আন্তর্জাতিক

‘হেজহগ’ নামটি শুনলেই সজারুর মতো দেখতে ছোট প্রাণীটির ছবি চোখে ভেসে ওঠে। তবে সজারু নয়, বলা হচ্ছে রাশিয়ার ট্যাংক ঠেকাতে ইউক্রেনের নতুন ‘অস্ত্র’ হেজহগের কথা।

হেজহগ হলো বড় বড় লোহার বিম কেটে সেগুলোকে জুড়ে তৈরি করা এক ধরনের গার্ডরেল। এই গার্ডরেল ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে রুশ ট্যাংকের গতি প্রায় অবরুদ্ধ করে দিতে সাহায্য করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই ‘অস্ত্র’ ইউক্রেনীয় সেনা এবং নাগরিকরা ব্যবহার করলেও হেজহগের উৎপত্তি সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ায়।

একে ‘অ্যান্টি-ট্যাংক অবস্ট্যাকল ডিফেন্স’ বলা হয়। হালকা এবং মাঝারি মাপের ট্যাংকের গতি রুদ্ধ করতে এই হেজহগের দেওয়াল যথেষ্ট কার্যকরী হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। কোনো গাড়ি বা ট্যাংক এই লৌহনির্মিত দেওয়ালের উপর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আটকে যাবে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তও হবে। এক একটি হেজহগের ওজন ১০০ কেজি।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া যে দিন ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালায় সেদিনই পশ্চিম ইউক্রেনের লাভিভ শহরে এক দল মানুষ ইউটিউব দেখে এই হেজহগ বানানো শুরু করে। আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা লোহা-লক্কর দিয়ে একের পর এক হেজহগ বানানো শুরু করেন তারা।

শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেজহগ বানানোর এই কৌশল ছড়িয়ে দেন তারা। জানান, ট্যাংক আটকাতে এই ‘অস্ত্র’ ভীষণ কার্যবকর। সবাইকে যত দ্রুত সম্ভব এই হেজহগ বানিয়ে রুশ সেনাট্যাংকের গতিরোধ করতেও পরামর্শ দেন তারা।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার তেল-গ্যাস ও কয়লার ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাজ্যও রাশিয়ান তেল আমদানি পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করবে। এর মধ্যে বিকল্প উপায় খোঁজার পর্যাপ্ত সময় পাবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ান গ্যাস আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনছে।

এ ব্যাপারে উপ-রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, রাশিয়ান তেলের ওপর অবরোধ ‘বিশ্ব বাজারের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি’ বয়ে আনবে।

এদিকে, তেল ও গ্যাসের দাম ইতোমধ্যেই ব্যাপকভাবে বেড়েছে। রাশিয়া রফতানি বন্ধ করলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে এর প্রভাবে কেবল তেলের দাম নয়, প্রভাব ফেলবে যুক্তরাজ্যের জীবনযাত্রার মানে। কারণ এর ফলে বিশ্বব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়ে যাবে।

রাশিয়া কি পরিমাণ তেল রফতানি করে?
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পর বিশ্বের তৃতীয় তেল উৎপাদক দেশ হলো রাশিয়া।

দেশটিতের প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদিত হয়, এসব তেলের অর্ধেকের রফতানি করা হয় ইউরোপীয় দেশগুলোতে। যুক্তরাজ্যের মোট তেলের চাহিদার শতকরা আট শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য রাশিয়ার ওপর কম নির্ভরশীল। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র আমদানির প্রায় তিন শতাংশ রাশিয়া থেকে নিয়েছিল।

রাশিয়া ছাড়া তেল সরবরাহের বিকল্প উপায় আছে কী?
জ্বালানি নীতি গবেষণা বিশ্লেষক বেন ম্যাকউইলিয়ামস বলেন, গ্যাসের চেয়ে বিকল্প তেল সরবরাহের উপায় খুঁজে পাওয়া সহজ হওয়া উচিত। কারণ গ্যাসের মতো পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আসে না। কিছু তেল হয়তো রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়, তবে অন্য জায়গা থেকেও প্রচুর চালান আসার সুযোগ আছে।

এরই মধ্যে তেল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সৌদি আরবকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দাম কমানোর জন্য তেলের উৎপাদন বাড়ানোর এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।

সৌদি আরব বিশ্বের তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের বৃহত্তম উত্পাদক, এ কারণে তেলের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ওপেকের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।

রাশিয়া অবশ্য ওপেকের সদস্য নয়, তবে ২০১৭ সাল থেকে সংগঠনটির সঙ্গে কাজ করে আসছে মস্কো।

এই প্রতিস্থিতিতে ভেনিজুয়েলার তেলের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা শিথিলের দিকে নজর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান তেল সরবরাহকারী দেশ ছিল ভেনিজুয়েলা। কিন্তু সম্প্রতি চীনের কাছেই বেশিরভাগ তেল বিক্রি করছে দেশটি।

পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হলে কী হবে?
অবশ্যই দামের ওপর প্রভাব ফেলবে। যদিও দাম এরই মধ্যে বেড়ে গেছে, তবে তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট গ্যাস আমদানির ৪০ শতাংশ আসে রাশিয়ার কাছ থেকে।

যদি এই সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, বিশেষ করে ইতালি এবং জার্মানি সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় পড়বে। এই অবস্থায় কাতার, আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ার মতো বাকি আদমানিকারক দেশগুলোর ওপর নির্ভর করতে পারে ইউরোপ। তবে সেক্ষেত্রে দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধির বাস্তব সমস্যার বিষয়টি সামনে আসবে।

অবশ্য যুক্তরাজ্য রাশিয়া থেকে মোট পাঁচ শতাংশ গ্যাস আমদানি করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো গ্যাসই আমদানি করে না।

তবে সরবরাহ ঘাটতির পরোক্ষ প্রভাবের কারণে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রেও এখন গ্যাসের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।

রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প কী পাওয়া যাবে?
খুব সহজে পাওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে জ্বালানি নীতি গবেষণা বিশ্লেষক বেন ম্যাকউইলিয়ামস জানান,রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প পাওয়া কঠিন। কারণ গ্যাস সরবরাহ করতে প্রয়োজন পাইপলাইন। আর রাশিয়ার সঙ্গে বড় বড় পাইপলাইনে যুক্ত রয়েছে ইউরোপ।

থিংক ট্যাংক ব্রুগেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, রাশিয়া যদি ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে ইউরোপ সম্ভবতযুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে পারে।

এছাড়া বাড়তে পারে শক্তির অন্যান্য উৎসগুলো ব্যবহারও। তবে এই ব্যবহার দ্রুত কিংবা সহজে করা সম্ভব নয়।

আন্তর্জাতিক

জার্মানি জানিয়েছে তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধ বিমান পাঠাবে না।

পোল্যান্ড প্রস্তাব দিয়েছিল তাদের মিগ-২৯ বিমানগুলো জার্মানিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে পাঠিয়ে দেবে তারা। এরপর সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র তাদের তত্ত্বাবধানে ইউক্রেনে পাঠাতে পারবে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দেয়। আর যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর জার্মানিও জানিয়ে দিল তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধবিমান পাঠাবে না।

এখন যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানিও ইউক্রেনকে হতাশ করল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট  ভলদমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদেশগুলোর কাছে বিমান সহায়তা চেয়ে আসছেন। তিনি এমনটিও বলেছেন, যদি ইউক্রেনকে তারা আকাশে যুদ্ধ করার জন্য সহায়তা না করেন তাহলে যারা রাশিয়ার হামলায় মারা যাবে তাদের মৃত্যুর জন্য এই দেশগুলোও দায়ী থাকবে।

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ নিজে।

তিনি বুধবার এ ব্যাপারে বলেন, আমরা ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছি, অস্ত্র দিয়েছি। কিন্তু এ সাহায্যের মধ্যে অবশ্যই কোনো যুদ্ধ বিমান নেই।

যুক্তরাজ্যও জানিয়ে দিয়েছে তারা ইউক্রেনকে যত অস্ত্র প্রয়োজন তার সবই দেবে। তবে বিমান দেওয়া তাদের পক্ষ সম্ভব নয়।

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেইনে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে গোলার আঘাতে আগুন ধরে গেছে; নিহত হয়েছেন একজন প্রকৌশলী।

নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির বুধবার মধ্যরাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই জাহাজে একটা শেল হিট করেছে। সেটা ব্রিজেই বিস্ফোরিত হয়। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা গেছেন।

“জাহাজের বাকি ২৮ জন অক্ষত আছেন। আগুন নেভানো হয়েছে।“

জাহাজে খাবারসহ অন্যান্য রসদ পর্যাপ্ত রয়েছে এবং কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এখন জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে।

জাহাজে থাকা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল আহমেদ সেতুর বাবা ফারুক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওরা সবাই ভালো আছে। সেতুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানান, হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিএসসির কর্মকর্তারা তাদের খোঁজ নিচ্ছেন।

“ছেলে ভালো আছে বলে সবাই আশ্বস্ত করেছে।“

এর আগে বিএসসির মহাব্যবস্থাপক (চার্টার্ড) ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান বুধবার রাত ১১টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওলভিয়া বন্দরে থাকা আমাদের জাহাজটি আক্রান্ত হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।

বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা থেকে সোয়া ১০টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জেনেছেন।

হামলা ও প্রকৌশলীর মৃত্যুর বিষয়ে বাংলার সমৃদ্ধিতে অবস্থান করা নাবিক আতিকুর রহমান মুন্না তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, জাহাজে রকেট হামলা হয়েছে। একজন মারা গেছেন।

এ বিষয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রকেট হামলায় জাহাজের একজন প্রকৌশলীর মৃত্যুর খবর তারা পেয়েছেন।

কুর্দস গ্লোবাল নামের একটি ফেইসবুক পেইজে আসা ভিডিওতে একটি জাহাজে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

ইউক্রেইনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাতে ওই ফেইসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, একটি রকেট আঘাত হানার পর ৩৬৩ নম্বর অ্যাঙ্করেজে থাকা বাংলার সমৃদ্ধিতে আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে দুটি টাগবোট পাঠানো হয় সেখানে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিএসসির জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর আগে ইউক্রেইনের ওলভিয়া বন্দরে গিয়েছিল। ওই জাহাজে ২৯ বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন।

যুদ্ধ শুরু হলে সাধারণ পণ্যবাহী (বাল্ক ক্যারিয়ার) জাহাজটি ওই বন্দরে আটকা পড়ে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিএসসির মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, চ্যানেল ক্লিয়ার হলে দুদিনের মধ্যেই সেটি যাত্রা শুরু করতে পারবে।

আর ইউক্রেইনের বন্দর থেকে জাহাজটির পণ্য তোলার কথা থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

ওই দিন পর্যন্ত জাহাজটি সেখানে নিরাপদে নোঙ্গর করে ছিল। সব নাবিক সুস্থ ও নিরাপদ ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, জাহাজটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও পানি রয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমভি বাংলার সমৃদ্ধি ইউক্রেইনের ওই বন্দরে পৌঁছায়। তুরস্কের এরেগলি বন্দর থেকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি খালি অবস্থায় সেটি ওলভিয়া বন্দরে যায়।

যুদ্ধের কারণে বর্তমানে ওই বন্দরের দৈনন্দিন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে বলে বিএসসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সমুদ্রগামী জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ২০১৮ সালে বিএসসির বহরে যুক্ত হয়।

আন্তর্জাতিক

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী নীতির নির্মম শিকারে পরিণত হয়েছে।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সোমবার তিনি একথা বলেন। খবর আল-মানার নিউজের।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, আমেরিকা ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে দেশটিতে আজকের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, আমরা যেকোনো দেশে মানুষ হত্যা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের বিরোধীতা করি।

তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান খামেনি।

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পরমাণু অস্ত্রও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে টেলিভিশনে প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন বলেন, নেতৃস্থানীয় ন্যাটো দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা আমাদের দেশ সম্পর্কে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন, তাই আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফকে রাশিয়ান আর্মি ডিটারেন্স ফোর্সকে যুদ্ধ সতর্কতায় রাখার নির্দেশ দিচ্ছি।

এ সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু, ‌‌‌’ইয়েস স্যার’ বলে পুতিনের কথার সম্মতি দেন।

রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বেআইনি বলেও মন্তব্য করেন পুতিন।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, কৌশলগত বাহিনী এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে ‘রাশিয়া ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন রোধ করার পাশাপাশি আক্রমণকারীকে পরাস্ত করতে পারে। ওই যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারও করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের চতুর্থদিন চলছে রোববার। ইউক্রেনের নানা শহরে হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনীয় বাহিনীও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন ভ্লাদিমির পুতিনকে সম্মানসূচক প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বরখাস্ত করেছে।

ব্ল্যাক বেল্টধারী পুতিনের ওপর সম্প্রতি আরোপ করা ‘নিষেধাজ্ঞার’ কারণে রোববার আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের গর্ভনিং বডি এই ঘোষণা দেয় বলে বিবিসি ও এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

একজন দক্ষ জুডোকা পুতিন ২০১৪ সালে অষ্টম ড্যানে ভূষিত হয়েছিলেন। এটি জুডোর সর্বোচ্চ স্তরগুলোর মধ্যে একটি। ২০০৮ সাল থেকে তিনি আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের অনারারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের সভাপতি মারিয়াস ভাইজার ২০১৪ সালে পুতিনকে ‘জুডোর নিখুঁত প্রতিনিধত্বকারী’ হিসেবে প্রশংসা করেছিলেন।

নিজেকে ফিট রাখার জন্য পুতিনের প্রিয় জুডো ও আইস হকি।

আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের অনারারি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পুতিনের এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত দেশটির ওপর আরোপ করা সর্বশেষ ক্রীড়া নিষেধাজ্ঞা।

ইউক্রেন ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বরে সোচিতে অনুষ্ঠিতব্য ফর্মুলা ওয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্সও বাতিল করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে উপকণ্ঠে কৌশলগত হোস্টোমেল বিমানবন্দর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে পশ্চিম দিক থেকে কিয়েভকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি রুশ বাহিনীর। রাশিয়ান বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভও বলেছেন, ইউক্রেনের বিশেষ ইউনিটের ২০০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছে।

তবে রাশিয়ার এসব দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে, রাজধানীকে রক্ষা করতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানও কিয়েভে প্রবেশ করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে টিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম দিনই পুতিন বাহিনী মূল লক্ষ্য পূরণে ‘ব্যর্থ’ হয়েছেন এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে ৪৫০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ওয়েলস অনলাইন শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ দাবি করার পর থেকে রাশিয়া এর বিরোধিতা করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্বের হুমকি-ধামকি আমলে না নিয়ে ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয় রাশিয়া। এমনকি সেখানে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য’ সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেয় রাশিয়া।

আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার পর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার রাজধানী কিয়েভে পৌঁছে গেছে রুশ বাহিনী। দু’পক্ষের মধ্যে চলছে প্রবল লড়াই। উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

শুক্রবার জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিন ফোনে কথা বলেন। এ সময় ইউক্রেন সংকট সমাধানে রাশিয়ার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন জিনপিং। তিনি সংলাপের মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট সমাধানে রাশিয়াকে সহাযোগিতার আশ্বাস দেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট অনেক ক্ষেত্রেই চীনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার চীন ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রকেই উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢালার জন্য দুষছে চীন। এছাড়া দুপক্ষকেই ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটি।

বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা একটি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী হুয়া চুনয়িং ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপের বিষয়ে ১১টিরও বেশি প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। বেইজিং রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে আক্রমণ বলে মনে করবে কি না এবং তারা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করেছে কিনা সে বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও কোনো উত্তর আসেনি বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

চীন ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কয়েকদিন আগেই বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে নিজেদের সম্পর্ক ঝালাই করে নিয়েছে দুই দেশ। সে সময় ‘অভিন্ন শত্রু’ যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবেলায় ‘বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের পথ’ সুযোগ করাও ঘোষণা দিয়েছিল দুই দেশ। এবার ইউক্রেন ইস্যুতেও ‘বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই দাঁড়াল চীন।

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেইনে আগ্রাসনের পট প্রস্তুতের আরেক বাহানায় রাশিয়া ঢাকঢোল পিঠিয়ে অভিযোগ করে বেড়াচ্ছে। কোনও প্রমাণ না দিয়েই একটিমাত্র শব্দকে কেন্দ্র করে অভিযোগ তুলছে তারা। আর তা হচ্ছে ‘গণহত্যা’।