আন্তর্জাতিক

পশ্চিম আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন তালেবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার (৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর পর আরও চারটি আফটারশক আঘাত হানে এলাকাটিতে। রিখটার স্কেলে সেগুলোর মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯।

আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, এই ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।

তবে বার্তা সংস্থা এপি ও স্কাই নিউজ জানিয়েছে, আজ রোববার তালেবান প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেছেন, পশ্চিম আফগানিস্তানে শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে এটি হয়ে উঠেছে গত দুই দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।

এর আগে দেশটিতে কাজ করা জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, অনিশ্চিত সূত্রের হিসাবে, আফগানিস্তানে শনিবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩২০ জন হতে পারে।

ওসিএইচএ বলেছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধসেপড়া ভবনগুলোর নিচে বহু মানুষ আটকা থাকতে পারে। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে অংশীদার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলো।

আফগান দুর্যোগ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জান জানিয়েছেন, হেরাত প্রদেশের জেন্দা জান জেলার চারটি গ্রাম ভূমিকম্প ও আফটারশকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী ফারাহ ও ব্যাজেস প্রদেশেও ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন হামাসের সামরিক কমান্ডার মুহাম্মদ দেইফ। ফিলিস্তিনবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনাদের কাছে যদি একটি বন্দুকও থাকে, তবে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। ট্রাক, গাড়ি, কুড়াল নিয়ে মাঠে নামুন। আজ থেকে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

এর আগেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছে হামাস। হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন সাত শতাধিক।

বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গাজা উত্যকায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছে ইসরাইল। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলে ২২০০ রকেট ছুড়েছে হামাস। এ ছাড়াও স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামাসের সদস্যরা ইসরাইলে প্রবেশ করছেন।

তবে হঠাৎ কেন এমন কঠোর সামরিক অবস্থান নিল হামাস? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, ইসরাইলি দখলদারিত্বের ইতি টানতেই হামাস এ সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ পরিচালনার মাধ্যমে দশকের পর দশক ধরে চলা ইসলাইলি দখলদারিত্ব, শোষণ ও বঞ্চনার জবাব দেওয়া হচ্ছে বলে আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন হামাস মুখপাত্র খালেদ কারামি।

তিনি বলেন, আমরা চাই বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র এবং পুরো বিশ্বের মানুষ আমাদের ওপর পরিচালিত অত্যাচারের কথা জানুক। আমরা চাই আমাদের মানুষ এবং আমাদের ভূখণ্ডের ওপর, আমাদের পবিত্র প্রার্থনা কেন্দ্র আল-আকসার দখলদারিত্ব থেকে ইসরাইলিরা সরে যাক। অনেক বছরের পুঞ্জিভূত অত্যাচার ও দখলদারিত্বের জবাব দিতেই আমরা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছি।

ইসরাইলি দখলদারিত্ব এবং শোষণের অবসানে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে হামাসের সামরিক কমান্ডার মুহাম্মদ দেইফ বলেন, আমরা অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম শুরু করে দিয়েছি। এ অভিযানের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান হবে।

দেশপ্রেমিক সব ফিলিস্তিনিকে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে হারেৎজ। সংবাদমাধ্যমটির তথ্য বলছে, হামাসের সদস্যরা ইসরাইলের দখলে থাকা বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছেন। তাদের হাতে বেশ কিছু ইসরাইলি সেনা আটক হয়েছেন।

হামলার ঘটনায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে হামাস ‘গুরুতর’ ভুল করেছে। আইডিএফ সেনারা (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) প্রতিটি অবস্থানে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, রকেট হামলার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানরা বৈঠক করবেন।

এদিকে আল-আকসা স্টর্মের মধ্য দিয়ে আবারও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হামাসের হামলাকে সমর্থন দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা রহিম সাফাভি ইরানের পক্ষ থেকে সমর্থন জানিয়েছেন।

তিনি সংবাদমাধ্যম ইসনাকে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানাই। ফিলিস্তিন এবং জেরুজালেম স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে যাবো।

তবে সৌদি আরব ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ফিলিস্তিনি একটি গোষ্ঠী ও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে চলমান ঘটনা লক্ষ্য করছি। যা ভয়াবহ সহিংসতার দিকে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরাইলের দিকে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এসব হামলায় এ পর্যন্ত ১০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯০০ জন।

ইসরাইলের উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ ইসরাইলে হামাস যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলায় অন্তত ১০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। খবর আলজাজিরার।

শনিবার সকালে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে এসব রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ার কথা জানিয়েছে হামাস।

সেই সঙ্গে ইসরাইলের ভেতরে ঢুকেও হামলা চালানো হয়েছে বলে তেলআবিব থেকে জানানো হয়েছে।

এর জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

ইসরাইলের গণমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন।

গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ১৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

হামলার পর ইসরাইলের জনগণের উদ্দেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের জনগণ, আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। আমরা জিতব। শত্রুদের এ জন্য এমন মূল্য দিতে হবে, যে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

নেতানিয়াহুর ভাষণের কিছু সময় পর থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইলি বিমান বাহিনী।

আন্তর্জাতিক

২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ইরানে কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে নরওয়ের নোবেল কমিটি। ইরানে নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং সবার জন্য মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকার জন্য তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নার্গিস মোহাম্মদী একজন নারী, মানবাধিকারকর্মী ও স্বাধীনতা যোদ্ধা। তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য সাহসী লড়াইয়ের ফলে ব্যক্তিগত অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ইরানের শাসকরা তাকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করেছে, সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫৪টি বেত্রাঘাত করেছে। তিনি এখনও কারাগারে।

নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে ইরানে নারীদের নিয়ে সরকারের বৈষম্যমূলক ও নিপীড়নমূলক নীতির বিরুদ্ধে গত বছর যে হাজার হাজার ইরানি নারী বিক্ষোভ করেছেন তাদের আন্দোলনেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা যে মন্ত্র গ্রহণ করেছেন তা হলো, নারী, জীবন, স্বাধীনতা। যা নার্গিস মোহাম্মদীর আত্মত্যাগ ও কাজকে উপযুক্তভাবে প্রকাশ করে।

ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্স নামের মানবাধিকার সংগঠনের মতে, তেহরানের এভিন কারাগারে ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন মোহাম্মদী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি।

২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী আরেক ইরানি নারী শিরিন এবাদির নেতৃত্বাধীন এনজিও ডিফেন্ডার্স অব হিউম্যান রাইটস সেন্টার-এর উপ-প্রধান তিনি।

১৯তম নারী হিসেবে মোহাম্মদী ১২২ বছর পুরনো নোবেল শান্তি পুরস্কারটি পেলেন।

এবার এই পুরস্কারের জন্য মনোনীতি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৫১ জন। এখন পর্যন্ত প্রতি বছর মনোনীত সংখ্যার ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ৩৭১। এ বছর মনোনীতদের মধ্যে ২৫৯ ব্যক্তি ও ৯২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। টানা অষ্টম বছর এ পুরস্কারের জন্য মনোনীতের সংখ্যা ছিল ৩ শতাধিক।

এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য প্রায় ১০ লাখ ডলার। আর্থিক পুরস্কারের সঙ্গে বিজয়ী পাবেন ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের একটি পদক ও সনদ। বিভিন্ন সময়ে আর্থিক পুরস্কারের মূল্য কমেছে ও বেড়েছে। নোবেল ফাউন্ডেশন বলেছে, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায় এবার তা বাড়ানো হয়েছে।

২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন বেলারুশের মানবাধিকার আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রাশিয়ান মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।

২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পান ফিলিপাইনি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মোরাতোভ। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় নিজেদের ভূমিকার কারণে মারিয়া রেসা এবং দিমিত্রি মোরাতোভকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

২০২০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ার লড়াইয়ে অনন্য ভূমিকার জন্য সংস্থাটিকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। আর ২০১৯ সালে এ পুরস্কার জেতেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

এর আগে নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা ও বারাক ওবামার মতো ব্যক্তিত্বরা নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন, সাহিত্য এবং শান্তি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে (অর্থনীতি) নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে সোমবার (৯ অক্টোবর)। এবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে হাঙ্গেরিয়ান-মার্কিন বিজ্ঞানী কাতালিন ক্যারিকো ও মার্কিন চিকিৎসক-বিজ্ঞানী ড্র ওয়াইজম্যান, পদার্থবিজ্ঞানে মার্কিন বিজ্ঞানী পিয়ের অ্যাগোস্টিনি, হাঙ্গেরীয় বিজ্ঞানী ফেরেন্স ক্রাউজ ও ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যান লিয়ের, রসায়নে ফরাসি রসায়নবিদ মুঙ্গি জি বাওয়েন্দি, মার্কিন গবেষক লুইস ই ব্রুস ও অ্যালেক্সি আই একিমোভ এবং সাহিত্যে নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার ইয়ন ফসে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।

আন্তর্জাতিক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো যৌথ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে রাশিয়া সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

পুতিন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহু পুরনো। সমতা ও সম্মান এই সম্পর্কের ভিত্তি।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের প্ল্যান্টটির প্রথম ইউনিট এবং ২০২৬ সালে উৎপাদনে আসবে দ্বিতীয় ইউনিট। শিডিউল অনুযায়ী শেষ হবে এর নির্মাণকাজ। এখানে ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়া শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণই করে না। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পুরো লাইফ সাইকেলই আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সমর্থন করবো। পারমাণবিক জ্বালানির টেকসই সরবরাহ করা, কারিগরি সেবা, ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানির ব্যবস্থাপনা, স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বভার রাশিয়া গ্রহণ করেছে। রূপপুর প্রকল্পের সহযোগিতার কাঠামোতে রাশিয়া বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ তৈরি করছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পারমাণবিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী বেশি। তাদের সংখ্যা অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই প্রকল্প আমাদের দুই দেশেরই স্বার্থ রয়েছে যা পরস্পরের জন্য উপকারী। এটা সহযোগিতা আরও গভীর করেছে।

পুতিন বলেন, পাবনা জেলায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ২০১৩ সালে কাজ শুরু করেছে। ২০১৭ সালে পূর্ণমাত্রার গবেষণার কাজ শেষ হলে পদ্মার কূলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ঢালাই কাজ শুরু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের পুরো মেয়াদে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগ রাখছি। একই সময়ে দুটি ইউনিটের কাজ চলছে। যাতে ২৪০০ মেগাওয়াটের ক্ষমতাসম্পন্ন তিন ফ্লাক্স পর্যায়ের চুল্লি ব্যবহত হচ্ছে। আমরা প্রথম ইউনিটটির ফিজিক্যাল স্টার্টটা ২০২৪ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৬ সালে শুরু হবে। প্রকল্পটি পূর্ণমাত্রায় চালু করার পরে এই কেন্দ্রটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ মেটাবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করবে।

তিনি আরও বলেন, এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনও কার্বন নিঃসরণ করবে না। যা পরিবেশের জন্য খুব ভালো হবে। মানুষের স্বাস্থ্যের ভালো হবে, জনগণের ভালো হবে। এখানকার শ্রমিকেরা ভালোভাবে কাজ করছে। এখানে ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্মাণকাজে মালামাল সরবরাহ, পরিবহন ও অন্যান্য সেবার জন্য স্থানীয় কোম্পানি প্রকল্পের জন্য কাজ করছে। তাছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমাদের ভারতীয় বন্ধুরাও সাহায্য করছে।

তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার নিয়ম ও সুপারিশ মেনে করা হচ্ছে। রূপপুরে নিরাপত্তা নির্ভরযোগ্য ও অত্যাধুনিক। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরবরাহের সনদ প্রদান দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মার্যাদা পাবে বাংলাদেশের প্রথম এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র৷

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু, যার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সমতা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক স্বার্থ মেনে নেওয়ার ভিত্তিতে নির্মিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ৫০ বছর আগে স্থাপন করা হয়েছে। গত বছর আমাদের দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী ছিল। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মস্কোতে ঐতিহাসিক সফর করেন। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সার্বিক সহযোগিতার জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন। আর শেখ হাসিনা তার পিতার কাজ সফলভাবে ও সম্মানের সঙ্গে অব্যাহত রেখেছেন। রাশিয়া-বাংলাদেশের বন্ধনের একটি উদ্যোগ হলো এই যৌথ প্রকল্পের বাস্তবায়ন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, শান্তিপূর্ণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা গভীর। অনেক ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কাছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য আনা ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে এই অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। এর আগে রাশিয়া থেকে এই ইউরেনিয়াম গত শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছায়।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা (যুক্তরাষ্ট্রের) ভিসার জন্য আবেদন করে তাদের জন্য হয়তো ভিসানীতি দুঃসংবাদ, যদি দুষ্টু লোক হয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে বুধবার (৪ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভিসানীতি নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসানীতি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, মাথাব্যথার কারণ নেই। কেননা এ নিয়ে আমরা কোনো চাপ অনুভব করি না।

ড. মোমেন বলেন, ভিসানীতি আমাদের জন্য গুরত্বপূর্ণ কোনো কিছু নয়। যারা ভিসার জন্য আবেদন করেন, তাদের জন্য হয়তো দুঃসংবাদ, যদি দুষ্টু লোক হয়। আমেরিকা তো সবাইকে ভিসা দেয় না। কয়েক হাজার লোক বছরে ভিসার জন্য আবেদন করে, এর মধ্যে কত লোককে ভিসা দেয়?

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভিসানীতি সব দেশে আছে। আমাদের দেশেও আছে। আমরা সবাইকে ভিসা দেই না। আমরা ব্যক্তি বিশেষ কিংবা কোনো দেশকে কম ভিসা দেই। আমি যেটা বুঝতে পারি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির মূল উদ্দেশ্য, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমরাও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। তারা আমাদের সঙ্গে একমত। তারা আমাদের হাতকে শক্ত করার জন্য ভিসানীতি চায়।

তিনি বলেন, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমেরিকা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সেজন্য তারা সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সাহায্য করবে। আর যারা নির্বাচনে আসবে না আমেরিকা তাদের পক্ষে নাই। তারা বলেছে, তারা কোনো দলেই নাই। কিন্তু তারা বিশ্বাস করে, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র… তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আমরাও গণতান্ত্রিক সরকার চাই।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে একমত। তারাও বলছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়া উচিত। কিন্তু তারা মনে করে, মিয়ানমারে যদি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হয় তাহলে জীবনমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। এজন্য আগে ওখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক তারপর এদের পাঠান। তারা বলছে, এখন রোহিঙ্গাদের এদেশে রেখে কাজকর্ম দেন। তাদের দক্ষতার ট্রেনিং দেন। উন্নত দেশগুলোতে প্রত্যাবাসন বলতে কিছু নেই। ওখানে রিফিউজি গেলে রেখে দেওয়া হয়। তারা সেই চিন্তা-ভাবনায় থাকে। তারা মনে করে, বাংলাদেশ তাদের রেখে দিতে পারে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, বিদেশিরা মূলত বিক্রি করতে আসে। এজন্য চাপ সৃষ্টি করে যেন তার কাছ থেকে কেনে। আমেরিকা বিক্রি করতে চায়, ফ্রান্স বিক্রি করতে চায়, ব্রিটিশরা বিক্রি করতে চায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিক্রি করতে চায়।

ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশ্নকারী সাংবাদিককে উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের এত মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেন কেন? আপনার মগজে বিদেশি বিদেশি কেন। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে পারেন না?

তিনি আরও বলেন, ওগুলো বাদ দেন। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস আনেন। শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস আছে। আপনারা দেশের প্রতি, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ান।

ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র আইসিউতে আছে’। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নকারী সাংবাদিককে তিনি বলেন, এরকম বহু লোক বহু প্রতিবেদন তৈরি করবে। আপনি নিজে প্রতিবেদন তৈরি করেন। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবেন না। আল্লার ওয়াস্তে এই বদ অভ্যাসটা বাদ দেন। অন্য কেউ কিছু বললে লাফাইয়া উঠবেন। এটা বাদ দিয়ে নিজে পরীক্ষা করে দেখেন কী অবস্থা। জনগণ যদি ভোট দেয়, ওটাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

আন্তর্জাতিক

নোবেল পুরষ্কার ২০২৩ বিজয়ীদের তালিকা ধীরে ধীরে প্রকাশ হচ্ছে। এরিমধ্যে এবছর পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন শাস্ত্র এবং চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অন্য বিভাগেও বিজয়ীদের নাম প্রকাশ করবে নোবেল কতৃপক্ষ। প্রতিবছর অক্টোবর মাস আসলেই নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে আসছে নোবেল কতৃপক্ষ।

নোবেল পুরস্কার ২০২৩ তালিকা জানতে আই নিউজের আজকের এ প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কেননা, আজকের এই লেখা শুধু নোবেল বিজয়ীদের তালিকাও নয়, জানাবো নোবেল প্রাইজের ব্যাপারেও কিছু বিস্তারিত তথ্য।

২০২৩ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে দুই নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যান। নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তাদের এ আবিষ্কারের ওপর ভর করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবন করা হয়।

আলফ্রেদ নোবেল তার মোট সম্পদের (৩১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা) ৯৪ শতাংশ এই পাঁচটি পুরস্কারের জন্য উইল করেন। ২৬ এপ্রিল ১৮৯৭-র আগ পর্যন্ত সন্দেহ প্রবণতার জন্য নরওয়ে থেকে এই উইল অনুমোদন করা হয় নি। তার উইলের সমন্বয়কারী রগনার সোলম্যান ও রুডলফ লিলজেকুইস্ট নোবেল ফাউন্ডেশন তৈরি করেন।

২০২৩ সালে নোবেল পুরষ্কার জেতা দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী। 


১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ যাবত ১২ জন নারী চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন। চিকিৎসায় সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হরেন ফ্রেডরিক জি. ব্যান্টিং। তিনি ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পেয়েছিলেন। চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি বয়সী নোবেলজয়ীর নাম পেটন রৌস। তিনি ৮৭ বছর বয়সে এ পুরস্কার পান।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পদার্থবিজ্ঞানে বিভাগে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর পদার্থে নোবেল পেয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী পিয়ের আগোস্তিনি, হাঙ্গেরীয় বিজ্ঞানী ফেরেন্স ক্রাউজ ও ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যান লিয়ের।মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সুইডেনের র‌য়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি পদার্থের নোবেল বিজয়ী হিসেবে এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে।

ইলেকট্রন গতিবিদ্যার গবেষণায় অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয় বলে নোবেল কমিটি জানায়। ইলেকট্রন গতিবিদ্যায় পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে কীভাবে আলোর অ্যাটোসেকেন্ড পালস তৈরি হয়, তাদের গবেষণায় সেটি দেখানো হয়েছে।

নোবেলজয়ী এ তিন পদার্থবিদ এমন আলোর ফ্ল্যাশ (ঝলকানি) তৈরি করেছেন যেগুলো ‘অতি দ্রুত চলাচলকারী’ ইলেকট্রনের স্ন্যাপশট নিতে পারে।

২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জেতা তিন বিজ্ঞানী আগোস্তিনি, ফেরেন্স ক্রাউজ ও অ্যান লিয়ের। 


এবছর রসায়নশাস্ত্রের উপর কারা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন তা আগেই জানা গিয়েছিলো। তবে সেটি কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা ছিলো না। অবশেষে বুধবার (৪ অক্টোবর) সুইডিস একাডেমি অব সায়েন্সেস এবছর রসায়নে নোবেল প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে তিন রসায়নবিদের নাম ঘোষণা করে। কোয়ান্টাম ডট টেকনোলজি আবিষ্কার এবং এটির মাধ্যমে ইলেকট্রনিকস পণ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লব আনার স্বীকৃতি স্বরূপ এ পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মুঙ্গি বাওয়েন্দি, লুইস ই ব্রুস এবং রাশিয়ার অ্যালেক্সি একিমোভ।

গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে রাসায়নে নোবেল পান তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ক্যারোলিন আর বার্তোজ্জি, ব্যারি শার্পলেস ও ডেনমার্কের মর্টেন মেলডাল।

এবছর এখনো জানা যায় নি অর্থনীতি বিভাগে নোবেল বিজয়ীদের নাম। এর আগের বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন জন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বেন এস বার্নাকে, সিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিলিপ এইচ ডিবভিগকে এ বিভাগে নোবেল দেয়া হয়।

রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার জেতা তিন বিজ্ঞানী।


বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার। পরে আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।

নোবেল পুরস্কার ২০২৩ 
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।

আলফ্রেড নোবেল জন্মগ্রহণ করেন ২১ অক্টোবর ১৮৩৩ সালে সুইডেনের স্টকহোমে একটি প্রকৌশল পরিবারে। ১৮৯৪ সালে তিনি একটি বফর লোহা ও ইস্পাত কারখানা ক্রয় করেন, যা পরবর্তীতে একটি অন্যতম অস্ত্র তৈরির কারখানায় পরিণত করেন। এটি তাঁর জীবনের পরবর্তী গতিপথ বদলে দিয়েছিল বলা যায়। তিনি ব্যালিস্টিক উদ্ভাবন করেন, যা সারা বিশ্বব্যাপী ধোঁয়াবিহীন সামরিক বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তার ৩৫৫ টি উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিনি জীবদ্দশায় প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক হন, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ডিনামাইট।

১৮৮৮ সালে আলফ্রেড মৃতদের তালিকা দেখে বিস্মত হন, যা একটি ফরাসি পত্রিকায় এ মার্চেন্ট অব ডেথ হু ডেড প্রকাশিত হয়। যেহেতু নোবেলের ভাই লুডভিগ মারা যায়, এই নিবন্ধটি তাকে ভাবিয়ে তোলে এবং খুব সহজেই বুঝতে পারেন যে ইতিহাসে তিনি কীভাবে স্মরণীয় হতে চান। যা তাকে তার উইলটি পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করে। ডিসেম্বর ১৮৯৬ সালে আলফ্রেদ নোবেল তার নিজ গ্রাম স্যান রিমো, ইতালিতে মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

যেভাবে এলো নোবেল পুরস্কার
নোবেল তার জীবদ্দশায় অনেকগুলো উইল লিখে গিয়েছিলেন। সর্বশেষটা লেখা হয়েছিল তার মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে ২৭ নভেম্বর ১৮৯৫ সালে প্যারিসে অবস্থিত সুইডিশ-নরওয়ে ক্লাবে। বিস্ময় ছড়িয়ে দিতে, নোবেল তার সর্বশেষ উইলে উল্লেখ করেন যে, তার সকল সম্পদ পুরস্কার আকারে দেয়া হবে যারা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যে বৃহত্তর মানবতার স্বার্থে কাজ করবেন।

নোবেল তার মোট সম্পদের (৩১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা) ৯৪ শতাংশ এই পাঁচটি পুরস্কারের জন্য উইল করেন। ২৬ এপ্রিল ১৮৯৭-র আগ পর্যন্ত সন্দেহ প্রবণতার জন্য নরওয়ে থেকে এই উইল অনুমোদন করা হয় নি। তার উইলের সমন্বয়কারী রগনার সোলম্যান ও রুডলফ লিলজেকুইস্ট নোবেল ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। যার কাজ তার সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। এবছর আয়োজিত হবে নোবেল পুরষ্কার ২০২৩ এর আসর।

১৮৯৭ সালে নোবেলের উইল অনুমোদন হবার সাথে সাথেই নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি নামক একটি সংস্থা তৈরি করা হয়। অতি শীঘ্রই নোবেল পুরস্কার দেবার অন্যান্য সংস্থাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তাদের মধ্যে ৭ জুন ক্যারোলিংস্কা ইনিস্টিটিউট, ৯ জুন সুইডিশ একাডেমি এবং ১১ জুন রাজকীয় সুয়েডীয় বিজ্ঞান একাডেমি।

নোবেল ফাউন্ডেশন কীভাবে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়, তার একটি নীতিমালায় পৌছায় এবং ১৯০০ সালে নোবেল ফাউন্ডেশন নতুনভাবে একটি বিধি তৈরি করে যা রাজা অস্কার কর্তৃক জারি হয়। ১৯০৫ সালে সুইডেন ও নরওয়ের মধ্যে বন্ধন বিলুপ্ত হয়। তারপর থেকে নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি শুধু মাত্র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার এবং সুইডেনের প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য পুরস্কারগুলো প্রদানের দায়িত্ব পায়।

আগামী শুক্রবারে নোবেল পুরস্কার ২০২৩ বিজয়ীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়া যাবে। তবে বিজয়ী ব্যক্তিরা এখনি নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন না। কারণ, নোবেল বিজয়ীদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দেয়া হবে আলফ্রেড নোবেলের জন্মদিন ২১ অক্টোবর।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়া পশ্চিমাঞ্চলে গতরাতে ৩০টিরও বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে এবং তাদের বিমানগুলো সমুদ্রপথে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের অনুপ্রবেশের একটি প্রচেষ্টাও প্রতিহত করেছে। বুধবার এ তথ্য জানায় রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে জানিয়েছে, বেলগোরোড, ব্রায়ানস্ক এবং কুরস্ক অঞ্চলে দায়িত্বরত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৩১টি ইউক্রেনীয় মনুষ্যবিহীন আকাশযানকে আটক ও ধ্বংস করেছে।

দেশের পশ্চিমে ফ্রন্টলাইনের কাছাকাছি যেখানে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে যুদ্ধ চলছে, সেখানে রাতের এই আক্রমণে কোনো হতাহতের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

জুনের শুরুতে ইউক্রেন তার পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রাশিয়া ড্রোন হামলার ঢেউ মোকাবিলা করেছে যা মস্কোসহ বিক্ষিপ্তভাবে ভবনগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

ব্রায়ানস্কের গভর্নর আলেক্সান্ডার বোগোমাজ বুধবার টেলিগ্রামে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা কিভাবে ড্রোনগুলো ধ্বংস করেছে তার বর্ণনা করেছেন। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, চারটি জেলায় গুচ্ছ বোমা ফেলা হয়েছে।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আবাসিক ঘরবাড়ি এবং আউট বিল্ডিংগুলোর আংশিক ধ্বংস হয়েছে।

এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাতে রাশিয়ান বিমানবাহিনী ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সেনাদের একটি গ্রুপের ক্রিমিয়ার ভূ-খণ্ডে অবতরণ প্রচেষ্টা বন্ধ করেছে।

আন্তর্জাতিক

নতুন করে ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেদনানাশক বা চেতনানাশক ওষুধ ফেনটানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়াদের ব্যাপারে জানিয়েছে। এ তালিকায় আছে চীনের ১২ প্রতিষ্ঠান ও ১৩ ব্যক্তি। কানাডার এক ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠান।

শক্তিশালী ওপিওড জাতীয় ওষুধ ফেনটানাইল ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সংশ্লিষ্ট সমস্যায় এই ওষুধ বিতর্কিত ভূমিকা রাখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল দাবি করেছেন, ফেনটানাইলের (মাদক) উৎপাদন মূলত চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে শুরু হয়েছে।

চীন ও মেক্সিকোর মাধ্যমে ফেনটানাইলের অবৈধ পাচার হয় বলেও চাউর হয়েছিল। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ফেনটানাইলের অবৈধ পাচার ঠেকাতে যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের দাবি করেন, দুই দেশের মধ্যে এ মাদকের অবৈধ কোনো পাচার নেই।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মেক্সিকোয় পাচার হওয়া এ মাদক মেক্সিকান মাদক চোরাকারবারিরাই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ফেনটানাইল সেবন করে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৮০ মানুষের মৃত্যু হয়।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ; চাপে নেই সরকার।

রোববার এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসাবে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই প্রবাসী বাঙালি ও ব্যবসায়ীদের এক আয়োজনে যোগ দেন তিনি। এ সময় সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশিদের আত্মপ্রত্যয় বাড়ানোর সময় এসেছে।

তিনি জানান, নির্বাচনের আগে বিদেশি কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূতদের দৌড়ঝাঁপ বেড়ে যায়। সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে খোদ বাঙালিরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনও বাঙালিদের মন ও মগজে রয়ে গেছে ঔপনিবেশিক চিন্তাভাবনা। নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশবাসীর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, এমনটাও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অন্ধকারে ব্যালটবাক্সে ভোট পড়ার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আধুনিক উল্লেখ করে তা দেখতে বিদেশিদের আসার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।