বিনোদন

পাকিস্তানের ৪৩টি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের সিনেমা ‘তুফান’।

সিনেমাটি ঊর্দু ভাষায় পাকিস্তান ফিল্ম সেন্সরবোর্ড থেকে ইতোমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে।

সব ঠিক থাকলে দেশটিতে আগামী ১ নভেম্বর (শুক্রবার) সিনেমাটি মুক্তি পাবে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাকিব শৌখিন বলেছেন, প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানের ৪৩টি প্রেক্ষাগৃহ চূড়ান্ত হয়েছে। করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ, মুলতান, ফয়সালাবাদ, গুজরানওয়ালা, গুজরাটসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরের প্রেক্ষাগৃহেও ‘তুফান’ চলবে। সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ দেখে, পরে হলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

গত কোরবানির ঈদে দেশে মুক্তির পর অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশে ‘তুফান’ মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়া দেশের দুইটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি ও হইচইয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাচ্ছে সিনেমাটি।

রায়হান রাফীর গল্প ও আদনান আদিব খানের চিত্রনাট্যে ’তুফান’ সিনেমায় শাকিব খানকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে। এই সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর অভিনয়ে ফিরেছেন অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তী।

অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমাটিতে বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এছাড়া ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, সালাউদ্দিন লাভলু, গাউসুল আলম শাওনসহ আরো অনেকে অভিনয় করেছেন। সিনেমার পাঁচটি গানের মধ্যে ‘লাগে উরাধুরা’, ‘দুষ্টু কোকিল’সহ কয়েকটি গান শ্রোতাদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে।

‘তুফান’ প্রযোজনা করেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লিমিটেড; ডিজিটাল পার্টনার চরকি ও ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করেছে এসভিএফআর। এছাড়া পরিবেশক প্রতিষ্ঠান হল আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড।

বিনোদন

গত রোববার সকালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএম) নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন এক সাংবাদিক।

তরুণী সেই সাংবাদিক ফেসবুক লাইভে তাকে কোলে বসার অভিযোগ করেন তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। নারী সাংবাদিকের এমন অভিযোগের পরই সিপিএম নেতাকে সাসপেন্ডও করেছে তার দল।

তন্ময়ের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠতেই সোচ্চার হয়েছেন অভিনেত্রী ও বরানগরের সংসদ সদস্য সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই অপমানের সুষ্ঠ তদন্ত করে অভিযুক্তকে শাস্তির দাবি জানান।

সায়ন্তিকার প্রশ্ন, ‘এবার আপনারা পথে নামবেন তো?’ এই ইস্যুতে সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমাদের একটাই প্রশ্ন, যারা আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়েছিলেন… আমরা সকলেই আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়েছিলাম… এখনও চাইছি… তারা এবারও মানববন্ধন করবেন তো? তারা এইবারেও রাত দখল করবেন তো? তারা এইবারেও বিচার চাইবেন তো?’

উল্লেখ্য, বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে তন্ময় ভট্টাচার্য ছিলেন সায়ন্তিকার প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই তন্ময়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠতেই পথে নামছেন সায়ন্তিকা।

সায়ন্তিকা বলেন, আরজি করের নির্যাতিতাকেও তার কর্মক্ষেত্রেই ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে একজন নারী সাংবাদিককে তার কর্মক্ষেত্রে তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করা হয়েছে। এটাকে নির্দিষ্টভাবেই একটা ‘পোটেনশিয়াল রেপ’-এর প্রথম ধাপ বলা যেতে পারে। আমরা মণিপুরের ঘটনায় সরব ছিলাম। আমরা আরজি করের ঘটনায়ও সরব ছিলাম, আছি। এবারও আমরা প্রত্যেকেই সরব থাকব।

এ প্রসঙ্গে তন্ময় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমি আসলে মজা করে এমনটি করেছি। তিনি জানান সবার সাথেই এমনটি করে থাকেন তিনি।

এ ঘটনায় সোমবারই তন্ময়কে বরানগর থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগকারিণীরও বয়ান নেওয়া হয়েছে।

তন্ময় বলেন, ভদ্রমহিলার ওজন ৪০ কেজির বেশি নয়, আমার ওজন ৮৩ কেজি। ৮৩ কেজি ওজনের এক পুরুষ যদি ৪০ কেজি ওজনের এক মহিলার কোলে বসে পড়েন তাহলে সেই মহিলা শারীরিকভাবে ফিট থাকে কিনা আমি জানি না। এটা পরিকল্পিত কুৎসা।

তন্ময় আরও বলেন, ভদ্রমহিলা আমার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে। আমার পাশের বাড়ির এক যুবক আমায় রাতে জানিয়েছে যে মেয়েটি হাসতে হাসতেই বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলেন। মেয়েটি ফেসবুক লাইভে বলেছেন যে উনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। আমার বক্তব্য হল যে সময়ের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তারপর মেয়েটি প্রায় ২৫ মিনিট আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এরপর আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সল্টলেকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা ছিল। যিনি এতটা ট্রমাটাইজ হয়ে রয়েছেন তার পক্ষে কি এত কাজ করা সম্ভব?

বিনোদন

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ফুচকা, পিৎজা, ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার খেয়েও ওজন বাড়েনি বলিউড কুইন আনুশকা শর্মার। অভিনেত্রী নিজেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি খেতে খুব ভালোবাসেন। যখন যা মন চায়, আশ মিটিয়ে খেয়ে নেন। তবে তারপরেও ওজন বাড়ে না তার।

নিয়ম করে শরীরচর্চা, যোগাসন করেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি, প্রতিদিন সকালে এমন একটি বিশেষ খাবার খান তিনি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আনুশকা জানিয়েছেন, পেট ভালো থাকলেই তার ছাপ পড়বে চোখে-মুখে। শরীর চনমনে থাকবে, দেখতেও তরতাজা লাগবে। কিন্তু পেটের সমস্যা শুরু হলেই তখন ক্লান্তির ছাপ পড়বে মুখে। হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো না হলে ওজনও বাড়তে থাকবে। ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁকও বাড়বে।

তাই প্রতিদিন এমন কিছু খেতে হবে, যাতে ভরপুর ভিটামিন, প্রোটিন ও ফাইবার আছে। এই তিন উপাদান থাকলে তা যেমন হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে, তেমনই দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে। ফলে যখন-তখন খেতে ইচ্ছে করবে না।

সকালে কী খান আনুশকা?

তাজা ফল, বাদাম, চিয়া বীজ, দুধ আর ওট্স— প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে খান আনুশকা। কখনও সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান, আবার কখনও পরিজ তৈরি করে নেন।

আনুশকা জানিয়েছেন, শুটিংয়ে গেলে সেখানেও এই খাবার নিয়ে যান তিনি। পরিজ বানিয়ে একটি কাচের জারে ভরে নিজের সঙ্গে রাখেন। খিদে পেলেই সেটি খান। এই খাবার শরীর ডিটক্স করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। পাশাপাশি ভিটামিন সি, ডি, বি১২ এবং খনিজ উপাদান, যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদাও পূরণ করে।

কীভাবে বানাবেন?

উপকরণ

২-৩ কাপ ওট্স, ২ চা চামচ চিয়া বীজ, ১ কাপ ডবল টোন্ড দুধ, ২ চা চামচ মধু, শুকনো ফল।

প্রণালি

দুধ ফুটিয়ে নিয়ে তাতে ওট্স ও বাকি উপকরণ মিশিয়ে পরিজ বানিয়ে নিতে হবে। এবার একটি বায়ু নিরোধক কাচের জারে ভরে তা সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। সকালে এর সঙ্গে শুকনো ফল ও মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পুষ্টিকর ওট্সের পরি । আনুশকা আবার মাঝেমধ্যে মধুর বদলে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্টও মিশিয়ে দেন। তাতে স্বাদ আরও বেড়ে যায়।

বিনোদন

তিন বছর বিরতি দিয়ে চলতি বছর ‘মিস ইউনিভার্স’-এ অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের আয়োজনে লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করবেন আনিকা আলম।

প্রতিযোগিতা নয়, আনিকাকে সিলেকশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় আয়োজক প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা এন্টারটেনমেন্ট কর্তৃপক্ষ।

ফ্লোরা এন্টারটেনমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম জানান, আনিকা আলম শুধু একজন আন্তর্জাতিক মেকাপ আর্টিস্ট নন, তিনি নারীর ক্ষমতায়নে এক দৃঢ় কণ্ঠস্বর, একজন নিবেদিত মা। তিনি লয়োলা মেরিমাইন্ড ইনিভার্সিটি থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে ডিগ্রি নিয়ে কাজ করেছেন লস আঞ্জেলেসের মেয়রের অফিসে।

বর্তমানে জাতিসংঘরের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে জিরো হাঙ্গার নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

‘মিসেস’ হয়ে কীভাবে ‘মিস ইউনিভার্স’-এ অংশ নিচ্ছেন জানতে চাইলে আয়োজনের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত প্রায় ৭০ বছর যাবত অবিবাহিতরা অংশ নিচ্ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে থেকে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ নতুন নিয়ম করেছে যে, বিবাহিতরাও অংশ নিতে পারবেন। আগে বয়সসীমা ২৮ ছিল, এখন নেই।

সংবাদ সম্মেলনে আনিকা আলম বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আগে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নারীদের প্রতিভা ও ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাবো। সবার সাপোর্ট পেলে বিশ্বমঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবো। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন বিশ্বমঞ্চে আমি বাংলাদেশকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও জানতাম না এই আয়োজনে অংশ নেব। যেহেতু অংশ নিচ্ছি নিশ্চয়ই ভালো কিছু নিয়ে ফিরবো। এখানে থেকে ফিরে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করবো। এর বাইরে অভিনয় করবো কিনা সেসব নিয়ে ভাবিনি।

মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এর আসর বসতে যাচ্ছে মেক্সিকোতে। সেখানে অংশ নিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকা ছাড়বেন আনিকা। গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে নভেম্বরের ১৫ অথবা ১৮ তারিখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর জুলাই আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মিস ইনিভার্সের ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। বন্যা ও জুলাই আন্দোলনে আহতদের সহায়তায় মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ৫ লাখ টাকা দানের ঘোষণা দিয়েছে।

বিনোদন

ভারতীয় জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল ‘বড়ে ভালো লাগতে হের’ সাক্ষী তান্বর এবং রাম কাপুরেরসহ অভিনেত্রী চাহাত খান্না। সম্প্রতি তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এ আলোচনা থেকে জানা যায়, তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল অনেকগুলো ওঠাপড়ায় পরিপূর্ণ। চাহাতের দুটি বিয়ে ভেঙে গেছে এবং তিনি এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন।

চাহাত প্রথমে ২০০৬ সালে ভারত নরসিংহানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু তাদের সম্পর্কটি কয়েক মাসের মধ্যে ভেঙে যায়। পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করে লেখক শাহরুখ মির্জার ছেলে ফারহান মির্জার সঙ্গে বিবাহিত হন, যার ফলে তার দুটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তবে ২০১৮ সালে যৌন ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ তুলে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেত্রী।

চাহাত জানিয়েছেন, সাবেক স্বামী ফারহান মির্জা তাকে ধর্মান্তরিত করার জন্য ‘মগজ ধোলাই’ করেছিলেন, তবে তিনি এখন তার শিকড়ে (সনাতন ধর্মে) ফিরে আসতে পেরে ‘কৃতজ্ঞ’।

টেলিটক ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আধ্যাত্মিক পরিবারে বেড়ে ওঠার কথা জানান চাহান। চিত্রনাট্যকার শাহরুখ মির্জার ছেলে ফারহান মির্জার সঙ্গে বিয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন চাহাত। তবে টেকেনি সেই বিয়ে। ডিভোর্সের পর বিভ্রান্ত হয়ে পড়ার কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, এখন নিজের শিকড়ে ফিরতে পেরে তিনি ‘কৃতজ্ঞ’। ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য তার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে চাহাত বলেন, ‘হ্যাঁ, এক প্রকারে আমার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল। তবে আমি জানি না সেটা তাদের ভালোর জন্য বা আমার ভালোর জন্য, কিন্তু সে কারণেই আমি বলেছি, সৌভাগ্যক্রমে আমি নিজের শিকড়ের কাছে ফিরে এসেছি’।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে চাহাত বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের জন্য কোনো অনুশোচনা অনুভব করছি না। তবে সনাতন ধর্মে ফিরে এসে আমি অনেক খুশি। তিনি যোগ করেন, আমি অত্যন্ত আধ্যাত্মিক এবং সকল ধর্মে বিশ্বাসী। আমি কখনোই ধর্মান্ধ নই।

চাহাত বলেন, বিবাহিত জীবনের শুরুতে আমি ইসলামের অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেছি এবং এটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

মানসিক চাপের অভিজ্ঞতা: চাহাত খান্না যখন ইসলামে ধর্মান্তরিত হন, তখন তাকে নানা ধরনের চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি জানান, তার স্বামী ফারহান তাকে কিছু কঠোর বিধি অনুসরণ করতে বাধ্য করতেন।

‘তিনি আমাকে বলতেন, ‘তোমার ঈশ্বরকে পূজা করো না,’ যা আমার কাছে খুব অস্বস্তিকর ছিল,’ চাহাত বলেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না, কিন্তু মনে হয় আমি ব্রেনওয়াশ হয়েছিলাম।’ ধর্ম পরিবর্তনের এই চাপের ফলে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং এটি তার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করেছিল।

২০০২ সালে ১৬ বছর বয়সে একটি চকোলেটের বিজ্ঞাপন দিয়ে শোবিজ দুনিয়ার পা দেন চাহাত খান্না। একই বছর, তিনি টিভি শো ‘সাচি বাত সবহি জাগ জানে’র মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি থ্যাঙ্ক ইউ এবং প্রস্থানমের মতো ছবিতে কাজ করেছেন।

বিনোদন

২০০০ সালে রিফিউজি চলচ্চিত্র দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় কারিনা কাপুরের। দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে জনপ্রিয় হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রের খবর, আগামী বছর বলিউডের সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ইতোমধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন কারিনা।

এই ছবিতে কারিনার চরিত্রটি একেবারেই অন্যরকম। এর আগে এ ধরনের চরিত্রে তাকে কেউ ভাবতেও পারেননি। এই চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন কারিনা।

সম্প্রতি প্রযোজক হিসেবে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করেছেন কারিনা। পাশাপাশি কোনো থ্রিলার ছবিতে গোয়েন্দার চরিত্রেও প্রথমবার পর্দায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডার্স’। এ সিনেমায় একাধারে তিনি একজন মা আবার একজন গোয়েন্দা।

বাকিংহামের এক মৃত্যুর রহস্য সমাধান করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। সন্তান হারানোর পর কিভাবে কারিনা সত্য সন্ধানে পুলিশের সঙ্গে কাজ শুরু করেন তারই ঝলক তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।

বিনোদন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডেরও সদস্য হয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক আশফাক নিপুন ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের পর এবার এ দুজন সেন্সর বোর্ডেরও সদস্য হলেন।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

পুনর্গঠিত সেন্সর বোর্ডে নিপুন ও নওশাবা ছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু, খিজির হায়াত খান, তাসমিয়া আফরিন মৌ, লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক রফিকুল আনোয়ার রাসেল।

পুনর্গঠিত সেন্সর বোর্ডে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এছাড়া পদাধিকারবলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক সমিতির সভাপতি বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন।

এর আগে গত ১২ মে এক বছরের জন্য চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সেই বোর্ডে সদস্য ছিলেন অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, অরুণা বিশ্বাস, রোকেয়া প্রাচী, দিলারা হানিফ পূর্ণিমা, অভিনেতা আজিজুল হাকিম। এছাড়া চলচ্চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু এবং পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমও ছিলেন বোর্ড সদস্য।

বিনোদন

দেশের পূর্ব, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন কয়েক হাজার পরিবার। এসব মানুষকে নতুন ঘর তৈরি করে দিতে কনসার্টের আয়োজন করে স্বপ্নপুরী নাট্যদল ও মোহাম্মদপুর মিউজিশিয়ান শিল্পীরা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শ্যামলী পার্ক মাঠে এক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আগত দর্শনার্থীরা যে যার সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী শফি মন্ডল, চিশতি বাউল এবং কোহিনুর আক্তার গোলাপি। এছাড়া নাবিল, ইমন, রনি, সুজন, অর্নব, শাকিল, প্রান্ত, মাহিনী, সজিব, মুন্নীসহ স্থানীয় শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন, থার্ড আই ফাউন্ডেশন, ইচ্ছে ফাউন্ডেশন, গণসাফল্য সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, স্বপ্নপুরী কল্যাণ সংস্থা ও সিআইবি মানব কল্যাণ সংস্থা।

আয়োজনের বিষয়ে স্বপ্নপুরী নাট্যদলের সদস্য সচিব এজাজ আহমেদ বলেন, আমরা সব সময় আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে সামাজিক কাজ করি। বন্যার্তদের জন্য এটা আমাদের একটি চেষ্টা। আমরা খুবই আনন্দিত, হাজার হাজার মানুষ আমাদের এ আয়োজনে এগিয়ে এসেছেন।

মোহাম্মদপুর মিউজিশিয়ান শিল্পী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক আওলাদ হোসেন বলেন, আমরা যেহেতু শিল্পী। আমরা আমাদের মেধা দিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সংগ্রহকৃত অর্থ দিয়ে বন্যার্তদের জন্য গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।

ইচ্ছে ফাউন্ডেশনের সভাপতি উজ্জ্বল রায় বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সব সময়ই পীড়িত মানুষের সেবায় এগিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। আজকের এ আয়োজনও তারই একটি অংশ। আমাদের এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে৷

অনুষ্ঠানে আগত ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইমাম মাহমুদ রিয়াদ বলেন, আমরা মানুষের যে সহযোগিতা করার যে জোয়ার দেশে এসেছে, বিদেশিদের থেকে অর্থ না নিয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের সহযোগিতা করতে পারি। এটা একটি বড় সাফল্য।

বিনোদন

‘আলো আসবেই’ কথাটি দেশের মানুষ এখন বহুল পরিচিত। এ নিয়ে কথা উঠলেই সামনে আসে শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপে গোপন গ্রুপের কথা! যা তৈরি হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে।

যেখানে যুক্ত হয়ে শোবিজের একদল শিল্পী অবস্থান নিয়েছিলেন বিগত সরকারের (শেখ হাসিনা) পক্ষে। সেই দলেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।

গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট। যা নিয়ে শোবিজ থেকে শুরু করে সামাজিকমাধ্যমে হয়েছে তুমুল সমালোচনা। অনেকেই আবার এই গ্রুপে থাকা শিল্পীদের বয়কট করার আহ্বানও জানিয়েছেন।

সমালোচনার মাঝেই কয়েকজন শিল্পী গ্রুপে যুক্ত থাকার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। স্পষ্ট করেছেন নিজের অবস্থান সম্পর্কে। ফেসবুকের সুবাদে কেউ আবার ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে কিছু শিল্পী এখনও নিশ্চুপ! সেই তালিকায় আছেন সোহানা সাবা।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) এই অভিনেত্রী ফেসবুকে কবিতার ভাষায় লেখেন, ভেবেছিলাম সামনে অন্ধকার ঘন, দেখেছিলাম অশনি সংকেত ও রণ। সমুদয় পাল্টানো এই উপত্যকায়, নিজেকে ভুল প্রমাণ করে তবুও বিশ্বাস করতে চাই আলো আসবেই।

অভিনেত্রীর এমন পোস্ট ঘিরে নেটিজেনদের বেশির ভাগই হাসির প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ফেসবুকে কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে রেখেছেন সোহানা সাবা। তবে অভিনেত্রীর পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই সমালোচনা করছেন।

বিনোদন

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে সে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে টেলিপ্যাব। এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল।

দোদুল জানান, শিগগিরই শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে প্রাচীকে সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

এই বিষয়ে রোকেয়া প্রাচী এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। সহ-সভাপতির পদ হারালেও অবশ্য সাধারণ সদস্য হিসেবে টেলিপ্যাবে থাকবেন প্রাচী।

পরীমনির কাছে ‘হারলেন’ সাকিব

জানা গেছে, গত ৮ জুন রাজধানীর বনানী ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে আরশাদ আদনান ও সাজ্জাদ হোসাইন দোদুলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে টেলিপ্যাব। এই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ছিলেন রোকেয়া প্রাচী।

গত ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে শোক দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন রোকেয়া প্রাচী। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত প্রাচী বরাবরই রাজনীতির অঙ্গনে বেশ সক্রিয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন (ফেনী-৩) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও দল থেকে মনোনয়ন পাননি তিনি।