খেলাধুলা

মিয়ানমারে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মত এশিয়ান কাপের টিকিট কেটেছেন তারা। তাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

এর আগে রোববার দিবাগত রাতে দেশে ফিরেই জমকালো সংবর্ধনা পেয়েছেন আফঈদারা।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিলেও বাফুফে আগের দেড় কোটি টাকার বোনাস এখনও দিতে পারেনি। এমনকি মধ্যরাতে ক্লান্ত দলকে হাতিরঝিলে নিয়ে অভিনব সংবর্ধনা দিয়েও এ নিয়ে কিছু জানাতে পারেনি। শুধু মিষ্টি ও ফুল দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে।

মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে তিন ম্যাচের সবকটি জিতে নেয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাহরাইন এবং তুর্কমেনিস্তানকে সমান ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আর প্রতিবেশি মিয়ানমারকে হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

এর মাধ্যমে আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই সিরিজ দিয়ে লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন নাঈম শেখ। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করার পুরস্কার হিসেবেই জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন তার।

এদিকে চোট কাটিয়ে আবারও দলে ফিরেছেন পেস বিভাগের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

তবে ফর্মহীনতায় বাদ পড়েছেন সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০২৪ সালের মার্চের পর এই ফরম্যাটে কোনো পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস নেই তার। এছাড়া পেসার নাহিদ রানারও দলে জায়গা হয়নি।

ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে আগামী ১০ জুলাই থেকে শুরু হবে কুড়ি ওভারের লড়াই। সেদিন পাল্লেকেলেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ডাম্বুলা এবং কলম্বোতে। সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

বাংলাদেশ দল

লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, নাঈম শেখ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামিম পাটোয়ারী, মেহেদী মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

খেলাধুলা

বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে এখন বড় দায়িত্ব। আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ দলকে আবার জয়ের ধারায় ফেরাতে হবে তাকে। তবে মিরাজের সামনে চ্যালেঞ্জ এই একটাই নয়।  অনেক দিকেই এখন মিরাজের নজর দেওয়া দরকার।

১। দলকে এক সুতোয় গাঁথা–

প্রথমেই মিরাজকে দলকে একত্রিত রাখতে হবে। এখন দলে বড় অস্থিরতা চলছে। শান্ত ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন এবং টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকেও পদত্যাগ করেছেন। শান্ত বলেছিলেন, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক থাকা ভালো নয়। তার মন খারাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই মিরাজকে ড্রেসিংরুমের ভেতরের অস্বস্তি দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।

২। নিজের ব্যাটিং পজিশন ঠিক করা–
মিরাজকে নিজের ব্যাটিং পজিশন ঠিক করতে হবে। এখন পর্যন্ত তাকে একেক ম্যাচে একেক পজিশনে ব্যাট করতে দেখা গেছে। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে নিজের জন্য নির্দিষ্ট পজিশন ঠিক করতে হবে তাকে। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে হবে, কোথায় তার গড় আর স্ট্রাইকরেট সবচেয়ে ভালো থাকবে, পারফর্ম্যান্স দিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখতে পারবেন, কোথায় ব্যাট করলে আবার তার বোলিংয়েও প্রভাব ফেলবে না, সেসব দিকেও দেখতে হবে তাকে।

৩। ওপেনিং ধাঁধার সমাধান–
তানজিদ হাসানকে ওপেনার হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার সঙ্গে কে ওপেন করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম আছেন দলে। লিটনের সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো নয়, শেষ পাঁচ ইনিংসে তার রান মাত্র ৬। তবে তার অভিজ্ঞতা ও কিপিং দক্ষতা তাকে এগিয়ে রাখতে পারে। শান্ত তিন নম্বরে ফিরতে পারেন, যদিও শেষ ওয়ানডেতে ওপেন করে ৭৭ করেছিলেন।

৪। পরবর্তী মুশফিক মাহমুদউল্লাহদের খুঁজে বের করা–
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মিডল অর্ডার ঠিক করা। মুশফিকুর ও মাহমুদউল্লাহ অবসর নিয়েছেন। সাকিব চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে বিদায় ম্যাচ ভাবছিলেন, কিন্তু রাজনীতির কারণে তার ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। ফলে মিডল অর্ডারে প্রায় ৭৬০ ওয়ানডে ম্যাচের অভিজ্ঞতার শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি ও শামিম হোসেন আছেন। তবে তাদের অভিজ্ঞতা কম। আফিফ, নুরুল হাসান সোহান বা মোসাদ্দেকের মতো বিকল্পকেও বিবেচনা করা যেতে পারে।

৫। স্পিন আক্রমণের ধার ফেরানো–
স্পিন আক্রমণ নিয়েও মিরাজের কাজ আছে। সাকিবের শেষ ওয়ানডে খেলার পর থেকে বাংলাদেশের স্পিনাররা ১৫ ম্যাচে ৬৫.৬৯ গড়ে ২৩ উইকেট পেয়েছেন। মিরাজ নিজেই ৭১ গড়ে ৯ উইকেট পেয়েছেন। রিশাদ বা নাসুমও ধারাবাহিক নন। নতুন মুখ তানভীর ইসলাম এখনো ওয়ানডে খেলেননি। ফলে স্পিনের ধার ফেরানো নিয়েও ভাবতে হবে তাকে।

৬। ওয়ানডে স্পেশালিস্ট পেসার খুঁজে বের করা–
স্পিন ভালো না করলে পেস আক্রমণের উপর ভরসা রাখতে হবে। তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের ফেরায় শক্তি বাড়বে। হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান ভালো করছেন। তবে মিরাজকে ঠিক করতে হবে কে আসলে ওয়ানডে স্পেশালিস্ট।

৭। র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি–
র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করাও জরুরি। শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ এক ধাপ উপরে উঠতে পারে। সরাসরি ২০২৭ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাই করার জন্য এই পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ বেশ।

মিরাজের জন্য সময় কম, কাজ বেশি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ফরম্যাটে ভালো ইতিহাস আছে। শেষবার তামিমের নেতৃত্বে জয়ের হার ভালো ছিল। সাকিব ও শান্ত সেটা ধরে রাখতে পারেননি। এখন মিরাজকে এই কঠিন সময়ে দলকে আবার জয়ের রাস্তায় ফেরাতে হবে।

খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ। এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের পালা। এই সিরিজে অংশ নিতে গতকাল ৮ ক্রিকেটার দেশ ছেড়েছিলেন। এর একদিন পর আজ (শনিবার) বিমানে চড়েছেন নাঈম শেখ এবং তাসকিন আহমেদ।

দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপাকালে তাসকিন জানিয়েছেন সিরিজ জয়ের কথা। তাসকিন বলেন, ‘একজন টিম ম্যান হিসেবে আমি আমার দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে চাই। আর ইনশাআল্লাহ আমার বিশ্বাস আমরা সিরিজ জিতব। আমি অনেক উদগ্রীব হয়ে আছি। আজকে বের হওয়ার সময় অনেক ভালো লাগছে যে মাঝখানে প্রায় তিন মাসের মতো খেলার সুযোগ হয়নি। খেলতে পারিনি। ‘

সিরিজে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে এই তারকা পেসার যোগ করেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমি আবার দলে ফিরলাম। যাচ্ছি তো এখন একটাই প্রত্যাশা যাতে জয়ের পেছনে যাতে আমার ভূমিকা থাকে।’

চোটের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘যে কোনো প্লেয়ারের জন্যই এটাই অনেক দুঃখজনক যে মাঠের বাইরে থাকা ইনজুরির কারণে। এটা আসলে জীবনেরই অংশ, বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের অনেক ইনজুরি হয়। তো এটাই আমার জন্য এখন খুশির ব্যাপার যে আল্লাহর রহমতে আমি আবার ফিরেছি। তো আশা করি ভালো কিছু করব।’

লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ০-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সাদা বলের দুই সিরিজেই জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তাসকিন, ‘ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই জিততে চাই, মানে হারজিত তো থাকবেই, কিন্তু ইনশাআল্লাহ আমরা সেরাটা দিব, আমার বিশ্বাস আছে।’

প্রসঙ্গত, আগামী ২ জুলাই কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরপর ৫ জুলাই একই মাঠে দ্বিতীয় ও ৮ জুলাই পাল্লেকেলেতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুই দল। তিনটি ওয়ানডেই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩ টায়।

খেলাধুলা

শ্রীলংকা সফরের শুরুতে গল টেস্টে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করে দাপটের সঙ্গে ড্র করেছে টাইগররা। আগামীকাল থেকে শুরু হবে কলম্বো টেস্ট। জ্বরে আক্রান্ত থাকার কারণে গল টেস্টে খেলতে পারেননি।

বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া কলম্বো টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজের সার্ভিস পাবে বাংলাদেশ। মিরাজ ফেরায় বাংলাদেশ দলের জন্য স্বস্তির খবর। কলম্বোয় উইকেট বরাবরই স্পিনবান্ধব। শেষ দিকে বল ঘোরার প্রবণতা, আর প্রতিপক্ষের মূল ব্যাটারদের বিপক্ষে তার সাফল্যের ইতিহাস-সব মিলিয়ে এই ম্যাচে মিরাজ বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।

কলম্বো টেস্টে মিরাজের ফেরা প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষ শ্রীলংকার অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বলেছেন, ‘মিরাজকে সেভাবে থ্রেট হিসেবে ভাবছি না। সে আমাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটিতে খেলেছে। দেশের হয়ে সে দারুণ খেলছে। খুব বড় হুমকি হিসেবে দেখছি না। তবে লড়াইটা ভালো হবে।’

তবে শুধু মিরাজই নন, বাংলাদেশ দল নিয়েও ধনঞ্জয়া সতর্ক, ‘বাংলাদেশ দারুণ দল। গত কয়েক সিরিজ ধরে তারা খুবই ভালো করছে। এমন উইকেট কাজে লাগাতে হয়। আমরা আর্লি ব্রেক থ্রুর পরও শান্ত ও মুশফিক খুব ভালো করেছে, প্রয়োজনীয় রান তুলে ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে।’

কলম্বোতে উইকেট কেমন হবে? সে ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন শ্রীলংকান অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ফ্ল্যাট উইকেট হতে যাচ্ছে। সাধারণত ফ্ল্যাট উইকেটে শেষ দিনগুলোতে টার্ন হয়।’

কলম্বোয় ম্যাচ যত গড়াবে, স্পিনারদের গুরুত্ব তত বাড়বে। আর সেখানেই মিরাজ হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশ দলের সেরা অস্ত্র!

খেলাধুলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রেসিডেন্টস অ্যাডভাইজরি কমিটিতে তিনজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন। ঈদের ছুটি শেষে ফিরে এসে বৃহস্পতিবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নতুন এই উপদেষ্টা কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন পর্যটন খাত বিশেষজ্ঞ সাখাওয়াত হোসেন, ক্রীড়া সাংবাদিক ও বিশ্লেষক সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি এবং আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার শাইখ মাহাদী।

ক্রিকেট পর্যটনের বিকাশে পরামর্শ দিতে সাখাওয়াত হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট ট্যুরিজম অ্যাডভাইজর হিসেবে। দেশের পর্যটন খাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তিনি এবং এ খাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্বীকৃতিও পেয়েছেন।

ক্রিকেট অ্যাডভাইজর হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি, যিনি একজন অভিজ্ঞ ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার।

অন্যদিকে, লিগ্যাল অ্যাডভাইজর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যারিস্টার শাইখ মাহাদী। আইন পেশায় সুপ্রতিষ্ঠিত মাহাদী ক্রিকেট প্রশাসনে আইনি দিক নির্দেশনায় ভূমিকা রাখবেন।

৩৬৮ রান খরচ করে টাইগারদের শিকার ৪ উইকেট

গল টেস্টে রানের বন্যা বাইছে। দুই দিনে বাংলাদেশের করা ৪৯৫ রানের জবাবে এক দিনেই ৩৬৮ রান করেছে স্বাগতিক শ্রীলংকা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে টাইগারদের চেয়ে ১২৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে লংকানরা।

মঙ্গলবার শ্রীলংকার গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়।

সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে পাঁচশো রানের কাছাকাছি নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাস। সাবেক অধিনায়ক মুশফিক করেন ১৬৩ রান।

বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ১৪৮ রান। আর উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস করেন ৯০ রান। এই তিন তারকার ব্যাটিং শৈলীতে প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

আজ তৃতীয় দিনের শুরুতে নাহিদ রানা আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়।

দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ বিকেল পর্যন্ত তিন সেশন খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৬৮ রান করেছে শ্রীলংকা।

ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে দিনের খেলা শেষ হওয়ার একিবারে শেষ মুর্হুতে আউট হন পাথুম নিশাঙ্কা। ২৭ বছয়র বয়সী এই ওপেনার হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৫৬ বল মোকাবেলা করে ২৩টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে করেন ১৮৭ রান।

টেস্ট ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তবে গত বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পান নিশাঙ্কা।

গল টেস্টে ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১৯ বল মোকাবেলা করে ৫টি চারের সাহায্যে ৫৬ রান করেন শ্রীলংকার সাবেক আরেক অধিনায়ক দীনেশ চান্ডিমাল।

ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নেমে ৫৯ বলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৯ রান ফেরেন শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৩৪ বলে ২৯ রান করেন আরেক ওপেনার লাহিরু উদারা।

গল টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে শ্রীলংকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান। বাংলাদেশ থেকে এখনও ১২৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা। শ্রীলংকার হাতে আছে ৬ উইকেট। ৩৭ ও ১৭ রানে অপরাজিত আছেন কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

খেলাধুলা

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রের সূচনালগ্নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ওপেন করবেন কি না, তা এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে এই ‘ধোঁয়াশা’ তৈরি রাখা তার কৌশলের অংশ।

গল টেস্টের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন,

“আমার ব্যাটিংটা কোন জায়গায় হবে, সেটা কালই (ম্যাচের দিন) জানাতে চাই। আমি চাই না প্রতিপক্ষ আগে থেকেই ধারণা পাক। একাদশ ঠিক হবে কম্বিনেশনের ওপর নির্ভর করে। ”

তবে তার ওপেনিং করার সম্ভাবনা একরকমভাবে মেহেদী হাসান মিরাজের খেলার ওপর নির্ভর করছে। জ্বরে ভোগা এই অলরাউন্ডার খেলতে পারবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

“মিরাজের শরীর এখনও পুরোপুরি ভালো হয়নি। উন্নতি করছে ঠিকই, তবে তার উপস্থিতির ওপর আমাদের কম্বিনেশন নির্ভর করছে,”— বলেন শান্ত।

২০২৫-২৭ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে। অতীত নয়, ভবিষ্যতের দিকেই চোখ শান্তর।

“আগের সিরিজ বা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভাবা ঠিক হবে না। শেষ ম্যাচে আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম, সেটিই আমাদের অনুপ্রাণিত করবে,”— বলেন তিনি।

নতুন প্রতিপক্ষ, নতুন কন্ডিশনে ভালো কিছু করার আশা অধিনায়কের কণ্ঠে স্পষ্ট।

“কিছু খেলোয়াড়ের শ্রীলঙ্কায় খেলার অভিজ্ঞতা আছে, যদি সেটা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে ভালো ফল আসবে। তবে আগে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগে। ”

নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে ভালো সূচনা সম্ভব, এমন আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেছেন শান্ত—

“টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হলে দলের জন্য ইতিবাচক হবে। যে দল পেয়েছি, যদি সেরাটা দিতে পারি, ভালো কিছু করা সম্ভব। ”

খেলাধুলা

২০২৫ উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি।

আগামী উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। প্রথম পর্বে বাংলাদেশ তাদের সাত ম্যাচ খেলবে ভারতের তিনটি ও শ্রীলঙ্কার একটি মাঠে।

টুর্নামেন্ট শুরুর ও নকআউট পর্বের দিনক্ষণ এবং ভেন্যু এই মাসের শুরুতে প্রকাশ করেছিল আইসিসি। সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সূচি।

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে আট দলের টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ভারতের চারটি মাঠের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার একটি মাঠে হবে খেলা। কলম্বোর সেই আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে পাকিস্তান। এই মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচ হবে সব মিলিয়ে ১১টি, যার চারটি শ্রীলঙ্কার।

ভারতের চার ভেন্যু হলো বেঙ্গালুরুর চিন্নাসোয়ামি স্টেডিয়াম, গুয়াহাটির এসিএ স্টেডিয়াম, ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়াম, ভিশাখাপত্তমের এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়াম।

আগামী ২ অক্টোবর কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের অভিযান। ৭ অক্টোবর গুয়াহাটিতে নিগার সুলতানাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশ তাদের পরের তিনটি ম্যাচ খেলবে ভিশাখাপত্তমে। এখানে ১০ অক্টোবর নিউ জিল্যান্ড, ১৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়বে তারা।

এরপর আবার কলম্বোয় ফিরবে বাংলাদেশ, সেখানে ২০ অক্টোবর তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।

এই মাঠেই ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। ১ অক্টোবর ইন্দোরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

কলম্বোয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ হবে ৫ অক্টোবর।

আগামী ২৯ অক্টোবর প্রথম সেমি-ফাইনাল হবে গুয়াহাটি অথবা কলম্বোয়। ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল হবে বেঙ্গালুরুতে। বেঙ্গালুরু অথবা কলম্বোয় ফাইনাল হবে ২ নভেম্বর। পাকিস্তান সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে উঠলেই কেবল ম্যাচ দুটি হবে কলম্বোতে।

পাকিস্তানের আয়োজিত পুরুষদের গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ম্যাচগুলো হয়েছিল যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনেক টানাপোড়েনের পর দুই প্রতিবেশী দেশ আইসিসিতে একটি সমঝোতায় পৌঁছে যে, ২০২৪-২০২৭ সালের চক্রে পাকিস্তানে আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে ভারতের সব ম্যাচ হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, তেমনি ভারতে আয়োজিত টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের সব ম্যাচও হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।

রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ অনেক বছর ধরে। সম্প্রতি সীমান্তে দুই দেশের তুমুল সংঘাতে আরও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।

প্রথম পর্বে ম্যাচ হবে মোট ২৮টি। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চার দল উঠবে সেমি-ফাইনালে।

স্বাগতিক ভারতসহ ২০২২-২৫ আইসিসি উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপে। অন্য পাঁচ দল- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা। আর বাছাই পেরিয়ে মূল পর্বের টিকেট পেয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

মূল টুর্নামেন্টের আগে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি দল খেলবে দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ। ভারতের দুটি ছাড়া অন্য প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর সূচি এখনও প্রকাশ করেনি আইসিসি।

খেলাধুলা

লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট জিতে অবশেষে কাটল প্রোটিয়াদের আইসিসি ট্রফি-খরা।

দিনের তৃতীয় ওভারে টেম্বা বাভুমার বিদায়। পরে ট্রিস্টান স্টাবসের আউটে লড়াইয়ে উত্তেজনা ফিরল কিছুটা। তবে নাটকীয় বা অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। এইডেন মার্করামের বীরোচিত ইনিংসে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। একই সঙ্গে কাটল তাদের প্রায় ২৭ বছরের আইসিসি ট্রফি-খরা।

ক্রিকেট-তীর্থ লর্ডসে ২০২৩-২৫ চক্রের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৫ উইকেটে। ২৮২ রানের লক্ষ্য চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ছুঁয়ে ফেলে বাভুমার দল।

সেই ১৯৯৮ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপের (এখনকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক ট্রফি জিততে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।

প্রোটিয়াদের স্মরণীয় এই সাফল্যের নায়ক মার্করাম। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর, লক্ষ্য তাড়ায় ১৪ চারে ২০৭ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলে জয় থেকে স্রেফ ৬ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন এই ওপেনার।

বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক বাভুমাও। তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে তার। হাঁটছিলেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তার পরও চালিয়ে যান ব্যাটিং। ১৩৪ বলে ৫ চারে ৬৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি।

তৃতীয় উইকেটে মার্করাম ও বাভুমার ২৫০ বল স্থায়ী ১৪৭ রানের দুর্দান্ত জুটিই মূলত গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

তৃতীয় দিনেই কাজ অনেকটা এগিয়ে রাখে দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিন শনিবার জয়ের জন্য ৮ উইকেট হাতে নিয়ে প্রয়োজন ছিল ৬৯ রান। অনায়াসে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

দিনের শুরুটা যদিও তাদের জন্য সুখকর ছিল না। আগের দিনের সঙ্গে আর এক রান যোগ করেই মিচেল স্টার্কের চমৎকার ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাভুমা।

আগের দিন ১০২ রানে অপরাজিত থাকা মার্করাম দলকে এগিয়ে নেন স্টাবসের সঙ্গে জুটি বেঁধে। স্টার্কের বলে স্টাবস বোল্ড হয়ে ফেরেন যখন, তখনও জয় থেকে ৪১ রান দূরে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া হয়তো আশায় বুক বাঁধছিল নতুন করে। তবে তাদের কোনো সুযোগ দেননি মার্করাম। ডেভিড বেডিংহ্যামকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান তিনি। বাকিটা সারেন বেডিংহ্যাম ও কাইল ভেরেইনা।

স্কোর সমান হওয়ার পর আরেকটি উইকেট যদিও পেতে পারত অস্ট্রেলিয়া। স্টার্কের বলে ভেরেইনার কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার, অস্ট্রেলিয়ার বাকি ছিল না কোনো রিভিউ। রিপ্লেতে বলে ব্যাটের স্পর্শের প্রমাণ মেলে।

এক বল পরই কাভারে ঠেলে কাঙ্ক্ষিত রানটি নেন ভেরেইনা। লর্ডসের ব্যালকনিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন অন্য ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা। অনেকে ছুটে যান মাঠে। চলতে থাকে দীর্ঘ খরা কাটানোর উল্লাস।

এই ফাইনালে পরিষ্কার ফেভারিট হয়ে নেমেছিল গত চক্রের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তবে কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দিন ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া স্টিভেন স্মিথ ও বাউ ওয়েবস্টারের ফিফটিতে যেতে পারে ২১২ পর্যন্ত।

জবাবে ১২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ১৩৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের মূল্যবান লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার রাবাদার দারুণ বোলিংয়ে একপর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ৭৩। ৯ নম্বরে নেমে স্টার্কের অপরাজিত ৫৮ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২০৭ রান করে তিনশর কাছাকাছি লক্ষ্য দিতে পারে তারা।

প্রথম দুই দিনে ১৪টি করে উইকেট পতনের পর পিচ ব্যাটিং সহায়ক হয়ে ওঠে অনেকটা। তবে ফাইনালের মঞ্চে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রান তাড়া করা সহজ ব্যাপার নয় মোটেও। বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ে সেটাই করে দেখালেন মার্করাম-বাভুমারা।

গত বছর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ দিকে তালগোল পাকিয়ে হেরে গিয়েছিল মার্করামের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা। হৃদয় ভাঙার অনেক উপাখ্যানের পর অবশেষে রচিত হলো তাদের স্বপ্নপূরণের গল্প।

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে ২০২৫ সালে বিভিন্ন দল ও খেলোয়াড়ের অপূর্ণতা কাটানোর ধারায় নতুন সংযোজন হলো দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাফল্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২১২

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৩৮

অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ২০৭

দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: (লক্ষ‍্য ২৮২) ৮৩.৪ ওভারে ২৮২/৫ (মার্করাম ১৩৬, বাভুমা ৬৬, স্টাবস ৮, বেডিংহ্যাম ২১*, ভেরেইনা ৪*; স্টার্ক ১৪.৪-১-৬৬-৩, হেইজেলউড ১৯-২-৫৮-১, কামিন্স ১৭-০-৫৯-১, লায়ন ২৬-৪-৬৬-০, ওয়েবস্টার ৫-০-১৩-০, হেড ২-০-৮-০)

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন

ম্যান অব দা ম্যাচ: এইডেন মার্করাম

খেলাধুলা

বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন জোয়ার এলো। সেই জোয়ারের সূচনাবিন্দুতে হার। হতাশ ফুটবলপ্রেমীরা। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রায় ২৩ হাজার সমর্থকের সামনে বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।

এই হারের পরও এএফসি বাছাইপর্বে সি-গ্রুপে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। হংকংয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে ভারত গ্রুপের তলানিতে। এক গোল করায় বাংলাদেশ গোল ব্যবধান ও পয়েন্টে সমান থাকলেও ভারতের উপরে আছে। পরের রাউন্ডে ওঠার পথ অবশ্য মসৃণ নয় লাল-সবুজদের।

সি-গ্রুপে বাকি চারটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশের পরের মিশন হংকং। গ্রুপের শীর্ষে থাকা দল এএফসি কাপে যাবে। আপাতত সেই অবস্থান দখলে রেখেছে সিঙ্গাপুর। তারা যদি বাকি সব ম্যাচ জেতে, তাদের পয়েন্ট হবে ১৬। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ১৩ পয়েন্ট পাওয়ার আশা জিইয়ে রেখেছে। ভারতেরও পয়েন্ট হতে পারে ১৩। বাকি চার ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী হবে, বোঝা যাবে অক্টোবরে। সেই উইন্ডোতে পাঁচদিনের ব্যবধানে দুবার হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ নিজেদের মাঠে, পরেরটি হংকংয়ে। আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের সব ম্যাচেই জয় দরকার। সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরকে ফিরতি ম্যাচে পয়েন্ট খোয়াতে হবে বাংলাদেশের কাছে। তাদের পয়েন্ট তখন হবে ১৩।

এদিকে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর দুই দলই ১৩ পয়েন্ট করে পেলে নিয়ম অনুযায়ী, হেড-টু-হেডে পয়েন্ট দেখা হবে। সেখানেও সমতা (একটি করে জয়) থাকলে দেখা হবে গোল ব্যবধান। তাতেও যদি সমতা থাকে, তবে যারা বেশি গোল করেছে তারাই এগিয়ে থাকবে।