জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৮১৯ জন। নতুন করে ৭১৮ জন শনাক্তসহ দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ২০ জন। ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৩৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৬৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮১ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ৩৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৭১৮ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয়

উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও আর্থিক শৃঙ্খলা আনয়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান সম্বলিত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে-মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

এছাড়া বিভিন্ন আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লেখার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন কমিটিতে ইউএনওকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করা সংক্রান্ত পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিবসহ ১৫ বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী পক্ষের কৌসুলি ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসন কোনো চিঠিপত্র লিখলে বা অনুষ্ঠান করলে দাওয়াতপত্র বা ব্যানারে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লিখছে। এর মাধ্যমে ইউএনওরা স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকছেন। এছাড়া সরকারি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে যতগুলো কমিটি গঠন করা হয় তার সবগুলোতে ইউএনওকে চেয়ারম্যান করা হয় এবং উপজেলা চেয়ারম্যানদের করা হয় উপদেষ্টা।

আবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ থাকে ইউএনও ইচ্ছে করলেই আরও সদস্য অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণকে প্রায় নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। এমনি অনেক ক্ষেত্রে আয়-ব্যায়ের হিসাবও তাদেরকে দেওয়া হয় না। যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও স্থানীয় সরকার পদ্ধতির চেতনার পরিপন্থী।

প্রসঙ্গত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবেন।’ ৩৩ এর (২) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলি পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করিবেন।’

এই ৩৩ ধারাসহ একটি পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সংগঠনের সভাপতি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ ও ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার।

রিটের শুনানিতে হাসান এম এস আজিম বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কোন সিদ্ধান্ত দিলে তা ইউএনও বাস্তবায়ন না করলে পরিষদের করণীয় কিছু থাকে না। উপজেলা পরিষদের কাছে ইউএনওর জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা আইনে রাখা হয়নি। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার স্বাধীনতাকে এই একটি ধারার মাধ্যমে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই ৩৩ ধারা সংবিধানের ৭ ও ৫৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। ৫৯(১)-এ স্থানীয় শাসন সম্পর্কে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হবে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

জাতীয়

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭১৮ জনে। এর আগে বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১৭ জন।

বৃহস্পতিবার বিকালে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯০৫ জন। এর আগের দিন ৯৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন ৯৬৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ জন।

জাতীয়

অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। তারা ভারতের বাইরে এই ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এই বিষয়ে করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (৪ জানুয়ারি) করোনা ভ্যাকসিনের অগ্রগতি নিয়ে এটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে বৈঠকে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত আছেন।

বেলা সোয়া ১২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে কথা বলবেন বলে তার দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করা অন্যান্য দেশগুলোকে ভ্যাকসিন পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করা লাগতে পারে বলে জানা গেছে।

ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেয়া হবে না। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের এক কোটিরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ লোক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছে মারা গেছেন।

জানা যায়, করোনা ভ্যাকসিন বণ্টন পরিকল্পনার শুরুতেই ভারত ৩০ কোটি জনগণকে টিকা দিতে চায়। যার মধ্যে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ মহামারি মোকাবেলায় সামনের সারির যোদ্ধারা।

জাতীয়

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৬২৬ জন।

এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো ৮৩৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার ১৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ৯২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৭৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৫৯৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ৯২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয়

আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে সৌদিআরবে বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। রবিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

নিষেধাজ্ঞা শেষে সৌদি আরবে পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু করায় বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওয়েবসাইটের নোটিশে বাতিলকৃত ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদেরকে বিমানের ওয়েবসাইট (www.biman-airlines.com) এ প্রদত্ত শিডিউল অনুযায়ী কাছের বিমান সেলস অফিসে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। ফ্লাইটে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে এসকল যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে।

এর আগে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় সৌদিআরব। রবিবার (৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় দেশটিতে পুনরায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। একইসঙ্গে সড়ক ও নৌপথে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হচ্ছে।

আরব নিউজ জানায়, যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর গত ২০ ডিসেম্বর অন্য দেশ থেকে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে সব ধরনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় সৌদি সরকার। এই কয়দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আজ রবিবার থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তবে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ রুখতে বেশকিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য যেসব দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে, সেসব দেশ থেকে সৌদি নাগরিক নন এমন কেউ সৌদি আরবে আসতে চাইলে কমপক্ষে ১৪ দিন অন্যকোনো দেশে অবস্থান করে তারপর সৌদি আরবে ঢুকতে হবে। এরপর ১৪ দিন পার হলে তারা করোনামুক্ত কিনা তা প্রমাণ করতে পিসিআর টেস্টের ফলাফল লাগবে।

এছাড়া সৌদি নাগরিক যাদের মানবিক বা জরুরিভাবে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে, তাদের সৌদি আরবে এসে কমপক্ষে ১৪ দিন বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। তাদের দুইবার পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। প্রথমবার সৌদি প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবং দ্বিতীয়বার কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার ১৩ দিনের মাথায়।

জাতীয়

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট নারীনেত্রী আয়শা খানম আর নেই। আজ শনিবার ভোরে তিনি বারডেমে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লান্স ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

তিনি র্দীঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে নারীর অধিকার আদায়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন শেষে বঞ্চিত অধিকারহীন নারীদের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু নিয়োজিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের নারী আন্দোলন এক অকৃত্রিম অভিভাবককে হারালো।

তার মৃতদেহ আজ সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (১০/বি/১, সেগুন বাগিচা ঢাকা) শ্রদ্ধা জানানো হয়। নেত্রকোণায় নিজ গ্রামে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

আয়েশা খানমের জন্ম নেত্রকোনার গাবড়াগাতি গ্রামে ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর। পাকিস্তান আমলে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

আয়শা খানম ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর নেত্রকোনার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি নেত্রকোণার গাবড়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯-৭০ এর দিকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ছাত্রাবস্থায় থাকতে তিনি বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, মানবাধিকার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় সংগঠক ছিলেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম আর নেই
আজ সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়শা খানমকে শ্রদ্ধা জানানো হয়
১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি মহিলা পরিষদের সাথে যুক্ত হন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এরপর ২০০৮ সাল থেকে তিনি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, আইন সংস্কার আন্দোলন, সিডও বাস্তবায়নসহ নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

তিনি একজন দক্ষ, সংগঠক ও সুবক্তা ছিলেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তার কন্ঠ ছিলো সোচ্চার। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এ্যাডভোকেসি ও লবির ক্ষেত্রে ও তিনি পারদর্শীতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী নারী আন্দোলনকে করে গড়ে তুলতে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। ২০০২ সাল থেকে ৬৮ টি সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সেক্রেটারিয়েট এর নেতৃত্ব প্রদান করে আসছিলেন। বৈশ্বিক নারী আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৯২ সালে ভিয়েনাতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় মানবাধিকার সম্মেলনে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৯৫ সালে বেইজিং এ অনুষ্ঠিত ৪র্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত সিডও কমিটির এবং কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন (সিএসডব্লিউ)এর বিভিন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও UNSCAP, IWRAW, UNIFEM কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন আঞ্চলিক কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও নারী ইস্যূতে তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখা-লেখি করতেন। তার লেখা বেশ কিছু প্রবন্ধ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

আয়শা খানমের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নারীনেত্রী আয়শা খানমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, এই নারী নেত্রীর মৃত্যুতে দেশের নারী সমাজ একজন অকৃত্রিম বন্ধু ও সাহসী সহযোদ্ধাকে হারাল।

প্রধানমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে শনিবার আয়শা খানম ভোরে বারডেমে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লান্স ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

আয়শা খানম দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে নারীর অধিকার আদায়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন শেষে বঞ্চিত অধিকারহীন নারীদের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু নিয়োজিত ছিলেন।

জাতীয়

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৮৪ জন।

শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতর এক বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৬৮৪ জনকে নিয়ে দেশে আক্রান্তে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪ জন। আরও ২৩ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৫৯৯ জন হয়েছে।

গত একদিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৯৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬২০ জন হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জাতীয়

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) উপজেলা পর্যায়ে শাসকের ভূমিকা পালন করছেন। তাদের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব জনপ্রতিনিধিদের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।

শনিবার ( ২ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ইউএনওদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এ ধরনের অভিযোগ করে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন।

‘সাংবিধানিক নির্দেশনা ও আইনানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনিক একাংশ নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ কর্তৃত্বহীন, তৃণমূলে জবাবদিহি ও শাসন বিঘ্নিত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন এবং আইন সম্পাদক রীনা পারভীনসহ বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা।

জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের আলাদা করে সামন্তবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছেন। কর্মকর্তাদের আইন পরিপন্থী আচরণ ও কাজের কারণে মাঠ পর্যায়ে সমন্বয়হীনতা চলছে বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার। এতে বলা হয়, আইনে উপজেলাকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। যার প্রশাসনিক কাঠামো নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ। উপজেলা পরিষদ আইনের তৃতীয় তফসিলে ১২টি মন্ত্রণালয়ের উপজেলাধীন ১৭টি বিভাগকে উপজেলা পরিষদের কাছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের কার্যাবলীসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইনকে বিবেচনায় না নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর বিভিন্ন সময়ে পরিপত্র জারি করছে। যার মাধ্যমে উপজেলার সব বিভাগের কার্যাবলী নিষ্পত্তির জন্য গঠিত প্রায় শতভাগ কমিটিতে ইউএনওকে সভাপতি করা হয়েছে। এই ১৭টি বিভাগের আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তাও ইউএনও। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়া সব কাজ কমিটিপ্রধানের ক্ষমতাবলে ইউএনও নিয়ন্ত্রণ করছেন বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে কাজ সম্পাদনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একাধিকবার পরিপত্র ও আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু উপজেলা পর্যায় এই নির্দেশনা বা আদেশের কোনো প্রতিপালন হয় না। এতে আরও বলা হয়, উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলেও প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা (ইউএনও) সবকিছু উপেক্ষা করে উপজেলায় শাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণকে পাশ কাটিয়ে জনপ্রতিনিধিবিহীন জনপ্রশাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংবিধান, আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এগুলোর বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলে বিপদে পড়েন। যে কোনো ইস্যু সৃষ্টি করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নির্বাহী তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। এভাবে পরিকল্পিত ছকে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা নষ্ট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের।

লিখিত বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এরপর উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবকে লিখিতভাবে এসব বিষয় জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সেই লিখিত আবেদনের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। ১৫ জন সচিবের কাছে গত ২০ সেপ্টেম্বর নোটিশ ডিমান্ডিং জাস্টিস পাঠানো হয়েছে। এরও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সবকিছুতে তাচ্ছিল্য দেখাচ্ছেন।

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবিও জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে- হস্তান্তরিত ১৭টি বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের কর্তৃত্বে পরিচালিত হওয়ার প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রগুলো অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে। নির্বাচিত পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে ১৭টি বিভাগের জন্য ভাইস চেয়ারম্যানদের সভাপতিত্বে ১৭টি কমিটি বিদ্যমান রয়েছে, সেগুলো কার্যকর করতে হবে। উপজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ১৭টি বিভাগের কার্যাবলী সম্পাদন করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

জাতীয়

দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা কমে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জনের। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৪৭৪ জনে।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা রোগীর শনাক্তের সংখ্যা ১২শ ৩৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৮৩ জনে।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৪০৮টি। পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯টি। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন ও নারী ছয়জন। দেশে এ পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছে পাঁচ হাজার ৭৩৩ জন ও নারী এক হাজার ৭৯৮ জন। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন ও ষাটোর্ধ্ব ১১ জন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুজন মারা গেছেন। এর মধ্যে সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়।