খেলাধুলা

টোকিও অলিম্পিকের একই দিনে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলায় ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলেও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ দল। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে হারা আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় ম্যাচে মিশরকে হারিয়েছিল। তবুও শেষ আটে যেতে স্পেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে হারাতেই হতো। কিন্তু সেই লক্ষ্যটা পূরণ করতে না পেরে ১-১ গোলে ড্র করে বিদায় নিলো টুর্নামেন্ট থেকে।

আর্জেন্টিনার বিদায়ের দিনে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে মিশর অনূর্ধ্ব-২৩ দল। স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচে শুরু থেকেই চাপে ছিল আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচে মাত্র ৩৪ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখতে পেরেছে তারা। প্রথমার্ধে অবশ্য গোল করতে পারেনি কোনো দল। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে প্রথম গোল করেন স্পেনের মিকেল মেরিনো। ওই গোলেই মূলত আর্জেন্টিনার অলিম্পিকে পরের পর্বে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

পরে আর্জেন্টিনার পক্ষে ৮৭ মিনিটে থমাস বেলমুন্তে এক গোল শোধ দিলেও কাজ হয়নি আলবিসেলেস্তেদের। ১-১ সমতাতেই শেষ হয় ম্যাচ।

এদিকে, টোকিও অলিম্পিকের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আইভরি কোস্টের বিপক্ষে ড্র করলেও তৃতীয় ম্যাচে সৌদি আরবকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে সাম্বার দেশ ব্রাজিল। জার্মানি বিপক্ষে হ্যাটট্রিকে পর আজও ২টি গোল করেন রিচার্লিসন।

 

রিচার্লিসনের জোড়া গোলে সৌদিকে হারালো ব্রাজিল

সৌদি আরবের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেলেও বেশ কষ্টই করতে হয়েছে ব্রাজিলকে। ৭৩ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে ছিল ১-১ গোলে সমতায়। পরে রিচার্লিসনের জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানের স্বস্তির জয় পেয়েছে তারা।

 

খেলাধুলা

করোনা মহামারির কারণে হবে কি হবেনা এই নিয়ে বছরব্যাপি অনিশ্চয়তার পর গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে টোকিও অলিম্পিক গেমস। আর জাপানের টোকিও থেকে অলিম্পিক গেমসের সমস্ত ইভেন্ট সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরুর মধ্য দিয়ে প্রতিদিনকার খেলা সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যমটিতে। লাইভ ইভেন্ট সম্প্রচারের পাশাপাশি প্রতিদিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর ইভেন্টের হাইলাইটসও প্রচারিত হচ্ছে বিটিভিতে। আগামী ৮ আগস্ট সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পর টোকিও অলিম্পিক গেমসের ইতি ঘটবে।

বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত এই ক্রীড়াযজ্ঞটির দিকে চোখ থাকে সব ক্রীড়াপ্রেমীদেরই। ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই বিটিভি টোকিও অলিম্পিকের সবগুলো ইভেন্ট সরাসরি সম্প্রচার করছে। সেই সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেমন সম্প্রচারিত হয়েছে, ঠিক তেমনি সমাপনী অনুষ্ঠানও সরাসরি দেখাবে বিটিভি।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে এবার ছয়জন অ্যাথলিট বিভিন্ন ইভেন্টে অলিম্পিক গেমসে অংশ নিয়েছেন। ১০মিটার এয়ার রাইফেলের পুরুষ বিভাগে অংশ নিয়েছেন আব্দুল্লাহ হেল বাকি, নারী ও পুরুষদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে জুনায়না আহমেদ এবং আরিফুল ইসলাম, আর্চারিতে নারী একক ও পুরুষ এককে দিয়া সিদ্দিকী ও রোমান সানা এবং অ্যাথলেটিক্সের পুরুষ বিভাগের ৪০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিচ্ছেন মোহাম্মদ জহির রায়হান।

আর্চারি, রাগবি, হকি, ফুটবল, তাইকুন্ডে, ওয়াটার পলো, হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, সাইক্লিং, সুইমিং, সার্ফিং, জুডো, বক্সিং, রোয়িং, টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, ওয়েটলিফটিং, ফেঞ্চিং, শুটিং, টেবিল টেনিস, জিমন্যাস্টিকসহ অন্যান্য ইভেন্টগুলোও সম্প্রচার করবে বিটিভি।

খেলাধুলা

চলমান ‘টোকিও অলিম্পিক-২০২০’ এর আজ (২৬ জুলাই) তৃতীয় দিনে স্বর্ণপদক জয়ের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে স্বাগতিক জাপান। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত সোনা জিতেছে ২৩টি দেশ। তবে সোমবার কোনো সোনা জেতেনি চীন। তারা এ দিনটি নিশ্চয়ই ভুলে যেতে চাইবে।

গতকাল রবিবার পর্যন্ত অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের তালিকায় ১৬টি দেশের নাম ছিল। আজ আরও সাতটি দেশ যুক্ত হওয়ায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩টিতে।

এদিন, নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সোনা জিতেছে ফিলিপাইন। ভারোত্তোলকে নারীদের ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে ২২৪ কেজি তুলে দেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়ে ইতিহাস গড়লেন হিদিলিন দিয়াজ।

অন্যদিকে, রবিবার পর্যন্ত ৪০টি দেশ পদক পেয়েছিল। আজ নতুন করে আরও ১১টি দেশ এই তালিকায় যোগ হয়েছে।

শীর্ষে উঠে আসা জাপান এখন পর্যন্ত ৮টি সোনা ২টি রুপা ও ৩টি ব্রোঞ্জ জিতেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র জিতেছে ৭টি সোনা ৩টি রুপা ও ৪টি ব্রোঞ্জ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা চীন জিতেছে ৬টি সোনা ৫টি রুপা ও ৭টি ব্রোঞ্জ।

খেলাধুলা

দেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটে প্রতিপক্ষকে হারানোর রেকর্ড থাকলেও বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো পূর্ণাঙ্গ সিরিজে জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে তিন ফরম্যাটে হারিয়ে সেই রেকর্ডের স্বাদ পেলো টাইগাররা।

গত ৭ বছরে ৭ বার বাংলাদেশ সফরে এসেছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ডের নানা কীর্তি থাকলেও বিদেশের মাটিতে তিন ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো জয়ের রেকর্ড করলো বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে গত ২৮ জুন সফরে যায় টাইগাররা। প্রায় একমাসের লম্বা সফরের সময়টা সুখ স্মৃতি নিয়েই দেশে ফিরবে টাইগাররা।

সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার ওয়ানডে-টি-২০ সিরিজ জিতলেও, টাইগাররা হেরে গিয়েছিল টেস্টে। ২০০৯ সালে খর্ব শক্তির উইন্ডিজ দলকে টেস্ট-ওয়ানডেতে হারালেও টি-২০ সিরিজে হারাতে পারেনি সাকিবের দল।

এবার সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ পেলো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগেই টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করা টাইগাররা গেল ম্যাচেই পারতো এ বৃত্ত পূরণ করতে। কিন্তু দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা অপেক্ষা বাড়িয়েছে। তাই শেষ টি-২০ জিতে,সিরিজ জয়ের সঙ্গে অর্জনের খাতায় যোগ হলো আরো একটি নতুন অধ্যায়।

ডু অর ডাই ম্যাচে হারলেই সিরিজ হাতছাড়া হতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ান অধিনায়ক সেকান্দার রাজা। ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা কতোখানি যুক্তিযুক্ত হয়েছিলো স্বাগতিকদের ব্যাটিং দেখেই যেকারো অনুমেয়। সফরকারি বোলারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৩ রান।

এমন পাহাড়সম টার্গেটে প্রতিপক্ষ যেকোনো দলেরই ভয় ধরাতে পারে। তবে লক্ষ্য অটুট রেখে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। শুরুতে নাঈম শেখ দলকে হতাশায় ফেলে বিদায় নিলেও একপ্রান্ত বুক চিতিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সৌম্য সরকার। সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সমানতালে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। তবে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েও দলীয় ৭০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৫ রান করেই মাঠ ছাড়েন সাকিব।

তবে হাল না ছাড়া সৌম্য দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬৮ রানে জঙ্গির বলে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। তবে খুলনার এই ক্রিকেটার আউট হলেও দলকে ভালো একটা ভিত গড়ে যান। তার বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ও শামীম পাটুয়ারির দ্রুত গতির রানে ৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় সফরকারি বাংলাদেশ।

খেলাধুলা

শততম ওয়ানডে আর শততম টেস্ট, দুটিতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি আর বাদ থাকবে কেন! সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে গড়া হলো বড় জয়ের পথ। শততম টি-টোয়েন্টিও জিতে পূরণ হলো বাংলাদেশের অন্যরকম এক হ্যাটট্রিক।

খেলাধুলা

প্রথমার্ধেই দারুণ এক হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন রিশার্লিসন। ব্রাজিল ম্যাচ নিল মুঠোয়। দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানি ঘুরে দাঁড়ালেও পেরে ওঠেনি। অলিম্পিকের ফুটবল ইভেন্টের সোনার মুকুট ধরে রাখার মিশনে দারুণ শুরু পেয়েছে ব্রাজিল।

খেলাধুলা

সিরিজের ৩য় ও শেষ ম্যাচে কাল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২ ম্যাচ জিতে এরইমধ্যে সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগাররা। শেষ ম্যাচে জিতে স্বাগতিকদেরকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাইবে রাসেল ডোমিঙ্গো বাহিনী। অন্যদিকে নিজেদের মাটিতে অন্তত একটি ম্যাচ জিতে সম্মান বাঁচাতে চাইবে আফ্রিকানরা। হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়।

আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচ হওয়ায় প্রতিটি ম্যাচেই থাকছে ১০টি পয়েন্ট। পরবর্তী বিশ্বকাপের আগে যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে হিসেবেই প্রতিটি ম্যাচকে টার্গেট করে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। খোয়াতে চায় না একটি পয়েন্টও।

১ম ম্যাচে দলের বিপদের মুহূর্তে হাল ধরেছেন ওপেনার লিটন দাস। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসানও। ২য় ম্যাচটা সম্পূর্ণ তার একার কৃতিত্বে জিতেছে বাংলাদেশ। একপর্যায়ে যখন জয় অসম্ভব মনে হচ্ছিলো তখনই একপ্রান্ত আগলে ঠান্ডা মাথায় দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান সাকিব।

যদিও সাকিব-লিটন ছাড়া বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত সিরিজে নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দিতে পারেননি। হাঁটুর ইনজুরি নিয়ে খেলা অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২ ম্যাচেই ব্যর্থ। মুশফিকবিহীন মিডল অর্ডারের হাল ধরতে পারেননি মিঠুন ও মোসাদ্দেক। মাহমুদউল্লাহ কিংবা আফিফ আশা জাগালেও, বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ হলেও মেহেদি মিরাজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ। শেষ ম্যাচে সাকিবকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাটিংয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ হওয়ায় ম্যাচ বের করে নিতে পারছে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ঠিকই কপালে ভাঁজ ফেলছে টিম ম্যানেজমেন্টের।

জিম্বাবুয়ে দলে সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। একেবারে তরুণ একটি দল নিয়েও তারা বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে মাঠে। বিশেষ করে জিম্বাবুইয়ানদের ফিল্ডিং নজরকাড়া। ব্যাটিংয়েও ২য় ম্যাচে তারা বেশ সাবলীল খেলেছে। মিডল অর্ডারে সব ব্যাটসম্যান স্কোরবোর্ডে অবদান রেখেছেন। শেষ ম্যাচে তাদের লক্ষ্য থাকবে অন্তত একটি জয় নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো।

টানা ১৮ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচেও একই লক্ষ্য নিয়ে নামবেন সাকিব-তামিম-রিয়াদরা।

খেলাধুলা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৮ জুলাই) রাতে এ অভিনন্দন জানান তারা।

হারারেতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

খেলাধুলা

নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় ৩ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ দল। এই জয়ে ১০৯ বলে অপরাজিত ৯৬ রান করেন সাকিব।

৯.৩ ওভারে দলীয় ৩৯ রানে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন। তামিম আউট হওয়ার পর ১১ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন-মিঠুন।

পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ২৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন সৈকত।

এরপর পঞ্চম উইকেটে সাকিবের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২৬)।  মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তিনি।

সপ্তম উইকেটে আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। ৩৮.৩ ওভারে দলীয় ১৭৩ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন আফিফ (১৫)।

তামিম, লিটন, মিঠুন, মোসাদ্দেক, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, আফিফ আউট হলে সাকিবের সঙ্গে দলের হাল ধরেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। অষ্টম উইকেটে তারা ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

দলের জয়ে ১০৯ বলে ৮টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৯৬ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৩৪ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন সাইফউদ্দিন।

রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ওয়েসলি মাধেভেরে।

এছাড়া ৪৬ রান করেন অধিনায়ক ব্রান্ডন টেইলর। ৩০ রান করেন সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশ দলের হয়ে তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম শিকার করেন ১০ ওভারে ৪৬ রানে ৪ উইকেট। ৪২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (মাধেভেরে ৫৬, টেইলর ৪৬, মাইয়ার্স ৩৪, সিকান্দার রাজা ৩০; শরিফুল ৪/৩৪, সাকিব ২/৪২)।

বাংলাদেশ: ৪৯.১ ওভারে ২৪২/৭ (সাকিব ৯৬*, সাইফউদ্দিন ২৮*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, লিটন ২১, তামিম ২০)।

ফল: বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান

খেলাধুলা

দল জিতলে আড়াল হয়ে যায় আনেক দুর্বলতাই। দেড়শ রানের মতো বড় ব্যবধানের জয় হলে তো কথাই নেই। তবে তামিম ইকবাল চাপা পড়তে দিচ্ছেন না ঘাটতির জায়গাটুকু। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ রেকর্ড গড়া জয় পেলেও টপ অর্ডারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কাঠগড়ায় তুলছেন তিনি নিজেকেও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিমের চাওয়া, তার ও সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞদের ব্যাটে বড় ইনিংস।

প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ১৫৫ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দেশের বাইরে যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। দ্বিতীয় ম্যাচ রোববার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায়।

এই ম্যাচ জিতলে এক যুগ পর জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে সেখানে সিরিজ জয়ের পর ২০১১ ও ২০১৩ সালে ফিরতে হয়েছিল হেরে।

প্রথম ম্যাচে ২৭৬ রানের পুঁজি গড়লেও এক পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৪। তামিম নিজে আউট হন শূন্য রানে, উইকেটে অস্থির উপস্থিতি শেষে সাকিব বিদায় নেন ১৯ রানে। পরে ব্যর্থ হন মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেনরাও। বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করে লিটন দাসের সেঞ্চুরি।

শুরুর বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চান না তামিম। বিসিবির ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, সিরিজ জয়ের ম্যাচে তার আর সাকিবের দায়িত্ব নিতে হবে বেশি।

“উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। তবে কম রানে যদি তিনটা উইকেট পড়ে যায়, সেটা আদর্শ কিছু নয়। আমরা চেষ্টা করব, আমাদের টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি বড় ইনিংস খেলতে পারি, তাহলে দল হয়তো এমন পরিস্থিতিতে পড়বে না।”

“চেষ্টা করব পরের ম্যাচে এমন সুযোগ এলে তা কাজে লাগাতে। আমার কাছে মনে হয় বোলিং নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। খুবই খুশি আমরা যেভাবে বোলিং করেছি।”

প্রথম ম্যাচে জয়ের পর শনিবার বিশ্রামে ছিল দল। তামিম জানালেন, প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরির পথে কুঁচকিতে টান লাগলেও এখন ফিট লিটন দাস। তবে খুব আশার কথা শোনাতে পারেননি তিনি মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে। প্রথম ম্যাচে খেলতে না পারা বাঁহাতি পেসারের অবস্থা এখনও ‘ফিফটি-ফিফটি।’