আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ দলের তিন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানোর বার্তা দিয়েছে বিএন‌পি। তবে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস বলছে, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ নামে কোনো অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত নয়।

শ‌নিবার (১১ জানুয়া‌রি) রাতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইভেলি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জা‌নিয়েছেন।

স্টিফেন ইভেলি বলেন, আইআরএফ শীর্ষ স‌ম্মেলন বা ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’-এর আয়োজন বা অর্থায়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়। আইআরএফ শীর্ষ স‌ম্মেলনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অংশীদার সরকারগুলোর দ্বারা বার্ষিক আয়োজিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা মন্ত্রিসভা থেকে আলাদা, যা জার্মান সরকার বার্লিনে ১০-১১ অক্টোবর (২০২৪) আয়োজন করেছিল।

মুখপাত্র বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ দেশে ও বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষায় সরকার এবং নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায়।

তি‌নি বলেন, মার্কিন সরকার এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট আইআরএফ সামিট বা ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’-এর পরিকল্পনা, আমন্ত্রণ এবং অংশগ্রহণকারীদের পরিচালনা বা প্রভাবিত করে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ আমন্ত্রণ পাওয়ার তথ‌্য শনিবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দলটি আমন্ত্রণপত্র পে‌য়ে‌ছে ব‌লে জানানো হ‌য়ে‌ছে।

শায়রুল কবির খান বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’-এর জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটি সদস্য এবং চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস কংগ্রেশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক

অন্তর্বর্তী সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (০৮ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যেন স্থানীয় সরকার সত্যিই স্থানিক থাকে এবং একটি স্থানীয় সরকার নিশ্চিত করা যায়।

ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার সরকারের গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দেন।

দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্কারসহ নানা পরিকল্পনায় ইআইবি’র সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

মরুভূমির দেশ সৌদি আরবে নজিরবিহীন বৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। যার ফলে দেশটির একাধিক শহরের রাস্তাঘাট ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিয়েছে।

সৌদি আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আবহাওয়ার এই নিম্নচাপ আরও কয়েক দিন ধরে চলতে পারে।

একসঙ্গে সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মঙ্গলবার দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন স্তরের সতর্কতা জারি করেছে। পবিত্র দুই শহর মক্কা ও মদিনা এবং পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা সবচেয়ে উচ্চ স্তরের সতর্কতার নির্দেশক।

এছাড়া রাজধানী রিয়াদ, মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির ও জাজান প্রদেশে কম মাত্রার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে সেখানেও নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

উদ্ধার সংস্থাগুলোর প্রস্তুতি

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের রেড ক্রিসেন্ট অথরিটি এবং অন্যান্য উদ্ধার সংস্থাগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট নিশ্চিত করেছে যে, তাদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সতর্ক থাকার এবং বিশেষত লাল সতর্কতার আওতাভুক্ত এলাকায় নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

অন্যদিকে সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জনগণকে উপত্যকা, নিচু এলাকা এবং এমন জায়গা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, যেখানে বৃষ্টির পানি জমা হতে পারে।

সামাজিক মাধ্যমে পরিস্থিতির চিত্র

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্যার পানি রাস্তাঘাটের গাড়িগুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং ভবনগুলো ডুবে যাচ্ছে। প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের কারণে পানি ক্রমশ বাড়ছে, যা সৌদি আরবে বিরল একটি দৃশ্য। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

আন্তর্জাতিক

তুরস্ক থেকে বাংলাদেশের যুদ্ধ ট্যাংক কেনার ইস্যুতে ভারত নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। শুক্রবার ভারতের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও তাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে বাংলাদেশের। ভারতের দাবি, বাংলাদেশে অত্যাচারিত হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়।

তাছাড়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়ে নাখোশ ভারত। এসব ছাড়াও নানা ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন ভাটার দিকে।

এমন পরিস্থিতিতে তুরস্ক থেকে যুদ্ধ ট্যাংক কিনছে বাংলাদেশ। বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানান, বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে ভারত।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত সব বিষয়ের ওপরই আমাদের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।

এদিকে ইসকন নেতা (বহিষ্কৃত) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ইস্যুতেও ঢাকাকে বার্তা পাঠিয়েছে দিল্লি। এ বিষয়ে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা যেন একটা ন্যায্য বিচার পান। এটাই আমাদের মূল প্রত্যাশা’।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি কনফার্ম করেছিলাম যে, আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে বাংলাদেশের থেকে একটি বার্তা পেয়েছি। তারপর এ নিয়ে আমার আর কিছু যোগ করার নেই’।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শুধু একটা ‘ভার্বাল নোট’ দিয়েই দিল্লির কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির প্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার।

হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ধরনের প্রত্যর্পণের দাবির প্রেক্ষিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফরমালিটি থাকে। তবে বাংলাদেশ সরকার নাকি সেসব না করেই বলে যাচ্ছে- ‘হাসিনাকে দিল্লি ফেরত পাঠাবে না’।

এসবের মাঝে ভারত বাংলাদেশের ‘নোট ভার্বাল’-এর জবাব নাও দিতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা নাকি এ বিষয়ে এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

আন্তর্জাতিক

পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেল-জরিমানা না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারক।

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঘুষ দেওয়াসংক্রান্ত একটি ফৌজদারি মামলায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।

এই মামলার বিচারক হুয়ান মারচ্যান শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা হওয়ার বিষয়টি এখন নিশ্চিত। তবে তাকে কারাদণ্ড বা অন্য সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
হুয়ান মারচ্যান জানান, ১০ জানুয়ারি দণ্ডাদেশ প্রদানকালে ট্রাম্পকে (৭৮) আদালতে সশরীর বা ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত হতে হবে। ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা নেই। তাকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ দেওয়া হবে; যার অর্থ, তাকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না।

২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হি, সেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পের আগে দেশটির সাবেক কিংবা ক্ষমতাসীন একজন প্রেসিডেন্টও কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি।

২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা চেপে যেতে ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প। সে সময় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

নতুন বছর আসতেই এরই মধ্যে অনেকেই শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর প্রতিজ্ঞা করেছেন নিজের সঙ্গে। আসলে ডিসেম্বর মাসে সবাই কমবেশি ছুটি, ঘোরাঘুরি, বিয়ের অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়ায় বাড়বাড়ন্ত থাকায় হয়তো অনেকেরই ওজন বেড়ে গেছে!

এ কারণে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সোমবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ওজন মাপার দিন বা ওয়ে-ইন ডে। এ দিনের বিশেষত্ব হলো, নতুন বছরের শুরুতে ওজন মাপা। আর যাদের অতিরিক্ত ওজন আছে, তারা জীবনধারণে পরিবর্তন আনা ও যাদের কম ওজন আছে তারা কীভাবে ওজন বাড়াবে সে বিষয়ে নতুন বছরে উৎসাহ ও পরিশ্রম বাড়ানো।

মনে রাখবেন, ওজন কমাতে পুষ্টিকর খাবার ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই। আবার যারা কম ওজনে ভুগছেন তাদেরও উচিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। অন্যদিকে কী কারণে ওজন বাড়ছে না, তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

অনেকেই দিনে কয়েকবার ওজন মাপেন। বিশেষ করে ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু হলেই ওজন মাপার প্রবণতা বাড়ে। তবে জানেন কি, ওজন মাপার আছে নির্দিষ্ট সময় ও নিয়ম আছে। সেগুলো মেনেই মাপতে হবে ওজন।

ওজন মাপার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পেট খালি রেখে। তখন কোনো খাবার, পানি ও পানিজাতীয় কিছু মুখে না দিয়েই (চা, কফি, জুস) ওজন মাপতে হবে। আরও একটি বিষয় মেনে চলতে পারেন, তা হলো টয়লেট সেরে নেওয়া।

এভাবে ওজন মাপলে আপনার ওজন একেবারে সঠিক আসবে। এর কারণ হলো সারারাত না খেয়ে থাকায় আপনার পেটে তখন বাড়তি কিছু থাকার সম্ভাবনা নেই। তাই শুধু শরীরের ওজনই পাওয়া যাবে সকালে।

ওজন মাপার সময় যেসব বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখবেন-

১. ওজন মাপার সময় ভারী বা অতিরিক্ত কাপড় বা সঙ্গে কিছু রাখবেন না। এমনকি পায়ে জুতা পরেও ওজন মাপা যাবে না।

২. প্রতিদিন না মেপে সপ্তাহে একবার একটি নির্দিষ্ট দিনে ওজন মাপুন। আর ওই সময়টা হওয়া উচিত সকালে।

৩. ওজন মাপার যন্ত্র বারবার পরিবর্তন করা যাবে না। প্রতিবার একই যন্ত্র ব্যবহার করুন। ভিন্ন যন্ত্রে ওজনে পার্থক্য হতে পারে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স শহরে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদযাপনরত জনতার ওপর ট্রাক চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

হামলাকারী একটি পিক-আপ ট্রাক দ্রুত গতিতে চালিয়ে জনতার ওপর তুলে দেন।

এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ১৫ জন নিহত হওয়া ছাড়াও হামলায় অন্তত ৩৫ জন আহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স শহরের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৩টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা হামলার দৃশ্যকে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেন। সেখানে পথচারীদের অনেকে ভুক্তভোগীদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন। আবার অনেকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দৌড়ে পালান।

পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী ট্রাকচালক যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা তিনি যেকোনোভাবেই করতে চেয়েছিলেন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে গুলিবর্ষণও করেন।

ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারীর পরিচয় মিলেছে। হামলাকারীও গুলিতে নিহত হয়েছেন। হামলায় ব্যবহৃত ট্রাকে পাওয়া গেছে আইএসের পতাকা।

সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ৪২ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক শামসুদ-দিন জব্বার, টেক্সাসের বাসিন্দা। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনী কাজ করয়েছেন।

তার লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, মানবসম্পদ এবং আইটিসহ মার্কিন সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন ভূমিকায় কাজ করেছেন জাব্বার। তিনি ফেব্রুয়ারি ২০০৯ থেকে জানুয়ারি ২০১০ পর্যন্ত আফগানিস্তানে মোতায়েন ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস পরিচালিত পুলিশ প্রধান মাহমুদ সালাহ ও তার সহকারী হুসাম শাহওয়ানও রয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষদের একটি আশ্রয়শিবিরে মারা গেছে ১১ জন। স্বাস্থ্যকর্মীরা একথা জানিয়েছে।

আল মাওয়াসি জেলার ওই আশ্রয়শিবিরে নিহত ১১ জনের মধ্যে আছে নারী ও শিশু। গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে এই শিবিরটি ছিল বেসামরিক লোকজনের আশ্রয়স্থল।

বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে গাজা পুলিশের মহাপরিচালক মাহমুদ সালাহ ও তার সহকারী হুসাম শাহওয়ান রয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “গাজার পুলিশের মহাপরিচালককে হত্যার অপরাধ সংঘটিত করে দখলদ্বার বাহিনী (ইসরায়েল) এই ভূখন্ডকে আরও বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং নাগরিকদের দুর্ভোগ আরও বাড়াচ্ছে।”

আল আরাবিয়া জানায়, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খান ইউনিসের পশ্চিমে আল মাওয়াসি এলাকায় হামলা চালিয়ে শাহওয়ানকে হত্যা করেছে। দক্ষিণ গাজায় তিনি হামাসের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে সালাহ এর মৃতুর বিষয়ে তারা কিছু বলেনি।

আল মাওয়াসি ছাড়াও অন্যান্য স্থানে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয় অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে খান ইউনিসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরগুলোতে নিহত হয় ৬ জন। আর অন্যান্যরা নিহত হয় উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির, সাতি ক্যাম্প এবং গাজার মধ্যাঞ্চলের মাগাজি ক্যাম্পে।

আন্তর্জাতিক

হার্ট ফেইলিওরের প্রধান কারণ হচ্ছে হৃদরোগ। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও নির্দিষ্ট সংক্রমণের মতো অন্যান্য কারণও অবদান রাখতে পারে হার্ট ফেইলিওরে।

হৃদরোগ ও হার্ট ফেইলিওর এমন ধরনের শব্দ যা স্বাস্থ্য সম্পর্কে কথা বলার সময় প্রায়ই শোনা যায়। তবে এ দুটো এক বিষয় নয়।

উভয়েরই হার্টের সঙ্গে যোগসুত্র রয়েছে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে এরা। তাই এদের মধ্যে পার্থক্য বোঝা গেলে তা স্বাস্থ্যের আরও ভাল যত্ন নিতে সহায়তা করতে পারে। এদের মধ্যে পার্থক্যকে সহজ করে তুলে ধরা হয়েছে সাম্প্রাতিক এক গবেষণায়।

গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘ল্যানসেট-এ।

হৃদরোগ বলতে বোঝায় যা মানুষের হার্টকে প্রভাবিত করে এমন কোনও অবস্থা। এর মধ্যে রয়েছে করোনারি ধমনী রোগ, অস্বাভাবিক হার্টবিট বা অ্যারিথমিয়াস ও হার্টর ভালভ বা বিভিন্ন পেশীর মধ্যে সমস্যার মতো নানা ঘটনা।

হৃদরোগের মধ্যে করোনারি ধমনী রোগ সবচেয়ে সাধারণ একটি রোগ। এর ফলে ধমনীতে প্লাক তৈরি হয় ও হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে যায়, যা বুকে ব্যথা বা এনজিনা, এমনকি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে এটি।

অন্যদিকে, হার্ট যখন পুরো শরীরে রক্ত পাম্প করতে পারে না ওই সময় ঘটে হার্ট ফেইলিওর। এর মানে এই নয় যে, হার্ট নিজের কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এ সময় হার্টের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ।

হৃদরোগ’সহ অন্যান্য কারণে হার্ট দুর্বল হওয়ার পরে যে কারো হার্ট ফেইলিওর হতে পারে। যেমন– ধমনী যদি পর্যাপ্ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তকে হৃৎপিণ্ডের পেশীতে পৌঁছাতে না পারে তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হার্ট দুর্বল হতে পারে। ফলে দেখা দেয় হার্ট ফেইলিওর।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, হার্ট ফেইলিওরের প্রধান কারণ হচ্ছে হৃদরোগ। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও নির্দিষ্ট সংক্রমণের মতো অন্যান্য কারণও অবদান রাখতে পারে হার্ট ফেইলিওরে।

গবেষণায় হার্ট ফেইলিওর হয়েছে এমন হাজার হাজার রোগীকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে।

গবেষকরা বলেছেন, হৃদরোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করে যেমন– কোলেস্টেরল কমিয়ে আনা বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জীবনে হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।

হৃদরোগ ও হার্ট ফেইলিওরের বিভিন্ন লক্ষণে মিল থাকতে পারে। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো আলাদা। হৃদরোগের বিভিন্ন লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা, ব্যায়ামের সময় শ্বাসকষ্ট হওয়া বা হার্ট অ্যাটাক।

হার্ট ফেইলিওরের সঙ্গে প্রায়ই ক্লান্ত বোধ করার সম্পর্ত আছে। এমনকি বিশ্রামের সময়ও শ্বাসকষ্ট হয় বা শরীরে পানি জমার কারণে পা ও পায়ের নীচের অংশে ফোলাভাব দেখা দেয়। এসব পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে ডাক্তারদের সহায়তা করে এসব পার্থক্য।

হৃদরোগ ও হার্ট ফেইলিওরের মধ্যে চিকিৎসারও পার্থক্য রয়েছে। যেমন– ওষুধ দিয়ে কোলেস্টেরল কমানো বা ব্লক ধমনী খোলার জন্য অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মতো চিকিৎসা পদ্ধতি।

জীবনযাত্রার বিভিন্ন পরিবর্তন যেমন ধূমপান ত্যাগ করা, হার্টের জন্য উপকারী স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম করা। সুখবর হচ্ছে, হৃদরোগ ও হার্ট ফেইলিওর উভয় সঠিক যত্ন নিয়ে পরিচালনা করলে মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

এজন্য প্রাথমিক শনাক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত চেক-আপ, রোগীর পারিবারিক ইতিহাস জানা ও বিভিন্ন লক্ষণকে গুরুত্ব দিলে তা বড় পার্থক্য আনতে পারে হৃদরোগ ও হার্ট ফেইলিওরের ক্ষেত্রে।

গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মতো বিভিন্ন কারণ সক্রিয়ভাবে ঠেকানো গেলে তা রোগীদের হৃদরোগ ও হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে।