বিনোদন

ধনকুবের ইলন মাস্ক। সম্পদ কিংবা তার নিত্যনতুন আবিষ্কার নিয়ে হরহামেশা-ই খবরের শিরোনাম হন। ফের যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছের এই বন্ধু শিরোনামে। তবে এবার সম্পদ বা কোন আবিষ্কার নয়, বরং ওজন কমিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি।

এক প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলা জানিয়েছে, টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক ওজন কমানোর সংগ্রামের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন। কীভাবে তিনি ওজন কমিয়েছেন তা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছেন এই শীর্ষ ধনকুবের।

হুট করেই ওজন কমিয়ে হাজির হয়ে সবাইকে বিমোহিত করেছেন ইলন। তার অনুসারীরাও এতে হতবাক। ওজন কমানো নিয়ে নিজের অনুসারীদের পরামর্শ দিয়েছেন এই ধনকুবের।

ইলন মাস্ক জানান, ওজেমপিকের (ওজন কমানোর ওষুধ) পরিবর্তে মৌনজারো নামের একটি ইনজেকশন নিয়েছেন তিনি। আর এতেই তার ওজন আগের তুলনায় কমেছে। তবে, ইনজেকশনটি নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শের কথাও বলেছেন এই ধনকুবের।

নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) স্যান্টা ক্লসের পোশাক পরিধান করে একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইলন মাস্ক। সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেনে, ‘ওজেমপিক সান্টা। ওজেমপিকের চেয়ে মৌনজারো আমার দেহে বেশি কার্যকর। ওজনপিক আমাকে মোটা করে তুলেছিল।’

বিনোদন

পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত চিত্রকর্ম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে পাঠ্যপুস্তক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’। সেই অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছিল ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠন। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। এই হামলার ঘটনায় সরব রয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।

সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে হামলার নিন্দা জানান জয়া। একইসঙ্গে বৈষম্য নিয়ে ছুড়ে দেন প্রশ্ন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে জয়া লেখেন, ‘আদিবাসী’ নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেভাবে রক্তাক্ত করা হলো, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম-আত্মা থেকেই বের হলো। কারণ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিল।

তিনি আরও লেখেন, ‘একদিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ইমান ঠিক আছে তো? এ দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হোক।’

এদিকে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ওপর হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ ছাড়া রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিনোদন

বান্দ্রার মতো অভিজাত এলাকায় ‘ছোট নবাবের’ ওপর হামলার খবরে উদ্বিগ্ন পুরো চলচ্চিত্র জগৎ ও তার ভক্তরা। এ হামলা মুম্বাইয়ের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে পুরো ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সে প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, পুরো ঘটনা ছিল ৩০ মিনিটের। বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার দুই ঘণ্টা আগে বাড়িতে কারও প্রবেশের কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজেও কারও প্রবেশের দৃশ্য ধরা পড়েনি এ সময়ে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেতার বাড়িতে চুরি করার জন্যই প্রবেশ করেছিল এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত। এমনকি অভিনেতার ভবনের সব প্রবেশপথ ও বাড়ির নকশা সম্পর্কে আগে থেকেই জানা ছিল তাদের। ‘ফায়ারস্পেস’ দিয়ে সাইফ-কারিনার বাড়িতে তারা প্রবেশ করে। এরপর ভবনের পেছনের দিকের সিঁড়ি বেয়ে অভিনেতা যেখানে থাকেন, সেখানে পৌঁছায় দুর্বৃত্তরা।

বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে তৈমুর আর জেহর ঘরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে অনুপ্রবেশকারীকে। প্রথমে একজনকে অভিনেতার ছোট ছেলে জেহর ঘরে দেখা যায়। জেহর আয়া এলিয়ামা ফিলিপ জানান, তিনি রাত ২টার দিকে অনুপ্রবেশকারীকে দেখতে পান এবং তার মুখোমুখি হন।

তিনি বলেন, বাথরুমের দরজা খোলা এবং আলো জ্বলতে দেখে আমি ধরে নিয়েছিলাম হয়তো কারিনা কাপুর। তবে এরপরই কিছু একটা সমস্যা টের পেয়ে বিষয়টি দেখতে যখন এগিয়ে যাই, তখন একজন লোককে বাথরুম থেকে বেরিয়ে তৈমুর এবং জেহর ঘরে প্রবেশ করতে দেখি।

৫৬ বছর বয়সি গৃহকর্মী জানান, তিনি যখন ওই লোকের মুখোমুখি হন, তখন তার কাছে এক কোটি রুপি দাবি করা হয়। ওই দুর্বৃত্তকে তাড়ানোর চেষ্টার সময় তিনি আহত হন। একই ঘরে থাকা আরেক গৃহকর্মী জুনু তখন সাইফের ঘরে ছুটে যান এবং অভিনেতাকে জাগিয়ে তোলেন।

অভিনেতা অনুপ্রবেশকারীদের মুখোমুখি হলে তাকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। এ সময় গীতা নামের বাড়ির আরেক গৃহকর্মী সাইফকে হামলাকারী অনুপ্রবেশকারীকে পরাস্ত করতে এবং তাকে একটি ঘরে আটকে রাখতে সাহায্য করেন। এরপর সবাই বাড়ির উপরের তলায় চলে যান; কিন্তু ততক্ষণে অনুপ্রবেশকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পুলিশ সূত্র মতে, ষষ্ঠতলার সিসিটিভি ক্যামেরায় তার পালানোর দৃশ্য ধরা পড়ে। তবে এরপর তার আর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি, এমনকি লবি এলাকার সিসিটিভিতেও তাকে দেখা যায়নি। পুলিশের সন্দেহ, ‘ফায়ারস্পেস’ ব্যবহার করে নিচতলায় পৌঁছে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায় সে। পুরো ঘটনার স্থায়িত্ব ৩০ মিনিটের।

মেরুদণ্ডে একটিসহ ছয়টি আঘাতের কারণে রক্তে ভাসছিল সাইফ। এমন সময় কোনো গাড়ি বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত না থাকায় তাড়াহুড়ো করে সাইফকে অটোরিকশায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান বড় পুত্র ইব্রাহিম। অভিনেতার বাড়ি থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই হাসপাতাল।

ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচার শেষে তিনি এখন বিপদমুক্ত।

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার সঙ্গে সঙ্গেই জোর তদন্তে নেমে পড়েছে মুম্বাই পুলিশ। এর মধ্যে ৩৫টি পৃথক দল গঠন করে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন তারা। এ মামলায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইফ-কারিনার বাসার এক পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় পুলিশ স্টেশনে।

বিনোদন

এবারের কলকাতার চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা হয়নি বাংলাদেশের সিনেমার। গেল বছরের ৪ ডিসেম্বর শুরু হয় কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (কেআইএফএফ)।

যেখানে ২৯টি দেশের ১৮০টি সিনেমা স্থান পায়। সেই তালিকায় ছিল না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও ভিসা জটিলতাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে এমন তথ্য জানিয়েছিল উৎসব আয়োজকরা।
কলকাতায় বাংলাদেশের সিনেমার জায়গা না হলেও উদারতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঠিকই থাকছে ভারতীয় সিনেমা।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগান নিয়ে শুরু হবে ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর। নয় দিনব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫টি দেশের ২২০টির মতো সিনেমা। এই উৎসবে দেখানো হবে ভারতীয় পাঁচ সিনেমা।

এর মধ্যে রয়েছে টলিউডের পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিনেমা ‘পদাতিক’। তালিকায় রয়েছে পরিচালক শমীক রায় চৌধুরীর ‘বেলাইন’। রয়েছে পরিচালক যতলা সিদ্ধার্থর ‘ইন দ্য বেলি অব আ টাইগার’, পরিচালক অভিলাষ শর্মা’র ‘সোয়াহা’ এবং পরিচালক উজ্জ্বল পালের ‘ক্লার্ক’।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে বিকেল ৪টায় হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। উদ্বোধনী আসরে সংগীত পরিবেশন করবে ব্যান্ড ‘জলের গান’।

উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখানো হবে চীনের চিউ ঝ্যাং পরিচালিত ‘মুন ম্যান’। এদিন বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনা চলচ্চিত্রের পোস্টার প্রদর্শনীর উদ্বোধন হবে। এ বছর উৎসবের কান্ট্রি ফোকাস হিসেবে থাকছে চীন।

ঢাকা উৎসবের সিনেমাগুলো প্রদর্শিত হবে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা অ্যাকাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়াম ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে। উৎসবটি সকলের জন্য উন্মুক্ত।

নয় দিনের এই উৎসবের পর্দা নামবে ১৯ জানুয়ারি। এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বিনোদন

বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। এ সময়ের সবচেয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী অনন্যা একের পর এক সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন।

আদিত্যের সঙ্গে ব্রেকআপের পর থেকে এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িছেন অনন্যা। অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতেও দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে। সেখান থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়।

এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে ও সন্তান নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

আগামী পাঁচ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান- এর জবাবে অনন্যা বলেন, এখন থেকে পাঁচ বছর পর আমি নিজেকে সুখী বিবাহিত জীবনে দেখতে চাই। আমার নিজস্ব বাড়ি প্রয়োজন, সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।

অনন্যা কাজের পরিসর সম্পর্কে বলেন, এ মুহূর্তে আমি পুরোপুরি কাজের দিকে মনোনিবেশ করছি। আমার কাজেও উন্নতি করেছি।

২০১৯ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে করণ জোহরের হাত ধরে ‘স্টুডেন্টস অব দ্য ইয়ার ২’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন অনন্যা। এ সিনেমায় টাইগার শ্রফ এবং তারা সুতারিয়া ছিলেন সহ-অভিনেতা।

বিনোদন

ক্যারিয়ারের শুরুতে অঞ্জনার নাম ছিল অঞ্জনা সাহা । বিয়ের কারণে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন অভিনেত্রী। ঢালিউড পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হন তিনি। পরে তাদের বিচ্ছেদও হয়ে যায়। কিন্তু ধর্ম…

২০২৩ সালের অক্টোবরে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে নিজের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে অঞ্জনা জানিয়েছিলেন— আমার বিয়ের পর নামের সঙ্গে রহমান যুক্ত হয়েছে। সেটি এখনো আছে। আমি সাহা পরিবারের মেয়ে; হিন্দু ছিলাম আমি।

যে বিয়ের কারণে নাম পরিবর্তন, সেই বিয়েই তো টিকল না। বিয়ে না টেকার পরও একই নাম থাকার কারণ হিসাবে অভিনেত্রী বলেন, বিয়ে না টিকুক; যেহেতু আমি ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলেছি, আর পেছনে যাওয়া যাবে না। সেই সাক্ষৎকারে নিয়মিত নামাজ-রোজা করার কথাও জানিয়েছিলেন এ অঞ্জনা।

অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে। বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। তবে অঞ্জনা অভিনীত ও একই বছর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সোহেল রানা।

১৯৭৬ সালে এ সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা রহমান। একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ ইত্যাদি বাণিজ্যিক সফল সিনেমায়।

অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক পুরস্কার ছাড়াও একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক ও বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া নৃত্যশিল্পী হিসেবেও অঞ্জনা পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি।

উল্লেখ্য, অঞ্জনা রহমান ছোটবেলা থেকে নৃত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে বাবা-মা তাকে নৃত্য শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের অধীনে নাচের তালিম নেন এবং কত্থক নৃত্য শিখেন এ অভিনেত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাত্র চার বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে অঞ্জনার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর আর থেমে থাকেননি। নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছোট থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন তিনি। সাদাকালো থেকে রঙিন বাংলা চলচ্চিত্রের সাক্ষী গুণী এ অভিনেত্রী।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অঞ্জনা রহমান তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকা। অঞ্জনা দাবি করেছিলেন, তিনিই দেশের একমাত্র চিত্রনায়িকা যিনি ৯ দেশের এতগুলো ভাষায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন অঞ্জনা। এরপর ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ সিনেমায় ললিতা চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে একই পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ‘পরিণীতা’, ‘মোহনা’ ও ‘রাম রহিম জন’ সিনেমার জন্য তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি অঞ্জনা চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও করেছেন। তার প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলো হলো— ‘নেপালী মেয়ে’, ‘হিম্মতওয়ালী’, ‘দেশ-বিদেশ’, ‘বাপের বেটস’, ‘রঙিন প্রাণ সজনী’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘লাল সর্দার’, ‘রাজা রানী বাদশা’, ‘ডান্ডা মেরে ঠান্ডা’, ‘বন্ধু যখন শত্রু’।

অঞ্জনা রহমান ঢালিউডের শীর্ষ জনপ্রিয় সব অভিনেতার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরী, রুবেল, সুব্রত বড়ুয়া, মান্না প্রমুখ। এ ছাড়া মিঠুন চক্রবর্তী (ভারত), ফয়সাল (পাকিস্তান), নাদিম (পাকিস্তান) জাভেদ শেখ (পাকিস্তান), ইসমাইল শাহ (পাকিস্তান), শীবশ্রেষ্ঠ (নেপাল) ও ভুবন কেসি (নেপাল) অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা।

ছোটবেলা থেকে নৃত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে বাবা মা তাকে নৃত্য শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের অধীনে নাচের তালিম নেন এবং কত্থক নৃত্য শিখেন অঞ্জনা রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাত্র চার বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে অঞ্জনার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর আর থেকে থাকেননি। নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছোট থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন। সাদাকালো থেকে রঙ্গিন বাংলা চলচ্চিত্রের সাক্ষী গুণী এই অভিনেত্রী। দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমাতে কাজ করেছেন একজন অঞ্জনা।

বিনোদন

তৃতীয়বারের মতো সিনেমায় জুটি বাঁধছেন শরীফুল রাজ ও বিদ্যা সিনহা মিম। তাদের দেখা যাবে ‘দানব’ সিনেমায়।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শুটিং শুরু হবে অনন্য মামুন পরিচালিত সিনেমাটির। প্রযোজনা করছেন কাট এন্টারটেইনমেন্ট।

সিনেমাটির শুটিং হবে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডে। পর্দায় দেখা যাবে ঈদুল ফিতরে।

এর আগে পরাণ এবং দামাল সিনেমায় দেখা মিলেছে জনপ্রিয় এই জুটির। মাঝখানে আর কোনো সিনেমায় দেখা মেলেনি তাদের। তৃতীবারের মতো দানব সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মিম-রাজ জুটি।

রাজ-মিম জুটি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে ঢালিউডে। এমনকি রাজের সঙ্গ মিমের জুটিকে ভালোভাবে নেননি রাজের বাগদত্তা পরীমনি। এ নিয়ে মিমের সঙ্গে পরীর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সবকিছু পিছনে ফেলে এই জুটি আবারও এক হচ্ছে।

বিনোদন

গান দিয়ে পরিচিত হলেও শোবিজ অঙ্গনে নিজের একাধিক প্রতিভা দেখিয়েছেন জেফার রহমান। কখনও মডেল, উপস্থাপনা আবার কখনও অভিনয়ে মেলে ধরেছেন নিজেকে।

চলতি মাসে সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্টে গান গেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন জেফার রহমান। অনেকের আপত্তি, সেদিন কনসার্টে গানের চেয়ে নাচেই বেশি মনোযোগী ছিলেন জেফার। শুধু তাই নয়, গান না গেয়ে লিপসিং করেছিলেন এই গায়িকা। ফলে জেফারের পারফরমেন্স নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-বিতর্ক।

এবার সেই বিতর্কের জবাব দিয়েছেন জেফার রহমান। সম্প্রতি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সমালোচনা থাকবেই। আমরা যেহেতু পাবলিক ফিগার, কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে- আমি অনেকদিন ধরে কাজ করছি। আমাকে একজন মিউজিশিয়ান হিসেবে অনেকদিন ধরেই দেখছেন। যারা আমাকে চেনেন আমি কে, কি রকম গান করি- তারা জানেন। সমালোচনা আসলে আমাকে টানে না।

জেফার বলেন, আমি আসলে ইউটিউব থেকে উঠে এসেছি, ইংলিশ গান করতাম। আমার খালি গলায় অনেক গান রয়েছে। সেগুলো ইউটিউবে আছে, আমার কাছে আছে, আপনাদের কাছেও আছে।

লিপসিং এর যুক্তি দিয়ে জেফার বলেন, আমি যেহেতু একজন পপ আর্টিস্ট, আমাদের লাইভ এবং ট্র্যাক মিক্স করেই পারফর্ম করতে হয়; কারণ আমাদের গানগুলো মানুষ ওইভাবেই চেনে। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি গাচ্ছি না। আমি গাচ্ছি, আমার ট্র্যাকও আছে, আমার লাইভ ব্যান্ডও আছে। এটা মানুষদের বোঝা উচিৎ আমি মনে করি।

জেফার এও বলেন, তালি দেওয়া উচিৎ, আমি লিপসিং করেই এতদূর এসেছি- তাই না?

বিনোদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ২০২২ সালে কাওয়ালি গাইতে পারেনি ব্যান্ড সিলসিলা। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় পণ্ড হয় তাদের পরিবেশনা।

চার বছর পর ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট শুরু হয় এই দলের পরিবেশনা দিয়ে।
এই দলের সদস্য ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিষয়টি জানান তিনি নিজেই।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপমহাদেশের সংগীত কিংবদন্তি রাহাত ফতেহ আলী খান ছাড়াও গান পরিবেশন করেন র‍্যাপার হান্নান, র‍্যাপার সেজান, আফটারম্যাথ, চিরকুট, আর্টসেল ও সিলসিলা ব্যান্ড দল।

আয়োজন শুরুই হয় সিলসিলা ব্যান্ডের কাওয়ালি দিয়ে। অনুষ্ঠানের দর্শক ও আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রমুখ।

পুরোনো দিনের বিভীষিকাময় স্মৃতিচারণ করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ২০২১ সালে টিএসসিতে একটা কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। আজ যে সিলসিলা ব্যান্ড পারফর্ম করলো, একসময় আমি ওই দলের সদস্য ছিলাম। আমরা ওই কনসার্টটি করতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, সেদিন যে দর্শকরা এসেছিলেন, তাদের ওপর ফ্যাসিবাদী সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ হামলা করেছিল। আমাদের বোনেদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। গানে, সাংস্কৃতিক সমাবেশেও তাদের এতটা ভয় ছিল যে, তারা আমাদের তখন গান গাইতে দেয়নি। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে রাহাত ফতেহ আলী খান কাওয়ালি গাইতে এসেছেন।

মূলত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা দিতে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্টের আয়োজন করা হয়। কনসার্টের টিকিট বিক্রির অর্থ গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা কল্যাণমূলক সংস্থা ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দেওয়া হবে।

বিনোদন

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের জন্য তহবিল সংগ্রহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কনসার্ট ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’। এই কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে জানা গেছে, এই কনসার্টে বিনা পারিশ্রমিকে গাইবেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।

এবার জানা গেল, ইকোস অব রেভল্যুশন কনসার্টে উপস্থাপনা করবেন আলোচিত উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় লাইমলাইটে আসা এই উপস্থাপিকাও রাহাত ফতেহ আলীর মতোই কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই কনসার্টে উপস্থাপনা করবেন।

‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্ট উপস্থাপনার বিষয়ে দীপ্তি বলেছেন, এটি শুধু কনসার্ট নয়, এখান থেকে অর্জিত অর্থ যাবে জুলাই বিপ্লবে আহতের সহায়তায়। এই আয়োজনে আমি কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না। এতে করে কাজটির মাধ্যমে এই মহতী উদ্যোগের অংশীদার হতে পারব বলে মনে করি।

এর আগে একাধিক কনফারেন্স কিংবা শো-এর উপস্থাপনা করলেও এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক মানের কনসার্টে উপস্থাপনা করতে যাচ্ছেন দীপ্তি।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, রাহাত ছাড়াও কনসার্টে পারফর্ম করবে দেশের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ব্যান্ড। এর মধ্যে রয়েছে-আর্টসেল, চিরকুট, আফটারম্যাথ এবং সিলসিলার শিল্পীরা। এছাড়া জনপ্রিয় দুই র‍্যাপার সেজান ও হান্নানের পরিবেশনাও থাকছে এ কনসার্টে।

আয়োজক স্পিরিট অব জুলাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যু্ত্থানে আহত ও নিহতদের সহায়তার জন্য এই কনসার্টের টিকিট বিক্রির সব অর্থ শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে।

আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ নামের এই কনসার্ট।