আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। বিষয়টি দুই পক্ষের চুক্তির শর্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। সুতরাং, এ বিষয়ে জানানোর জন্য এখন আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

সম্প্রতি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে ভারতের আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। সময়মতো বকেয়া বিল না পেয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় রণধীর জয়সওয়ালের কাছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যকার ইস্যুতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। তাই এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি প্ল্যান্ট অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা জাতীয় উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে। এর আগে তারা বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বলেছিল।

অন্যথায় ৩১ অক্টোবর ২০২৪ থেকে সরবরাহ বন্ধ করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।

সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে এখন পর্যন্ত আদানির বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

মার্কিন ভোটাররা বাছাই করবেন তাদের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সেই প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে। তাই মারিজুয়ানার ব্যবহার থেকে শুরু করে অভিবাসী কিংবা পররাষ্ট্র ইস্যুতে প্রার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই বাইরের পৃথিবীরও চোখ থাকে।

বিভিন্ন ইস্যুতে কমলা ও ডোনাল্ডের অবস্থান এবং সেসব বিষয়ে তাদের নীতি কী, তা তুলে ধরা হয়েছে এ লেখায়।

মূল্যস্ফীতি

কমলা হ্যারিস বলেছেন, প্রথম দিন থেকেই তার অগ্রাধিকার হবে শ্রমজীবী পরিবারের জন্য খাদ্য ও বাসস্থানের খরচ কমানো।

নিত্যপণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম নির্ধারণের প্রবণতা বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। প্রথমবার বাড়ি কেনায় সহায়তা এবং আবাসন খাতে প্রণোদনা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

বাইডেনের শাসনামলে মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী হয়েছে। অবশ্য কোভিড পরবর্তী সময়ে সরবরাহ সংকট এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপের দেশগুলোকেও ভুগতে হয়েছে। তবে, সেসব দেশে পরবর্তীতে মূল্যস্ফীতি কমেছে।

ট্রাম্পের অঙ্গীকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সবকিছু মানুষের ক্রয় সামর্থ্যের মধ্যে আনবেন। তার ভাষায়, ‘মেইক আমেরিকা অ্যাফোর্ডেবল অ্যাগেইন’।

প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তেলের জন্য খনন বাড়ালে জ্বালানির মূল্য কমে আসবে।

তিনি সুদহার কমানোর অঙ্গীকারও করেছেন। যদিও সুদহার নিয়ন্ত্রণের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির নেই।

অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠালে আবাসনের ওপর চাপ কমবে বলেও মনে করেন ট্রাম্প।

এ ছাড়া তিনি আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপের আভাস দিয়েছেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

কর

বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বছরে চার লাখ ডলারের বেশি আয় করা আমেরিকানদের ওপর কর বাড়াতে চান কমলা হ্যারিস।

অবশ্য, কোনো পরিবারের করের বোঝা লাঘব করতে, সন্তানের বিপরীতে কর ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেছেন তিনি।

সম্পদ আহরণের ওপর বাইডেনের আরোপিত করের সঙ্গেও হ্যারিসের দ্বিমত রয়েছে।

ট্রাম্পও বিপুল পরিমাণ করছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। একে তার ২০১৭ সালের করহ্রাসের নীতিরই বর্ধিত রূপ বলা চলে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধনীদেরই সহায়তা করেছে।

তিনি বলেছেন, কর কমালে আয় যতটুকু কমবে তা তিনি উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং আমদানি শুল্ক দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারবেন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, দুজনের পরিকল্পনায়ই অর্থনৈতিক ঘাটতি বাড়াবে। তবে, ট্রাম্পের বেলায় সেটা বেশি বাড়বে।

গর্ভপাত

গর্ভপাতের অধিকারকে তার প্রচারণার কেন্দ্রে রেখেছেন কমলা হ্যারিস। তিনি সারা দেশের জন্য অভিন্ন প্রজনন অধিকার সুরক্ষা আইনের পক্ষে কথা বলছেন।

গর্ভপাতের ইস্যুতে নিজের বক্তব্যে স্থির থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। সুপ্রিম কোর্টে তার সময়ে নিয়োগ দেওয়া তিন বিচারকের হাতেই গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল হয়।

অভিবাসন

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের সংকট সামাল দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কমলা হ্যারিসকে। তিনি কোটি কোটি ডলার অনুদান সংগ্রহে ভূমিকা রাখেন, যার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ করে উত্তর অংশ অভিমুখে স্রোত ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২০২৩ এর শেষ নাগাদ মেক্সিকো থেকে রেকর্ড সংখ্যক লোক প্রবেশ করেছে বটে কিন্তু পরবর্তীতে সংখ্যাটা কমে আসতে থাকে।

হ্যারিস তার প্রচারণায় নিজের দৃঢ় অবস্থানের কথা যেমন বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় আইনজীবী হিসেবে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে তার লড়াইয়ের কথাও মনে করিয়ে দিয়ে থাকেন।

ট্রাম্প এ দফায় সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে চান। সেই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে আরও বেশি করে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েনের অঙ্গীকার করছেন তিনি।

কিন্তু হ্যারিসের উদ্যোগে কঠোর অভিবাসন নীতি সম্বলিত কোনো ক্রস পার্টি আইন (সর্বদলীয়) প্রণয়নের অংশ না হতে রিপাবলিকানদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

হ্যারিস বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি এ বিষয়ে সমঝোতার চেষ্টা করবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবৈধ অভিবাসী প্রত্যর্পণ ঘটানোর অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প। গণহারে অবৈধ অধিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাবেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বিবিসিকে বলেছেন, এই উদ্যোগ আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

পররাষ্ট্র নীতি

ইউক্রেনকে যতদিন প্রয়োজন ততদিন সমর্থন দিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন কমলা হ্যারিস। তিনি নির্বাচিত হলে, চীন নয়, ২১ শতকের প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রই জিতবে, দিচ্ছেন এমন প্রতিশ্রুতিও।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে সোচ্চার। গাজা যুদ্ধ বন্ধে আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান ‘একলা চলো’ অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতার পক্ষে। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে রাখতে চান তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানবেন। ডেমোক্রেটদের দাবি, এই পদক্ষেপ ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও শক্তিশালী করবে।

ইসরাইলের কট্টর সমর্থক হিসেবে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন কিভাবে, এ নিয়ে তাকে বিশেষ কিছু বলতে শোনা যায় না।

বাণিজ্য

ট্রাম্পের আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনার সমালোচনা করছেন কমলা হ্যারিস। তার মতে, এতে প্রকারান্তরে শ্রমজীবী মানুষের ওপর নতুন করে কর আরোপ করা হবে, যার ফলে একটি পরিবারকে বছরে প্রায় চার হাজার ডলার বেশি খরচ করতে হবে।

আমদানির ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে আরও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চান কমলা।

ইতোমধ্যেই বাইডেন প্রশাসন চীন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির মত কিছু পণ্য আনার ক্ষেত্রে যে শুল্ক চালু করেছে, সেটিই অনুসরণ করবেন কমলা হ্যারিসও।

নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্পের অঙ্গীকারের কেন্দ্রে রয়েছে শুল্ক ব্যবস্থা। বেশিরভাগ বৈদেশিক পণ্যের ওপর নতুন করে ১০ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের অভিপ্রায় তার। আর চীনা পণ্যের ক্ষেত্রে সেই হার হবে আরও বেশি।

কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রেই পণ্য উৎপাদনের জন্য উৎসাহিত করতে কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প।

জলবায়ু

জো বাইডেনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে মূলস্ফীতি কমানোর আইন পাশে ভূমিকা রেখেছিলেন হ্যারিস। এই আইন পাশের ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন খাতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা মিলবে।

কিন্তু, ‘ফ্র্যাকিং’ পদ্ধতিতে খননের মাধ্যমে তেল-গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্রে বিরোধিতা থেকে সরে এসেছেন কমলা। পরিবেশবাদীরা এই পদ্ধতির বিপক্ষে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন পরিবেশ সুরক্ষার বহু উদ্যোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রত্যাহার করে নেওয়া তেমন উদ্যোগেরই একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও যানবাহন থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ সীমিত রাখা।

এবারের প্রচারণায়, নির্বাচিত হলে তিনি জ্বালানির জন্য উত্তর মেরুতে খনন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে কথা বলছেন।

মারিজুয়ানা বা গাঁজা

বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে মারিজুয়ানা বা গাঁজার ব্যবহারকে বৈধতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমলা হ্যারিস।

তার মতে, বহু মানুষকে শুধু সঙ্গে গাঁজা রাখার কারণে কারাগারে যেতে হয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ এবং ল্যাটিন নাগরিকদের গ্রেফতারে ক্ষেত্রে সংখ্যাগত অসামঞ্জস্যের দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি।

ট্রাম্প তার দৃষ্টিভঙ্গি নমনীয় করেছেন।

তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে অল্প পরিমাণ মারিজুয়ানা বহনের জন্য ‘অপ্রয়োজনে গ্রেফতার এবং কারাগারে পাঠানো বন্ধ করার’ এখনই সময়।

আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। মার্কিন নির্বাচনের আর বাকী মাত্র চার দিন। এমন সময় এ কথা বললেন তিনি।

শুক্রবার তুরস্কের গণমাধ্যম হুররিয়াত ডেইলিকে এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ‘সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার’ খুব কাছাকাছি রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্টের (জো বাইডেন) অধীনে আমাদের দেশগুলো সরাসরি সামরিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ল্যাভরভ বলেন, এই ফলাফল রাশিয়ার জন্য খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো অগ্রাধিকার নেই। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় থাকাকালে পূর্বসূরিদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

নির্বাচনে যেই জিতুক না কেন, আমরা মনে করি না যুক্তরাষ্ট্রের রুশবিরোধী মনোভাব পরিবর্তন হতে পারে।

যদিও ট্রাম্প এর আগে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি তার অনুরাগের কথা স্পষ্ট করেছেন, তবে এই দুই ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ নন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অস্পষ্ট সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

আন্তর্জাতিক

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের নাম ও লোগো ব্যবহার করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সংবাদের ছবি (স্ক্রিনশট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দাবি করা হয় বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ও সেনা কর্মকর্তাদের অপসারণের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্ট এমন কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বলে নিশ্চিত হয়েছে তথ্য যাচাইকারী (ফ্যাক্ট চেকার) প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।  বৃহস্পতিবার রিউমার স্ক্যানারের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ০৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ০৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীনকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এর পর থেকেই বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নিয়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন সময় নানা দাবি প্রচার হয়ে আসছে। সম্প্রতি মার্কিন পত্রিকা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের নাম ও লোগো ব্যবহার করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সংবাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

কথিত ওই প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, আমেরিকান সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জ্যাকলিন আলেমানি এটি লিখেছেন। প্রতিবেদনে মূলত দাবি করা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ ৬৭ জন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা এবং ৩ হাজার ৮৭২ জন সামরিক কর্মীকে বরখাস্তের একটি তালিকা চূড়ান্ত করেছে।

প্রতিবেদনটির সারসংক্ষেপ অনুযায়ী, চলমান রাজনৈতিক সংকটের কারণে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন এবং ১০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেনাবাহিনীতে বড় ধরনের পুনর্গঠন শুরু করে। এতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ ৬৭ জন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা এবং ৩ হাজার ৮৭২ জন সামরিক কর্মীকে বরখাস্তের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এই পদক্ষেপকে সামরিক বাহিনীতে বড় পরিবর্তন এবং বেসামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই পুনর্গঠন সামরিক বাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বৃদ্ধি করতে পারে।

রিউমার স্ক্যানারের ফ্যাক্টচেক

রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারসহ ৬৭ জন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা এবং ৩ হাজার ৮৭২ জন সামরিক কর্মীকে বরখাস্তের তালিকা চূড়ান্ত করেছে বলে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। বরং পত্রিকাটির নাম ও লোগো ব্যবহার করে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি সম্পূর্ণ ভুয়া বলে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর দক্ষিণ এশিয়ার ব্যুরোপ্রধান গেরি শিহ রিউমার স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন।

ছড়িয়ে পড়া সংবাদের ছবিটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এতে লেখক হিসেবে আমেরিকান সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জ্যাকলিন আলেমানির নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রতিবেদনের তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ২১ অক্টোবর। বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে জ্যাকলিন আলেমানির এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর ওয়েবসাইটে তাঁর লেখক প্রোফাইল খতিয়ে দেখা হয়। তবে সেখানে এমন কোনো প্রতিবেদনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এ ছাড়া দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইলগুলোতেও এমন কোনো প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে রিউমার স্ক্যানারের পক্ষ থেকে ২১ অক্টোবরের দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মূল সংস্করণ (প্রিন্ট) সংগ্রহ করা হয়, সেখানেও এমন কোনো প্রতিবেদনের অস্তিত্ব মেলেনি।

এই বিষয়ে জানতে রিউমার স্ক্যানারের পক্ষ থেকে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর দক্ষিণ এশিয়ার ব্যুরোপ্রধান গেরি শিহের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এটি ভুয়া।’ পাশাপাশি তিনি রিউমার স্ক্যানারকে পত্রিকাটির মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

পরে রিউমার স্ক্যানার যোগাযোগ করে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মুখপাত্রের সঙ্গে। ই–মেইলের মাধ্যমে এই বিষয়ে মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার।

শেষে রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ ৬৭ জন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা এবং ৩ হাজার ৮৭২ জন সামরিক কর্মীকে বরখাস্তের তালিকা চূড়ান্ত করেছে দাবি করে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের নাম ও লোগো–সংবলিত প্রতিবেদনের ছবিটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।

সূত্র : প্রথমআলো, আজকের পত্রিকা

আন্তর্জাতিক

“বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল”, বলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরের একটি এলাকায় হত্যা প্রচেষ্টা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এদিন গাজার উত্তরে একটি বাড়িতে হামলা চালায়। যেখানে হালেভির উপস্থিত থাকার কথা জানা গিয়েছিল।

ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, তবে হামলার সময় ওই বাড়ি থেকে নিরাপদে চলে যাওয়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পান ইসরাইলি সেনাপ্রধান।

একটি ইসরাইলি সূত্র জানায়, হালেভি উত্তর গাজায় চলমান ইসরাইলি সেনা অভিযান পরিদর্শন করছিলেন এবং খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন। সেই সময়ে একটি বাড়ির ওপর অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়।

তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র: ইরনা

আন্তর্জাতিক

হিজবুল্লাহ তাদের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে। তার নাম নাইম কাসেম।

মঙ্গলবার নামটি ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। খবর আল জাজিরার।
কাসেম ছিলেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উপনেতা। তিনি গোষ্ঠীটির সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে হাসান নাসরুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হন।

গত মাসে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর ওপর তাদের দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করে। সেই থেকে গোষ্ঠীটির শীর্ষ কয়েকজন নেতা ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।

এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, কাসেমকে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। কারণ তিনি দলের নীতি ও লক্ষ্যগুলোর প্রতি অবিচলভাবে অনুগত।

এ ছাড়া গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে, যেন কাসেম হিজবুল্লাহ ও তাদের ইসলামি প্রতিরোধের নেতৃত্বে এ মহান দায়িত্ব পালনে সঠিক পথে পরিচালিত হন।

নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ফলে হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক পর্যায়ে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়।

নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তার খালাত ভাই হাশেম সাফিদ্দিন ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির নতুন নেতৃত্বে আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে বৈরুতে ইসরায়েলের আরেক হামলায় তিনিও নিহত হন।

৭১ বছর বয়সী কাসেমকে প্রায়শই হিজবুল্লাহর “নাম্বার টু” বলা হতো। শিয়া রাজনীতিতে তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। গত শতকের আশির দশকের শুরুতে গোষ্ঠীটি গঠন করা ধর্মীয় পণ্ডিতদের একজন তিনি।

২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর যখন নাসরুল্লাহ মূলত আত্মগোপনে চলে যান, তখন তিনি ছিলেন হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা যিনি জনসমক্ষে উপস্থিতি বজায় রেখেছিলেন।

নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তিনটি টিভি ভাষণ দেন কাসেম। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিবাদী এক বার্তায় বলেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এবং জিততে প্রস্তুত।

আন্তর্জাতিক

প্রায় ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ভোটার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি সুইং স্টেটই নির্ধারণ করে দিতে পারে যে, আগামী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প- উভয়েই এখন এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত, যেখানে ফলাফল এখনো অনিশ্চিত।

সুইং স্টেট কি?

সুইং স্টেট বা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হলো এমন সব অঙ্গরাজ্য যেগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান, সমান সমর্থন পেয়ে থাকে। তাই এই অঙ্গরাজ্যগুলো যে কোনো প্রার্থীর জয়লাভের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এবারে এ ধরনের ৭টি সুইং স্টেট বা ভাগ্য নির্ধারক অঙ্গরাজ্য হলো অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন।

১. অ্যারিজোনা

২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১০,০০০ ভোটে অ্যারিজোনাতে জয়ী হন। এই অঙ্গরাজ্যে অভিবাসন নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা মেক্সিকো সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

কমলা হ্যারিসের নীতির সমালোচনা করে ট্রাম্প অভিবাসন নীতি প্রসঙ্গে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়াও এখানে গর্ভপাত অধিকার নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কারণ রিপাবলিকানরা এখানে গর্ভপাতের বিষয়ে প্রায় পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার চেষ্টা করছেন।

২. জর্জিয়া

২০২০ সালে বাইডেনের সামান্য ব্যবধানে জয়ের পর জর্জিয়া ট্রাম্পের জন্য একটি অঘোষিত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, যেখানে তিনি নির্বাচনী হস্তক্ষেপের অভিযোগের মুখোমুখি। এই অঙ্গরাজ্যের আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠী ডেমোক্রেট কৌশলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাইডেন প্রশাসন সম্পর্কে এখানে অসন্তোষ বাড়ছে, যা কমলা হ্যারিসের প্রচারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৩. মিশিগান

মিশিগানে বাইডেন ২০২০ সালে ১,৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। তবে এ বছর এখানে ডেমোক্রেটদের প্রতি আরব-আমেরিকানদের সমর্থন ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাইডেনের ইসরাইল নীতি এবং গাজা পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। কমলা হ্যারিস তার প্রচারাভিযানে ইসরাইলের প্রতি অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেছেন, যাতে এই জনগোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করা যায়। অন্যদিকে ট্রাম্প দ্রুত সামরিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধের শেষ দেখতে আগ্রহী।

৪. নেভাদা

যদিও নেভাদা ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি ছিল। তবে সাম্প্রতিক জরিপগুলো রিপাবলিকানদের প্রতি সমর্থনের বৃদ্ধি দেখাচ্ছে। এখানকার ভোটারদের মধ্যে লাতিন জনগোষ্ঠীর ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নেভাদাতে মহামারীর পর আর্থিক পুনরুদ্ধার বেশ ধীরগতিতে হয়েছে, যা এখানকার উচ্চ বেকারত্ব এবং জীবনযাত্রার ব্যয়কে একটি বড় উদ্বেগের বিষয় করে তুলেছে।

৫. নর্থ ক্যারোলিনা

২০২০ সালে ট্রাম্প এই অঙ্গরাজ্যে ৭৪,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন এবং এবারে এই অঙ্গরাজ্যটি আবারও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প এখানে একটি র‍্যালিতে বলেছেন, তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করবেন, অপরাধীদের প্রবেশ বন্ধ করবেন এবং আমেরিকান ড্রিম পুনরুদ্ধার করবেন।

৬. পেনসিলভেনিয়া

১৯টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে পেনসিলভেনিয়া উভয় প্রার্থীর জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। স্ক্র্যানটন বাইডেনের জন্মস্থান হওয়ায় এই অঙ্গরাজ্যের কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তার একটি ব্যক্তিগত সংযোগ আছে। তবে অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো এখানে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ইরি কাউন্টির মতো এলাকায় খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা বাড়ছে, যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে।

৭. উইসকনসিন

ঐতিহাসিকভাবে উইসকনসিন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অণুঘটক অঙ্গরাজ্য, যেটি গত দুই নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। বাইডেন ২০২০ সালে মাত্র ২১,০০০ ভোটে এই রাজ্যে জয় পান। অবশ্য তৃতীয় পক্ষের প্রার্থীরা এখানে ডেমোক্রেটদের ভোট ভাগ করতে পারে। কারণ রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন এবং গ্রীন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের অন্তর্ভুক্তি ডেমোক্রেটদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

পরিশেষে বলা যায় যে, এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কৌশলের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। যেখানে এই সাতটি অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সূত্র: এনডিটিভি

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি গুগলকে ২,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে রাশিয়া।যা নিতান্তই একটি অভাবনীয় পরিমাণ অর্থ।

সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুগলের কাছে ২ অ্যান্ডেকিলিয়ন রুবল অর্থাৎ ৩৬টি শূন্যসহ একটি সংখ্যা, যা প্রায় ২০ ডেসিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২০ বিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের সমান অর্থ দাবি করেছে রুশ সরকার।

এই অঙ্কটি এত বড় যে, এটি পুরো বিশ্ব অর্থনীতির আকারকেও ছাড়িয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জিডিপি প্রায় ১১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি আলফাবেটের বাজারমূল্য প্রায় ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, রাশিয়ার একটি আদালত গুগলকে নির্দেশ দিয়েছিল ইউটিউবে প্রো-রুশ চ্যানেলগুলোকে পুনঃস্থাপন করতে, যা ২০২২ সাল থেকে ব্লক করা ছিল। তবে তা না করার জন্য গুগলকে জরিমানা করা হয়, যা প্রতি সপ্তাহেই দ্বিগুণ হারে বেড়েই চলেছে।

এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, জরিমানার এই বিশাল অঙ্কটা আসলে ‘প্রতীকী অর্থপূর্ণ’। সেই সঙ্গে গুগলকে তাদের সম্প্রচারকদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ করা উচিত নয় বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।

যদিও গুগল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে কোম্পানিটির সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদনে ‘রাশিয়ার সঙ্গে চলমান আইনি’ বিষয়ে উল্লেখ করেছে। গুগল জানিয়েছে, এই মামলা আমাদের আয়ের ওপর গুরুতর কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি না।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের পর গুগল রাশিয়াতে তাদের কার্যক্রম সীমিত করলেও পুরোপুরি বন্ধ করেনি। এ নিয়েই মূলত ঝামেলাটা। সূত্র: সিএনএন