আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে হোক ‘বাংলা’। রবিবার কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে ফের এই দাবি তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি তার আহ্বান, এখন থেকে ফোনে হ্যালো না বলে বলুন ‘জয় বাংলা’। এর জন্য প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুর মতো জেলে গিয়েও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেব।

ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, বাংলার মেরুদণ্ড বিজেপি নেতারা ভাঙতে চাইছে। আসুন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করুন। বাঙালির মেরুদণ্ড ভাঙা এতো সহজ নয়। ধমকানি, চমকানিতে ভয় পাই না। জাতিকে বিস্মৃত করতে চাইছে। জেলের ভয় আমাকে দেখাবেন না। বন্দুক–গুলির সঙ্গে লড়াই করেছি। এখন নেংটি ইঁদুরের সঙ্গে লড়াই করতে হবে?’

তিনি বলেন, ‘প্রায় চার বছর হয়ে গেল এখনও বাংলার নাম ঠিক করে পাঠাল না। বাংলাকে কেন বঙ্গাল বলা হবে? কখনও কাঙাল বলা হচ্ছে। বাংলা ওদের কাছে খুব খারাপ। কেন? বাংলা কি অন্যায় করেছে? বাংলার নাম ঠিক করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে প্রস্তাব নেওয়া হল। সেটা পাঠানো হল দিল্লিতে। আপত্তি জানিয়ে ফেরত দিল। আবার পাঠানো হল। এখনও পর্যন্ত ঠিক করা হল না। বাংলাদেশ আলাদা দেশ আর পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটা রাজ্য। সেক্ষেত্রে রাজ্যের নাম বাংলা প্রদেশও তো করতে পারতো। ভারতে অন্ধ্র প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশ তো রয়েছে। আর ‘বাংলাদেশ’এবং ‘বাংলা’ দুটো নামে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ হলো কী করে? পাকিস্তানেও তো পাঞ্জাব রাজ্য রয়েছে। এই দুটো নামে যদি অসুবিধা না হয় তাহলে শুধু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আপত্তি কেন?

মমতা বলেন, ‘বাংলা ভাষার প্রতি মানুষের আলাদা আকর্ষণ আছে। এটা আমাদের অহংকার। যতদিন দেহে প্রাণ থাকবে বীরের মতো লড়াই করব, প্রয়োজনে জেলে যাব। জেলে গিয়েও বঙ্গবন্ধুর মতো স্লোগান দেব ‘জয় বাংলা’। বাঘের বাচ্চা আমরা। বাংলাকে আঘাত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা কাউকে পরোয়া করি না।’

মমতা বলেন, ‘ভাগাভাগির রাজনীতি আমরা বরদাস্ত করব না। বাংলাকে যারা ভালোবাসেন, সেইসব বুদ্ধিজীবী মানুষও সজাগ আছেন। আমার সোনার ভারতবর্ষ ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’

এদিকে, কলকাতায় এদিন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বেশ কিছু অনুষ্ঠান হয়। মোহরকুঞ্জে ‘নবজাগরণ’–এর উদ্যোগে গানে, কবিতায়, স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদদের। ভাষা ও চেতনা সমিতির উদ্যোগে অ্যাকাডেমির সামনে ছাতিমতলায় সারারাত বাংলা ভাষা উৎসবের সমাপ্তি ঘটে রবিবার সকালে। সল্টলেকের এসি ব্লকের ভাষা উদ্যানে অমর একুশে পালন করে বিধাননগর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি।

বাংলাদেশ উপ–দূতাবাসের আয়োজনে ভাষা শহিদদের স্মরণে উপ–দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পর প্রভাতফেরি বের হয়। উপ–দূতাবাস চত্বরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান উপ–রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান, কাউন্সেলর (শিক্ষাও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) মোহম্মদ বশির উদ্দিন, প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি প্রমুখ। বিকেলে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কলকাতার তালতলা মাঠে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শুরু হয়েছে একুশে বই উৎসব।

আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. সহিদুল ইসলামের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গতকাল শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বুধবার পরিচয়পত্র গ্রহণকালে বাইডেন নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো সুগভীর করতে একযোগে কাজ করার বিষয়ে তার প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার নতুন রাষ্ট্রদূত কর্তৃক প্রেসিডেন্ট বরাবর সরাসরি পরিচয়পত্র প্রদানের প্রথাগত আনুষ্ঠানিক আয়োজন হতে বিরত থাকছে। প্রেসিডেন্ট কর্তৃক পরিচয়পত্র গ্রহণের বিষয়টি ‘পেপার-বেইজড’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

আন্তর্জাতিক

প্রবীণ সৌদি সাংবাদিক জামাল আহমেদ খাশোগ্গিকে হত্যার রিপোর্ট এসেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হাতে। আর এই গোয়েন্দা-রিপোর্টে উঠে এসেছে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানের নাম। সাংবাদিক খাশোগ্গিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন যুবরাজ সালমান।

সংবাদ মাধ্যম দি মিডল ইস্ট আই এর বরাতে জানা যায়, জনপ্রিয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ সিআইএ-র একাধিক গোপন সূত্র উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে খাশোগ্গি হত্যার রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে সিআইএ। সেই গোপণ রিপোর্টের বেশ কিছু অংশ আগাম হাতে এসেছে ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয় বিভাগের হাতে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছিল ৬০ বছরের খাশোগ্গিকে।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে ডেকে পাঠিয়ে রীতি-মতো ফাঁদ পেতে খাশোগ্গিকে হত্যা করে সৌদি গুপ্তচর সংস্থার কিলিং টিমের সিক্রেট এজেন্টরা। তখন খাশোগ্গি ওয়াশিংটন পোস্টের পে রোলে থাকা সাংবাদিক ও কলামিস্ট ছিলেন।

ভিডিও কলের মাধ্যমে নৃশংস খুনের প্রক্রিয়াটি নিজে তদারক করেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমান। পরবর্তীকালে সালমানকে দায়ী করে তোলপাড় হয় পুরো বিশ্ব। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে সর্বশক্তিমান যুবরাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস দেখায়নি কেউই। তাছাড়া, ব্যাপক শাসন সংস্কারের নামে সৌদি রাজ পরিবারের বহু প্রভাবশালী সদস্যকে জেলবন্দি করেছেন বা দেশছাড়া করেছেন সালমান নিজে। ফলে দেশের ভিতরে তাঁকে এখন চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই। এই অবস্থায় তিনি নিজেকে অজাতশত্রু প্রমাণ করার চেষ্টাও চালিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক

চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার সাড়ে তিন মাস পর ফের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্ত হল যুক্তরাষ্ট্র।

জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম দিনই এ সংক্রান্ত একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন; তার ওই পদক্ষেপের ঠিক ৩০ দিন পর শুক্রবার দেশটির আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে ফেরা কার্যকর হল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার এবং আগামী তিন দশকের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে বাইডেন প্রশাসনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ওয়াশিংটন প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরেছে।

বিজ্ঞানী এবং বিদেশি কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি যেন প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়, তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার নিয়ে ২০১৫ সালে হওয়া প্যারিস চুক্তিতে প্রায় ২০০টি দেশ স্বাক্ষর করেছিল।

ক্ষমতায় এসে ২০১৭ সালে ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। অবশ্য তার ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় গত বছরের নভেম্বর থেকে।

ট্রাম্প প্যারিস চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অন্যায্য’ চুক্তি হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছিলেন। তার ভাষ্য ছিল, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, লাভবান হবে চীন-ভারত।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কোনো দেশ এখন পর্যন্ত প্যারিস চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়নি।

চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরার দিন মার্কিন জলবায়ু দূত জন কেরি বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেন; এসব অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও ইতালির রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকেও দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিন কেরি বলেছেন, ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ফলে যে সময় নষ্ট হয়েছে তা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

“পার্থক্যটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় অতিরিক্ত সময় কাজ করার বাধ্যবাধকতা অনুভব করছি আমরা। আমাদের অনেক কিছু করতে হবে,” বলেছেন এ সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে কার্বন নিরপেক্ষ দেশে পরিণত করার পথ প্রস্তুতে প্রতিশ্রুতি আছে বাইডেনের।

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বৈশ্বিক সমঝোতার সঙ্গে এ পরিকল্পনা সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও বিজ্ঞানীরা উষ্ণতা বৃদ্ধির ভয়াবহ প্রভাব রুখতে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা এখনকার অর্ধেকে নিয়ে আসার ওপর জোর দিচ্ছেন।

কেরি বাইডেনের অভ্যন্তরীণ জলবায়ু উপদেষ্টা জিনা ম্যাককার্থিকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এখনকার প্রশাসনের জলবায়ু সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন; পরিবেশবান্ধব জ্বালানির প্রসার, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা ত্বরান্বিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে-বাইরে কিভাবে উদ্দীপনা সৃষ্টি করা যায় তা সমন্বয় করছেন।

মানবাধিকার ও বাণিজ্য নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ থাকলেও বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশটিকে আলোচনার টেবিলে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন কেরি।

যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ার্স বলেছেন, জলবায়ু এমন একটি ইস্যু যেখানে চীন সহায়ক অংশীদার হতে পারে।

“অবশ্য চীন, আর রাশিয়াও, মাঝে মাঝে এমন আচরণ করে যেন সবকিছুই প্রতিযোগিতা,” বলেছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর এবার সকল সম্মানীয় পদ হারাচ্ছেন ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস মেগান মার্কেল। শুক্রবার বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়।

শুক্রবার বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিশ্চিত করেছেন যে প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে আর দায়িত্ব পালন করবে না।প্রিন্স হ্যারি তার সম্মানিত সামরিক নিয়োগ ও পৃষ্ঠপোষকতা ত্যাগ করবেন।

গত বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে এসে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস মেগান মার্কেল। পরে তারা মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজপরিবার ছাড়লেন ব্রিটিশ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল।

আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার জি-৭ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বৈশ্বিক টিকাদান কর্মসূচি কোভ্যাক্স গ্লোবাল কোভিড-১৯ প্রোগ্রামে ৪শ’ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার অঙ্গীকার করেছেন। হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা এ কথা জানান।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ ২শ’ কোটি ডলার ছাড় করা হবে এবং বাকি অর্থ আগামী দুই বছরে দেয়া হবে।

কোভ্যাক্স এর মাধ্যমে সকল দেশের অত্যন্ত ঝুঁকিপূণ ২০ শতাংশ লোকের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বিতরণ করার উদ্যেগ নেয়া হয়েছে। কয়েকটি ধনী দেশের সহায়তায় দরিদ্র দেশগুলোতে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে।
‘যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের উদ্যেগে প্রথম অবদান রাখতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত’ এ কথা উল্লেখ করে হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মনে করি বিশ্বব্যাপী মহামারি প্রতিরোধে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কীভাবে আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করা যায়, সে বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার আলোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উত্সব, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। জবাবে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় সোচ্চার থাকবে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উত্সবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ঢাকায় আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করার জন্য এটাই উপযুক্ত সময়।

এদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘শেয়ার আমেরিকা ওয়েবপেজের’ বাংলা ভার্সন উদ্বোধন করা হয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করেন।

আন্তর্জাতিক

শ্রমমান উন্নয়নে শ্রম মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) সক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক ও জার্মান সরকার। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

বৃহস্পতিবার শ্রম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান জার্মান ও ডেনমার্কে রাষ্ট্রদূত। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম ছাড়াও, বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন, জার্মান দূতাবাসের হেড অব কোঅপারেশন ক্যারেন ব্লুম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উপস্থিত শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ইত্তেফাককে বলেন, শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কার্যকর করা, কারখানার শ্রমমান পরিদর্শন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা ছাড়াও আইএলও এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া রোডম্যাপ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সহযোগিতা প্রসারিত করার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এতে ডেনমার্ক এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা এগিয়ে আসবে। এতে যুক্ত থাকবে আইএলও।

বিশেষত ডিআইএফই’র তৈরি করা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যে ২০২৭ সাল পর্যন্ত অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা (জিএসপি) পাবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য প্রথম বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন জানান, দুই ধাপে তিন বছর করে যুক্তরাজ্যের বাজারে জিএসপি সুবিধা পাবে। প্রথম ধাপে ২০২৪ সাল আর দ্বিতীয় ধাপে ২০২৭ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পাবে।

আন্তর্জাতিক

ইরাকের কুর্দি অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্বাধীন একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা হয়েছে। সোমবার রাতের এ হামলায় বেসামরিক একজন ঠিকাদার নিহত এবং আরো পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একজন সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরাকে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী।

প্রায় এক বছরের মধ্যে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ওপর এটা সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা, যেখানে মার্কিন বাহিনী ও তাদের ইরাকি ও কুর্দি মিত্রদের সঙ্গে ইরানের সমর্থনপুষ্ট মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর উত্তেজনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। টুইটারে জোট বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, কুর্দিদের আঞ্চলিক রাজধানী এরবিলে জোট বাহিনীর ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটেছে। কুর্দি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে এরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অন্তত তিনটি রকেট এসে পড়ে। ঐ সময় রয়টার্সের সংবাদদাতারাও বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনেছেন এবং বিমানবন্দরের কাছে আগুন ধরে যেতে দেখেছেন। বেসামরিক এই বিমানবন্দরের সংলগ্ন একটি সামরিক ঘাঁটিতেই মার্কিন সেনাদের অবস্থান। কুর্দিদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে এরবিল ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে, এতে কিছু লোক আহত হয়েছেন। কিন্তু এই বিবৃতিতে আর বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

‘শরিয়া আওলিয়া আল-দাম’ নামের একটি গোষ্ঠী মার্কিন কর্তৃত্বাধীন ঐ ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা ইরাকে ‘আমেরিকার দখলদারিত্বের’ ওপর হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করলেও নিজেদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি। সোমবার স্থানীয় সময় রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, ঐ হামলায় ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন তিনি। এক বিবৃতিতে ব্লিনকেন জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাটি নিয়ে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজানির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এ ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের জবাবদিহির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সব ধরনের সর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।