খেলাধুলা

২০২৫ সালে ঘরের মাঠে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ, সূচি ও ভেন্যুর একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে পাঠিয়েছে আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

প্রস্তাবিত খসড়ায় ‘এ’ গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সাথে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্য গ্রুপে আছে- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।

প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত আয়োজনের সিদ্বান্ত নিয়েছে পিসিবি। ফাইনালের জন্য ১০ মার্চ রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচি নিয়ে আইসিসি বোর্ডের এক সদস্য জানান, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৫ ম্যাচের খসড়া সূচি জমা দিয়েছে পিসিবি। লাহোরে ৭টি, করাচিতে ৩টি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ৫টি ম্যাচ রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উদ্বোধনী ম্যাচ ও একটি সেমিফাইনাল হবে করাচিতে। অন্য সেমিফাইনালের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি। ভারতের সব ম্যাচসহ হবে লাহোরে। ভারত যদি সেমিফাইনালে উঠে, সেই ম্যাচও লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে।’

সংবাদ সংস্থা পিটিআই একটি প্রতিবেদনে বলেছে, আইসিসি বোর্ডের একজন সিনিয়র সদস্য জানিয়েছেন খসড়া সূচির বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অনুমোদন এখনও পায়নি পিসিবি।

২০২৩ সালে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এশিয়া কাপ। পাকিস্তানের মাটিতে ভারত খেলতে যেতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ঐ এশিয়া কাপের ভারতের বেশিরভাগ ম্যাচই শ্রীলংকার মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তান সফরে ভারত যাবে কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিসিআই সবসময়ই বলে এসেছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া পাকিস্তান সফর সম্ভব নয়।

আইসিসি বোর্ডের ঐ সদস্য পিটিআইকে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী দেশের সব বোর্ড প্রধানরা (বিসিসিআই বাদে) টুর্নামেন্ট আয়োজনে সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবে নিজ দেশের সরকারের সাথে আলোচনার পর আইসিসিকে আপডেট জানানোর কথা বলেছে বিসিসিআই।’

২০১৭ সালে অনুষ্ঠিতম সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিলো পাকিস্তান। ওভালের ঐ ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ নেয় পাকরা।

খেলাধুলা

মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর বসবে বাংলাদেশে। এই টুর্নামেন্টের আগে গত মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা।

তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এলিসা পেরিরা।

এই সফর নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী নিক হকলি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মাত্রই আমাদের দল দারুণ একটি বাংলাদেশ সফর করে এল। নারী দল যে অসাধারণ আতিথেয়তা পেয়েছে তাতে আমরা বেশ সন্তুষ্ট। ‘

এরপর আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের ছেলেদের অস্ট্রেলিয়া সফর। দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়নি টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল ২০০৩ সালের জুলাই মাসে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ওয়ানডে খেলেছিল সর্বশেষ ২০০৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে।

এবার নিজেদের ঘরে নাজমুল হোসেন, তাসকিন আহমেদদের আতিথেয়তায় দিতে প্রস্তুত সিএ। এ নিয়ে হকলি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের এফটিপির পরবর্তী চক্রের অংশে আছে এবং আমরা বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে মুখিয়ে আছি। ‘

আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা আছে। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় ২টি টেস্ট খেলার কথা টাইগারদের।

খেলাধুলা

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে আফগানিস্তান

দারুণ বোলিংয়ে ছোট পুঁজি নিয়েও বাংলাদেশকে হারাল আফগানিস্তান। ভারতের সঙ্গী হয়ে ‘১’ নং গ্রুপ থেকে সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা।

সেন্ট ভিনসেন্টে আগে ব্যাট করে ১১৫ রান করে আফগানরা। কয়েক দফার বৃষ্টিতে ১৯ ওভারে ১১৪ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। ৭ বল বাকি থাকতেই ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে ৮ রানে জেতে আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের জয়ের ওপর নির্ভর করছিল অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য। ১২.১ ওভারে জয় পেলে বাংলাদেশই চলে যেত সেমি-ফাইনালে। আর এরপর জিতলে সেমির টিকেট পেত অস্ট্রেলিয়া। কোনোটিই হতে দেয়নি আফগানরা। নিজেরাই জিতে প্রথমবারের মতো চলে গেছে সেমিতে।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে রাশিদ খানের দল।

রান তাড়ায় একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৯ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন লিটন কুমার দাস। আর কেউ ১৫ রানও করতে পারেননি।

অষ্টাদশ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানকে এলবিডব্লিউ করে আফগানিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন নাভিন উল হাক। ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নাভিনই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১১৫/৫ (গুরবাজ ৪৩, জাদরান ১৮, ওমারজাই ১০, নাইব ৪, নাবি ১, জানাত ৭*, রাশিদ ১৯*; তানজিম ৪-০-৩৬-০, তাসকিন ৪-১-১২-১, সাকিব ৪-০-১৯-০, মুস্তাফিজ ৪-০-১৭-১, রিশাদ ৪-০-২৬-৩)

বাংলাদেশ: (লক্ষ্য ১৯ ওভারে ১১৪) ১৭.৫ ওভারে ১০৫ (লিটন ৫৪*, তানজিদ ০, শান্ত ৫, সাকিব ০, সৌম্য ১০, হৃদয় ১৪, মাহমুদউল্লাহ ৬, রিশাদ ০, তানজিম ৩, তাসকিন ২, মুস্তাফিজ ০; নাভিন ৪-০-, ফারুকি ৩.৫-০-২৬-৪, নাবি ২-০-১৫-০, রাশিদ ৪-০-২৩-৪, নুর ৪-০-১৩-০, নাইব ২-০-৫-১)

ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে আফগানিস্তান ৮ রানে জয়ী


তাসকিনকে ফেরালেন নাভিন

নাভিন উল হাকের স্লোয়ার ডেলিভারি পিচে পড়ার পর নিচু হয়ে গেল বেশ। অনসাইডে খেলার চেষ্টায় তাসকিন আহমেদের ব্যাটে লেগে বল আঘাত করল স্টাম্পে। নবম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

১৭.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১০৫ রান। আফগানিস্তানের প্রয়োজন ১ উইকেট। বাংলাদেশকে করতে হবে ৮ বলে ৯ রান।

শেষ ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ক্রিজে। ৪৯ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত লিটন কুমার দাস।


লিটনের ফিফটি

বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি করলেন লিটন কুমার দাস। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ বলে ক্যারিয়ারের একাদশ পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৭ ইনিংস পর তার পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস এটি।

১৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৯৮ রান। নুর আহমেদের করা ওই ওভারের শেষ বলে আম্পায়ার্স কলের সৌজন্যে এলবিডব্লিউর হাত থেকে বেঁচে যান লিটন।

ফিরলেন তানজিদ, শান্ত ও সাকিব

পরপর দুই বলে শান্ত-সাকিবের বিদায়

নাজমুল হোসেন শান্তকে উইকেটে টিকতে দিলেন না নাভিন উল হাক। স্লোয়ার ডেলিভারি ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১ চারে ৫ বলে ৫ রান করলেন শান্ত।

বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে পরের বলেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন সাকিব আল হাসান। লেগ স্টাম্পের ডেলিভারি ব্যাটের সামনের কানায় লেগে ফিরতি ক্যাচ দিলেন তিনি। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় তালুবন্দী করলেন নাভিন।

৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪ রান। লিটন কুমার দাস ৮ বলে ১৩ রানে অপরাজিত। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার।

আফগানিস্তানের ব্যর্থ রিভিউ

সেমি-ফাইনালের সমীকরণ

আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে থামিয়ে প্রাথমিক কাজটা সেরেছেন বোলাররা। সেমি-ফাইনালের টিকেটের জন্য এবার দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটসম্যানদের। ১২.১ ওভারের মধ্যে ১১৬ রান করতে পারলে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেরা চারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।

 এছাড়া ১১৫ রান করে ছক্কা মারতে পারলে ১২.৫ ওভার পর্যন্ত সুযোগ থাকছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আর স্কোর সমান করে বাউন্ডারি মারলে সুযোগ থাকছে ১২.৩ ওভার পর্যন্ত।

বাংলাদেশের জিততে এর বেশি ওভার লেগে গেলে সেমিতে পৌঁছে যাবে অস্ট্রেলিয়া।

আর ম্যাচ জিতলে কিংবা বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও সেরা চারের টিকেট পাবে আফগানিস্তান।

 আপাতত বৃষ্টির কারণে শুরু হয়নি দ্বিতীয় ইনিংস। মাঠ শুকানোর কাজ করছেন মাঠকর্মীরা

আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে থামাল বাংলাদেশ

১৯তম ওভারে কাটার-স্লোয়ারের মিশেলে অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র ১ রান দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু শেষ ওভারে রাশিদ খানের কাছে জোড়া ছক্কা হজম করলেন তানজিম হাসান। ২০ ওভারে ১১৫ রানে পৌঁছে গেল আফগানিস্তান।

সেমি-ফাইনালের টিকেট পেতে ১২.১ ওভারের মধ্যে এই লক্ষ্য তাড়া করতে হবে বাংলাদেশের।

করিম জানাতের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৪ বলে ২২ রান যোগ করেন রাশিদ। আফগান অধিনায়ক ৩ ছক্কায় করেন ১০ বলে ১৯ রান। তার এই ক্যামিওতেই মূলত একশ পেরোয় আফগানিস্তান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ রান যোগ করেন আফগানরা। মন্থর ব্যাটিংয়ে ১৮ রান করতে ২৯ বল খেলেন ইব্রাহিম জাদরান। আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৫৫ বলে খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস।

দারুণ বোলিংয়ে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, একশর আগেই আফগানিস্তানকে আটকাতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু রাশিদের শেষের ঝড়ে লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় আফগানরা।

এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ মাত্র ১২ রানে নেন ১ উইকেট। রিশাদ হোসেনের ৩ উইকেটের জন্য খরচ ২৬ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১১৫/৫ (গুরবাজ ৪৩, জাদরান ১৮, ওমারজাই ১০, নাইব ৪, নাবি ১, জানাত ৭*, রাশিদ ১৯*; তানজিম ৪-০-৩৬-০, তাসকিন ৪-১-১২-১, সাকিব ৪-০-১৯-০, মুস্তাফিজ ৪-০-১৭-১, রিশাদ ৪-০-২৬-৩)

নাবিকে ফেরালেন তাসকিন

প্রথম তিন ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেও সাফল্য পাননি তাসকিন আহমেদ। ডেথে নিজের শেষ ওভার করতে এসে প্রথম উইকেট পেলেন এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা ফাস্ট বোলার।

রিশাদের জোড়া আঘাত

নিজের শেষ ওভারে দুই উইকেট নিলেন রিশাদ হোসেন। দীর্ঘসময় ধরে খেলতে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর চার নম্বরে নামা গুলবাদিন নাইবকেও ফেরালেন তরুণ লেগ স্পিনার।

ওভারের প্রথম বল ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে ডিপ কভারে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ বলে ৪৩ রান করা গুরবাজ। তার স্ট্রাইক রেট ৭৮.১৮! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্তত ৪০ রানের সবচেয়ে মন্থর ইনিংস এটি।

দুই বল পর স্লগ করতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন নাইব। এবার ডিপ কভার সীমানা থেকে অনেকটা পথ দৌড়ে সামনে লাফিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন সৌম্য। ১২ বলে ১০ রান করে ফেরেন নাইব।

১৭ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৩ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান করিম জানাত ও মোহাম্মদ নাবি।

৪ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নিলেন রিশাদ।

টিকতে পারলেন না ওমারজাই

রান আউটের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরের বলেই আজমতউল্লাহ ওমারজাইকে কট বিহাইন্ড করলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

জাদরানকে ফেরালেন রিশাদ

রিশাদ হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ইনসাইড আউট শট খেললেন ইব্রাহিম জাদরান। ঠিকঠাক টাইমিং পেলেন না। লং অফ থেকে বাঁ দিকে অনেকটা দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন তানজিম হাসান।

৫৯ রানে ভাঙল আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। ১ চারে ২৯ বলে ১৮ রান করে ফিরলেন জাদরান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান আজমতউল্লাহ ওমারজাই।

১১ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৯ রান। ৩৫ বলে ২৮ রানে খেলছেন গুরবাজ।

জুটিরপঞ্চাশে জাদরান-গুরবাজের রেকর্ড

আরও একবার উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ রান যোগ করলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। চলতি বিশ্বকাপে এ নিয়ে চার ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি গড়লেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার।

টুর্নামেন্টের এক আসরে উদ্বোধনী জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটির রেকর্ড। এর আগে ভিন্ন পাঁচটি জুটি তিনবার করে পঞ্চাশ বা তার বেশি রানের জুটি গড়েছিল।

এক বিশ্বকাপে যে কোনো উইকেটে জুটি বেধে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়েছেন গুরবাজ ও জাদরান। চলতি আসরে সাত ম্যাচে এখন পর্যন্ত তাদের জুটির সংগ্রহ ৪৩৭ রান। ২০২১ সালে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি বেধে করেছিলেন ৪১১ রান।

৯ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান। গুরবাজ ৩০ বলে ২৫ ও জাদরান ২৪ বলে ১৬ রানে অপরাজিত।

পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তানের ২৭

প্রথম ৬ ওভারে কোনো উইকেট নিতে পারল না বাংলাদেশ। অবশ্য আফগানিস্তানও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে তাদের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭ রান।

রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২১ বলে ১২ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত।

সেন্ট ভিনসেন্টের চ্যালেঞ্জিং উইকেটে শুরু থেকেই দেখা মিলেছে অসম বাউন্সের। কিছু ডেলিভারি অতিরিক্ত লাফিয়েছে। কয়েকটি আবার একদম নিচু হয়ে গেছে স্টাম্প ঘেঁষে। তবে কোনোভাবে উইকেট বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে আফগান ওপেনাররা।

বাংলাদেশের ব্যর্থতার দায়ও অবশ্য আছে। পঞ্চম ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে ৯ রানে থাকা ইব্রাহিমের ক্যাচ নিতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়।

জাদরানের ক্যাচ ছাড়লেন হৃদয়

পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে সুযোগ তৈরি করলেন সাকিব আল হাসান। অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট বল সজোরে মারলেন ইব্রাহিম জাদরান। শর্ট কভারে মাথার ওপরের ক্যাচ নিতে পারলেন না তাওহিদ হৃদয়। ৯ রানে বেঁচে গেলেন জাদরান।

ব্যবহৃত পিচে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষার অপেক্ষা

পিচ রিপোর্টে লিসা স্থালেকার ও পমি এমবাঙওয়া বলেছেন, ‘২৪ কিমি. প্রতি ঘণ্টায় বাতাস বইছে। এটি একটি বড় বিষয় হতে পারে। দুই পাশে ৬৭ ও ৭০ মিটার বাউন্ডারি। সোজা বাউন্ডারি ৮০ মিটার। আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচও এই উইকেটে খেলা হয়েছে। টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা দেখেছি এখানে উইকেটে বাউন্স অসম। তাই দ্রুত রান করা কঠিন। সময় নিয়ে ইনিংস লম্বা করার পথে হাঁটতে হবে। স্পিনারদের জন্য ঠিক আছে, পেসারদের জন্য ঠিক আছে তবে ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব কঠিন। বড় রানের ম্যাচ হয়তো দেখা যাবে না।

 আফগানিস্তানের অপরিবর্তিত একাদশ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ের ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন করেনি আফগানিস্তান। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ছাড়া তাদের বাকি ৯ জনই বোলিং করতে পারেন।

পেস বিভাগে নাভিন উল হক, ফাজালহাক ফারুকির সঙ্গে গুলবাদিন নাইব, আজমতউল্লাহ ওমারজাই, করিম জানাত।। আর স্পিনে রাশিদ খানের নেতৃত্বে হাত ঘোরাতে পারেন মোহাম্মদ নাবি, নানগেলিয়া খারোটে, নুর আহমেদরা।

 আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, আজমতউল্লাহ ওমারজাই, মোহাম্মদ নাবি, করিম জানাত, রাশিদ খান, নানগেলিয়া খারোটে, নুর আহমেদ, নাভিন উল হক, ফাজালহাক ফারুকি।

একাদশে ফিরলেন তাসকিন-সৌম্য

সুপার এইটে শেষ ম্যাচের একাদশে জোড়া পরিবর্তন আনল বাংলাদেশ। শেখ মেহেদি হাসান ও জাকের আলির জায়গায় দলে ফিরলেন তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার।

তাসকিনের অন্তর্ভুক্তিতে পেস বিভাগে শক্তি বাড়ল বাংলাদেশের। মিডিয়াম পেস বোলিং করতে দেখা যেতে পারে সৌম্যকেও। স্পিনে রিশাদ হোসেনের সঙ্গে থাকছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।

আগের ছয় ম্যাচের মতো আরও একবার বেঞ্চেই থাকতে হলো বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকে।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান।

 টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

আরও একবার টস হারল বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রাশিদ খান। জটিল সমীকরণ মেলানোর ম্যাচে রান তাড়া করতে হবে বাংলাদেশকে।

নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, টস জিতলে তিনি আগে বোলিংই নিতেন। তাই চাওয়ামতো পেয়ে সেমি-ফাইনালে যাওয়ার সুযোগটা নিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

 সেমি-ফাইনালের ক্ষীণ আশা নিয়ে আফগানিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

সুপার এইটে প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরও শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের সেমি-ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জটিল সমীকরণ মেলাতে পারলেই ইতিহাস গড়ে সেরা চারে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হবে খেলা। ম্যাচটি জিতলে অথবা এক পয়েন্ট পেলেও আর কোনো সমীকরণ ছাড়াই সেমি-ফাইনালে পৌঁছে যাবে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের সামনে জয়ের বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ যদি আগে ব্যাট করে ১৬০ রান করে এবং ৬২ রানে জিততে পারে; তাহলে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের পয়েন্ট হবে সমান ২। তখন অন্য দুই দলের চেয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ যাবে সেমি-ফাইনালে।

আফগানিস্তান আগে ব্যাট করে যদি ১৬০ রানের স্কোর দাঁড় করায়, তাহলে ১২.৫ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে পারলে নেট রান রেটে এগিয়ে সেরা চারের টিকেট পাবে বাংলাদেশ।

এই দুই ব্যবধানের কমে বাংলাদেশ জিতলে সেমিতে উঠে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ন্যুনতম ব্যবধানে হারলেও সেমির স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে আফগানিস্তানের।

দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান অবশ্য আফগানিস্তানের পক্ষে। ১১ ম্যাচের ৬টি জিতেছে তারা। বাংলাদেশের ৫ জয়ের একটি আবার ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে ওই একবারই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল।

 

ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া হারায় এখনও সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে সেমিতে যেতে জিততেই হবে আফগানদের। এমন সমীকরণ সামনে রেখে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত এক ফাইনালে। যেখানে টসে জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছে আফগানরা।

সবশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ২৪ রানে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটা ফিরে পেয়েছে প্রাণ। সমীকরণ বলছে সুপার এইটে কোনো জয় না পেলেও এখনও সেমিতে যেতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে আফগানদের হারিয়ে দিতে হবে নূন্যতম ৬২ রানের ব্যবধানে নতুবা রান তাড়া করতে হবে ১২.৫ ওভারের মধ্যেই। কাজটা আপাতত দৃষ্টিতে কঠিনই বটে। এরপরও একটা সুযোগ কিন্তু পাচ্ছে বাংলাদেশ। আফগানদের সমীকরণটা অবশ্য সহজ। সেমিতে যেতে জিততে হবে তাদের, আর হারলে বাদ।

এই সমীকরণ মেলানো বাংলাদেশের জন্য কঠিনই বটে। কেননা, সুপার এইটে বাংলাদেশ কোনো জয় না পেলেও আফগানরা তাদের সবশেষ ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। যা তাদের করেছে আরও আত্মবিশ্বাসী। এমন আত্মবিশ্বাসী দলের সামনে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতাটা তাই কঠিনই বটে।

তবে বাংলাদেশকে আফগানরা আশাবাদী করছে তাদের বিপক্ষে খেলা সবশেষ দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের জয়। তাছাড়া এই ফরম্যাটে আফগানদের সাথে বরাবরই বেশে ভালো ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও তাই সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পেতে পারে বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পর সুতোয় ঝুলছে অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার দুয়ার এখনো খোলা রয়েছে তাদের জন্য।

তবে তা নির্ভর করছে বাংলাদেশ আফগানিস্তান ম্যাচের ওপর।

গ্রুপ ওয়ান থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। গ্রুপের আরেক সেমিফাইনালিস্ট হওয়ার জন্য সুযোগ আছে বাকি তিন দলেরই। আফগানিস্তানের জন্য অবশ্য সমীকরণটা কঠিন কিছু নয়। বাংলাদেশকে হারালেই সেমিফাইনালে উঠবে তারা। তবে হেরে গেলে বিদায় নিতে হবে আসর থেকে।

বাংলাদেশের জন্য রাস্তাটা বেশ কঠিন। উদাহরণ হিসেবে আগে ব্যাট করে টাইগাররা যদি ১৬০ রান করে, তাহলে সেমিতে যেতে হলে তাদের ৬১ বা এর বেশি রানে জিততে হবে। এছাড়া আফগানরা আগে ব্যাট করে যদি ১৬০ রান করে, তাহলে সেই রান ১৩ ওভারের মধ্যে পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে। তবে অল্প ব্যবধানে হারলে সেমিতে চলে যাবে অস্ট্রেলিয়া।

তাই আজ ভোরের ম্যাচে বাংলাদেশের জন্যই গলা ফাটাবে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে হারের পর এমনটাই জানিয়ে গেলেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। প্রেজেন্টেশনে টাইগারদের উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, ” কাম অন, বাংলাদেশ ” ! 

সুপার এইটে ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বর গ্রুপের দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া (রানরেট -০.৩৩৭)। এক ম্যাচ কম খেলে তিনে আফগানিস্তান (রানরেট -০.৬৫০)। আর পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারায় সবার শেষে বাংলাদেশ (রানরেট -২.৪৮৯)।

এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ঘরের মাঠে আফগানদের ৯ উইকেটে হারায় টাইগাররা।

খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সোমবার মুখোমুখি হয় দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত-অস্ট্রেলিয়া।

এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের সমীকরণ ছিল ভারত যদি অস্ট্রেলিয়াকে ৫৫ রানের ব্যবধানে হারাতে পারে আর নিজেদের ম্যাচে আফগানদের মাত্র ১ রানে হারাতে পারে তাহলে সেমিফাইনালে চলে যাবে টাইগাররা।

কিন্তু ভারত ২০৫ রানের পাহাড় গড়েও অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানের বেশি ব্যবধানে হারাতে পারেনি। ভারত ২৪ রানের জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে যায়।

আজ ভোর সাড়ে ৬টায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ১৬০ রান করে আফগানদের ৬২ বা তার বেশি রানে হারাতে পারলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের মতো ২ পয়েন্ট করে নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে চলে যাবে।

খেলাধুলা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয়ে দারুণ জমে উঠেছে সুপার এইটের গ্রুপ-১ থেকে টি ২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই। চার দলের সামনেই যেমন সেমির দুয়ার খোলা, তেমনি চার দলেরই হয়েছে বাদ পড়ার শঙ্কা। আফগানদের জয় টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশকে। তবে টানা দুই হারের পাশাপাশি নেট রানরেটেও অনেক পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশের জন্য সেমিতে ওঠার সমীকরণ সবচেয়ে কঠিন। সম্ভাবনায় এগিয়ে গ্রুপের অন্য তিন দল।

প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পাশাপাশি রানরেটও সমৃদ্ধ হওয়ায় সেমিতে কার্যত এক পা দিয়ে রেখেছে ভারত। একটি করে জয় ও হারে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের পয়েন্ট সমান দুই করে। রানরেটে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকলেও শেষ ম্যাচে তাদের দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা। সেন্ট লুসিয়ায় আজ টিকে থাকার কঠিন লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। আগামীকাল সকালে সেন্ট ভিনসেন্টে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে লড়বে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। এ দুই ম্যাচের ফলই ঠিক করে দেবে সেমিফাইনালের দুই দল। চার দলের সমীকরণটা দেখে নেওয়া যাক-

যদি অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান জেতে

সেক্ষেত্রে তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান চার। অস্ট্রেলিয়া যদি ভারতের বিপক্ষে এক রানে জেতে, তাহলে নেট রানরেটে তাদের পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৬ রানে জিততে হবে আফগানিস্তানকে। আর ভারতের বিপক্ষে রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া যদি শেষ বলে জেতে, তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে আনুমানিক ১৬০ রানের লক্ষ্যে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে জিততে হবে আফগানদের।

ভারতকে ছিটকে দিতে হলে নিজেদের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে। ভারতের বিপক্ষে ৪১ রানে জিতলে রানরেটে তাদের টপকে যেতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। তখন ভারতকে বিদায় করে সেমিতে উঠতে বাংলাদেশের বিপক্ষে অন্তত ৮৩ রানে জিততে হবে আফগানিস্তানকে।

যদি ভারত ও বাংলাদেশ জেতে

এক্ষেত্রে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষ দল হিসাবে সেমিফাইনালে উঠবে ভারত। বাকি তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান তিন করে। তখন নেট রানরেটে বির্ধারিত হবে গ্রুপের দ্বিতীয় দল। আপাতত তিন দলের মধ্যে রানরেটে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তান যদি বাংলাদেশের কাছে এক রানে হারে, তাহলে রানরেটে আফগানদের চেয়ে পিছিয়ে পড়তে অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হবে ৩১ রানে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের চেয়ে রানরেটে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশকে জিততে হবে ৩১ রানে। পাশাপাশি বাংলাদেশকে কামনা করতে হবে, অস্ট্রেলিয়া যেন ভারতের কাছে অন্তত ৫৫ রানে হারে। এ দুই সমীকরণ মিললেই শুধু সেমির টিকিট পাবে বাংলাদেশ।

যদি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ জেতে

এক্ষেত্রে চার পয়েন্ট করে নিয়ে সেমিতে উঠবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। দুই পয়েন্ট করে নিয়ে বিদায় নেবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।

যদি ভারত ও আফগানিস্তান জেতে

ছয় পয়েন্ট নিয়ে ভারত ও চার পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে জায়গা করে নেবে আফগানিস্তান। দুই পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও শূন্য হাতে বিদায় নেবে বাংলাদেশ।

যদি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়

দুটি ম্যাচই যদি পরিত্যক্ত হয়, সেক্ষেত্রে রানরেটে আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকায় সেমিতে ভারতের সঙ্গী হবে অস্ট্রেলিয়া। যদি শুধু ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তখন বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে সেমিতে ভারতের সঙ্গী হবে আফগানিস্তান। আর আফগানিস্তান হারলে সেমিতে উঠবে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে, বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ভারতের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প থাকবে না অস্ট্রেলিয়ার সামনে। অস্ট্রেলিয়া হারলে সেমিতে উঠবে আফগানিস্তান।

খেলাধুলা

ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিল বাংলাদেশ। সুপার এইটে তিন ম্যাচের মধ্যে টানা দুই ম্যাচে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

শনিবার ওয়েষ্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে আগে ব্যাট করে হার্দিক পান্ডিয়া, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ, শিবম দুবে ও রোহিত শর্মার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ভারত।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে কুলদীপ যাদব, জসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিংদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা। ৫০ রানের জয় পায় ভারত। এই জয়ে বাংলাদেশকে বিদায় করে সেমিফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেল ভারত।

এদিন টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন ভারতীয় দুই তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। রোহিতকে আউট করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে দলীয় ৩৯ রানে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। তার আগে মাত্র ১১ বলে তিনটি চার আর এক ছক্কায় করেন ২৩ রান।

রোহিত আউট হওয়ার পর ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার লাগাম টেনে ধরেন তানজিম হাসান সাকিব।তানজিমের বল ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন বিরাট কোহলি। তিনি থেমেছেন ২৮ বলে এক চার আর তিন ছক্কায় ৩৭ রান করে।

চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান সূর্যকুমার যাদব। পরের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। তানজিমের শর্ট লেংথের বলে আউটসাইড-এজের পর ধরা পড়েছেন উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। তার বিদায়ে ৮.৩ ওভারে দলীয় ৭৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত।

সূর্যকুমার যাদব আউট হওয়ার পর উইকেটে সেট হয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালতে থাকেন ঋষভ পন্থ। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া ভারতীয় এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে আউট করেন রিশাদ হোসেন। তার লেগস্পিন বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পন্থ। তার বিদায়ে ১১.৪ ওভারে ১০৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত।

এরপর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৫৩ রানের ‍জুটি গড়েন শিবম দুবে। ১৭.২ ওভারে দলীয় ১৬১ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে শিবম দুবেকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ হোসেন। তার আগে ২৪ বলে তিন ছক্কায় ৩৪ রান করেন দুবে।

ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ২৭ বলে তিন ছক্কা আর চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ৫০ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার ফিফটিতে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ভারত।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ৪ ওভারে ৩২ রানে ২ উইকেট নেন তরুণ তারকা পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ৩ ওভারে ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৩ ওভারে ৩৭ রানে মাত্র ১ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করেন শেখ মাহেদি হাসান। ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করে কোনো সাফল্য পাননি মোস্তাফিজুর রহমান। ২ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪.৩ ওভারে দলীয় ৩৫ রানেই ফেরেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তিনি ১০ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ১৩ রান করে ফেরেন। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ফের ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি ৩১ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৯ রান করে ফেরেন।

চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ বলে মাত্র ৪ রানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। ১৩.২ ওভা ৩ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৯৮ রান। এরপর একের পর এক উইকেট পতনের কারণে শেষ ৪০ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ছন্দ পতনের কারণে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা। দলের হয়ে ৩২ বলে এক চার আর তিন ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ১০ বলে এক চার আর তিন ছক্কায় ২৪ রান করেন রিশাদ হোসেন। ৩১ বলে ২৯ রান করেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

ভারতের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ২ উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট নেন আর্শদীপ সিং। ৩ ওভারে ৩২ রানে এক উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া।

খেলাধুলা

হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব শুরু করলো বাংলাদেশ। আজ সুপার এইটে গ্রুপ-১এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রান করেবাংলাদেশ। দলের পক্ষে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। বল হাতে এ ম্যাচে হ্যাট্টিক করেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স। জবাবে ১১ দশমিক ২ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বৃষ্টির কারনে তৃতীয়বারের মত খেলা বন্ধ হয়। তখন বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে এগিয়ে ছিলো অসিরা। এমন অবস্থায়ন  আর খেলা মাঠে না গড়ারে  বৃষ্টি আইনে ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগায়  স্যার ভিভিয়ান রিচাডর্স স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ ওপেনার তানজিদ হাসান। দলের রানের খাতা খোলার আগেই  ফিরেন তানজিদ। চলতি বিশ^কাপে এ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের একটিতেও বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি দুই অংকের কোটা  স্পর্শ  করতে পারেনি।

শুরুতেই উইকেট হারানো পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দু’জনের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রান পায় বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের রান ও জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়।

পরের ওভারে স্পিনার এডাম জাম্পার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর আউট হন ২টি চারে ২৫ বলে ১৬ রান করা লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তর সাথে ৪৮ বলে ৫৮ রান যোগ করেন লিটন।

লিটনের বিদায়ে পিঞ্চ হিটার হিসেবে চার নম্বরে  নেমে ২ রানে আউট হন রিশাদ হোসেন। কিছুক্ষণবাদে এ অবস্থায় উইকেটে সেট হয়ে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক শান্ত। জাম্পার বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস টাইমিংয়ে লেগ বিফোর আউট হন তিনি। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৪১ রান করেন শান্ত।

১৩তম ওভারে দলীয় ৮৪ রানে শান্তর বিদায়ের পর জুটি গড়ার চেষ্টায় বেশি দূর যেতে পারেননি তাওহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। দলের রান ১শ পার হবার পর টি-টোয়েন্টি এক নম্বর অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিসকে বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে  আউট হন ১০ বলে ৮ রান করা  সাকিব। ১৯ বলে ১৯ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। সাকিব ফেরার ওভারেই পরপর দু’টি ছক্কা মারেন হৃদয়।

প্যাট কামিন্সের করা ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে মাহমুদুল্লাহ ২ এবং জাকের আলির পরিবর্তে খেলতে নামা মাহেদি হাসান শূণ্যতে আউট হন। এতে হ্যাট্টিকের সুযোগ তৈরি হয় কামিন্সের। ২০তম ওভারের প্রথম বলে হৃদয়কে শিকার করে হ্যাট্টিক পূর্ণ করেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া কামিন্স।

দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাট্টিক করলেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে ২০০৭ সালের বিশ^কাপে প্রথম হ্যাট্টিক করেছিলেন পেসার ব্রেট লি। সেটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ইতিহাসে এটি সপ্তম হ্যাট্টিক।

২টি করে চার-ছক্কায় বাংলাদেশের পক্ষে ২৮ বলে ৪০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন হৃদয়। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ৭ বলে অপরাজিত ১৩ রানে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স ২৯ রানে ৩টি, জাম্পা ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন।

১৪১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট তুলে নিতে পারতো বাংলাদেশ। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের করা  ওভারের প্রথম বলে পয়েন্টে ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলেন হৃদয়। ৫ রানে জীবন পেয়ে সতীর্থ ট্রাভিস হেডকে নিয়ে ঝড় তোলেন ওয়ার্নার। পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান যোগ করেন তারা। সপ্তম ওভারে নামে বৃুিষ্ট।  প্রায় ৩০ মিনিট বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলে, প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২১ বলে ৩১ রান করা হেডকে বোল্ড করেন রিশাদ।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শকে ১ রানে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন রিশাদ। ৪ রানের ব্যবধানে  ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অসিরা।

৬৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ওয়ার্নার ও ম্যাক্সওয়েল। ১৫ বলে ৩১ রান তুলে ফেলেন তারা।

১২তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টিতে ২৮তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ন করেন ওয়ার্নার।  এরপর আবারো বৃষ্টি নামলে বন্ধ হয় খেলা। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১১ দশমিক ২ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ রান।  এমন অবস্থায়  বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে এগিয়ে ছিলো অসিরা। এরপর বৃষ্টির মাত্রা  আরো বেড়ে গেলে খেলা সম্ভভ না হওয়ায়ন  বৃষ্টি আইনে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ওয়ার্নার ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ১টি করে চার-ছক্কায় ৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। বাংলাদেশের রিশাদ ২৩ রানে ২ উইকেট নেন।

আজ সুপার এইটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।

বাংলাদেশ ইনিংস :

তানজিদ হাসান ব স্টার্ক ০
লিটন দাস ব জাম্পা ১৬
নাজমুল হোসেন শান্ত এলবিডব্লু ব জাম্পা ৪১
রিশাদ হোসেন ক জাম্পা ব ম্যাক্সওয়েল ২
তাওহিদ হৃদয় ক হ্যাজেলউড ব কামিন্স ৪০
সাকিব আল হাসান ক এন্ড ব স্টয়নিস ৮
মাহমুদুল্লাহ ব কামিন্স ২
মাহেদী হাসান ক জাম্পা ব কামিন্স ০
তাসকিন আহমেদ অপরাজিত ১৩
তানজিম হাসান সাকিব অপরাজিত ৪
অতিরিক্ত (লে বা-৩, ও-১১) ১৪
মোট (২০ ওভার) ১৪০/৮     
উইকেটের পতন : ১-০ (তানজিদ), ২-৫৮ (লিটন), ৩-৬৭ (রিশাদ), ৪-৮৪ (নাজমুল), ৫-১০৩ (সাকিব), ৬-১২২ (মাহমুদুল্লাহ), ৭-১২২ (মাহেদী), ৮-১৩৩ (হৃদয়)।

অস্ট্রেলিয়া বোলিং :
স্টার্ক : ৪-০-২১-১ (ও-২),
হ্যাজেলউড : ৪-১-২৫-০ (ও-১),
কামিন্স : ৪-০-২৯-৩ (ও-৩),
জাম্পা : ৪-০-২৪-২,
স্টয়নিস : ২-০-২৪-১ (ও-১),
ম্যাক্সওয়েল : ২-০-১৪-১।

অস্ট্রেলিয়া ইনিংস :
ডেভিড ওয়ার্নার অপরাজিত ৫৩
ট্রাভিস হেড ব রিশাদ ৩১
মিচেল মার্শ এলবিডব্লু ব রিশাদ ১
ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ১৪
অতিরিক্ত (লে বা-১) ১
মোট (১১.২ ওভার) ১০০/২
উইকেট পতন : ১-৬৫ (হেড), ২-৬৯ (মার্শ)।

বাংলাদেশ বোলিং :
মাহেদি : ৪-০-২২-০,
তানজিম : ১-০-৯-০,
তাসকিন : ১.২-০-২২-০,
মুস্তাফিজুর : ২-০-২৩-০,
রিশাদ : ৩-০-২৩-২।
ফল : অস্ট্রেলিয়া বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে জয়ী।

খেলাধুলা

চলতি ২০২৪ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রশংসা করাই যায়। টাইগারদের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটাররা রীতিমতো চোখে সর্ষেফুল দেখছেন। তানজিম হাসান সাকিব-মোস্তাফিজুর রহমানরা উইকেট নিচ্ছেন পাল্লা দিয়ে।

রেকর্ড গড়তে তানজিম সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান সোমবার বেছে নিলেন নেপালকেই। তাদের রেকর্ড গড়ার দিনে সেন্ট ভিনসেন্টে এদিন নেপালের ব্যাটিং লাইন-আপ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। তানজিম সাকিব ও ফিজ নিয়েছেন ৪ ও ৩ উইকেট। দুজনেই ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করেছেন ও ৭ রান করে দিয়েছেন।

২১ ডট দিয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ডট দেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তানজিম সাকিব। মোস্তাফিজ দিয়েছেন ২০ ডট। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইনিংসে ডটের হিসেবে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তানজিম সাকিব ও ফিজের উইকেট এখন ৯ ও ৭। কিপ্টে বোলিংয়ের কারণে দুজনেই সেরা দশে উঠে এসেছেন। তিন ও সাতে অবস্থান করছেন তানজিম সাকিব ও মোস্তাফিজ। বাংলাদেশ সুপার এইটে আরও উইকেট নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এই দুই বোলার।

১২ উইকেট নিয়ে ২০২৪ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ফজল হক ফারুকি। আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফারুকি করেছেন এবারের বিশ্বকাপে। তার দুর্দান্ত বোলিংই মূলত উগান্ডা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানদের বিশাল জয় পেতে দারুণ অবদান রেখেছে। তানজিম সাকিবের সমান ৯ উইকেট নিয়েছেন এনরিখ নরকীয়া ও অ্যাডাম জাম্পা। ইকোনমির কারণে নরকীয়া ও জাম্পা অবস্থান করছেন দুই ও চারে।

নুয়ান থুসারা ও আলজারি জোসেফ নিয়েছেন ৮টি করে উইকেট। যেখানে শ্রীলংকা এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেছে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুপার এইটে উঠেছে। থুসারার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও উইকেট সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ থাকছে জোসেফের।

খেলাধুলা

ব্যাটাররা খুব বড় পুঁজি এনে দিতে পারেননি। কিন্তু এমন উইকেটে সেটাই ছিল যথেষ্ট! শুরুতে বল হাতে দাপট দেখালেন তানজিম হাসান সাকিব।

অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে শেষের কাজটা সুনিপুণভাবে করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। তাতে নিশ্চিত হয়ে গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুপার এইটে খেলা। আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১০৬ রানের পুঁজি নিয়েও নেপালকে ২১ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।
নেপালের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়ার নায়ক তানজিম। ডানহাতি এই পেসারকে দিয়ে ৪ ওভারের টানা স্পেল করান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিমও তাকে হতাশ করেননি। ২ মেডেনসহ স্রেফ ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি।

নেপালকে আটকাতে হলে শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করতে হতো। যদিও প্রথম দুই ওভারে কোনো উইকেট পায়নি। তবে তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। দ্বিতীয় বলে কুশল ভুর্তলকে ফুলটস ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ডানহাতি এই পেসার। তার চতুর্থ বলটি মিডঅফের ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন অনিল শাহ। কিন্তু ধরা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ডাবল উইকেটের ওভারটি তানজিম শেষ করেন মেডেন দিয়ে।

চতুর্থ ওভারে অবশ্য খরুচে ছিলেন তাসকিন। ১১ রান খরচ করেন তিনি। তবে পঞ্চম ওভারে এসে নেপালের অধিনায়ক রোহিত পৌড়েলের উইকেট তুলে নেন তানজিম। এর আগে যদিও দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। সেই রেশ টিকল না খুব বেশিক্ষণ। তানজিমের বলে পয়েন্টে থাকা রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১ রান করা রোহিত।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আসিফ শেখকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। আর নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে সন্দ্বীপ জরাকে শিকার করেন তানজিম। রোহিতের মতো সন্দ্বীপও ধরা পড়েন পয়েন্টে থাকা রিশাদের হাতে।

বিপর্যয়ে থাকা নেপালের এরপর হাল ধরেন কুশল মল্লা ও দীপেন্দ্র সিং ঐরী। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে পঞ্চম উইকেটে ৫২ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা। সেই জুটি ভাঙে শান্তর হাতে এসে। ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে মল্লার (২৭) দারুণ এক ক্যাচ নেন তিনি। পরের ওভারে গুলশান ঝাকে ফেরান তাসকিন। ১৯তম ওভারে এসে কোনো রানই দেননি মোস্তাফিজ। একইসঙ্গে শেষ বলে শিকার করেন ২৫ রান করা দীপেন্দ্রর উইকেট। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭ রান খরচে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার। শেষ ওভারে এসে প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট নেপালের ৮৫ রানে ইনিংসের ইতি ঘটান সাকিব।

ডি গ্রুপ থেকে এর আগে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সঙ্গী হতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সম্পাল কামির বাউন্সার ডাউন দ্য উইকেটে এসে পুল করতে যান তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক হয়নি, বোলারের কাছেই ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ওভার থেকে আসে স্রেফ ৩ রান।

দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দীপেন্দ্র সিংয়ের বলে আউট হওয়ার আগে ৫ বলে ৪ রান করেন তিনি।

মাঝে দুই ওভার বাদ দিয়ে আবার উইকেট এনে দেন সম্পাল। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে লিটন দাসকে ফেরান তিনি। তার বলে পুল করতে গিয়ে আসিফ শেখের হাতে ক্যাচ দেন লিটন। ১২ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

পাওয়ার প্লের আগেই তাওহীদ হৃদয়কেও হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। রোহিত পোডেলকে সুইপ করতে গেলে বল বাতাসে ভেসে যায়। হৃদয়ের দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সন্দীপ লামিচানে। ৭ বলে ৯ রান করে আউট হন হৃদয়।

পাওয়ার প্লেতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের জুটিটিই ছিল বাংলাদেশের জন্য বড় ভরসা। দুজন মিলে দলকে দিচ্ছিলেন ভালো কিছুর বার্তাও। কিন্তু হুট করেই ফের ঘটে ছন্দপতন!

কিন্তু ২০ বলে দুজনের ২২ রানের জুটি ভাঙে হতাশার রান আউটে। সাকিব আল হাসান ফুলটস বল পাঠিয়েছিলেন এক্সট্রা কাভারে। দৌড়ও শুরু করেছিলেন, কিন্তু হঠাৎ তার মনে হয় বলের কাছাকাছি আছেন ফিল্ডার। সাকিব ফেরত পাঠান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। কিন্তু তিনি ফেরার আগেই নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙে। ১৩ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রিয়াদ।

তার আউট হওয়ার পর মাথায় হাত দিয়ে হতাশায় বসে পড়েন সাকিব। কিন্তু এরপর নিজেও দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস টানতে পারেননি। রোহিত পোডেলের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২২ বলে ১৭ রান করেন সাকিব। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি।

১৪তম ওভারের প্রথম বলে সন্দীপ লামিচানে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তানজিম হাসান সাকিবকে। রিভিউ নিয়ে ওই বলে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু পরের বলে আরও এক গুগলিতে বোল্ড হয়ে যান ৫ বলে ৩ রান করে।

এরপর বাংলাদেশের জন্য শেষ ভরসা ছিলেন জাকের আলি। অনেকগুলো বলও খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু জাকেরও লামিচানের গুগলি না বুঝতে পেরে বোল্ড হয়ে যান। ২৬ বল খেলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

তার বিদায়ের পর রিশাদ একটু আশা জাগিয়েছিলেন। কুশল ব্রুথালকে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা ও দ্বিতীয়টিতে চার হাঁকান তিনি। ওই ওভার থেকে আসে ১৩ রান। কিন্তু পরের ওভারের প্রথম বলেই লং অফে ক্যাচ দেন রিশাদ।

বাংলাদেশের একশ রানের আশাও তখন মনে হচ্ছিল দূরের কল্পনা। তবে শেষ উইকেট জুটিতে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ ১৪ বলে ১৮ রান করলে একশ ছাড়াতে পারে বাংলাদেশ। ‍তৃতীয় বলে মোস্তাফিজ রান আউট হলে জুটি ভাঙে। ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তাসকিন। নেপালের হয়ে দুই উইকেট করে নেন সম্পাল, লামিচানে, রোহিত ও দীপেন্দ্র।

ব্যাটারদের ব্যর্থতাকে ঢেকে দিয়ে শেষ পর্যন্ত আলো ছড়ালেন বোলাররা। যার ফলে প্রথম আসরের পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলার সুযোগ পেল বাংলাদেশ। ঈদের দিনে এমন বাড়তি আনন্দই তো চেয়েছিলেন সমর্থকরা।