আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরায়েলের বিপক্ষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন সহ আরো কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ মে) অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন। তাদের অধিকাংশের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা। এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। অনেকের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ধরে ছিল। সেগুলোতে লেখা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করো’, ‘ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করো’ ইত্যাদি।

এর আগে গত ১০ মে থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। যেটি গত বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়েছে। পরদিন শুক্রবার থেকে এটি কার্যকর হয়েছে।

টানা ১১ দিনের সহিংস সংঘাতে কেবল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছে ৬৬ শিশু ও ৩৯ নারীসহ অন্তত ২৪৮ জন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার জন ফিলিস্তিনি নাগরিক।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে ২ শিশুসহ নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩ জনে।

আন্তর্জাতিক

১১ দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) রাতেই যুদ্ধ বিরতিতে গেছে ইসরায়েল ফিলিস্তিন। সংঘর্ষ বিরতির পরই তাই প্রশ্ন উঠছে, এই যুদ্ধে কী পরিমাণ ক্ষতি হলো দুই দেশের। সেই হিসাব দিতে নেমেছে দুই দেশের নেতারা।

হামাস মিডিয়ার দাবি করেছে, গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি রকেট বেছে বেছে টার্গেট করেছে ফিলিস্তিনের শিল্প-কারখানা গুলোকে। ব্যাপকতার দিক থেকে তাই এবার ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা বেশি।

প্রাথমিক হিসাবে জানা গিয়েছে, সব কিছু মিলিয়ে গত ১১ দিনে প্যালেস্তাইনের ক্ষতি আনুমানিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিধ্বস্ত দেশের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোও। এখানে শেষ নয়, এর সঙ্গে যোগ হবে আরও ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ক্ষতি দেশের কৃষিক্ষেত্রে। ইসরায়েলি রকেট হামলায় সবুজ কৃষিক্ষেত্র এখন ধূসর হয়ে গিয়েছে।

ইসরায়েলের হামলায় যে পরিমাণ ক্ষতি হলো ফিলিস্তিনের

যুদ্ধকালীন ১১ দিন ইসরায়েলের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে জাতিসংঘের পরিচালিত স্কুল গুলোতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল। শনিবার (২২ মে) সকালে বাড়ি ফিরে অনেক ফিলিস্তিনিকেই খোলা আকাশের নিচে, রাস্তার পাশে থাকতে দেখা গেছে। জীবনের বেঁচে থাকার জন্য রসদ সংগ্রহের কাজ চলছে সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকেই। কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্র কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে থমকে আছে টিকাকরণ ও প্রয়োজনীয় পরিষেবা।

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় এক হাজার পৃথক বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলের বোমা হামলায়, মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৭০০ ঘর-বাড়ি, এছাড়াও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার ঘর।

এদিকে শিল্প, বিদ্যুৎ ও কৃষি খাতের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে ১০ কোটি মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। অনেক এলাকায় পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।

আর উল্টোদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনো ক্ষতি নেই ইসরায়েলের। পুরোটাই ‘লাভ’। আন্তর্জাতিক সামরিক বিশেষজ্ঞ জন টমাসের দাবি, “গত ১১ দিনে গাজার উপর পরীক্ষামূলকভাবে এমন কিছু সমরাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যা আগামী সময়ে বিশ্বের বাজারে আনতে চলেছে ইসরায়েল।

বিশেষজ্ঞদের এই দাবিতে খানিকটা চাপেই তেল আবিব। পুরো বিষয়টিকে তারা এখন পর্দার আড়ালে রাখার চেষ্টা করছে। ইসরায়েল সরকারের পালটা দাবি, গাজা থেকে হামাসের রকেট হামলার জবাব দেওয়া হয়েছিল। এর থেকে আর বেশি কিছু নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কাছে, এই যুক্তি ‘ঠুনকো’ বলেই মনে হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক

গাজা উপত্যকায় চলমান সহিংসতার মধ্যেই বিশ্বব্যাপী আলোচনায় বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক ইসরায়েলের কাছে ৭৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের সংবাদ। যা নিয়ে সর্বমহলে সমালোচনা চলছে। এমন অবস্থার মধ্যে এবার হোয়াইট হাউজের অস্ত্র বিক্রির এ পদক্ষেপ বন্ধ করতে নতুন একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছেন মার্কিন সিনেটর ও ডেমোক্র্যাট নেতা বার্নি স্যান্ডার্স। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স নতুন একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছেন। যার লক্ষ্য ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৩৫ মিলিয়ন ডলারের (বাংলাদেশি টাকায় ৬ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বেশি) অস্ত্র বিক্রির পদক্ষেপ বন্ধ করা।

বার্নি স্যান্ডার্স ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমার মাধ্যমে গাজায় নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে তখন আরো একটি বড় ধরনের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনকে আমরা কোনোভাবেই অনুমতি দিতে পারি না।

এর আগে গত ৫ মে মার্কিন কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র বিক্রি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিলো। তখন ডেমোক্র্যাটসের একটি নতুন প্রজন্ম নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত এই সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। অস্ত্র বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ জানান। তারা বিষয়টি নিয়ে আরও সময় চান। যদিও ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতাই সমর্থন দিয়েছেন।

বাইডেন প্রশাসনের দাবি, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আগেই এই অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে মার্কিন সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করছেন অনেকে। কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক ডেমোক্র্যাট বলেন, ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার চাপ না দিয়ে এই প্রস্তাবিত স্মার্ট বোমা বিক্রির ফলে আরও হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হবে। পশ্চিমতীরে এতে সহিংসতা আরও বাড়বে।

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ও যেকোনো সময় তা হতে পারে, চারদিকে এমন আলোচনার মধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) এ সহিংসতা একাদশ তম দিনে গড়ালো। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০ জনে। এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০ জনে। এদের মধ্যে ৬৫ জন শিশু। গতকাল বুধবার নিহতদের মধ্যে এক পঙ্গু লোক, তার গর্ভবতী স্ত্রী ও তিন বছর বয়স্ক শিশুও ছিল।

অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, বেসামরিক লোকদের যেন ক্ষতি না হয় সে জন্য হামলার পূর্বে সতর্ক করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। হামাস কর্তৃক ভুলভাবে রকেট হামলার কারণেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে ২ শিশুসহ নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩ জনে। সেখানে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ সিনেটর। ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন অসোফের নেতৃত্বে সিনেটররা এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য হিল।

আন্তর্জাতিক

ঢাকা সফরে আসছেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভলকান বোজকিশ। আগামী ২৫ থেকে ২৭ মে তিনি ঢাকা ও ইসলামাবাদ সফর করবেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

2)Bangladeş’te Başbakan Sn Sheikh Hasina tarafından kabul edileceğim. Dışişleri Bakanı Sn AK Abdul Momen ile görüşeceğim. Bangladeş Dışişleri Bakanlığı Akademisi’ne hitap edeceğim. Bangladeş’teki BM Ülke Takımı ile biraraya geleceğim.

— Volkan BOZKIR (@volkan_bozkir) May 17, 2021

বাংলাদেশ সফরে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু, বহুপক্ষীয় ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বোজকিশ। এছাড়া বৈশ্বিক সমস্যা, বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা ও জাতিসংঘ নিয়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিনি বক্তব্য দেবেন।

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের ১০ম দিনের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২শ ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৬৩ শিশু রয়েছে।

আহত হয়েছে দেড় হাজারের মতো।

বুধবার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতির আহ্বানে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের ১০ তারিখে গাজায় হামলার পর জো বাইডেন এখন পর্যন্ত ৩ বার কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে।  বাইডেন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তাকে গাজায় হামলা বন্ধ করার কোনো ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফরেন পলিসি প্রধান জোসেপ বোরেলও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

এর মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল গাজায় ১৭ হাসপাতাল ও ক্লিনিক ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজায় একমাত্র করোনা পরীক্ষার ল্যাবটিও অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। গাজার প্রায় ৮ লাখ অধিবাসীর জন্যে পানীয় জলের সরবরাহ লাইন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষের গাজা উপত্যকায় চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

দখলদার ইসরাইলের একটি যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

সোমবার এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দীন আল কাসসাম বিগ্রেড এ হামলার দাবি করেছে বলে ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, সোমবার বিকালে কাসসাম ব্রিগেডের সেনারা সাগরে ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এছাড়া, কাসসাম ব্রিগেড আজ ইহুদি উপশহর ‘হার্টসলিয়া’-তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।  তবে এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সোমবার ভোরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় নতুন করে সিরিজ বিমান হামলা চালানোর পর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।  এর আগে হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলের আশকেলান উপকূলে তেল ও গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামী জিহাদের সিনিয়র কমান্ডার হাসাম আবু হারবিদ নিহত হয়েছেন।

সোমবার বিকালে গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় হামলায় নিহত হন তিনি।  টানা আট দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান ও কামান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।

জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়, যৌথ অভিযানে নিহত আবু হারবিদ ২০১৯ থেকে ইসলামী জিহাদের উত্তর গাজা উপত্যকা বিভাগের অধিনায়ক ছিলেন।  তিনি গত ১৫ বছর ধরে এই সংগঠনটির প্রভাবশালী একজন কর্মী ছিলেন।

রোববার মধ্যরাতের পর ইসরাইলের বিমান বাহিনীর ৫০টি যুদ্ধবিমান পুরো ২০ মিনিট ধরে গাজার মূল শহর ও তার তার আশপাশের এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে।

ইসরাইলের সেনা কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেন, বিমানবাহিনী ইসরাইলের জন্য ‘বিপজ্জনক’ ৩৫টি লক্ষ্যবস্তু ও হামাস যোদ্ধাদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গপথ, যেগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছে।

গাজার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় সেখানকার কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ প্রচুর বাড়িঘর, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গাজার বেশিরভাগ এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

বিদ্যুৎ না থাকায় গাজার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থাকা করোনা রোগীরা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় আছেন।

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরাইলের সর্বাত্মক সন্ত্রাসী হামলার মধ্যেই দেশটিকে আরও অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রায় ৭৩.৫ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের ভয়াবহ হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। বাইডেন মানবাধিকার রক্ষার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ডেমোক্র্যাটরা।

সমালোচনা শুরু হয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অব্যাহতভাবে সমর্থন নিয়েও। এর মধ্যেই আবার ইসরাইলকে ব্যাপক অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের বেশকিছু আইনপ্রণেতা। খবর আল জাজিরার।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইসরাইলের কাছে নতুন করে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি মার্কিন কংগ্রেসকে জানানো হয় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (৫ মে)।

গত সপ্তাহ থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের তীব্র বিমান হামলা শুরু হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহের মাথায় রোববার ওই অস্ত্রবিক্রির প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় বাইডেন প্রশাসন।

এদিনই গাজায় হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে সমর্থন জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘ইসরাইলের নিজেকে সুরক্ষার অধিকার রয়েছে।’

ওয়াশিংটনের এই অবস্থানকে এর আগেও মার্কিন কংগ্রেসের বেশির ভাগ আইনপ্রণেতাই সমর্থন করেছে। কিন্তু এই অব্যাহত সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের নতুন প্রজন্মের আইনপ্রণেতারা। এমনকি বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রয় প্রস্তাব ও সময়ের ব্যাপারে আরও জানতে চাইছেন।

সিএনএন তাদের এক বিশ্লেষণে জানায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরাজিত করে সামাজিক ও জাতিগত ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডেমোক্রেটিক দল ক্ষমতায় এসেছে। তাই এ সময়ে এসে ইসরাইলের পক্ষে কথা বলা এই দলটির জন্য বেশ অস্বস্তিকর।

যুক্তরাষ্ট্র বর্ণবাদ ও বৈষম্যের ইতিহাস পালটে দেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে এবং ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকে গ্রহণ করেছে। লিবারেলরা মনে করেন, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ন্যায্য বিচারের একই রকম ধারণার প্রয়োগ করা। অনেকেই বর্তমানে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আচরণকে জাতিগত বিদ্বেষ হিসাবে মনে করেন।

টানা আট দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান ও কামান হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এসব হামলায় ৫৮ শিশুসহ ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক

ভারতে করোনা মহামারি এতটাই ভয়াবহ যে সকল রোগীকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অবশ্য শহরের ও ধনী ঘরের রোগীরা কিছুটা হলেও চিকিৎসা পাচ্ছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের গরীব লোকেরা তাও পাচ্ছে না। এমনকি আশপাশে কোথাও হাসপাতালও নেই। যদিওবা দুই-একটা পাওয়া যায়, কিন্তু সেগুলোতে করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। এমতাবস্থায় অনেক জায়গায় অক্সিজেনের জন্য রোগীরা গাছের তলায় আশ্রয় নিচ্ছে।

আজ সোমবার (১৭ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রাম মেওলা গোপালগড়। সেখানে কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে গাছতলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মূলত অক্সিজেনের জন্যই এ ব্যবস্থা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাছতলায় রোগীদের জন্য মেডিসিন বলতে কেবল গ্লুকোজের পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা আছে। আর তাদের শোয়ার জন্য খাটিয়া পাতা হয়েছে। চারপাশে গরু বাধা। নেই অন্য কোনো ওষুধ। এমনকি তাদের সেবা দেওয়ার জন্য নার্স কিংবা চিকিৎসক পর্যন্ত নেই।

জানা গেছে, অঞ্চলটিতে একটি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত বেড নেই। আবার বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ গ্রামের লোকদের নেই। তাই বিকল্প এই ব্যবস্থা। সেখানে করোনা টেস্ট করানোরও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। তাই যাদের শরীরে ভাইরাসটির উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাদেরকে গাছতলায় এনে রাখা হচ্ছে।

সম্প্রতি ওই গ্রামের ৭৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তার ছেলে সঞ্জয় সিং জানান, যখন মানুষের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তখন তারা অক্সিজেন লেভেল সমান করার জন্য গাছতলায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেখার কেউ নেই।

এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কমেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের স্বাস্থ্য-মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৪১০৬। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪১ জন, যা আগের দিনের তুলনায় বেশি।

আন্তর্জাতিক

আমেরিকা ও ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে ফিলিস্তিনির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, তার সরকার ফিলিস্তিনের জনগণকে রক্ষায় সম্ভাব্য সব কিছু করছে। ফিলিস্তিনিরা তাদের জন্মভূমি কখনই ছাড়বে না।

তিনি জেরুজালেম ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষায় কাজ করছে।
‘ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি ইসরায়েলের আগ্রাসন’ এর প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে আজ রামাল্লায় রাষ্ট্রপতি সদর দফতরে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় আগ্রাসনসহ সর্বত্র আমাদের লোকদের বিরুদ্ধে দখলদার বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসন সব সীমা অতিক্রম করে সমস্ত আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছে। ’

প্রেসিডেন্ট বলেন, জেরুজালেম একটি লাল রেখা, এটি ফিলিস্তিনের হৃদয় ও প্রাণ এবং এর চিরন্তন রাজধানী, এর সম্পূর্ণ মুক্তি ব্যতিত শান্তি, সুরক্ষা বা স্থিতিশীলতা নেই। জেরুজালেমের আরব ইসলামি পরিচয় অপসারণের জন্য ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ এবং জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। এটি আল-আকসা মসজিদের মতো বাড়িঘরে চুরি এবং ধর্মীয় স্থানগুলোকে অবমাননা করা হচ্ছে।

আমেরিকা ও ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে আব্বাস এই দখল বন্ধের দাবি জানিয়ে আরও বলেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের জন্মভূমি কখনই ছাড়বে না।