন তিনি। সম্প্রতি স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে ভারতে এসেছেন প্রিয়াঙ্কা। ‘সিটাডেল’ ওয়েব সিরিজের প্রচারের কাজে ব্যস্ত তিনি।

বিনোদন

ঈদের জন্য নির্মিত একটি নাটকে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী নিলয় আলমগীর ও সামিরা খান মাহি। নাটকের নাম ‘চাঁদের গায়ে চাঁদ’। এটি রচনা করেছেন ফেরদৌস হাসান। পরিচালনা করেছেন এস আর মজমুদার। এরইমধ্যে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যধারনের কাজ শেষ হয়েছে।

এতে অভিনয় প্রসঙ্গে নিলয় আলমগীর বলেন, ‘নাটকটির গল্প যেহেতু শ্রদ্ধেয় ফেরদৌস হাসান রানা ভাইয়ের, তাই এতে বেশ আগ্রহ নিয়ে আমি অভিনয় করেছি। রানা ভাই সবসময় গল্প সহজভাবেই বলার চেষ্টা করেছেন। কমেডি ঘরানার গল্পের নাটক এটি। নির্মাতাও বেশ যত্ন নিয়ে নাটকটি নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন। আর মাহি ন্যাচারাল অ্যাকিক্টং করে। আগেও তার সঙ্গে কাজ করেছি। আশা করছি এ নাটকটিও দর্শক গ্রহণ করবেন।’

মাহি বলেন, ‘নিলয় ভাইয়ের সঙ্গে এর আগেও আমি বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। সেগুলো দর্শকের ভালো লেগেছে। আমি আশাবাদী আমাদের নতুন এই নাটকটি নিয়ে।’ নাটকটি ঈদ উপলক্ষ্যে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে।

উল্লেখ্য, নিলয় ও মাহি এর আগে জুটি বেঁধে ‘এক সাথে’, ‘ভুল করেছি প্রেম করেছি’, ‘যেমন জামাই তেমন বউ’, ‘সাইড ক্যারেক্টার’, ‘ক্যাপ’, ‘পেইনফুল গার্লফ্রেন্ড’, ‘মাস্তান নাম্বার ওয়ান’, ‘কানার হাটবাজার’ শিরোনামের নাটকে অভিনয় করেছেন।

বিনোদন

সাদিয়া জাহান প্রভা একজন বাংলাদেশি মডেল এবং ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মিডিয়া জগতে তার আগমন ঘটে মডেলিংয়ের মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনে কাজ করার পর তিনি কয়েকটি খণ্ডনাটকে অভিনয় করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি।

ব্যক্তিগত কেলেংকারির জন্য কিছু সময় কর্মজীবনের ভাটা পড়ে তার।

ভিডিও স্ক্যান্ডাল নিয়ে যথেষ্ট খেসারত দিতে হয়েছে তাকে। মানসিকভাবে শক্ত থাকার কারণে হারিয়ে যাননি অভিনয় জগৎ থেকে। ফিরে এসেছেন স্বাভাবিক জীবনে।

তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ১২ বছর আগে ভাইরাল হয়। এ ব্যাপারে এবার নতুন করে মুখ খুললেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রভা। এ নিয়ে রোববার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে দীর্ঘ এক পোস্ট দেন তিনি। পাঠকদের উদ্দেশ্যে এটি তুলে ধরা হলো।

প্রভা বলেছেন- ‘সাবেক গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ডের কোনো অন্তরঙ্গ বিষয় ফাঁস করা অপরাধ। যেমনটা অ্যাসিড নিক্ষেপ করা অপরাধ; কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া কোনো অপরাধ নয়।’

প্রভা বলেন, ‘কেউ যদি আপনাকে হতাশ করে তাহলে তার প্রতি হিংস্র হতে পারেন না আপনি, এটা একটা অপরাধ।’

অন্তরঙ্গ সেই ভিডিওটি ১২ বছর আগের; কিন্তু এটি জনসাধারণের বিনোদনের জন্য ছিল না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বোকা ছিলাম তাই দৃশ্যধারণের অনুমতি দিয়েছিলাম (যদিও তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন); কিন্তু তার অর্থ এই নয় আমি একজন … স্টার।’

প্রভা বলেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী এবং এটি আমার একমাত্র পেশা। সেই বোকামির জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছি আমি।’

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরও বলেন, কিছু মানুষকে ধন্যবাদ, যারা আমাকে পরিত্যাগ না করে সম্মান করে। তারা আমার প্রশংসা করে। আমার মতো অধিকাংশ মানুষ আত্মহত্যা করে শুধু এই বিচারমূলক সমাজকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। এ সমাজ ভন্ডে পরিপূর্ণ। তারা নিজেদের জন্য কাজ করে এবং তারপরও অন্যদের বিচার করে।

প্রভা বলেন, ‘কিন্তু আমি একজন যোদ্ধা এবং নিজেকে নিয়ে খুব গর্বিত। এই বেকুব বিচার, ভন্ডামি ও দ্বৈতমানের সমাজ আমাকে আটকাতে পারবে না। ধারণা কী? আমি আসলে অনেক মানুষ দ্বারা অনুপ্রাণিত যে, কিভাবে জীবনকে পরিপূর্ণভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হয় এবং কখনই হাল ছাড়ি না।’

সবশেষ প্রভা বলেন, ‘যারা সাইবার বুলিং করে তারা খুবই সস্তা, অশিক্ষিত (যদিও তারা শিক্ষিত)। তাদের নিজের প্রচুর নোংরামো রয়েছে যা তারা ম্যানেজ করতে পারে না। এ কারণে অন্য লোকদের ধমক দিতে শুরু করে।’

বিনোদন

ওমরাহ পালন করতে গিয়েছিলেন বিগ বসের মাধ্যমে তারকা খ্যাতি পাওয়া অভিনেত্রী হিনা খান। সেখানে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার দেওয়া যেন কাল হয়েছে অভিনেত্রীর।

সৌদি আরব সফরের সময় মদিনায় ফটোশুটের জন্য কঠোর সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।  সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ট্রল হচ্ছে।  তবে এসবের জবাব দেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ট্রলকারীদের জবাব দিয়েছেন। হিনা লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে এমনটা ঘটছে।  যখন আমি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তখন আমি দেড় দিনে তিনটি ওমরাহ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যা বাস্তবিক এবং শারীরিকভাবে সম্ভব ছিল না।

তিনি বলেন, আমি ভুল ধারণা পোষণ করেছি এবং ভুল হিসাব করেছি। বুঝতে পারিনি যে, পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ করার জন্য আমার প্রথমে মদিনা এবং পরে মক্কায় যাওয়া উচিত। আমি ঠিক উল্টোটা করেছি (যদিও কোনো অভিযোগ নেই)। আমি সত্যিই মদীনা শরীফে আমার সময় ও রোজা উপভোগ করেছি।

এর আগে তাকে নিয়ে ট্রল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কারণ রমজান শুরুর আগেই মক্কায় পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেন সোশ্যালে। ছবিগুলোয় তাকে বিভিন্ন ভঙ্গিতে পোজ দিতে দেখা যায়। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট অনুরাগীরা।

কেউ মন্তব্য করেছেন, এ কারণেই ওমরাহ করতে গিয়েছেন? আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, এটা কি বিজনেস ট্রিপ? যে পূণ্যের জন্য গিয়েছেন তা আদৌ মিলবে তো?

বিনোদন

তারকাদের মাঝে মাঝেই দেখা যায় নিজের জীবনের কালো অধ্যায়গুলো সামনে আনতে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলেন ‘টাইটানিক’ খ্যাত তারকা কেট উইন্সলেট। সবার মতো এই অভিনেত্রীর জীবনেও আছে কালো অধ্যায়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, একটা সময় সিনেমা থেকে সরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল তার। যে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য তার এমন খ্যাতি, তা একটা সময় ছেড়ে দেবেন এমন পরিস্থিতি ছিল তার জন্য ভীষণ কষ্টের।

১৯৯৭ সালে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করা টাইটানিক সিনেমা মুক্তির পরই তার জীবন বদলে যেতে শুরু করে। পেয়ে যান তুমুল জনপ্রিয়তা। সেই সূত্র ধরে সে সময় তার সঙ্গে পরিচয় হয় নির্মাতা জিম থ্রিপলেটনের। সে পরিচয় থেকে পরিণয়, তার পর বিয়ে। কিন্তু এর পর অন্ধকার জীবনে পা দেন কেট উইন্সলেট।

সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সেই খারাপ সময় কখনও ভুলতে পারব না। জিম (সাবেক স্বামী) আমার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছ থেকে আমাকে আলাদা করে দিয়েছিল সে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমার কোনো কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব এলে জিম সেগুলো আমাকে করতে বারণ করত। সে কখনোই চাইতো না আমি বিখ্যাত হই। তার ভয়ঙ্কর ইগো সমস্য ছিল। স্ত্রী তার স্বামীর চাইতে বিখ্যাত হবে, তা কখনও মানতে চাইত না জিম।’

তবে এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন সম্পর্ক অবশ্য খুব বেশিদিন টেনে নেননি কেট উইন্সলেট। ২০০১ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ক্যারিয়ার বাঁচাতে বিচ্ছেদের মতো কঠিন পথে হাঁটতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি উইন্সলেট। এর পর ২০০৩ সালে পরিচালক স্যাম মেন্ডেজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কেট। ২০১০ সালে কেট-মেন্ডেজ সম্পর্কেরও ইতি ঘটে। তারপর বর্তমান স্বামী নেড রকনরোলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন কেট উইন্সলেট। ২০১২ সালে বিয়ে করা কেটের এটি তৃতীয় বিয়ে হলেও নেডের দ্বিতীয় বিয়ে।

বিনোদন

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। সন্তান সম্ভবা হওয়ায় আপাতত সিনেমা থেকে দূরে আছেন।

গেল সপ্তাহেই ওমরাহ পালন করে এসেছেন তিনি।

দেশে আসার পরই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল এই অভিনেত্রীকে। যদিও গ্রেফতারারে দিনেই জামিনে মুক্ত হন মাহি।

সেই আলোচনা শেষ হতে না হতেই এবার ইফতার বিক্রি করতে দেখা গেল মাহিকে। রমজানের প্রথম দিনেই (২৪ মার্চ) নিজের রেস্টুরেন্টে ইফতার বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন অগ্নিকন্যা খ্যাত এই নায়িকা।

২০২২ সালে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহের দিকে এক কিলোমিটার গেলেই তেলিপারা বাজারে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন মাহি। তার রেস্টুরেন্ট, নাম ফারিশতা।

সেখান থেকেই বিকেল প্রায় ৪টার দিকে নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন মাহি। ঘুরে ঘুরে ভিডিওতে দেখান তার রেস্টুরেন্ট ইফতার বিক্রির দৃশ্য। এসময় সঙ্গে দেখা যায় তার স্বামী রাকিব সরকারকেও।

বিনোদন

সালমান খানকে যে ইমেইলের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে সেই ইমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি মোবাইল নাম্বার। পুলিশি তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

শনিবার হুমকির সঙ্গে সঙ্গে সালমানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত গুঞ্জালকর মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করেছেন। এ মামলায় বান্দ্রা পুলিশ আইপিসির ধারা ৫০৬ (২), ১২০ (বি), এবং ৩৪ অনুযায়ী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি বরাড়, আর রোহিত বরাডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আপাতত সালমান খানের বাড়ির চারপাশ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে।

এর আগে এ ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রারকে। আপাতত তিহার জেলে রয়েছেন তারা। অভিনেতাকে হুমকির সুরে লরেন্স বলেছিলেন, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে অভিনেতাকে। তাদের গ্রামের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে। না হলে খুন করা হবে তাকে।

সালমানকে এখন Y+ ক্যাটাগরির সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। গত নভেম্বরে তার ভাই সোহেল খান এবং তার ব্যক্তিগত সিকিউরিটি গার্ড এসে ভেন্যু পর্যবেক্ষণ করে গেছেন; যাতে অভিনেতার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে।

এদিকে সালমান খানের কলকাতার শো স্থগিত হয়ে গেল অনির্দিষ্টকালের জন্য। তবে বাতিল হয়নি। এমনই খবর প্রকাশ্যে এলো অর্গানাইজারদের তরফে। তাদের তরফে জানানো হয় নিরাপত্তার কথা ভেবে এই শো স্থগিত করা হয়েছে। মে থেকে জুনের মধ্যে কোনো এক সময়ে এ শো অনুষ্ঠিত হবে। এই শোতে কেবল সালমান নন, বলিউডের একাধিক তাবড় তাবড় অভিনেতার আসার কথা ছিল। এদের মধ্যে আছেন সোনাক্ষী সিনহা, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, প্রভু দেবা, আয়ুষ শর্মা প্রমুখ।

বিনোদন

গত শনিবার সরগরম হয়ে উঠেছিল মাহিয়া মাহির গ্রেফতারের খবরে। পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার হন তিনি। সেই সময় পলাতক ছিলেন তার স্বামী। ওমরাহ সেরে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরতেই গ্রেফতার হন নায়িকা।

এর পর জেলেও যান, তবে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে একই আদালতে একই বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

তবে মুক্তি পেয়েই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মাহি জানান, সরাসরি ফেসবুক লাইভে এসে গোটা বাংলাদেশের পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলা তার উচিত হয়নি। এটি তার ভুল হয়েছে।

মাহি বলেন, আমি লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি। একজন পুলিশ আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে না। তাই আমার লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটির জন্য দুঃখিত, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আমি যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি, সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায়বিচারের জন্য সবার কাছে যাব’।

মাহি আরও বলেন, ‘শিগগিরই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্যারের সঙ্গে কথা বলব। তারাই এটার সত্যতা প্রমাণ করবেন’।

এদিকে মাহির জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর রোববার সকালে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে দেশে ফেরেন মাহির স্বামী রাকিব। বিমানবন্দরে আত্মসমর্পণ করেন রাকিব, তাকে কোর্টে তোলা হলে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

বিনোদন

এ সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। নিয়মিত একক নাটকে অভিনয় করে দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। এখনও নিয়মিত কাজ করছেন তিনি।

সম্প্রতি এ অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। অফিশিয়ালি গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন তিনি। গত ১৯ মার্চ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২১তম সমাবর্তনে উপস্থিত হয়ে লিডারশিপ সম্মাননা প্রহণ করেন এ অভিনেত্রী।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশন থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ৩.৯৭ সিজিপিএ পেয়ে ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন সাবিলা। এ মেরিট রেজাল্টের জন্য তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ‘ড. আনোয়ারুল আবেদিন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননায় ভ‚ষিত হন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙে সাবিলা নূর বলেন, আমি নিয়মিত কাজ করছি। কাজ করার পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। তবুও আমি আমার সব কাজ ঠিকমতো করার চেষ্টা করেছি। অনেক তাচ্ছিল্যস্বরূপ কথা শুনতে হয়েছে এ নিয়ে। তারপরও আমি হাল ছাড়িনি। যার ফল হিসেবে এমন একটা রেজাল্ট করতে পেরেছি। এরজন্য আমার পরিবারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সদয় সম্মতিক্রমে সভাপতিত্ব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিকে সাবিলা নূরের হাতে বেশ কয়েকটি নাটকের কাজ আছে বলে জানা গেছে। আগামী ঈদুল ফিতরের জন্য নির্মিতব্য কয়েকটি নাটকের শুটিং শিগগিরই শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।