আন্তর্জাতিক

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, দুই দেশের নিহতের চূড়ান্ত সংখ্যা বর্তমান থেকে দ্বিগুণ হতে পারে।
আল জাজিরা বলছে, তুরস্ক থেকে গত এক সপ্তাহে ২৯ হাজার ৬০৫ জনের নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭৪ জন।

গত সোমবার দুই দেশে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১৭৯ জন নিহত হয়েছে। তুরস্কে নিহতদের কবর দেওয়ার মতো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই গণকবর দিতে বাধ্য হতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে এর প্রমাণ মিলেছে। পরিখা খনন করে তার ভেতর মরদেহ রেখে মার্বেলের স্ল্যাব বসিয়ে মরদেহ কবর দেওয়া হচ্ছে বলে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।

তুরস্কে আহতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ৮০ হাজার বলা হচ্ছিল। সিরিয়ায় আহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়।

এ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তুরস্ক ও সিরিয়ায় বেঁচে যাওয়া লাখ লাখ মানুষ। খাবারসহ জরুরি নানা পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে দুই দেশে আক্রান্ত এলাকাগুলোয় ৮ লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত সংকটে রয়েছে।

তীব্র শীতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন দুই দেশের হাজার হাজার ভবন ভেঙে পড়েছে। তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ ধীরগতিতে করতে হচ্ছে। যেসব এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি সেসব এলাকায় এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ। তাদের জীবিত উদ্ধার করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

তারপরও কিছু কিছু এলাকা থেকে জীবিত নারী-শিশু-পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ হাতায় প্রদেশে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে উদ্ধারকারীরা এক শিশুকে উদ্ধার করেছে। ভূমিকম্পের ১৫০ ঘণ্টার পর মেয়ে শিশুটি উদ্ধার হয়।

এদিকে, ন্যুজ হয়ে পড়া তুরস্কে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তাকে ইস্তাম্বুলের ভাদেত্তিন প্রাসাদে স্বাগত জানান এরদোয়ান।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে দোহা ত্যাগ করেন থানি। দুই নেতার সাক্ষাতের একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে টুইটারে। সরকারি প্রতিনিধি দল নিয়ে তুরস্ক সফর করছেন আমির আল থানি।

দেশের দুর্গত পরিস্থিতিতে তুরস্কে খাবারের জন্য লুটপাট হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় লুটপাটের পাশাপাশি জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশ থেকে ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান তুরস্কে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন লুটপাটকারীদের কঠোরভাবে দমনের পক্ষে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক

 জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত বেলজিয়ামের রানি মাথিলদা বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিন ব্যস্ত সময় পার করেছেন।

আজ সকালে ঢাকার জাতিসংঘ টিম রানি মাথিলদকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান।

তিন দিনব্যাপী এই সফরে বেলজিয়ামের রানি সরকার ও জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এসডিজি নিয়ে কাজ করছে এমন একাধিক জাতিসংঘ সংস্থার প্রকল্প এলাকাগুলো পরিদর্শন করবেন। এসব এসডিজি প্রকল্পগুলোর মধ্যে শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, যথাযথ কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পণ্যের দায়িত্বশীল ব্যবহার ও উৎপাদন এবং জলবায়ু বিষয়ক কার্যক্রম অন্যতম।

করোনা মহামারি বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অগ্রগতিকে স্থবির করে দেওয়ার পাশাপাশি উল্টোদিকে প্রবাহিত করেছিল। পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটকে বেগবান করেছে। এ দুই প্রেক্ষাপটের আলোকে এই সফর এসডিজি- এর বর্ধিত গুরুত্বকে তুলে ধরার পাশাপাশি এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গতিশীলতা ও প্রতিশ্রুতি সবার নজরে আনবে।

শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে জাতিসংঘের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও এদেশের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দেখা করতে রানি একদিনের সফরে কক্সবাজারও যাবেন।

সফরের প্রথম দিন রানি নারায়ণগঞ্জের ফকির অ্যাপারেলস লিমিটেড নামক একটি গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শন করেন। কারখানাটির এক তৃতীয়াংশ জনবল নারী, যারা জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) পরিচালিত ‘জেন্ডার সমতা ও রিটার্ন্স প্রকল্প (জিইএআর)’ এবং ‘কর্মজীবী মায়েদের’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৪৭টি ব্র্যান্ড, নিয়োগকর্তা সমিতির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে, বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামটি ৪৫০টি কারখানাকে সহযোগিতা করে যা বাংলাদেশের ১.২৫ মিলিয়নেরও বেশি শ্রমিককে উপকৃত করেছে। এই কাজ জেন্ডার সমতা অর্জন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখা এবং সবার জীবিকা ও শোভন কাজ বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনে অবদান রাখে।

বেলজিয়ামের রানি ওই কারখানায় কর্মরত কিছু নারী কর্মীদের অঙ্গে কথা বলেন ও শিশু-যত্ন সুবিধাগুলো পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশে আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিয়ানেন বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে বেলজিয়ামের রানি বাংলাদেশে শোভন কাজ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের পাশে রয়েছেন। আমরা শোভন কাজের নিশ্চয়তার বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো গতিশীল দেশগুলোর জন্য বৈষম্য, দারিদ্র, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ সুগম হবে।

এরপর  রানি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অবস্থিত সামর্থ্যভিত্তিক দ্রুত শিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। করোনা মহামারি কীভাবে শিশুদের জীবন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটিয়েছে সেসব নিয়ে তিনি সেখানে শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন।

গুণগত শিক্ষা বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইউনিসেফ সহায়তাপুষ্ট শিখন কেন্দ্রগুলো ও ক্যাচ-আপ কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে বা ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। অথবা আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় কখনো অংশগ্রহণ করেনি এরকম ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৮০,০০০ এর অধিক বাংলাদেশি শিশুকে সহজে অর্জনযোগ্য শিক্ষা প্রদান করা হয়। এই শিশুরা যখন বয়স উপযুক্ত দক্ষতাগুলো অর্জন করে, এবিএএল কেন্দ্রগুলো তাদের আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ায় সহায়তা করে।

বেলজিয়ামের রানি মাথিলদা সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেলজিয়ামের রানিকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

আন্তর্জাতিক

পরপর দুটি বড় ধরনের ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ।

বহুতল ভবন ধ্বসে চাপা পড়ে আছেন আরও বহু মানুষ। দেশ দুটির হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নিতে ঢেউয়ের মতো আহতরা ভর্তি হচ্ছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, তুরস্কে সর্বশেষ ১ হাজার ৪৯৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে পরপর ‍দুটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে। সিরিয়ায় ভূমিকম্পের আঘাতে মারা গেছে ৭৮৩ জন।

বিবিসি বলছে, তুরস্কে ১ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। দেশটিতে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। বিকেলে আরেকটি ভূমিকম্প হয় রিখটার স্কেলের ৭ দশমিক ৫ মাত্রায়। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৪০টি স্বল্পমাত্রার ভূকম্পন হয়েছে।

কম্পন টের পাওয়া গেছে লেবানন, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলেও।

সিরিয়ায় ভোরে হওয়া ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৮৩ জন।

দুই দেশে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক। এ দেশটিতেই কেবল নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। সংস্থাটি বলেছে, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে এক লাখেও পৌঁছে যেতে পারে। ক্ষতি হতে পারে ১ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারের।

তুরস্কে শীতকালীন তুষার ঝড়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শহরে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। আক্রান্তদের উদ্ধারে সচেষ্ট রয়েছেন উদ্ধারকারীরা।

ভূমিকম্পে সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, তারতুস প্রদেশে অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তুরস্কের কাহরামানমারাস, হাতায়, গাজিয়ানটেপ, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালত্যা, শানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির, কিলিস শহরে। এসব এলাকার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্থগিত করা হয়েছে হাতায় প্রদেশের বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলো। মারাস ও আন্তেপের বিমানবন্দরে বেসামরিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে।

ভূমিকম্পের ঘটনায় টুইট করে ভুক্তভোগীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, কত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে অনুমান করা যাচ্ছে না। আশা করছি দ্রুত সম্ভব আমরা কম ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্যোগটি একসঙ্গে কাটিয়ে উঠবো। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য ইউনিট সতর্ক রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।

মিয়ানমারে জারি থাকা জরুরি অবস্থা আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে জান্তা সরকার। সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।

বুধবার রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ত সোয়ে নেতাদের এক বৈঠকে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেন। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তিতে এদিন বিক্ষোভকারীরা নীরব ধর্মঘট পালন করেছে।

জান্তা নেতা মিন অং হ্লায়িং মঙ্গলবার সেনা-সমর্থিত ন্যাশনাল ডিফেন্স এন্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনডিএসসি) এক বৈঠকে এও বলেছেন যে, জনগণের ইচ্ছানুসারে বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা উচিত।

তবে তিনি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনও দিনক্ষণ জানাননি। জরুরি অবস্থা জারি থাকার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায় না।

মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ত সোয়ে এমআরটিভি-তে সম্প্রচারিত বৈঠকে বলেছেন, “যদিও সংবিধানের ৪২৫ ধারা অনুযায়ী, জরুরি অবস্থা কেবল দুইবার মঞ্জুর করা যায়, কিন্তু বর্তমানে অন্যরকম পরিবেশ-পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে জরুরি অবস্থা আরও ছয়মাসের জন্য বাড়ানো যায়।”

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক জান্তা সরকার। এবছর জানুয়ারিতেই জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার কথা ছিল। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, এরপরই নির্বাচন অনুষ্ঠান করা নিয়ম।

সামরিক জান্তা সরকার এর আগে এবছর অগাস্টে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে যোগ্য হতে রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর শর্তও বেঁধে দেয় তারা। কিন্‌তু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি।

দুবছর আগে মিানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিশৃঙ্খলা চলছে। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বিক্ষোভকারীরা। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, সংঘাত, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই। বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।

গঠিত হয়েছে জান্তাবিরোধী সরকার এবং প্রতিরোধ বাহিনী। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জান্তা সরকারের ওপর নতুন করে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

আবারও ভারতের মুকেশ আম্বানি এশিয়ার শীর্ষ ধনী।

আদানি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন বুধবারও অব্যাহত থাকায় এবার এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট হারালেন গৌতম আদানি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সার্বিকভাবে আদানি গ্রুপের মূলধন কমে সাত হাজার ৬৮০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আর ফোর্বস ম্যাগাজিনের সেরা ধনীর তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার গৌতম আদানি নেমে গেছেন ১৫তম স্থানে।

আট হাজার ৩৬০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকায় নবম স্থানে উঠে এসেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাসট্রিস লিমিটেডের প্রধান মুকেশ আম্বানি। সেইসঙ্গে ফিরে পেয়েছেনে এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট। গত বছর মুকেশ আম্বানিকে হঠিয়েই এশিয়ার শীর্ষ ধনী হয়েছিলেন গৌতম আদানি।

সপ্তাহখানেক আগে আমেরিকার অর্থলগ্নি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গের একটি গবেষণা প্রতিবেদ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপ। ওই সময়ও গৌতম আদানি বিশ্বের তৃতীয় ধনী ছিলেন।

কিন্তু হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর হু হু করে তার বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দরপতন শুরু হয়।

হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে কী এমন ছিল যা আদানিকে তৃতীয় থেকে পঞ্চদশে ঠেলে নামিয়েছে?

হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, আদানি গ্রুপ তাদের স্টক ও সম্পদের হিসাবের বিষয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাদের সম্পদের পরিমান ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। গত এক দশক ধরে আদানি গ্রুপ এই জালিয়াতি করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

যদিও আদানি গ্রুপ ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করে সেগুলোকে ভিত্তিহীন বলেছে।

আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারকে গৌতম আদানির ব্যবসার ইনকিউবেটর হিসেবে বর্ণনা করা হয়। যেটির শেয়ারের দাম বুধবার ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ‍

অন্যদিকে, আদানি পাওয়ারের শেয়ার ৫ শতাংশ এবং আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের দাম এদিন ১০ শতাংশ কমে গেছে।

আদানি ট্রান্সমিশন ৬ শতাংশ এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের শেয়ারের ২০ শতাংশ পতন হয়েছে।

হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আদানি টোটাল গ্যাস। ফ্রান্সের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি প্রতিষ্ঠান টোটাল এবং আদানি গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দুই হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার হারিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকায় অবস্থানরত সাতটি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

সাত বিদেশি কূটনীতিক হলেন, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সমীর, ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এসওয়াই রামাদান, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এশা ইউসেফ এশা আলদুহাইলান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামৌদি।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছিলেন এবং তিনি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

বিদেশি কূটনীতিকরা বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবেলা এবং বাংলাদেশের বিগত ১৪ বছরের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তারা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে এবং সুখে আছে। তাই, মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে তারা (দূত) খুশি এবং গর্বিত।

ওআইসি’র কূটনীতিকরা উল্লেখ করেন, প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করছেন এবং তারা ঐসব দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন।

তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে এবং তারা আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাঁর সাফল্য কামনা করেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তিনি চান নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাঁকে ভোট দিলে তিনি আবার ক্ষমতায় আসবেন, অন্যথায় নয়। কারণ, তিনি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজের জন্য নয় বরং দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করাই তাঁর লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সব গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য বাসগৃহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ‘এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রায় ৪০ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ৪০ হাজার আবাস বিতরণের পর কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না’, তিনি যোগ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আর কোনো রোহিঙ্গা নেই বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ইমদাদ হকের সার্বিয়া ভ্রমণবিষয়ক ‘সার্বিয়া: শুভ্র শহরের দেশে’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আব্দুল মোমেন বলেন, শূন্যরেখায় আর কোনো রোহিঙ্গা নেই। অনেক বছর ধরে শূন্যরেখায় কিছু রোহিঙ্গা ছিল। এরা মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে ভালো খবর হলো- সেখানে (শূন্যরেখায়) আর কোনো রোহিঙ্গা নেই। তাদের রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। আমাদের কিছু অসুবিধা হচ্ছে, দেখা যাক কী হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন রাখাইনে দুই পক্ষ যুদ্ধ করছে। তারাই এসব রোহিঙ্গার ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। আর এদের মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছে। কী করবেন। সব লোককে ঢুকতে দিইনি। তবে যারা ঢুকেছে তাদের আমরা নম্বর (রেজিস্ট্রেশন) দিচ্ছি। আবার এদের মধ্যে অনেকের ইউএইচসিআরের কার্ডও রয়েছে। ওদের তো আমরা বিদায় করতে পারছি না।

নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক

২০১৩ সালের ধর্ষণের একটি মামলায় এবার ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর (৮১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

মঙ্গলবার গুজরাটের একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় সোমবারই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসারাম বর্তমানে যোধপুর কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন।

আশ্রমের এক সাবেক শিষ্যা আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা চলছিল এতদিন।

আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, জোর করে আটকে রাখা, নারীদের সঙ্গে অপরাধমূলক কাজ করা, মারধর করা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।

তবে সেশন কোর্টের বিচারপতি ডিকে সোনি আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মীবেন, তাদের মেয়ে ও চার শিষ্যকে অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন।

রায় প্রসঙ্গে আসারামের আইনজীবী সিবি গুপ্তা জানিয়েছেন, গুজরাট হাইকোর্টে সেশন কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে। প্রায় সাড়ে ৯ বছর ধরে ট্রায়াল চলেছে। ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।

এদিকে ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর আসারামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আমেদাবাদের একটি থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সুরাটের এক নারী আসারামের আশ্রমে থাকতেন। সেই সময় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে তিনি আশ্রম থেকে পালিয়ে যান।

এদিকে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। নির্যাতিতা নারীর বোনকে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠে আসারামের ছেলের বিরুদ্ধে। সেই ছেলে নারায়ণ সাইকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুরাটের দায়রা আদালত।

এদিকে ২০১৩ সালে আশ্রমের মধ্যেই এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন আসারাম। এরপর তাকে ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। যোধপুরের একটা আদালত তাকে এরপর দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এবার ফের অপর ধর্ষণের মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে। সেখানে যাবজ্জীবন হলো তার।

আন্তর্জাতিক

অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানে করে চন্দ্রাভিযানে যাওয়া তিন নভোচারীর মধ্যে তিনিই এখন কেবল জীবিত আছেন।

বিয়ে করেছেন অ্যাপোলো-১১ মহাকাশযানের তিন মহাকাশচারীর একজন বাজ অলড্রিন। নিজের ৯৩তম জন্মদিনে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ৬৩ বছরের আনকা ফাউরকে বিয়ে করেন তিনি।

১৯৬৯ ‍সালে মানুষ নিয়ে প্রথম চাঁদে অবতরণ করা অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানের চালক ছিলেন অলড্রিন। তার দুই সফর সঙ্গী দলনেতা নীল আর্মস্ট্রং এবং কমান্ড মডিউল চালক মাইকেল কলিন্স।

নীল আর্মস্ট্রংয়ের পর বাজ অলড্রিনই দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি চাঁদের বুকে হেঁটেছেন। দুইজনে ১৯ মিনিট চাঁদের বুকে হেঁটেছিলেন।

শনিবার নিজের টুইটার একাউন্টে বিয়ের খবর এবং ছবি পোস্ট করেন অলড্রিন।

লেখেন, ‘‘আমার ৯৩তম জন্মদিনের দিন এবং এই দিনে আমি ‘লিভিং লিজেন্ডস অব অ্যাভিয়েশ’ হিসেবেও সম্মানিত হবো, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, আমার দীর্ঘদিনের ভালোবাসা ড. আনকা ফাউর এবং আমি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।”

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে নিয়ে ছোট্ট পরিসরে বিয়ের আয়োজন সারেন বলেও জানান তিনি।

রোমানিয়ায় জন্ম নেওয়া ফাউর বর্তমানে ‘বাজ অলড্রিন ভেঞ্চার্স’ এর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

তিনি পিটর্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেছেন।

অলড্রিন এর আগে আরো তিনবার বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তার তিন সন্তানও রয়েছে।

১৯৫৪ সালে প্রথম বিয়ে করেন জোয়ান আর্চারকে। সেই বিয়ে টেকে ২০ বছর। দ্বিতীয় বিয়ে করেন ১৯৭৫ সালে, যা টিকেছিল মাত্র তিন বছর। ১৯৮৮ সালের তৃতীয়বারের মতো লয়েস ড্রিগসের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অলড্রিন। ২০১২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

একজন নভোচারী হিসাবে নিজের উজ্জ্বল কর্মজীবনে তিনবার মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার ঝুলিতে। ১৯৭১ সালে অবসরগ্রহণ করে অলড্রিন।

অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানে করে চন্দ্রাভিযানে যাওয়া তিন নভোচারীর মধ্যে তিনিই এখন কেবল জীবিত আছেন।

আন্তর্জাতিক

কিছু মানুষের চরিত্রই হচ্ছে অন্যকে নিচে নামানো ও ভালো না চাওয়া, এই তালিকায় আছে মিডিয়াও- এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

শনিবার সিলেটের চাঁনপুর এলাকায় সুরমা নদীর খনন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মানুষের ও মিডিয়ার চরিত্রের দিকে ইঙ্গিত করে ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, সারা দেশেই বোধ হয় এই ক্যারেক্টার, আমরা খালি (কেবল) মানুষকে নিচে নামানোর জন্য উঠেপড়ে লাগি। ওপরে ওঠানোর চেষ্টা কেউ করেন না, শুধু নামানোর চেষ্টা করেন। আর মিডিয়াও ওই লাইনেই আছে।

এ সময় কূটনীতিক মো. তৌহিদুল ইসলামকে অস্ট্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রস্তাব নাকচ করার পেছনে তার মন্ত্রণালয়ের সহকর্মীরা জড়িত থাকলেও তিনি তার পক্ষ অবলম্বন করেই যাবেন বলে জানান মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিক মো. তৌহিদুল ইসলামের প্রশংসা করে বলেন, সে (তৌহিদুল) ভেরি গুড অফিসার এবং তুখোড় ছেলে। বর্তমানে সে আমাদের অ্যাম্বাসেডর ইন সিঙ্গাপুর। তাকে আমরা ভিয়েনাতে দিতে চাই। সেখানে যেয়ে মাল্টিন্যাচারাল কাজ আছে আমাদের ধারণা।

মোমেন বলেন, সে যখন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পরীক্ষা দেয়, তখন সারা বাংলাদেশের মধ্যে সে প্রথম হয়। তারপরে সে তার ব্যাচের ফার্স্টবয় ছিল। ভালো, তুখোড় ছেলে। এখন ওরে টেনে কিভাবে নামানো যায়, তার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের লোকজন, তারই বন্ধুবান্ধবরা কন্টিনিউয়াসলি (ক্রমাগত) কাজ করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তৌহিদুলের শত্রু আছে। শত্রু ওখানে গিয়ে, সে যখন ইতালির মিলানে কনসাল জেনারেল ছিল, কনসাল জেনারেল থাকা অবস্থায় কোনো একটা মেয়েকে তার পেছনে লাগিয়ে দেয়। লাগিয়ে দিয়ে একটা কেলেঙ্কারির চেষ্টা করে। তখন তাকে সাসপেন্ড করা হয়, অনেক ইনভেস্টিগেশন করা হয়, সরকারের অনেক টাকা, আপনাদের টাকা খরচ করা হয়। পরে দেখা যায় একেবারে বানোয়াট। তারপর তার প্রমোশন হয়, তারপর অ্যাম্বাসেডর হয়। এখন তার বিরুদ্ধে আবার লাগছে একদল, তারই বন্ধুবান্ধব হবে। আর না হয় পত্রিকায় এগুলো গেল কিভাবে? হি ইজ অ্যা ভেরি গুড অফিসার। আমি যত দিন আছি, আই উইল ডিফেন্ড হিম।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই থেকে গুরুত্বপূর্ণ অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা মিশনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পদ শূন্য। এ পদে কূটনীতিক মো. তৌহিদুল ইসলামকে দিতে চায় ঢাকা। তাকে নিয়োগ দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা ভিয়েনায় পাঠানো হয়। কিন্তু অস্ট্রিয়া সরকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে তৌহিদুল ইসলামকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন অস্ট্রিয়া সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেন। চিঠিতে তিনি তৌহিদুলকে গ্রহণ করতে অনুরোধ জানান। কিন্তু এরপরও ভিয়েনা থেকে তৌহিদুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।

তৌহিদুল ইসলাম যখন ইতালির মিলানে কনসাল জেনারেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে অধস্তন এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। সেটির কারণে হয়ত তৌহিদুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভিয়েনা গ্রহণ করছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।