আন্তর্জাতিক

নির্বাচনে কে জয়লাভ করছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চিন্তা করে না, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করে। সম্পাদক পরিষদের মতবিনিময় সভায় মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এ সময় তিনি নির্দিষ্ট কোনো দলের পক্ষ না নেওয়ার বিষয়টিও অবহিত করেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।

পিটার হাস বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনটির আগে থেকেই নির্বাচন শুরু হয়। এসব কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর গুরুত্বারোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকরা রাষ্ট্রদূতকে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অবগত করেন। এ প্রসঙ্গে বলা হয়, শুধু কঠোর আইন নয়, গণমাধ্যমের মালিকানাও চ্যালেঞ্জ। রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই অধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক স্বচ্ছতা নিয়ে অব্যাহত চাপ ও বিতর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে নানা চাপ মোকাবিলা করছে- এমন বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুদ্ধের আগে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা ছিল, বর্তমানে কেউ সেই অবস্থানে বা তার চেয়ে ভালো নেই। তবে এটা সত্যি যে, কিছু দেশ অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি খাতের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে তার ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, কীভাবে দুই দেশের মাঝে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যায় সেই আলোচনা। এজন্য আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত সেটিও ভাবতে হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়ার পক্ষে মত দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত কার্যক্রমে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সের (জিএসপি) নীতিমালার আওতায়। যেখানে বাংলাদেশ প্রবেশাধিকার হারিয়েছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য যেখানে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তবে সামগ্রিক শ্রমঅধিকার পরিস্থিতি ওই সব সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা।

খুব দ্রুত সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হবে- এমন প্রত্যাশা না রেখেই তাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত উন্মুক্ত করার বিষয়ে প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রেখে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার জান্তাকে চাপ দিতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। যদিও তাদের প্রত্যাবাসন হওয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে তারা যেন প্রতিশ্রুতির অভাবে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ে।

সংগঠনটির সভাপতি ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আজকের পত্রিকা সম্পাদক গোলাম রহমান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইল যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামাদি দিয়ে চলমান যুদ্ধে সহায়তা করে তাহলে তেলআবিবের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে শুক্রবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল যদি নিজে সরাসরি অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে তাহলে মস্কো তার উপযুক্ত জবাব দেবে।

তবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রাশিয়া কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে ওই রিপোর্টে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। ব্লুমবার্গ টেলিভিশন নিউজ নেটওয়ার্কের।

ইসরাইল সম্প্রতি ইউক্রেনকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামাদি পাঠানোর চিন্তা করছে। তবে ইসরাইলে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে তেলআবিব এই নীতি অব্যাহত রাখবে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক আছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

গত ১৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী নাকম্যান শাই বলেছিলেন, ইরান রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের জন্য এখন ইসরাইল থেকে অস্ত্র পাওয়ার সময় হয়েছে।

এর জবাবে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছিলেন, ইসরাইল যদি উন্মাদনার বশে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয় তাহলে তেলআবিবের সঙ্গে মস্কোর সব সম্পর্ক ধ্বংস হয়ে যাবে।

আন্তর্জাতিক

ঝড় ও তুমুল বৃষ্টির মধ্যে বাকুবা বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করার সময় প্রিসিশন এয়ারের ফ্লাইট পিডব্লিউ৪৯৪ হ্রদে আছড়ে পড়ে।

তাঞ্জানিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাশিম মাজালিওয়া বলেছেন, আফ্রিকার সর্ববৃহৎ হ্রদ ভিক্টোরিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া যাত্রীবাহী বিমানটির অন্তত ১৯ আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার সকালের দিকে ঝড় ও তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কাছের বাকুবা বিমানবন্দরে নামার চেষ্টা করার সময় প্রিসিশন এয়ারের ফ্লাইট পিডব্লিউ৪৯৪ হ্রদে আছড়ে পড়ে বলে তাঞ্জানিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম টিবিসির খবরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা নৌকায় করে বিধ্বস্ত বিমানের কাছে পৌঁছে লেজের কাছের অংশ বাদে বাকি অংশ পানির নিচে দেখতে পান, জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

একাধিক ছবিতেও বিমানটির কেবল সবুজ-বাদামি রংয়ের লেজের অংশ পানির ওপরে ভেসে থাকতে এবং এর চারপাশে জেলেনৌকা ও উদ্ধারকর্মীদের দেখা গেছে।

“যে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের জন্য তাঞ্জানিয়ার সবাই শোকার্ত,” হ্রদের ধারের শহর বুকোবাতে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া।

কী ঘটেছিল, তদন্তকর্মীরা তা খতিয়ে দেখছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালাম থেকে যাত্রা শুরু করে এবং বুকোবা বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটের দিকে হ্রদে পড়ে, বিবৃতিতে বলেছে প্রিসিশন এয়ার।

বিমানটিতে একটি শিশুসহ ৩৯ যাত্রী ও ৪ ক্রু ছিল, বলেছে তারা। ৪৬ আরোহীর মধ্যে ২৬ জনকে উদ্ধারের খবরও বিবৃতিতে দিয়েছিল তারা।

পরে আরও বিস্তারিত জানতে এয়ারলাইন্সটির কর্মকর্তাদের ফোন করা হলেও তারা তা ধরেননি। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নিহতের সংখ্যার সঙ্গে এয়ারলাইন্সের বিবৃতিতে থাকা আরোহী ও উদ্ধারের সংখ্যায় অমিল দেখা যাচ্ছে; তাৎক্ষণিকভাবে কোনটা ঠিক কিংবা উদ্ধার আরোহীদের কেউ পরে মারা গেছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ভিডিও ফুটেজে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেককে হ্রদটির তীরে দাঁড়িয়ে এবং কাউকে কাউকে অগভীর পানিতে নেমে দড়ির সাহায্যে বিমানটিকে তীরে নিয়ে আসার চেষ্টায় শামিল হতে দেখা গেছে।

প্রথমদিকে উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে ককপিটে থাকা চালকদের যোগাযোগ ছিল বলে কাগেরা অঞ্চলের প্রধান প্রশাসক আলবার্ট কালমিলা সাংবাদিকদের বলেছেন।

চালকরাও সম্ভবত মারা গেছেন, পরে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক

চীন তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় কর্মরত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় তবে, চীন সব ধরনের সহায়তা দেবে। তবে আমরা বুঝতে পারি তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের ওপর বাইরের চাপ আছে। কেন না এই প্রকল্প ভূ-রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর। গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরাম।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বাংলাদেশ-চীন সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশে পানি সমস্যা সমাধানে তিস্তা প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদেরও অনেক নদী রয়েছে। চীন হাজার বছর ধরে পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা গ্রহণ করেছি। এখন এটা নিয়ে সমীক্ষা চলছে।

তিস্তা নদীর উৎসে বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করছে চীন, এমন মিডিয়া রিপোর্টের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এর উৎস সিকিমে (ভারতের একটি রাজ্য), চীনে নয়। এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট রিপোর্ট। বাংলাদেশ ভাটির দেশ মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি অনুযায়ী সীমান্তের কাছে কোনো ধরনের বাঁধ নির্মাণ করা হবে না এবং বিপরীত স্রোতের কারণে উজানের দেশের জন্য এটি ক্ষতিকর নয়। এই প্রকল্প উজানের দেশের জন্য কোনো ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। আমাকে কয়েকজন বলেছে এই প্রকল্পের বিষয়ে যেন আমি সাবধানে থাকি। কারণ এর স্পর্শকাতরতা আছে। বিশেষ করে ভূরাজনৈতিক। তিনি বলেন, অর্থ বা প্রযুক্তি নয়, বরং বাংলাদেশের সরকারের দৃঢ় সংকল্প এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় জিনিস।

এক প্রশ্নের উত্তরে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট একটি আঞ্চলিক ইস্যু। এই সংকটের মধ্যস্থতা করছে চীন। তবে এখানে অনেক পক্ষ জড়িয়ে গেছে। কোনো কোনো পক্ষ গঠনমূলকভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না। আর চীনের প্রধান লক্ষ্যই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। তিনি আরো বলেন, চীন এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে। চীন এ বিষয়ে সবাইকে জানিয়ে কাজ করার পক্ষে নয়। চীন নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাইব, রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদ এবং স্বেচ্ছায় তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যায়। সমস্যার সমাধান দ্বিপাক্ষিকভাবে হওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হোক, এটিই চীনের চাওয়া।

রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ৯ কোটি ৬০ লাখ সদস্য রয়েছে। এটা বিশ্বের সব চেয়ে বড় পার্টি। এবারের কংগ্রেস এই পার্টির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে। এই নেতৃত্বে রয়েছেন শি জিন পিং। মার্ক্সবাদকে ভিত্তি করেই চীন এগিয়ে চলেছে। সিপিসি মার্ক্সবাদের মূলভিত্তি ধারণ করে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে আগ্রহী চীন। এই যুদ্ধের ফলে এশিয়ানরাও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কেন না দ্রব্যমূল্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। তবে চীন কোনো যুদ্ধ চায় না। শান্তি চায়।

চীন-বাংলাদেশে বন্ধু এবং গণতন্ত্রের মূল্য দেয় জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশের কৌশলগত বন্ধু। বাংলাদেশকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত চীন। অতীতেও সহযোগিতা করেছি; ভবিষ্যতেও করবো। চীন গণতন্ত্রকে মূল্য দেয়। তবে শুধু ভোট দেয়াটাই গণতন্ত্র নয়। আমরাও গণতন্ত্র চর্চা করি।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার মত হচ্ছে, উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার। আমরা আশা করি এদেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে যাতে আর্থ-সামাজিক উন্নতি অব্যাহত থাকে। চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না। আমরা এখানের সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থিতিশীলতা চাই।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, চীন বর্তমানে তার শক্তি বাড়িয়ে চলছে। তবে চীন কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না। তারা শান্তি চায়। আর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে জ্বালানি সঙ্কট শুরু হয়েছে। চীন এই যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করে সমাধান চাইছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চীন প্রধান বিশ্ব শক্তিতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে।

আন্তর্জাতিক

লংমার্চে সশস্ত্র হামলার শিকার হওয়ার এক দিন পর শুক্রবার মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর ওপর হামলার জন্য বিষয়ে জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানলেন তিনি।

পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইমরান খানের ওই বক্তব্য সরাসরি প্রচার করা হয়। ন্যায়বিচারের উদাহরণ টানতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন ইমরান খান। তাঁর দলের সঙ্গে জুলুম হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে কী হয়েছিল? সবচেয়ে বড় যে রাজনৈতিক দল নির্বাচনে জিতেছিল, তাদের ওপর দমন–পীড়ন চালিয়েছিল সামরিক বাহিনী। তাদের যে অধিকার ছিল, তা দেওয়া হয়নি।

ইমরান বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১৯৭১ সালে খেলতে গিয়েছিলাম পূর্ব পাকিস্তানে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমের ওপর তখন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। আমার জানা ছিল না, সেখানকার মানুষের ভেতরে কী পরিমাণ ঘৃণা জমেছিল। কেন ঘৃণা জমেছিল? তারা নির্বাচনে জিতেছিল আর আমরা তাদের সেই অধিকার দিচ্ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রী তাদের হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা এখানে (পশ্চিম পাকিস্তানে) বসে সিদ্ধান্ত নিলাম, আমরা তাদের প্রধানমন্ত্রী হতে দেব না।’

আন্তর্জাতিক

ইমরান খানের ওপর গুলি চালানো যুবক এবার জানালেন, ‘আমি দেখছিলাম তিনি জাতিকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেন। আমার লক্ষ্য ছিল কেবলই ইমরান খান, অন্য কেউ নয়।’

হামলাকারীর আরও দাবি, এই ঘটনায় কেউ তাকে মদদ দেয়নি, তিনি একা একাই হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নাভিদ নামের হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলাকারী ওই যুবক মাদকাসক্ত।

তাই জবানবন্দিতে দেওয়া তার সব কথার বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

অভিযুক্ত জানিয়েছে, ওয়াজিরাবাদে ওয়াকাস নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২৬টি গুলিসহ একটি পিস্তল কিনেছিলেন সে।

ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে অভিযুক্ত আরও বলেছে, সে প্রথমে ইমরান খানকে একটি মসজিদের ছাদ থেকে গুলি করতে চেয়েছিল। কিন্তু সে সময় আসরের নামাজ চলায় মসজিদের ছাদে যেতে পারেনি।

পুলিশের সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, একটি বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে ঘটনাস্থলে যায় হামলাকারী নাভিদ। সেখানে গিয়ে উচ্চস্বরে বাজানো গান বন্ধ করতে বলে সে। এর পর ইমরানের কনটেইনার থেকে ১৫-২০ ধাপ দূর থেকে গুলি ছোড়া শুরু করে। গুলিগুলো বাড়িতে তৈরি করা হয়েছিল। পিস্তল থেকে আটটি গুলি ছোড়ার পর এটি অকার্যকর হয়ে যায়। এখন ঘটনাস্থল থেকৈ উদ্ধারকৃত গুলির ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ওয়াকাস এবং ফয়সাল বাট নামে আরও দুইজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। প্রধান অভিযুক্ত নাভিদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ঘটনার পর অভিযুক্ত নাভিদের পরিবারের সদস্যদেরও আটক করে নিয়ে আসা হয়।

প্রথমদিকে নাভিদকে বিভাগীয় পুলিশের হেফাজতের রাখা হলেও বর্তমানে সে আছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে। এ ঘটনায় বড় কোনো চক্র জড়িত কিনা সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেশটিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইমরান খানের দল দেশজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া এ ঘটনায় মুখ খুলেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই) প্রধানের ওপর হামলাকে নিন্দনীয় বলে আখ্যায়িত করেছে তারা। একই সঙ্গে ইমরান খানসহ হামলায় আহতদের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের ওপর হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টার নিন্দা করেছে বলে সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। ফেডারেল রাজধানী অভিমুখে দলের লংমার্চের সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার পর বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ইমরান খান এখন শঙ্কামুক্ত।

লংমার্চে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় বৃহস্পতিবার পিটিআইপ্রধান পায়ে একাধিক গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পাকিস্তানের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গুজরানওয়ালার কাছে লংমার্চ চলাকালীন গুলি চালানোর ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং এ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আহত সবার দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থতার জন্য আন্তরিক প্রার্থনা করছি।’

এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেছিলেন। শেহবাজ তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমি ইমরান খানের ওপর গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনার বিষয়ে অবিলম্বে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি পিটিআই চেয়ারম্যান ও অন্যান্য আহত ব্যক্তিদের সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেছেন, পাকিস্তানের ফেডারেল সরকার নিরাপত্তা এবং তদন্তের জন্য পাঞ্জাব সরকারকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেবে। আমাদের দেশের রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক

শুরু থেকেই ইরানজুড়ে চলমান বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এবার তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমরা শিগগির ইরানকে মুক্ত করব এবং তেহরান সরকারের হাতে যারা আটক হয়ে আছেন, তারাও নিজেদের মুক্ত করতে সক্ষম হবেন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘিরে এক প্রচার সমাবেশে এই মন্তব্য করেন জো বাইডেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজারের বেশি শিক্ষাবিদ জো বাইডেনকে ইরানের চলমান আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন।

সেখানে ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভয়াবহ পরিস্থিতির প্রতি জরুরি মনোযোগ দেওয়ার ও জো বাইডেনকে আরও বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।

প্রচারাভিযানে বাইডেন, ইরানের বিক্ষোভের প্রতি একাত্মতা পোষণ করে বলেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা শিগগিরই ইরানকে মুক্ত করতে যাচ্ছি এবং এর ফলে দেশটির সরকারকে চ্যালেঞ্জকারী বিক্ষোভকারীরা শিগগিরই নিজেদের মুক্ত করতে পারবেন।

তবে ঠিক কোন ধরনের ব্যবস্থা তারা নিতে যাচ্ছেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। গত সেপ্টেম্বরে ইরানে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। এর পর থেকে সেই ঘটনার বিচার দাবিতে ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

সাত সপ্তাহ ধরে চলা এ বিক্ষোভে এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ। অথচ এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ থামার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

এ বিক্ষোভকে ঘিরে পশ্চিমাবিশ্ব ইরানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে। তবে ইরান এ বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পশ্চিমাবিশ্বকে শুরু থেকেই অভিযুক্ত করে আসছে।

আন্তর্জাতিক

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও শতাধিক মানুষ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজ্যের মরবি শহরের মাছু নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ধ্বসে হতাহতের এ ঘটনাটি ঘটে।

রাজ্য পরিচালিত একটি হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ প্রশাসক অমিত ঝালা বলেন, অনেককে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে।

ঘটনার সময় সেতুটিতে অন্তত চার শতাধিক মানুষ ছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় টিভি চ্যানেল জি নিউজ।

সম্প্রচার মাধ্যমটির একটি ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েক ডজন লোক ধসে পড়া ব্রিজের তারে আটকে পড়ে ঝুলছেন। জরুরি দলগুলো তাদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন দিনের সফরে গুজরাটে অবস্থান করছেন। এর মধ্যেই ঘটনাটি ঘটলো। খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মোদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধার অভিযানে সব জরুরি দলগুলোকে এক জায়গায় নিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

২৩০ মিটার সেতুটি ১৯ শতকে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। ছয় মাস সংস্কারের জন্য বন্ধ রাখার পর গত সপ্তাহে জনসাধারণের জন্য সেতুটি আবার খুলে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কেন্দ্রস্থলে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৫১ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে ১৫০ জন।কর্মকর্তারা এ কথা জানান।

স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সিউলের ইতেওন এলাকায় এ দুঘর্টনা ঘটে।

হ্যালোইন উৎসব উযাপনকারীদের কাছে এই ইতেওন এলাকা খুব আকর্ষণীয় জায়গা। দেশটিতে ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর এ উৎসব বন্ধ ছিল। এবারই আবার শুরু হওয়া এ উৎসবে এক লাখেরও বেশি লোক অংশ নিয়েছিল। সরু গলিপথ ও রাস্তায় লোকজন উপছে পড়ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শ্বাসরুদ্ধকর ভিড় ঠেলে লোকজন বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে গিয়ে একজন আরেকজনের ওপর স্তুপের মতো আছড়ে পড়ে।

ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এ ঘটনায় অন্তত ১৫১ জন মারা গেছে, এদের মধ্যে ৯৭জন মহিলা ও ৫৪ জন পুরুষ এবং ১৯ জন বিদেশী রয়েছে। রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আহতের সংখ্যা দেড়শো বলে উল্লেখ করেছে। তবে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট বলছে, আহত ৮২ জন। এদের মধ্যে ১৯জন গুরুতর আহত। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিও থেকে দেখা গেছে, রাস্তার ওপর ব্যাগে করে মরদেহ রাখা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আহতদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে উদ্ধারকর্মীরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়েল দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দল পাঠাতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে হাসপাতালের শয্যা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে।

এদিকে এ দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকা দুঃখজনক এ সময়ে সিউলের পাশে আছে।

তিনি বলেন, আমরা কোরীয় জনগণের সাথে শোক প্রকাশ করছি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্যের জন্যে শুভকামনা পাঠাচ্ছি।