খেলাধুলা

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের ভিসাখাপত্নামে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুইদিনব্যাপী পঞ্চম ইন্টারন্যাশনাল কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপ।

বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় আট সদস্যের কারাতে দল ৮ এবং ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়।

বাংলাদেশ দল বিভিন্ন ইভেন্ট চারটি স্বর্ণ, দু’টি রৌপ্য ও একটি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টিম পরিচালক কারাতে ফেডারেশন এবং আন্তর্জাতিক কারাতে কোচ এস ইসলাম শুভ।

প্রতিযোগিতায় পদক বিজয়ীরা হলেন- মিন্টু দে (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) ৮৪ কেজিতে স্বর্ণ পদক, দীপা রানী  (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) ৬৮ কেজিতে স্বর্ণ পদক, সায়মা জামান (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) ৫০ কেজিতে স্বর্ণ পদক, জুনায়েদ আল হাবিব (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) ৫৫ কেজিতে স্বর্ণ পদক, মামুন খান (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) ৬৭ কেজিতে রৌপ্য পদক, মো. আরমান হোসাইন (কিক ফাইটার কারাতে স্কুল, চট্টগ্রাম) ৭৫ কেজিতে রৌপ্য পদক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মো. আশিকুর রহমান ৬০ কেজিতে ব্রোঞ্জ পদক।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন ইভেন্টে ৯৫০ জন খেলোয়াড় অংশ নেন। এ জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সভাপতি ড. মোজাম্মেল হক খান, সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু, বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কৈ শা হ্লা, কুমিল্লা ড্রাগন কারাতে অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন, কুমিল্লা ড্রাগন কারাতে অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলামসহ অনেকে।

খেলাধুলা

অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের দেশ নিউ জিল্যান্ড। অপূর্ব সব লেক, সাগরে স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো নীল জলরাশি, মাইলের পর মাইল জুড়ে সবুজ প্রান্তর আর ছোট-বড় পাহাড় মিলিয়ে প্রকৃতি যেন খুব যত্ন করে সাজিয়েছে দেশটি। সৌন্দর্যের সেই লীলাভূমিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পেল ইতিহাসের সুন্দরতম দিন।

খেলাধুলা

বর্তমান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারিয়ে লংগার ভার্সনে নতুন ইতিহাস রচনা করলোর বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মোমিনুলের দল। কেবল তাই নয়, এই প্রথম নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোন ম্যাচ জিতলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় বিশ^ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয় দেখলো বাংলাদেশ।

চতুর্থ দিন শেষেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন বাংলাদেশের হাতে মুঠোয় ছিলো। ডান-হাতি পেসার এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলেছিলো নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ১৭ রানে এগিয়েছিলো কিউইরা। এবাদত ৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। রস টেইলর ৩৭ ও রাচিন রবীন্দ্র ৬ রানে দিন শেষ করেছিলেন।
ক্রিজে অভিজ্ঞ টেইলর থাকায়, পঞ্চম ও শেষ দিন নিউজিল্যান্ডের স্কোর বড় হবার দারুন সম্ভাবনা ছিলো। বাংলাদেশের জয়ের পথে টেইলর যে, কাটা হয়ে দাঁড়াবেন তেমন আশঙ্কাও ছিলো বাংলাদেশ শিবিরে।

কিন্তু দিনের শুরুতেই বাংলাদেশকে চিন্তামুক্ত করে দেন দুর্দান্ত বল করা এবাদত। দিনের অষ্টম বলেই টেইলরকে দারুন এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন এবাদত। ২০১৩ সালের পর বাংলাদেশের কোন পেসার এই প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন। ১১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম পাঁচ উইকেট নিলেন এবাদত। ১০৪ বল খেলে ২টি চারে ৪০ রান করেন বিদায়ী টেস্ট সিরিজ খেলতে নামা টেইলর।

টেইলেরর বিদায়ের পর কাইল জেমিসনকেও তুলে নেন এবাদত। ৮ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি জেমিসন। এবাদতের তোপে যখন কাঁপছে নিউজিল্যান্ড, তখন বল হাতে প্রতিপক্ষের টেল-এন্ডার গুড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। রবীন্দ্রকে ১৬ ও টিম সাউদিকে শুন্য হাতে আউট করেন তাসকিন।

২টি চারে ট্রেন্ট বোল্ট দলকে ৮ রান উপহার দিয়েছিলেন। আর সেখানেই বোল্টকে থামান স্পিনার মিরাজ। এতে ১৬৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।

তাই ম্যাচ জিততে বাংলাদেশ টার্গেট পায় ৪০ রানের। কারন প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ করেছিলো ৪৫৮ রান। এতে প্রথম ইনিংস থেকে ১৩০ রানের লিড পেয়েছিলো টাইগাররা।

আজ ২২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এবাদত ২১ ওভার বল করে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নেন। এটিই তার সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে টেস্টে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছিলেন এবাদত। তাসকিন ১৪ ওভারে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন। বাকী ১টি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার মিরাজ।

৪০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করেন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিল্ডিংয়ে আঙ্গুলে চোট পাওয়ায় এই ইনিংসে ব্যাট হাতে নামতে পারেননি প্রথম ইনিংসের ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।

দ্বিতীয় ওভারেই সাদমানকে বিদায় করেন নিউজিল্যান্ডের সাউদি। ৩ রান করেন তিনি। এরপর শান্তকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মোমিনুল। জয়ের পথটা সহজ করতেই সর্তকতার সাথে খেলে ৭৫ বল খরচ করেছেন তারা। সমস্যায় না পড়তেই রান তুলতে তাড়াহুড়া করেননি শান্ত ও মোমিনুল।

জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে থামেন শান্ত। ৩টি চারে ৪১ বলে ১৭ রান তুলেন শান্ত শিকার হন জেমিসনের। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন মোমিনুল।

১৭তম ওভারে জেমিসনের পঞ্চম ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি আদায় করে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুশফিক। ৩টি চারে ৪৪ বলে মোমিনুল অপরাজিত ১৩ ও মুশফিক ৭ বলে অপরাজিত ৫ রান করেন। দুই ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের এবাদত।

আগামী ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

স্কোর কার্ড : (টস-বাংলাদেশ)

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ৩২৮/১০, ১০৮.১ ওভার (কনওয়ে ১২২, নিকোলস ৭৫, শরিফুল ৩/৬৯।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৪৫৮/১০, ১৭৬.২ ওভার, মোমিনুল ৮৮, লিটন ৮৬, বোল্ট ৪/৮৫) :

নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস : (আগের দিন, ১৪৭/৫, ৬৩ ওভার, ইয়ং ৬৯, টেইলর ৩৭*, রবীন্দ্র ৬*) :

টম লাথাম বোল্ড ব তাসকিন  ১৪

উইল ইয়ং বোল্ড ব এবাদত  ৬৯

ডেভন কনওয়ে ক সাদমান ব এবাদত  ১৩

রস টেইলর বোল্ড ব এবাদত  ৪০

হেনরি নিকোলস বোল্ড ব এবাদত  00

টম ব্লানডেল এলবিডব্লু ব এবাদত  00

রাচিন রবীন্দ্র ক লিটন ব তাসকিন   ১৬

কাইল জেমিসন ক শরিফুল ব এবাদত  00

টিম সাউদি বোল্ড ব তাসকিন  00

নিল ওয়াগনার অপরাজিত   00

ট্রেন্ট বোল্ট ক অতি (তাইজুল) ব মিরাজ   ৮

অতিরিক্ত (বা-২, লে বা-৫, নো-১, ও-১)  ৯

মোট (অলআউট, ৭৩.৪ ওভার)  ১৬৯

উইকেট পতন : ১/২৯ (লাথাম), ২/৬৩ (কনওয়ে), ৩/১৩৬ (ইয়ং), ৪/১৩৬ (নিকোলস), ৫/১৩৬ (ব্লানডেল), ৬/১৫৪ (টেইলর), ৭/১৬০ (জেমিসন), ৮/১৬০ (রবীন্দ্র), ৯/১৬১ (সাউদি), ১০/১৬৯ (বোল্ট)।

বাংলাদেশ বোলিং :

তাসকিন : ১৪-৩-৩৬-৩ (ও-১) (নো-১),

শরিফুল : ১২-২-৩০-০,

মিরাজ : ২২.৪-৫-৪৩-১,

এবাদত : ২১-৬-৪৬-৬,

মোমিনুল : ৪-০-৭-০।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :

সাদমান ইসলাম ক ব্লানডেল ব সাউদি  ৩

নাজমুল হোসেন শান্ত ক টেইলর ব জেমিসন  ১৭

মোমিনুল হক অপরাজিত  ১৩

মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৫

অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-১, ও-২) ৪

মোট (২ উইকেট ১৬.৫ ওভার) ৪২

উইকেট পতন : ১/৩ (সাদমান), ২/৩৪ (শান্ত)।

নিউজিল্যান্ড বোলিং :

সাউদি : ৫-৩-৪-০,

বোল্ট : ৫-২-২১-১,

জেমিসন : ৩.৫-১-১২-১ (ও-২),

নিল ওয়াগনার : ৩-১-৪-০ (নো-১)।

ফল : বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা : এবাদত হোসেন (বাংলাদেশ)।

সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

বিদায়ী বছরটা বাংলাদেশের (পুরুষ) ক্রিকেটের জন্য খুব বাজে গেছে। মাঠের বাজে পারফরম্যান্স ছাড়াও দল এবং বোর্ডের কোন্দল মিলিয়ে যাচ্ছেতাই অবস্থা।

তবে পুরনো সব কিছু ভুলে নতুন বছরে সুন্দর শুরুর আশা দেখালেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।
২০২২ সালের প্রথম দিন সকালেই সাদা পোশাকে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৪টায় শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট।

গত বছর ৭ টেস্টে বাংলাদেশের জয় ছিল স্রেফ ১টি। সেটাও আবার জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একটি ম্যাচ ড্রয়ের পাশাপাশি ৫টিতেই হেরেছিল দল। এবার নতুন করে শুরুর আশা করছেন অধিনায়ক মুমিনুল।

আজ শুক্রবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘নতুন বছরে আমি খুব রোমাঞ্চিত। আগে কী হয়েছিল, এসব নিয়ে চিন্তা না করে সামনের বছর কিভাবে নতুন করে, সুন্দরভাবে শুরু করা যায়, সেটা নিয়েই ভাবছি। আমি সত্যিই খুব রোমাঞ্চিত। নতুন বছরটা যদি সুন্দর হয়, শুরুটা ভালো হলে তা ধরে রাখা সহজ হয় আর কি। ‘

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক দল হিসেবে খেলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘আমাদের যে ধরন, এখানে দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব সময় কথাটা বলি, আমার কাছে মনে হয়, আমরা এখন যেভাবে অনুশীলন করছি ও যেভাবে দেখছি সবাই সবাইকে, আমরা দল হিসেবে যদি খেলতে পারি। ওটার জন্যই রোমাঞ্চ কাজ করছে। আমরা যত টেস্ট ম্যাচ জিতেছি, জিততে পেরেছি দল হিসেবে খেলতে পারায়। এখন কেউ যদি ১০০ করে বা বোলারদের কেউ ৫ উইকেট পায়, কিন্তু আর কেউ ৩-৪ উইকেট না পেলে হবে না। দল হিসেবে খেলতে না পারলে দলীয় ফল আসে না। তখন ব্যক্তিগত অর্জন হবে, দলীয় পারফরম্যান্স হবে না। ‘

নিউজিল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩২ ম্যাচের একটাও জেতেনি বাংলাদেশ। ৯ টেস্টের পাঁচটিতেই জুটেছে ইনিংস পরাজয়। এবার মুমিনুল সেই ইতিহাস বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন মুমিনুল। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই সেই স্বপ্ন পূরণের পরীক্ষায় নামতে হবে তাদের।

খেলাধুলা

কমলাপুর স্টেডিয়ামে বিজয়ের মাসে দারুণ এক জয় উপহার দিয়েছেন মারিয়া মান্ডারা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করেছেন তারা।

ফুটবলের দুর্দিনে মেয়েদের হাত ধরেই এল সফলতা। ছেলেদের ফুটবলে চারদিকেই ছিল হতাশা। একের পর এক টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হচ্ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রফি জয় দূরে থাক, ফাইনালটাই খেলতে পারছেন না দীর্ঘদিন ধরে। এরই মধ্যে এলো মেয়েদের সফলতা। পুরো জাতি এ নিয়ে উৎসব করেছে। হাজার হাজার দর্শক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এসে মারিয়াদের জয় উদযাপন করেছেন। প্রসংশার বন্যায় ভাসছেন মেয়েরা। এবার দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ সাফজয়ী মেয়েদের সংবর্ধনা দিতে যাচ্ছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় মহাআড়ম্বরে চ্যাম্পিয়নদের বরণ করা হবে। ছেলেদের ফুটবলে ব্যর্থতার মিছিলে মেয়েরা আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছেন। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে তারা শ্রীলঙ্কার জালে দিয়েছেন ১২ গোল। ৬ গোল দিয়েছেন ভুটানের জালে। ভারতকে গ্রুপ পর্বের পাশাপাশি হারিয়েছেন ফাইনালে। দুই ম্যাচেই ব্যবধান ছিল ১-০। বিজয়ের মাসে দারুণ এ জয় পুরো জাতিকেই উপহার দিয়েছে দারুণ এক গৌরব। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন শাহেদা আক্তার রিপা।

নারী ফুটবলে সাফল্য নতুন নয়। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। আট শিরোপা জেতার কৃতিত্ব রয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের।

খেলাধুলা

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে ড্র করলেই চলত মারিয়া মান্দাদের। কিন্তু ড্র নয়, শ্রীলংকাকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

রোববার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে শাহেদা আক্তার রিপা ও আফেইদার হ্যাটট্রিকের সুবাদে শ্রীলংকাকে ১২-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষ দল হিসাবে ফাইনালের টিকিট কাটেন মারিয়া মান্দা, আঁখি খাতুনরা। বুধবার ফাইনালে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ ভারত। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল লাল-সবুজের মেয়েদের। মাত্র ২ মিনিটের মাথায় বক্স থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্বপ্না রানী (১-০)।

মিনিটপাঁচেক পর বাঁ প্রান্ত দিয়ে বাঁ-পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দলকে দ্বিতীয় গোল উপহার দেন ঋতুপর্ণা চাকমা (২-০)। ১৬ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢুকে তৃতীয় গোলটি করেন শাহেদা আক্তার রিপা (৩-০)। ৪৩ মিনিটে আঁখির বাড়িয়ে দেওয়া বল গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ান ঋতুপর্ণা (৪-০)। ৪৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দূলপাল্লার শটে আরও একবার শ্রীলংকার জাল কাঁপান আঁখি খাতুন (৫-০)। পরের মিনিটে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে দেন রিপা (৬-০)। ৫৪ মিনিটে দূর থেকে ডান-পায়ের শটে বাংলাদেশের সপ্তম গোলটি করেন আফেইদা (৭-০)।

৭০ মিনিটে বক্সের প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে দারুণ শটে গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আফেইদা (৮-০)। ৭৭ মিনিটে আনুচিং মোগিনীর গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৯-০। মিনিটচারেক পর বাঁ প্রান্ত দিয়ে দূরপাল্লার শটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আফেইদা (১০-০)। ৮৬ মিনিটে দলের হয়ে ১১তম গোলটি করেন উন্নতি খাতুন (১১-০)। পরের মিনিটে বক্সের ভেতর জটলায় বল পেয়ে ডান-পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন রিপা (১২-০)।

শেষ পর্যন্ত এক ডজন গোল হজমের লজ্জা নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে অতিথি শ্রীলংকা। চার ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসাবে ফাইনালে ওঠে ভারত। এরপর বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত করে ফাইনাল। এবারের আসর রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হওয়াতে শীর্ষ দুই দল খেলছে ফাইনালে।

চলতি আসরে ৫ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন রিপা।

এর আগে প্রথম দল হিসাবে সাফের ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত। কাল তারা ১-০ গোলে হারায় নেপালকে। ভারতের একমাত্র গোলটি করেন প্রিয়াংকা দেবী। এই ম্যাচের আগে টুর্নামেন্টে কোনো গোল হজম না করা একমাত্র দল ছিল নেপাল। স্বাভাবিকভাবেই তারা ছিল অন্যতম ফেভারিট। কিন্তু সেই দলটিকেই হারিয়ে দিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়ে নিল এতদিন ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা ভারত।

খেলাধুলা

ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত গোলটি আগলে রেখেই দারুণ জয় তুলে নিল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার ১-০ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ।

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এবারের আসরে এ নিয়ে টানা দুই জয় পেল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট তাদের। তিন ম্যাচে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া ভারতের পয়েন্ট ৬।

নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে জিতেছিল ৬-০ গোলে।

আগের ম্যাচের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে ভারতের বিপক্ষে ছক কষেন ছোটন। আনুচিং মোগিনী, সাহেদা আক্তার রিপা ও আফিদা খন্দকারের বদলে নিলুফা ইয়াসমিন নীলা, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মার্জিয়াকে নামান কোচ।

শুরু থেকে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ষষ্ঠ মিনিটে বক্সে তহুরা খাতুনকে ফেলে দেন ডিফেন্ডার ক্রিতিনা দেবি; পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার সিনিয়রের স্পট কিকে বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও নাগাল পাননি গোলরক্ষক।

৩৬তম মিনিটে আঁখি খাতুনের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি-কিক নিচু হয়ে ছুঠছিল জালের দিকে। শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষক আটকান।

প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের রক্ষণে হানা দিলেও সুবিধা করতে পারেনি ভারত। ৫৫তম মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। বক্সের বাইরে থেকে আমিশা বাক্সলারের জোরালো শট গোলরক্ষক রুপনা চাকমা কোনোমতে ফেরান।

৫৭তম মিনিটে ঋতুপর্না চাকমার কর্নারে আঁখি খাতুনের হেড ফেরান ভারত গোলরক্ষক। এরপর ভারতের সুমতি কুমারি দুটি সুযোগ নষ্ট করেন পোস্টের বাইরে মেরে।

আগামী রোববার নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এইদিনে আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ। আজ বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন।

বিজয়ের এই দিনটি বিদেশে থেকেও উদযাপন করছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

আজ বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল পার্কে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অনুশীলন করার কথা ছিল দলের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামা হয়নি। তবে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করেন ক্রিকেটাররা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনসহ টিম ম্যানেজম্যান্টের আরো কয়েকজন। মুশফিক-তাইজুল-লিটনরা জাতীয় পতাকা সামনে নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমেও বিজয় দিবস নিয়ে লিখেছেন ক্রিকেটাররা। মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘আমার মাতৃভূমি আজ ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন করছে। আমার আজকের অবস্থানের জন্য এ জাতির অবদান কম নয়। আমরা যেন শহীদ মুক্তিযাদ্ধা পরিবারগুলোকে ভুলে না যাই। শুভ কামনা অসাধারণ প্রথম অর্ধ শতকের জন্য, আমার বাংলাদেশ। ’

পেসার রুবেল হোসেন লিখেছেন, ‘বিজয়ের ৫০ বছর বিডি (বাংলাদেশ)। এ দেশ আমার গর্ব- এ বিজয় আমার প্রেরণা। বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির অকুতোভয় শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ’

জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা লজিস্টিক ম্যানেজার নাফিস ইকবালও ফেসবুকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দেশে থাকা সাকিব আল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আসুন, গর্বের সাথে মাথা উঁচু রেখে উদযাপন করি বিজয়। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা, বাংলাদেশ!’

খেলাধুলা

স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের করোনাক্রান্ত হওয়ার দুঃসংবাদ বুধবার পেয়েছিল পুরুষ ক্রিকেট দল। এ কারণে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল অধিনায়ক মুমিনুল হকসহ দলের নয় সদস্যকে।  একদিন পর বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন নিউজিল্যান্ড থেকে দিলেন সুখবর।

বৃহস্পতিবার সকালে সুজন জানিয়েছেন, নতুন করে আর কোনো করোনা পজিটিভ নেই বাংলাদেশ দলে। তাই কোয়ারেন্টিন থেকে বের হয়ে অন্য হোটেলে চলে যেতে পারবেন তারা।

ভিডিওবার্তায় বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর বলেন, বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে সবাইকে শুভেচ্ছা। আজকে আমাদের কিছু ভালো খবর আছে এখানে। আমরা মাশাআল্লাহ্ সবাই নেগেটিভ এসেছি আজকের রিপোর্টে। আমাদের সবাইকে অনুশীলনের সুযোগ দিয়েছে। আমি ও টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল এ বিষয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে কীভাবে কী করবো। তো ওরা আজকে আমাদের পজিটিভ নিউজ দিয়েছে। আজকে প্র্যাকটিসেও গিয়েছিলাম, তবে বৃষ্টির কারণে অনুশীলন করতে পারিনি। এখন আমাদের জিম সেশন হবে।

সুজন আরও বলেন, শুক্রবার আমরা এখান থেকে বের হয়ে আইসোলেশনে চলে যাবো অন্য হোটেলে। যারা ইয়োলো ব্যান্ড ছিল তারা ২০ তারিখ পর্যন্ত এখানে থাকবে। কাল থেকে তারা জিম ব্যবহার করতে পারবে। পরে ২১ তারিখ আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে। রঙ্গনা হেরাথকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। বাকি সবাই সুস্থ এবং নেগেটিভ আছি আলহামদুলিল্লাহ।

বুধবার জানা যায়, নিউজিল্যান্ডে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। হেরাথ শ্রীলঙ্কা থেকে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলতে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো নিউ জিল্যান্ডে গেল জাতীয় দল।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশ সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলতে নিউ জিল্যান্ড গিয়েছিল। সে সময় তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড।

খেলাধুলা

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান নানা সময়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, মেন্টর বা যে কোনো ভূমিকায় জাতীয় দলে সম্পৃক্ত হতে পারেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু বাস্তব উদ্যোগ কতটা নেওয়া হয়েছে? সেই কৌতূহল মেটালেন মাশরাফি। সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বললেন তার মাঠে ফেরা, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাম্প্রতিক ও সবসময়ের নানা বাস্তবতা এবং প্রাসঙ্গিক আরও অনেক কিছু নিয়ে।