আন্তর্জাতিক

সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আজ রাজধানীর উপকন্ঠে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
কোবিন্দ

দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে একটি হেলিকপ্টারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান এবং সেখানে পুস্পস্তবক অর্পন করে জাতীয় বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সেখানে পৌঁছালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার (জিওসি) মেজর জেনারেল শাহীনুল হক এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে, এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

ভারতের রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি অশোক গাছের একটি চারা রোপণ করেন এবং দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩১ নন্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মতি জাদুঘরের উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করেন কোবিন্দ। সেখানে তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ভারতের রাষ্ট্রপতির সফর সামনে রেখে স্মৃতিসৌধ এবং সংলগ্ন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এর আগে কোবিন্দ ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট সকাল ১১টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।

ঢাকায় কোবিন্দের প্রথম সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ফার্স্টলেডি শ্রীমতি সবিতা কোবিন্দ, তাদের মেয়ে স্বাতী কোবিন্দ, ভারতের শিক্ষামন্ত্রী এবং দু’জন সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপতি হামিদ বিমান বন্দরে ফুলের তোড়া দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান এবং রাশিদা হামিদও ভারতীয় ফার্স্ট লেডিকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।

মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল ২১ বার তোপধ্বনিসহ গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এ সময় উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং এ সময় উভয় দেশের রাষ্ট্রপতি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।

ভারতের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি সে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে আসা একমাত্র বিদেশী সম্মানিত অতিথি।

আন্তর্জাতিক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে তৈরি করা মিষ্টি, কেক ও বিস্কুট উপহার এনেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আম উপহার পাঠিয়েছিলেন, সেই আম মিষ্টি ও সুস্বাদু ছিল বলে বৈঠকে জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক সময় ভারত আশ্র‍য় দিয়েছিল, সেজন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ তিনদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন দুই দেশের রাষ্ট্রপতি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে একথা বলেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি চলমান ব্যবসায়িক বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতীয়দের সর্বাত্মক সহযোগিতা আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকার আশ্বাস দেন।

পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে জানান।

স্থল-নদী-আকাশ পথে উন্নত যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, এই কারণে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।তিনি দুদেশের বিনিয়োগকারীদের যোগাযোগ খাতে আরও বিনিয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে যুদ্ধের নায়ক হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, বাংলাদেশ মারাত্মক কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং ‘আমরাও এতে গর্বিত।’

রামনাথ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে দুদেশকে একসঙ্গে কাজ করতে সহায়তা করবে।তিনি ভারতের জাতীয় দিবসের মার্চ-পাস্ট ইভেন্টে বাংলাদেশ দল এবং পরবর্তীতে ঢাকায় বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতীয় কন্টিনজেন্ট সদস্যদের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, এটি অবশ্যই দুদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি প্রমাণ বহন করছে যখন উভয় রাষ্ট্রই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করছে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং ভারতের ফার্স্ট লেডি সবিতা কোবিন্দ এবং তাদের মেয়ে স্বাথী কোবিন্দ সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি তার আগমনে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান এবং রাশিদা হামিদও ভারতীয় ফার্স্ট লেডিকে আরেকটি ফুলের তোড়া উপহার দেন।পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠক করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

প্রেস সচিব জানান, ‘সাক্ষাতের সময় দুই রাষ্ট্রপতি দুদেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দেন।’
আবদুল হামিদ ভারতের রাষ্ট্রপতির এই সফরকে বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় বলে উল্লেখ করেন।

আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, দুটি দেশ একযোগে ঐতিহাসিক মেগা ইভেন্ট উদযাপন করছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী একই সঙ্গে উদযাপন করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ বলেন, ভারত বাংলাদেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সার্বিক সহযোগিতার কথা স্মরণ করে দেশটির সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুরু হয়েছিল তা বর্তমানে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।আবদুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বার্তা পাঠিয়ে এবং ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে যোগ দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে।তিনি বলেন, গত এক দশকে নিরাপত্তা, সীমান্ত বন্দোবস্ত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ব্যবসা-বাণিজ্য, অবকাঠামো ও যোগাযোগ খাতে দুই দেশের সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।

বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন সম্প্রসারণে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে বিষয়টি আরও বেগবান হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এবং সফররত ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) কয়েকজন বতর্মান ও সাবেক কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে ফোন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সন্ধ্যায় ড. মোমেনকে ফোন করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং নৈশভোজে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বঙ্গভবনে ছিলেন। ওই সময় ড. মোমেনের মোবাইল ফোনে কল দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বঙ্গভবন থেকেই অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ফোনটি রিসিভ করেন ড. মোমেন।

ফোনালাপে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানান অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় গত পাঁচ দশক ধরে দুই দেশের চলমান সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত পোষণ করেন।

এর আগে বুধবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চান।

আন্তর্জাতিক

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ জ্যামাইকাতে সমর্বতী রাষ্ট্রদূত (হাইকমিশনার) হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত কিংস হাউসে জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল স্যার প্যাট্রিক লিন্টন অ্যালেনের কাছে এ পরিচয়পত্র পেশ করেন তিনি।

পরিচয়পত্র পেশের সময় জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল, সরকার ও জনগণের প্রতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন নবনিযুক্ত হাইকমিশনার রাবাব ফাতিমা।

এ সময় হাইকমিশনার ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার ও ঘনিষ্ঠ করার জন্য আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ ও জ্যামাইকা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোতে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও সম্প্রসারিত করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানের আগে জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী মিজ কামিনা জনসন স্মিথের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এ সময় জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নারী নেতৃত্বের রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন মিজ স্মিথ।

বাংলাদেশ ও জ্যামাইকার মধ্যে নিয়মিত ফরেন অফিস কনসাল্টেশন (এফওসি) আয়োজনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার; যা দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়েরও প্রস্তাব করেন এবং জ্যামাইকার গভর্নর জেনারেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সঙ্গে ওআইসির বিভিন্ন সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মামলা দায়েরে ইসলামী সহযোগী সংস্থা ওআইসির সহযোগিতার জন্য নবনিযুক্ত মহাসচিব রাষ্ট্রদূত হোসেইন ব্রাহিম তাহাকে ধন্যবাদ জানালেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)।

রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি জেদ্দার ওআইসির সদর দপ্তরে নবনিযুক্ত মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ওআইসির শিক্ষা, বাণিজ্য, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক কল্যাণ, নারীর অধিকার ও মানবিক বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত ওআইসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ওআইসিতে স্থায়ী মিশন চালু করার বিষয়ে কাজ করছে বলে মহাসচিবকে জানান।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আশা প্রকাশ করেন, নবনিযুক্ত মহাসচিব হোসেইন ব্রাহিম তার নেতৃত্বে আগামী দিনে ইসলামী সহযোগী সংস্থা মুসলিম বিশ্বে আরও অবদান রাখতে সক্ষম হবে। তিনি নতুন মহাসচিবকে তার দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান। এছাড়াও তিনি ওআইসি মহাসচিবকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের সরকার মানবতার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যাসহ মুসলিম উম্মাহর অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

বৈঠকে জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল আলম সিদ্দিকি ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. হুমায়ূন কবীর উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক

ইতালীয় দ্বীপ সিসিলিতে একটি চারতলা অ্যাপার্টমেন্টে বিস্ফোরণের ফলে ভবন ধসে চারজনের প্রাণহানি ও পাঁচজন নিখোঁজ হয়েছে। কর্তৃপক্ষ রোববার এ কথা জানায়।

শনিবার রাতে ধসের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাভানুসাতে ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধারকারী এবং স্নিফার কুকুররা এখনও নিখোঁজদের সন্ধান করছে। খবর এএফপি’র।

ইতালির নাগরিক নিরাপত্তা সংস্থার স্থানীয় ইউনিট টুইটার ফিডে নিশ্চিত করেছে যে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে চারজনে দাঁড়িয়েছে। টেলিভিশনের চিত্রগুলোতে দেখা যায়, ভবনটি যেখানে ছিল সেখানে আরো কয়েকটি ভবন এক সময় দাঁড়িয়েছিল। এখন সেখানকার একটি বড় খালি জায়গায় প্রচুর ধ্বংসস্তুপ এবং কাঠের বিম দেখা যায়। পাশের ভবনগুলিও পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি সম্ভবত একটি গ্যাস লিকের কারণে হয়েছিল। দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

অ্যাগ্রিজেন্তো প্রদেশের অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর প্রধান জিউসেপ মেরেন্ডিনো রেইননিউজ২৪ টিভি চ্যানেলকে বলেন.” সম্ভবত একটি গহ্বরে গ্যাস জমা হয়েছিল।”

শনিবার রাতে বিস্ফোরণের পরপরই, রাভানুসার মেয়র কারমেলো ডি’অ্যাঞ্জেলো ফেসবুকে “যাদের কাছে বেলচা এবং বুলডোজার

আছে তাদের কাছে সেগুলির জন্য আবেদন করেন ।” তিনি বলেন.”একটি বিপর্যয় হয়েছে,” প্রায় ৫০ জন লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ডি’অ্যাঞ্জেলো রেইননিউজ২৪- কে বলেন, বিস্ফোরণে পার্শ্ববর্তী অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) ওপর আরোপকৃত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু কমিশন ।

রোববার যুক্তরাষ্ট্র শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো. রাব্বি আলম এবং বঙ্গবন্ধু কমিশনের চেয়ারম্যান শেরে আলম রাসু যৌথ স্বাক্ষরিত এক স্মারকলিপিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের র‌্যাবের ওপর ভুলবশত ও পক্ষপাতমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা র‌্যাব দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা, চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস দমনে অসামান্য ভূমিকা রাখায় বিশ্ব কর্তৃক র‌্যাবকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে র‌্যাবকে প্রশংসা ও পুরস্কৃত করা উচিত।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু কর্তৃক ভুল তথ্য পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক

রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য জিসিসি (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) সম্মেলন উপলক্ষ্যে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান শুক্রবার কুয়েত সফর করেছেন।

মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোর এ সম্মেলন আগামী ১৪ ডিসেম্বর সৌদির রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে ৪র্থ দফা এ সফরে বের হলেন সৌদি যুবরাজ। খবর আরব নিউজের।

এর আগে ২০১৫ সালে তিনি ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে কুয়েত সফর করেছিলেন। পরে ২০১৭ সালে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৮ সালে কুয়েত সফর করেন।

কুয়েতের যুবরাজ শেখ মিশাল আল-জাবের আল-সাবাহ ৬ মাস আগে সৌদি আরব সফর করে আসেন।

দুই দেশের বন্ধুত্বকে অটুট রাখতে এবং রিয়াদে অনুষ্ঠেয় জিসিসি সম্মেলনে কুয়েতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সৌদি যুবরাজের এ সফর।

শুক্রবার কয়েত সিটিতে পৌঁছালে যুবরাজ শেখ মিশাল সৌদি যুবরাজকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তার সঙ্গে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াজ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ সাক্ষাৎ করেন।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টর্নেডো। এতে ৫৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি, আরকানসাস, ইলিনয়, কেন্টাকি ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে ২৪টি টর্নেডো আঘাত হেনেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কেন্টাকিতে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম কেন্টাকিতে টর্নেডো আঘাত হানে বলে জানান কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার। এতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।

টেনেসি অঙ্গরাজ্যে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। অঙ্গরাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ডিন ফ্লেনারের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানায়।

উত্তর আরকানসাসের মনেটে একটি নার্সিং হোমের ছাদে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে।

ইলিনয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে টর্নেডো এবং শক্তিশালী ঝড়ের পরে সেন্ট লুইসের কাছে একটি আমাজন গুদামের ছাদ আংশিকভাবে ধসে পড়ে অনেক লোক আটকা পড়েছিল।

টর্নেডোর কারণে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বেশ কিছু অঞ্চল। ছয়টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ২ লাখ ৫৭ হাজার নাগরিক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।