আন্তর্জাতিক

“আমরা বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের মানুষের মতপ্রকাশ ও সমাবেশসহ মৌলিক স্বাধীনতার চর্চা করতে পারা উচিত,” নিয়মিত বিফ্রিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।

ছাত্রলীগের নিষিদ্ধের প্রশ্নে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষার উপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে সোমবার রাতে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ বিষয়ক এক প্রশ্নে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের মানুষের মতপ্রকাশ ও সমাবেশসহ মৌলিক স্বাধীনতার চর্চা করতে পারা উচিত।

“এক্ষেত্রে আমরা সেটা বিশ্বাস করি বাংলাদেশে যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন এবং এটা আমরা এই মঞ্চের পাশাপাশি আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় আগে অনেকবার স্পষ্ট করেছি।”

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রভাব পড়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ম্যাথু মিলারের কাছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে গত ২৩ অক্টোবর সন্ত্রাসী সত্তা হিসেবে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার।

সংগঠনটির বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা ‘হত্যা’ ও অসংখ্য মানুষের ‘জীবন বিপন্ন’ করা এবং বিভিন্ন সময় ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে এসআই পদে প্রশিক্ষণে থাকা ২৫২ জনকে অব্যাহতির বিষয়েও এদিন জানতে চাওয়া পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কাছে। এক্ষেত্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বরখাস্তের বিষয় তুলে ধরে প্রশ্ন করা হয়।

উত্তরে ম্যাথু মিলার বলেন, “এই প্রতিবেদন আমি দেখিনি। তবে বাংলাদেশে বা পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় যে কোনো প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বৈষম্যের বিরোধিতা করব।”

রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত এসব ক্যাডেট এসআইকে গত ২২ অক্টোবর শৃঙ্খলা ভঙ্গের ‘অভিযোগে’ অব্যাহতি দেওয়া হয়, যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।

আন্তর্জাতিক

সত্যিকারের গণতন্ত্র নবায়ন ও পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য এখন এক ঐতিহাসিক সুযোগ রয়েছে। এমনটি মনে করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন গভীরভাবে সংস্কার, সত্য ও ন্যায়ের একটি প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন, যেন উন্নয়নের সুফল সব মানুষ ভোগ করতে পারে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরে ভলকার তুর্ক বলেন, অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থী, সারা দেশের মানুষের সঙ্গে আপনারা ন্যায়বিচার ও সমতার পক্ষে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত সাহস দেখিয়েছেন। আজ এখানে কথা বলতে পেরে সত্যিই নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের সাহসিকতা, সংহতি এবং মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের গল্পে অনুপ্রাণিত, যেখানে ছাত্ররা আহত বিক্ষোভকারীদের সাহায্য করেন, রিকশাচালকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করেন। নারী শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রাবাসের তালা ভেঙে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামেন এবং লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক এ হাইকমিশনার বলেন, আজ এখানে আমাদের উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সূচনা, শিক্ষার্থীদের সাহসের প্রমাণ এবং তাদের আত্মত্যাগের একটি স্মারক। আসুন তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণের জন্য নীরবতা পালন করি।

ভলকার তুর্ক বলেন, মানবাধিকার ও আইনের শাসন আপনাদের রোডম্যাপ ও দিকনির্দেশক হতে পারে। কারণ, আপনারা অতীতের সহিংসতা পেছনে ফেলে এক নতুন সমাজ ও ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছেন।

এ সময় অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মঙ্গলবার বাংলাদেশে দুই দিনের সফরে আসেন।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কান্ট্রি অফিস খোলার প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘ। এ নিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করেছে জেনেভা। সঙ্গে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তার বিশাল প্যাকেজ অফার করা হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, তামিল বিদ্রোহের ছুতোয় শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকারের কান্ট্রি অফিস খোলার প্রস্তাব ছিল জাতিসংঘের। এ নিয়ে ১০ বছর দেন-দরবার হয়েছে। কিন্তু কলম্বো কোনো চাপেই নতি স্বীকার করেনি। শ্রীলঙ্কায় ব্যর্থ চেষ্টার পর ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে অফিস খোলার প্রস্তাব যায়। ট্র্যাক ওয়ান এবং ট্র্যাক টু- উভয় পন্থায় চলে দূতিয়ালি। কিন্তু না, কোনো দেশই অফিস খোলার স্থান দিতে রাজি হয়নি। তাই এবার টার্গেট বাংলাদেশ।

আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের ঢাকা সফর। হাই প্রোফাইল ওই সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য হতে যাচ্ছে ওএইচসিএইচআর’র ঢাকা অফিস খোলার বিষয়টি। ঢাকা ও জেনেভার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এখন বাংলাদেশের পথে। ফ্লাইট বিলম্ব বা অন্য কোনো জটিলতা না হলে ভোর হওয়ার আগেই তিনি ঢাকা পৌঁছাচ্ছেন। বাংলাদেশের মাটিতে প্রায় ৫০ ঘণ্টা কাটাবেন তিনি। ওই সময়ে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সব উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনী প্রধান এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন স্তরে সিরিজ বৈঠক হবে তার। ভলকার তুর্ক গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য গঠিত ১০ কমিশন প্রধান এবং গুম কমিশনের সব সদস্যের সঙ্গে বসবেন একটি প্রাতঃরাশ বৈঠকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গেও মতবিনিময়ের পরিকল্পনা রয়েছে তার। জেনেভাস্থ অফিস অব দ্য ইউএন হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) এর আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তুর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন।

যেখানে তিনি সামপ্রতিক ছাত্র-আন্দোলনে সম্পৃক্ত প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ঢাকায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং কূটনৈতিক মিশনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। সফরের সমাপনীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিবেন। সংবাদ সম্মেলনটি উন্মুক্ত নয় বরং প্রবেশাধিকার রয়েছে এমন মিডিয়ার প্রতিনিধিরাই তাতে ঢুকতে পারবেন।

মানবাধিকার অফিসের কাজ এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ: ১৯৯৩ সালে জেনেভায় অফিস অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশন্স হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর)-এর কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৭টি দেশে ওএইচসিএইচআর কান্ট্রি অফিস খুলতে পেরেছে। ব্যাংককসহ কিছু জায়গায় লিমিটেড স্কেলে তাদের রিজিওনাল অফিস রয়েছে। কান্ট্রি অফিস রয়েছে এমন দেশ হলো- বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, গুয়েতেমালা, গায়েনা, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেঙিকো, নাইজার, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া এবং ইয়েমেন। সেগুনবাগিচার পর্যালোচনায় ধরা পড়েছে কোনো না কোনো সংকটে রয়েছে এমন দেশেই ওএইচসিএইচআর কান্ট্রি অফিস খুলতে পেরেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খোলার প্রস্তাব আসে। অবিশ্বাস্য দ্রততায় এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়া পাঠায় জেনেভা। প্রস্তাবে বলা হয়, সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরে ভলকার তুর্কের সফরে খসড়া চুক্তিটি সই হতে পারে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস চালু হলে সেটি মানবাধিকার সমুন্নত ও বিকাশের স্বার্থে নীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক যে সব সনদ অনুসমর্থন করেছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণে প্রস্তাবিত দপ্তর পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেবে। আন্তঃসীমান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার সুরাহার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবিত অফিসটি বলপূর্বক গুম বিষয়ক কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে কারিগরিসহ নানা রকম সহায়তা দেবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে যুক্ত করার ওপর জোর দেবে। নীতি প্রণয়নে সহায়তার জন্য ওএইচসিএইচআর-এর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট গবেষণা পরিচালিত হতে পারে। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকায় প্রস্তাবিত ওএইচসিএইচআর অফিস পুলিশ এবং আইন সংস্কারে প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও কারিগরি সহায়তাসহ সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেবে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অফিস খোলার চুক্তির খসড়ায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের অবাধে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে কোনো গ্রেপ্তার, আটক এবং জেরা করার প্রক্রিয়ায় ওএইচসিএইচআর প্রতিনিধিদের অবাধে প্রবেশাধিকার দিতে হবে।

প্রস্তাবে সায় নয় যে কারণে: সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ওএইচসিএইচআর-এর প্রস্তাবটি আত্মঘাতী। এটি গ্রহণ করলে এবং তাদের অফিস খোলার চুক্তি সই করলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে। প্রথমত: এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি হতে পারে। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই ওএইচসিএইচআর-এর অফিস খোলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে ৩৬ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর থেকে স্বার্থান্বেষী নানা গোষ্ঠী সক্রিয়। ওএইচসিএইচআর-এর প্রস্তাব এসেছে ৫ই আগস্টের এক মাসের মাথায় এবং তা পারসু হচ্ছে নানাদিক থেকে। বাংলাদেশে জাতিগত কোনো সংঘাত হয়নি যে, এখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খুলতে হবে- এমন মন্তব্য করে এক কর্মকর্তা বলেন, সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোতে ওএইচসিএইচআর-এর অফিস রয়েছে। তাছাড়া ওই অফিসের বিরুদ্ধে দুনিয়ার দেশে দেশে সমকামিতার মতো সংবেদনশীল বিষয় প্রমোট করার অভিযোগ রয়েছে। সমকামিতা সব ধর্মে নিষিদ্ধ। অফিস খুলে এটি প্রমোশনের সুযোগ দিলে সরকার বাংলাদেশের সর্ব ধর্মের ধর্মভীরু মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়বে। ফলে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টির এমন আশঙ্কাকে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে দেখাটা সমীচীন বলে মনে করছে সেগুনবাগিচা। বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর সব সময় দাতা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত হয়। দাতা সংস্থাগুলো ওএইচসিএইচআরকে যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি প্রণয়নে প্রভাব সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে একটি দেশের কোনো নীতি যখন দাতা দেশগুলোর বিপক্ষে যায়, তখন তারা মানবাধিকারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ওএইচসিএইচআর এর মাধ্যমে। জাতিসংঘে কাজ করছেন এমন একাধিক কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস কখনো কখনো এমন এজেন্ডার বিকাশে কাজ করে থাকে যেগুলো সর্বজনীন নয়।  যেমন তারা সমকামীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সমন্বিত যৌন শিক্ষার বিকাশে কাজ করে যা অনেক দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার পরিপন্থি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাবেক একজন কূটনীতিক বলেন, কিছু স্পর্শকাতর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস কাজ করে। অথচ চুক্তি করা বা অফিস স্থাপনের অনুমতি দেয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে কোনো দেশই ব্যবস্থা নিতে পারে না। এটি করলে উভয় সংকট তৈরি হয়।

আন্তর্জাতিক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সৌদি আরবকে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে একইসাথে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এখন আমরা এমন একটি সময় পার করছি, যখন সৌদি আরব আমাদেরকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে ‘অনন্য’ ও ‘আলাদা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

অধ্যাপক ইউনূস সৌদি আরবকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তহবিল জমা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এ ধরনের উদ্যোগ তারল্য সহায়তা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া এটি ‘অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি চমৎকার অঙ্গীকার’ বলেও উল্লেখ করেন।

সৌদি আরবকে সহজ শর্তে জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশি তরুণদের প্রশিক্ষণের জন্য বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য বিনিয়োগ করলে ঢাকা থেকে সৌদি আরবে আরো বেশি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে।

রাষ্ট্রদূত আল দুহাইলান সৌদি আরবে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে তারা আরো বেশি বেতন পাবেন এবং দেশে অনেক বেশি রেমিটেন্স পাঠাতে সক্ষম হবেন।

বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে কর্মরত আছেন এবং প্রতি বছর তারা বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়ে থাকেন।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা এবং বসতিগুলোতে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। যার ফলে ইসরাইলি বাহিনীর বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছেন।

লেবানিজ সংবাদ মাধ্যম আল আহদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ইসরাইলের গ্যালিলি অঞ্চলে ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। যার ফলে সেখানকার বেশ কিছু ভবন ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা হাইফার উত্তরের জভুলুন সামরিক শিল্প ঘাঁটিতে প্রচুর সংখ্যক রকেট হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও আল-মারজ, আল-মালকিয়া এবং কারমিয়েল এলাকায় ইসরাইলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন সেনাকে হতাহত হয়েছে।

এছাড়াও আল-মানারা এলাকায় একটি ড্রোন ব্যবহার করে ইসরাইলি সেনাদের ওপর সফল হামলা চালানো হয়েছে বলা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা উত্তর-পূর্ব হাউলা এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যেখানে বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়।

হিজবুল্লাহ আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে শোমেরা এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর হামলার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

আরেক ভিডিওতে হাইফার উত্তরে ইয়েসুদ হামায়ালা এলাকায়ও বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্যও দেখানো হয়।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরাইল লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে রাজধানী বৈরুতে হামলা বৃদ্ধি করেছে। এর প্রতিশোধ হিসেবে হিজবুল্লাহ উত্তরাঞ্চলের ইসরাইলি অবস্থানগুলোতে কয়েক শতাধিক রকেট ছুঁড়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলোতে হামলা চালিয়েছে। সূত্র: ইরনা

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকেই পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। এই অঞ্চল সম্পর্কে নবীরা এমন বার্তা দিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্টার জো রোগানকে দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় তিন ঘণ্টা দীর্ঘ সেই সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে রোগানকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি জানেন, নবীরা বলে গেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। আপনি এটা জানেন, তাই না।’

‘পাওয়ারফুল জেআরই’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে পডকাস্টটি প্রকাশের পর হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দর্শকরা। ভিডিওটি একদিনের মধ্যেই ২ কোটি ৭০ লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে।

দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক ও মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। এসময় তিনি বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করেন তিনি।

বাইডেনের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন ইসরাইলকে কিছু করতে নিষেধ করেছিল।’ গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ইসরাইল যেন গাজায় পাল্টা হামলা না করে সে ব্যাপারে বাইডেন ইসরাইলে সতর্ক করেছেন জানিয়ে ওই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

তবে বাইডেনের কথায় কর্ণপাত না করায় ইসরায়েলের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, যদি তারা (ইসরায়েল) বাইডেনের কথা শুনতো, তাহলে এখনও তারা মাথার ওপর বোমা পড়ার জন্য অপেক্ষা করতো।’

আন্তর্জাতিক

২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই শান্তি আসবে।

নেপাল, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অংশীদারত্ব বাড়ানো হবে। অগ্রগতির দিক থেকে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন ও ‘মৈত্রী দ্বার’ উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এ শীর্ষ নেতা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদীর সরকার পশ্চিমবাংলার সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে, এখানকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিজেপি সরকার তার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না।

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, স্থলপথে দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ হয় পেট্রাপোল দিয়ে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও ব্যস্ততম স্থলবন্দর, যা ভারতের বাণিজ্য ও চলাচল বাড়ায়। পেট্রাপোলে সমন্বিত চেকপোস্ট, যাত্রী টার্মিনাল বিল্ডিং ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন প্রতিটি সেক্টরকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

অমিত আরও বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে, মোদীজি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা, এবং খেলাধুলার মতো ক্ষেত্রে অনেকগুলো নতুন কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে আমাদের একটি যৌক্তিক উপসংহারে নিয়ে গেছেন। আজ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এলপিএআই) দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, ভাষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্যের আদান-প্রদানের সুবিধা দিচ্ছে।

মৈত্রী দ্বার প্রতিদিন অন্তত ৭০০ ট্রাকের বেশি হ্যান্ডলিং ক্ষমতাসহ পরিবহণ পরিষেবা মসৃণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সচিব ও এলপিএআইয়ের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল, আগরতলা, শ্রীমানপুর সুতারকান্দি, সাব্রুমসহ ১২টি স্থলবন্দর চালু রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

রাশি অনুযায়ী এই সপ্তাহ কেমন যেতে পারে জেনে নিন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল) সপ্তাহের শুরুতে ভালোবাসার ছলনা সমস্ত সময় আপনাকে আবদ্ধ করে রাখবে। শুধুমাত্র সুখ অনুভব করুন। শরীর রিচার্জ করতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। অন্যথায় ক্লান্তি আপনার মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করবে। সপ্তাহের মাঝদিকে ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে শক্রুও বৃদ্ধি পেতে পারে। বিবাহ-ইচ্ছুক তরুণ তরুণীদের বৈবাহিক শুভ ফল পাওয়ার সম্ভাবনা। সপ্তাহের শেষদিকে অনেক সমস্যার মুখোমুখিতে আতঙ্কিত বোধ করতে পারেন। তবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, শেষ পর্যন্ত জয় আপনারই হবে।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে) সপ্তাহের শুরুতে বন্ধু বান্ধবদের সাথে সময় যাপন অত্যন্ত আমোদজনক ও আনন্দময় হবে। প্রেম ইন্দ্রিয়ের সীমা অতিক্রম করে যায় তবে আপনার ইন্দ্রিয় ভালোবাসার উচ্ছাসের অভিজ্ঞতা লাভ করবে। সপ্তাহের মাঝদিকে অসাবধানতা আপনাকে অসুস্থ করতে পারে। শরীরে শক্তি ফেরাতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে, অন্যথায় ক্লান্তি আপনার মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করবে। সপ্তাহের শেষদিকে প্রেম, চুম্বন, আলিঙ্গন এবং মজা – এই সময় সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্স করার সঠিক সময়। নতুন কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য ভালো সময়।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন) সপ্তাহের শুরুতে ব্যবসায়ের কোনো ভ্রমণ ফলপ্রসু হতে পারে। চিন্তাভাবনা করে অগ্রসর হন। ঘরে উচিত হবে অন্যদের অসন্তুষ্ট না করা। আর পারিবারিক প্রয়োজনের সাথে মানিয়ে নেওয়া। সপ্তাহের মাঝদিকে টিভিতে সিনেমা দেখা ও কাছের প্রিয়জনদের সাথে গল্প করার চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে। সপ্তাহের শেষ দিকে ব্যক্তিগত সমস্যা মানসিক সুখ নষ্ট করতে পারে। এই চাপ সমামলাতে আকর্ষণীয় কিছু করার মাধ্যমে মানসিক ব্যয়ামে নিজেকে জড়িয়ে রাখুন।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই) সপ্তাহের শুরুতে আর্থিক দিক থেকে শুভ হওয়ার কারণে সঞ্চয় যোগ প্রবল। কোনো ব্যবসায়িক / আইনি কাগজপত্র ভালোভাবে না পড়ে সই করবেন না। যোগাযোগ দক্ষতা হৃদয়গ্রাহী হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে বাড়ির সমস্যায় তাৎক্ষণিক মনযোগ দেওয়া দরকার। পরিবারের জন্য মহান ও উপযুক্ত ‍ঝুঁকি নিন। সপ্তাহের শেষদিকে ভালোবাসার সঙ্গীর সাথে প্রেমের সমুদ্র মন্থন করবেন আর প্রেমের উচ্চতার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট) সপ্তাহের শুরুতে মনের শক্তি ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির অনকূলে হতে পারে। নিষ্ঠা ও কঠোর শ্রম দৃষ্টিগোচর হবে আর আর্থিক পুরস্কার নিয়ে আসতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে নিকটজনের কোনো শুভ খবর বিশেষভাবে আনন্দিত হতে পারেন। এমন জায়গায় সময় কাটাতে পারেন যেখানে দুর্দান্ত লোকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ যথেষ্ট। সপ্তাহের শেষদিকে বন্ধুরা এখন খুব সহায়ক, তবে এরজন্য দ্রুত প্রতিদান দিতে হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটাবেন।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে ব্যয় বাহুল্যের ফলে সাংসারিক অশান্তি দেখা দিতে পারে। অতীত উদ্যোগুলো থেকে আসা সাফল্য আপনার প্রত্যয় বাড়িয়ে তুলবে। প্রেমিক প্রেমিকাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির অবসান। সপ্তাহের মাঝদিকে অভিভাবকের সম্প্রসারিত সহায়তার সাথে সাথে আর্থিক ঝঞ্ঝাট পার হয়ে যেতে পারে। রক্ষণশীল বিনিয়োগ করে আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের দেখা পেতে পারেন। সাংবাদিকদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে। যদি ভ্রমণ করেন তাহলে জরুরি কাগজপত্র নিয়েছেন কিনা লক্ষ রাখুন। ভ্রমণেই প্রেমের যোগাযোগ আসতে পারে।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুতে ফেলে রাখা কাজের পরও প্রেম ও সামাজিকতা মনে প্রভাব বিস্তার করবে। অর্থ তখনই কাজে আসে যখন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে দায়িত্ববান স্বাবলম্বী ও বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে সম্ভবত অনেক বিনিয়োগ করে মুনাফা এনে দিতে পারে। আর্থিক বিনিয়োগের সময় কোনো দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন না।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে আইটি পেশাদাররা তাদের সাহস প্রমাণ করার জন্য সুযোগ পাবেন। সামাজিক ও ভালোবাসা-ময় জীবনে অনেক উৎসাহ পাবেন। রাজনীতিবিদরা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সবার নজরে পড়তে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে আর্থিক সমস্যা চিন্তা সামর্থ্যকে বিনষ্ট করতে পারে। সতর্ক থাকুন। কেউ আপনার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করতে পরে। সপ্তাহের শেষদিকে জীবনকে উপভোগ করার চাহিদা কতটা দেখে নিন। আর কঠোরভাবে সেই চেষ্টা করুন। নিশ্চিতভাবেই আপনি সৌভাগ্যবান, কারণ সময়টি আপনার জন্য অনুকূল।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে বিদেশি আমদানী রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে যুক্ত যারা অপ্রত্যাশিত ফলাফল পাবেন বলে আশা করা যায়। কর্মকর্তারা কর্মক্ষেত্রে মেধার পুরো ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে আশা আকঙ্ক্ষা একটি সুন্দর কোমল সুগন্ধি ও উজ্জ্বল ফুলের মতো প্রস্ফূটিত হবে। রসিক স্বভাব সামাজিক অনুষ্ঠানে আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। সপ্তাহের শেষদিকে অর্থের অভাব পরিবারে মতবিরোধের কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে সাবধানে থাকুন, শক্রুরা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ চূড়ান্ত আকারে দেবেন। সফর করা আনন্দদায়ক হবে আর অত্যন্ত লাভদায়ক হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে কাজ করার পেশাদাররা কোনো সুখবর পাবেন। কারও জন্য পদোন্নতির সুযোগ অত্যন্ত সম্ভাব্য। আনন্দ দ্বিগুন করার জন্য আপনার খুশি সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। ধ্যান ও আধ্যাত্মিকতা যোগব্যায়াম মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি করবে।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে শারীরিক অন্তরঙ্গতা সঙ্গীর সঙ্গে শ্রেষ্ঠ সময়ে পৌঁছাবে। বিবাহিত জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বিষয়গুলোকে সত্যিই অবিশ্বাস্য দেখাবে। মানসিক স্বচ্ছতা ব্যবসায়ে অন্য প্রতিযোগীদের থেকে আপনাকে একক প্রাধান্য প্রদান করবে। তুচ্ছ বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক বা ভুল ধারণা থাকতে পারে তবে সহজেই এড়ানোর চেষ্টা করুন। সপ্তাহের মাঝদিকে কোনো বিদেশি আত্মীয়ের কাছ থেকে পাওয়া উপহার আপনাকে খুশি করে তুলবে। ভ্রমণ বিনোদন আনন্দদাক হবে ও কর্মসূচীতে থাকবে। সপ্তাহের শেষদিকে পেশার ক্ষেত্রে পছন্দসই ফলাফল পেতে প্রচেষ্টায় মনোযোগ দিতে হবে। সাফল্য ও স্বীকৃতি আসবে যদি নিজেকে কাজেই কেন্দ্রীভূত থাকেন।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) সপ্তাহের শুরুতে কিছু অনিবার্য পরিস্থিতি আপনাকে কিছুটা অস্বস্তি দিতে পারে। শুধুমাত্র একটু প্রচেষ্টার সঙ্গে সময়টি বিবাহতি জীবনে সেরা সময় হতে পারে। ব্যবসায়ে এটি একটি অনুকূল সময় হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে রাস্তায় থাকার সময় বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। রুক্ষ্ম মেজাজ কিছুটা ঝামেলায় ফেলতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে আরও ভালো পেশার সম্ভাবনায় গৃহীত সফর বাস্তবায়িত হতে পারে। বিদেশে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বা অর্থনীতি-বিষয়ক শিক্ষার ব্যাপারে অনুকূল অবস্থা পেতে পারে। গবেষণাকারীরা গবেষণায় সাফল্য পেতে পারেন।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন রাশিয়ার কাজানে ১৬তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই এ. রায়বকভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে। রাশিয়ার মস্কোতে পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠানের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব উল্লেখ করেন। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘পরিপক্ক’ সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

ব্রিকস সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য পররাষ্ট্র সচিব উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং ব্রিকস প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।

রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিকস প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার নতুন অঙ্গীকারে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশ্বাস দেন যে রাশিয়া সরকার ভবিষ্যতে ব্রিকসের সম্প্রকারণের সময় বৃহত্তর ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।

বহুপক্ষীয় বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে একটি টেকসই ও নিয়ম-ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার জন্য বহুপাক্ষিকতা ও বহুমেরু বিশ্বে দৃঢ় বিশ্বাস এবং বহুপক্ষীয় বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে রায়বকভ বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্সির অধীনে ব্রিকস ঘোষণা (কাজান ঘোষণা) উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাস্তব ও ফলাফল-ভিত্তিক সহযোগিতার ওপর মনোনিবেশ করবে।

তিনি নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)’র পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন এবং অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।

সভায় মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ জনাব ফয়সাল আহমেদ এবং উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। হামলায় আরও ১৯ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

একই তথ্য নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে,  স্থল হামলায় অংশ নিতে দক্ষিণ লেবাননে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই হয় ইসরায়েলি সেনাদের। এতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১৯ জন আহত হন।

হতাহতরা সবাই ৮নং আর্মড ব্রিগেডের ৮৯তম ব্যাটালিয়নের রিজার্ভ সেনা ছিলেন। এরমধ্যে মাওরি নামের এক সেনা ব্যাটালিয়নের উপকমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সেনা নিহতের তথ্য স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

তারা জানিয়েছে, নিহত সেনারা দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় তাদের লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা রকেট ছোড়েন। ওই সময় সেনাদের কাছে রসদ/অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছিল হামলায় হতাহত সেনারা।

প্রসঙ্গত, গাজা আগ্রাসনে দখলদারদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে এক বছর আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হিজবুল্লাহ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এটি তীব্র হয়েছে। ইসরায়েল দক্ষিণ লেবানন, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলী এবং বেকা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করেছে, হিজবুল্লাহর অনেক শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে এবং সীমান্তের ওপারে স্থল সেনা পাঠাচ্ছে। হিজবুল্লাহ তার অংশের জন্য ইসরায়েলের গভীরে রকেট নিক্ষেপ করেছে।