আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ নামে সড়কের নামকরণ দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক সড়কের নামকরণ করা হচ্ছে ‘লিটল বাংলাদেশ’ এবং বাংলাদেশ ব্লুভার্ড। ‘বাংলাদেশ’ নামে এখন পর্যন্ত চারটি এলাকার নামকরণ করা হয়েছে।

ব্রুকলিনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড নামের সংযোগস্থলকে লিটল বাংলাদেশ নামকরণের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বুকে ছোট্ট বা লিটল বাংলাদেশের সংখ্যা দাঁড়াল তিনটিতে এবং বাংলাদেশ এভ্যেনু ও ব্লুভার্ড নামেও রয়েছে
বেশ কয়েকটি সড়কের নাম।

স্থানীয় সময় রোববার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলিন পৌরসভায়ও ‘লিটল বাংলাদেশ’ নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ব্রুকলিন চার্চ ম্যাগডোনাল্ড রোডের নতুন নামাকরণ লিটল বাংলাদেশ নামফলক উন্মোচন করেন নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ড্রিস্টিক্ট-৩৯ কাউন্সিলর ও সিটি কাউন্সিলের ইমিগ্রেশন কমিটির চেয়ারম্যান শাহানা হানিফ।

শাহানা হানিফ তার অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, আমি আমার বাবার লিটল বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট দেখে ছোটবেলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম এবং ভেবেছিলাম যদি কখনো সুযোগ পাই এই চার্জ ম্যাগডোনাল্ড রোডের নাম লিটল বাংলাদেশ হিসেবে নামকরণ করব। এই এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবেশে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচন করেছেন বিধায় আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরে নিজেকে গর্ববোধ করছি।

তিনি বলেন, আজকে এই মহতী দিনে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটা ইতিহাস তৈরি করে রেখে যেতে পেরেছি।
বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি কাউন্সিলর শাহানা হানিফকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই আজকে বাংলাদেশ আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের প্রাক্কালে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড.মনিরুল ইসলাম, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া প্রমুখ।

নামফলক উন্মোচনের সময় বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, ড. প্রদীপ কর, ডা. মাসুদুল হাসান, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যাশনাল কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান খোরশেদ খন্দকার আবুল হাশেম, রেফায়েত চৌধুরী, আবু তাহের, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, চন্দন দত্ত, রব মিয়া,জাহিদ মিন্টু, এ্যানি ফেরদৌস, খালেদা খানম, শাসসুদ্দিন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক, ফিরোজ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ হায়দার ও মনির আহমেদ।

নিউইয়র্ক সিটির একটি বিল সিটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করা হয় বাংলাদেশি কাউন্সিলর শাহানা হানিফের উদ্যোগে। তার উত্থাপিত উক্ত বিলটি (০৮৮০-২০২২) গত ১৪ জুলাই ৪৭-০ ভোটে সিটি কাউন্সিলে পাশ করেন। এর ফলে চার্চ- ম্যাকডোনাল্ড নামের সংযোগস্থলকে লিটল বাংলাদেশ নামকরণ ঘোষণা করা হয়।

চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের জ্যামাইকার হিলসাইড অ্যাভিনিউ ও হোমলন স্ট্রিটের সংযোগস্থলকে লিটল বাংলাদেশ হিসেবে নামরকরণ উন্মোচন করা হয়। ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডের লিটল বাংলাদেশ নামকরণের ঘোষণায় নিউ ইয়র্কে দুটি এলাকার নামকরণ করা হলো লিটল বাংলাদেশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধুষ্যিত জ্যাকসন হাইটসে ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি সড়ক করার উদ্যোগ নিয়েছে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ)। সংগঠনের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে নিউ ইয়র্ক নগর কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

প্রস্তাবটি পাস করানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের থার্ড স্ট্রিট ও আলেকজান্দ্রিয়া অ্যাভিনিউয়ের মাঝে অবস্থিত একটি এলাকাকে লস অ্যাঞ্জেলস শহর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘লিটল বাংলাদেশ’ নামে স্বীকৃতি দেয়। এটি শহরটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের প্রাণকেন্দ্র।

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন সিটির ইউনিয়ন অ্যাভিনিউ সড়কের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ বুলেভার্ড’ রাখা হয়। ২০১৯ সালের ২২ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত সড়কে নামফলক লাগিয়ে বাংলাদেশ বুলেভার্ড করা হয়।

আন্তর্জাতিক

ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পারমাণবিক বোমা হামলা চালিয়ে ৩০ মিনিটেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে ধ্বংস করার সক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ও মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলারের প্রধান ইলন মাস্ক।

ইলন মাস্ক টুইটারে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ঠিক একইভাবে এই সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেরও আছে। অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, বেশির ভাগ মানুষই এটা জানেন না। অবশ্যই এসব অস্ত্রের ব্যবহার করাটা হবে পাগলামি, কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি বিরাজমান সেটিও আসলে পাগলামিই।’

গত শুক্রবার ইলন মাস্কের একজন অনুসারী তার অ্যাকাউন্টে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন টুইট করেন। রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে সোমবার থেকে বি–৫২ বোমারু বিমানে করে ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া শুরুর কথা জানানো হয়।

টুইটটি রিটুইট করে ইলন মাস্ক রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু অবশ্যই কোনো দায়িত্ববান ব্যক্তি পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করবেন না। তবে এই যুক্তির সমস্যাটা হচ্ছে, আমাদের যদি দায়িত্ববান ব্যক্তি থাকতেন, তাহলে যুদ্ধ আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় থাকত না। গত ৬০ বছরের মধ্যে আমরা পারমাণবিক যুদ্ধের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছি।’

এর আগে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, রাশিয়ার জনসংখ্যা ইউক্রেনের চেয়ে তিন গুণ। সুতরাং পুরো যুদ্ধে ইউক্রেন জয় পাবে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি ইউক্রেনের জনগণের কথা ভেবে শান্তির পথ বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান।

ইলন মাস্কের এ মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।

টুইটারে পাল্টা একটি পোস্ট দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘কোন ইলন মাস্ককে আপনি বেশি পছন্দ করেন?’ প্রশ্নের নিচে সম্ভাব্য দুটি উত্তর লিখে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে বলেছেন তিনি। উত্তর দুটি হলো, ‘যিনি ইউক্রেনকে সমর্থন করেন এবং যিনি রাশিয়াকে সমর্থন করেন।’

আন্তর্জাতিক

ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ আগামীকাল তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।

সুলতানকে বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট আগামীকাল দুপুর ১২ টায় (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ও পদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজকীয় পরিবারের সদস্য, সে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের

মন্ত্রী এবং ব্রুনাই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্রুনাইয়ের সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এই প্রথম সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ঢাকা সফরে আসছেন।

বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী , নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করবে। সেখান থেকে একটি সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে নিয়ে যাওয়া হবে।

পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সুলতান সেখানে একটি গাছের চারা রোপন এবং ‘দর্শনার্থী বইয়ে’ স্বাক্ষর করবেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসস’কে জানিয়েছেন,সাভার থেকে সুলতানকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঢাকায় সফরকালে সুলতান এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

একইদিন বিকেলে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ একে আব্দুল মোমেন হোটেলের সভা কক্ষে তার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

এদিন সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

পরে ব্রুনাইয়ের সুলতান বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে দশনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

রাষ্ট্র প্রধান সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে সুলতানের সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

১৬ অক্টোবর সকাল সোয়া দশটায় সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা সুলতানকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ব্রুনাইয়ের সুলতান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক করবেন।

পরে পিএমও’র চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সুলতানের তিন দিনের সফর বিশেষ গুরত্বপূর্ণ, কারণ অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে করোবীতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

সুলতানের সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল,বাংলাদেশী জনশক্তি নিয়োগ এবং দু’দেশের নাবিকদের সনদ দেওয়াসহ পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। সুলতান সেখানে ‘দর্শনার্থী বইতে’ স্বাক্ষর করবেন।

সুলতান ১৭ অক্টোবর ঢাকা ত্যাগ করবেন।

ঢাকা ত্যাগের আগে বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান ও তার সফর সঙ্গীদের বিদায় জানাবেন।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের একটি ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। শুক্রবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হয়।

ডেলিগেশন টিমের সদস্যদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, তারা সবাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা। শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারত ও বাংলাদেশের অনন্য সম্পর্কের ভবিষ্যতেরও রক্ষক তারা। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যক্ত করেন যে তারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আগামী বছরগুলোতে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।

দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের মতোই ভারতেও স্মরণীয় শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের গতি অব্যাহত থাকায় এই সফরটি গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু ও অংশীদার হতে পেরে ভারত গর্বিত এবং বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন যাত্রা সহভাগিতা করে চলেছে। এই চেতনা রক্ষা করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের দুই দেশ ও আমাদের জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বকে অনুপ্রাণিত করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং এর উত্থান ও সমৃদ্ধি বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প। বাংলাদেশের তারুণ্যের রয়েছে একটি মহিমান্বিত অতীত এবং প্রতিশ্রুতিতে পূর্ণ একটি ভবিষ্যত।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ প্রত্যেক ভারতীয়ের হৃদয়ে ও মনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সভ্যতাগত দিক থেকে আমাদের দুই দেশের মাঝে রয়েছে সুগভীর সংযোগ। আমরা শিল্প, সংগীত এবং সাহিত্যসহ আমাদের মধ্যে অনেক কিছু সহভাগিতা করি।

তিনি বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে এবং আমরা এর পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উভয় দেশ এই সম্পর্কের প্রতি যে গুরুত্ব দেয়- তা আমাদের গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তিনি দিল্লি ও লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন যে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি হলেন তরুণ জনগণ এবং বাংলাদেশের জনতত্ত্বও আমাদের মতোই, যেখানে রয়েছে বিপুল সংখ্যক তরুণ জনগণ। তিনি বলেন, উদ্ভাবক, প্রণেতা, নির্মাতা এবং ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে উভয় দেশের তরুণদেরকে অত্যাধুনিক নানান ক্ষেত্র যেমন গ্রিন এনার্জি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্টার্ট আপ এবং টেকনোলজি নির্ভর সেবা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে নিয়োজিত করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেছেন যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ইতোমধ্যেই মানুষে মানুষে প্রচুর যোগাযোগ রয়েছে, আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের তরুণরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ডেলিগেশন টিমের সদস্যরা এই সুযোগটি ভারতের বিভিন্ন বিষয়, আমাদের বৈচিত্র্য এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পকলা ইত্যাদি ক্ষেত্রের উন্নয়ন সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কাজে লাগাবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা সোনার বাংলা গড়তে যেমন কঠোর পরিশ্রম করে, তেমনি ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের সোনালী যুগের সূচনা করতে তাদেরও একই আবেগ ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করা উচিত।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রামটি ২০১২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিল। এই যুব কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো পরস্পরের দেশের মধ্যে সদ্ভাব এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা, তরুণদের মধ্যে ধারণার আদান-প্রদান করা এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির উপলব্ধি প্রচার করা।

আন্তর্জাতিক

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাং ইং-ওয়েন সোমবার বলেছেন, তাইওয়ানের সার্বভৌমতা নিয়ে আপসের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ‘শান্তি-স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে ও ‘দুই পক্ষই মেনে নেবে’ এমন উপায় খুঁজে পেতে চীনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। খবর সিএনএনের।

তাইওয়ানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সাং ইং-ওয়েন বলেছেন, তাইওয়ানের জনগণের সর্বসম্মতি হলো…আমাদের সার্বভৌমতা, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক জীবনকে রক্ষা করা। এ নিয়ে আপসের কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে গত কয়েক যুগের মধ্যে বর্তমানে চীন-তাইওয়ানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা চলছে।

২৩ লাখ মানুষের তাইওয়ান চীনের উপকূল থেকে ১৭৭ কি.মি দূরে অবস্থিত। ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশই আলাদাভাবে শাসিত হয়েছে, তবে এরপরও চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি দাবি করে তাইওয়ান তাদের নিজেদের অঞ্চল, যদিও তাইওয়ানকে কখনো শাসন করেনি চীন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তি অত্যাসন্ন। চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে যুক্ত করতে প্রয়োজনে সামরিক অভিযানও (যুদ্ধ) চালানো হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

চীন যেন যুদ্ধের বিষয়টি চিন্তা না করে সে আহ্বান জানিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, আমি বেইজিংয়ের সরকারের প্রতি বলব, দুই দেশের সম্পর্কে যেন অবশ্যই যুদ্ধ অবলম্বনের সুযোগ না থাকে। শুধুমাত্র তাইওয়ানের জনগণনের সার্বভৌমতার প্রতি দৃঢ়তা, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রকে সম্মান জানানোর মাধ্যমে আমরা তাইওয়ান প্রণালীতে ইতিবাচক যোগাযোগ করতে পারি।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলির সৌজন্য ফোনালাপ হয়েছে।

সোমবার বিকালে এ ফোনালাপ হয়। গত মাসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই তার প্রথম ফোনালাপ। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবনিযুক্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটিকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম মাইলফলক হিসাবে উল্লেখ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ফোনালাপে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের অবদান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্পর্ক, বহুপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়।

গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। চলমান সংঘাত (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) এবং এর ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উল্লেখ করেন যে, সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল করার জন্য যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আরও জোরালো এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এছাড়া জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। সৌজন্য ফোনালাপের সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল অধিগ্রহণ বিলে মঙ্গলবার স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে এখন রাশিয়ার সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানেস্ক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসন রাশিয়ার অংশ হয়ে গেছে।

রাশিয়ার সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে বিলটি পাস হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে এটি স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়।

তবে রাশিয়ার এ অধিগ্রহণকে ভুয়া ও ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো।

অধিগ্রহণ বিলে পুতিনের স্বাক্ষরের বিষয়ে রাশিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে সংসদের নিম্নকক্ষ ডুমা বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দোনেৎস্ক এবং লুহানেস্ক রিপাবলিক, জাপোরিঝিয়া এবং খেরসন অঞ্চলকে রাশিয়ান ফেডারেশনে যুক্ত করতে চারটি ফেডারেল সাংবিধানিক বিলে স্বাক্ষর করেছেন।

তাছাড়া অনুমোদনের অন্যন্য বিলেও প্রেসিডেন্ট পুতিন স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা।

এদিকে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে ২৩-২৭ আগস্ট কথিত গণভোটের আয়োজন করে রাশিয়া। পরবর্তীতে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ভোটে অংশ নেওয়া প্রায় ১০০ ভাগ মানুষই রাশিয়ায় যুক্ত হতে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

এ বছর রসায়নে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তার হলেন— যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ক্যারোলিন আর বার্তোজ্জি ও কে ব্যারি শার্পলেস এবং ডেনমার্কের মর্টেন মেলডাল।

বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস রসায়নে এই তিন বিজ্ঞানীর নোবেল জয়ের ঘোষণা দিয়েছে। পুরস্কার হিসেবে তারা ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার পাবেন।

মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ছোট আকারের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির বাইরে অন্য কোনো অতিথি উপস্থিত ছিলেন না।

তবে এ বছর নোবেল ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের বিজয়ীদের সঙ্গে গত দুই বছরের বিজয়ীদেরও ডিসেম্বরের নোবেল সপ্তাহে আমন্ত্রণ জানাবে। সেখানে ১০ ডিসেম্বর নোবেল পুরস্কারের মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনারের (প্রায় ৯ লাখ ডলার) পাশাপাশি বিজয়ীদের হাতে একটি সনদ ও স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হবে।

গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এই পুরস্কারে ভূষিত হন জার্মানির বেঞ্জামিন লিস্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড ম্যাকমিলান। ‘অ্যাসাইমেট্রিক অর্গানোক্যাটালাইসিস’ নামে অণু তৈরির নতুন এক কৌশল আবিষ্কার করে এ সম্মাননা জিতেন তারা।

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথমদিন ঘোষণা করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম। এ বছর চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো। আদিম মানুষের জিনোম উদঘাটন ও মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন অ্যালেইন অ্যাস্পেক্ট, জন এফ. ক্লজার এবং অ্যান্টন জেলিঙ্গার।

ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে।

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রধান ইহোর মুরাসেভকে আটকের দুইদিন পর ছেড়ে দিয়েছে রাশিয়া। খবর আল জাজিরার।

শনিবার পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে বের হয়ে গাড়িতে করে এনারহোদার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই সময় তাকে আটক করে চোখ বেঁধে এনারহোদারের একটি বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

ইহোর মুরাসেভকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি।

তিনি টুইটে বলেছেন, আমি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের প্রধান ইহোর মুরাসেভের মুক্তিকে স্বাগত জানাই। আমি নিশ্চিতিকরণ বার্তা পেয়েছি সে তার পরিবারের কাছে নিরাপদে পৌঁছেছে।

এদিকে যুদ্ধের শুরুতেই জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দখল করে রাশিয়া। এটি ইউরোপের সর্ববৃহৎ পারমাণবিক কেন্দ্র।

বর্তমানে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ রাশিয়ার গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করার চেস্টা চালাচ্ছেন রুশ ইঞ্জিনিয়াররা।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযোগ যুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানানোয় রুশ সেনারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধানকে গ্রেফতার করেছে।

আন্তর্জাতিক

শুক্রবার সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে ইউক্রেন।

এর দুইদিন পর রোববার ন্যাটো সদস্যভুক্ত নয়টি দেশের প্রেসিডেন্ট একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আবেদনকে সমর্থন করেন। তাছাড়া ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

যেসব দেশের প্রেসিডেন্ট নিজেদের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন সেগুলো হলো- চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, উত্তর মেসেডোনিয়া, মন্তেনাগ্রো, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়া।

যৌথ বিবৃতিতে এ দেশগুলোর প্রেসিডেন্টরা বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন জানাই। ইউক্রেনের সকল দখলকৃত অঞ্চল থেকে রুশ সেনাদের সরে যাওয়ার দাবি জানাই এবং আমরা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়িয়ে দিন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,  এ নয়টি দেশের নেতারা যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনে গেছেন এবং নিজ চোখে রাশিয়ার আগ্রাসন দেখেছেন।

বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টরা আরও বলেছেন, আমরা ইউক্রেনের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমতার প্রতি পুনরায় সমর্থন জানাচ্ছি। রাশিয়া ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল অধিগ্রহণ করেছে আমরা সেগুলোকে স্বীকৃতি দিচ্ছি না এবং কখনো দেব না।