রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উচ্চ আদালত রায় দেবে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই সে পর্যন্ত রাস্তাঘাট আটকে আন্দোলন পরিহার করতে হবে।

সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে রাজনীতির উপাদান যুক্ত হয়ে গেছে। কারণ বিএনপি ও সমমনস্করা এই কোটা আন্দোলনে ভর করে সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করা মানে তাদের তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।

তিনি বলেন, এখানে কারা কারা যুক্ত আছে? এখানে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা? সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনের গতিধারায় বোঝা যাবে। আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক দল আন্দোলনে শরিক হয়? এটা কি বৈধ? আমাকে দেখান। এটা আদালতের রায় আমাদের না।

প্রত্যয় স্কিম নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে। আমরা যাবো যার যার পদমর্যাদার ভিত্তিতে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) অনেক দিন তারিখ দিয়েছে সরকার হটানোর জন্য। কিন্তু সরকার হটানো তাদের দিবাস্বপ্ন। কারণ আওয়ামী লীগ কচুপাতার উপর শিশির বিন্দু নয় যে, ধাক্কা দিলে পরে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সবাই দুর্নীতিবাজ। যারা প্ল্যানিং করছে, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করছে, বাজেট তৈরি করছে, সবক্ষেত্রে দুর্নীতির ব্যাপারটা প্রধান। এত বেশি দুর্নীতি করেছে যে এখন ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেই ফাঁদে পড়ে যাওয়ার কারণে এখন তারা চতুর্দিক থেকে একটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা, আরেকটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা এভাবে চলছে। একটা ঋণ নিয়ে আরেক ঋণ শোধ করে এটা কারা করে? যারা সব জায়গাতে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো চালাতে পারছে না তাদের এই কাজটা করতে হয়।’

সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ও দেশটির কাছ থেকে ঋণ আনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার মারাÍক ভুল তথ্য দিচ্ছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, রপ্তানি আয় ৬৪ বিলিয়ন বেশি দেখিয়েছে। এটি সত্য নয়। ওদের হিসাবেই এসব ভুল বেরুচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে বলে ক্ষমতাসীনদের দেওয়া অভিযোগ নাকচ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কখনোই এ ধরনের আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এসব আন্দোলন তাদের নিজস্ব, তাদের প্রফেশনাল জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করছেন, ছাত্ররা করছেন, ছাত্রীরা করছেন। আমরা এখানে ইন্ধন দিতে যাব কেন? প্রশ্নই উঠে না।’

এসব আন্দোলনকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তবে যেটা সত্যি সেটা সত্যি বলব, যেটা যৌক্তিক সেটা যৌক্তিক বলব। এটা আমরা সব সময় বলছি। দেশের মানুষ যে তাদের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়, সেটা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলনকে আমরা দুভাবে দেখি। একটা হচ্ছে, দেশে বিপুল সমস্যা আছে সেটাকে ডাইভার্ট (ভিন্ন দিকে নেওয়া) করার জন্য আন্দোলন তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, কোটাবিরোধী ছাত্রদের এই দাবিকে আমরা সমর্থন করি কারণ এটা যৌক্তিক দাবি। এটাকে আমরা অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ দেখি না। ৫০ বছর পরেও ৫৬ শতাংশ কোটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এখানে যেটা হচ্ছে মেধার বিকাশ হচ্ছে না, মেধাবীদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন জায়গাগুলোতে নিতে পারছেন না। একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।’

শিক্ষকদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত দাবি করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। আপনি এর আগে একরকম কথা বলেছেন, এখন করছেন আরেক রকম।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুরা যাতে ভবিষ্যতে চাঁদে যেতে পারে সেজন্য জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা একদিন চাঁদে যাব। কাজেই এখন থেকেই সেভাবে তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আজ গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধনকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।

১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুলটিতে এ সময় তিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আঁকা ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামেরও মোড়ক উন্মোচন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট বেলা থেকেই মানুষের জন্য আলাদা একটা দরদ ছিল।

অন্ন হীন, ছিন্ন কাপড় পরিহিত মানুষ, থাকার জায়গা নেই, এই জিনিষগুলো তাঁকে খুব ব্যথিত করতো। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্যই কাজ করতেন। নিজের জীবনের কোন সুখ, সুবিধা কিছুই দেখেন নি। শুধু একটাই চিন্তা ছিল এদেশের মানুষকে কীভাবে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি দেবেন। কীভাবে একটা উন্নত জীবন দিবেন এবং ছোট্ট শিশুরা যাতে একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।

সরকার প্রধান বলেন, আমি মনে করি আজ যে উদ্যোগ এখানে নেওয়া হয়েছে অথবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যেসব শিশু, তাদের আঁকা ছবি দিয়ে অ্যালবাম করা বা ছবির মাধ্যমে ইতিহাসকে যে তুলে ধরা-আসলে ছবিতো কথা বলে এবং এর মাধ্যমে শিশুদের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে।

তিনি এই উদ্যোগের জন্য শিক্ষক, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘আর আমার ছোট্ট সোনামনি, তোমাদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ রইল। তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হও। কারণ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তার তোমরাই হবে তার স্মার্ট নাগরিক, যারা দেশ চালাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমাদের মাঝ থেকেই বের হয়ে আসবে আমার মত প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে গবেষণা করবে, বিজ্ঞানী হবে। আর আমরা একসময় চাঁদেও যাব, কোন চিন্তা নেই। কাজেই সবাইকে এখন থেকে সেভাবে প্রস্ততি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।’

এরআগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধ্যয়নকৃত বিদ্যালয়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাঁকে স্বাগত জানায়।
শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

তিনি সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন। যেখানে জাতির ওপর রচিত বিভিন্ন বই রাখা হয়েছে।

পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন।

এরআগে সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন ও জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের শহীদদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে শুক্রবার বিকেলে পৈতৃক নিবাসে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত ও উন্নয়নের বন্ধু চীন। উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ-সুবিধা পাবো, তা কেন নেব না?

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো বলেই অনেক সুবিধা নিতে পেরেছি। ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু আর চীন উন্নয়নের বন্ধু। এই দেশে বহু উন্নয়নে চীনের অবদান আছে।’

সেতুমন্ত্রী আজ দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এই ফলমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর বৈরি সম্পর্ক রেখে কী অর্জন করেছে ৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক দলগুলো? শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই আমরা বাংলাদেশের সমান আরেকটি সমুদ্র পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো ছিল বলেই ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি। তিনি বলেন, সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যায়। গঙ্গাচুক্তিসহ বহুবিধ সুবিধা ভারত থেকে নিতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। যারা বড় বড় কথা বলেন তারা গঙ্গার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। খালি হাতে আগেও ফিরি নাই, এখনো ফিরি নাই।
চীনের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাহায্য পেলে আমরা সাহায্য কেনো নেব না? আমার দেশের উন্নয়নের জন্য যেখানে সাহায্য দরকার আমরা সেখান থেকে সাহায্য নেব। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এসব নিয়ে অনেকের জ্বলে, যাদের জ্বলে তাদের মন্তব্যের কোনো জবাব আমরা দেব না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। সেই বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পার্বত্য অঞ্চলও বদলেছে। সড়ক যোগাযোগে এখন পার্বত্য তিন জেলা অনেক উন্নত, একসাথে ৪২টি ব্রিজ উদ্বোধন হয়েছে খাগড়াছড়িতে। এখন সীমান্ত সড়ক তৈরি হচ্ছে। শেখ হাসিনা থাকলে সব সমস্যার সমাধান হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিদেশি বহু ফলের চেয়ে অনেক উন্নত মানের ফল উৎপাদিত হয় পার্বত্য তিন জেলায়। এক সময় আনারসই প্রধান ফল ছিল। কিন্তু এখন বহু ধরনের ফল উৎপাদিত হয়। এক সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত না থাকার কারণে ফল পচে যেত। আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে আপনাদের পাহাড়ের সুমিষ্ট ফল ঢাকায় চলে আসে। সিঙ্গাপুরের চেয়ে উন্নতমানের ফল আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত হয়।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নিজেরা আইনগতভাবে না পেরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি। দলটি খালেদা জিয়াকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। বিএনপি এখন কোটা আন্দোলনের উপর ভর করবে। সরকার তো কোটা রাখেনি, এটা আদালতে মামলা চলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের ব্যাপার।

সাত দিনব্যাপী এই পাহাড়ি ফলমেলা আগামী ১২ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা সাত দিন চলবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, বন জলবায়ু ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, জ্বরতী তঞ্চঙ্গা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী প্রমুখ।

রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি যত না শক্তিশালী ছিল, আজকে তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। এবারের ধাক্কা সামলাতে পারবেন না আওয়ামী লীগ। বলে না, চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন, সেই দিন চলে এসেছে। আজকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে, হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শেখ হাসিনার রেজিমকে পরাজিত করতে হবে।

তিনি শনিবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি। যতদিন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না, ততদিন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না, লুটপাট অব্যাহত থাকবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অনেক হয়েছে, অনেক শুনেছি, অনেক দেখেছি। আর সইব না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে জেলে নিতে যারা জড়িত সবাইকে তাদের অপরাধের শাস্তি ভোগ করতে হবে। খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। যে ট্রাস্টের কথা বলা হয়েছে, সেই ট্রাস্ট থেকে একটি পয়সাও খালেদা জিয়া অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্য নেননি। সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে, সুদে আসলে চারগুণ হয়েছে এখন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল­াহ বুলুর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, মহানগর বিএনপির সাবেক আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়–য়া, দক্ষিণ জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক এনামুল হক এনাম।

আমির খসরু আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে। গুলি করে, গ্রেনেড মেরে জনসভা বন্ধ করলে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায় না। আর ভোট চুরি করে ডামি নির্বাচন করে কেউ যদি মনে করে, আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে অথবা বিএনপিকে নতুন করে শুরু করতে হবে, আমি পরিষ্কারভাবে বলছিÑনতুন করে শুরু করার কিছু নেই। আন্দোলন চলমান আছে। আন্দোলনের ভয়ে প্রধানমন্ত্রী সকাল-বিকাল কি ধরনের মন্তব্য করেন বুঝতে পারছেন না। কারণ ওরা জানে বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ তাদের নির্বাচন বয়কট করেছে। পরে উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে। তারা জানে ওই নির্বাচন করে কোনো লাভ হয়নি। ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সভা বন্ধ করে কোনো লাভ হয়নি। আবার সভা হবে, আবার মিছিল হবে, আবার লক্ষ জনতা একসঙ্গে হবে।

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে চাই।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবনে স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নাঈমুল ইসলাম খান জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে তাঁর দেশের বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশে প্রায় ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “স্প্যানিশ বিনিয়োগকারীরাও সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। কারণ আমরা স্পেন থেকে আরও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছি।”

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে স্পেনের সমর্থন চান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে আরও জানানো হয় যে, দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তির জন্য আলোচনা হবে- যা আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হবে।

স্পেনে বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার (বাংলাদেশি) বসবাস করে।

প্রধানমন্ত্রী স্পেনের প্রতি বিশেষ করে আইটি খাত থেকে আরও বেশি বাংলাদেশি নেওয়ার আহ্বান জানান।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে তার দেশ বাংলাদেশ থেকে শুধু তৈরী পোষাক (আরএমজি) আমদানি করে এবং বাংলাদেশের সিমেন্ট খাতে স্প্যানের বিনিয়োগ রয়েছে।

তিনি চলতি অর্থ-বছরের জন্য বাংলাদেশের বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, সরকার শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে গুরুত্ব দিয়েছে।

মারিয়া সিস্তিয়াগা আরো বলেন, “এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আপনার বর্ধিত আগ্রহ ও বরাদ্দ আমাদের দেশের সাথেও মিলেছে।”

রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তাঁকে স্পেন সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পেনের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে: প্রধানমন্ত্রী

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, তারা উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের পাশাপাশি আপনার (ওমানের) অর্থনীতিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অবদান রয়েছে। উভয় অর্থনীতিই এই শ্রমশক্তির (কঠোর শ্রম) দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।’
ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল বুলুশি আজ শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
ওমানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি শ্রমশক্তির অবদান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, এটা সত্য যে তারা (বাংলাদেশি শ্রমিক) উভয় অর্থনীতির জন্য কাজ করছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছেন যে, ওমান দীর্ঘকাল ধরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছে এবং আশা করা হচ্ছে দুই-অঙ্কের স্তরের প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত উভয়েই এলডিসি পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে ওমানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সমর্থন করার বিষয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আল-বুলুশি বলেন, আসলে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি জনশক্তি তাদের শ্রমবাজারে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘এটি বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য নয়, আমরা শ্রমের চাহিদা পূরনের জন্য পর্যায়ক্রমে শ্রমবাজার পর্যালোচনা করি। সেই পর্যালোচনার ভিত্তিতে, কখনও কখনও আমরা এমন দেশগুলোতে স্থগিতাদেশ দিয়ে থাকি যেখানে অতিরিক্ত সংখ্যক জনশক্তি রয়েছে। স্থগিতাদেশ সহজ করার জন্য আপনাকে পরবর্তী পর্যালোচনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিধিনিষেধের উপায় দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের ওপর ব্যাপক ভিত্তিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আসলে কিন্তু তেমন নয়। তিনি বলেন, ‘তবে এমন নয় যে, জনশক্তি ভিসা ছাড়া বাকি সব ভিসা যেমন ফ্যামিলি ভিসা এবং ট্যুরিস্ট ভিসা খোলা আছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য দশটি ক্যাটাগরির ওমানের ভিসা এখন উন্মুক্ত।
এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার সরকারের কাছে একটি অনুরোধ পত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি যাতে শীঘ্রই ওয়ার্কিং ভিসা প্রদান শুরু হতে পারে।
সার আমদানির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন,তার সরকার ব্যবস্থাটি জি-টু-জি ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখবে।
ওমানের রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে, এটা ভালো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই আপনার দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তিনি অবশ্যই আপনাকে নিয়ে গর্বিত হবেন।’
ওমানের রাষ্ট্রদূতও প্রধানমন্ত্রীকে ওমানের একটি ঐতিহ্যবাহী নৌকার রেপ্লিকা উপহার দেন।
সেই উপহারে বলা হয়েছে: ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যিনি ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশির অভিনন্দনের সাথে সংকল্প ও সাহসিকতার সাথে মহান বঙ্গবন্ধুর মশাল বহন করেছেন।’
এ সময় অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুতে বাংলাদেশ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাকে নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় তিনি এ দাবি করেন।

ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্যচিত্র তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, ২ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৫১ জন, মৃত্যু ৪৬ জন। পক্ষান্তরে ভারতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৪৭ জন, শ্রীলংকায় তা ২৩ হাজার ৯৩১ জন, মালয়েশিয়ায় তা ৫০ হাজার ৬৫০ জন, ইন্দোনেশিয়ায় তা ৮৮ হাজার ৫৯৩ জন। এছাড়াও সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশেও গত ২৭ জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৬২ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। সিটি করপোরেশনসহ সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমেছে। একসময় শান্তিনগর, তেজগাঁও এলাকায় বৃষ্টি হলে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানি আটকে থাকত, এখন সে পরিস্থিতি বদলে গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে ধানমন্ডিসহ যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়, তা বৃষ্টি থামার পর ঘণ্টাখানেক পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এ ছাড়া যেসব এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা দেখা যাচ্ছে, তা দূরীকরণে সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সব প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। স্বল্পমেয়াদি নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব।

সমন্বয় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রমুখ।

রাজনীতি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন সরকার ভারতকে ট্রানজিট নয়, করিডোর দিয়েছে। আর তিস্তা প্রকল্পের কাজে ভারতের সঙ্গে রাজি হলে পানি বণ্টন প্রসঙ্গ থেকে সরকার সরে আসবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বুধবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা প্রতিবেশী বদলাতে পারব না। প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক থাকবে, কিন্তু সেটা হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও স্বার্থের ভিত্তিতে। যখনই আমাদের সরকার রাজি হবে, তিস্তা প্রকল্পে আমরা ভারতের সহযোগিতা নিব, তাহলে বুঝতে হবে সরকার তিস্তার পানিবণ্টনের যে প্রসঙ্গ, সেখান থেকে সরে এসেছে।

চরমোনাই পির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংলাপে আরও বক্তৃতা করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমেদ মাদানী, গণফোরাম (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী।

রাজনীতি

ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটের সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না।

বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ট্রান্স-এশিয়া হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়া রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। আজ ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিলাম কেন, এ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া। আমাদের ট্রানজিট তো আছেই। ত্রিপুরা থেকে বাস চলে আসে ঢাকায়, ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত তো যাচ্ছে। এতে ক্ষতিটা কী হচ্ছে। বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। অনেকে অর্থ উপার্জনও করছে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট করেছি ভারতে। এটি তো কোনো একটি দেশের জন্য নয়, আঞ্চলিক ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য করা হয়েছে।

টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নেপাল, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ- এ চার দেশ প্রতিটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ট্রানজিটের ব্যবস্থা করছি। আজ নেপাল থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ কেনা শুরু করতে যাচ্ছি, সেখানে গ্রিড লাইন করা, আমরা সেই চুক্তি করেছি, তা আমরা কার্যকরও করছি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর থেকে যেসব রেলপথ, নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান থেকে একটি রাস্তা যাচ্ছে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত, অথচ সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে যে রোড হচ্ছে, তা থেকে বিচ্ছিন্ন, কেন আমরা বিচ্ছিন্ন থাকব। ভারত চাচ্ছিল ভুটান থেকে রাস্তাটা বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ সব কিছু কত সুবিধা হতো, সেটিও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিলেন। এই হলো অবস্থা। প্রথমবার সরকারে এসে অনেক চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমরা যুক্ত হতে পারিনি।

ভারত থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা আসামের রুমালিগড় থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে এসেছি। পার্বতীপুর ডিপোতে সেই তেল আসছে। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরা সস্তায় কিনতে পাচ্ছি, আমাদের দেশের জন্য। ওই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারি। উত্তরাঞ্চলে কোনো শিল্পায়ন হয়নি, এখন শিল্পায়নে আমরা যেতে পারি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রও আমরা নির্মাণ করেছি। আমরা নিজেদের দরজা তো বন্ধ করে রাখতে পারি না। এটিই তো কথা।

খালেদা জিয়া মিয়ানমার থেকে গ্যাস আনার সুযোগ নষ্ট করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কী সমস্যা দেশের জন্য করেছে দেখেন- মিয়ানমারে সেখানে গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস, ভারত, চীন, জাপান সবাই চাচ্ছে। এ গ্যাসকে বাংলাদেশের ভেতর থেকে ভারতে নিয়ে যাবে, এই নিয়ে যাওয়ার সময় এই গ্যাস থেকে আমরা একটা ভাগ নেব। তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামসহ ওই এলাকায় আমাদের গ্যাসের কোনো অভাবই হতো না। খালেদা জিয়া সেটা নিতে দেয়নি। কেন দেয়নি?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সেই গ্যাস নিচ্ছে চীন। আর কোনো দেশ তো নিতে পারছে না। আমরা সরকারে আসার পর কথা বলেছিলাম মিয়ানমারের সঙ্গে, আনতে পারি কি না। কিন্তু তা সম্ভব নয়। তারা ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছে।

রাজনীতি

বিএনপির মনের জোর কমে গলার জোর বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বিএনপির মনের জোর কমে গেছে গলার জোর বেড়ে গেছে।

একটা কথা আছে, মানুষের শক্তি যত কমে, মুখের বিষ তত উগ্র হয়। বিএনপির নেতাদের মুখের কোনো ট্যাক্স নাই। তাদের মুখে কোনো লাগাম নাই। লাগাম দিয়ে টানবেন? লাগাম দিয়ে টেনে লাভ নাই। বিএনপি বেপরোয়া গাড়ি চালায়। কখন কোথায় দুর্ঘটনা ঘটে কেউ জানে না।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কি চলে, না চালায়? কে চালায়? খালেদা জিয়া? বিএনপি চালায় লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে। সড়কপথে নয়, নদীপথে নয়, আকাশপথে বিএনপি চলে। আকাশপথে ডাক আসে। বিএনপির নেতাদের দিনের আহার, রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন তারেক রহমানের ডাক আসে, কখন কার চাকরি নট হয়ে যায়। মির্জা ফখরুল (বিএনপির মহাসচিব) সাহেবও শান্তিতে নাই। বড় বড় নেতারা আতঙ্কে আছে। কখন কার গদি শেষ হয়ে যায়, এজন্য তারা তারেক আতঙ্কে আছে। এজন্য তাদের রাতের ঘুম হারাম।

বিএনপির নতুন কমিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন কমিটি কেউ জানে? নতুন কমিটি ভুয়া, বিএনপি ভুয়া। নতুন কমিটির নতুন কর্মসূচি ভুয়া। আন্দোলন কবে হবে? ঈদের পরে, এ বছর না পরের বছর। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়, আন্দোলন আর হয় না। মরা গাঙ্গে জোয়ার আর আসে না। বিএনপির হাত, আন্দোলনের হাত ভেঙে গেছে। এখন পরনির্ভর। এখন তারা করছে পরনিন্দা, গীবত।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজই দুপুর বেলা শিক্ষকদের আন্দোলন এবং কোটা আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। কোটা আন্দোলন আগেও ছিল এখনো আছে। তাদের ওপর ভর করে আন্দোলন করছে বিএনপি। পরনির্ভর হলে আন্দলন হয়? তারা ভয় দেখায় ভারত নিয়ে, তারা বলে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল। তারা বলে শেখ হাসিনা ইন্ডিয়া গেলে কিছুই আনতে পারেন না। ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি ছিল বলে ছিটমহল সমস্যা ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। গঙ্গা নদীর পানি আমরা বুঝে পেয়েছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া (প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে) তিন হাজার জামদানি শাড়ি নিয়ে ইন্ডিয়া গেছেন। চাকর-বাকর থেকে শুরু করে সবাইকে সমানে সমানে বিতরণ করেছে। ফিরে আসার পর তার কাছে গঙ্গার পানি নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলে গেছি’। গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলে যায়! কোন মুখে এখন বিএনপি নেতারা তিস্তার পানির কথা বলেন। তিস্তা নদীর হিস্যা ও অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই আনবেন। কারও কথায় বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হবে না। ৫৩ বছরে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে যায়নি।

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির পর খালেদা জিয়া বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত বাংলাদেশ থাকে কি না। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত ইন্ডিয়া হয়ে যাবে। হয়েছে? বেগম জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগে ভোট দিলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে, আজান হবে না, হয়েছে? তারা অবান্তর কথা বলে।

রিজার্ভ বেড়ে গেছে, রেমিট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর শেখ হাসিনার মতো এতো সৎ, দক্ষ, পরিশ্রমী, কূটনৈতিক নেতা বাংলাদেশে একজনও আসেনি। বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা, শেখ হাসিনা এসেছেন মুক্তি দেওয়ার জন্য। সেই মুক্তির সংগ্রাম বাংলাদেশে আজও চলছে। ২০৪১ সাল, তারপর ২১০০ সাল। শেখ হাসিনার টার্গেট অনেক লম্বা। আমরা তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়ার লড়াই করে যাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের নেতা-কর্মীদের বলেন, আবারও খেলা হবে, বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আবারও খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে। আগুন নিয়ে আসবা, খেলা হবে। আগুন নিয়ে এলে খবর আছে।

‘বড় বড় পাতিল দিয়ে সাত দিন ধরে রান্না-বান্না, মশার কয়েল নিয়ে শুয়েছিল রাস্তার ওপর। ২৮ অক্টোবর পল্টন থেকে পালাল কারা? এক মিনিটে বিএনপির মঞ্চ খালি। তারা (ক্ষমতায় থাকতে) নিয়ে আসছে জজ মিয়ার নাটক। পরে নিয়ে এলো মিয়া আরেফি নাটক। বাইডেনের উপদেষ্টা বলে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ইংরেজিতে। পরে দেখা গেলো ভুয়া। যখন তাকে এয়ারপোর্টে পুলিশ ধরলো, পুলিশের ডান্ডা খেয়ে আর ইংরেজি বলে না। বলে বরিশালের ভাষায় কথা। ’

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে কাদের বলেন, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই ছাড়বো। একটা কথা বলি, মন্ত্রী যদি সৎ হয়, সচিব যদি সৎ হয়, ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি হবে না। আমরা জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতি পালিয়ে যাবে।

আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব প্রমুখ।