আন্তর্জাতিক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সৌদি আরবকে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে একইসাথে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে জ্বালানি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এখন আমরা এমন একটি সময় পার করছি, যখন সৌদি আরব আমাদেরকে সর্বোচ্চ সমর্থন দিতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে ‘অনন্য’ ও ‘আলাদা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

অধ্যাপক ইউনূস সৌদি আরবকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তহবিল জমা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এ ধরনের উদ্যোগ তারল্য সহায়তা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া এটি ‘অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি চমৎকার অঙ্গীকার’ বলেও উল্লেখ করেন।

সৌদি আরবকে সহজ শর্তে জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশি তরুণদের প্রশিক্ষণের জন্য বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য বিনিয়োগ করলে ঢাকা থেকে সৌদি আরবে আরো বেশি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে।

রাষ্ট্রদূত আল দুহাইলান সৌদি আরবে বাংলাদেশি প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে তারা আরো বেশি বেতন পাবেন এবং দেশে অনেক বেশি রেমিটেন্স পাঠাতে সক্ষম হবেন।

বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে কর্মরত আছেন এবং প্রতি বছর তারা বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়ে থাকেন।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা এবং বসতিগুলোতে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। যার ফলে ইসরাইলি বাহিনীর বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়েছেন।

লেবানিজ সংবাদ মাধ্যম আল আহদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার ইসরাইলের গ্যালিলি অঞ্চলে ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। যার ফলে সেখানকার বেশ কিছু ভবন ও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা হাইফার উত্তরের জভুলুন সামরিক শিল্প ঘাঁটিতে প্রচুর সংখ্যক রকেট হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও আল-মারজ, আল-মালকিয়া এবং কারমিয়েল এলাকায় ইসরাইলি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন সেনাকে হতাহত হয়েছে।

এছাড়াও আল-মানারা এলাকায় একটি ড্রোন ব্যবহার করে ইসরাইলি সেনাদের ওপর সফল হামলা চালানো হয়েছে বলা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা উত্তর-পূর্ব হাউলা এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যেখানে বেশ কয়েকজন সেনা হতাহত হয়।

হিজবুল্লাহ আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে শোমেরা এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর ওপর হামলার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

আরেক ভিডিওতে হাইফার উত্তরে ইয়েসুদ হামায়ালা এলাকায়ও বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্যও দেখানো হয়।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরাইল লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে রাজধানী বৈরুতে হামলা বৃদ্ধি করেছে। এর প্রতিশোধ হিসেবে হিজবুল্লাহ উত্তরাঞ্চলের ইসরাইলি অবস্থানগুলোতে কয়েক শতাধিক রকেট ছুঁড়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলোতে হামলা চালিয়েছে। সূত্র: ইরনা

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকেই পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। এই অঞ্চল সম্পর্কে নবীরা এমন বার্তা দিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্টার জো রোগানকে দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় তিন ঘণ্টা দীর্ঘ সেই সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে রোগানকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি জানেন, নবীরা বলে গেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। আপনি এটা জানেন, তাই না।’

‘পাওয়ারফুল জেআরই’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে পডকাস্টটি প্রকাশের পর হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দর্শকরা। ভিডিওটি একদিনের মধ্যেই ২ কোটি ৭০ লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে।

দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক ও মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। এসময় তিনি বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করেন তিনি।

বাইডেনের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন ইসরাইলকে কিছু করতে নিষেধ করেছিল।’ গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ইসরাইল যেন গাজায় পাল্টা হামলা না করে সে ব্যাপারে বাইডেন ইসরাইলে সতর্ক করেছেন জানিয়ে ওই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

তবে বাইডেনের কথায় কর্ণপাত না করায় ইসরায়েলের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, যদি তারা (ইসরায়েল) বাইডেনের কথা শুনতো, তাহলে এখনও তারা মাথার ওপর বোমা পড়ার জন্য অপেক্ষা করতো।’

আন্তর্জাতিক

২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই শান্তি আসবে।

নেপাল, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অংশীদারত্ব বাড়ানো হবে। অগ্রগতির দিক থেকে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে।

রোববার (২৭ অক্টোবর) পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন ও ‘মৈত্রী দ্বার’ উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এ শীর্ষ নেতা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদীর সরকার পশ্চিমবাংলার সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে, এখানকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিজেপি সরকার তার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না।

বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, স্থলপথে দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের ৭০ শতাংশ হয় পেট্রাপোল দিয়ে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ও ব্যস্ততম স্থলবন্দর, যা ভারতের বাণিজ্য ও চলাচল বাড়ায়। পেট্রাপোলে সমন্বিত চেকপোস্ট, যাত্রী টার্মিনাল বিল্ডিং ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন প্রতিটি সেক্টরকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

অমিত আরও বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে, মোদীজি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা, এবং খেলাধুলার মতো ক্ষেত্রে অনেকগুলো নতুন কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে আমাদের একটি যৌক্তিক উপসংহারে নিয়ে গেছেন। আজ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এলপিএআই) দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, ভাষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্যের আদান-প্রদানের সুবিধা দিচ্ছে।

মৈত্রী দ্বার প্রতিদিন অন্তত ৭০০ ট্রাকের বেশি হ্যান্ডলিং ক্ষমতাসহ পরিবহণ পরিষেবা মসৃণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সচিব ও এলপিএআইয়ের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল, আগরতলা, শ্রীমানপুর সুতারকান্দি, সাব্রুমসহ ১২টি স্থলবন্দর চালু রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

জ্যোতিষশাস্ত্র সম্ভাবনার কথা বলে। কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে হবে কিংবা ঘটবে তা বলে না।

রাশি অনুযায়ী এই সপ্তাহ কেমন যেতে পারে জেনে নিন।

পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক জাতিকাদের নানান বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ ড. গোলাম মাওলা।

মেষ রাশি (২১ মার্চ – ১৯ এপ্রিল) সপ্তাহের শুরুতে ভালোবাসার ছলনা সমস্ত সময় আপনাকে আবদ্ধ করে রাখবে। শুধুমাত্র সুখ অনুভব করুন। শরীর রিচার্জ করতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। অন্যথায় ক্লান্তি আপনার মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করবে। সপ্তাহের মাঝদিকে ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে শক্রুও বৃদ্ধি পেতে পারে। বিবাহ-ইচ্ছুক তরুণ তরুণীদের বৈবাহিক শুভ ফল পাওয়ার সম্ভাবনা। সপ্তাহের শেষদিকে অনেক সমস্যার মুখোমুখিতে আতঙ্কিত বোধ করতে পারেন। তবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, শেষ পর্যন্ত জয় আপনারই হবে।

বৃষ রাশি (২০ এপ্রিল – ২০ মে) সপ্তাহের শুরুতে বন্ধু বান্ধবদের সাথে সময় যাপন অত্যন্ত আমোদজনক ও আনন্দময় হবে। প্রেম ইন্দ্রিয়ের সীমা অতিক্রম করে যায় তবে আপনার ইন্দ্রিয় ভালোবাসার উচ্ছাসের অভিজ্ঞতা লাভ করবে। সপ্তাহের মাঝদিকে অসাবধানতা আপনাকে অসুস্থ করতে পারে। শরীরে শক্তি ফেরাতে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে, অন্যথায় ক্লান্তি আপনার মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করবে। সপ্তাহের শেষদিকে প্রেম, চুম্বন, আলিঙ্গন এবং মজা – এই সময় সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্স করার সঠিক সময়। নতুন কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করার জন্য ভালো সময়।

মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন) সপ্তাহের শুরুতে ব্যবসায়ের কোনো ভ্রমণ ফলপ্রসু হতে পারে। চিন্তাভাবনা করে অগ্রসর হন। ঘরে উচিত হবে অন্যদের অসন্তুষ্ট না করা। আর পারিবারিক প্রয়োজনের সাথে মানিয়ে নেওয়া। সপ্তাহের মাঝদিকে টিভিতে সিনেমা দেখা ও কাছের প্রিয়জনদের সাথে গল্প করার চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে। সপ্তাহের শেষ দিকে ব্যক্তিগত সমস্যা মানসিক সুখ নষ্ট করতে পারে। এই চাপ সমামলাতে আকর্ষণীয় কিছু করার মাধ্যমে মানসিক ব্যয়ামে নিজেকে জড়িয়ে রাখুন।

কর্কট রাশি (২১ জুন – ২২ জুলাই) সপ্তাহের শুরুতে আর্থিক দিক থেকে শুভ হওয়ার কারণে সঞ্চয় যোগ প্রবল। কোনো ব্যবসায়িক / আইনি কাগজপত্র ভালোভাবে না পড়ে সই করবেন না। যোগাযোগ দক্ষতা হৃদয়গ্রাহী হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে বাড়ির সমস্যায় তাৎক্ষণিক মনযোগ দেওয়া দরকার। পরিবারের জন্য মহান ও উপযুক্ত ‍ঝুঁকি নিন। সপ্তাহের শেষদিকে ভালোবাসার সঙ্গীর সাথে প্রেমের সমুদ্র মন্থন করবেন আর প্রেমের উচ্চতার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

সিংহ রাশি (২৩ জুলাই – ২২ অগাস্ট) সপ্তাহের শুরুতে মনের শক্তি ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির অনকূলে হতে পারে। নিষ্ঠা ও কঠোর শ্রম দৃষ্টিগোচর হবে আর আর্থিক পুরস্কার নিয়ে আসতে পারে। সপ্তাহের মাঝদিকে নিকটজনের কোনো শুভ খবর বিশেষভাবে আনন্দিত হতে পারেন। এমন জায়গায় সময় কাটাতে পারেন যেখানে দুর্দান্ত লোকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ যথেষ্ট। সপ্তাহের শেষদিকে বন্ধুরা এখন খুব সহায়ক, তবে এরজন্য দ্রুত প্রতিদান দিতে হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটাবেন।

কন্যা রাশি (২৩ অগাস্ট – ২২ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে ব্যয় বাহুল্যের ফলে সাংসারিক অশান্তি দেখা দিতে পারে। অতীত উদ্যোগুলো থেকে আসা সাফল্য আপনার প্রত্যয় বাড়িয়ে তুলবে। প্রেমিক প্রেমিকাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির অবসান। সপ্তাহের মাঝদিকে অভিভাবকের সম্প্রসারিত সহায়তার সাথে সাথে আর্থিক ঝঞ্ঝাট পার হয়ে যেতে পারে। রক্ষণশীল বিনিয়োগ করে আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের দেখা পেতে পারেন। সাংবাদিকদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে। যদি ভ্রমণ করেন তাহলে জরুরি কাগজপত্র নিয়েছেন কিনা লক্ষ রাখুন। ভ্রমণেই প্রেমের যোগাযোগ আসতে পারে।

তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর – ২২ অক্টোবর) সপ্তাহের শুরুতে ফেলে রাখা কাজের পরও প্রেম ও সামাজিকতা মনে প্রভাব বিস্তার করবে। অর্থ তখনই কাজে আসে যখন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। সপ্তাহের মাঝদিকে দায়িত্ববান স্বাবলম্বী ও বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারেন। সপ্তাহের শেষদিকে সম্ভবত অনেক বিনিয়োগ করে মুনাফা এনে দিতে পারে। আর্থিক বিনিয়োগের সময় কোনো দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন না।

বৃশ্চিক রাশি (২৩ অক্টোবর – ২১ নভেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে আইটি পেশাদাররা তাদের সাহস প্রমাণ করার জন্য সুযোগ পাবেন। সামাজিক ও ভালোবাসা-ময় জীবনে অনেক উৎসাহ পাবেন। রাজনীতিবিদরা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সবার নজরে পড়তে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে আর্থিক সমস্যা চিন্তা সামর্থ্যকে বিনষ্ট করতে পারে। সতর্ক থাকুন। কেউ আপনার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করতে পরে। সপ্তাহের শেষদিকে জীবনকে উপভোগ করার চাহিদা কতটা দেখে নিন। আর কঠোরভাবে সেই চেষ্টা করুন। নিশ্চিতভাবেই আপনি সৌভাগ্যবান, কারণ সময়টি আপনার জন্য অনুকূল।

ধনু রাশি (২২ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) সপ্তাহের শুরুতে বিদেশি আমদানী রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে যুক্ত যারা অপ্রত্যাশিত ফলাফল পাবেন বলে আশা করা যায়। কর্মকর্তারা কর্মক্ষেত্রে মেধার পুরো ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহের মাঝদিকে আশা আকঙ্ক্ষা একটি সুন্দর কোমল সুগন্ধি ও উজ্জ্বল ফুলের মতো প্রস্ফূটিত হবে। রসিক স্বভাব সামাজিক অনুষ্ঠানে আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। সপ্তাহের শেষদিকে অর্থের অভাব পরিবারে মতবিরোধের কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলার আগে ভালো করে চিন্তা করুন।

মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ১৯ জানুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে সাবধানে থাকুন, শক্রুরা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ চূড়ান্ত আকারে দেবেন। সফর করা আনন্দদায়ক হবে আর অত্যন্ত লাভদায়ক হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে কাজ করার পেশাদাররা কোনো সুখবর পাবেন। কারও জন্য পদোন্নতির সুযোগ অত্যন্ত সম্ভাব্য। আনন্দ দ্বিগুন করার জন্য আপনার খুশি সহকর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। ধ্যান ও আধ্যাত্মিকতা যোগব্যায়াম মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি করবে।

কুম্ভ রাশি (২০ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তাহের শুরুতে শারীরিক অন্তরঙ্গতা সঙ্গীর সঙ্গে শ্রেষ্ঠ সময়ে পৌঁছাবে। বিবাহিত জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বিষয়গুলোকে সত্যিই অবিশ্বাস্য দেখাবে। মানসিক স্বচ্ছতা ব্যবসায়ে অন্য প্রতিযোগীদের থেকে আপনাকে একক প্রাধান্য প্রদান করবে। তুচ্ছ বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক বা ভুল ধারণা থাকতে পারে তবে সহজেই এড়ানোর চেষ্টা করুন। সপ্তাহের মাঝদিকে কোনো বিদেশি আত্মীয়ের কাছ থেকে পাওয়া উপহার আপনাকে খুশি করে তুলবে। ভ্রমণ বিনোদন আনন্দদাক হবে ও কর্মসূচীতে থাকবে। সপ্তাহের শেষদিকে পেশার ক্ষেত্রে পছন্দসই ফলাফল পেতে প্রচেষ্টায় মনোযোগ দিতে হবে। সাফল্য ও স্বীকৃতি আসবে যদি নিজেকে কাজেই কেন্দ্রীভূত থাকেন।

মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) সপ্তাহের শুরুতে কিছু অনিবার্য পরিস্থিতি আপনাকে কিছুটা অস্বস্তি দিতে পারে। শুধুমাত্র একটু প্রচেষ্টার সঙ্গে সময়টি বিবাহতি জীবনে সেরা সময় হতে পারে। ব্যবসায়ে এটি একটি অনুকূল সময় হবে। সপ্তাহের মাঝদিকে রাস্তায় থাকার সময় বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। রুক্ষ্ম মেজাজ কিছুটা ঝামেলায় ফেলতে পারে। সপ্তাহের শেষদিকে আরও ভালো পেশার সম্ভাবনায় গৃহীত সফর বাস্তবায়িত হতে পারে। বিদেশে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বা অর্থনীতি-বিষয়ক শিক্ষার ব্যাপারে অনুকূল অবস্থা পেতে পারে। গবেষণাকারীরা গবেষণায় সাফল্য পেতে পারেন।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন রাশিয়ার কাজানে ১৬তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই এ. রায়বকভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে। রাশিয়ার মস্কোতে পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠানের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার গুরুত্ব উল্লেখ করেন। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘পরিপক্ক’ সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

ব্রিকস সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য পররাষ্ট্র সচিব উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং ব্রিকস প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।

রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিকস প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার নতুন অঙ্গীকারে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশ্বাস দেন যে রাশিয়া সরকার ভবিষ্যতে ব্রিকসের সম্প্রকারণের সময় বৃহত্তর ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।

বহুপক্ষীয় বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে একটি টেকসই ও নিয়ম-ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার জন্য বহুপাক্ষিকতা ও বহুমেরু বিশ্বে দৃঢ় বিশ্বাস এবং বহুপক্ষীয় বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে রায়বকভ বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্সির অধীনে ব্রিকস ঘোষণা (কাজান ঘোষণা) উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাস্তব ও ফলাফল-ভিত্তিক সহযোগিতার ওপর মনোনিবেশ করবে।

তিনি নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)’র পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন এবং অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।

সভায় মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ জনাব ফয়সাল আহমেদ এবং উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। হামলায় আরও ১৯ ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

একই তথ্য নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে,  স্থল হামলায় অংশ নিতে দক্ষিণ লেবাননে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই হয় ইসরায়েলি সেনাদের। এতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ১৯ জন আহত হন।

হতাহতরা সবাই ৮নং আর্মড ব্রিগেডের ৮৯তম ব্যাটালিয়নের রিজার্ভ সেনা ছিলেন। এরমধ্যে মাওরি নামের এক সেনা ব্যাটালিয়নের উপকমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সেনা নিহতের তথ্য স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

তারা জানিয়েছে, নিহত সেনারা দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় তাদের লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা রকেট ছোড়েন। ওই সময় সেনাদের কাছে রসদ/অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছিল হামলায় হতাহত সেনারা।

প্রসঙ্গত, গাজা আগ্রাসনে দখলদারদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে এক বছর আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হিজবুল্লাহ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এটি তীব্র হয়েছে। ইসরায়েল দক্ষিণ লেবানন, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলী এবং বেকা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করেছে, হিজবুল্লাহর অনেক শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে এবং সীমান্তের ওপারে স্থল সেনা পাঠাচ্ছে। হিজবুল্লাহ তার অংশের জন্য ইসরায়েলের গভীরে রকেট নিক্ষেপ করেছে।

আন্তর্জাতিক

ভারতজুড়ে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একই সঙ্গে করানোর প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ হয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের লক্ষ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ। এর ফলে সংসদের অধিবেশনে এই নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কেন্দ্র বিল পাশে সক্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখা ও অর্থ অপচয় ঠেকাতে লোকসভা, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ও পৌরসভা-পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় প্রশাসনের ভোট একই সঙ্গে করা উচিত। প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০০ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই ভোট হয়ে গেলে ভারতের মতো গণতন্ত্রের দেশের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। উন্নয়নের কাজও ব্যাহত হবে না।

‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকরের বিষয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছিল মোদি সরকার। লোকসভা ভোটের আগেই গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা এবং সব ক’টি বিধানসভার নির্বাচন করানোর সুপারিশ করে আট খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার রিপোর্টটি জমা দিয়েছিল কোবিন্দ কমিটি। সেখানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ কমিটির অন্য সদস্যেরা।

রিপোর্টে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী, নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অভিমত নেওয়া হয়েছে।

তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি চালু করতে গেলে আগে সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন। সে জন্য দরকার বিলের পক্ষে দুই–তৃতীয়াংশের সমর্থন। সেই সমর্থন বিজেপি ও তার সহযোগীদের নেই। সংবিধানের সংশোধন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত বিধানসভাতে পাস করানোও বাধ্যতামূলক।

আন্তর্জাতিক

নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি দেন জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি এক বিলিয়ন ইউরোর সাহায্যে দেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদারদের একটিতে পরিণত হয়েছে। জার্মানি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

আখিম ট্রোস্টার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য জার্মানি আট বছরের মধ্যে ৬শ’ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে। এটি একটি বিশেষ সুবিধা। কারণ কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি যারা এই সহায়তা পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক

সৌদি গোয়েন্দা পরিষেবার সাবেক প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফয়সাল লন্ডন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসে এক বক্তৃতায় গাজা যুদ্ধের বছর পেরোনোর আগে শান্তি প্রক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন এবং জানান এই যুদ্ধের আগে শুরু হওয়ার আলোচনা (সৌদি- ইসরায়েল সম্পর্ক বিষয়ে) ইতিবাচকই ছিল।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী, কিন্তু রিয়াদের অবস্থান হল, যদি এমন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় যার অস্তিত্ব ইসরায়েল স্বীকার করে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে কথা শুরু করতে পারবো। খবর আরব নিউজ

এই সময় আল-ফয়সাল বলেন ১৯৮১ সালের কিং ফাহদ শান্তি পরিকল্পনা এবং বাদশাহ আবদুল্লাহ কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০০২ আরব শান্তি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, সৌদি আরব সবসময় এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে এসেছে। সৌদি আরব চায় ১৯৬৭ সালে সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেম যুক্তকরে একট স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র।

বক্তব্যে গাজা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে চাপ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি লবিস্ট গ্রুপের উপর থেকে কর রেয়াতের সুবিধা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলকে সমর্থন করবে না আমিরাত

ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের প্রভাবে দিনদিনই জনমত হারাচ্ছে ইসরাইল। শুরুর দিকে ইসরাইলকে সমর্থন দিলেও এখনও অনেকেই আর সমর্থন দিতে পারছেন না এই যুদ্ধে। ইসরাইলের নাগরিকরাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি। গাজায় বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এরইমধ্যে গণবিক্ষোভ করছে দেশটির নাগরিকরা। এই অবস্থায় ইসরাইলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের অবস্থান জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা গাজায় ইসরাইলের পরিকল্পনায় সমর্থন করবে না। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া গাজা যুদ্ধে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয়।’

এর আগে, গত মে মাসে, ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা অনলাইনে প্রকাশ করেন। যেখানে তার দাবি, এটি বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা অতুলনীয় সমৃদ্ধি উপভোগ করবে। এই পরিকল্পনায় বন্দর, সৌর শক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন এবং নতুন আবিষ্কৃত গাজা গ্যাসফিল্ডের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এই পরিকল্পনা যুদ্ধে বিজয়ের পর আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে সম্পন্ন করা হতো।

যেই রোডম্যাপে বলা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে পরিকল্পনাটি চালাবে। যা সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, জর্ডান এবং মরক্কোসহ আরব রাষ্ট্রগুলির একটি জোট তত্ত্বাবধান করবে।

যার প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুকে নিন্দা করেছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ। তার মতে, ‘এই পদক্ষেপটিতে বাস্তবায়ন বা অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়ার বৈধ কর্তৃত্বের অভাব ছিল। কেননা, গাজা পরিকল্পনা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি উপস্থিতি কভার প্রদানের লক্ষ্যে যে কোনও পরিকল্পনায় জড়িত হতে অস্বীকার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন একটি ফিলিস্তিনি সরকার গঠিত হবে যা ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনি জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। সততা, যোগ্যতা এবং স্বাধীনতার দ্বারা আলাদা হবে। তখন সংযুক্ত আরব আমিরাত সেই সরকারকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকবে।’