খেলাধুলা

সর্বশেষ চুক্তিতে ছিলেন ২৪ ক্রিকেটার। অর্থাৎ, এবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারের সংখ্যা কমেছে। এই চুক্তি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কার্যকর হবে।

সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তিন ফরম্যাটেরই চুক্তিতে আছেন। এছাড়া লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম আছেন তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে। গতবারও তারা তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে ছিলেন।’

bcbচুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের তালিকা।

বার টেস্টের চুক্তিতে ১৪ জন, ওয়ানডের চুক্তিতে ১০ জন ও টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে ১২ জন ক্রিকেটার রয়েছেন। প্রথমবারের মত জায়গা পেয়েছেন ২ ক্রিকেটার। তারা হলেন- মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলী চৌধুরী।

 টেস্ট: মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, এবাদত হোসেন চৌধুরী, সাদমান ইসলাম, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও মাহমুদুল হাসান জয়।

ওয়ানডে: মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।

টি-টোয়েন্টি: মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, নাঈম শেখ ও শেখ মেহেদী হাসান।

গতবার ছিলেন কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা হয়নি এমন ক্রিকেটার ৫ জন। তারা হলেন- মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। তাদের মধ্যে সাইফউদ্দিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, সাইফ টেস্ট, সৌম্য টি-টোয়েন্টি, রাহী টেস্ট এবং শামীম টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে ছিলেন। একাধিক ফরম্যাটের চুক্তিতে থেকে এবার বাদ পড়া একমাত্র ক্রিকেটার সাইফউদ্দিন।

খেলাধুলা

দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অংশ নিতে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তার ঠিক আগমুহূর্তে ব্যক্তিগত সফরে দুবাই চেলে গেছেন সাকিব। যাওয়ার আগে বলেছেন, তিনি এখন খেলার জন্য মানসিকভাবে ফিট নন।

এ ব্যাপারে বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, সাকিবের নিজের ইন্টারেস্টের কথা চিন্তা করে আমরা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছি যে, তাকে বিশ্রাম দেওয়া দরকার। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দিতে আমরা সম্মতি দিয়েছি। তাকে জানিয়েছি যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সে বিশ্রাম নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তো চেষ্টা করেছি তাকে সবধরনের ক্রিকেটে পাওয়ার। কিন্তু তাকে চাপিয়ে দেয়া উচিত হবে না। সে বারবার একটা কথাই বলেছে, ‘উপভোগ করছি না, মানসিকভাবে আনফিট, প্রস্তুত নই।

সাকিবের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কোনো ক্রিকেটারদের দলে যুক্ত করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস জানান, ১৬ জনের সদস্যের বাইরে অতিরিক্ত কয়েকজন ক্রিকেটার যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়, তাদের মধ্যে থেকে কাউকে দলে যুক্ত করা হবে।

খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টিতে শুরুতে ব্যাটিং সামর্থ্য দেখাতে পারে না বাংলাদেশ, নিতে পারে না কেবল দুইজন ফিল্ডার ৩০ গজের বাইরে থাকার সুবিধা-এই সংস্করণে দলটির অনেক ব্যর্থতার বড় কারণ এটিই। মাঝেমধ্যে উল্টো ধুঁকতেও দেখা যায় ব্যাটসম্যানদের। ‘পাওয়ারহীন’ এমন অসংখ্য পাওয়ার প্লের পরও আশা হারাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য তার দলের আছে বলেই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

২০ ওভারের চ্যালেঞ্জ এলেই আলোচনায় উঠে আসে এই ঘরানায় বাংলাদেশের দৈন্যতা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিনও তাই হলো। ব্যাটিংয়ের হতাশার চিত্রটিই সেখানে বড় বেশি স্পষ্ট। মাহমুদউল্লাহ সেখানে আশা দেখালেও তার কণ্ঠে সঠিক পথ খুঁজে না পাওয়ার হতাশাও ফুটে উঠল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এর আগে-পরে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন সিরিজ মিলিয়ে সবশেষ ২১ ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ভীষণ বিবর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ১ উইকেটে ৪৬ রানই এই সময়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর বাইরে চল্লিশ ছাড়াতে পেরেছে কেবল দুই ম্যাচে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ১ উইকেটে ৪৫ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ উইকেটে ৪১। ত্রিশের ঘরে যেতে পারেনি আটবার। সর্বনিম্ন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেটে ২২।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার অনুশীলন শেষে মাহমুদউল্লাহ বললেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন তারা।

“আশা করি, এটা থেকে বের হতে পারব। আমাদের দলের যে কম্বিনেশন বা শক্তি, আমি বিশ্বাস করি, পাওয়ার প্লেতে আমাদের ৪০-৪৫ রান করার সামর্থ্য আছে। যদি সেটা করতে পারি, এরপর আমরা সম্ভবত ঠিক পথেই এগোতে পারব।”

“প্রতিদিন হয়তো আপনি আকাশচুম্বি শুরু পাবেন না। যদি পেয়ে যান তাহলে তো খুব ভালো। তবে যেটা বললাম, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের লড়াই করার মতো একটা রান যেমন, ১৫০ থেকে ১৬০ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে। এতে ম্যাচে আমাদের একটা সম্ভাবনা থাকবে। প্রতিপক্ষ যেই হোক। আমরা অবশ্যই এটা নিয়ে কথা-বার্তা বলছি। এটা করার পথ বের করার চেষ্টা করছি। আশা করি, আমরা এক উপায় পেয়ে যাব।”

শুরুতে রান না আসার একটা মূল কারণ, ব্যাটসম্যানদের খোলসে ঢুকে যাওয়া। সেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসার তাগিদ দিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে বললেন অধিনায়ক।

“আমি মনে করি, টি-টোয়েন্টিতে যদি একজন ব্যাটসম্যান ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাটিং না করে, তাহলে নিজেই খোলসে বন্দি হয়ে যাবে। আর একবার খোলসে ঢুকে গেলে এর বাইরে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন। তো যে-ই ব্যাটিং করুক, টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডার হোক, কোনো ব্যাপার নয়। আমার মনে হয়, ইনটেন্ট নিয়ে ব্যাটিং করা, যার যার শক্তির জায়গা অনুযায়ী ব্যাটিং করা গুরুত্বপূর্ণ।”

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টানা ব্যর্থতার পেছনে সবচেয়ে বড় দায় টপ অর্ডারের। তারা পারছেন না ভালো শুরু এনে দিতে। উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে। রান করছেন কেবল মোহাম্মদ নাঈম শেখ, তবে ভীষণ মন্থর গতিতে। অন্য প্রান্তে কেউ না পারছেন টিকতে, না পারছেন দ্রুত রান তুলতে।

তবে কেবল টপ অর্ডারের দায় দেখেন না মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করেন, দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে এগিয়ে আসতে হবে পুরো ব্যাটিং ইউনিটকে।

“টপ অর্ডারকে শুধু দোষ দিলে হবে না। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের ভালো করতে হবে। কোনোদিন হয়তো টপ অর্ডার ভালো করবে না, মিডল অর্ডার সেটা কাভার করবে। কোনোদিন হয়তো টপ অর্ডার ভালো শুরু এনে দেবে, সেটা কাজে লাগাতে হবে। আমার মনে হয়, এটা পুরোপুরি দলীয় খেলা। এখানে ধারাবাহিক হওয়া অনেক কঠিন। তারপরও দল হিসেবে যদি আমরা একে অন্যকে সহায়তা করতে পারি তাহলে আমাদের ভালো সুযোগ থাকবে।”

খেলাধুলা

উইকেটের কাভার সরানোই ছিল। রোববার অনুশীলনের ফাঁকে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল, কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বেশ সময় নিয়ে দেখলেন উইকেট। পরে মুশফিকুর রহিমসহ আরও কজন পরখ করলেন উইকেট। টিপে দেখলেন কেউ কেউ। কতটা কী বুঝতে পারলেন তারা, সেসব জানার উপায় নেই। তবে উইকেটের চেহারা দেখে অন্তত খুশিই হওয়ার কথা তাদের !

দূর থেকে উইকেট যতটা দেখা গেল, মনে হলো ঠিক আগের ম্যাচের মতোই। ঘাসের ছোঁয়া আছে খানিকটা। উইকেটের আচরণও যদি একইরকম থাকে, আগে ব্যাট করলে বাংলাদেশের চাওয়া থাকবে নিশ্চয়ই একই। আরও একবার তিনশ ছাড়ানো!

এই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেট এমনিতে দারুণ ব্যাটিং বান্ধব বলে পরিচিত বরাবরই। তবে মজার ব্যাপার হলো, এখানে ২২ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ প্রথমবার তিনশ ছুঁতে পারল আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে!

৫০ ওভারে ৩০৬ রান তুলে সেদিন ৮৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। স্কোর যদিও আরেকটু বড় হওয়ার পথে ছিল। কিন্তু শেষ ৪ ওভারে কিছুটা খেই হারিয়ে রান আসে কেবল ২২। তবে টসের সময় অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, তাদের দৃষ্টি ২৬০ রানে। সেখান থেকে দল ঢের বেশি রান করে ফেলে।

অথচ চট্টগ্রামের উইকেট এবার একটু আলাদা। ঘাস থাকার কারণে নতুন বলে সিম মুভমেন্ট মিলছে বেশ। আফগান পেসাররা সুইংও করাতে পারেন। শুরুর সময়টা তাই চ্যালেঞ্জিং। ১০-১৫ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলে অবশ্য উইকেট যথারীতি কথা বলতে থাকে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে।

শুরুর কঠিন সময়টা পার করার পর সময়ের সঙ্গে রান বাড়ানো, দ্বিতীয় ওয়ানডের গোছানো ব্যাটিং থেকে বাংলাদেশ আশার জোগান পেতে পারে আগামী বিশ্বকাপের জন্য। বিশ্বকাপ হবে ভারতে, যেখানে বেশির ভাগ উইকেটই থাকবে ব্যাটিং সহায়ক। বড় রানের খেলা তাই সেখানে হবে। বড় রানের অভ্যাসও তাই দ্রুত গড়ে তোলা জরুরি।
পরিসংখ্যান বলছে, অভ্যাসটা বাংলাদেশ গড়ে তুলছে টুকটাক। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশিবার তিনশ ছুঁয়েছে ভারত, ২৭ ম্যাচে ১০ বার। এরপরই যৌথভাবে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ। ১৮ ম্যাচে ৫ বার পেরেছে ইংল্যান্ড, দুই ম্যাচ বেশি খেলে বাংলাদেশ।

তবে এই পরিসংখ্যানের গভীরে ঢুকলে খানিকটা ফাঁকও চোখে পড়বে। বাংলাদেশের পাঁচ তিনশর চারটিই তুলনামূলক দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, যারা আদৌ বিশ্বকাপে খেলতে পারবে কিনা, সেই সংশয় আছে প্রবল। এই সময়টায় শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে তিনশ করতে পারেনি বাংলাদেশ।

অবশ্য দেশে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ যে মাঠে খেলে বাংলাদেশ, সেই মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াসের মন্থর উইকেট বড় একটি বাধা তিনশ করার ক্ষেত্রে। আফগানদের বিপক্ষে চলতি সিরিজের সব ম্যাচ চট্টগ্রামে রাখার বড় একটি কারণও এটি। সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে ধরলেন উইকেটের কথাই।

“ওয়ানডেতে রান হলে ব্যাটসম্যানরা আত্মবিশ্বাস পায়। যদি বড় বড় ইভেন্টে খেলতে যান, বিশেষ করে বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ, যেহেতু আমাদের সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে ভারতে, ওখানে কিন্তু ৩০০ রান করতেই হবে, ৩০০ রান তাড়া করতে হবে এবং তিনশর বেশি রান করতে হবে। কারণ উইকেট ভালো থাকে।”

“আমরা যদি এখান থেকেই মানিয়ে নিতে পারি এবং এখানে উইকেট ভালো আছে, যদি খাপ খাইয়ে নিতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপ বলেন বা বড় ইভেন্টের জন্য ভালো হবে। বিশ্বকাপে উইকেট অনেক ভালো থাকে।”

খেলাধুলা

২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে ওয়ানডে সুপার লিগে ১৩টি দল অংশ নেবে। সুপার লিগের শীর্ষ ৭ দল সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। আয়োজক হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে ভারত।

ওয়ানডে সুপার লিগে ইতোমধ্যে ১৪টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ১০টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১০০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে টাইগাররা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দুই খেলায় জিতে ভালো অবস্থানেই রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে টাইগারদের পরের সিরিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। চেনা কন্ডিশন হলেও বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশদের হারানো মোটেও সহজ নয়।

এছাড়া সুপার লিগে বাংলাদেশের বাকি সিরিজ দুটি দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের মাটিতে। সেজন্যই ঘরের মাঠে যতটা সম্ভব পয়েন্ট অর্জন করে এগিয়ে থাকতে চাইছে বাংলাদেশ।

আগামীকাল সোমবার তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ খেলায় আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে ভালো পজিশনে থাকতে চায় টাইগাররা।

এমনটি জানিয়ে বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, সামনে হয়তো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। কিন্তু আমি মনে করি, (আফগানদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে) ১০ পয়েন্ট যদি নিতে পারি, তখন আমাদের জন্য বাকি পথ সহজ হয়ে যাবে। আমরা এ ব্যাপারে কোনো নেতিবাচক চিন্তা করছি না। ইতিবাচক চিন্তা করছি। আমরা চেষ্টা করব শতভাগ দিয়ে খেলার জন্য এবং আমাদের জন্য ১০ পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে মিরাজ আরও বলেন, সিরিজ জেতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ১০ পয়েন্ট। বিশ্বকাপে কিন্তু সুপার লিগের সেরা আটটা দলই কোয়ালিফাই করবে। সিরিজ জিতেছি, খুব ভালো কথা। আমাদের পরবর্তী টার্গেট একটা ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নেওয়া।

খেলাধুলা

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।

দুই দেশের মধ্যকার দ্বিতীয় ম্যাচটি টিভির পর্দায় উপভোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুধু যে খেলা দেখেছেন তা নয়, ভালো খেলায় সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিয়েই লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ম্যাচ শেষে এমন খবর জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

বিসিবি বস জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অন্তত পাঁচবার ফোন করেছেন।

এ ব্যাপারে পাপন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে পাঁচবার ফোন করেছেন। তিনি টিভির সামনে সারাক্ষণ বসে ছিলেন। যখন প্রথম ফোন করেছেন, তখন বলেছেন, খুবই ভালো খেলছে। সেঞ্চুরির (লিটনের) পরও আমাকে ফোন করেছেন। লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন লিটন দাস। অন্যদিকে মুশফিকুর রহিম করেন ৮৬ রান। তাদের দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই শেষ পর্যন্ত আফগানদের বিপক্ষে ৮৮ রানের বড় জয় তুলে নিতে সমর্থ হয় টাইগাররা।

খেলাধুলা

চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এরমাধ্যমে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছেন সাকিব-তামিমরা।

ম্যাচটিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান ২১৮ রান করেই গুটিয়ে যায়।

সিরিজ জয়ের পাশাপাশি এ জয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি দখল করতে বাংলাদেশ সরিয়ে দিয়েছে ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে।

বর্তমানে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আছে টইগাররা।  সুপার লিগে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ১০টি ম্যাচে। হেরেছে বাকি চারটি ম্যাচে। ১০ জয়ের সুবাদেই তারা তুলে নিতে পেরেছেন ১০০ পয়েন্ট।

পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে অবস্থান করা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৯৫। ইংল্যান্ড ১৫টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ৯টি ম্যাচে। হেরেছে ৫টি ম্যাচে।  তাদের পয়েন্ট ৯৫। কারণ একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। আর পরিত্যক্ত ম্যাচের জন্য ৫ পয়েন্ট পেয়েছে তারা।

পয়েন্ট টেবিলে বর্তমানে তৃতীয়স্থানে আছে ভারত। তারা ১২টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৮টি ম্যাচে। হেরেছে ৪টি ম্যাচে। তাদের পয়েন্ট ৭৯। তবে ভারত যেহেতু ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজক তাই তারা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে সরিয়ে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এরমাধ্যমে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছেন সাকিব-তামিমরা।

ম্যাচটিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করে। জবাবে আফগানিস্তান ২১৮ রান করেই গুটিয়ে যায়।

সিরিজ জয়ের পাশাপাশি এ জয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি দখল করতে বাংলাদেশ সরিয়ে দিয়েছে ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে।

বর্তমানে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আছে টইগাররা।  সুপার লিগে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১৪টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ১০টি ম্যাচে। হেরেছে বাকি চারটি ম্যাচে। ১০ জয়ের সুবাদেই তারা তুলে নিতে পেরেছেন ১০০ পয়েন্ট।

পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে অবস্থান করা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৯৫। ইংল্যান্ড ১৫টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ৯টি ম্যাচে। হেরেছে ৫টি ম্যাচে।  তাদের পয়েন্ট ৯৫। কারণ একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। আর পরিত্যক্ত ম্যাচের জন্য ৫ পয়েন্ট পেয়েছে তারা।

পয়েন্ট টেবিলে বর্তমানে তৃতীয়স্থানে আছে ভারত। তারা ১২টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৮টি ম্যাচে। হেরেছে ৪টি ম্যাচে। তাদের পয়েন্ট ৭৯। তবে ভারত যেহেতু ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজক তাই তারা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে।

লিটনের সেঞ্চুরিতে সিরিজ জিতে বাংলাদেশের ‘১০০’

প্রথম ম্যাচের মতো জমজমাট লড়াই হলো না। জয়ের পর তাই উল্লাসও তেমন কিছু দেখা গেল না। তবে উদযাপনের উপলক্ষ কিন্তু এ দিন আরও বেশি! আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় হয়তো খুব বড় কিছু নয়। তবে দুই ম্যাচেই সিরিজ জয় তো বড় স্বস্তিই। সঙ্গে আছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে প্রথম দল হিসেবে পয়েন্টের সেঞ্চুরি করার গৌরবও। প্রাপ্তিতে টইটম্বুর দিনটি এলো লিটন কুমার দাসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে।

খেলাধুলা

মাউন্ট মঙ্গানুই থেকে চট্টগ্রাম। লাল বল থেকে সাদা বল। সাদা পোশাকের বদলে এখন রঙিন জার্সি। টেস্টের জায়গায় এখন ওয়ানডে। পার্থক্য অনেক। সংস্করণে, ধরণে, স্কিলে, মানসিকতায়! তবে মনের শক্তিতেই সব পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চান ইবাদত হোসেন চৌধুরি। তার মন যে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর!

আত্মবিশ্বাস ব্যাপারটিই এমন অদ্ভুত। প্রতিবন্ধকতা যতই থাকুক, প্রতিকূলতা সামনে যতই আসুক, সব জয় করার সাহস ভর করে মনে। এগিয়ে যাওয়ার তাড়না কাজ করে ভেতরে। ইবাদত যেমন উড়ছেন সেই বিশ্বাসের ডানায়।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে তার অসাধারণ বোলিংয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া জয়ের পর পেরিয়ে গেছে দেড় মাস। ইবাদত এখন আছেন নিউ জিল্যান্ডের সেই পর্যটন শহর থেকে ১১ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে দেশে ফিরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল খেলে এখন তিনি ওয়ানডের ভুবনে। জায়গা পেয়েছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে।

তবে ইবাদত এখনও ডুবে আছেন টেস্ট সাফল্যেই। সেই আবেশ মেখেই ওয়ানডেতে সৌরভ ছড়াতে চান এই পেসার।

“বছরের শুরুটা আমরা খুব ভালোভাবে করেছি। নিউ জিল্যান্ডকে আমরা হারিয়েছি ওদের মাটিতে। তখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী আছি। এরপর বিপিএল খেলেছি। বিপিএলেও অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। সেই আত্মবিশ্বাস আমি আফগানিস্তান সিরিজে কাজে লাগাতে চাই।”

যদিও তার ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়াটা বেশ বিস্ময়ের। টেস্টে তিনি নিয়মিত সদস্য অনেক দিন ধরেই। কিন্তু ৫০ ওভারের সংস্করণ মিলিয়ে খেলেছেন স্রেফ ১১টি। তাতে উইকেট মাত্র ১০টি। সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন প্রায় ২ বছর আগে। মূলত লাল বলের সাফল্য আর বিপিএলে তার বোলিং দেখেই নেওয়া হয়েছে তাকে। হঠাৎ পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে তিনি মরিয়া।

“আলহামদুলিল্লাহ, ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি। সারপ্রাইজড আসলে… প্রথম যখন শুনেছি যে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছি, এটার জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আমি ভালো করার চেষ্টা করব।”

“মাত্র লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছি ১১টা, আমি জানি। এই প্রথম সুযোগ পেয়েছি ওয়ানডে দলে। গত বিপিএলে আমাদের দলে তামিম ভাই, মাশরাফি ভাই ও রিয়াদ ভাই ছিলেন। অনেক সাপোর্ট পেয়েছি উনাদের কাছ থেকে। এখন আবার সাদা বলে অনুশীলন করছি। ভালো করার চেষ্টা করব।”

এতদিন ইবাদতের কাছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই ছিল কেবল লাল বলের জগত। শুধু ম্যাচ খেলাই নয়, তার অনুশীলনের বেশির ভাগটাও ছিল লাল বলেই। এখন সাদা বলে মানিয়ে নেওয়া, ওয়ানডের লাইন-লেংথ, ব্যাটসম্যানকে পড়া, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে বল করা, এসবও রপ্ত করতে হবে দ্রুত। ইবাদত আশাবাদী, এই চ্যালেঞ্জ তিনি উতরাতে পারবেন।

“সারাদিন এক জায়গায় বল করার সামর্থ্য থাকতে হয় (টেস্টে)। এখানে একটু আলাদা। চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নেওয়ার। আমার সবচেয়ে বড় (চাওয়া) হচ্ছে… চেষ্টা করব এখানে নতুন বল কাজে লাগানোর।”

তার আশা শুধু নিজেকে নিয়েই নয়, দলের পুরো পেস ইউনিট নিয়েই। পেস আক্রমণ দিয়েই সিরিজে পার্থক্য গড়তে চান তিনি।

“আমরা ফাস্ট বোলাররা চেষ্টা করব, এখানে যে তিনটা ম্যাচ আছে, অন্তত একটা-দুইটা ম্যাচ জেতাব ইনশাল্লাহ। আমি আশা করি যে… আমাদের ফাস্ট বোলিং বিভাগে খুব ভালো সময় যাচ্ছে সবার। চেষ্টা করব আমরা ৩-০ ম্যাচে ডমিনেট করার।”

খেলাধুলা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অষ্টম আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে দলটিতে ছিলেন না বড় মাপে কোনো তারকা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডব খ্যাত তারকাদের কেউ।

তবুও এবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। নিজ দলের এমন অর্জনে যারপরনাই খুশি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কর্ণধার নাফিসা কামাল। যদিও দলের জয়ে স্বস্তি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর কোনো পোস্ট দেননি নাফিসা। পরম করুনাময়ের প্রশংসায় শুধু ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখেছেন।

ফাইনালের দিনও নাফিসাকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। জানা গেছে, এদিন রোজা রেখেছিলেন তিনি। দুশ্চিন্তায় ফাইনালের আগের রাতে ঘুমাননি ঠিক মতো।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষ থেকে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে দলের মিডিয়া ম্যানেজার খান নয়ন এসব তথ্য দেন।

নয়ন বলেন, ‘আপনারা নাফিসা কামালকে খুব ক্লান্ত দেখছেন। কারণ উনি সারাদিন রোজা পালন করেছেন। টেনশনে… না বলে পারলাম না। উনার দোয়া আল্লাহপাক কবুল করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর দরবারে অনেক শোকরিয়া।’

এদিকে শিরোপা জয়কে অর্থমন্ত্রী ও সাবেক আইসিসি ও বিসিবি সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল ও কুমিল্লাবাসীকে উৎসর্গ করেছেন নাফিসা।

নাফিসা বলেন, ‘এটা আমার বাবার (আ হ ম মুস্তফা কামাল) জন্য। অস্বীকার করা যাবে না এটা। ক্রিকেট নিয়ে উনার ভালোবাসা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন। আমাদের কোচ, ইমরুল, নয়ন তাদের বাসায় ডেকে এনে যেভাবে গল্প করেন… উনার গল্প ও ভালোবাসা আমাদের প্রেরণা দেয়। তাই বাবাকেই উৎসর্গ করি। সাথে কুমিল্লার সবাই। এই কাপ আমার বাবা ও কুমিল্লাবাসীর।’

খেলাধুলা

কলকাতায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার ৮ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজও জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। এর পাশাপাশি রোহিত শর্মার দল ১০০তম টি-টোয়েন্টি মাইলফলকেও নাম লিখিয়েছে।

বছরখানেক আগে পাকিস্তান এই মাইলফলকে নাম লিখিয়েছিল। তবে সময়ের হিসাবে দ্রুততম না হলেও ম্যাচের হিসাবে পাকিস্তানকে ভারত পার হয়ে গেছে।

গত বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসেছিল পাকিস্তান দল। সে মাইলফলকে পৌঁছাতে তাদের লেগেছিল ১৬৪ ম্যাচ। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতের ১৫৫তম।

তালিকার তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৪৭ ম্যাচে ৮৬টি জয় পেয়েছে। সুতরাং তাদের পক্ষেও ভারতের রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হবে না। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, তালিকায় পরে থাকা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষেও ভারতের রেকর্ড ভাঙা সম্ভব নয়।

এই দলগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এরই মধ্যে ভারতের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ম্যাচ কম খেললেও ১০০-তে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় জয়ের সংখ্যার চেয়ে ম্যাচসংখ্যায় ভারতের সঙ্গে তাদের ব্যবধান কম।

এদিক থেকে শুধু আফগানিস্তানই হতে পারে ভারতের রেকর্ডের পথে বড় হুমকি! টি-টোয়েন্টিতে জয়ের সংখ্যার তালিকায় নবম আফগানিস্তানের এই মুহূর্তে জয়ের সংখ্যা ৬০, কিন্তু এত জয় পেতে তাদের ম্যাচ লেগেছে মাত্র ৮৮টি। অন্তত ৫০টি জয় আছে, এমন দলগুলোর মধ্যে জয়ের হারের বিচারে আফগানিস্তানের ওপরে আর কেউ নেই, দুইয়ে ভারত।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। এর মধ্যে জিতেছে মাত্র ৪৩টি। অন্তত ৪০ ম্যাচ জিতেছে, এমন ১২টি দলের মধ্যে জয়ের হারে সবার তলানিতে বাংলাদেশ।