আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে ব্যাপকভাবে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলে হামাসের এই হামলা আরো বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার (১১ মে) গভীর রাত থেকে শুরু করে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৩০টির বেশি রকেট হামলা হামলা চালানো হয়েছে। মুহুর্মুহু এ হামলা পুরোপুরি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই হামলা ঠেকাতে পারে। এর সুরক্ষা বলয় ভেদ করেই মঙ্গলবার রাতে একটি ইসরায়েলি পাইপলাইনে আঘাত করেছে ফিলিস্তিনি রকেট। এতে পাইপলাইনের একটি বড় অংশে আগুন ধরে যায়। এতে মঙ্গলবার গভীর রাতে তেল আবিবের রিশন লেজিওনে এক নারী নিহত এবং অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বুধবার ভোরেও রাজধানীসহ বের্শেবা, মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলের দিকে প্রচুর রকেট নিক্ষেপ করে হামাস। এতে বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ইসরায়েলজুড়ে।

এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জন। এর মধ্যে ১০ শিশুও রয়েছে। সবশেষ হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে ১৩তলা গাজা টাওয়ার।

তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। হামলার আশঙ্কায় আগে থেকেই মানুষ নিরাপদস্থলে সরে গিয়েছিল। এছাড়া সোমবারের হামলার ঘটনায় তিনজন ইসরায়েলি মারা গেছে।

২০১৭ সালের পর এটাই সবচেয়ে তীব্র হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক

সোমবার থেকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় গাজায় অনন্ত ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ছোড়া রকেটে ইসরাইলি সেনাসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। খবর-বিবিসির।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করছে, দেশটিতে হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।

ইহুদিবাদী দেশটির সঙ্গে চলা সংঘর্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে দুই দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষে বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।

সংঘর্ষ চলাকালে ইসরাইলি বাহিনী কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। এ ছাড়া তেল আবিবের পাশের একটি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

এদিকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় একটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। অপর একটি ভবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে, তারা রকেট হামলার উৎসস্থলে এবং হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া হামাসের গোয়েন্দা নেতাদের হত্যা করতে পেরেছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল।

২০১৪ সালের পর এটিই ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। সেবার সাত সপ্তাহের যুদ্ধে ২ হাজার ১০০ গাজাবাসী ও ৭৩ ইসরাইলি নিহত হয়। এবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।

জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় নিরপরাধ ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় ইসরাইলে রকেট হামলা চালায় হামাস।এর পর বিকাল থেকে বিমান হামলা চালাতে থাকে ইসরালি বাহিনী।

আন্তর্জাতিক

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি নারী সার্জেন্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন ফজিলাতুন নেসা। তিনি এখন পুলিশ সার্ভিস এরিয়া ফোরে কর্মরত আছেন।

আজ (১২ মে) ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে খবরটি শেয়ার করা হয়েছে। পোস্ট দুটির মন্তব্যের ঘরে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেসাকে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি নারী সার্জেন্ট

বাংলাদেশ থেকে ২১ বছর বয়সে আমেরিকায় অভিবাসী হিসেবে পাড়ি জমান নেসা। ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা ও চাকরি দুটোই সমানতালে সামলেছেন তিনি।

চাকরিতে বীরত্ব দেখিয়ে মর্যাদাসম্পন্ন সেঞ্চুরিয়ন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নেসা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক নারীকে ছাদ থেকে লাফ দেওয়া থেকে রক্ষা করেন তিনি। তাকে সহায়তা করেন অফিসার টোরেস।

আন্তর্জাতিক

কোয়াড নিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বুধবার (১২ মে) চীনা রাষ্ট্রদূত ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনা টিকা হস্তান্তর উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে কোয়াডে যোগ দেওয়া নিয়ে বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চান সচিব। তখন চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষতি হবে, এমন কোনো বিষয় তিনি বোঝাননি। ভাষাগত কারণে এমনটা হয়েছে।

পরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষতি হবে, এমন কোনো বিষয় তিনি বোঝাননি। ভাষাগত কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

সোমবার (১০ মে) দুপুরে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সঙ্গে ভার্চুয়াল আলাপে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘চীন সব সময় মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কোয়াড হচ্ছে চীনবিরোধী একটি গ্রুপ। আমি এটি পরিষ্কার করে বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত এই চার সদস্য বিশিষ্ট ক্লাবে যোগ দিলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না। কারণ এর ফলে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

আন্তর্জাতিক

ক্ষমতায় থাকা না-থাকা নিয়ে পার্লামেন্টের আস্থাভোটে হারে গেলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তার সরকারের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৩টি, আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১২৪টি।

সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, সোমবার (১০ মে) নেপালের ২৭১ আসনের সংসদে ২৩২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ওলি সরকারের প্রয়োজন ছিল ১৩৬ সদস্যের সমর্থন। কিন্তু সরকারের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৩টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১২৪টি। এছাড়া ১৫ জন সংসদ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।

আস্থাভোটে হারের ফলে পতন হল ৩৮ মাসের ওলি সরকারের। ক্ষমতাসীন দলের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা দলীয় হুইপ অস্বীকার করেন ও ভোটদানে বিরত ছিলেন। এর ফলে তাঁদের সাংসদ পদ যেতে পারে। কেপি শর্মা ওলি এ বার রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারীর কাছে পদত্যাগ জমা দেবেন।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন সংবিধানের অধীনে নির্বাচিত হওয়া সরকারের এটাই প্রথম আস্থা ভোট। পুষ্প কমল দাহালের নেতৃত্বাধীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) সমর্থন প্রত্যাহার করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ওলি সরকার। এজন্য তাকে সংসদের নিম্নকক্ষে আস্থা ভোটে যেতে হয়।

আন্তর্জাতিক

স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম আইনপ্রণেতা হিসেবে জায়গা করে নিলেন ফয়সল চৌধুরী। স্কটিশ লেবার পার্টির এই প্রার্থী স্কটল্যান্ডের লদিয়ান এলাকা থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ভোটের পর শুক্রবার এই ফল ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ১২৯টি আসনের মধ্যে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ৬৪, কনজারভেটিভ ৩১, লেবার পার্টি ২২, গ্রিন পার্টি ৮ ও লিবারেল ডেমোক্রেটস ৪টি আসন পেয়েছে।

ফয়সল লেবার পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় বহু বছর ধরে। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে এডিনবরার সাউথ ওয়েস্ট আসন থেকে তিনি দলের প্রার্থী হয়েছিলেন। এডিনবরা ও লদিয়ান রিজিওনাল ইকুয়ালিটি কাউন্সিলেরও চেয়ারম্যান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ সমিতি এডিনবরার চেয়ার ও এডিনবরা মেলার ভাইস চেয়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

সিলেটের নবীগঞ্জের সন্তান ফয়সল চৌধুরী এডিনবরায় রেস্তোরাঁ ব্যবসা করেন। সেখানে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত তিনি। তরুণ বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে গিয়ে প্রথমে ম্যানচেস্টারে বসবাস শুরু করলেও পরে এডিনবরায় চলে যান।

‘বাংলাদেশ সাইক্লোন আপিলে’ প্রায় আড়াই লাখ পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ ছাড়াও দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘সেন্ট কলম্বাস হসপাইস’, লিউকেমিয়া ও ক্যানসার আপিলসহ ‘ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন’-এর জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন তিনি।

যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার প্রশ্নে ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডে গণভোটের সময় ‘বাংলাদেশিজ ফর বেটার টুগেদার ক্যাম্পেইন’-এর সমন্বয়কারী ছিলেন ফয়সল। মূলধারার রাজনীতিতে স্থানীয় বাংলাদেশিদের যুক্ত করতেও রয়েছে তার ভূমিকা। ২০০৪ সালে কমিউনিটি সেবার জন্য তিনি সম্মানসূচক খেতাব ‘মেম্বার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পান।

আন্তর্জাতিক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে এবার মাত্র ৪২ জন মুসলিম প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে ৪১জনই জয়ী হয়েছেন। আর আইএসএফের প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী।

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মুসলিম ভোট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে রাজ্যে। ২৯৪ আসনের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রায় ১০০টি আসনের ভবিষ্যৎ ঠিক করে মুসলিম ভোট।

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জয়ী মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা ছিল ৫৯ জন।

এরপরের নির্বাচনে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২৯৪ সদস্য আসনবিশিষ্ট বিধানসভার নির্বাচনে শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ৫৬ জন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হন।  তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকেটে জয় পান মোট ২৯ জন, কংগ্রেসের ১৮ জন, সিপিআইএমের ৮জন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হন।

২০১৬ সালের তৃণমূলের জয়ী বিধায়কদের মধ্যে ৭ জন মন্ত্রীত্ব পান।  তারা হলেন- জাভেদ খান, ফিরহাদ হাকিম, আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, গোলাম রব্বানি ও জাকির হোসেন।

১. আমডাঙ্গা আসন থেকে রফিকুর রহমান

২. বাদুরিয়া আসন থেকে আবদুর রহিম কাজী

৩. বশিরহাট উত্তর থেকে রফিকু ইসলাম মণ্ডল

৪.  বেলেডাঙ্গা থেকে হাসানুজ্জামান এসকে

৫. ভাগাবাঙ্গুলা থেকে ইদ্রিস আলী

৬. ভাঙ্গর থেকে নওশাদ সিদ্দিকী (আইএসএফ)

৭. ভারতপুর থেকে হুমায়ুন কবীর

৮. ক্যানিং পূর্ব থেকে শওকত মোল্লা

৯. চাকুলিয়া থেকে আজাদ মিনহাজুল আরফিন

১০. ছাপড়া থেকে রুকবানুর রহমান

১১. চোপড়া থেকে হামিদুর রহমান

১২. দেবরা থেকে হুমায়ূন কবীর

১৩. ডেগাঙ্গা থেকে রহিমা মণ্ডল

১৪. দুমকল থেকে জাফিকুল ইসলাম

১৫. ফারাকা থেকে মনিরুল ইসলাম

১৬. গোয়ালপোখার থেকে মো. গোলাম রাব্বানী

১৭. হারিহারপাড়া থেকে নিয়ামত শেখ

১৮. হরিশচন্দ্রপুর থেকে তাজমুল হোসাইন

১৯. হাওড়া থেকে ইসলাম এসকে নূরুল (হাজী)

২০. ইসলামপুর থেকে আবদুল করিম চৌধুরী

২১. ইতাহার থেকে মোশাররফ হোসেন

২২. জালাঙ্গি থেকে আবদুর রাজ্জাক

২৩. কালিগঞ্জ থেকে নাসির উদ্দিন আহমেদ

২৪.  কসবা থেকে আহমেদ জাভেদ খান

২৫. কেতুগ্রাম থেকে শেখ শাহনেওয়াজ

২৬. কলকাতা পোর্ট থেকে ফিরহাদ হাকিম

২৭. কুমারগঞ্জ থেকে তুরাফ হোসেন মণ্ডল

২৮. লালগোলা থেকে আলী মোহাম্মদ

২৯. মাগরাহাট পশ্চিম থেকে গিয়াস উদ্দিন মোল্লা

৩০. মালতিপুর থেকে আবদুর রহিম বক্সি

৩১. মেথিয়াবুরুজ থেকে আবদুল খালেক মোল্লা

৩২.মন্তেশ্বর থেকে শাইখুল হাদিস মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

৩৩. মোথাবাড়ি থেকে সাবিনা ইয়াসমিন

৩৪. মুরারাই থেকে ডা. মোশাররফ হোসেন

৩৫. নাকাশিপাড়া থেকে কল্লোল খান

৩৬. নাওদা থেকে শাহীন মোমতাজ খান

৩৭. পানসকোড়া পশ্চিম থেকে ফিরোজা বিবি

৩৮. রঘুনাথগঞ্জ থেকে আখরুজ্জামান

৩৯. রানীনগর থেকে আবদুল সৌমিক হোসাইন

৪০. রেজিনগর থেকে রবিউল আলম

৪১. সোনারপুর উত্তর থেকে ফিরদৌসী বেগম ও

৪২. সুজাপুর থেকে সাবেক বিচারপতি মো. আবদুল গণি (পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে) বিজয়ী হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশসহ চার দেশের যাত্রীদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। অন্য তিনটি দেশ হলো পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। এসব দেশের নাগরিকরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে চড়ে আমিরাতে ঢুকতে পারবেন না।

সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমসের বরাতে জানা যায়, আগামী ১২ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। একইসঙ্গে সব ট্রানজিট ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

গোল্ডেন ভিসাধারী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত বিমান এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।

সোমবার (১০ মে) দেশটির ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় জরুরি অবস্থা সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা দিয়ে বলেছে, জরুরি অবস্থা ছাড়া সবক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। তবে কার্গো বিমানের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নয়। এছাড়া আরব আমিরাতের নাগরিক, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও গোল্ডে ভিসাধারীরা সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না।

এর আগে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপালের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির সিনিয়র মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব বলেছিলেন, ‘এই দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর দীর্ঘমেয়াদী সোশ্যাল ভিজিট পাস, ব্যবসায়িক ভ্রমণ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে, কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী ও ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনস-১৯৬১-তে বর্ণিত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।’

আন্তর্জাতিক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ভূমিধস জয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ইতিমধ্যে তিনি শপথ নিয়েছেন।  সোমবার শপথ নেবেন তার নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।  এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।

খবরে বলা হয়, রাত পোহালেই নতুন মন্ত্রিসভা তৈরি করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ইতিমধ্যেই বিধায়করা নিজেদের মতো করে খোঁজখবর করতে শুরু করেছেন। কে মন্ত্রী হবেন আর কে মন্ত্রী হবেন না তার হিসেবনিকেশ করছেন।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই চারদিক বিচার করে মন্ত্রিসভার তালিকা তৈরি করে ফেলেছেন।  যা সকলেরই অজানা।  সোমবারই শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।  বেলা ১১টা নাগাদ বিধানসভাতেই রাজ্যের মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। তারপর বিকেলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক রয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকবে। অমিত মিত্রকে অর্থমন্ত্রী করে ৬ মাসের মধ্যে জিতিয়ে আনা হবে।  আবার এই দফতরের মন্ত্রী হতে পারেন অভিরূপ সরকারও।  এমনটাও হতে পারে। যোজনা কমিশনের ধাঁচে কোনও প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হতে পারে। সেখানে অমিত মিত্রকে নিয়ে আসা হতে পারে উপদেষ্টা করে। আর একজন প্রতিমন্ত্রী রাখা হবে। নতুন–পুরনো মিশেলেই এই মন্ত্রিসভা তৈরি করা হবে। বেশ কয়েকটি নতুন মুখকেই মন্ত্রিসভায় জায়গা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে খবর। সুশান্ত মাহাতো, বীরবাহা হাঁসদাকে সেক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে। জুন মালিয়া কিংবা রাজ চক্রবর্তীর মধ্যে একজনকে দেখা যেতে পারে মন্ত্রিসভায়। তবে এবার আরও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হতে চলেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

খাদ্যমন্ত্রীই থাকছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। একুশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমর্থন পেয়েছেন মুর্শিদাবাদ ও মালদহ থেকে। সেক্ষেত্রে এই দুটি জেলা থেকে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা থেকে সাবিত্রি মিত্র ও সাবিনা ইয়াসমিন এবং মুর্শিদাবাদ থেকে সুব্রত সাহা এবং অপূর্ব সরকারের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর পূর্ব মেদিনীপুর থেকে অধিকারী পরিবারের প্রধান বিরোধী অখিল গিরির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার উত্তর ২৪ পরগনা থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পরিবহণ মন্ত্রী হিসাবে মদন মিত্র ও শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে ব্রাত্য বসুর নাম তালিকায় রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে তৃণমূল কংগ্রেস ৩১টি আসনের মধ্যে ৩০টি আসন পেয়েছে। তাই এখান থেকেও নতুন মুখ আসতে পারে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা মন্ত্রী হতে পারেন। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলকেও মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হতে পারে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী হতে পারেন মেখলিগঞ্জ থেকে নির্বাচিত পরেশচন্দ্র অধিকারী, জলপাইগুড়ি থেকে মন্ত্রী হতে পারে প্রদীপ বর্মা, উত্তর দিনাজপুর থেকে মন্ত্রী হতে পারেন গোলাম রব্বানি, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মন্ত্রী হতে পারেন বিপ্লব মিত্র, হুগলি থেকে মন্ত্রী হতে পারেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তবে ইন্দ্রনীল সেন, মানস ভুঁইয়া, মনোজ তিওয়ারি মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

আন্তর্জাতিক

বিল এবং মেলিন্ডা গেটসের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানা যায় যে, তারা বিবাহিত জীবনে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছিলেন। গেটস ফাউন্ডেশন পরিচালনার এবং করোনভাইরাস মহামারী জনিত চাপের কারণে তাদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে ৪৬ বছর বয়সী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস নেপাল, আইসল্যান্ড এবং জিম্বাবুয়ের সম্মিলিত জিডিপির সমান সম্পদের মালিক হতে যাচ্ছেন। তবে ২০১৯ সাল থেকেই স্বামী বিল গেটসের (৬৫) সাথে তার দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সে সময় প্রকাশিত ‘দ্য মোমেন্ট অফ লিফট’ বইতে সে কথা জানিয়েছিলেন মেলিন্ডা। বইতে বিশ্ববরেণ্য খ্যাতিমান স্বামীর পাশাপাশি আরও দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে তিনি এও স্বীকার করেছেন যে, এটি ‘খুবই কঠিন’। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বিলের পাশে কথা বলার সময় আমার গুরুত্ব সন্ধান করার চেষ্টা করেছি। আমি আমার কন্ঠকে জোরালো করতে চেয়েছি তবে এটি শুনতে খুব কঠিন হতে পারে।’

মেলিন্ডা বলেছিলেন, বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে সহ-লেখক হিসাবে তার থাকার কথা থাকলেও সাধারণত পুরোটাই তার স্বামী লিখে দিতেন। যা তাদের ২৭ বছরের বিবাহিত জীবনের ক্ষেত্রে বিশেষ চাপ সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমরা একে অপরকে হত্যা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি উপলব্ধি করেছি, আমাদের বিয়েটা এখানেই শেষ হতে পারে।’

এর আগে একবার তিনি দাবি করেছিলেন যে, তিনি ‘পর্দার আড়ালে’ কাজ করতে চান। মেলিন্ডা বলেছিলেন, গেটস ফাউন্ডেশনে কীভাবে তাকে প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছে তা নিয়ে মাঝে মাঝে স্বামীর সাথে তার ঝগড়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বলেছিলাম যে কিছু বিষয় রয়েছে যেখানে আমার কন্ঠস্বর প্রভাব ফেলতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে আমার কথা বলা উচিত – আলাদাভাবে বা তার সাথে।’ এরপরে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আমরা দুজনেই রেগে গিয়েছিলাম। এটি আমাদের জন্য একটি বড় পরীক্ষা – এ জন্য নয় যে আমরা কীভাবে চুক্তিতে আসব। বরং, যখন চুক্তিতে আসতে পারব না, তখন আমরা কী করব? এবং আমরা একমত হতে অনেক সময় নিয়েছিলাম।’

প্রসঙ্গত, বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটসের বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা মার্কিন সমাজকে মাতিয়ে রেখেছে। বিশ্বের ক্ষমতাশালী এবং বিত্তশালীদের মধ্যে এ ধরনের বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা অহরহ হয়ে থাকলেও গেটস দম্পতিকে নিয়ে আলোচনা থামছে না। গত সপ্তাহে বিশ্বের অন্যতম সম্পদশালী ও জনহিতকর কাজ করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী এ দম্পতির বিচ্ছেদের সংবাদ অসংখ্য মানুষের কাছে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।

বিবাহবিচ্ছেদের সংবাদটি আচমকা পাওয়া গেলেও বিচ্ছেদের জন্য গেটস দম্পতি দীর্ঘদিন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাদের ছোট মেয়ের স্কুল গ্র্যাজুয়েশন না হওয়ার পর্যন্ত বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া থেকেই কেবল বিরত ছিলেন গেটস দম্পতি। মেয়ের শিক্ষাজীবন ব্যাহত না করার জন্য তাদের এ প্রয়াস ছিল বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে।

শনিবার পিপল ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশ না করা তথ্য সূত্রের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, অনেক কারণ গেটস দম্পতির বিচ্ছেদের পেছনে কাজ করেছে। যদিও এসব কারণের কোনো বিস্তারিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। গত সোমবার সিয়াটলের আদালতে মেলিন্ডা গেটস (৫৬) বিচ্ছেদের জন্য দায়ের করা মামলায় বলেছেন, তাদের বিয়ে অপ্রতিরোধ্যভাবে ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদসংক্রান্ত একটি সমঝোতা হয়েছে বলে জানানো হলেও সম্পদের ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে কোন প্রাক্‌-চুক্তি তাদের মধ্যে নেই বলেই সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে। গেটস-মেলিন্ডার মধ্যে কোনো প্রাক্‌-বৈবাহিক চুক্তি ছিল না। আমেরিকার আইন অনুযায়ী এ ধরনের প্রাক্‌-চুক্তির মাধ্যমে বিচ্ছেদপরবর্তী সম্পদের বণ্টন নিয়ে আগাম চুক্তি করা হয়ে থাকে। সম্পদশালী লোকজন এমন প্রাক্‌-চুক্তির মাধ্যমে সম্ভাব্য দাম্পত্য ভাঙনের পর নিজদের অর্থনৈতিক সুরক্ষার আগাম ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। গেটস দম্পতি তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণায় জানিয়েছেন, যৌথভাবেই তারা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।