আন্তর্জাতিক

পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনী আরেকটি হামলা চালালে ইহুদিদের উপাসনালয়ে (সিনাগগ) হামলার হুশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনি আন্দোলন হামাস। খবর আল আরাবিয়্যার।

গাজা উপত্যকায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার এক বক্তৃতায় বলেছেন, কেউ এমন দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সারা বিশ্বের হাজার হাজার সিনাগগ ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইসরাইলি পুলিশ গত দুই সপ্তাহ ধরে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তারা মসজিদের ভেতরে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছে, যা মুসলিম বিশ্বে নিন্দার জন্ম দিয়েছে।

সিনওয়ার বলেন, যদি ইসরাইলি দখলদারিত্ব আল-আকসা মসজিদে হামলা বন্ধ না করে তাহলে তাদের একটি মহান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।

তিনি বলেন, মে মাসের শেষ দিকে আল-আকসায় ‘আগ্রাসন’ চালালে হামাস ইসরাইলে শত শত রকেট নিক্ষেপ করবে। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নিয়েছিল মে মাসের শেষ দিকে।

পূর্ব জেরুজালেমে চলমান সহিংসতা গত বছর ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে ১১ দিনের যুদ্ধের মতো আরেকটি সশস্ত্র সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। ওই যুদ্ধটিও আল-আকসায় অস্থিরতার প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক

অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজুন শহরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানকালে ২০ বছরের একজন ফিলিস্তিনী গুলিতে নিহত হন। শুক্রবার এই অভিযান পরিচালিত হয়।

আন্তর্জাতিক

ইউরোপের দেশগুলোর কাছে রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্পের পর্যাপ্ত কোনো উৎস নেই। যার মাধ্যমে দেশগুলো রাশিয়ান গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেবে এবং আসন্ন শীতকালে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি বিশ্লেষণে এমন কথা জানিয়েছেন জ্বালানি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড চো।

তিনি তার বিশ্লেষণে জানিয়েছেন, সবকিছু বিবেচনা করে সামনের ১৮ মাস ইউরোপের জন্য দুঃসময় হতে পারে। গ্যাসের দাম বেড়ে যেতে পারে। ইউরোপের দেশগুলো তাদের কলকারখানা গুলো চালু রাখতে হিমশিম খেতে পারে। ঘর উষ্ণ রাখতে ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু রাখতে বেকায়দায় পড়তে পারে।

তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি রাশিয়া গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তাহলে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বেশ বেগ পোহাতে হবে ইউরোপকে। কারণ এর কোনো বিকল্প আপাতত নেই।

ওই বিশ্লেষক আরও বলেন, খুবই বিপজ্জনক একটি খেলা হচ্ছে। আমি জানি না কিভাবে এটি শেষ হবে। আমার মনে হচ্ছে এটি এতোটাই খারাপভাবে শেষ হবে যার মারাত্বক প্রভাব পশ্চিম ইউরোপ ও রাশিয়ায় দুই জায়গাতেই পড়বে।

তার মতে, রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প নিয়ে যতই এখন বলা হোক না কেন এর কোনো অস্তিত্ব আপাতত নেই।

ওই বিশ্লেষক আরও জানিয়েছেন, জার্মানি সত্যিই রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া চলতে পারবে না। তারা রাশিয়ার গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি কমিয়ে দেওয়া সম্ভব না।

কারণ অন্য দেশ থেকে তরল গ্যাস আনার অবকাঠামোও তাদের কাছে নেই।

তাছাড়া অন্য যে কয়েকটি বিকল্প আছে সেগুলো থেকে যদি গ্যাস আমদানি করা হয় তাহলে খরচ পড়বে অনেক বেশি।

আন্তর্জাতিক

শ্রীলঙ্কায় খাবার, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে আরও আগে। এবার ওষুধের ঘাটতিও চরম আকার ধারণ করেছে দেশটিতে।

অসহায় হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি তেমনই এক অসহায় মানুষের গল্প তুলে এনেছে।

নাম তার দাউদ মোহাম্মদ গনি। স্ত্রীর ক্যানসারে ভুগছেন, চলছে চিকিৎসা। কিন্তু ওষুধ নেই! একরাশ হতাশা নিয়ে কেবল সাহসটুকুকে সম্বল করে ওষুধের জন্য ফার্মেসি থেকে ফার্মেসিতে ঘুরছেন তিনি। বহু ফার্মেসি ঘুরেও স্ত্রীর জরুরি ওষুধটুকু জোগাড় করতে পারেননি গনি।

গনি বলেন, এবারই প্রথম স্ত্রীর ক্যানসারের ওষুধ খুঁজে পেলাম না। সে খুবই অসুস্থ। আমি কী করব? খুব অসহায় বোধ করছি। তবে তাকে বাঁচাতে আমার যা যা করা দরকার তার সবটাই করব।

শুধুমাত্র একজন গনি নয়, তার মতো লাখো শ্রীলঙ্কানের অবস্থাটা এখন এমনই।

বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে ওষুধের মতো জীবন রক্ষাকারী পণ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি। সবচেয়ে বেশি রুগ্ন হয়ে পড়েছে লঙ্কার স্বাস্থ্য খাত। প্রয়োজনীয় অনেক ওষুধ ফুরিয়ে গেছে সেখানে।

কলম্বোর লেডি রিজওয়ে হসপিটালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বিরাজ জয়সিংহে জানিয়েছেন, তাদের হাসপাতালে ছয় মাসের ওষুধ সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু বর্তমানে তাদেরও ওষুধ সঙ্কট শুরু হয়ে গেছে।

দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলোর প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রায় শেষ। বাধ্য হয়ে ওষুধসহ জরুরি চিকিৎসাসামগ্রীর দাবিতে শত শত চিকিৎসক রাজপথে নেমেছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান-ব্যক্তি জরুরি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

লঙ্কান ওষুধ ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সাহায্য তাদের জন্য যথেষ্ট নয়। তাদের আরও সাহায্য প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কাকে ৮৫ শতাংশ ওষুধই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাশিয়া সফরে আসবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

মহাসচিবের অফিসের মুখপাত্র এরি কানেকো বলেছেন, গুতেরেস আশা প্রকাশ করেছেন, তার সফরে এমন আলোচনা করবেন যা ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করবে ও শান্তি আনবে।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব মস্কোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভরে সঙ্গে দেখা করতে মস্কোতে আসবেন।

তিনি আরও বলেন, গুতেরসকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও অভ্যর্থনা জানাবেন।

জাতিসংঘের মহাসচিবের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গুতেরেস রুশ পররাষ্টমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাত করবেন এবং তার সঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব এমন সময় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন যখন তার বাহিনী মারিউপোলের আজভস্টালে ইউক্রেনের সেনাদের আটকে রেখেছে।

মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা মারিউপোলে আটকে পড়া বেসামরিক লোক ও সেনাদের নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেন।

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতা নেওয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। । এর পর হাতে লেখা চিঠিও পাঠিয়েছিলেন তিনি। মোদির সেই চিঠির উত্তর দিয়েছেন শাহবাজ। ভারতের সঙ্গে শান্তি এবং সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কেই পাকিস্তান আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

চিঠিতে শাহবাজ শরিফ জম্মু ও কাশ্মীর সংকট সমাধানের কথাও বলেছেন। তিনি জানান, ইসলামাবাদ সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতায় বিশ্বাসী।

মোদিকে দেওয়া চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, অভিনন্দন বার্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার বন্ধনে বিশ্বাসী। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো অমীমাংসিত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অপরিহার্য। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াইয়ের কথা সবাই জানে। এবার দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

এর আগে, গত সোমবার পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শাহবাজ শরিফ। তাকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি লেখেন, শুভেচ্ছা। শান্তি, সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলের আশায় থাকবে ভারত। ভারত যে সব সময় প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মোদি। সেই চিঠিরই উত্তর দিলেন শাহবাজ।

আন্তর্জাতিক

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ফ্ল্যাগশিপ যুদ্ধজাহাজ মস্কভা মিসাইল ক্রুজার ডুবে যাওয়া নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন রেডিও লিবার্টির ইউক্রেনীয় সার্ভিসের কাজ করা সাংবাদিকরা। ওই যুদ্ধজাহাজ ডুবিতে অন্তত একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা। বিবিসি রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

অবশ্য ওই ঘটনায় কারো মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করে আসছিল মস্কো।

ওই সাংবাদিকরা দেখেছেন ইভান ভাখরুশেভের (৪১) মৃত্যুর খবর তার স্ত্রী ভারভারা ভাখরুশেভা রাশিয়ান সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওডনোক্লাসনিকিতে এ পোস্ট করেছেন।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, আমাদের নায়ক!!! তিনি তার দায়িত্ব পালন করে মারা গেছেন। তিনি জাহাজের জীবনের জন্য তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করেছেন। আমরা শোকাহত। তুমি সবসময় আমাদের হৃদয়ে একজন নায়ক হয়ে থাকবে।

ভারভারা ভাখরুশেভা সাংবাদিকদের বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। ১৪ এপ্রিল তাকে এই খবর জানানো হয়। তার লাশ পাওয়া গেছে। তবে কোন পরিস্থিতিতে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানান হয়নি।

এর আগে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ওই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ‘সেই সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন’ বলেও জানান তিনি।

যদিও ওই জাহাজ ডুবি নিয়ে দুই রকম দাবি করেছে কিয়েভ আর মস্কো।

কিয়েভের দাবি, যুদ্ধজাহাজে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। মিসাইল হামলায় জাহাজটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি। কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত জাহাজটিতে বুধবার হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের ওডেসার গভর্নর।

এর আগে রাশিয়াও মস্কভা মিসাইল ক্রুজার নামে ওই যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। যদিও এর কারণ হিসেবে তারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার কথা স্বীকার করেনি।

তবে হামলার কথা স্বীকার না করলেও ওই জাহাজ ডুবির পর ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে মস্কো।

যদি ইউক্রেনের দাবি সত্যি হয়, তাহলে ১২,৪৯০ টন ওজনের মস্কভা হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিপক্ষের হামলায় ডুবে যাওয়া সবচেয়ে বড় রুশ যুদ্ধজাহাজ।

ইউক্রেন হামলার পর এ নিয়ে দুটি যুদ্ধজাহাজ হারাল রাশিয়া। গত মার্চ মাসে আজভ সাগরের রাশিয়ার দখলকৃত বের্দিয়ানস্কের পোতাশ্রয়ে ইউক্রেনের আক্রমণে আরেকটি রুশ জাহাজ ধ্বংস হয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক

অনেক নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মুসলিম লিগ-এন এর নেতা শেহবাজ শরীফ।

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি জাতীয় পরিষদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন।

তার নেতৃত্বেই ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে একাট্টা হয় বিরোধী দলগুলো এবং বিরোধীরা শেহবাজকে প্রতিশ্রুতি দেয় তাকেই প্রধানমন্ত্রী বানাবেন।

অবশেষে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হলেন শেহবাজ শরীফ।

ইমরান খান অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে জাতীয় পরিষদের সদস্যরা সংসদে আসেন। এর মধ্যে ছিলেন ইমরান খানের দলের সদস্যরাও।
সঙ্গে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি। শেহবাজের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল কোরেশির।

কিন্তু অধিবেশন শুরু হওয়ার পর কোরেশি ঘোষণা দেন, তারা জাতীয় পরিষদ থেকে গণহারে পদত্যাগ করবেন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এই ঘোষণার পর পিটিআইয়ের সকল সদস্য ও কোরেশি বের হয়ে যান।

ফলে ব্নিা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

ইমরান খানের মতো জনপ্রিয় নেতাকে সরিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া এই শেহবাজ শরীফ কে? কি তার রাজনৈতিক পরিচয়?

শেহবাজ শরীফ হলেন মুসলিম লিগ-এন এর নেতা ও পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী নেতা ছিলেন।

শেহবাজ শরীফের আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের আপন ছোট ভাই।

ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর নওয়াজ শরীফ লন্ডনে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছেন।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার আগে পাঞ্জাব প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেহবাজ শরীফ। তিনি পাঞ্জাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন।

শেহবাজ শরীফ সবমিলিয়ে তিনবার পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৭ সালে প্রথমবার মূখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশারফ ক্ষমতা দখল করলে শেহবাজ শরীফ সৌদি আরবে পালিয়ে যান। আট বছর সৌদিতে নির্বাসিত থাকার পর ২০০৭ সালে তিনি পাকিস্তানে ফেরেন।

২০০৮ সালে তার দল জয় পেলে ফের তিনি পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী হন।

২০১৩ সালে তৃতীয়বার তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

কিন্তু ২০১৮ নির্বাচনে মুসলিম লিগ-নওয়াজ হেরে যায়। এরপরই শেহবাজ শরীফকে প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা বানানো হয়।

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে আটক রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী মিত্র ভিক্টর মেদভেরচুককে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দিতে চায় ইউক্রেন।

পুতিনের মিত্রকে নিতে হলে রাশিয়ায় বন্দি ইউক্রেনীয়দের ছেড়ে দিতে হবে।

বুধবার স্থানীয় সময় সকালে এই শর্তের কথা জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দেওয়া এমন প্রস্তাবের জবাব দিয়েছেন রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। তিনি বলেছেন, ভিক্টর মেদভেরচুক একজন বিদেশী রাজনীতিবীদ এবং ইউক্রেনের নাগরিক। তার সঙ্গে বন্দি বিনিময় করার সুযোগ নেই।

গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ভিক্টর মেদভেরচুকের মুক্তির বিষয়ে এমন মন্তব্য করে রাশিয়া মূলত তার সঙ্গে দূরত্ব রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত দিল।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভিক্টর মেদভেরচুককে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

এ লক্ষ্য নিয়ে কিয়েভ দখল করার চেষ্টা চালিয়েছিল রুশ সেনারা। কিন্তু তাদের এ পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় ইউক্রেনের সেনারা। ফলে ভিক্টরকে আর ক্ষমতায় বসাতে পারেননি পুতিন।

ভিক্টর মেদভেরচুক ইউক্রেনীয় রাজনীতিবীদ হলেও তার সঙ্গে রাশিয়া ও পুতিনের শীতল সম্পর্ক ছিল।

রাশিয়ার সঙ্গে আতাত করার অভিযোগে ২০২১ সালের শেষ দিকে তাকে গৃহবন্দি করা হয়। রাশিয়া যখন ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা করে তখন তিনি বাসা থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু মঙ্গলবার তাকে আটক করে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী।

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনারা গণহত্যা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। বাইডেনের এমন মন্তব্য একদমই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে দেশটি। বার্তা সংস্থা এএফপি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা স্পষ্টতই এর সঙ্গে একমত নই। আমরা এইভাবে পরিস্থিতিকে বিকৃত করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি।

মঙ্গলবার বাইডেন পুতিন বাহিনীর ইউক্রেনে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এই প্রথম বাইডেন প্রশাসন গণহত্যা শব্দটি ব্যবহার করল।

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের প্রস্তুতির জন্য ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম আট অস্ত্র প্রস্ততকারকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে পেন্টাগন।

এমন সময় পেন্টাগনের বৈঠকের এই খবর সামনে এলো যখন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছ থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। যদিও রুশ সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে হামলা চালানোর জন্য পুনর্গঠিত হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে।

আমন্ত্রিত কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে রেথিয়ন এবং লকহিড মার্টিন। এই দুই কোম্পানি একসঙ্গে লাইটওয়েট জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সিস্টেম তৈরি করে। রেথিয়ন পোর্টেবল অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট স্টিংগার মিসাইল সিস্টেমও তৈরি করে। পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে উভয় সিস্টেমই ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য বিশেষভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে এক দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের বেশি নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবারই ইউক্রেনকে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা ঘোষণা করতে পারেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।