রাজনীতি

১৫ বছরে গড়া দেশকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ পোস্ট করেছে দলটি।

ডিজিটাল পাঠকের জন্য পোস্ট হুবহু তুলে দেওয়া হলো- ‘১৫ বছরে গড়া দেশ খুবই অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছেন
সংস্কার করবেন?
আগে নিজেদের সংস্কার করুন।
এই দেশ #আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এগিয়ে গেছে
#আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আবার এগিয়ে যাবে!’

এদিকে গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৬টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুকে আওয়ামী লীগ একটি জরুরি ঘোষণা দিয়েছিল।

সেটিও ডিজিটাল পাঠকের জন্য ঘোষণাটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‌‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলমান। অফিশিয়াল পেজে কোনো ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কোনো কর্মসূচিরর খবর অবশ্যই গুজব। দলীয়ভাবে যেকোনো সিদ্ধান্ত জানানো হবে আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ কোনো প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। অনলাইনে প্রতিবাদ করুন সকল অন্যায়ের।’

এদিকে গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্য এবং নির্বাচনে নিয়োজিত নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে দুদক ও মানিলন্ডারিং আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (শাহীন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে রাতের অন্ধকারে নির্বাচন আর ২০২৪ সালে নিজেদের ভেতরে পাতানো নির্বাচন হয়েছিল, যেখানে প্রায় সব সংসদ সদস্য ফ্যাসিস্ট হাসিনার পছন্দের বা তার আজ্ঞাবহ লোক ছিলেন। রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে পতিত সরকারের গত ১৫ বছরে হওয়া নির্বাচনসহ সব অপকর্ম সংঘটনকারী ও তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

রাজনীতি

জামায়াতের ওপর যে জুলুম করা হয়েছে তা যেন আওয়ামী লীগের ওপর করা না হয়’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার হতে হবে। ন্যায় বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।

রোববার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে জামায়াত ছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও গণঅভু্যত্থানে নিহত-আহতদের স্বজনরা অংশ নেন।

শফিকুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের শহিদদের স্বপ্নের দুর্নীতিমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায় জামায়াত। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জাতিকে জানাতে হবে। শহিদ পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতা অনুসারে অন্তত একজনকে চাকরি দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছেন তাদের চাকরিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলোকে এসব পরিবারের পাশে দঁাড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বলেছিল ক্ষমতা ছাড়ার পর ৫ লাখ আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করা হবে। অভু্যত্থানের পর ৫০০ কিংবা ৫ জনকে হত্যা করা হয়নি। তারা দুর্নীতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পৃথিবীতে সব দেশেই বাংলাদেশিরা আছেন। যেখানেই যান আপনাদের (আ.লীগ নেতা) ধরে ফেরত পাঠাবে তারা। যেখানেই যাবেন সেখানেই ধরা হবে।

জামায়াতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে ঐতিহ্যবাহী দল বলে দাবি করেন। কিন্তু তাদের ঐতিহ্য হলো দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা, হত্যা, সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ভোট চুরি। তারা ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে রাজপথে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, গণহত্যার নেত্রী ও তাদের দোসররা ভারতে পালিয়ে গেছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাসি্ত নিশ্চিত করতে হবে। শুধু ব্যক্তির বিচার করলেই চলবে না বরং দল হিসাবে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনকে অবিলম্বে নিষদ্ধি করতে হবে।

সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমাদের বিপ্লবের শহিদদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তারা দুনিয়া ও আখেরাতে পুরস্কৃত হবেন।

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার নির্দেশে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। তাই তাদের বিচার নিশ্চিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাসি্ত দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও অসংখ্য আলেম-উলামাদের হত্যা এবং আয়নাঘরের মাধ্যমে জাতীয় নেতাদের নির্যাতন চালিয়েছে।

শহীদ ফারহানুল ইসলামের বাবা বলেন, ফারহান ফাইয়াজ আমার একমাত্র ছেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি∏যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন তাদের দ্রুত বাংলার মাটিতে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এসএম ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয় গণতানি্ত্রক দল জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন। উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।

লগি-বৈঠার তাণ্ডবের প্রতিবাদে আলোচনা সভা আজ : এদিকে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডবের প্রতিবাদে আলোচনা সভা করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আজ সকালে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

রাজনীতি

আগামী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর মনিটরিং চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাশাপাশি পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলেও তিনি জানান।

রিজওয়ানা বলেন, শুধুমাত্র পলিথিনের শপিং ব্যাগ বন্ধ করা হচ্ছে। কোনো সুপারশপ পলিথিন শপিং ব্যাগ সরবরাহ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সভায় পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়ন ও পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মানুষ যদি পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে, তাহলে উৎপাদনও বন্ধ হবে। এজন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে। কেউ ইচ্ছে করে গাফিলতি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলিথিন ব্যাগের ক্ষতিকর প্রভাব বুঝে মানুষ যেন এটি থেকে সরে আসে, সে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পাটের ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

রাজনীতি

আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার লিপ্সায় রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের সৃষ্টি করেছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠার তাণ্ডবের প্রতিশোধ নিতেই ৫ আগস্টের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যে গুম খুন লুণ্ঠন অত্যাচার নির্যাতন করেছে তার প্রতিবাদেই ৫ আগস্টের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একাত্তরের স্বাধীনতায় ঠিকই নেতৃত্ব দিয়েছিল কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তাদের খুনের নেশা চেপে বসে। তাদের সেই পৈশাচিক তাণ্ডবের কারণেই তাদের পতন হয়েছে। জনগণের আক্রোশ থেকে বাঁচতে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

রোববার বিকালে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার সরকারি মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমির (মডেল স্কুল) মাঠে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন সাঈদীপুত্র।

২০০৬ সালের রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর স্মরণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নগরকান্দা উপজেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম সাঈদী বলেন, আওয়ামী লীগের খুনিরা বিনা অপরাধে যাদের ফাঁসি দিয়েছে, ক্ষমতায় টিকে থাকার লিপ্সায় যাদের হত্যা করেছে, তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। এই বাংলার মাটিতে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আগামীতে আপনারা তাদেরকেই ভোট দেবেন যারা ন্যায় ও কুরআনের পক্ষে। আপনারা তাদের পক্ষে থাকবেন যারা ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আগামীতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে জামায়াতে ইসলামীর পতাকা তলে আসার আহ্বান জানাই। আমরা আজীবন আপনাদের পাশে থাকতে চাই। একটি সুন্দর দেশ গড়ার জন্য আপনাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নগরকান্দা উপজেলা শাখার আমির মাওলানা মো. সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির ফরিদপুর জেলা শাখার আমির মাওলানা মুহাম্মদ বদরুদ্দীন, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও ইসলামি আলোচক অধ্যাপক মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান এবং মো. আবু হারিচ মোল্যা, দলটির নগরকান্দা উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন, আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।

রাজনীতি

পাটকে ‘জিআই’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ‘গোল্ডেন ফাইবার অব বাংলাদেশ’ নামে পাটের জিআই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনাগাঁও হোটেলে মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুটি মিলের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বন্ধ থাকা মিলগুলো উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দ্রুত উৎপাদনের আওতায় আনা হবে। পিপিপি বা দীর্ঘমেয়াদি লিজের মাধ্যমে নিয়ে বিনিয়োগকারীরা টেক্সটাইলসহ অন্যকিছু করতে পারেন। এখন পাটের চাহিদা, দাম বাড়ছে। পাটের অবৈধ মজুতদারি কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। ’

তিনি বলেন, মিল দুটোর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আমার পক্ষ থেকে প্রাণ গ্রুপকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। বন্ধ মিলগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করে কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয়, সামাজিক উন্নয়নসহ শিল্পায়নের প্রসারে সুফল পাওয়া যাবে। বিনিয়োগকারীদের বন্ধ থাকা মিলগুলোতে আগামীতে আরও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, বর্তমানে বিটিএমসি’র নিয়ন্ত্রণে ২৫টি মিল রয়েছে। বস্ত্র খাতের সঙ্গে পাট খাতের বহুমুখী পণ্য সমাদৃত।

চুক্তির আওতায় প্রাণ গ্রুপ এই দুটি মিল আগামী ৩০ বছর মেয়াদে কার্য পরিচালনা করবে। এছাড়া এ চুক্তি ১০ বছর বর্ধিত করার সুযোগ রয়েছে। দুটি মিলের মধ্যে চট্টগ্রামের আর আর টেক্সটাইল মিলের আয়তন ১৯ একর এবং রাজশাহী টেক্সটাইল মিলের আয়তন ২৬ একর। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে আধুনিক টেক্সটাইল মিল হিসেবে প্রতিষ্ঠান দুটিকে গড়ে তোলা হবে। মিল দুটিতে প্রায় দশ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

অনুষ্ঠানে বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা বেগম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা,সুব্রত শিকদার, এএনএম মঈনুল ইসলামসহ বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

নরসিংদীর-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল বলেছেন, গণতন্ত্রের আশায় মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, শেখ হাসিনা সে গণতন্ত্রকে বহু দূরে ঠেলে দিয়েছিল। ৫ আগস্ট সে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে মনোহরদী পৌর এলাকার ডাকবাংলো রোডে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। বিএনপির একটি কর্মী বেঁচে থাকতেও আমরা সে সুযোগ দেব না। বর্তমান সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে, বিলম্ব না করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। আমরা আর কোনো বিপ্লব, আর কোনো রক্তক্ষয় দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার ও জুলুমের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করি। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রয়েছে।

মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান সরকার দোলনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মনোহরদী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হান্নান, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বকুল, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান সোহাগ, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবদুছ ছামাদ আকন্দ বকুল, সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রদল নেতা মনিরুজ্জামান ছোটন ও ইমরানসহ আরও অনেকে।

পরে ১৮ বছর পর মনোহরদী পৌর এলাকার ডাকবাংলো রোডে মনোহরদী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল।

রাজনীতি

গাজীপুর: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগের (আওয়ামী লীগ) সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা ঘুষকে স্পিডমানি বলে চালিয়ে দিতেন। তারা ঘুষ নিতেন ঘোষণা দিয়ে।

আমরা এক বিচিত্র সংসদ ও সরকার পেয়েছিলাম। সেই সংসদ ও সরকার জনগণের জন্য ছিল না।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তেলিপাড়া এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলার সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সংসদে ব্যক্তি বন্দনায় নেচে গেয়ে জনগণের টাকা নষ্ট করা হতো। এক ব্যক্তির ইশারায় সব কিছু উঠতো এবং বসতো। সু-বিচার যেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে সেখানে সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করার কোনো সুযোগ নেই। সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হলে ঘুষের রমরমা ব্যবসা চলবে না।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রধান স্লোগান ছিলে আমরা সুবিচার চাই। যে সমাজে সু-বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে সে সমাজে ডাকাত ও চোরের কোনো জায়গা নাই।

জামায়াতের আমির আরও বলেন, তারুণ্য নির্ভর একটি সমাজ দেখতে চায় জামায়াত। যুবক সমাজকে সম্মান করতে হবে। তাদের যোগ্যতার ভিক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব দিতে চাই।

গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন – গাজীপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ সফি উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমির আব্দুল হাকিম মাওলানা সেফাউল হক, মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক জামাল উদ্দিনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

রাজনীতি

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ মোট চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ১,২২২.১৪ কোটি টাকা। জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি অর্থবছরে (অর্থবছর-২৫) একনেকের দ্বিতীয় সভায় ও অন্তর্বর্তী সরকারের ১ম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সার্বিক ব্যয় ১,২২২.১৪ কোটি টাকার মধ্যে ৯৬৩.৮২ কোটি টাকা আসবে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে, প্রকল্প সহায়তা হিসাবে আসবে ১০০.১৬ কোটি টাকা এবং বাকি ১৫৮.১৬ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে সংগ্রহ করা হবে।

দু’টি নতুন অনুমোদিত প্রকল্প হল- ৫৮৮.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘দুটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং দুটি অনুসন্ধানী কূপ (সুন্দলপুর দক্ষিণ-১ ও জামালুর-১)’ এবং ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ে টেকসই সামাজিক পরিষেবা প্রদান প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ ।

এছাড়া আরও দুটি সংশোধিত প্রকল্প হল- ৭০.৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস ট্রান্সমিশন পাইপলাইন, প্রথম সংশোধিত’ এবং ১৬৩.১১ কোটি টাকার অতিরিক্ত ব্যয়ে ‘তথ্য আপা: আইসিটি টুওয়ার্ডস ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, (দ্বিতীয় পর্যায় ও দ্বিতীয় সংশোধিত)’। এ প্রকল্পের সময়সীমা এক বছরে কমিয়ে আনা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া তথ্য আপা প্রকল্পের শিরোনাম পরিবর্তন করা হবে।

বৈঠকে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২ জুলাই বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিকল্পনা কমিশনে সর্বশেষ একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজনীতি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান তিনি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় নেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ম্যাডাম খালেদা জিয়া সব কিছু টেলিভিশনে দেখছিলেন। তখন উনি বলেছিলেন, এই দিনটা দেখার খুব প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি বলেছিলেন, নেতাকর্মী ও দেশের মানুষ কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেন। প্রতিহিংসাপরায়ণ না হোন। আন্দোলনে যে ছেলেটির হাত চলে গেছে, পা-চোখ চলে গেছে, উনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য দল যাতে সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। সরকার তো সরকারের মতো করবেই। এজন্য খালেদা জিয়া মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা সুস্থতাবোধ করছেন। ক্রনিক লিভার ডিজিজ এমন একটা ডিজিজ, সাময়িকভাবে কিছুদিন সুস্থ থাকেন, আবার কয়েকদিন পর অসুস্থ হয়ে যান। এজন্য তার স্থায়ী চিকিৎসার জন্য মালটি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া প্রয়োজন। এখন বাসায় চিকিৎসা চলবে।

ডা. জাহিদ বলেন, বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিমানযাত্রার যে সময়। যখন সুস্থ মানুষও প্লেনে উঠে, উঠা ও নামার সময় যে স্ট্রেস তা উনি সহ্য করতে পারবেন কি পারবেন না সেটা দেখতে হবে। উনার শারীরিক সুস্থতা হচ্ছে এক নম্বর অগ্রাধিকার। এজন্য মেডিকেল বোর্ড যখনই প্রয়োজনবোধ করবে বাইরে পাঠানো যায়, আমরা তখনই নিয়ে যাবো। বিমানযাত্রা করার মতো সুস্থতা লাভ করলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল প্রস্তুতি যেটা দরকার তা কমপ্লিট। আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের দুটি হাসপাতালেরই কনসালট্যান্ট থেকে শুরু করে সবকিছু ফাইনাল করে রেখেছি। আমরা কিভাবে নেব তাও ঠিক করে রেখেছি। আইনগত দিক যা আছে সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন বিষয়টি উনার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে।

রাজনীতি

প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথমবারের মতো সেনাসদরে আগমন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাকে স্বাগত জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.), মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধান, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র‍্যাব এর মহাপরিচালকরা ও সেনাসদরের কর্মকর্তারা।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত মূল্যবান দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখবে।