আন্তর্জাতিক

দীর্ঘ ৫৫ বছর পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি রেলপথে পুনরায় ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এ রেলপথ দিয়ে পুনরায় ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন। চিলাহাটি স্টেশন হতে ৩২টি পণ্যবাহী বগি নিয়ে ভারতের হলদিবাড়ি স্টেশনের উদ্দেশে একটি ট্রেন প্রথম রওনা হবে। ইতোমধ্যে ট্রেন চলাচলের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

দীর্ঘ ৫৫ বছর পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইন দিয়ে পুনরায় ট্রেন চলাচলে খুশির আমেজ বইছে চিলাহাটিসহ গোটা জেলায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে তোরণ, গেট ও ব্যানার টাঙিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে সব শ্রেনীপেশার মানুষ। গোটা চিলাহাটি জুড়ে সাজসজ্জা দেখা দিয়েছে।

আরো পড়ুনঃ হঠাৎ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ঢল

নারী নেত্রী সরকার ফারহানা আক্তার সুমি ও কেতকীবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু জানান, পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এ রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে আবারো ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।

রেলওয়ে সূত্রমতে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এপথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতো যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল। পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সরকার। রেলপথটি চালু করতে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও দুই দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো। কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেল স্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো: নূরুল ইসলাম সুজন।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া তাদের ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফল ঘোষণা। বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ও ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ভোট।

ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে সাধারণত রাজনৈতিক উত্তাপ থাকে না। তবে এবারের চিত্র আলাদা। ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প নির্বাচনের ফল না মেনে তা চ্যালেঞ্জ করায় এবার এই ভোট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে; রাজ্যে রাজ্যে অনুষ্ঠিত এই ভোটের দিকে চোখ রাখছিলেন সবাই। খবর বিবিসির

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্য দিয়ে। দেশটির ৫০টি রাজ্য ও রাজধানী অঞ্চল ডিস্ট্রিক অব কলাম্বিয়ার ইলেক্টররা ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে অংশ নেন। নাগরিকদের ভোটে যে রাজ্যে যে প্রার্থী জয়ী হন, সেখানকার সব ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট তিনি পেয়ে থাকেন। এ হিসাবে জয়-পরাজয় নাগরিকদের ভোটেই নির্ধারণ হয়ে যায়।

ইলেক্টোরাল ভোটে জয়ী হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিল। এই লড়াইয়ে গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, ভীত আরও মজবুত হয়েছে। জনগণের ইচ্ছার জয় হয়েছে।

বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিবিদেরা ক্ষমতা গ্রহণ করেন না। জনগণ রাজনীতিবিদদের ক্ষমতা গ্রহণের অনুমোদন দেন। জনগণ ভোট দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের আস্থা অবিচল রয়েছে। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা অটুট রয়েছে।

ইলেক্টোরাল ভোটের আগে নির্বাচনের ফল বানচাল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ট্রাম্পের পক্ষে টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল চার রাজ্যের ২০ লাখ ভোট বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। ট্রাম্পের পক্ষ নিয়ে ওই মামলার নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন রিপাবলিকান পার্টির ১০০ জন আইনপ্রণেতা। বাইডেনের জয় ছিনিয়ে নিতে এটি ছিল ট্রাম্পের শেষ চেষ্টা। তবে সর্বোচ্চ আদালত গত শুক্রবার মামলাটি খারিজ করে দেন। ফলে ট্রাম্পের সর্বশেষ চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের চেষ্টার কথা উল্লেখ করেন বাইডেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার প্রয়াস প্রতিহত করেছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক আগে থেকেই গণতন্ত্রের শিখা জ্বলে উঠেছিল। আমরা জানি মহামারী বা ক্ষমতার অপব্যবহারের কিছুই এই শিখা নিভিয়ে দিতে পারে না।

বাইডেন জনগণের উদ্দেশে বলেন, এখন সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়াবার। ইতিহাসে বার বার আমরা এটাই করেছি। এখন সময় একত্রিত হওয়ার।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক

ফের সৌদি আরবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এবারে দেশটির বন্দর শহর জেদ্দায় সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী এক তেল ট্যাংকারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিপিং কোম্পানি হাফনিয়া জানিয়েছে ওই জাহাজে থাকা ২২ জন নাবিককে কোন ধরণের জখম ছাড়াই উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, জাহাজের যে জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখান থেকে কিছু তেল বের হয়ে গেছে। ওই জাহাজে ৬০ হাজার টন পেট্রল ছিল বলে জানা যায়।

হাফনিয়া তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, স্থানীয় সময় আনুমানিক রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে জেদ্দা ছাড়ার সময় অজ্ঞাত স্থান থেকে হামলার শিকার হয় বিডব্লিউ রাইন জাহাজটি। এতে জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে।

এই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী স্বীকার করেনি বলে প্রতিবেনে বলা হয়েছে।

এছাড়া সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এই হামলা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আল জাজিরা, এনডিটিভি

আন্তর্জাতিক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তার কার্যালয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষে একটি সুখবর আছে। ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।

জানা গেছে, সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে ইউনেস্কোর কার্যনির্বাহী বোর্ড। পুরস্কারটির নাম হবে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড।

গত ১১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের শরৎকালীন ২১০তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই প্রথম জাতিসংঘের কোনো অঙ্গ সংস্থা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করল।

ইউনেস্কো শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রভৃতিসহ স্বীয় অধিক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের আর্থিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন করে থাকে।

আন্তর্জাতিক

ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

গত বছরের ১৫ই ডিসেম্বর, রবিবারের এক বিকেলে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির শাহীনবাগে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন নানা বয়সের মুসলিম নারী-পুরুষ। কালক্রমে সেটাই গোটা ভারতে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আইকনে পরিণত হয়।ঐ সময় জেদ্দায় বাস করা ভারতীয় নাগরিকরাও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মোদি সরকারের বিরোধিতা করে। এই ঘটনায় জড়িতে বেশ কয়েকজনকে আটক করে ইতিমধ্যে সৌদি সরকার ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আন্দোলন, বিক্ষোভ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে অনেক ভারতীয় আন্দোলনকারী জানিয়েছেন যে তারা এই আইন সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

আন্তর্জাতিক

টাইম ম্যাগাজিনের ‘বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ২০২০ সালের সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে যৌথভাবে এ দু’জনের নাম ঘোষণা করে আমেরিকার প্রভাবশালী এ ম্যাগাজিন।

এবারে এ স্বীকৃতির জন্য সম্ভাব্য আলোচনায় ছিলেন করোনা মোকাবিলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধারা অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, ডেলিভারি বয়, দোকানের কর্মী, জরুরি সেবাকর্মীসহ যারাই মহামারিতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন এবং তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অ্যান্থনি ফাউসি।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও ছিল সংক্ষিপ্ত তালিকায়। সম্ভাব্য তালিকায় ছিলেন বাইডেন ও কমলাও।

তবে তীব্র উত্তেজনার এবারের মার্কিন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে চূড়ান্তভাবে টাইমের পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হলেন বাইডেন। তার সঙ্গে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে কমলাকেও। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট।

পাঠকদের ভোটে এবারের বর্ষসেরা হিসেবে এগিয়ে ছিলেন করোনা যোদ্ধারা। তবে টাইমের চোখে এ স্বীকৃতির জন্য উঠে আসে বাইডেন ও কমলার নাম।

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ শরিফ লাহোরের নাগরিকদের বিরোধী দলের ১১-দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) আসন্ন সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে সরকার পতনের দিন ঘনিয়ে আসছে এবং সকলে তার পতনের দিন গুণতে শুরু করেছে বলেও এসময় উল্লেখ করেন তিনি।

মরিয়ম নওয়াজ শরিফ বলেন, ইমরান খানের সরকার থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় এসেছে। সরকারকে এবার মুক্তি দিন। এই সরকারকে আর দেশ চালানোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। তাদের থামার সময় এসেছে।

আগামী ১৩ ডিসেম্বর লাহোরে ১১টি দলের একটি জোট সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশে সকলকে অংশগ্রহণের জন্যও এসময় আহ্বান জানান মরিয়ম নওয়াজ।

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সে মুসলিমবিরোধী নতুন আইনে পরোক্ষভাবে মুসলিম নারীদের ধর্মীয় পোশাক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ঘরোয়া ইসলামি শিক্ষায় কড়াকড়ি আনা হয়েছে।

বলা হয়েছে, শিশুদের বয়স তিন বছর হলেই বাধ্যতামূলক স্কুল পাঠাতে হবে। কোনোভাবেই ঘরোয়া শিক্ষা দেয়া যাবে না।

মূলত পারিবারিক পরিমণ্ডলে ইসলামি অনুশাসন শিক্ষা বন্ধ করতে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসা, সভা-সমিতি ও ইসলামি কেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও সেগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

ম্যাক্রোর সরকারের সদ্য অনুমোদিত বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মুসলিম দেশগুলো।

আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে বলে এর সমালোচনা করছেন ইসলামি পন্ডিত ও বিশ্লেষকরা। খবর এএফপি, বিবিসি ও ফ্রান্স ২৪।

বুধবার খসড়া আইনটির অনুমোদন দিয়েছে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্ত্রিসভা। সামনে কয়েক মাসে পার্লামেন্টের অধিবেশনে আইনটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করবেন ফ্রান্সের আইনপ্রণেতারা।

এরপর এটি চূড়ান্তভাবে পাস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সরকারের বক্তব্য, ‘র‌্যাডিক্যাল ইসলাম’ তথা কট্টরপন্থী ইসলাম মোকাবেলার লক্ষ্যে আইনটি করা হয়েছে।

‘অ্যান্টি-সেপারেটিজম’ বিল শীর্ষক আইনটির পক্ষে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোর বক্তব্য, ফ্রান্সের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ’র সুরক্ষায় ও ফরাসি সমাজ থেকে ‘কট্টর ইসলাম পন্থী’দের উৎখাত করতে আইনটি আবশ্যক।
তবে আইনটি মুসলিমদের টার্গেট তথা লক্ষ্যবস্তু বানাতে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ফ্রান্স ও এর বাইরের বহু পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক।

তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনার পর এটাকে এখন ‘রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার রক্ষার আইন’ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে।

বিতর্কের মুখে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স বলেছেন, এটি সুরক্ষার আইন। কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে এ আইন নয়। চরমপন্থা থেকে মুসলিমদের এটি মুক্তি দেবে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, মসজিদ, সমিতি, সরকারি অফিস এবং স্কুলগুলোতে নজরদারি বাড়াতে আইনটি আনছে ফ্রান্স। তবে ৫০টি ধারার এ আইনে ‘ইসলাম’ বা ‘মুসলিম’ কোনো শব্দই উল্লেখ করা হয়নি।

এছাড়া প্রত্যেক মসজিদকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত হতে হবে, যাতে সহজে সেগুলোকে শনাক্ত করা যায়। মসজিদে বিদেশি ফান্ড নিষিদ্ধ হবে না। তবে সেটি ১০ হাজার ইউরোর বেশি হলে ঘোষণার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সরকারি অফিসসহ মার্কেট, সুইমিংপুল ও পরিবহন সেক্টরে ধর্মীয় পোশাক নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে নারীদের হিজাব পরার ওপর আরও বেশি কড়াকড়ি আরোপ হবে।

ম্যাক্রোঁর সরকার আরও বলছে, ঘৃণাসূচক বক্তব্য রোধে কঠোর ভুমিকা পালন করবে এই আইন। এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্য ধর্মের কারও বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে পারবেন না মুসলিমরা।

ফরাসি সরকারের মতে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে হত্যায় এইসব ঘৃণাসূচক বক্তব্যই ভুমিকা রেখেছে। এজন্য দায়ী করা হয় প্যারিসের প্যানটিন জামে মসজিদের ফেসবুক পেজকে। মসজিদটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

যেসব স্কুল ইসলামিক মতবাদের প্রচার করে সে সবকেও এই আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও মুসলিম সঙ্গঠনগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করবে এই আইন। কোনও মেয়ের ভার্জিনিটি পরীক্ষা করলে চিকিৎসকদের জরিমানা করা হবে।

বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে বা বাইরে কাজের সময় ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ হবে পরিবহন কর্মী এবং সুইমিং পুল সুপার মার্কেট কর্মীদের জন্য।

আন্তর্জাতিক

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল আমেরিকাকে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এক অনলাইন বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।

বার্তা সংস্থা স্পুটনিকের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার(৮ নভেম্বর) বোরেল এক অনলাইন বৈঠকে বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলির উচিত হবে আমেরিকাকে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরিয়ে আনতে উদ্বুদ্ধ করা। তিনি এক্ষেত্রে দাবি করেন, ইরানকে পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চলতে হবে এবং এ কাজের জন্যও ইউরোপকেই উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

বোরেল এমন সময় এই বার্তা দিলেন যখন পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ সোমবার এই সমঝোতা লঙ্ঘনের জন্য ইরানকে দায়ী করে এটি একতরফা ভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য তেহরানের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।

আরো পড়ুন: দ্বিতীয় করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেন উইলিয়াম শেক্সপিয়ার

অথচ ২০১৮ সালে মার্কিন সরকার ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এই ইউরোপীয় দেশগুলিই তাদের প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে। পশ্চিমা দেশগুলির প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের জের ধরে আগে থেকে ঘোষণা করে ইরানও এই সমঝোতায় দেওয়া নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ধাপে ধাপে কমিয়ে দিয়েছে।

এদিকে তেহরান সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, আমেরিকা যদি এ সমঝোতায় ফিরে আসে এবং ইউরোপীয় দেশগুলি যদি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তাহলে ইরানও তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে।

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাগুলোর কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

নিউইয়র্কে এক নির্বাচনে তিনি এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বুলগেরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এ তিন সংস্থার বোর্ডে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য দু’জন সহ-সভাপতি হলেন নেদারল্যান্ড ও গাম্বিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি। এর ফলে বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এ বোর্ড তিনটির সদস্য ও নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে এবং তাদের কাজে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা দিতে পারবে।

মাঠ পর্যায়ে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডাগুলোকে এগিয়ে নিতে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ ও ইউএনওপিএসের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। জাতিসংঘের বৃহত্তম সংস্থা ইউএনডিপি দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করে থাকে। ইউএনপিএ কাজ করে জনসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে; আর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক বিষয়াবলীর প্রকল্প সংক্রান্ত চূড়ান্ত কাজগুলো সম্পাদন করে ইউএনওপিএস।

নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী বোর্ডের প্রথম সভায় দেওয়া বক্তব্যে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থা তিনটির কাজে অবদান রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রতি আস্থা রাখা এবং বাংলাদেশকে সমর্থন জানানোর জন্য বোর্ড সদস্যদের ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

তিনি বোর্ডসমূহের কাজ বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষাপটে আবার আগের ভালো অবস্থায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে গৃহীত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সংস্থা এবং এর নির্বাহী বোর্ডের দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে, এর ফলে যে সুদৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এ নির্বাচন তারই প্রতিফলন।

চলতি বছরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।