আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ডলারের সাপেক্ষে দেশটির মুদ্রার দরপতন অব্যাহত আছে। শুক্রবার ( ২৯ জুলাই) আন্তব্যাংক বাজারে এক ডলারের মান দাঁড়ায় প্রায় ২৫০ রুপি।

পাকিস্তানের ফরেক্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে,  বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ১ ডলার ২৩৯ রুপিতেও বিক্রি হয়েছে পাকিস্তানে।

পাকিস্তানের ওয়েব-ভিত্তিক আর্থিক তথ্য এবং বিশ্লেষণ পোর্টাল মেটিস গ্লোবালের পরিচালক সাদ বিন নাসির বলেন, যে গত দুই থেকে তিন দিন বাজারে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।  এতে সাধারণ মানুষ তার রুপি ডলারে রূপান্তর করছে। মানি চেঞ্জাররা এর সুবিধা নিচ্ছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের মুদ্রার দরপতন রোধে যা করা উচিত, তা করা হচ্ছে না। অব্যবস্থাপনা ও গুরুত্বের অভাবে আর্থিক পরিস্থিতির এতটা অবনতি হয়েছে।

এদিকে সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রুপির ওপর এই চাপ থাকবে না। সম্প্রতি পাকিস্তানের পরামর্শক সেবাপ্রতিষ্ঠান তাদাদলাবের মোশাররফ জাইদির সঙ্গে আলাপকালে মিফতাহ ইসমাইল বলেন, শিগগিরই এমন পরিস্থিত হবে যখন পাকিস্তান থেকে যত ডলার বেরিয়ে যায়, তার চেয়ে বেশি ডলার ঢুকবে। এতে মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে।

এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি টুইট বার্তায় সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, তার দেশ শ্রীলঙ্কার অবস্থা থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্স সফর করছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ফ্রান্সে পা রাখার পর সালমানকে ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ করমর্দন করতে দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা বিশ্বে বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছেন সৌদি যুবরাজ। ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার আচরণ তা-ই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ জানায়, সালমান ফ্রান্সে আসার পর তাকে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিজি প্যালেসে স্বাগত জানান ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সালমান প্রাসাদে এলে দুজন দীর্ঘ সময় ধরে করর্মদন করেন।

সৌদি আরবের লেখক সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সমালোচিত সালমান। ফ্রান্সের কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বরাবর তার সমালোচনা করে আসছেন। এর মধ্যেই ফ্রান্স সফর করছেন সৌদির ডি ফ্যাক্টো শাসক। তাই সমালোচনার পারদ আরও বেশি চড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিস সফর শেষে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে পৌঁছান সালামন। তিনি এলিজি প্যালেসে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন ম্যাক্রোঁ। এ সময় তিনি মানবাধিকারের বিষয়টি তুলে ধরবেন। তেল উৎপাদন ও ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়েও সালমানের সঙ্গে আলোচনা করবেন ম্যাক্রোঁ।

দুই নেতার বৈঠকের পর আলোচনার বিষয় নিয়ে এলিজি প্যালেস থেকে বিবৃতি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন ২০১৮ সালে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সালমানের ফ্রান্স সফর ভালোভাবে নিচ্ছে না মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তার আমন্ত্রণটি গভীরভাবে অনুপযুক্ত। কিন্তু তিনি আসার পর ম্যাক্রোঁ তাকে যেভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, একই সঙ্গে তাদের করমর্দনের বিষয়টি এমনভাবে ফলাও হয়েছে; বোঝা যাচ্ছে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বেশ জোরালো হবে।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে সম্ভাব্য বিদ্যুতের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এ ছাড়া রিয়াদের শীর্ষ আঞ্চলিক শত্রু ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টেনে ধরা ও জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো চুক্তি হতে পারে বলেও বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।

আন্তর্জাতিক

চীনের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টার বেশি সময়ের এক ফোনালাপে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র বিরুদ্ধে নতুন করে হুঁশিয়ার করেছেন।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনা নিয়ে উত্তেজনার আবহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এক ফোনকলে ‘আগুন নিয়ে না খেলার’ নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বৃহস্পতিবার দুই দেশের নেতা ফোনে কথা বলেছেন। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা নেওয়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে এটি তার পঞ্চম ফোনালাপ। তবে গত চার মাসের মধ্যে এটিই তাদের প্রথম ফোনালাপ।

২ ঘণ্টার বেশি সময়ের এ ফোনালাপেই শি তাইওয়ান ইস্যুতে বাইডেনকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, “যারা আগুন নিয়ে খেলে তারা কেবলই পুড়ে যাবে। (আমরা) আশা করি যুক্তরাষ্ট্র সেটি পরিষ্কারভাবেই দেখতে পারছে।”
ফোনে দুই নেতার কথপোকথনের বিস্তারিত প্রকাশ করে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে শি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক-চীন নীতি’ মেনে চলা উচিত। আর তাইওয়ানের স্বাধীনতার ব্যাপারে চীন যে ঘোর বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানে কোনও বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপও মানতে নারাজ সেকথা আবারও জোর দিয়েই বলেছেন শি।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ার সফরের গুঞ্জনের মধ্যে চীন কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রকে উত্তোরত্তর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। সর্বশেষ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে চীন বলেছে, পেলোসি যদি তার সফর নিয়ে অগ্রসর হন, তাহলে ‘মারাত্মক পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

চীন তাইওয়ানকে তার নিজের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে; একদিন না একদিন প্রদেশটি মূলভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রিত হবে বলেও মনে করে তারা। সেই ধারণা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয় না বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীনের অংশ মেনে নিয়ে ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন জানালেও তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগ আছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন-তাইপে মাখামাখি চীনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে তারা তাইওয়ানে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির ব্যাপারে একের পর এক সতর্কবার্তা দিচ্ছে।

চীনের এই হুমকি-ধামকিতে সম্প্রতি কয়েকদিনে তাইওয়ান নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। আর এ আবহেই বৃহস্পতিবারের বাইডেন-শি ফোনালাপে প্রাধান্য পেয়েছে তাইওয়ান প্রসঙ্গ।

তবে অন্যান্য আরও অনেক বিষয় নিয়েও দু’নেতা আলাপ করেছেন। এর মধ্যে আছে- ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন, যে যুদ্ধের নিন্দা চীন এখনও করেনি। এছাড়াও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও দু’নেতা আলাপ করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরাতে বিশেষ কোনো উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো দেশটিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মোমেন এ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সত্তর ও আশির দশকে রোহিঙ্গাদের যখন ফিরিয়ে নিয়েছিল মিয়ানমার, তখন তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের পর মিয়ানমারে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর বিনিয়োগ ও ব্যবসা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। সব মিলে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে অবস্থান করছে।জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা মিয়ানমারের বাহিনীর ওইঅভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে আমাদের সমর্থন যুগিয়ে গেছে যুক্তরাজ্য। কিন্তু এই পাঁচ দশকে আমাদের এখানে তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।কিন্তু গত পাঁচ বছরে মিয়ানমারে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এটা খুব হাস্যকর শোনা যায় যে, তারা কিছু জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’

রাখাইন রাজ্যে পাঁচ বছর আগে দমনমূলক সেনা অভিযানের ঘটনায় দেশটির বেশ কয়েকজন জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডা।

মিয়ানমারে ইউরোপের বিনিয়োগ সম্পর্কে মোমেন বলেন, ‘আমাদের অনুমান হচ্ছে, জাতিগত নিধনের উদাহরণ তৈরির পর থেকে মিয়ানমারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ ২-৩ গুণ থেকে ১৫ গুণ বেড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর হতে চললেও একজন রোহিঙ্গাও তাদের ভিটেমাটিতে ফিরে যায়নি। এর মধ্যে অনেক মুখের কথা আমরা শুনেছি কিন্তু তারা যায়নি। এটা হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টদায়ক দিক।’

জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সংকটের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও এই জনগোষ্ঠী কেবল বঞ্চিতই হয়েছে এবং বছরের পর বছর তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোমেন। বলেন, ‘এরপরও এই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এসব ঘটনাকে অগ্রভাগে নিয়ে আসেনি। দেখে মনে হয়, এই সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের দুর্বলতা রয়েছে।’

আসিয়ান, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করার আশ্বাস পাওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের মাধ্যমে একটি সভাও হয়েছে। মিটিংগুলোতে মিয়ানমার এটা-সেটা বলে, কিন্তু তারা কখনো বলেনি ওদেরকে ফেরত নেবে না। এটা তাদের বাইরের চেহারা। কিন্তু আমাদের তাদের অন্য চেহারা আমরা জানি না।’

রোহিঙ্গাদের দ্রুত সময়ে ফেরাতে না পারলে এই অঞ্চলে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়বে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘এটা কেবল বাংলাদেশের বিষয় নয়, এটা বিশ্ববাসীর বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশ মানবিক দিক বিবেচনায় তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার পর বিশ্ব নেতারা এক্ষেত্রে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়োহানেস ফন ডেয়ার ক্লাউভ বলেন, ‘এখন ৯ লাখের বেশি নিবন্ধনকৃত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ক্যাম্পগুলোতে আছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বোঝা ও চ্যালেঞ্জের। বাংলাদেশকে এই অবস্থায় একা ফেলে রাখা যাবে না। কারণ শরণার্থী সংকট কেবল আশ্রয়দাতা দেশের দায়িত্ব নয়। এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’

রোহিঙ্গা ইস্যুকে কঠিন সংকট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর গোড়ার কারণগুলো আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে, আর সেটা মিয়ানমারেই রয়েছে। সেখানে তাদেরকে নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি, অধিকার, সেবাগ্রহণের সুযোগ ও নাগরিক হিসেবে সম্মানের সাথে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে।’

তাদের সেই অধিকার নিশ্চিতে কূটনৈতিক ও সম্মিলিত রাজনৈতিক উদ্যোগ দরকার বলে মনে করেন ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি।

আন্তর্জাতিক

২০২৪ সালের পর রাশিয়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রজেক্ট থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের নতুন প্রধান ইউরি বোরিসভ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ ব্যাপারে অবহিত করেছেন।

পুতিনকে মহাকাশ গবেষনা সংস্থার প্রধান বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করছি। আমাদের বন্ধুদের সঙ্গে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেগুলো পূরণ করব। কিন্তু ২০২৪ সালের পর স্টেশন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি এ সময়ের মধ্যে, আমরা রাশিয়ার নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করতে পারব।

এদিকে রাশিয়ার চলে যাওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য বড় ধরনের একটি ধাক্কা হতে পারে। কারণ গত কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের একটি দৃষ্টান্ত ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়ে গেছে রাশিয়ার। এমন সময়ই এ ঘোষণা দিল তারা।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাসা, রাশিয়ার রসকসমস, জাপানের জাজা, ইউরোপের ইএসএ এবং কানাডার সিএসএ মহাকাশ সংস্থা।

আন্তর্জাতিক

বাহরাইনের সংস্কৃতি মন্ত্রী শেখা মাই বিন্তে মোহাম্মদ আল খলিফাকে বহিষ্কার করেছে দেশটির সরকার।

মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই দোহা নিউজের বরাতে জানিয়েছে, একটি অনুষ্ঠানে বাহরাইনে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান সংস্কৃতি মন্ত্রী। এ কারণে তাকে বহিষ্কার করেছে দেশটির সরকার।

আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ২০২০ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার বিরোধী ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী শেখা মাই বিন্তে মোহাম্মদ আল খলিফা।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ জুন। এদিন বাহরাইনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্টেফেন বান্ডির বাবার মৃত্যু উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যান বাহরাইনের সংস্কৃতি মন্ত্রী ও ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত। যখন তাকে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় তখন তিনি হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান এবং তিনি তখনই ওই অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যান। যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বলে যান, তিনি এ অনুষ্ঠানে যে এসেছেন সেটির কোনো ছবি প্রকাশ না করা হয়।

এর কয়েকদিন পরই তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে ২০২০ সালে বাহরাইন ছাড়াও আরব আমিরাত, সুদান ও মরক্কো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে। এটির মধ্যে মধ্যস্থতা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আরব দেশগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ফিলিস্তিনিদের তাদের অধিকার ও প্রাপ্য বুঝিয়ে না দিয়ে কখনো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক করবে না। কিন্তু সেটি তারা ভঙ্গ করে।

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছেন। শুক্রবার (২২ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়) এই রায় পড়ে শোনান আইসিজে সভাপতি বিচারপতি জোয়ান ই ডনোগু।

এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার শুনানিতে আর কোনো বাধা থাকলো না। খবর আল-জাজিরা ও ওয়াশিংটন পোস্ট।
এর আগে, চলতি বচরের ফেব্রুয়াারিতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের আপত্তির বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

মিয়ানমার দাবি করেছিল, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এই মামলার বিচার করার এখতিয়ার নেই আইসিজের। তবে শুক্রবারের রায়ে আন্তর্জাতিক আদালত বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার করার পুরো এখতিয়ার রয়েছে তাদের।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশন (পিডিএফ) লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। আইসিজে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারকরা বলেছেন, এটি গোষ্ঠীর অধিকারের ‘অপূরণীয় ক্ষতি করেছে’।

২০১৮ সালে জাতিসংঘের একটি তদন্তে প্রমাণ মেলে মিয়ানমারের সেনাসদস্যরা ‘গণহত্যার উদ্দেশ্য’ নিয়ে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এরাকাঢয় ওই ‘বিশেষ’ অভিযান চালিয়েছিল। এ কারণে দেশটির সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এবং অপর পাঁচ জেনারেলের বিরুদ্ধে বিচার করার সুপারিশ করা হয়।

জাতিসংঘ মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসমান বলেছেন যে, ভুক্তভোগীদের অ্যাকাউন্টগুলি ‘সবচেয়ে মর্মান্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘন’ এর মধ্যে ছিল। যা তিনি দেখেছিলেন এবং ‘আমাদের বাকি জীবনের জন্য সবার মনে একটি চিহ্ন রেখে যাবে’।

২০১৭ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে, ধর্ষণ ও হত্যা করে জাতিগত নিধন অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেসময় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তারা এখনো তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি।

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে গাম্বিয়া। ওই বছরের ১০-১২ ডিসেম্বর এই মামলায় প্রথমবার প্রাথমিক শুনানি হয়। এতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। আর মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।

২০২০ সালে আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দলিল দাখিল করে গাম্বিয়া। সেখানে দেখানো হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কীভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।

তবে এ মামলায় আইসিজের এখতিয়ার নেই দাবি করে একপর্যায়ে চ্যালেঞ্জ জানায় মিয়ানমার সরকার। ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অং সান সু চি কারাবন্দি থাকায় এ বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমার জান্তার প্রতিনিধিরা।

আন্তর্জাতিক

তুরস্কের ইস্তানবুলে শুক্রবার শস্য চুক্তি করে রাশিয়া-ইউক্রেন। এ চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে তুরস্ক এবং জাতিসংঘ।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য আটকে আছে। এখন প্রতি মাসে ৫ মিলিয়ন টন করে শস্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করা হবে।

কিছু শর্ত মেনে নিয়ে দুই দেশ এ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শর্তগুলো প্রকাশ করেছে গণমাধ্যম সিএনএন।

শর্তগুলো হলো-

শস্যবহনকারী জাহাজগুলো কৃষ্ণ সাগরের নির্ধারিত নিরাপদ করিডর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। শস্য বোঝাই করে বসফরাস প্রণালী দিয়ে বিশ্ব বাজারে যাবে এগুলো।

জাহাজগুলোতে নজরদারি করার জন্য একটি জয়েন্ট কর্ডিনেশন সেন্টার গঠন করা হবে। যেটি তাৎক্ষণিকভাবে তুরস্কে স্থাপন করা হবে। এই সেন্টারে থাকবে ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা।

জাহাজ ইউক্রেনে ঢোকা বা পৌঁছানোর আগে রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করবেন এসব জাহাজে কোনো অস্ত্র পরিবহণ করা হচ্ছে না।

ইউক্রেন-রাশিয়া সম্মত হয়েছে, শস্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত কোনো জাহাজে হামলা করবে না। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে জয়েন্ট কর্ডিনেশন সেন্টার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবে এবং সমাধানের চেষ্টা করবে।

শস্য পরিবহনের কাজটি দ্রুত শুরু করতে হবে। যেন নতুন শস্য আসার আগে ইউক্রেনের শস্য ভাণ্ডারগুলো খালি করা যায়।

ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন জাহাজগুলোর চলাচলের বিষয়টি দেখভাল করছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, শস্য রপ্তানির কাজটি শুরু করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। যেন সকল লজিস্টিক বিষয়গুলো পুরোপুরিভাবে কার্যকর করা যায় এবং একটি নজরদারি করার দল গঠন করা যায়।

এদিকে ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী যিনি ইউক্রেনের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছেন তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, চুক্তিটির বৈধতা ১২০ দিন। এরপর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে আরও ১২০ দিনের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যাবে, যদি দুই পক্ষই রাজি থাকে।

আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় দুই দিনের সরকারি সফরে বুধবার (২০ জুলাই) কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তারা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী দিনে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

ড. মোমেন মালয়েশিয়ার নেতাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ জানান। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অচিরেই সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে তাঁর প্রত্যাশার কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহর সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, ওআইসি, ডি-৮ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আব্দুল্লাহ ড. মোমেনের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। পরে ড. মোমেন মালয়েশিয়ার সদ্য-সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল রিকভারি কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান মুহিইদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এসব বৈঠকে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার, উপ-হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর, হাইকমিশনের মিনিস্টার (শ্রম) নাজমুস সাদাত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) মো. নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

শ্রীলংকায় ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেই দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ বুধবার পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হলেন। পার্লামেন্টের ২২৫ আসনের মধ্যে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩৪টি।

অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে দুলাস আলহাপেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট আর অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট।

নতুন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। শ্রীলংকায় নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এ কারণে দেশটিতে রাজাপাকসেদের সরকার উৎখাতে মাঠে নামে বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা দুই ভাই গোতাবায়া ও মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগে বাধ্য হন এবং দেশ ছেড়ে পালান।