খেলাধুলা

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির প্রধান মাসুদুজ্জামান।

অবশেষে ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ নিয়ন্ত্রক কমিটি সিসিডিএমের (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ) পক্ষ থেকে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি আরোপ করা হলো বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের ওপর।

আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে নিজের বোলিংয়ের সময় আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে স্টাম্পে লাথি মারেন সাকিব। পরের ওভারেই বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করলে সাকিব আবারও স্টাম্প উপড়ে ফেলেন।

ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে অশোভন ভঙ্গিও করতে দেখা যায় সাকিবকে। এমন সময় আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদও ড্রেসিংরুম ছেড়ে বেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন সাকিবের দিকে। তেড়ে যেতে দেখা যায় সাকিবকেও। পরে দুজনকে ছাড়িয়ে দেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। পরে আবাহনীর ড্রেসিংরুম গিয়ে সুজনের কাছে ক্ষমা চান সাকিব।

মাঠের অসদাচরণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, নিজের মেজাজ হারানোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেই সঙ্গে ম্যাচের আবহ নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। বিশেষ করে যারা বাড়িতে বসে খেলা দেখছেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে দুর্ভাগ্যবশত এ রকম হয়ে যায়। এই মানবিক ভুলের কারণে আমি দল, ম্যানেজমেন্ট ও টুর্নামেন্টের কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করছি ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না। ধন্যবাদ, সবার জন্য ভালোবাসা।’

কদিন আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জৈব সুরক্ষাবলয় ভেঙে ক্ষমা চেয়েছিলেন সাকিব। এর আগেও ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের একাধিকবার শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা আছে। সেগুলোর জন্য তিনি বিভিন্ন সময় শাস্তিও পেয়েছেন।

শুক্রবার মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আউট না দেয়ার প্রতিবাদে লাথি দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ক্ষিপ্ত হয়ে এসে স্ট্যাম্প তুলে ছুড়ে মারেন তিনি। এমন ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের কারণে সাকিব আল হাসানকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।

খেলাধুলা
খেলাধুলা

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে টাইগারদের বিপক্ষে ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। যদিও এই সিরিজের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে তার এক মাস আগেই সফরের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া।

এই দলটা শুধু বাংলাদেশ সফরের জন্য নয়, আগামী জুলাইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্যও একই দল দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজে রয়েছে ৩টি ওয়ানডে ও ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

এই দুই সিরিজের জন্য অ্যারন ফিঞ্চকে অধিনায়ক করে ২৯ সদস্যের দল করা হয়েছে। দলে ফেরানো হয়েছে বেন ম্যাকডেরমট, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, ক্যামেরুন গ্রিন, অ্যাস্টন টার্নার ও নাথান এলিসকে।

২৯ সদস্যে দলে যারা আছেন:

অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, ওয়েস অ্যাগার, জেসন বেহেনড্রফ, অ্যালেক্স ক্যারি, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, প্যাট কামিন্স, নাথান এলিস, ক্যামেরুন গ্রিন, জশ হ্যাজেলউড, মইজিজ হ্যানরিক্স, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বেন ম্যাকডেরমট, রিলে ম্যারেদিথ, জশ পিলিফ, জে রিচার্ডসন, কেইন রিচার্ডসন, তানভির সাঙ্গা, ডি আর্চি শর্ত, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কুস স্টয়নিস, মিচেল সোয়েপসন, অ্যাস্টন টার্নার, আন্ড্রু টাই, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যাডাম জাম্পা।

খেলাধুলা

শুরু থেকে আক্রমণের পসরা মেলল ভারত। জমাট রক্ষণে প্রথমার্ধে ভালোই পাল্টা জবাব দিল বাংলাদেশ। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর দৃঢ়তায় আর রিয়াদুল হাসান রাফির গোললাইন সেভে স্বস্তি নিয়ে গেল বিরতিতে। কিন্তু শেষ দিকে রক্ষণ দেয়ালে ধরল চিড়। হারের বিষাদও সঙ্গী হলো জেমি ডের দলের।

কাতারের দোহায় জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে সোমবার ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। দুটি গোলই করেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রি।

বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপে সাত ম্যাচে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম হার; দুই পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থাকল আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১-১ ড্র করা জেমির দল। অন্যদিকে চলতি বাছাইয়ে ভারত পেয়েছে প্রথম জয়ের স্বাদ।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়াল। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে সবশেষ তাদের বিপক্ষে জিতেছিল দল। ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রথম লেগে কলকাতার সল্টলেকে ভারতের বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। ওই ড্রয়ে বাছাইয়ে পয়েন্টের খাতা খুলেছিলেন জামাল-ইব্রাহিমরা।

আফগানিস্তান ম্যাচে সোহেল রানা হাতে চোট পাওয়ায় ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন আনেন জেমি ডে। সোহেলের জায়গায় সেরা একাদশে ঠাঁই দেন মানিক হোসেন মোল্লাকে।

ছেত্রি ও মানবির সিংয়ের সঙ্গে বিপিন সিং, উদান্তা সিং ও সুরেশ সিংও শুরু থেকে বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু রহমত মিয়া-তপু বর্মন-কাজী তারিক রায়হান-রাফিতে সাজানো রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় জিকোর তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারছিল না ভারত।

অষ্টম মিনিটে রহমত মিয়ার থ্রোয়ে সতীর্থের হেডের পর বক্সে বল পেয়েও পা ছোঁয়াতে পারেননি তারিক। ফিনল্যান্ড প্রবাসী এই ডিফেন্ডার সেভাবে প্রস্তুত ছিলেন না। ফলে সুযোগ নষ্ট হয় প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলা বাংলাদেশের।

পঞ্চদশ মিনিটে রক্ষণের দুর্বলতায় বিপদে পড়তে বসেছিল বাংলাদেশ। ব্রেন্ডন ফের্নান্দেসের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন মানবির কিন্তু জিকো ছুটে এসে পথ আগলে দাঁড়ালে ভারতের এই ফরোয়ার্ড ঠিকঠাক পোস্টে শট রাখতে পারেননি। ক্রস মতো বাড়িয়েছিলেন, বিপদমুক্ত করেন আফগানিস্তান ম্যাচে গোল করা ডিফেন্ডার তপু।

দুই মিনিট পর সতীর্থের নিখুঁত পাস ধরে মানবিরের শট ফেরান জিকো। ৩৪তম মিনিটে মাশুক মিয়া জনিকে তুলে মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে নামান জেমি।

একটু পর রাফির দারুণ সেভে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। কর্নার থেকে চিংলেনসানা সিংয়ের হেড গোললাইন থেকে ফেরান আফগানিস্তান ম্যাচে তপুর গোলের উৎস রাফি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে তারিকের হেড অনায়াসে গ্লাভসে নেন গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রহমত ভুল পাসে বল তুলে দেন ছেত্রির পায়ে। ভারত অধিনায়ক বল বাড়িয়েছিলেন মানবিরের উদ্দেশে। কিন্তু তিনিও বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি। ৭০ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ রাখা ভারতের বিপক্ষে সমতার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দুটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ভারত। উদান্তা ও বিপিনকে তুলে আশিক কুরুনিয়ান ও মোহাম্মদ ইয়াসিরকে নামান দলটির ক্রোয়াট কোচ ইগর ইস্তিমাচ।

দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রেন্ডন ও মার্টিন্স গ্ল্যানের সঙ্গে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না জামাল ভূইয়া-বিপলু আহমেদ জুটি। ফলে সহজে আক্রমণের সুযোগ পাচ্ছিলেন ছেত্রি-কুরুনিয়ানরা।

৬৩তম মিনিটে ফ্রি কিকে ছেত্রি বাজে হেডে সুযোগ নষ্ট করেন। ভারতের হয়ে ৭২ গোল করা এই ফরোয়ার্ড বক্সে অনেকটা অরক্ষিত ছিলেন! তিনি মিনিট পর বিপলুকে তুলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে নামান জেমি। এরপর ডি-বক্সের একইভাবে অরক্ষিত থাকা ভারতের শুভাশীষের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

৭৩তম মিনিটে মতিনের জায়গায় সুমন রেজাকে নামান জেমি। ছয় মিনিট পর রক্ষণের ভুলে গোল হজম করে বাংলাদেশ। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে এক ছুটে রক্ষণলাইন পেরিয়ে গিয়ে কোনাকুনি হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ছেত্রি। ভারত অধিনায়ক যে পেছন থেকে ডিফেন্সলাইন পেরিয়ে গেছেন, তার টেরই পাননি সামনে থাকা তপু।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ছেত্রির দ্বিতীয় গোলে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ হয়ে যায়। বাইলাইন থেকে সতীর্থের কাট ব্যাকে ভারত অধিনায়কের শট ক্রসবার ঘেঁষে জাল খুঁজে নেয়।

খেলাধুলা

কাতারের দোহায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ১-১ গোলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়ার পর সেই রাতেই একই গ্রুপে আরো একটি ম্যাচ হয়। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার ১-০ গোলে হারায় ভারতকে। মহাচিন্তায় রয়েছে ভারত। হারের ম্যাচে ভারতীয় ডিফেন্ডার লালকার্ড পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ক্ষতিটা বেশিই হয়ে গেছে সুনীল ছেত্রীদের।

সোমবার ( ৭ জুন) বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। মহাটেনশনে আছে ভারত। এমন টেনশন আগে ছিল না। যে দলটি কাতার গিয়েছিল ফুরফুরে মেজাজে সেই দলটি এখন দুশ্চিন্তার ছাদের নিচে। বসে শুয়ে কোনো ভাবেই আরাম পাচ্ছেন না সুনীল ছেত্রীরা। অথচ কাতার ম্যাচের আগেও প্রস্তুতি নিয়ে তাদের সন্তুষ্ট হওয়ার মতো অনেক কারণ ছিল। এক ম্যাচের ব্যবধানে ভারতীয় ফুটবল শিবিরের পুরো ছবিটাই বদলে গেছে।

এখন বাংলাদেশকে নিয়ে তারা সাবধানে পা ফেলতে চাইছে। কাতারের বিপক্ষে নিজেদের হার, অন্যদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ড্র করা বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা দুই বাংলার ফুটবলের পরিবেশটাই বদলে দিয়েছে।

কোনো ভাবেই বাংলাদেশকে ছাড় দেয়া যাবে না। এমন শপথ সুনীলদের মনে মনে। বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতে চাইছে না ভারত। কোনো ভাবেই দুর্বল মনে না করার নির্দেশনা কোচ ইগর ষ্টিমাচের। ভারতীয় শিবির বলছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ড্র করে বাংলাদেশ চমকে দিয়েছে। এটা যেন ভারতীয় দলের বিপক্ষে না হয়। সেই টোটকা দিচ্ছেন কোচ।

বিশ্বকাপ বাছাই এবং এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে এই দুই দলের কালকের ম্যাচটি বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণ দেখিয়ে সব কাতারের হচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারত কলকাতার সল্ট লেকের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচ বাংলাদেশ ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও শেষ দিকে গোল শোধ করে (১-১) ম্যাচ বাঁচায় ভারত। ভারতের সেই গোলটি করেছিলেন আদিল খান। তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল ছিল সেটি। ভারতকে নিশ্চিত হার থেকে বাঁচিয়েছিলেন সেদিন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখে কপালে চোখ উঠে গেছে ভারতীয় ডিফেন্ডার আদিলের। অকপটে বাংলাদেশের ভালো খেলার কথা স্বীকার করেছেন। আদিল বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নতি করেছে। অন্যান্য দেশের মতোই সমান উন্নতি করেছে। খুব ভালো খেলা হবে। ফুটবল যুদ্ধ হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।’ বাংলাদেশের আক্রমণ ঠেকাতে হবে ভারতকে। আদিল মনে করছেন কাতারের বিপক্ষে ভারত যে ফুটবলটা খেলেছে তাতে বাংলাদেশের আক্রমনের বিপক্ষে দারুণ একটা খেলা হবে এবং আমি মনে করি খেলাটা জমবে।’

আদিল বললেন, ‘কাতারের বিপক্ষে হারলেও ম্যাচের পর আমরা আত্মবিশ্বাসী। প্রথম খেলায় গোল শূন্য ড্র হয়েছিল এবার যদিও ১-০ গোলে হেরেছি। যদিও আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল।’

খেলাধুলা

মেহেদি হাসান মিরাজ ও জহুরুল ইসলাম অমির ফিফটিতে ভর করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে খেলাঘর।

রূপগঞ্জের দেওয়া ১৩৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় খেলাঘর।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে খেলাঘরের মিরাজ ৪৫ বলে ৫৪ রান করে আউট হলেও ৪৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন জহুরুল ইসলাম।

ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য খেলাঘরের দরকার ছিল ৮ রান। সোহাগ গাজীর করা সেই ওভারের প্রথম বলে একটি রান নেন সালমান হোসেন। এরপর টানা দুটি চার মেরে নিজের হাফ-সেঞ্চুরির পাশাপাশি দলকে জেতান জহুরুল।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে রূপগঞ্জ। আল-আমিন ৪২ বলে ৫১ রান করেন। এছাড়া আজমির আহমেদ করেন ২১ বলে ২৮ রান।

খেলাধুলা

সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় তাসকিন আহমেদকে কেন্দ্রীয় চুক্তি উপহার দিতে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই সঙ্গে সব ফরম্যাটের চুক্তিতে ফিরছেন সাকিব আল হাসান।

আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বিসিবি পরিচালকদের বোর্ড মিটিংয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুমোদন করা হবে। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’।

গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরেন তাসকিন। ওই সিরিজে তার পারফরম্যান্স নির্বাচকদের নজর কাড়ে। এর আগে ইনজুরি ও ফর্মের কারণে প্রায় ৩ বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা ২৬ বছর বয়সী পেসার ২০২০ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ছিলেন না।

গত বছর সবমিলিয়ে ১৭ জন ক্রিকেটার বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় ছিলেন। এর মধ্যে ৭ জন ছিলে সব ফরম্যাটের জন্যই চুক্তিবদ্ধ। এবার ধারণা করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এবার থাকবে ১৮ জনের নাম।

যদিও তাসকিন তিন ফরম্যাটেই চুক্তিবদ্ধ হতে যাচ্ছেন, তারপরও তাকে টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত না-ও দেখা যেতে পারে। কারণ তার ওপর কাজের চাপ কমাতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট, যাতে তার কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনা যায়।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই সিরিজের বাংলাদেশ দলে টিম লিডার হিসেবে ছিলেন বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ। তাসকিনের ব্যাপারে ক্রিকবাজকে তিনি বলেন, ‘তাসকিনের ওপর বাড়তি চাপ দিলে উল্টো ফল হতে পারে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সে অনেক ওভার বল করেছে। সে ওয়ানডের পরিকল্পনায় অবশ্যই আছে। কিন্তু তাকে তিন ফরম্যাটে খেলাতে চাইলে লম্বা সময়ের জন্য সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তার কাছ থেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সার্ভিস পেতে হলে আমাদের ব্যালেন্স করতে হবে। ’

শ্রীলঙ্কায় দ্বিতীয় টেস্ট শেষে তাসকিনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সেখানেই তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে ক্রিকবাজের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সিরিজ শেষে নান্নু স্যার (প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু) আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তার মানে এটা নয় যে, আমি টি-টোয়েন্টি খেলবো না। তারা শুধু এটাই চান যে, আমি যেন টেস্ট এবং ওয়ানডেতে বেশি মনোযোগী হই। ’

বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়ে গেছে। আর এই তালিকায় থাকছেন সাকিব। তাকে সব ফরম্যাটের জন্যই বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বিসিবি।

খেলাধুলা

বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য পূর্ণকালীন ব্যাটিং ও স্পিন কোচ খুঁজছে বিসিবি। জিম্বাবুয়ে সফরের আগেই দুই বিভাগে কোচ নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সাবেক হেড কোচ জেমি সিডন্সকে নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও তার বিষয়ে বোর্ডে দুই রকম মত রয়েছে। তবে স্পিন কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার রঙ্গনা হেরাথই এগিয়ে। তার মতো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও সফল স্পিনারকে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে পেতে চায় বিসিবি।

কলম্বো থেকে হেরাথ ইত্তেফাককে জানিয়েছেন, বিসিবির সঙ্গে তার আলোচনা চলছে। লঙ্কান কিংবদন্তি স্পিনার বলেছেন, ‘এখন আমার সাথে বিসিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিছুই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলেই আপনাকে জানাবো।’

সর্বশেষ কয়েক সিরিজে ইংল্যান্ডের জন লুইস ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তবে তাকে আর রাখা হচ্ছে না। কারণ ক্রিকেটাররাও তার পক্ষে মত দেননি। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন হয়নি। দেশীয় সোহেল ইসলাম খন্ডকালীন কাজ করেছেন। বিসিবি চাইছে পূর্ণাঙ্গভাবে হেরাথকে নিয়োগ দিতে। অবসর নেয়ার পর হেরাথও দীর্ঘ মেয়াদে চাকরি করছেন না। ইত্তেফাকের সঙ্গে আলাপে জানিয়েছেন, সবকিছু মিলে গেলে বাংলাদেশে কাজ করবেন। বিসিবিতে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে তার।

হেরাথ বলেন, উপমহাদেশেই চাকরি বলে পরিবার থেকে খুব বেশি দূরে থাকতে হবে না। কন্ডিশনও একই রকম। বাংলাদেশেও অনেক ম্যাচ খেলেছেন। সেক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা, স্কিল কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের স্পিনারদেরও সাহায্য করতে পারবেন।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, কোচ নিয়োগের বিষয়টি আলোচনা চলছে, কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। কোনো কিছু এখনো নিশ্চিত হয় নি। আমরা চেষ্টা করছি কথা বলতে এবং হয়তোবা কয়েকদিনে মধ্যে তারা পৌছাবে।’

জিম্বাবুয়ে সফরের আগেই কোচ নিয়োগের কাজ শেষ করতে চায় বিসিবি। আকরাম খান বলেছেন, ‘আমরা ইনশাআল্লাহ জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে নেওয়ার চেষ্টা করবো যেহেতু জিম্বাবুযের পরপরই অস্ট্রেলিয়া আসবে এরপর ইংল্যান্ড আসবে নিউজিল্যান্ড আসবে তাই আমরা এখনই চেষ্টা করবো।’

তবে এখনই কারো নাম বলতে রাজি নন আকরাম। তিনি বলেন, ‘সমস্যা হয় কি আমরা আগে বলে দিলে যারা আগ্রহ দেখায় তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তাই আমাদের বলতে নিষেধ করা হয়েছে।’

খেলাধুলা

প্রথম দুই ম্যাচেই এসেছিল দারুণ জয়। তাতে স্বপ্ন বোনা শুরু হয়েছিল লঙ্কানদের প্রথমবারের মতো হোয়াইট ওয়াশ করার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না বাংলাদেশের। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে টাইগাররা হেরে গেছে ৯৭ রানে।

লংকানদের ওয়ানডে সিরিজে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পেয়েছিল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত লংকান ক্রিকেটারদের ধবল ধোলাই করা গেল না। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই খেলায় জিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।

শুক্রবার শেষ ম্যাচে তামিম, সাকিব, নাঈম, আফিফরা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারলে লংকাদের হোয়াইটওয়াশ করা যেত। কিন্তু ২৮৭ রানের টার্গেট তাড়ায় ২৮ রানে নাঈম শেখ, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারানো দলটি আর খেলায় ফিরতে পারেনি।

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক কুশল পেরেরার সেঞ্চুরি (১২০) ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ফিফটির (৫৫) সুবাদে ৬ উইকেটে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে শ্রীলংকা।

টার্গেট তাড়া করতে নেমেই ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। আগের ম্যাচে ১৯ রান করা নাঈম এদিন ফেরেন মাত্র ১ রানে।

এরপর তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৭ বলে ৪ রান করে ফেরেন এ অলরাউন্ডার। চলতি সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ সাকিব।

শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম খেলায় শূন্য রানে ফেরেন সাকিব। দ্বিতীয় ম্যাচে টেস্টের মেজাজে ব্যাটিং করেও ফর্মে ফিরতে পারেননি তিনি। ৩৪ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করেই ফেরেন সাজঘরে। শুক্রবার তৃতীয় ও সিরিজের শেষ ম্যাচে আউট হলেন মাত্র ৪ রান। তিন ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ মাত্র ১৯ রান।

আম্পায়ারের প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তে আউট হলেন তামিম ইকবাল। দুশমন্থ চামিরার ফুল লেংথ বল ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন তামিম। একটি শব্দও শোনা যায়। লঙ্কানদের আবেদনে আঙুল তুলতে খুব একটা সময় নেননি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। তবে তামিম রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই।

রিভিউয়ে আল্ট্রা-এজ-এ ধরা পড়ে শব্দ। তবে বল যখন ব্যাটের পাশে, ঠিক ওই সময়টাতেই ব্যাট লাগে মাটিতেও। তাই শব্দ আসলে কোনটির, নিশ্চিত হওয়া যায়নি বারবার রিপ্লে দেখেও। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন তৃতীয় আম্পায়ার।

২৯ বলে ১৭ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরার সময় তামিমের শরীরী ভাষায় পথে ক্ষোভ ফুটে ওঠে।

২৮ রানে নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর আশা ছিল মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় এড়িয়ে খেলায় ফিরে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচেও তাকে ঘিরেই প্রত্যাশা ছিল টাইগারপ্রেমিদের। দলীয় ৮৪ রানে মুশফিকের বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় বাংলাদেশের। ৫৪ বলে ২৮ রান করে ফেরেন মুশফিক।

মুশফিকের বিদায়ের পর অনবদ্য ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের ৩৭তম ম্যাচে তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়েই বিপদে পড়েন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলীয় ১২৫ রানে ৭২ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৫১ রান করে আউট হন সৈকত।

প্রথম দুই ম্যাচে ২৭ ও ১০ রান করে আউট হওয়া আফিফ হোসেন ফেরেন ১৬ রান করে। অতীতে ব্যাটিংয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া মেহেদী হাসান মিরাজ শ্রীলংকার বিপক্ষে এই সিরিজের প্রথম দুই খেলায় বল হাতে দাপট দেখাতে পারলেও ব্যাট হাতে তেমন কিছুই করতে পারেননি। শুক্রবার দলের প্রয়োজনেও কথা বলেনি তার ব্যাট। আগের ম্যাচের মতো আজও শূন্য রানে আউট হন এ অলরাউন্ডার।

উইকেটের এক প্রান্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে আসা-যাওয়া মধ্যে ছিলেন মোসাদ্দেক, আফিফ, মিরাজ ও তাসকিন আহমেদরা। দলীয় ১৮৯ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরে বিদায়ে শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। তার আগে ৬৩ বলে ৫৩ রান করেন এ অলরাউন্ডার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৮৬/৬ (কুশল পেরেরা ১২০, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৫৫*; তাসকিন ৪৬/৪, শরিফুল ৫৬/১)

বাংলাদেশ: ৪২.৩ ওভারে ১৮৯/১০ (মোসাদ্দেক হোসেন ৫১, মাহমুদউল্লাহ ৫৩; চামিরা ১৬/৫, হাসারাঙ্গা ৪৭/২, রমেশ মেন্ডিস ৪০/২)

No description available.

ফলাফল: ৯৭ রানে জয়ী শ্রীলঙ্কা

সিরিজ: ২-১ ব্যবধানে জয়ী বাংলাদেশ

ম্যাচ সেরা: দুষ্মন্ত চামিরা (শ্রীলঙ্কা)

সিরিজ সেরা: মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ)

খেলাধুলা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ডকে টপকে আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে টাইগাররা।

চলতি সিরিজ শুরুর আগে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ছিল ৪০ করে। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে ছিল ইংল্যান্ড। পরের দুই অবস্থান ছিল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার দখলে। বাংলাদেশ এখন সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

সুপার লিগে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুইটি থেকে ২০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ফলে টাইগারদের সংগ্রহ এখন ৫০ পয়েন্ট।

পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে নেমে যাওয়া ইংল্যান্ড ৯ ম্যাচ খেলে ৪টিতে জিতেছে। পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া সমান ৬টি করে ম্যাচ খেলে ৪টি করে জয় পেয়েছে। ৩ ম্যাচে খেলে ৩টিতেই জেতা নিউজিল্যান্ড আছে তালিকার পাঁচে। সমান ম্যাচে সমান জয় নিয়ে ছয়ে আফগানিস্তান।

সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকার সাতে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি ভারত আছে অষ্টম স্থানে। ভারতের পরেই জিম্বাবুয়ের অবস্থান। এরপর আছে যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। আর শ্রীলঙ্কা আছে তালিকার একদম নিচে। এখন পর্যন্ত সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচ খেলে কোনো জয় পায়নি লঙ্কানরা।