অর্থনীতি

দেশের স্থল ও সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনায় এনবিআরের অটোমেশনে সার্ভার সমস্যা দূর হয়নি। ফলে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত বন্দর ব্যবহারকারী সংস্থাসমূহ।

সময়ক্ষেপণ ও সার্ভারের জটিলতা চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবসায়ী ও রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের জন্যও আর্থিক ক্ষতির কারণ বলে সংশ্লিষ্ট সবার অভিমত। সরাসরি যে ক্ষতির কথা বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, সেটি হলো সার্ভার সমস্যা। গত প্রায় এক যুগ ধরে চলছে। এখন এটি আরো প্রকট হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়নে ও রাজস্ব আদায়ে অনেক সময় লাগছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম ইত্তেফাককে বলেন, চলতি বছরের আসন্ন জুন-জুলাই মাসেই এনবিআরের অটোমেশন প্রক্রিয়ায় সার্ভারের শক্তিবৃদ্ধিতে নতুন যন্ত্রপাতি বসানো হবে।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ক পরিচালক এবং বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন ইত্তেফাককে বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে অটোমেশন তথা সার্ভার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই আশ্বাসের কোনো বাস্তবায়ন নেই। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী সংস্থা, সংগঠন বা স্টেকহোল্ডাররা বহুমুখী জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন। এ কারণে যদি ক্ষতির কথা বলা হয়, তার মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতি তো আছেই সেই সঙ্গে বলা যাবে সার্ভারের জটিলতায় সবার বিস্তর সময় নষ্ট হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক বাংলাদেশ ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু ইত্তেফাককে বলেন, সার্ভারের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। ফলে সিএন্ডএফসহ সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীরা যেসব জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা হলো বাফারিং, স্লো মুভমেন্ট এবং ঘনঘন শাটডাউন। এসব কারণে দিনের কাজ দিনে সম্পন্ন করা যায় না। কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। বিষয়গুলো এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দফায় দফায় অবহিত করা হয়েছে।

কাজী বিলু আরো বলেন, পরিস্থিতি এমন হয়েছে, একটি কমান্ড দিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। অথচ দেশের বন্দরসমূহের অটোমেশনের জন্য ইনস্টল করা ‘আসাইকুডা ওয়ার্ল্ড’ নামের সফটওয়্যারটি একটি বিশ্বমানের এপ্লিকেশন। এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভারের দুর্বলতা ও জটিলতার কারণে সরকারি সংস্থা ও বন্দরের স্টেকহোল্ডাররা এই সফটওয়্যারের মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারছেন। বাকি ৯০ শতাংশ সুবিধা থেকে যাচ্ছে অব্যবহূত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সার্ভার জটিলতার কারণে এই সফটওয়্যারের সবগুলো মডিউল একসঙ্গে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, এই সমস্যা সমাধানে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে যে দুইটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে, কেন্দ্রীয় সার্ভারের শক্তি বৃদ্ধিকরণ, বিকল্প হিসেবে একাধিক সার্ভার স্থাপন। শোনা গিয়েছিল সার্ভার উন্নয়নে প্রায় তিন-চার বছর আগে এনবিআর ৪০০-৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখনো তার কোনো ইতিবাচক ফলাফল দেখা যাচ্ছে না।

সিএন্ডএফ নেতা কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দেশে লকডাউন ঘোষিত হলেও, জরুরি সেবা হিসেবে বন্দর সচল রয়েছে। ফলে কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ এবং সিএন্ডএফসহ সব স্টেকহোল্ডাররাই বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সার্ভারের ধীরগতির অভিযোগ তো দীর্ঘদিনের। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘনঘন সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়া বা শাটডাউনের মতো জটিলতা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম ইত্তেফাককে আরো বলেন, প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকা খরচে সেন্ট্রাল সার্ভারের শক্তিবৃদ্ধিসহ অটোমেশনের উন্নয়নে এই বছরের জুন-জুলাই মাসেই নতুন যন্ত্রপাতি বসছে। সার্ভারে বর্তমানে যেসব ইনস্ট্রুমেন্ট রয়েছে সেগুলো প্রায় ১২/১৩ বছরের পুরোনো হয়ে গেছে।

অর্থনীতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষই শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল শক্তি।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কোন অন্যায় করেননি বলেই বুকে ছিলো তাঁর অসীম সাহস। এদেশের মাটি ও মানুষই শেখ হাসিনার রাজনীতির মূল শক্তি। তাইতো কোন ষড়যন্ত্রই ২০০৭ সালের ৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেশে ফেরা ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি।’

ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আজকের এই দিনটি স্মরণ করে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ ঐতিহাসিক ৭ মে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের কাছে একটি স্মরণীয় দিন। ২০০৭ সালের এই দিনে তৎকালীন তত্বাধায়ক সরকার ঘোষিত জরুরী অবস্থা চলাকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দিশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই প্রত্যক্ষ করেছেন ইতিহাসের নানান বাঁকবদল। পিতা মুজিব শেখ হাসিনার রাজনীতির গুরু। পিতার মতই ভালবাসেন দেশের মানুষকে। তাই গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে শত বাঁধা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে এসেছিলেন বলেই সেদিন জনগণের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বিতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা শুরু করেন সংকটের আবর্তে নিমজ্জমান অবস্থা থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করে একটি সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ে তোলার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের রায় ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে করেন পাপমুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে সমুদ্র বিজয়। দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যার সমাধান তাঁর অসামান্য কূটনৈতিক দক্ষতারই পরিচায়ক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দিনবদলের অভিযাত্রায় উন্নয়নের মহাসড়কে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরণের মাধ্যমে স্বপ্নের সীমানাকে পৌঁছে দিয়েছেন মহাকাশে। নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের সক্ষমতা ও গর্বের প্রতিক পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল এবং তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারনে বাংলাদেশ করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলা করে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেখানে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে জীবন ও জীবিকার মাঝে সমন্বয় করে করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের ইতিহাসে ৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন উপলক্ষে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয় কিন্তু এবছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কর্মসূচি পরিহার করা হয়েছে। তবে বাঙ্গালির চিরঞ্জীব আশা ও অনন্ত অনুপ্রেরণার উৎস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে ঘরে বসেই দোয়া করার জন্য তিনি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

এছাড়াও, ওবায়দুল কাদের আগামী ১৭ মে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে দিবসটি পালন করার আহবান জানিয়ে মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার জন্য অনুরোধ করেন।

অর্থনীতি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার দেশে ফিরে আসা।

তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

২০০৭ সালের এই দিনে শেখ হাসিনা তৎকালীন সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে দেশে ফিরে আসেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, ২০০৭ সালে দেশে যে সেনাসমর্থিত সরকার এসেছিলো, তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিদেশে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো। শুধু তাই নয়, সকল এয়ারলাইন্সকে তারা সেই নিষেধাজ্ঞার চিঠি দিয়েছিলো এবং জননেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিলো।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন, তিনি সেইসব মামলা আদালতে আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে চান এবং নিজের দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়, জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই প্রত্যাবর্তনের ফলে যে জননেত্রীর ওপর আক্রমণ হতে পারে, নিষেধাজ্ঞাকারীরা যে কোনো কিছু করার চেষ্টা করতে পারে, সেই সমস্ত ঝুঁকি মাথায় নিয়েই বঙ্গবন্ধুকন্যা ফিরে এসেছিলেন। আর তার ফিরে আসার মধ্য দিয়েই লড়াই-সংগ্রামে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।

এরপরই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ধস নামানো বিজয় অর্জন করেছিলো এবং সেই পথ ধরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা এবং এর পাশাপাশি উন্নয়নের অগ্রযাত্রাও অব্যাহত রয়েছে, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, সেকারণেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হচ্ছে গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার দেশে ফিরে আসা।

অর্থনীতি

তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ৫ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

তারা হলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বারডেম) সভাপতি এ কে আজাদ খান এবং বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএনটারোলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান।

অর্থনীতি

সরকারের সমালোচনাকারী সাংবাদিক যদি দুস্থ হন, তার জন্যও কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ২০২০-২১ অর্থবছরের সহায়তা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব খাজা মিয়া বক্তব্য রাখেন। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম যে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে, উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা নজিরবিহীন। দেশের স্বার্থে, বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়া ও রাষ্ট্রের বিকাশের স্বার্থে এটি প্রয়োজন, সে বিশ্বাস নিয়েই আমরা কাজ করছি।’

যে সমস্ত সাংবাদিক আমাদের বিরোধিতা ও সমালোচনা করেন, তাদের জন্যও এই ট্রাস্টের সহায়তা উন্মুক্ত, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র সবার জন্য। যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেন, তিনি যদি দুস্থ হন, আমাদের নীতিমালার মধ্যে পড়েন, এই সহায়তা তার জন্যও উন্মুক্ত এবং এটি আমরা বাস্তবায়ন করেছি।’

বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার করোনা চিকিৎসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, আমি তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। করোনাকে পরাভূত করে তিনি আবার সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান, এটিই মহান স্রষ্টার কাছে আমার প্রার্থনা।’

অর্থনীতি

অর্থনৈতিক সক্ষমতার অন্যতম মাইলফলক হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সোমবার দেশে প্রথমবারের মত বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বৃদ্ধির অর্থ হলো অর্থনীতির শক্তিশালী হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে ১০ মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব। ব্যাংকাররা বলছেন, সংকটে পড়লে এ রিজার্ভ অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে কাজে দেবে। আমদানি দায় মেটাতে সমস্যায় পড়তে হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, সোমবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভের পরিমাণ ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের অর্ধেকের বেশি। চলতি বছরে বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র অনুযায়ী, দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলে এই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে। স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও ডলার এই তিন ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা হয় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে। এই অর্থ বিভিন্ন দেশের বন্ড ও বিলে বিনিয়োগ করা হয়। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচাও করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের সঙ্গে রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ কারণে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে গত বছরের ২৩ জুন। তার আগে ৩ জুন রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ২০২০ সালের শেষ দিন ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে দেশের রিজার্ভ।

অর্থনীতি

ভারতের নির্বাচনে সবসময় গণতন্ত্রের বিজয় হোক- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রবিবার ( ২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ভারতের চলমান বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের এগিয়ে থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী একথা বলেন।

পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের যে কোনো নির্বাচন সম্পূর্ণ তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারাই ভারতে সরকার গঠন করুন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ও পাশের পশ্চিমবঙ্গের সাথে যে নৈকট্য, তা যেনো আরো গভীরে প্রোথিত হয় এবং আমাদের দু’দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান হোক, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। এবং আমরা চাই, ভারতে সবসময় গণতন্ত্রের বিজয় হোক।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে হেফাজত নেতারা বিয়ে ছাড়াই মামুনুল হকের সম্পর্ককে বৈধ বলে ফতোয়া দেন, তারাও আইনের দৃষ্টিতে দুষ্কর্মের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত।’

অর্থনীতি

রাজধানী ঢাকা ঘিরে থাকা চারটি নদীর তীরভূমিতে ওয়াকওয়েসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধন ও নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে সরকার। এই কাজের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে আরও ১ হাজার ৩২ কোটি টাকার বাড়তি আবদার করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।

তবে জানা গেছে, বিআউডাব্লিটিএর প্রস্তাবে পুরোপুরি সাড়া না দিয়ে ৩৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বাড়তি অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রাথমিকভাবে নদীতীর ঘিরে ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের সঙ্গে নির্মিত হবে ইকোপার্ক, বিনোদনকেন্দ্র, বসার বেঞ্চ, ফুডকোর্ট ও প্রয়োজনীয় টয়লেট। পাশাপাশি সবুজায়নে বৃক্ষরোপন ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন করা হবে।

প্রকল্পে মাটি খনন কাজ ১৩ লাখ ২১ হাজার ৫৮৩ ঘনমিটার বৃদ্ধি, নদীর তীরভূমিতে ওয়াকওয়ে ২৩ দশমিক ৫৮৫ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নদীর তীরভূমিতে কলামের ওপর ওয়াকওয়ে ১১ দশমিক ৮৩০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নানা কারণে ধাপে ধাপে বাড়ছে ‘ঢাকার চারপাশে সার্কুলার নৌ-রুট এবং সড়ক’ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি ব্যয় ও সময়।

সূত্র জানায়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরভূমি সংরক্ষণ ও নৌপথ রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২২ মেয়াদে একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন নাগাদ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে। প্রকল্পটিতে নতুন কিছু খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ, যাত্রী ছাউনি, বিশেষ ধরনের আরসিসি সিঁড়ি।

প্রকল্পের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব করা হয়। বিআইডব্লিউটিয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা করে পরিকল্পনা কমিশন। সভায় প্রকল্পের ওপর পুনরায় পিইসি সভা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কতিপয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ১৮১ কোটি ১০ লাখ টাকার সিদ্ধান্ত নেয় পরিকল্পনা কমিশন।

ব্যয় কমানো প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বলেন, প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে। এটা ভালো প্রকল্প। ওয়াকওয়ে করবে কিছু বিনোদন কেন্দ্রও হবে। ঢাকার লোক জনের জন্য খুবই দরকারি। নদীর পাড় দিয়ে হাঁটলে মন ভালো থাকবে। তবে প্রথমে বিআইডাব্লিটিএ যে ব্যয় চেয়েছিল তা কমানো হয়েছে। আমরা সবকিছু ঠিকমতো মতো চেক করে দেখেছি। আমরা ব্যয় কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। সামনে একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, সংশোধিত প্রকল্পে ১৮ লাখ ২১ হাজার ঘন মিটার নদীর ভরাটকৃত মাটি খনন ও অপসারণ, ৩৩ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার নদীর তীরভূমিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ১৭ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার নদীর তীরভূমিতে কলামের ওপর ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ২৪ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার তীররক্ষা কাজ, ৮০টি আরসিসি সিঁড়ি নির্মাণ, ১০ দশমিক ০৪ কিলোমিটার ওয়াল নির্মাণ, ২৯১টি বসার বেঞ্চ নির্মাণ, ৮৫০ মিটিরা সীমানা প্রাচীর, নতুন অঙ্গ হিসেবে ৪টি ঘাট, ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে সংলগ্ন ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার বোল্ডার প্রটেকশন, ২১ হাজার বর্গ মিটার পার্কিং ইয়ার্ড নির্মাণ, সাড়ে ৩ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ১৪টি জেটি এবং ২৮টি স্পড নির্মাণ, ৩ হাজার ৮৫০টি সীমানা পিলার, ১টি মোটরযান ৩টি ইকোপার্ক নির্মাণ ইত্যাদিসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে তীররক্ষা কাজ ২০ কিলোমিটার কমেছে। এছাড়া রেলিং নির্মাণ কাজ ৬ দশমিক ৩৯০ কিলোমিটার কমেছে।

ইতোমধ্যেই সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে ওয়াকওয়ের রুট চূড়ান্ত হয়েছে। রুটটি হবে আব্দুল্লাহপুর থেকে ধউর-বিরুলিয়া-গাবতলী-রায়েরবাজার-বাবুবাজার- সদরঘাট-ফতুল্লা-চাষাড়া- সাইনবোর্ড-শিমরাইল-পূর্বাচল সড়ক হয়ে তেরমুখ পর্যন্ত।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ সমন্বিতভাবে এ কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের এক কোটি জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন। ঘনবসতিপূর্ণ নগরীর নাগরিকরা স্বস্তি খুঁজে পাবেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা) রফিক আহম্মদ সিদ্দিক বলেন, প্রকল্পের আওতায় নতুন কিছু কাজ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। তবে প্রথমে আমরা যে ব্যয়ের প্রস্তাব করেছিলাম তা কমানো হয়েছে। পিইসি সভায় যে ব্যয় কমানো হয়েছে এটা যৌক্তিক বলে মনে করি।

প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোভিডের কারণে প্রকল্পের কাজের ধীরগতি হয়েছে। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।

অর্থনীতি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিষোদগারের রাজনীতি পরিহার করে সরকারের সাথে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি ও নাগরিক ঐক্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মির্জা ফখরুল সাহেব এবং তার জোটের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাবো, প্রতিদিন সরকারের প্রতি বিষোদগার না করে আওয়ামী লীগ যেভাবে জনগণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে, আপনারাও সেভাবে জনগণের পাশে দাঁড়ান এবং আসুন আমরা একসাথে জনগণের জন্য কাজ করি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আজাহার আলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি এডভোকেট নূরুল আমীন রুহুল, সহসভাপতি শরফুদ্দিন আহম্মেদ সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ কামাল, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিতু আক্তার প্রমুখ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।

অর্থনীতি

বেসরকারি খাতে দাম কমেছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি)। ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ এখন থেকে দাম পড়বে ৯০৬ টাকা, যা আগে ছিল ৯৭৫ টাকা। অর্থাৎ ১২ কেজি সিলিন্ডারে ৬৯ টাকা কমেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ভারচুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই নতুন দাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিশ্ববাজারে কমায় এই দাম সমন্বয় করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিইআরসি জানায়, আগামী ১ মে থেকে এই সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কার্যকর হবে।

এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। গত তিন মাস ধরে বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম কমছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, সৌদি সিপির ভিত্তিতেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। তাই এর বাইরে অন্য কিছু বিবেচনা করা হয়নি। প্রপেন ও বিউটেনের প্রতি টন সৌদি সিপি গড়ে ৫৪০ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার ধরে হিসাব করা হয়েছে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত মূসক ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে আনুপাতিক হারে পরিবর্তন হয়েছে।

দাম কার্যকর করা নিয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, বাস্তবায়ন হয়নি এটা যেমন বলা যাবে না, ঠিক তেমনি শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে, তাও বলা যাবে না। আদেশ বাস্তবায়নে কমিশন অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। দাম ঘোষণার আদেশে বলা হয়, দাম সমন্বয়ে গঠিত বিইআরসির কমিটি ২৫ এপ্রিল কমিশনের কাছে প্রস্তাব করে। এরপর ২৮ এপ্রিল অনলাইনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে নতুন দাম চূড়ান্ত করা হয়।

গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজিরি দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি।

জানা গেছে, বেসরকারি খাতে এলপিজির ব্যবসা শুরু হয় ২০ বছর আগে। কয়েক বছর ধরে বাজারে এর চাহিদা ও ব্যবসার বিস্তৃতি ব্যাপক বাড়ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে গ্রাহকের জন্য এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতে পারেনি বিইআরসি। পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের খুচরা মূল্য নির্ধারণে একটি প্রবিধানমালার খসড়া তৈরি হয় ২০১২ সালে, যা আজ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। বিধিমালা ছাড়াই উচ্চ আদালতের আদেশে বাধ্য হয়ে দাম নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করে বিইআরসি।