আন্তর্জাতিক

আন্দামান সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৮১ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, আন্দামান সাগরে একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে ৮ জন মৃতসহ রোহিঙ্গাদের জীবিত উদ্ধার করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে ভারত।

এনিয়ে পরবর্তীতে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ আশা করছে, ভারত অথবা মিয়ানমার তাদের ফেরত নেবে।

তিনি বলেছেন, তারা বাংলাদেশি নন এবং প্রকৃতপক্ষে তারা মিয়ানমারের নাগরিক। বাংলাদেশের সমুদ্র অঞ্চল থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে তাদের পাওয়া গেছে এবং তাদের ফেরত নিতে আমাদের বাধ্যবাধকতা নেই।

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মোমেনের কথায়, তাদের (রোহিঙ্গাদের) ভারতীয় অঞ্চল থেকে ১৪৭ কিলোমিটার এবং মিয়ানমার থেকে ৩২৪ কিলোমিটার দূরে দূরে অবস্থান ছিল।

রয়টার্সকে মোমেন টেলিফোনে আরও বলেছেন, অন্যন্য দেশ এবং সংস্থাদের রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।

এর আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর আশায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাত্রা শুরু করা রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি আন্দামান সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভাসছিল।

নৌযানটিতে ৫৬ জন নারী এবং ২১ জন পুরুষ ও পাঁচ জন শিশু ছিল। এদের মধ্যে আট জন মারা গেছেন।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গাদের অনেকেই তীব্র পানি শূণ্যতায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের ঐ নৌযানে পানি এবং খাবারও শেষ হয়ে গিয়েছিল।

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কোভিড-১৯ মহামারির স্বাস্থ্যগত এবং আর্থ-সামাজিক প্রভাব লাঘব করতে বাংলাদেশের অসাধারণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

আজ এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠককালে গুতেরেস বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।

গুতেরেস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করেন যে, কোভিড-১৯ টিকাদানকে ‘বৈশ্বিক জনগণের কল্যাণ’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

মহাসচিব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভুয়শী প্রশংসা করেন এবং পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য”।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

মোমেন জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের জন্য মহাসচিবের আহবানকে স্বাগত জানান এবং তাকে জানান যে, বর্তমান সিভিএফ সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে এবং চলতি বছর গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনের প্রস্তুতিতে অব্যাহতভাবে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করে যাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য এমনকি উত্তরণের পরেও নতুন সহায়তা ব্যবস্থাসহ সুবিধা প্রদানের জন্য উন্নয়ন অংশীদার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুপ্রাণিত করার জন্য তার প্রভাব কাজে লাগানোর জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ জানান।

মতবিনিময়কালে গুতেরেস উল্লেখ করেন, উত্তরণের বিষয়টিকে কেবল জিডিপি’র ভিত্তিতে কৌশলগত পরিমাপ দিয়ে বিবেচনা করা উচিত হবেনা, বরং এ ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক ঝুঁকি সূচক বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন,“উত্তরণ লাভের জন্য শাস্তি নয় বরং পুরস্কার দেয়া উচিত।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন নিয়েও আলোচনা করেন।

তিনি মুজিব বর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠককালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

২০১৮ সালে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই দিয়েছে মার্কিন গোয়ান্দা সংস্থা। মার্কিন প্রেসডেন্ট জো বাইডেনে সৌদির বাদশাহ সালমানকে ফোন দেওয়ার একদিন পর শুক্রবার এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজ সালমানের সংশ্লিষ্টতার দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামাল খাশোগিকে নিজ সাম্রাজ্যের প্রতি হুমকি হিসেবেই দেখতেন যুবরাজ সালমান। এমনকি খাশোগিকে চুপ করাতে প্রয়োজন মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতেও সম্মতি ছিল তার।তবে বারবার সব অভিযোগ অস্বীকার করাছিলো সৌদি রাজ পরিবার বা যুবরাজ সালমান।

যুবরাজের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ও বিশ্বস্ত রেপিড ইন্টারভেনশন ফোর্সের (আরআইএফ) সাত সদস্য তার অনুমতিতেই এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এছাড়া ২০০৭ সাল থেকে সৌদি গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার ওপর যুবরাজের প্রভাবকেও তুলে ধরা হয়েছে এতে।

সম্প্রতি সিএনএন জানায়, সৌদি আরবের একটি গোপন নথিতে দেখা গেছে, খাশোগি হত্যাকাণ্ডে হত্যাকারী ব্যক্তিগত দুটি বিমান ব্যবহার করেছিল যা এক বছরেরও কম সময় আগে সৌদি যুবরাজ এবং কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান ঐ বিমান কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। বিমান দুইটির ব্যবহার সম্পর্কেও যুবরাজ অবগত ছিলেন।

খাশোগি হত্যার ঘটনায় মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলে তা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক এ বিশেষ দূত মনে করেন, এ প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালে খাশোগি হত্যার ঘটনায় কারা দায়ী তা জানা সম্ভব হবে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তিনি যুবরাজ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক ছিলেন।

‘খাশোগিকে হত্যার অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ’

বুধবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে কথা বলেন ক্যালামার্ড। তিনি বলেন, আমাদের হাতে যদি আরো প্রমাণ আসে, তবে যেসব তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তা উপেক্ষা করাটা বাকি বিশ্বের জন্য অসম্ভব হবে। জবাবদিহিতার স্বার্থে এবং আমেরিকান গণতন্ত্রের স্বার্থে অবশ্যই ডিএনআই প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।

এর আগে ২০১৯ সালের জুনে ক্যালামার্ডের করা এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, খাশোগি হত্যার ঘটনায় যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। এ ব্যাপারে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

২০১৮ সালে ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি। সেদিনই নিখোঁজ হন তিনি। সৌদি সরকার ১৭ দিন দাবি করেছিল তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আন্তর্জাতিক চাপে একই বছরের ১৯ অক্টোবর খাশোগিকে সৌদি দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি। হত্যার অভিযোগে ১১ জন সৌদি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছিল। খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল বলে ধারণা করে পুলিশের।

আন্তর্জাতিক

বিপদ পিছু ছাড়ছে না সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সিনেটে অভিশংসনের হাত থেকে রক্ষা পেলেও সুপ্রিম কোর্টে আয়কর রিটার্নের মামলায় হেরে গেছেন। এবার ধর্ষণ মামলায়ও তাকে আদালতে যেতে হচ্ছে। লেখিকা ই জিন ক্যারোলের করা ধর্ষণ মামলায় ট্রাম্পকে আদালতে গিয়ে জবাব দিতে হবে। খবর ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের

ক্যারোলের আইনজীবীরা মামলাটি পুনরায় সচল করতে জোর তত্পরতা শুরু করছেন। ১৯৯০-এর দশকে নিউ ইয়র্কের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ট্রাম্প কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ক্যারোল। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ নিয়ে মানহানির মামলা করেছিলেন ক্যারোল।

তখন ট্রাম্প এই তথ্যকে মিথ্যা দাবি করেছিলেন। আর তার আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ট্রাম্প এসব অভিযোগ থেকে মুক্ত। কিন্তু এখন ট্রাম্প আর প্রেসিডেন্ট পদে নেই। তাই ক্যারোলের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা শিগগিরই এ নিয়ে জোর তত্পরতা শুরু করছেন। এমনকি ক্যারোলের সেই পোশাক ও ট্রাম্পের ডিএনএ পরীক্ষা করারও দাবি করেছেন আইনজীবীরা। ক্যারোল সেই পোশাক এখনো সংরক্ষিত রেখেছেন।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই মামলাকে খারিজ করতে বা বিলম্ব ঘটাতে অনেক প্রচেষ্টা চালান। তখন বিচার বিভাগও ট্রাম্পের পক্ষে যায়। কিন্তু এখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে বিচার বিভাগ আগের মতো ট্রাম্পের পক্ষে লড়াই করবে কি না তা জানা যায়নি। কারণ এখনো বাইডেনের মনোনীত অ্যাটর্নি জেনারেল সিনেটের নিয়োগ পাননি।

এছাড়া সামার জারভোস নামের এক নারীও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে তার আইনজীবীরাও আবার সেই মামলা সচল করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা এবং দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম সফল ভাবে পরিচালনা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে।

এডিবি’র এ দেশীয় পরিচালক মনমোহন প্রকাশ আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকালে আরো বলেন, তারা বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্রয়ে সহায়তা বাবদ ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রেস সচিব কে এম ইমরুল কায়েস বৈঠকের পর এ কথা জানান।

এডিবির পরিচালককে উদ্ধৃত করে ইমরুল বলেন, ‘মহামারী থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে এডিবি সরকারের প্রস্তাবিত বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির জন্য এডিবি’র এপিভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ৯৪০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করে।’

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এডিবির পরিচালককে অবহিত করেন যে, তাঁর সরকার ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-পায়রা রেলপথ নির্মাণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

ইমরুল বলেন, অর্থনীতির সমস্ত খাত পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে এডিবি প্রতিনিধি বলেন এ জন্যই বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে।

এডিবির পরিচালক জনগণকে টিকা দানের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে একটি, যেটি কোভিড-১৯ টিকাদান অভিযান সফলভাবে পরিচালনা করছে।

প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এডিবি’র বই ‘এশিয়ার সমৃদ্ধির পথে যাত্রা: ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নীতি, বাজার এবং প্রযুক্তি’ এবং তিন খন্ডের ‘বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক করিডোর বিস্তৃত উন্নয়ন পরিকল্পনা’ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

পঞ্চমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক আবহে উদযাপন করা হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, মিশর, জর্ডান, লিথুনিয়া ও নিউজিল্যান্ড এবং জাতিসংঘ সচিবালয় ও ইউনেস্কোর সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

কোভিড-১৯ এর বিধি-নিষেধ জনিত কারণে ২২ ফেব্রুয়ারি ইভেন্টটি ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হয় যা জাতিসংঘ ওয়েভ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। সহ-আয়োজক দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি ছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের বহুভাষিক সমন্বয়কারী ও জেনারেল অ্যাসেম্বিলি ও কনফারেন্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল।
এছাড়া ইউনেস্কো মহাপরিচালকের ভিডিও বার্তা এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বার্তা উপস্থাপন করা হয় ভার্চুয়াল এই ইভেন্টটিতে। স্প্যানিস ভাষাভাষী বন্ধু-দেশগুলোর পক্ষে এ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগালের স্থায়ী প্রতিনিধি।

অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা করার জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনোস্কোর সঙ্গে সরকারিভাবে যোগাযোগ স্থাপন এবং বিষয়টি এগিয়ে নিতে যে বিচক্ষণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।

পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় ভাষাসমূহের সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন মর্মেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে প্রস্তাব রেখেছেন তা পুনরুল্লেখ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে গ্রীসের নব-নিযুক্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত দিনোইসিওস কিভেতোস বলেছেন, গ্রীস সরকার বাংলাদেশে তাদের আবাসিক মিশন চালু করতে আগ্রহী এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাজ চলছে।

রাষ্ট্রদূত আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশে আবাসিক মিশন চালু করার ব্যাপারে আগ্রহী এবং শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি’র প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এ কথা জানান।

নব-নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও গ্রীসের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকায় গ্রীসের আবাসিক মিশন চালুর সম্ভাবনার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি হামিদ আশা প্রকাশ করেন যে, এ ব্যাপারে গ্রীক সরকার শিগগিরই একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রাচীন গ্রীক সভ্যতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ব্যাপারে জানতে অনেক আগ্রহী।

গ্রীসে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী কাজ করছে উল্লেখ করে আব্দুল হামিদ বলেন, তারা দু’দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশে চলমান রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, গ্রীসসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবে।

রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ সময়, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়–য়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর একটি চৌকশ অশ্বারোহী দল তাকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশটিতে প্রথম সফরে গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনদিনের সফরে সোমবার রাতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

এ ব্যাপারে দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকা যাচ্ছি, এখানে আমাদের কয়েকটি মিটিং আয়োজন হয়েছে। বিশেষ করে নতুন মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন চাই। সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করবো। সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে কথা হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার নতুন একটা ফরেন পলিসি দিয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখানে ভূরাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সফরে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটির প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হবে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চাই। আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে, আর আমেরিকাও অনেক বড় দেশ। তাদের সঙ্গে যদি আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত করতে পারি, দিজ ইজ এ উইন-উইন। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

আন্তর্জাতিক

কঙ্গোতে জাতিসংঘের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটিতে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত ও এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

আস সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কঙ্গোর স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কানিয়ামাহোরো শহরের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত রাষ্ট্রদূত লুকা আত্তানাসিও ও সেনা জাতিসংঘ মিশন মনুস্কোর একটি গাড়ির বহরে ভ্রমণ করছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে রাষ্ট্রদূত ও তার সঙ্গে থাকা সামরিক পুলিশের মৃত্যু হয়।

সিএনএন বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে হামলায় কারা জড়িত তা সম্পর্কে কোনো কিছু জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায়ও স্বীকার করেনি।

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকালে দুই জনের প্রাণহানির ঘটনায় রোববার জাতিসংঘ নতুন করে দেশটির সামরিক জান্তার নিন্দা জানিয়েছে।

এদিকে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভের প্রথম বলি তরুনীটির অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে শোকার্ত মানুষের দল।

বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচির মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের কৌশল আরো বিস্তৃত করছে।

গত দ’ুসপ্তাহ ধরে দেশটিতে যে বিক্ষোভ চলছে তা মারাত্মক রূপ নেয় শনিবার। ওইদিন মান্দালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর গুলি চালায়।

জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস রোববার মারাত্মক এ সহিসংতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিুরদ্ধে প্রাণঘাতি শক্তি প্রয়োগ, দমন ও নিপীড়ন অগ্রহণযোগ্য।

দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ও সাংস্কৃতিক রাজধানী মান্দালয়ে একটি শিপইয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে বন্দর শ্রমিকদের আটককালে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে।

উদ্ধাকর্মীরা জানিয়েছেন, সৈন্যরা তাজা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।

মান্দালয় ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী জরুরি উদ্ধারকারী দলের প্রধান হালিয়াং মিন ও দ’ুজনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক জরুরি কর্মী প্রাণহানির এ খবর নিশ্চিত করেছেন। হালিয়াং মিন ও সহিংসতায় আরো ৩০ জনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির(এনএলডি) আরো কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে।

গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।

ওই দিন নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।