জাতীয়

গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ২৩৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ জুলাই দেশে মৃত্যু ১৯ হাজারের ঘর অতিক্রম করে। ওইদিন পর্যন্ত মারা যায় ১৯ হাজার ৪৬ জন। মাত্র ৪ দিনে এই সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ২৩৭ জন। গতকাল এ যাবতকালের একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক ২৫৮ জন মারা গিয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ২১ জন কম মারা গেছেন। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪৯ জন ও নারী ৮৮ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৬ জনে ।

এদিকে দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্য ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। আজ নতুন আক্রান্ত হয়েছে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৬ হাজার ২৩০ জন।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গতকাল মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৬২৭ জন, ৬৮ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং নারী ৬ হাজার ৩৮৯ জন, ৩১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৭৮ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৪৫ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৫ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ১ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৩৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬৭ জন সরকারি হাসপাতালে, ৫৭ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৩ জন বাসায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ৫৩ হাজার ৮৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৫২ হাজার ৪৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ হাজার ৯২৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩০৫ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায়  শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ  বেশি।

এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ২১ হাজার ৬৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৬৯ জন।

ঢাকায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গতকাল এই জেলায় ১৮ হাজার ৪৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৭২ জন যা ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৩৭ জন। গতকালও ৪১ জন মারা গিয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৫৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৭০ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩১ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৪ শতাংশ কম।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৬ হাজার ১৫৭ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৫৫ হাজার ১৫৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৯৯৮টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭৭ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৫২ হাজার ৪৭৮ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩৯৯ টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

করোনা রোগীদের অক্সিজেন চাহিদা মেটাতে ব্যয়বহুল হাই-ফ্লো নেইজল ক্যানোলার বিকল্প হিসেবে বুয়েটের উদ্ভাবিত স্বল্প খরচের ‘অক্সিজেট’ যন্ত্র সীমিত আকারে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

বুধবার অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ২০০ ইউনিট উৎপাদন করে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণের পর তাদের মতামতের ভিত্তিতে বড় পরিসরে ‘অক্সিজেট’ ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে।

বুয়েট জানায়, গত মে মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই যন্ত্রের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল তৃতীয় ধাপে সাফল্য লাভ করে। ওই সময় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী যন্ত্রটি হাই-ফ্লো নেইজল ক্যানোলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডিভাইসটি দিয়ে হাসপাতালের সাধারণ বেডেই ৬০ লিটার পর্যন্ত হাই-ফ্লো অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। আর একটি হাই-ফ্লো নেইজল ক্যানোলার জন্য খরচ যেখানে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা, সেখানে বুয়েটের আবিস্কৃত এই যন্ত্রটির উৎপাদন খরচ পড়বে মাত্র ২০-২৫ হাজার টাকা।

শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে ‘অক্সিজেট’ নামের যন্ত্র উদ্ভাবন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সহজে ব্যবহার ও বহনযোগ্য এই যন্ত্র কোনো বিদ্যুৎশক্তি ছাড়াই অক্সিজেন সিলিন্ডার বা হাসপাতালে অক্সিজেন লাইনের সঙ্গে যুক্ত করে হাই-ফ্লো নেইজল ক্যানোলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৯ জনের।  নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯২৫ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জনে। মৃত ২৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৮ জন ও ১২০ জন নারী।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৫ হাজার ১৫৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫২ হাজার ৪৭৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫৮ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ৮৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৫০ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩ জন, সিলেট বিভাগে সাত জন, রংপুর বিভাগে ১১ এবং ময়মনসিংহে ১১ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২০২ জন, আর বেসরকারি হাসপাতালে ৩৯ জন এবং বাড়িতে ১৫ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় দুইজনকে।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আট জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন পাচ হাজার ১৩৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৮৪৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৭৬ হাজার ১০৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৯ হাজার ২৭৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

মহামারি করোনা থেকে বাঁচার সব থেকে কার্যকর উপায় ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়া। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে টিকা দেওয়ায় গতি বাড়ছে ৭ আগস্ট থেকে।

দিনে সাড়ে আট লাখ করে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

দেশে বিদ্যমান সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যকর করা হবে কভিড টিকার ক্ষেত্রেও। গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্য অস্থায়ী টিকাদানকেন্দ্রগুলোকেও কাজে লাগানো হবে। স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরাও টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

প্রয়োজনে অতি বয়স্ক এবং যাঁরা চলাফেরা করতে পারেন না, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আরো সহজতর হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসব কেন্দ্রে হাজির হলেই পাওয়া যাবে টিকা।

এরই মধ্যে এ জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সারা দেশে। পাশাপাশি কভিড টিকা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারাও বেরিয়ে পড়েছেন মাঠের প্রস্তুতি দেখতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মাঠ পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল এক দিনে টিকা নিয়েছেন প্রথম ডোজ হিসেবে দুই লাখ ১৭ হাজার ৫৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন চার হাজার ৪৭৮ জন। সব মিলিয়ে গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট এক কোটি ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখন পর্যন্ত ২১ কোটি টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। ‘কাল-পরশু (আজ-কাল) চীন থেকে আরো ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা আসবে। এ ছাড়া আগস্ট মাসে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের আরো ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে অন্য কয়েকটি সোর্স থেকে টিকা আসবে। ফলে টিকার সংকট থাকছে না। ’

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।  যা একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৫২১ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে।

এর আগে গত ১১ জুলাই দেশে করোনায় ২৩০ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ১৯ জুলাই মৃত্যু হয় ২৩১ জনের। আর ২৫ জুলাই মৃত্যু হয় ২২৮ জনের।

সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ নয় হাজার ৯৭৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৫ লাখ  ছয় হাজার ২৩৩টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৫ জন, বেসরকারি ৫৫ হাসপাতালে জন এবং বাড়িতে ২৬ জন মারা যান। আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় একজন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দু’জন রয়েছেন।   এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন চার হাজার ৪৪৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৫৫০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ৯৬৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৭৭ হাজার ৯৮৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

জাতীয়

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং একজন অভিভাবকের ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হওয়ায় এখন সমালোচনার ঝড় বইছে।

ফোনালাপের সময় অধ্যক্ষ কামরুন নাহার কথা বলার এক পর্যায়ে একজন অভিভাবককে বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো … বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগবো, আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি দেশছাড়া করবো।’

৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের অডিওতে অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যে চলা ঐ কথোপকথনে কামরুন নাহার বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে আমি অফিস করি কি না করি কার বাপের কী? আমি রাজনীতি করা মেয়ে, আমি কিন্তু ভদ্র না।’ কামরুন নাহার ফোনালাপে আরো বলেন, ‘আমি বলে দিলাম, আমি শিক্ষক। আমি প্রিন্সিপাল। ঐ … পোলা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু তার গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়বো।’

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস: সমালোচনার ঝড়যে অভিভাবকের সঙ্গে অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে তার নাম মীর সাহাবুদ্দিন টিপু। অধ্যক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন এই অভিভাবক।

কামরুন নাহার শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কামরুন নাহারের পূর্বেও এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণে ঐ অধ্যক্ষকেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার ঐ কথোপকথন নিয়ে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এর মাধ্যমে ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহারের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১৪ জন বেশি মারা গেছে। গতকাল ১৭৩ জন মারা গিয়েছিল। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১১৭ ও নারী ৭০ জন। এ নিয়ে মৃৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৫ জনে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত ৩ হাজার ৬৯৭ জন।

করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছে, তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৮৭৬ জন, ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং নারী ৫ হাজার ৮০৯ জন, ৩১ দশমিক ০৯ শতাংশ।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৯ জন, ৪৯ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৬৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ২৭ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ৮ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ২ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন সিলেট বিভাগে ৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ ৫ জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫৭ জন সরকারি, ২৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাসায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ১১ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৯৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ২৪ হাজার ৯৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ হাজার ৬১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৩০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৫৬৬ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৯ হাজার ৭০৪ জন। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ১৩৮ জন কম সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬১০ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৮৯৯ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২৫ হাজার ৬২৫ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১৪ হাজার ৭২৬ টি নমুনা কম সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৪৮৬ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৪ হাজার ৯৭৯ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ১৩ হাজার ৪৯৩ টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

আগামীকাল ২৩ জুলাই সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে । কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হবে। বিআইডব্লিউটিসি গত ৯ জুলাই এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামীকাল ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে কঠোর বিধিনিষেধ। এ সময় সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/বিক্রয়, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্সাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ডসংখ্যক ২৩১ জন মারা গেছেন।  গতকালের চেয়ে আজ ৬ জন বেশি মারা গেছেন। আজ মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৩৬ ও নারী ৯৫ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ১২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে আজ নতুন আক্রান্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৩২১ জন।

করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ১৭ জুলাই থেকে মৃত্যুর হার একই রয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৫০ জন, ৬৯ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং নারী ৫ হাজার ৫৭৫ জন, ৩০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৭৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৪৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৭ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ৪ জন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৭৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৬ জন সিলেট বিভাগে ৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং ময়মনসিংহে ১১ জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬৭ জন সরকারি, ৪৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১৮ জন বাসায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় ৪৫ হাজার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ হাজার ৩২১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ৩৯ হাজার ৮০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ হাজার ৫৭৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৭৮৩ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ২৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ০৫ শতাংশ বেশি। এদিকে ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ৯৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৩৪ জন। ঢাকায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ।

গতকাল ১১ হাজার ৩৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৪ জন, যা ২৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। এই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৪৬ জন, গতকাল মারা যায় ৪১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৭৩ লাখ ৩৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৫ জন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ৮ হাজার ৮৪৫ জন। গতকালের চেয়ে আজ ৪৯০ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ৮৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ১৭ শতাংশ কম।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫১ জনের। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৩৯ হাজার ২০৪ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৪ হাজার ২৪৭টি নমুনা বেশি সংগ্রহ হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ হাজার ১২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৮০৬ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৫ হাজার ২০৬টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

জাতীয়

ঈদুল আজাহা এবং পরবর্তী বিধি-নিষিধে কার্যত টানা ১৯ দিনের ছুটিতে পড়ছে বাংলাদেশ। ঈদের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘোষিত বিধি-নিষিধে দুই সপ্তাহের বেশি বন্ধ থাকছে অফিস, গণপরিবহন ও শপিংমল।

সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের পরে ভার্চ্যুয়াল অফিস করার নির্দেশনা থাকলেও বেসরকারি চাকরিজীবীরা মূলত আগস্টের পুরো প্রথম সপ্তাহ ছুটি কাটাতে পারছেন।

আগামী বুধবার (২১ জুলাই) দেশে পবিত্র ঈদুল আজাহা উদযাপিত হবে। ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার (২০ জুলাই)। ঈদের তিন দিন (২০, ২১ ও ২২ জুলাই) ছুটি শেষে ২৩ ও ২৪ জুলাই সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি। ফলে ঈদের ছুটি মিলে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সবাই।

অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকেই আবার শুরু হচ্ছে বিধি-নিষেধ। এই বিধি-নিষেধ চলবে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মোট ১৪ দিন থাকছে বিধি-নিষেধ। এই বিধি-নিষিধে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।

আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পরদিন শুক্র ও শনিবার (৬ ও ৭ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটি। সাপ্তাহিক ছুটিতে সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও অধিকাংশ বেসরকারি অফিস খোলা থাকে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে মূলত ঢাকা ত্যাগ করা মানুষদের আসার সুযোগ রেখে ৮ আগস্ট থেকেই শুরু হবে বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম।

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত ১ জুলাই কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৪ জুলাই। এই বিধি-নিষিধে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ থাকে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।

এরপর ঈদুল আজাহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধি-নিষিধে শিথিল করা হয়।

ঈদের তৃতীয় দিন ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত আরোপিত বিধি-নিষিধে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্প কারখানা এবং গণপরিবহন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের পর বিধি-নিষেধ তথা লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। শিল্প কারখানাও বন্ধ রাখা হবে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের পরের বিধি-নিষিধে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

করোনা সংক্রমণ রোধে এসব উদ্যোগ নেওয়া হলেও ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরা ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েকদিন থেকে বাড়িমুখী মানুষের স্রোত নেমেছে। গত ১৫ ও ১৬ জুলাই ১৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস শেষে রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনালে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মানুষের গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, ২১ জুলাই ঈদ শেষে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে বিধি-নিষেধ আরোপ করায় বাড়ি ফেরত মানুষের অধিকাংশই ঈদের দিন এবং পর দিন ঢাকায় ফিরবেন, ফলে ঢাকা ছাড়ার সময় যে সংক্রমণের আশঙ্কা তা ফেরার সময় আরও মারাত্মক হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ঈদে পশুরহাট বসানোয় এই আশঙ্কা আরও মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে।

যদিও বিধি-নিষিধে আরও চারদিন শিথিলের দাবি তোলা হয়, কিন্তু তা সরকারের পক্ষ থেকেও নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের সুরক্ষায় মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সংক্রমিত হওয়া থেকে মুক্তির পরামর্শ এসেছে। তবে ঈদের আগেই সবশেষ ১৯ জুলাই ২৩১ জনের মৃত্যু এবং ১৩ হাজার ২৩১ জনের সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; যা অত্যন্ত উদ্বেগ, শঙ্কা এবং ভয়াবহতার ইঙ্গিত!