জাতীয়

আজ ১৭ই মার্চ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী। জাতীয় শিশু দিবসও আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তত্কালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। তার পিতার নাম শেখ লুত্ফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। পিতা-মাতার চার কন্যা এবং দুই পুত্রের সংসারে তিনি ছিলেন তৃতীয়। খোকা নামের সেই শিশুটি পরে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা ও মুক্তির দিশারি।

গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি মমত্ববোধের কারণে পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। রাজনৈতিক সংগ্রামবহুল জীবনের অধিকারী এই নেতা বিশ্ব ইতিহাসে ঠাঁই করে নেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আজ থেকে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনের নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশে শুরু হবে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। এই আয়োজনের থিম করা হয়েছে ‘মুজিব চিরন্তন’। অনুষ্ঠানমালায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হবে। এতে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা। এছাড়া ৫০টি জাতীয় পতাকা সংবলিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী র্যালি শুরু হবে ঢাকা থেকে, যা দেশের ৬৪টি জেলা প্রদক্ষিণ করে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবে। ঐ দিনই সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী কর্মসূচি সমাপ্ত হবে। এদিন মুজিববর্ষের কর্মসূচিও শেষ হবে। এর মাঝখানে বছরজুড়ে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে নানা অনুষ্ঠান। তবে শেষ মুহূর্তে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুটি ব্যতিক্রমী আয়োজন লেজার ও ড্রোন শো হচ্ছে না।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হচ্ছে। আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধ, প্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীসহ জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াইয়ের দুর্জয় প্রেরণা, ইস্পাতকঠিন প্রত্যয় আর সব ষড়যন্ত্রের কুহেলিকা ভেদ করে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও রায় কার্যকরের দৃপ্ত শপথ নিয়ে কৃতজ্ঞ বাঙালি আজ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ২০০৪ সালে বিবিসির একটি জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ হিসেবে সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত হন।

আজীবনসংগ্রামী বঙ্গবন্ধুর যখন জন্ম হয়, তখন ছিল ব্রিটিশ রাজত্বের শেষ অধ্যায়। গ্রামের স্কুলে তার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিশোর বয়সেই বঙ্গবন্ধু সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তত্কালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। এরপর থেকে শুরু হয় তার বিপ্লবী জীবন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর তিনি কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ) ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে সক্রিয়ভাবে তিনি ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে, অর্থাত্ দেশবিভাগের বছর এই কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করেন ছাত্রলীগ।

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কালের পরিক্রমায় কখনো ভাষার জন্য, কখনো স্বাধিকারের জন্য চলতে থাকে আন্দোলন। এসবের আড়ালে গড়ে ওঠে স্বাধীনতার আন্দোলন। ’৬৬-র ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান পেরিয়ে ’৭০ সালের নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। ১৯৪৮ সাল থেকে ’৫২-র মহান ভাষা আন্দোলন, ’৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-র ঐতিহাসিক ৬ দফা, স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে, কথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ হন।’৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায় বাঙালি জাতি। এতে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের ম্যান্ডেট লাভ করে। ’৭১-এর মার্চে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।

৭ই মার্চ তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেদিন গোটা বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ’৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইটের’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু তার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবন থেকে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কারাগারে আটক রেখে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তার প্রথম বিচার শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে। জন্ম হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।’৭২-এর ১০ জানুয়ারি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফিরেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু সেই সুযোগ বেশি দিন পাননি তিনি। ১৯৭৫ সালে জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি তথা একটি শোষণমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তিনি জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের তপ্ত বুলেটে সপরিবারে নিহত হন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ আয়োজিত কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।

এছাড়া সবাইকে ঘরে বসে গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত কর্মসূচি দেখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী ২১ মার্চ রবিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে সারা দেশে যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্্যাপনের জন্য সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

জেপির বিবৃতি ও কর্মসূচি : জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসায়। একই সঙ্গে আমরা স্মরণ করছি ১৫ আগস্ট নির্মম ঘাতকের আঘাতে শাহাদতপ্রাপ্ত জাতির পিতার পরিবারের অন্য সদস্যদের। মহান এই নেতা ও তার শহিদ পরিবারবর্গের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

দলের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : সকাল ৬টা ১০ মিনিটে জেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। বেলা ১১টায় র্যালিসহ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার মাজারে জেপির পক্ষ থেকে মাজার জিয়ারত, ফাতিহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। এছাড়া দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মরহুম নেতার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মসজিদসহ সব প্রার্থনালয়ে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

জাতীয়

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকালে নতুন ভবনের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আইসিইউতে থাকা যত রোগী ছিল সবাইকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাদের পুরাতন বার্ন ইউনিটের আইসিইউ, নতুন ভবনেরই সিসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের জিয়া রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি ইউনিট আগুন নির্বাপন করে ফেলে।

জাতীয়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন) । মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশে সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মওদুদ আহমদের মৃত্যু গভীর শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলের মহাসচিব।

এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত ১২টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের একটি প্লেনে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। ২১ জানুয়ারি পুনরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।

আইনজীবী থেকে প্রধানমন্ত্রী

 ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। একজন সফল রাজনীতিবিদ। যার রয়েছে ৮১ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। যিনি বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের শাসনামলে মওদুদ আহমদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ চতুর্থ।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাশ করে বৃটেনের লন্ডনস্থ লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশুনা করে দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলনে।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিলেন।

১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ( ১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় তিনি মারা যান।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৫৯৭ জনে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭১৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত দাঁড়াল ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৭ জন।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। যেখানে আরো বলা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৫২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৯ জন।

মঙ্গলবার করোনায় মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৭৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

জাতীয়

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভাইরাস গত এক বছরে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে আট হাজার। অন্যদিকে গত বছরে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের।

সেই হিসাবে গত বছরে করোনায় মৃত্যুর চেয়ে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে চার গুণ বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাই কোনো রোগকে অবহেলা করা যাবে না, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বুধবার (৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বছরব্যাপী যক্ষ্মা সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিশ্ব বিপর্যস্ত। গত নয় বছরে যেটুকু এগিয়ে ছিল, এক বছরেই ১০ বছর বিশ্বকে পিছিয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্যখাতকে অবেহলা করে কোনোমতে এগোনো সম্ভব নয়। এই খাতে আরও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।

( যক্ষ্মা সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান )

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাত ঠিক না থাকলে অর্থনীতি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে ১২ ট্রিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশে ১২ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, যক্ষ্মা এমন একটি রোগ, যা সারা বিশ্বে আছে। বাংলাদেশে এখনও অনেক রোগী শনাক্তের বাইরে আছে। এদের পরীক্ষার আওতায় এনে চিকিৎসা দিলে দেশকে যক্ষ্মামুক্ত করা যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, বিশ্বের ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০২০ সালে বাংলাদেশে নতুন রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৯২ হাজার ৯৪০ জন। ২০১০ সালে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগে আনুমানিক মৃত্যু ছিল প্রতি লাখে ৫৪ জন, যা ২০২০ সালে ২৪ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসায় ভালো হয়েছে ৯৬ শতাংশ রোগী। এমনকি চিকিৎসার মাধ্যমে গত ১০ বছরে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, যক্ষ্মা শরীরের একটি মাত্র অঙ্গের রোগ নয়। শরীরের যেকোনো জায়গায় যক্ষ্মা হয়তো হতে পারে। সে ব্যাপারে দেশের জনগণকে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের। যক্ষ্মার ওষুধ খেলে যক্ষ্মা ভালো হয়ে যায়। ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করতে বছরব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে।

‘যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার, মীরা দত্ত প্রমুখ।

জাতীয়

দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে সংসদ সদস্য পদ ছাড়তে হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী তার আর সংসদ সদস্য পদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) এ আদেশ দেয়। আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

তবে দুদক আইনের ২৬ ধারায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দেওয়া সাজা বাতিল করে দিয়েছে আদালত। দুদক আইনের ২৬ ধারায় তাকে ৩ বছর এবং ২৭ ধারায় তাকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল।

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে আজকে রায় ঘোষণা করা হয়।

দুর্নীতির এই মামলায় হাজী সেলিম এখন জামিনে আছেন।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। গত এক দিনে ৯১২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা ৫৮ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ হাজার ৪৮৯ জনে।

এর আগে সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল, সেদিন ১ হাজার ৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নয়শর নিচেই ছিল।

সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হারও আবার ৫ শতাংশের উপরে উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত একদিনে পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।

দৈনিক শনাক্তের হার সর্বশেষ ৫ এর বেশি ছিল গত ১৮ জানুয়ারি। এরপর কমতে কমতে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শনাক্তের হারও বাড়তে থাকে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৮ হাজার ৪৮৯ জনে।

আর গত এক দিনে আরও ৯১২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৭ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ২২৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ জন হয়েছে।

বাংলাদেশে গতবছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর এ বছর ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৭১ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ লাখ।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৭২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৯টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৮টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩২ লাখ ৭ হাজার ২৫৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৫টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের সবাই পুরুষ এবং সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

তাদের ৫ জন করে মোট ১০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি ও ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৪৮৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৪২০ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৬৯ জন নারী।

তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ১০৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৬২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৫১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫৬৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৮১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৫ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

জাতীয়

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ওসিসহ আহত হয়েছেন ৬ পুলিশ সদস্য।

মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটের সময় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলাউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে নিজের কর্মী বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান বাদল।

নিহত আলা উদ্দিন উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আরএমও ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল আজিম।

গুলিবিদ্ধ আহতরা হচ্ছেন – মো. রাজিব, মাঈন উদ্দিন, শাহ আলম, আলা উদ্দিন, জাকির হোসেন হৃদয়, দেলোয়ার হোসেন, সোহেল, শাহাদাত হোসেন, আরাফাত হোসেন, বেলাল হোসেন সেলিম।

অপর আহতরা হচ্ছেন – সাহাব উদ্দিন, জনি, সেলিম, ওয়াহিদ কামাল, রিপন, রফিক চৌধুরী, পিনন চৌধুরী , দিপু, সুমন, আরিয়ান শিপন, শরীফ উল্যাহ টিপু, মানিক, শরীফ, আল মাহাদি, রাজিব হোসেন রাজু, নবায়ণ হোসেন, আদনান শাহ, সালা উদ্দিনসহ শতাধিক।

আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন – ওসি মীর জাহিদুল হক রনি, এসআই জাকির হোসেন, নিজাম উদ্দিন, কনেস্টবল খোরশেদ আলম, আলা উদ্দিন ও আবুল কালাম।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আ.লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক (মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় কাদের মির্জার সমর্থকরা। এ সময় উভয়পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮টার দিকে মেয়র মির্জার সমর্থকরা বসুরহাট বাজারে একটি মিছিল বের করলে বাদলের সমর্থকদের সাথে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

সংঘর্ষকারীরা বসুরহাট পৌরসভা প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে সেখানে কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে শুরু হয় গোলাগুলি। এতে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়।

এসময় সংঘর্ষকারীরা মুহুর্মুহু ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানপাট ও অটোরিকশা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের লোহারপুল এলাকায় গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে কাদের মির্জা সমর্থিত আ’লীগ কর্মীরা।

ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, প্রথমবার হামলার পর পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ অনেকে আহত হয়। পরে রাতের দিকে পৌর ভবন এলাকায় আবারো সংঘর্ষে উভয় পক্ষ গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। পুলিশ র‌্যাব তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮জন।

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাক্কির।

জাতীয়

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাঁচ থেকে ছয় লাখ নারী অসম্মানিত, লাঞ্ছিত, ধর্ষিত, বিধবা বা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের লাঞ্ছনাকারী রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের ১৯৭৫ সালের পর এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়েছে, তাদের গাড়িতে পতাকা ওড়ানো হয়েছে। তারা ক্ষমতায় বসে দেশকে জঙ্গিবাদে পরিণত করেছে। নারীর অবমাননাকারীরা আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে এলে দেশে আবারও জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে।

সোমবার ( ৮ মার্চ ) জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, প্রেস ক্লাবের প্রবীণ নারী সদস্য মাহমুদা চৌধুরী এবং নারী নেত্রী কাজী সুফিয়া আখতার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রীতা ভৌমিক।

দীপু মনি বলেন, ধর্ষক বিচারের রায়ে শাস্তি পায়। আর যে নারী ধর্ষণের শিকার হয় তার জন্য প্রতিদিনই মৃত্যুদণ্ড। সারাটা জীবন তাকে অস্পৃশ্য ভাবা হয়। এটা পুরোপুরি মানসিকতার ব্যাপার। আমরা ভাষা দিয়ে কীভাবে একজন নারীকে দাবিয়ে রাখি। যখন কেউ ধর্ষণের শিকার হয় আমরা বলি সম্ভ্রমহানি হয়েছে। আমাকে কুকুর কামড় দিলে তো সম্ভ্রমহানি হয় না। একটা পুরুষ ধর্ষণ করলে একটা নারীর কীভাবে সম্ভ্রমহানি হয়? সম্ভ্রমহানি তো সেই পুরুষের হওয়ার কথা। আমরা কেন ধর্ষককে সম্ভ্রমহারা পুরুষ বলি না?’

সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বীরাঙ্গনাদের অনেকেই অবজ্ঞার চোখে দেখে। এজন্য সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। তিনি পাঠ্যসূচিতে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি নির্মাণের প্রতি নজর দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

জাতীয়

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত ও জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত ও জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। দেশে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিলে আপত্তি করবে না সরকার। তবে দণ্ডাদেশ মওকুফের আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই।

এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত ও জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সোমবার (৮ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের আনুমোদনের পর এ-সংক্রান্ত ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়। এদিন দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইন মন্ত্রণালয় জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগের শর্তে আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

আগামী ২৪ মার্চ বেগম জিয়ার দ্বিতীয় দফায় ৬ মাসের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। গত ২ মার্চ দুপুরে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত ও জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেন তার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার। আবেদনের পর স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে সেটি পাঠিয়ে দেন সচিবের দপ্তরে। আবেদনপত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়েছে তার পরিবার।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতের রায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। তারপর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে শুরু হয় তাঁর কারাজীবন। একই বছরের ৩০ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছরের আদেশ দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে এক বছরের বেশি সময় বন্দিজীবন কাটানোর পর চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে আসা হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকের প্রিজন সেলে।

গত বছর সারা বিশ্বে মহামারি করোনা ছড়িয়ে পড়লে শর্তসাপেক্ষে সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে জামিন পান খালেদা জিয়া। প্রায় ২৫ মাস (কারাগার ও বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেল) কারাভোগের পর তিনি ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্ত হন। বিএসএমএমইউ প্রিজন সেল থেকে মুক্তির পর গুলশানে নিজের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।

মূলত খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদন আমলে নিয়ে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। প্রথমে ছয় মাসের জামিন দিলেও পরে তা আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়। সেই থেকে ১১ মাসের বেশি সময় ধরে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া।