আন্তর্জাতিক

সামরিক আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলি জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনাই হবে না বলে জানিয়েছে হামাস।

শনিবার লেবাননে এক সংবাদ সম্মেলনে এক হামাস কর্মকর্তা ওসামা হামদান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জিম্মি ইসরাইলি সেনাদের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এর সঙ্গে (ফিলিস্তিনি) বন্দী বিনিময়ের বিষয়টি জড়িত। আর ইসরাইল গাজা ও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত এটা নিয়ে আমরা আলোচনাই করব না।

শুক্রবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জিম্মি থাকাদের মধ্যে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার কথা জানায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক এক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা। এ হামলায় সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা।

শুধু তাই নয়, তারা শতাধিক মানুষকে জিম্মি করেও নিয়ে যায়। এসব জিম্মির মধ্যে দুই আমেরিকানও ছিলেন।

এই দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়াকে শুভেচ্ছার নিদর্শন বলে উল্লেখ করেন হামাস নেতা গাজী হামাদ। বন্দীদের মধ্যে যারা ইসরাইলি নন, সম্প্রতি তাদের ‘অতিথি’ হিসেবে সম্বোধন করছে হামাস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল সংগঠনটি।

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে সহযোগিতার অভিযোগে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা নিউজের স্থানীয় ব্যুরো কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসরাইলের তথ্যমন্ত্রী শালোমা কারহি। রোববার ইসরাইলের বেতার সংবাদমাধ্যম আর্মি রেডিওর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শালোমা কারহি জানান, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর দিন থেকে হামাসঘেঁষা সংবাদ পরিবেশ করে আসছে আলজাজিরা নিউজ। ইতোমধ্যে এ সংবাদমাধ্যমটির ইসরাইল কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার একটি প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছেন। তাদের যাচাই শেষ হলে এটি মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শালোমা।

আর্মি রেডিওকে ইসরাইলের তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ নিউজ স্টেশনটি নিয়মিত উস্কানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে এবং এসব সংবাদ ইসরাইলের নাগরিকদের বিরুদ্ধে বাইরের দেশের অনেক মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। আলজাজিরা যতখানি সংবাদমাধ্যম, তারচেয়েও অনেক বেশি প্রোপাগান্ডা মাউথপিস। নিজেদের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম হিসেবে দাবি করা একটি নিউজ স্টেশন হামাসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে— এটা অগ্রহণযোগ্য। আশা করছি, শিগগিরই এ ব্যাপারে আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।

তবে ইসরাইলের এমন দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত আলজাজিরা বা কাতার সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। আলজাজিরার প্রতি ইসরাইলের এই ক্ষোভ নতুন নয়। এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ওই সময় বোমা হামলা চালিয়ে আলজাজিরার গাজা উপত্যকার ব্যুরো কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ইসরাইল।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইল-হামাসের সংঘাতে করণীয় নিয়ে ‘বিশেষ জরুরি সভা’ ডেকেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। বর্তমানে ওআইসির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সৌদি আরবের আমন্ত্রণে ওই সম্মেলনে যোগ দেবে বাংলাদেশ।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ওআইসি মিটিংয়ে যাচ্ছি। সেটাতে আমরা যোগ দেব বলে উনি (রাষ্ট্রদূত) আসছেন আলোচনা করতে। ওআইসির মিটিংয়ে সৌদি প্রিন্স আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন ওআইসির পক্ষ থেকে। আমরা সেখানে যাব ১৮ তারিখ (অক্টোবর)।

ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সমাধান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, দুটি আলাদা রাষ্ট্রই এটার সমাধান। যেটা জাতিসংঘ রেজ্যুলেশন ২৪২ এবং ৩৩৮ এর মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান সম্ভব। আমরা চাই না, আরও আরও রিফিউজি বাড়ুক। যদি তারা অন্য কোনো জায়গায় গিয়ে রিফিউজি হয়, এটা দুনিয়ার জন্য খুব দুঃখজনক হবে। আমরা সব দলকে বলি, পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশ আগের অবস্থান রয়েছে বলে জানান মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের যে অবস্থান, সেটাতেই আছি। আমরা চাই, নির্যাতন বন্ধ হোক। পানি, ওষুধ, খাবার বন্ধ করা গ্রহণযোগ্য নয়, এগুলো মানবিকতা লঙ্ঘন।

আন্তর্জাতিক

এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে সরে যাওয়ার জন্য মাত্র তিন ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।

স্থানীয় সময় রোববার রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট করিডোর ব্যবহার করে গাজার উত্তরের বাসিন্দারা দক্ষিণে চলে যেতে পারবেন বলে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে। এরপর যেকোনো সময় অভিযান শুরু করতে পারে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনী।

ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনী রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার একটু আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক পোস্টে এই সময়সীমা বেঁধে দেয়।

ওই পোস্টে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত করিডরে কোনো ধরনের হামলা বা অভিযান চালাবে না।

গাজাবাসীর উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, দয়া করে নির্ধারিত এই সময়ে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়ার সুযোগ নিন।

রোববার সকালের দিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করে। এতে দাবি করা হয়, গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে চলে যেতে বাধা দিচ্ছে হামাস। বেসামরিক জনগণকে হামাস মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে।

এর আগে ১৩ অক্টোবর গাজাবাসীর প্রতি এক ভয়াবহ আলটিমেটাম দেয় ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনী। জাতিসংঘের মাধ্যমে তারা জানায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ওয়াদি গাজা থেকে সেখানকার ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে।

তবে বিষয়টি একপ্রকার অসম্ভব বিবেচনা করে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, ইসরাইল যে দাবি করেছে, তাতে ওই অঞ্চলের অন্তত ১১ লাখ অধিবাসীকে সরে যেতে হবে, যা গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ এই আল্টিমেটাম প্রত্যাহারের জন্য জোরালো দাবি জানাচ্ছে ইসরাইলের কাছে।

গাজায় ইসরাইলের নিষিদ্ধ ফসফরাস ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) নিষিদ্ধ সাদা ফসফরাস ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শনিবার ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাবরেটরিতে ছবি ও ভিডিও পরীক্ষার পর সংগঠনটি এ দাবি করেছে।

ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাবরেটরি গাজা বন্দরে হামলার একাধিক দিক থেকে তোলা ছবি পরীক্ষা করেছে। একই সঙ্গে তারা স্যাটেলাইট ছবিও পর্যালোচনা করেছে।

সংগঠনটি বলেছে, হামলার একটি ভিডিও ফুটেজে নিষিদ্ধ ফসফরাস ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা কামানের গোলায় বিস্ফোরকের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। গোলাটি বিস্ফোরণের সময় সাদা ধোঁয়া উড়েছে। যা গোলায় এম৮২৫ ও এম৮২৫এ১ ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

১৯৮০ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে সাদা ফসফরাস বোমা ঘনবসতি স্থানে ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কারণ এতে সৃষ্ট ধোঁয়া নিশ্বাসে গ্রহণের ফলে ফুসফুসে ক্ষত ও শ্বাসরোধের ঘটনা ঘটতে পারে। বোমায় ব্যবহৃত সাদা ফসফরাস বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ফসফরাস নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলতে থাকবে। সাদা ফসফরাসে দগ্ধদের চিকিৎসা করা খুব কঠিন।

এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজা উপত্যাকার কারামা এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সাদা ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

ইউরোপিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিষ্ঠাতা রামি আবদোও অভিযোগ করেছিলেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিষাক্ত ফসফরাস ব্যবহার করছে।

আন্তর্জাতিক

ঘনবসতিপূর্ণ গাজার অভ্যন্তরে হামাসের ওপর হামলা চালাতে পুরোদমে প্রস্তুত ইসরাইলি সেনারা। তবে ইসরাইলের এ স্থল হামলায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, গাজায় স্থল হামলা চালালে পরাজিত হতে পারে ইসরাইল সেনারা।

পাঁচ কারণে ইসরাইল বাহিনীর সব পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। বাধাগুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে গাজা শহরের ঘনবসতির বিষয়টি। এই শহরের প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ বসবাস করে। শহরের রাস্তাগুলো খুব সরু।

ইসরাইলি বাহিনীর জন্য এসব রাস্তা দিয়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত আইএফভি যান এবং ট্যাংকগুলো বহন পরিচালনা করা খুব কঠিন হবে।

দ্বিতীয়ত, সংকুচিত জায়গার মধ্যে ‘বুবি ট্র্যাপ’ কিংবা পেতে রাখা ফাঁদগুলো ইসরাইলি সেনাদের জন্য তীব্র মাত্রায় ঝুঁকির কারণ হবে।

তৃতীয়ত, সিরিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের উদাহরণ। ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল ও রকেট হামলায় ভারী অস্ত্র সজ্জিত একটি বড় পদাতিক বাহিনীকেও ছোট বাহিনীর কাছে বেগ পেতে হয়।

চতুর্থত, পদাতিক বাহিনীর জন্য হেলিকপ্টারের সহায়তা নেওয়াও কঠিন হবে। কারণ হামাসের সহজে বহনযোগ্য নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

মুবার নামে এই প্রতিরক্ষা দিয়ে ইতোমধ্যেই তারা ইসরাইলের চারটি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে।

পঞ্চমত, ইসরাইলি সেনারা যদি গাজায় হামলা চালায় তবে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা সীমিত রাখা কঠিন হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে তখন ইসরাইলের ওপর চাপ আরও বাড়বে।

আন্তর্জাতিক

চীনকে আটকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ঠা জ্যাক সুলিভানকে টাকাপয়সা খরচ করার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্য দেশগুলোকেও এ কথা বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, আমি তাকে বললাম আপনাদের খালি উপদেশ আর হুকুম এবং ভয়, এগুলো দিয়ে চীনকে আটকানো যাবে না। এটি করতে হলে টাকাপয়সা নিয়ে আসেন।

মোমেন বলেন, উনি (জ্যাক সুলিভ্যান) আমাকে বললেন, তিনি চেষ্টা করছেন। তারা বিষয়টি অনুধাবন করেন। তিনি বললেন, আপনি বিষয়টি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে তুলে ধরেছিলেন এবং আমি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। আমি এজন্য উদ্যোগ নিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র ২০০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল তৈরি করতে চায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দেবে বলে।

অন্যান্য দেশকেও একই কথা বলেছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বড়লোক দেশগুলোকে বলেছি তোমরা যদি চীনকে আটকে রাখতে চাও, তবে শুধু আদেশ এবং সতর্কতা দিয়ে লাভ হবে না। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না বা উপদেশ দিয়ে লাভ হবে না। তোমরা যদি চীনকে আটকাতে চাও তবে সঙ্গে কিছু টাকাপয়সা নিয়ে আসবে।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, চীন থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি মাত্র ৪০০ কোটি ডলার। এটি আমাদের জিডিপির এক শতাংশ। তবে ফলাও করে কিছু পণ্ডিত বলেন, বাংলাদেশ চীনের লেজুড় হয়ে গেছে।

জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক মাঝপথে থেমে গিয়েছিল বলে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা লিখছে ‘থেমে গিয়েছিল’ তারা আহাম্মকের স্বর্গে আছে, বানোয়াটের স্বর্গে আছে। আলোচনাটা খুব সুন্দর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মিশনে গিয়েছিলেন সব সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সম্মান জানানো – সেইসব কারণে। তখন ওখানে যুক্তরাষ্ট্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলবল নিয়ে আসেন এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই।

আন্তর্জাতিক

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের নজিরবিহীন হামলার প্রতিশোধে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের সাত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।

শনিবার ভোরে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের রকেট বৃষ্টির মাধ্যমে শুরু হওয়া এ হামলা এখন নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে এনেছে ওই অঞ্চলে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে টানা গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে হামাসের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামাসও পাল্টা গোলাবর্ষণ করছে ইসরাইলি ভূখণ্ডে।

চলমান এ সহিংস পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা হামাস-ইসরাইল সংঘাত অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরাইলের পাশে অবস্থান নিয়েছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা অনেক দেশ। তবে এ সংঘাতের অবসানে ইসরাইল-ফিলিস্তিন আলাদা দুই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলছে চীন। খবর টাইমস নাউ।

রোববার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হামাস-ইসরাইল সংঘাতের বিষয়টি উঠেছে। এ সময় এক সাংবাদিক গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ভয়াবহ সংঘাত এবং উভয়পক্ষের ব্যাপক হতাহতের ঘটনার বিষয়ে চীনের মন্তব্য জানতে চান।

জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইলের বর্তমান উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার, সংযম চর্চার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় এবং পরিস্থিতির যাতে আরো অবনতি না ঘটে, সেজন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সংঘাতের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে যে, শান্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা চলতে পারে না। দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বাস্তবায়ন এবং ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এ সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার মূল উপায়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। ফিলিস্তিন প্রশ্নে আলোচনা বৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং স্থায়ী শান্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। চীন সেই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে চীনের এ অবস্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেলআবিব। বেইজিংয়ে নিযুক্ত ইসরাইলের দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউভাল ওয়াকস বলেছেন, ইসরাইল চীনের কাছ থেকে হামাসের হামলার বিষয়ে ‘কঠোর নিন্দা’ দেখতে পাওয়ার আশা করেছিল। কারণ তারা চীনকে ইসরাইলের বন্ধু হিসেবে দেখে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, যখন মানুষ খুন হচ্ছে, রাস্তায় জবাই হচ্ছে, তখন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ডাক দেওয়ার সময় নয়।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্ব এ অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না: বাংলাদেশ

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের নিন্দা জানিয়ে দুপক্ষের হামলায় নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিবৃতিতে বলেছে, আমরা ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়কেই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং উভয় পক্ষের নিরপরাধ প্রাণহানি এড়ানোর জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও জোরপূর্বক বসতি স্থাপন এ অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না বলেও মনে করে বাংলাদেশ।

মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ ফিলিস্তিন ও ইসরাইলকে জাতিসংঘের রেজুলেশন নং ২৪২ ও ৩৩৮ অনুসরণ করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাশাপাশি বসবাসের সমর্থন করে, যা এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে।

সংঘাতে মাত্রাতিরিক্ত ও নির্বিচারে বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

শুধু সংলাপ ও কূটনীতিই ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধান ঘটাতে পারে বলে পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে কোনো পক্ষই লাভবান হবে না বলেও উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক

পশ্চিম আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন তালেবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার (৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর পর আরও চারটি আফটারশক আঘাত হানে এলাকাটিতে। রিখটার স্কেলে সেগুলোর মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩ ও ৫ দশমিক ৯।

আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, এই ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।

তবে বার্তা সংস্থা এপি ও স্কাই নিউজ জানিয়েছে, আজ রোববার তালেবান প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেছেন, পশ্চিম আফগানিস্তানে শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে এটি হয়ে উঠেছে গত দুই দশকের মধ্যে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প।

এর আগে দেশটিতে কাজ করা জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, অনিশ্চিত সূত্রের হিসাবে, আফগানিস্তানে শনিবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩২০ জন হতে পারে।

ওসিএইচএ বলেছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধসেপড়া ভবনগুলোর নিচে বহু মানুষ আটকা থাকতে পারে। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে অংশীদার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলো।

আফগান দুর্যোগ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জান জানিয়েছেন, হেরাত প্রদেশের জেন্দা জান জেলার চারটি গ্রাম ভূমিকম্প ও আফটারশকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী ফারাহ ও ব্যাজেস প্রদেশেও ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন হামাসের সামরিক কমান্ডার মুহাম্মদ দেইফ। ফিলিস্তিনবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনাদের কাছে যদি একটি বন্দুকও থাকে, তবে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। ট্রাক, গাড়ি, কুড়াল নিয়ে মাঠে নামুন। আজ থেকে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

এর আগেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছে হামাস। হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন সাত শতাধিক।

বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গাজা উত্যকায় ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছে ইসরাইল। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলে ২২০০ রকেট ছুড়েছে হামাস। এ ছাড়াও স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামাসের সদস্যরা ইসরাইলে প্রবেশ করছেন।

তবে হঠাৎ কেন এমন কঠোর সামরিক অবস্থান নিল হামাস? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, ইসরাইলি দখলদারিত্বের ইতি টানতেই হামাস এ সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ পরিচালনার মাধ্যমে দশকের পর দশক ধরে চলা ইসলাইলি দখলদারিত্ব, শোষণ ও বঞ্চনার জবাব দেওয়া হচ্ছে বলে আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন হামাস মুখপাত্র খালেদ কারামি।

তিনি বলেন, আমরা চাই বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র এবং পুরো বিশ্বের মানুষ আমাদের ওপর পরিচালিত অত্যাচারের কথা জানুক। আমরা চাই আমাদের মানুষ এবং আমাদের ভূখণ্ডের ওপর, আমাদের পবিত্র প্রার্থনা কেন্দ্র আল-আকসার দখলদারিত্ব থেকে ইসরাইলিরা সরে যাক। অনেক বছরের পুঞ্জিভূত অত্যাচার ও দখলদারিত্বের জবাব দিতেই আমরা প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছি।

ইসরাইলি দখলদারিত্ব এবং শোষণের অবসানে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে হামাসের সামরিক কমান্ডার মুহাম্মদ দেইফ বলেন, আমরা অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম শুরু করে দিয়েছি। এ অভিযানের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান হবে।

দেশপ্রেমিক সব ফিলিস্তিনিকে যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে হারেৎজ। সংবাদমাধ্যমটির তথ্য বলছে, হামাসের সদস্যরা ইসরাইলের দখলে থাকা বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছেন। তাদের হাতে বেশ কিছু ইসরাইলি সেনা আটক হয়েছেন।

হামলার ঘটনায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে হামাস ‘গুরুতর’ ভুল করেছে। আইডিএফ সেনারা (ইসরাইলি সেনাবাহিনী) প্রতিটি অবস্থানে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, রকেট হামলার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানরা বৈঠক করবেন।

এদিকে আল-আকসা স্টর্মের মধ্য দিয়ে আবারও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হামাসের হামলাকে সমর্থন দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা রহিম সাফাভি ইরানের পক্ষ থেকে সমর্থন জানিয়েছেন।

তিনি সংবাদমাধ্যম ইসনাকে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানাই। ফিলিস্তিন এবং জেরুজালেম স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে যাবো।

তবে সৌদি আরব ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ফিলিস্তিনি একটি গোষ্ঠী ও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে চলমান ঘটনা লক্ষ্য করছি। যা ভয়াবহ সহিংসতার দিকে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরাইলের দিকে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এসব হামলায় এ পর্যন্ত ১০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯০০ জন।

ইসরাইলের উদ্ধারকারী সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ ইসরাইলে হামাস যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলায় অন্তত ১০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। খবর আলজাজিরার।

শনিবার সকালে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে এসব রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ার কথা জানিয়েছে হামাস।

সেই সঙ্গে ইসরাইলের ভেতরে ঢুকেও হামলা চালানো হয়েছে বলে তেলআবিব থেকে জানানো হয়েছে।

এর জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

ইসরাইলের গণমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন।

গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ১৯৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

হামলার পর ইসরাইলের জনগণের উদ্দেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের জনগণ, আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। আমরা জিতব। শত্রুদের এ জন্য এমন মূল্য দিতে হবে, যে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

নেতানিয়াহুর ভাষণের কিছু সময় পর থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে দখলদার ইসরাইলি বিমান বাহিনী।