অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে পৃথিবী ত্যাগ করেছে চারজন নভোচারী। আজ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে ফ্লোরিডার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে একটি স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানে করে তারা পৃথিবী ছেড়ে যায়। এ খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চারজনের মধ্যে দুইজন মার্কিন নভোচারী ও নাসার বিজ্ঞানী শেন কিম্ব্রো এবং মেগান ম্যাক আর্থার, ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি থেকে ফ্রান্সের নভোচারী থমাস পেসকুইট এবং জাপানের আকিহিকো হোশিনো।

চার নভোচারীকে নিয়ে স্পেসএক্স রকেটের পৃথিবী ত্যাগ

শনিবার সকালে তাদের বহনকারী ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলটি ডক্সে অবতরণ করবে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তারা আগামী ছয় মাস অবস্থান করবে।

ইনডিভৌর নামের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলটি এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে নাসার নভোচারী রবার্ট বেহনকেন এবং ডগলাস হারলিকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে গিয়েছিল।

অর্থনীতি

করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করতে রপ্তানি খাতে প্রাক জাহাজীকরণ ঋণের সুদের হার এক শতাংশ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে এ খাতে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার ছিল ৬ শতাংশ। এখন তা কমিয়ে করা হয়েছে ৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সোমবার একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা সোমবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, রপ্তানি খাতে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করতে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করতে গত বছরের ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে।

এ তহবিল থেকে রপ্তানিকারকদেরকে উৎপাদিত পণ্য জাহাজে তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণ দেওয়া হয়। প্রথমে গ্রাহক এর সুদের হার ছিল ৬ শতাংশ। এখন তা এক শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩ শতাংশ সুদ আদায় করত। এখন এক শতাংশ কমিয়ে ২ শতাংশ করেছে। অর্থাৎ গ্রাহক ও ব্যাংক দুই পর্যায়েই ঋণের সুদের হার এক শতাংশ করে কমানো হয়েছে।

এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো আগে গ্রাহকদেরকে ঋণ দেবে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংককে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আবেদন করলে তাদেরকে পুনঃঅর্থায়ন করবে।

তবে এ ঋণ দেওয়ার আগে ব্যাংককে নিশ্চিত হতে হবে গ্রাহকের রফতানির পণ্য তৈরি হয়ে গেছে। এটি এখন জাহাজে তোলার অপেক্ষায় রয়েছে।

রপ্তানিকারকদের সহায়তা করতে এ তহবিল গঠন করা হলেও শুরুতে এ ঋণের বিপরীতে অনেক শর্ত ছিল। পরে গ্রাহকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

অর্থনীতি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাকালে ব্যবসায় মন্দার অজুহাতে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি অত্যন্ত দু:খজনক, অনভিপ্রেত ও আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। সম্প্রতি যেখানে চাকরিচ্যুতি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো চেষ্টা করছে। আশা করবো, যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে পুণর্বহাল করার দিকেই কর্তৃপক্ষ যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যম সংস্থার প্রতিনিধিদের মাঝে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই যে একমাত্র পুরোটা সময়জুড়ে জনগণের পাশে আছে, সেটা গণমাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের কর্মীরা কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে।

এদিকে করোনা মহামারির মধ্যে হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার না করতে বিএনপি মহাসচিবের দাবির জবাবে ‘মহামারির মধ্যে যারা দুষ্কর্ম করে, তাদের কি গ্রেফতার করা যাবে না?’ বলে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই করোনা মহামারির মধ্যে একটি উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আর অত্যন্ত দু:খজনক হলেও সত্য, তাদের পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পোড়ায়, ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা করে, ঐতিহ্য-পুরাকীর্তি বিনষ্ট করে, অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে আক্রমণ করে, তাদের কি গ্রেফতার করা যাবে না! তাদের বিরুদ্ধে কি দেশের ফৌজদারি আইন অকার্যকর করে দিতে হবে?

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এবং দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

পত্রিকা, টিভি, বেতার, অনলাইন গণমাধ্যমসহ প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ করেন।

অর্থনীতি তথ্য প্রযুক্তি

মানসম্মত, সুশৃঙ্খল ও প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থায় টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) নিরূপণের জন্য অনুসরণীয় নিয়মাবলী সম্বলিত প্রজ্ঞাপন গতকাল (৪ এপ্রিল) জারি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

২০ এপ্রিল থেকে কার্যকর এ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ও অংশীজনদের নিয়ে গড়া কমিটির মনিটরিংয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টিআরপি নির্ধারণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।

১০ বিধির দুই পৃষ্ঠার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নির্দিষ্ট মেয়াদে দেশের টিভি চ্যানেলগুলোর টিআরপি নিরুপণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দরখাস্ত আহবান করবে। দেশি ও দেশে নিবন্ধিত বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যাদের এদেশে অফিস রয়েছে, তারা মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুকূলে ফেরতযোগ্য ১০ লাখ টাকার পে অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করতে পারবে।

মন্ত্রণালয় এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দিতে পারবে এবং তাদেরকে অনাপত্তিপত্র নেবার আগে চালানের মাধ্যমে ১-৩৩০১-০০০১-১৮৫৪ কোডে ৫ লাখ টাকা লাইসেন্স ফি জমা দিতে হবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট হারে ফি দিয়ে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে অংশীজনদের মনিটরিং কমিটির সন্তুষ্টি সাপেক্ষে পর্যাপ্ত স্থানে আধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইস ব্যবহার করে টিআরপি নিরূপণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একাজের জন্য দেশে অনুমোদিত টিভি চ্যানেলগুলো থেকে নির্দিষ্ট হারে মাসিক সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে এবং মনিটরিং কমিটির অবগতিসাপেক্ষে টিআরপি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

অর্থনীতি

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) আকার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজারে চাহিদার কারণে এ ফান্ডের আকার ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার করা হচ্ছে। অর্থাৎ এ ফান্ডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরো ৫০ কোটি ডলার বা ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। দেশিয় মুদ্রায় সব মিলিয়ে এ ফান্ডের আকার হবে ৪৬ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে ইডিএফ থেকে ঋণের সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। ওই সময় থেকে এখনো এ তহবিল থেকে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। করোনার প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে এ সুবিধা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে বৈদেশিক মুদ্রায় স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠিত হয়। মাত্র ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ডলার নিয়ে এ তহবিলের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৫ সালে এটি ১০ কোটিতে উন্নীত করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে আকার বাড়িয়ে গত বছরের এপ্রিল মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং শনিবার তা ৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার উন্নীত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইডিএফ থেকে ১ হাজার ৬৭০ জন রপ্তানিকারক ঋণ নিয়েছেন। এ তহবিল তাদের ঋণের পরিমাণ ৪৯২ কোটি ১০ ডলারের ঋণ নিয়েছেন। বিজিএমইএর সদস্যদের মধ্য থেকে ৬১৩টি প্রতিষ্ঠান, বিটিএমএর ২৫৪টি প্রতিষ্ঠান, বিকেএমইএ ২০২টি প্রতিষ্ঠান, ডাইং ইয়ার্নের ১১১টি, প্যাকেজিংয়ের ১৪৫টি, চামড়া শিল্পের ২০টি, প্লাস্টিক শিল্পের ১৭টি এবং অন্যান্য খাতের ৩০৮টি প্রতিষ্ঠান ইডিএফ ফান্ড থেকে ঋণ নিয়ে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে।

অর্থনীতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীদ্বয় আগামী ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শনিবার ( ২৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টার কিছু পর। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে কার্যালয়ের টাইগার গেটে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।

প্রথমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে বসেন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা দূর, তথ্য-যোগাযোগ সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সমঝোতা স্মারক সই ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস, বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়ক। মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে তারও উদ্বোধন করা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের কাছে ভারতের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেন মোদি। এছাড়া দুটি সীমান্ত হাট এবং স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

যে ৫ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই

১. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন ও প্রশমনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ।

২. বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়ার (আইএনসিসি) মধ্যে সহযোগিতা ।

৩. বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূর করতে একটি সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা ।

৪. বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ সহযোগিতা ।

৫. রাজশাহী কলেজ মাঠের উন্নয়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার মোদি ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার তিনি যান সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে।

৬ ডিসেম্বর উদযাপন হবে মৈত্রী দিবস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।এর আগে,শনিবার ( ২৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টার কিছু পর। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে কার্যালয়ের টাইগার গেটে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা।

প্রথমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে বসেন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে বাণিজ্যে অশুল্ক বাধা দূর, তথ্য-যোগাযোগ সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

সমঝোতা স্মারক সই ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভার্চুয়ালি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস, বাংলাদেশ-ভারত স্বাধীনতা সড়ক। মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সৈন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুটিবাড়িতে ভারতের অর্থায়নে যে সংস্কার কাজ হয়েছে তারও উদ্বোধন করা হয়।

অর্থনীতি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মোকাবেলায় খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে আরও এক দফা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এবার মেয়াদি ঋণের সুদ পরিশোধ ও বাণিজ্যিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে ঋণের মেয়াদ। ফলে ঋণ পরিশোধের সীমা বেড়েছে।

একই সঙ্গে বৃদ্ধি করা হয়েছে ঋণ খেলাপি না করার মেয়াদ। এর মধ্যে তলবি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২১ মাস বেড়েছে। চলমান ঋণের মেয়াদ বেড়েছে ১৫ মাস। চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের মার্চ পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিন মাস।

এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এর আগে গত বছরে ঋণ খেলাপি না করার মেয়াদ তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ওই সুবিধা প্রত্যাহার করে শুধু মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। তবে বাণিজ্যিক ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করার কথা ছিল। নতুন সার্কুলারে সব ধরনের ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধের মেয়াদ বিভিন্ন হারে বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করতে ঋণ পরিশোধের সীমা আরও বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে তারা যেসব প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাস্তবায়িত হয়নি সেগুলোর মেয়াদও বাড়ানোর দাবি করে। ইতোমধ্যে এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এর নেতিবাচক প্রভাব বেড়েছে। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাংকিং খাতে ঋণপ্রবাহ পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, যেসব চলমান ঋণের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে এবং প্রচলিত নীতিমালার আওতায় নবায়ন করা হয়নি। সেসব ঋণের বিপরীতে অনাদায়ী সুদ চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ছয়টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। একই সঙ্গে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আরোপিত সুদ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করলে ওইসব ঋণকে খেলাপি করা যাবে না। অর্থাৎ চলমান ঋণের সুদ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করলে তা খেলাপি হবে না। এ সুবিধা আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে। এবার শুধু সুদ পরিশোধ করতে হবে।

গত বছরের সুবিধায় ২০২০ সালে সুদ ও ঋণ কোনোটিই পরিশোধ করতে হয়নি। যা এ বছর থেকে পরিশোধ করতে হবে।

তলবি ঋণের ক্ষেত্রে চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। নিয়মিতভাবে কিস্তি পরিশোধিত হলে এগুলোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বেড়েছে ২১ মাস।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, নিয়মিতভাবে কিস্তি পরিশোধিত না হলে যে ত্রৈমাসিকে কিস্তি পরিশোধিত হবে না, ওই সময় থেকেই আলোচ্য সুবিধা বাতিল বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে ওই ঋণকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে।

চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের বিপরীতে চলতি মার্চ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সেগুলোকে খেলাপি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বেড়েছে তিন মাস।

করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিতরণ করা ঋণ এ নীতিমালার আওতায় পড়বে না। সেগুলো নিজ নিজ প্রণোদনা প্যাকেজের শর্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

অর্থনীতি

সকল টিভি ক্যাবল অপারেটরদের করের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটরদের কাছ থেকে যে কর পাই, সেটি খুব নগণ্য। এই জায়গায় করজাল সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। আমরা সেটি এক্সপ্লোর করতে চাই। তবে তার জন্য সকল অপারেটরদের এক প্লাটফর্মে আনা জরুরি। সিস্টেম ডিজিটালাইজড করার প্রয়োজন।’

বুধবার নিউজ পেপার্স ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও দেশীয় টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)’র সঙ্গে এনবিআরের ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাকবাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, টিভি ক্যাবল অপারেটরদের যেসব এসোসিয়েশন আছে, তাদের সহযোগিতায় আমরা সকল অপারেটরের ভ্যাট নিবন্ধন ও ইটিআইএন করাতে পারি। সেটি করা গেলে সেখান থেকে অনেক রাজস্ব আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, সকল ক্যাবল অপারেটেরদের এক প্লাটফর্মে আনার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব। তারা যেন একটা নীতিমালা করে দেন, যাতে ক্যাবল অপারেটরের এক প্লাটফর্মে চলে আসে।

সংবাদপত্রের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টের উপর থেকে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাবের বিষয়ে রহমাতুল মুনিম বলেন, নিউজপ্রিন্টের উপর আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট আরোপ করা হয়, শুধুমাত্র রাজস্ব আহরণের চিন্তা থেকে নয়। এখানে দেশীয় শিল্প বিকাশের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিউজপ্রিন্ট উৎপাদন করছে। তাদের কাগজের মান কেমন হচ্ছে-এটি আমরা পর্যালোচনা করব।

নোয়াব সভাপতি ও দৈনিক সমকালের মালিক এ কে আজাদ বলেন, সংবাদপত্র একটি সেবামূলক শিল্প। বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এই শিল্প খারাপ সময় পার করছে। তাই অন্যান্য শিল্পের ন্যায় ট্যাক্স-ভ্যাট দিয়ে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, সংবাদপত্রের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টের উপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্কসহ সব মিলিয়ে বর্তমানে ৩০ শতাংশ ভ্যাট ও শুল্ক দিতে হচ্ছে। তিনি করোনা পরিস্থিতির কারণে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার ও অন্যান্য করহার কমানোর প্রস্তাব করেন।

অ্যাটকো সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু সংবাদপত্রের ন্যায় টেলিভিশন বা ইলেকট্রনিক্স মিড়িয়াকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, এতে করে টেলিভিশন মালিকদের জন্য ট্যাক্স-ভ্যাট দেয়া সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশীয় বিজ্ঞাপনের এক চতুর্থাংশ বিদেশে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপন বিদেশের চ্যানেলে বেশি প্রচার করছে। এতে সরকার বড় আকারে রাজস্ব হারাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোজাম্মেল বাবু মনে করেন বিদেশের টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে যথার্থভাবে ভ্যাট ট্যাক্স আরোপ করা গেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন বিদেশে যাওয়া যেমন বন্ধ হবে, তেমনি বাড়তি রাজস্বও পাবে।

তিনি বলেন, ক্যাবল অপারেটরদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনা বা সিস্টেম ডিজিটালাইজড করা গেলে সরকার বছরে এই খাত থেকে অন্তত ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পাবে।

আলোচনায় ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক হানিফ মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

অর্থনীতি

করোনাভাইরাস মহামারির মোকাবিলায় বাংলাদেশে চলমান টিকাদান কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য ৫০ কোটি ডলারের (চার হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি) ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদ। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) এই অর্থায়ন করবে। এ ঋণের আওতায় বাংলাদেশের ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য অগ্রাধিকার পাবে।

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ‘কোভিড-১৯ ইমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস প্রজেক্ট’-এর অধীনে বিশ্ব ব্যাংকের এই অর্থায়ন। প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এই ঋণ।

বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন বলেন, এই অর্থায়ন জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ ছাড়াও নেপালকে সাড়ে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। ৬ কোটি পাবে আফগানিস্তান।

অর্থনীতি

নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এ পর্যন্ত দেশী-বিদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রায় ২৭ দশমিক ০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে।
প্রস্তাবিত এ বিনিয়োগ দেশে ১০ লাখেও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

এর মধ্যে প্রায় ২৩ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে সরকারি এবং ৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেসরকারি খাতের জন্য ।

এর মধ্যে চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, জাপান, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং জার্মানির বিভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রায় ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রস্তাব এসেছে।
বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি যেমন জিয়াংসু ইয়াবাং ডাইস্টাফ কোং লিমিটেড, হোন্ডা মোটরস, সুমিতোমো নিপ্পন, এশিয়ান পেইন্টস, বার্গার পেইন্টস, আদানি গ্রুপ, উইলমার, সিয়াম গ্রুপ, টিআইসি গ্রুপ, ইউনিলিভার, সাকাটা ইঞ্চ, জিহং মেডিকেল প্রোডাক্টস (বিডি) কো লিমিটেড, সিসিইসিসি বাংলাদেশ, এইচএএস টেক লিমিটেড, রামকি এনভিরো সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড ফোর্টিগ্রুপ, লিজার্ড স্পোর্টস বিভি, ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ লিমিটেড রয়েছে।

স্থানীয় কোম্পানিগুলো হল মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড, ম্যাকসন স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইল, সামুদা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড, উত্তরা মোটরস লিমিটেড, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), সায়মান বিচ রিসোর্ট লিমিটেড, মাফ জুতা লিমিটেড, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ), রানার মোটর্স, সাইফ পাওয়ারটেক, ডেল্টার ফার্ম লিমিটেড এবং এশিয়া কমেম্পাজিট মিলস্ লিমিটেড।

বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, এই বিনিয়োগ প্রস্তাবের বাইরে অনেক বিশ্ববিখ্যাত বিদেশী কোম্পানি বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পা নগর (বিএসএমএসএন) দেশীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগের একটি আদর্শ স্থান হিসেবে পরিচিত।
তিনি বলেন, যদি বিএসএমএসএন-এ বিনিয়োগ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে আগামী বছর শিল্প ব্যবহারের জন্য বিনিয়োগকারীদের জমি দেয়া বেজার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে।

পবন চৌধুরী উল্লেখ করেন, বিএসএমএসএন বাংলাদেশের পরবর্তী বিনিয়োগ ও বাণিজ্য মূলধন হবে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, দেশে ও বিদেশ থেকে অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের শিল্প ইউনিট স্থাপনের জন্য নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।

তিনি উল্লেখ করেন, সরকার বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চলে সব ধরনের সুবিধা প্রদান করছে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় এবং বিদেশী উভয় ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে তারা একই সুবিধা ভোগ করবে।

চৌধুরী জানান, বেজা গভর্নিং বোর্ড ইতোমধ্যে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও জমি অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ৬৮টি সরকারী ইকোনমিক জোন এবং ২৯টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে নয়টি অঞ্চল ইতোমধ্যে উৎপাদনে গিয়েছে এবং ২৮টি জোনের উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। ৩৫ শিল্প নির্মাণ কাজ চলছে ২৬ শিল্প উৎপাদননে গিয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতোমধ্যে ৩৯ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

পবন চৌধুরী বলেন, দেশের বিনিয়োগকারীদের একটি স্থানে প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিষেবা প্রদানের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) কেন্দ্রও চালু করেছে বেজা। ওএসএস সেন্টারের আওতায় মোট ১২৫টি সেবা প্রদান করছে বেজা। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীরা এখন অনলাইনের মাধ্যমে ৪৮টি সেবা পাচ্ছেন।