আন্তর্জাতিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট এবার পঞ্চম বছরে পড়লো। কিন্তু এখন পর্যন্ত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের একজনকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও এ সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা ও অব্যাহত সহযোগিতা আশা করি। মিয়ানমারকে অবশ্যই তার নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত।’

স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা ৩০) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৬তম অধিবেশনের উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ আলোচনায় দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তাদের সাময়িক অবস্থানকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে কিছু সংখ্যক বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আমরা ‘ভাসানচর’-এ স্থানান্তর করেছি। আশ্রয় শিবিরে কোভিড-১৯ মহামারির বিস্তাররোধে টিকালাভের যোগ্য সকলকে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘আগেও বলেছি, আবারও বলছি- রোহিঙ্গা সঙ্কটের সৃষ্টি মিয়ানমারে, সমাধানও রয়েছে মিয়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই কেবল এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই গঠনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, `আমরা আশা করি আসিয়ানের নেতৃবৃন্দ বাস্তুচ্যূত মিয়ানমার নাগরিক ইস্যুতে গৃহীত প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করবেন। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাদদিহি নিশ্চিতকরণে গৃহীত সকল কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে হবে।’

আন্তর্জাতিক

দিল্লির একটি আদালতে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উত্তর দিল্লির রোহিণী আদালতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সন্ত্রাসী জিতেন্দ্র গোগী রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

গোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত এপ্রিলে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। একটি মামলায় শুক্রবার তাকে আদালতে আনা হয়েছিল। তাকে হত্যা করতে আগে থেকেই কয়েকজন সন্ত্রাসী আইনজীবীর পোশাক পরে আদালতকক্ষে প্রবেশ করে।

গোগীকে নিয়ে পুলিশ আদালত চত্বরে প্রবেশ করলেই ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এলোপাথাড়ি গুলিতে ঘটনাস্থলেই গোগীর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশের গুলিতে দুই হামলাকারী নিহত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বকে দুইশ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চীন। করোনা মোকাবিলায় এ বছরই বিশ্বকে ২শ’ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে শি জিনপিংয়ের দেশ।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, বেইজিং চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বকে করোনা মোকাবেলায় মোট ২শ’ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার চেষ্টা করবে।

The Logic of China's Vaccine Diplomacy | chinaobservers

তিনি আরো বলেন, সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায় চীন। একারণে কখনোই কোনো দেশে হামলা চালাবে না তার দেশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে শান্তিপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখবে বলে শি বলেন, চীন কখনোও কাওকে আক্রমণ করেনা বা কর্তৃত্ব দেখায়না।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নতুন স্নায়ুযুদ্ধ ছাড়াই কর্তৃত্ববাদী প্রতিযোগিতার নতুন মাপরেখা তৈরির কথা বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক

নারীরাও যাতে ভারতের মিলিটারি কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান, সরকারকে সেই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

আন্তর্জাতিক

কানাডায় ৪৪তম কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন চলছে। ভোরে জানা যাবে কে হচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। কনজারভেটিভ পার্টির এরিন ওটুল নাকি লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডো। জাস্টিন দায়িত্ব নিলে তিনি হবেন তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী।

যদিও বিভিন্ন জরিপ বলছে, কানাডিয়ান এয়ার ফোর্সে ১২ বছরের চাকরি শেষ করা এরিন তছনছ করে দিতে পারেন ট্রুডোর শিবির।

ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি অব কানাডার জনপ্রিয়তা এখন ৩২ শতাংশ এবং কনজারভেটিভদের ৩১ শতাংশ। অবশ্য অন্য জরিপে কনজারভেটিভ এগিয়ে আছে ১ পয়েন্টে। কানাডিয়ানদের কাছে ওটুলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় ওটুলের অনেক উদ্যোগের কথা কানাডিয়ানদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। অথচ এর আগে ট্রুডো যখন ২০ সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন তখন জনমত জরিপে তিনি বিপুলভাবে এগিয়ে ছিলেন।

সর্বত্রই আলোচনা হচ্ছে- নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আড্ডা, আলোচনা, জরিপে যাই হোক না কেন, ভোটারদের রায়ই বলে দেবে- এরিন নাকি জাস্টিন হচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্য, ইইউ, এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে যুক্তরাষ্ট্র। নভেম্বর থেকেই পূর্ণ ডোজ কোভিড টিকা নেওয়া বিদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন।

হোয়াইট হাউজ সোমবার একথা জানিয়েছে। গত বছরের শুরু থেকেই বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মার্কিন সরকার।

এখন পুরোপুরি কোভিড টিকা নেওয়া বিদেশিদের জন্য সেই নিয়ম শিথিল হচ্ছে।

হোয়াইট হাউজের কোভিড-১৯ মোকাবেলা কর্মসূচির সমন্বয়ক জেফ জায়েন্টস নতুন এই ‘আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণ ব্যবস্থা’ ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তিনি বলেন, “নতুন নিয়মে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে হলে সব বিদেশিকেই পুরো ডোজ কোভিড টিকা নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে। এটি দেশ ভিত্তিক নয় বরং ব্যক্তিভিত্তিক পদক্ষেপ। তাই এটি কিছুটা জোরাল ব্যবস্থা।”

“নভেম্বরের শুরু থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন সংস্থা এবং এয়ারলাইন্সগুলো প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় পাবে,” বলেন জেফ।

তাছাড়া, নতুন এই নিয়মের আওতায় দুই ডোজ কোভিড টিকা নেওয়া যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন পড়বে না এবং শিশুদের ক্ষেত্রে টিকা প্রযোজ্য না হওয়ায় তারা ছাড় পাবে।

আমেরিকানদের যারা পুরো ডোজ কোভিড টিকা নেননি তাদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকায় কোনও বাধা থাকছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আগে এবং বাড়িতে পৌঁছার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে।

স্থলপথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে নতুন এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে যানবাহনে আসা যাত্রীদের ওপর আগের মতো কড়াকড়িই বহাল থাকবে।

২০২০ সালের শুরুর দিকে প্রথমে চীন থেকে আগতদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে অন্যান্য দেশের ওপরও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তারা।

জারি থাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীনসহ যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, ব্রাজিলে গত ১৪ দিন থেকেছেন এমন বেশিরভাগ বিদেশিরই জন্যই ‍যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ রয়েছে।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন নিয়ম ঘোষণায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিসঞ্চার আর দুই পারেই এতদিন বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের পুনর্মিলনীর জন্য এ এক দারুণ ব্যাপার।”

আন্তর্জাতিক

দুই দিনের সফরে জন্মু-কাশ্মির গিয়েছেন সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে কংগ্রেস কর্মীদের আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন কাশ্মিরি পণ্ডিত। আমার পরিবারও কাশ্মিরি পণ্ডিত।’ এ সময় ‘জয় মাতা দি’ স্লোগানও দেন তিনি। যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

তিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে জড়িত করার জন্য আক্রমণ করে আসছে কংগ্রেস। সেই দলটির নেতা রাহুল গান্ধী আজ শুক্রবার জম্মুর একটি মঞ্চ থেকে ‘জয় মাতা দি’ বলার জন্য কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নিজেও এই স্লোগান দিয়েছেন।

পরে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমি একজন কাশ্মিরি পণ্ডিত। আমার পরিবারও কাশ্মিরি পণ্ডিত। কাশ্মিরি পণ্ডিতদের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। তারা বলেছে, কংগ্রেস তাদের জন্য অনেক কল্যাণমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে, কিন্তু বিজেপি কিছুই করেনি।

আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমার কাশ্মিরি পণ্ডিত ভাইদের জন্য কিছু করব, যোগ করেন তিনি।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সফরের প্রথম দিন ৫১ বছর বয়সী এই নেতা জম্মুর কাটরা থেকে পায়ে হেঁটে বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে যান।

সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি মাতাকে (মা দেবী) প্রার্থনা করতে। এখানে কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য করতে চাই না।

এদিকে, বিজেপি তার মন্দির দর্শন ও এই পদক্ষেপগুলোকে ‘সুবিধাবাদী’ বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন দলটি বলেছে, রাহুল গান্ধী খুব সুবিধাজনকভাবে ভুলে গেছেন যে, কাশ্মিরি পণ্ডিতদের দুঃখ কংগ্রেস এবং তাদের সমমনা দলের ‘তুষ্ট করার রাজনীতির’ কারণে। জম্মু ও কাশ্মিরের সমস্যাগুলো গান্ধী পরিবারের কারণেই। অঞ্চলটির সমস্যার জন্য দায়ী জওহরলাল নেহেরু। রাহুল এবার যা করেছেন সেটা তার ‘অপরিপক্কতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’।

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ’র ভাই রোহুল্লাহ আজিজীকে হত্যা করেছে তালেবান। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন নিহতের ভাগ্নে এবাদুল্লাহ সালেহ। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুল পতনের পর পাঞ্জশির উপত্যকায় তালেবান বিরোধী লড়াইয়ে অন্যতম নেতা ছিলেন আমরুল্লাহ সালেহ। তালেবানরা অঞ্চলটি দখল করার কয়েকদিন পর সংবাদটি প্রকাশ্যে এলো।

লিখিত বার্তায় রয়টার্সকে এবাদুল্লাহ সালেহ বলেন, ‘তারা আমার চাচাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। গতকাল তাকে হত্যা করেছে এবং তারা আমাদের তাকে দাফন করতে দেয়নি। তালেবান বলেছে, তার (রোহুল্লাহ আজিজী) শরীর পচা উচিত।’

এদিকে, তালেবান তথ্য পরিষেবা আলেমারা তাদের উর্দু ভাষার অ্যাকাউন্টে বলেছে, রিপোর্ট অনুযায়ী পাঞ্জশিরে যুদ্ধের সময় রোহুল্লাহ আজিজী সালেহ নিহত হন।

আন্তর্জাতিক

তালেবানদের অবশ্যই প্রকৃত শরিয়াহ আইন (ইসলামী) অনুসরণ করতে হবে। যেখানে নারীদের অধিকারসহ সব ধরনের মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেছেন জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও স্থানীয় পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

তিনি বলেন, ‘তালেবান এখন বাস্তবতা হিসেবে এসেছে। প্রথমবার ক্ষমতায় থাকাকালীন (১৯৯৬-২০০১) তারা মানবাধিকার বিরোধী ছিল। এখন আফগানিস্তান শাসন করতে চাইলে, তাদের অবশ্যই কুরআনে বর্ণিত প্রকৃত শরিয়াহ আইন অনুসরণ করতে হবে, যা নারী, শিশু এবং বয়স্কদের অধিকার নিশ্চিত করে।

যদি তালেবানরা মদীনায় নবী মুহাম্মদ (স.) এর স্থাপিত শাসনের উদাহরণ অনুসরণ করে, তাহলে সেটা বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’

জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তালেবানরা যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়, তাহলে তাদের ইসলাম ও শরিয়ার কঠোর ব্যাখ্যা থেকে বিরত থাকা উচিত।

আর যদি তা না হয়, তবে এটি আফগানিস্তানের মানুষের জন্য বিষয়গুলোকে কঠিন করে তুলবে, যোগ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আগামী ২০২২ সালে করোনা পরিস্থিতি উন্নত হলে এবং দেশ থেকে হজে গমনের অনুমতি পাওয়া গেলে ইতোপূর্বে যারা প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করেছেন তারা ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে গমন করতে পারবেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবের অভ্যন্তরে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বর্হিবিশ্ব থেকে কোন হজযাত্রী সৌদি আরবে গমনের সুযোগ পাননি। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকেও কোন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনের নিমিত্ত সৌদি আরবে গমন করেননি।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ হতে হজেগমনেচ্ছু নিবন্ধিত ব্যক্তিদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনকারী ব্যক্তি জমা করা অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদনের করে সে অর্থ উত্তোলন করেত পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনাধীন হজে গমণের জন্য ২০২০ সালে ৩ হাজার ৪৫৭ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে ৭৫৭ জন ব্যক্তি তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং ২ হাজার ৭০০ জন ব্যক্তি বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনাই ২০২০ সালে হজে গমনের জন্য ৬১ হাজার ১৪২ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে ৭ হাজার ৭১৯ জন ব্যক্তি তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং এখন ৫৩ হাজার ৪২৩ জন ব্যক্তি নিবন্ধিত রয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত  সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু ছিল। এরপর আর কোন নিবন্ধন করা হয়নি। তবে, হজের প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫ হাজার ২২৪ জন  এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৪ জন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়ে থাকলে ২০২২ সালে হজে গমনের ক্ষেত্রে তা নবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম ছাড়াও সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহনও পর্যটন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, পাসপোপোর্ট অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউডেশন, ব্যাংকসমূহ, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) প্রতিনিধিসহ হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।